সন্ধ্যার আকাশ ভরে তারারা জেগে উঠছে। নির্জন দ্বীপের বাতিঘরে আলো জ্বলছে। আশমানি জলের ধারের পাথরে বসে আছে চুপ করে। সমুদ্রের ধারে কী প্রবল হাওয়া! ঐ যে দূরে জলদিগন্ত, পশ্চিমের সেই জলরেখার উপরে আকাশ, সেখানে আশ্চর্য রঙীন সূর্যাস্তের রেশ রয়ে গেছে এখনো।
দিনের আলো যতক্ষণ ছিলো আশমানি কথা বলেছে অনেক। ঝিনুক কুড়িয়ে কুড়িয়ে রেখেছে রুমালে জড়িয়ে। এখন সে চুপ, পাথরের উপরে বসে আছে একেবারে পাথরটারই মতন স্তব্ধ। হিন্দোল কাছে এসে কিছুটা উদ্বিঘ্ন গলায় বলে, "তোমার হঠাৎ কী হলো ? একদম চুপ হয়ে গেলে যে! "
খুব মৃদুগলায় আপনমনে কথা বলার মতন গুণগুণ করে আশমানি, " সময় আমাদের ঘিরে রাখে মৃদু বৃষ্টির মতন/ অশেষ সময়, সুখদুখমন্থন সময়/ মেঘপালকের ঘরের মতন উড়ে যায় জীবন----"
হিন্দোল বলে, "কতদিন তোমার আবৃত্তি শুনি নি। তুমি কী অসাধারণ আবৃত্তি করতে!"
আশমানি মনে করতে চেষ্টা করে কার লেখা লাইন গুলো! মনে পড়ে, পড়ে, পড়ে না। মনে পড়ে ছাদের উপরে স্নিগ্ধ ঠান্ডা রাত, অনেক বছর আগের একটা রাত, ঘুমেলা চোখে এসে লাগছিলো তারাদের বিস্ময়, কতকাল হয়ে গেলো! সেই একই তারারা আজো আকাশে, অথচ পুরানো হয় না, একই প্রথমদিনের ঝিমঝিম শিরশিরানি চারিয়ে যায় চোখের ভিতর দিয়ে আরো ঘন গহণে।
"বাণী নাহি তবু কানে কানে/কী যে শুনি----" কে গাইতো? আশমানির গলায় সুর ছিলো না, ওকে গেয়ে শোনাতো মিমি। আজ কোথায় সে? কোথাও নেই, কোথাও না। এই বিরাট পৃথিবীর কোনো কোণেই আর তাকে খুঁজে পাবে না আশমানি। অথচ কী অদ্ভুত! সে স্পষ্ট শুনছে মিমি গাইছে, ওর সুরেলা কিশোরী কন্ঠ ছড়িয়ে পড়ছে ওই মেঘপালকের ঘর পর্যন্ত- " আকাশ জুড়ে শুনিনু ঐ বাজে/ তোমারি নাম সকল তারার মাঝে/ সে নামখানি নেমে এলো ভুঁয়ে/ কখন আমার ললাট গেলো ছুঁয়ে---"
আশমানি আস্তে আস্তে বলে, "হিন্দোল, জানো ক্লাস নাইনে পড়ার সময় সময় আমরা স্কুল থেকে গেলাম দীঘা। সেখান থেকে সবাই ফিরে এলাম, শুধু ফিরলো না মিমি। ওর ভালো নাম ছিলো সায়ন্তনী। সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে ডুবে গেল, সমুদ্র তার জীবনটুকু শুষে নিয়ে দেহটা ফিরিয়ে দিলো। "
সমব্যথীর মতন হিন্দোল আশমানির হাত ধরে চুপ করে থাকে, কোনো কোনো মুহূর্ত আসে যখন নৈ:শব্দকে শব্দের চেয়ে অনেক বেশী দরকার হয়। কতক্ষণ তারা চুপ করে বসে ছিলো হাতে হাত রেখে তা বুঝি জানে শুধু সমুদ্রের হাওয়া, ফিসফিস করে হাওয়া কানে কানে কী সব বলে যায় তারা অনবরত। আকাশের তারারা নির্বিকার, এমন হাসিকান্না আসা যাওয়া হারানো পাওয়া কত দেখেছে ওরা, কতকাল ধরে দেখছে! মানুষের কত আনন্দবেদনার ইতিহাসের পাশ দিয়ে নিজের মতন করে চলে গেছে তাদের অপলক আলো।
আশমানি বলে, " জানো হিন্দোল, সূর্যের চিঠি পেলাম কাল। সে বিয়ে করতে চলেছে তার বাবামায়ের পছন্দ করা পাত্রীকে। আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। হিন্দোল, ঠিক মানুষকে আমরা চিনতে পারি না কেন? আমরা কেন ভুল মানুষকে ভালোবাসি আর সে ভুলের খেসারত দিতে দিতে জীবনটাই কেটে যায় ? "
হিন্দোলের হাতটা শক্ত করে চাপ দেয় আশমানির হাতে, স্পর্শের বৈদ্যুতি ভাষায় সাহস দিতে চায়, সান্ত্বনা দিতে চায়। আরো কিছু বলতে চায় কিনা কেজানে! আরো একটা ভুলের জালে জড়িয়ে পড়তে ইচ্ছে করে না আশমানির। তার চেয়ে এই তো সে বেশ ভালো আছে, ঝাড়া হাতপা। বিদেশে বিভুঁইয়ে চেনাজানা মানুষদের হাজারো প্রশ্ন থেকে অনেক দূরে-
তবু কেন এত সূচালো বেদনা বুকের মধ্যেটায়? কেন সব বলে দিয়ে হালকা হতে ইচ্ছে করে? না, শক্ত হতে হবে, শক্ত হতে হবে। প্রাণপণে নিজেকে সামলাতে চেষ্টা করে আশমানি। সেই তারা-ফুটফুট রাত, দমবন্ধ কান্নার রাত, সেই নাফোটা কুঁড়িটি ছিঁড়ে ছিঁড়ে উপড়ে ফেলে দেবার অসহ্য বেদনায় নুয়ে পড়া রাক্ষসী রাত---সমস্ত শক্তি দিয়ে তাকে প্রতিহত করে আশমানি। নিষ্পলক দৃষ্টি মেলে সে চেয়ে থাকে সামনে, অন্তহীন ঢেউ আসে যায়, কত নির্বিকার! তবু কেন তাকে ফুলে ফুলে ওঠা অশ্রু বলে মনে হচ্ছে আজ আশমানির?
আশমানি উঠে পড়ে, পোশাক থেকে বালি ঝাড়তে ঝাড়তে বলে," চলো, কাছের কোনো মোটেলে উঠি, এত রাতে এতটা লম্বা ড্রাইভ করে না ফিরে কালকে সকালে ফিরবো না হয়। "
হিন্দোল বলে, " চলো। "
সমুদ্রতীর থেকে ক্লান্ত পায়ে পাথুরে পার্কিং লটের দিকে ফিরছে তারা, সমুদ্রের হাওয়া একইভাবে মুখেচুলে সবল ঝাপটা লাগিয়ে যাচ্ছে, বাতিঘরের আলো ঘুরছে, আলোছায়ার খেলা ঐ জলে, এই ডাঙায়।
গাড়ীর কাছে এসে আশমানি বলে, "হিন্দোল, উপমার সঙ্গে কি যোগাযোগ আছে তোমার? জানো সে কেমন আছে? "
"দু'বছর আগে উপমা মারা গেছে। বাচ্চা হতে গিয়ে। কীসব নাকি কমপ্লিকেশন ছিলো। বাচ্চাটা বেঁচেছে, মেয়ে। উপমার স্বামী আবার বিয়ে করেছে গতবছর।"
হিন্দোলের গলা সাংবাদিকের মতন, হেলদোলহীন। যেন একটা সাধারণ খবর দিচ্ছে। আশমানির গলার কাছটায় কী যেন একটা আটকে গেছে, সে কথা বলতে চেষ্টা করেও পারছে না। শুধু হিন্দোলের হাতখানা শক্ত করে চেপে ধরলো।
মোটেলটা কাছেই ছিলো, ব্রীজ পার হয়ে দ্বীপ থেকে মূল ভূখন্ডে ঢোকার পরেই খানিক এগিয়ে সুন্দর মোটেল। তারা চেক ইন করলো রাতের জন্য। দুই বেডের ঘর। ছিমছাম সাজানো। টিভিটা অন করে সোফায় বসলো হিন্দোল। কফির সরঞ্জাম ঘরেই থাকে, দু'কাপ বানিয়ে পেপার কাপে ঢাললো আশমানি। হিন্দোল দুধচিনি ছাড়া কালো কফি খায়, আশমানি অবশ্য নিজের কফিতে চিনি দুধ মেশায়। কফি খেতে খেতে টিভিতে পিরামিড দেখছিলো ওরা। ডকুমেন্টারি।
খুব ঘুম পায়, দু'চোখের পাতা জড়িয়ে আসে, সোফা থেকে কোনোরকমে বিছানায় কাছে এসে বালিশে মাথা ঢেলে দেয় আশমানি।
একসময় শরীর আচ্ছন্ন করে ঘুম নেমে আসে।
চারিদিকে জল, ছলছল জল। এই দ্বীপ খুব ছোটো। যেকোনো দিকে একটুখানি গেলেই নীল সমুদ্র। অথৈ সমুদ্র। গোলমরিচের লতাজড়ানো নারিকেলকান্ডে ঠেস দিয়ে বসে থাকে সে। তার কী যেন একটা করার ছিলো, কিছুতেই মনে পড়ে না। কী তার নাম সেও মনে নেই। সে কোথা থেকে এলো এখানে সেও সে জানে না।
এখানে সে খুব একলা, তার কেউ নেই, কিছু জিনিসপত্রও নেই। লাগেও তো না কিছু , জিনিসপত্র থেকেই বা কী লাভ হোতো? কুয়াশা কুয়াশা স্মৃতিবিস্মৃতি আছে শুধু। সাদা ধূসর কালো নীল লাল সব টুকরো টুকরো আকারহীন স্মৃতি। মাঝে মাঝে খুব ঠান্ডা লাগে তার, একটা নরম ওমের কথা মনে পড়ে, কার যেন কোলের মধ্যে সে ছিলো, সেখানে মনোরম উষ্ণতা ছিলো।
একটা খুব শীত শীত দুপুর ছিলো, আকাশে পাক খাওয়া চিল ছিলো। ছাদে মাদুর বিছিয়ে বসে ছিলো কারা জানি দু'জন। মুখ দুখানা মনে পড়ে না, বাষ্পে গড়া মুখের মতন মিলিয়ে যায়। আরো একদিন--সেবারে সন্ধ্যা ছিলো, ছলছলে জ্যোৎস্না ছলছলে জ্যোৎস্না--
কারুর মুখে যেন খুব গভীর বিষাদ ছিলো, জলভরা মেঘের মতন জমাট বিষাদ। কার যেন টলটল করে নড়ছিলো ঠোঁটজোড়া, কিন্তু কথা ফুটছিলো না। কে সে? মনে পড়ে না।
একটা দুপুরবেলার ঝিল ছিলো, সেখানে টুপ করে একটা ঢিল পড়েছিলো, জলবৃত্ত ছড়িয়ে যাচ্ছিলো, ছড়িয়ে যাচ্ছিলো, হারিয়ে যাচ্ছিলো হারিয়ে যাচ্ছিলো--
একটা অসংখ্য ঘুড়িওড়া আকাশ ছিলো, সে যেন কী একটা উৎসবের দিন, সবাই সেদিন ঘুড়ি ওড়ায়, কী উৎসব সেটা? তার মনে পড়ে না।
দূর থেকে কে যেন ডাকছিলো, রুণা-আ-আ-আ, কার নাম সেটা? কাকে ডাকছিলো? কে ডাকছিলো? সেটা কি তারই নাম?
আনমনে সে লতায় হাত রাখে, ভাবে কী যেন একটা করার ছিলো! মনে পড়ে না কেন? সে ভাবে কী নাম না খুঁজে নিজেই নিজেকে একটা নাম দিয়ে দিলে কেমন হয়? মনে হতেই উঠে দাঁড়ায় সে, চলতে থাকে, জলরেখার একদম কাছে এসে থামে। হেসে ওঠে অকারণে।
দূরে আকাশ যেখানে নত হয়ে পড়েছে জলে, সেইখান থেকে বেরিয়ে আসে লাল সূর্য, লাল হৃৎপিন্ডের মত, স্পন্দিত আলো ছড়িয়ে পড়ে চরাচরে। প্রথম মানবীর মতন একলা মেয়েটি আবার হেসে ওঠে, আবরণমুক্ত হয়ে এগিয়ে যায় জলের দিকে, অবগাহণপ্রত্যাশায়।
ওর খোলা চুলের ঢালে জড়িয়ে যায় সাদা ফেনা, চিকচিক করে ওঠে ভোরের আলো। স্নান করতে করতে সে হাসছে, তার কিচ্ছু মনে নেই সে কে, অথচ মনে আছে আকাশ, জল, সূর্য, আগুন, মাটি, বালি, ঝিনুক। দু'হাতের মুঠায় নোনাপানি নিয়ে আকাশের দিকে ছুঁড়ে দিতে দিতে সে চেঁচিয়ে বলে, "শোনো শোনো তোমরা শোনো, আমি আমার নাম দিলাম আকাশ।" একটা চমৎকার নীল মেঘ উড়ে আসে তার মাথার উপরে, টুপটাপ ঝরতে শুরু করে আকাশি রঙের বৃষ্টি।
ঘুম ভাঙে, স্নিগ্ধ শান্তি এবারে। এই স্বপ্ন তার চেনা, অনেকবার দেখেছে সে। এইটা তার খুব অন্যরকম, সুন্দর একটা স্বপ্ন। একটা হালকা পালকের মতন স্বপ্ন, একটা অলৌকিক মুক্তির স্বাদ। স্বপ্নের ভিতরের মেয়েটাকে কখনো মনে হয় খুব চেনা, আবার কখনো একদম অচেনা। কখনো মেয়েটা সে নিজেই, আবার কখনো বা তার হারিয়ে যাওয়া প্রিয়মুখ।
ভোর হয়ে গেছে, পুবের জানালার পর্দা সরিয়ে দাঁড়ায় আশমানি। টলটলে জলের ভিতর দিয়ে দেখে উঠে আসছে লাল সূর্য, মেঘগুলো সব কমলা। হিন্দোল গভীর ঘুমে, ওর ঘুমন্ত মুখটা শিশুর মতন, মায়ায় ভরে যায় আশমানির বুকের ভিতরটা। বহুদিনের শুখা জমিনের উপরে সেখানে তখন নেমেছে বৃষ্টি, আকাশি রঙের বৃষ্টি, ঠিক সেই স্বপ্নটার মতন।
***
মন্তব্য
আপু অনেক সুন্দর। সকালে গল্পটা পড়ে মনটা ভরে গেল। কষ্টের বর্ণনা এতো নিখুত হতে পারে আগে জানা ছিল না। ধন্যবাদ আপু।
কামরুজ্জামান স্বাধীন।
ধন্যবাদ ভাই।
আজকাল তো আপনার লেখা আর দেখি না! লেখেন না কেন?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
গল্পটা আবছা, হয়ত সেটাই আপনার উদ্দেশ্য ছিল, নাকি?
স্বপ্নের বর্ণনাটা চমৎকার লেগেছে !
ঠিক ধরেছেন, গল্পটা আবছা। যেমন ধরুন শীতের কুয়াশামোড়া ভোর, কুয়াশা কেটে হঠাৎ এক ঝলক রোদ্দুর, সেরকম। কিছুটা বোঝা যায় কিছুটা বোঝা যায় না। পাঠকের কল্পনার অবকাশ আছে অনেক। সেটাই গল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।
কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভাল লাগা আর মন খারাপের এক অদ্ভুত অনুভূতি হল গল্পটা পড়ে।
এত সাবলীল আর নিখুঁত বর্ণনা কিভাবে দেন আপনি?
_________________________________________________
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ধন্যবাদ, পাগল মন।
আপনার ভালোলাগাটুকু আমার প্রাপ্তির ঘরে জমা পড়লো।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
চমৎকার। ঘোর লেগে গেলে যেন পড়ে..এমন কেন লিখতে পারি না?
শুভ কামনা রইলো। আপনার লেখা পড়ি সবসময়, জানানো হয় কদাচিৎ..
ধন্যবাদ, কাঠপুতুল।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সুন্দর ঝরঝরে বর্ণনা।
অমিত্রাক্ষর
অমিত্রাক্ষর@জিমেইল ডট কম
ধন্যবাদ অমিত্রাক্ষর।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এত মায়াবী সব লেখা কিভাবে লিখেন, বলেন তো আপু..?!
এমন কিছু পড়লে, বিষণ্ণতা কে খুব আপন মনে হয়..তবুও ভাল লাগে!
ধন্যবাদ, বিষণ্ন বাউন্ডুলে। আপনার ভালোলাগাটুকু আমার প্রাপ্তির ঘরে জমা পড়লো।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এ গানটা আমারও খুব প্রিয়।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কেন জানি মন্তব্য করা হয় খুব কম তবে আপনার এই ধরনের লেখাগুলো পড়ি আর মনে হয়, "আচ্ছা এই মানুষটা কি জানে যে তার লেখা বিভূতিভূষণ-কে মনে পড়িয়ে দেয়!?"
মনে হওয়াই সার, বলা আর হয় না।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
অনেক ধন্যবাদ মর্ম। বিভূতিভূষণ অনেক বড়মাপের লেখক ভাই, কালজয়ী। ওঁর সঙ্গে তুলনা করে লজ্জা দিবেন না।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভালো লাগলো, কিন্তু উপকথার দ্বিতীয় অংশ কই?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ, উপকথা আসছে সামনেই। ইস্কুলবেলাও।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন