" হ্যাঁ রে অন্বেষা, তোর ডাকনাম যে টেঁপি, এটা তো কস্মিনকালেও জানতে পারিনি আমরা কেউ গোটা ইস্কুলবেলায়!"
অন্বেষা হাসে, বলে, " আরে ওটা তো বাড়ীর ডাকনাম, ইস্কুলে তোরা জানবি কীকরে? দেবুস্যর তো মাঝে মাঝে আমাদের বাড়ী যেতেন, তাই জেনেছিলেন।"
"আরে বলিস কী? উনি তোদের বাড়ী যেতেন? "
"মাঝে মাঝে। উনি বলতেন লোকে নাকি গল্প করতো আমার ঘরে আমি মাবাবাকে পর্যন্ত নাকি ঢুকতে দিই না, বই দিয়ে ঢাকা সেই ঘরের মেঝে থেকে কড়ি অবধি। দেবুস্যর বেশ একটা গর্বের সুরে বলতেন আমি শিক্ষক, তাই ঢুকতে পেরেছি, শিক্ষকের মর্যাদাই আলাদা, শিক্ষক আর চিকিৎসক- এনারা নাকি সর্বত্র যেতে পারেন। আচ্ছা তুলি, আমি আমার ঘরে কাউকে ঢুকতে দিই না, হরিলুটের মতন বই ছড়ানো ঘর, এসব গল্প লোকে কেন বানিয়ে বানিয়ে বলতো আর কেনইবা বিশ্বাস করতো?"
"সে লোকেরাই জানে। তোর সম্পর্কে আরো নানা অদ্ভুত অদ্ভুত গল্প ছিলো। সেই যে তুই নাকি ঘুমের মধ্যে নানা ইকোয়েশন টিকোয়েশন বলিস আর মাঝে মাঝে নানা অদ্ভুত নাম ধরে ডেকে উঠিস।"
দু'জনে হেসে উঠি। জানালার বাইরে তাকাই। বাইরে অনর্গল শুভ্র তুষার ঝরছে, আকাশ থেকে তুলোর ফুলের মতন। বাড়ীঘর গাছপালা বাইরের গাড়ীগুলো মাঠ পথ ঢেকে যাচ্ছে সাদা চাদরে। হোয়াইট ক্রিসমাস। সেই কতদিন আগের এক উষ্ণ দেশের আমাদের ইস্কুলবেলার গল্প এই পটভূমিতে বসে ভাবতেও অবাক লাগে। যেন গতজন্মের কাহিনি।
"সেদিন দেবুস্যর পাঁচসেলের টর্চ নিয়ে তোদের বাড়ী যে গেলেন, কী করে জেনেছিলেন উনি? "
অন্বেষা বলে "সেদিন বিকেলে পড়া ছিলো, হয়ে গেলে ফিরে আসার সময় আমি একটা চিরকুট দিয়ে এলাম যে! সেটায় ছিলো, এত এত কার্বন অক্সিজেনে নাইট্রোজেন হাইড্রোজেন বৃথা আটকে রেখে লাভ কী? এই দিয়ে প্রকৃতি তৈরী করতে পারবে আরো অনেক মেধাবী অনেক সাহসী অনেক বেশী এফিসিয়েন্ট মানুষ, তারা পৃথিবীকে কিছু দিতে পারবে। আমি দ্রুত এসব যথাস্থানে ফিরিয়ে দিলেই মঙ্গল।"
"আরে সর্বনাশ! এসব তুই লিখেছিলি? তবে তো বাপু তোমার নাম খেপী হওয়া উচিত ছিলো। কিন্তু অন্বেষা, তুই এতখানি খেপীটাইপ হলে কী করে স্টিক করে রইলি তোর লক্ষ্যে? দেবুস্যর তো খোলাখুলি বলতেন পরিবারের লোকজন উঁচু পজিশানে না থাকলে গবেষণা টবেষণার আশা করা দুরাশা।"
স্মৃতিমেদুর হয়ে যায় ওর মুখ, বলে, "আমার কী যে দিন গেছে কী যে রাত গেছে! সব গুলিয়ে গেছিলো। মনে হতো এবারে কী হবে? আমাদের পরিবারে এর আগে কেউ সায়েন্স পড়েনি, বাবাজ্যেঠা কমার্সের লোক, মা-জ্যেঠিমারা আর্টসের৷ কোথাও কোনো পরিচিত পারিবারিক লোক নেই উঁচু প্রতিষ্ঠানে, অন্ধকার, অন্ধকার একেবারে ঘোর টর্চবিহীন অন্ধকার!
চাষী পরিবার থেকে উঠে আসা ক্ষণজন্মাপ্রতিভা নিউটনের গল্প পড়েও এতটুকু উষ্ণতা অনুভব করতে পারিনি, ঠান্ডা, খুব ঠান্ডা লাগতো৷ নিউটনের দেশ ও কাল তো নয় আমার দেশ ও কাল! এখানে অন্যরকম মানুষ, অন্যরকম ধারণা বিশ্বাস অন্যরকম সমস্যা ও সমাধান৷ এমনকি সত্যেন্দ্রনাথ মেঘনাদও তো আমার চেনা কালের নন!
গভীর রাত্রির মধ্যে ডুবে যাবার মতন লাগতো, ঠান্ডা অন্ধকার, গ্রহতারাহীন অসহায় শূন্যতা৷ গুজরাটী/ মাড়োয়াড়ী/ সিন্ধি/ সাহেবী কোম্পানিতে মগজ চাকর হয়ে জুতে যাওয়া অথবা আড়ঘোমটা দিয়ে শ্বশুরবাড়ী যাওয়া-দুটোই ঘোর অর্থহীন ও নিষ্ফল বলে মনে হতো৷
তুই জানিস আমাদের বাড়ীর খুব কাছেই গঙ্গা। সেই গঙ্গা মনের মধ্যে ছলছল করতো, মনে হতো বিয়েই যদি করতে বাধ্য করে মা-বাবা ও পরিবারের সবাই, তবে গঙ্গা তো রইলো। সে তো আর কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।
তারপরে একদিন ... সেই অন্ধকারে আলো ফুটে উঠলো, প্রথমে অতি অল্প, অতি হাল্কা, ভুলে যাওয়া গানের মতন একটা দুটো হাল্কা সুর, তারপরে অন্ধকারে ফুটে ওঠে সেই দীর্ঘকেশ ভবঘুরে জ্যোতিষ্ক, অভিমানী ধূমকেতুটি, সে বলে, "তুমি ভুলে গেছ আমায়, আমি কিন্তু তোমাকে ভুলিনি৷" অমনি ঘননীল পর্দাটা সরে যায়, অসংখ্য আয়নার মধ্যে ঘূর্ণ্যমান জগৎ হেসে ওঠে৷
তারপরে দিনের পর দিন স্যর আমার পরিবারের কমজোরিতা নিয়ে বলে যান, যতরকমে পারেন নিরুৎসাহ করেন, তারপরে সান্ত্বনা দিচ্ছেন ভেবে আরো জোরে ছুরি বেঁধান সবচেয়ে গভীর স্পর্শকাতরতায়, "অবশ্য তোর ছেলেকে ভালো করে শেখাতে পারবি, তখন তো তুই নিজে হবি কিনা এই লাইনের লোক, তাই৷" আমি হাসি, কথাগুলো এককান দিয়ে ঢুকিয়ে অন্যকান দিয়ে বার করি, কারণ এদের কাছে কিছু বলতে গেলে কোনোভাবেই কিছু হবে না৷ আমি মনে মনে জপি If it doesn't kill us, it makes us stronger. ""
অন্বেষা চুপ করে বাইরের তুষারের দিকে চেয়ে থাকে, ওর চোখ দেখতে পাই না, আস্তে করে হাত বাড়িয়ে ওর হাত ধরে রাখি। চুপি চুপি বলি," হ্যালির ধূমকেতু, না রে? তুই বলেছিলি ও ধূমকেতু যখন আসলো তখন থেকেই তোর মন টানলো আকাশ। একেবারে " বিষয়মধু তুচ্ছ হইলো, কী যেন কুসুমসকলে।"
ও হেসে ফেলে, বলে, "এই দ্যাখ, তুইও গল্প বানাতে শুরু করেছিস। যাকগে, গান শোনা।"
আমি মুহূর্তমাত্র বিলম্ব না করে শ্যামাসঙ্গীত চালিয়ে দিই ল্যাপীতে। পান্নালালের অপার্থিব কন্ঠসুধা বেজে ওঠে, " মায়ের পায়ের জবা হয়ে-"
গান শুনতে শুনতে বেগুনী ভাজি আর বাটিতে বাটিতে মুড়ি সাজাই, এমন দিনে মুড়ি আর বেগুনী খুব জমে। খেতে খেতে আবার ইস্কুলবেলার গল্প শুরু হয়। মাধ্যমিকের রেজাল্টে আগের সব হিসেব উলোটপালোট হয়ে গেল, অজপাড়াগাঁয়ের ঐ স্কুলে অত বেশী নম্বর স্মরণকালের মধ্যে পায় নি কেউ, অবশ্য অন্বেষা সম্পর্কে একটা এধরনের আশা দিদিমণিদের মনের মধ্যে ছিলো, সে কিনা বেশ অন্যরকম, ম্যাজিক-ম্যাজিক টাইপ, তাই একটা ম্যাজিক ধরনের কান্ড সে করে ফেলবে এই রকম আশা অনেকেই করতো।
দু'দিন ছুটি দিলো স্কুল। সেলিব্রেট করতে। আর উচ্চমাধ্যমিকের জন্য ঐ স্কুলেই অন্বেষা রয়ে গেল বলে গ্রুপের বাছা বাছা সব মেয়েই রয়ে গেল। এটাও ঐ স্কুলে অভূতপূর্ব, তার আগে ভালো ভালো সবাই উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হতো পাশের টাউনের অপেক্ষাকৃত ভালো স্কুলে।
অন্বেষা বলে, "ওটাই ভুল হয়েছিলো রে তুলি। বাড়ীর লোকেরা যদি আমায় এটা সেটা বলে ভুজুংভাজাং দিয়ে পুরানো স্কুলেই থাকতে না বলতো, নিশ্চয় আমি থাকতাম না। তাহলে বাকীরাও থাকতো না। আমার সঙ্গে সঙ্গে তাদেরও ওভাবে সর্বনাশ হতো না দুবছর পরে।"
বেগুনীতে কামড় দিয়ে একমুঠ মুড়ি মুখে পুরে আমি বলি, " আরে ওদের পায়ে দড়ি দিয়ে রেখেছিলো নাকি কেউ? ওরা গেল না কেন? আর সর্বনাশ আবার কী? এই না বললি নম্বর নিয়ে লাফালাফি সবই একেবারে অর্থহীন! "
"তা ঠিক, তবে কিনা ব্যবস্থা তো বদলায় না অত তাড়াতাড়ি, তার মধ্য দিয়েই লড়ে বেরুতে হয় মানুষকে। যে জায়গার যে রীতি।"
আমি হেসে ফেলি, "পথে এসো সখী, এবারে পথে এসো। নোবেল সায়েবের দোরের সামনে দিয়ে দুবেলা যাতায়াত করতে করতে তোমার এখন সেইসময়ের ব্যবস্থা বোকামো মনে হতে পারে, তবে তখন সেটা ছিলো জীবনমরণ। হ্যাঁ রে অন্বেষা, তোকে মাধ্যমিকের পরে নানা জায়গা থেকে সম্বর্ধনা দিতো, কেমন লাগতো রে তোর? "
" আর বলিস না, সে যে কী সর্বনাশ! একেক জায়গায় সভাপতি প্রধান অতিথিদের কী বক্তৃতা, কী বক্তৃতা! কী মারাত্মক বক্তৃতা যে লোকে দিতে পারে!"
" আরে জুনিয়ার স্কুল থেকে যেটা দিয়েছিলো, সেটাতে তো ক্লাসের সবাই গেলাম। বাইরে মঞ্চ বেঁধে তো হয়েছিলো। তোর মনে আছে সভাপতি বক্তৃতা দিচ্ছেন আর বয়েজ স্কুলের এক স্যর যিনি আবার অঞ্চলপ্রধানও, তিনি সামনের সারিতে বসে দুহাতে কান ঢেকে ঘুমাচ্ছেন?"
হি হি করে হেসে উঠি দু'জনেই, আবার যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি, স্মৃতি সত্যিই এক আশ্চর্য জগত।
(চলবে কী !!! )
মন্তব্য
চলতেই হবে। দারুণ লাগল। বিশেষ করে এই লাইনটা:
অল্প বয়সেই (ক্লাস নাইন) সায়েন্স/আর্টসের এই বিভাজন আমার মতে খুব একটা ফলপ্রসু নয়।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আরে কন কী? সোভিয়েতকালে রাশিয়াতে শুনেছি বাচ্চাদের একেবারে সিক্স সেভেন থেকেই গ্রুপে গ্রুপে আলাদা করে ফেলে ইনটেনসিভ ট্রেনিং দেওয়া হতো। যারা গণিতের গ্রুপ তারা রাতদিনই অঙ্ক করবে যারা ফিজিক্সের তারা ফিজিক্স করবে-এইরকম সব। জানি না বাপু বাইরের লোকেদের প্রচার নাকি সত্যি এরকম হতো।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
যথারীতি দারুণ। চালিয়ে যান
ব্র্যাকেটবদ্ধ শব্দগুলো নিয়ে আর কিছু বলছি না
ধন্যবাদ।
আপনার প্রথম লেখাটা আপনার পাতায় পাই না কেন?
ওটা উদ্ধার করে আপনার পাতায় আনুন, সেখানে একটা কথা কওয়ার আছে।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তুলিদি... বিষাদে ডুবে যাচ্ছি!
সেদিন ১৫ বছর পর হদিস পাওয়া এক ইস্কুলবেলার সহপাঠির সাথে যোগাযোগ হলো, হঠাৎ। এক দম দদলায় নি সে, মাইলে করে ভাইরাস পাঠিয়ে দিল... বলে কিনা ভাল করে মনে রাখার জন্য!
--- থাবা বাবা!
আহা থাবা থাবা, এত বিষাদ কেন?
আপনার বন্ধুটা তো বেশ!
আশা করছি আপনি ভাইরাস টাইরাস পাঠান না। নাকি পাঠান?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
না চললে কথা বন্ !!
কথা য্যান এমনেই কত কন!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনার ইস্কুলবেলার বন্ধুকে ভীষণ ভাল লাগলো।
কী আর বলবো! ইস্কুলবেলার গল্প চালিয়ে যান। আগেরগুলো পড়া হয়নি যদিও। পড়ে নেবো।
ধন্যবাদ।
ওগুলো পড়ে বলবেন কিন্তু কেমন লাগছে।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
টেঁপি! নামটা কোথায় যেন শুনেছি...কোনো সিনেমায় নাকি কোনো উপন্যাসে পড়েছি মনে করতে পারছিনা।
স্কুলবেলার গপ্প যথারীতি
টেপি খেঁদি পেঁচি এসব আমাদের ডাকনাম হতো। নামগুলো কখনো এমনি, আবার কখনো চেহারা অনুযায়ী। আর জানেন তো সমাজের চোখে মেয়েরা ফ্যালনা ও লুজার, তাই এসব বাজেবাজে নাম। আন্না, থাকোমণি এসব নাম শোনেন নি?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
খুবই ভাল হইছে..................
ধন্যবাদ অতিথি।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
খুবই ভাল হইছে।।।।।।
ইশ কী সুন্দর! আমারও কতো শখ ছিলো বিজ্ঞানী হবার!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এখনো সময় আছে তো আপনার। লেগে পড়ুন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
টেপি নামটা পছন্দ হইছে বেশ...বাড়ির নাম-স্কুলের নাম বিভ্রাটে আমি থাকতাম মহা ফ্যাসাদে, স্কুলের পোলাপাইন বাসায় এসে ডাকে 'বাহার' নামে, এদিকে আবার এটা আমার বাপের ডাক নাম, কী বিপদ! অন্যদিকে আবার জায়েদ নামের এক বন্ধুর ডাক-নাম 'মুক্তা', কত আফসোস করছি, আহা, স্কুলে এই মেয়েলী নাম ডিস্কভারিত হলে ধুন্ধুমার হয়ে যেত না!
আপনার মতো লিখতে তো পারি না, তাই মন্তব্যে মুফতে একটু বকবক করলাম।
ইস্কুলবেলা পর্বের জন্যে মনেমনে ওয়েটিংয়ে থাকি, এবারেও যথারীতি ঝাক্কাস!
খুব বাঁচা বেঁচে গেছে আপনার বন্ধু 'মুক্তা'।
আপনিও শুরু করুন না লিখতে সেইসব দিনের কথা।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনিও ফার্স্ট হওয়া লোকেদের গল্প নিয়ে পোস্ট দিয়ে চলেছেন? তাহলে আর আমরা এখানে কী করে আসি?
অজপাড়াগাঁয়ের ইস্কুলের আবার কী বা ফার্স্ট কী বা লাস্ট।
আপনারা বাপু বড় টৌনের মিশন স্কুলের ছেলেপেলে, আমাদের শুভাশ্রী কইতো মিশনের ছেলেরা নাকি সব ব্রাইটেস্ট অ্যান্ড ব্রেভেস্ট বয়েজ অব এশিয়া।
তবু বাপু ঘুটেকুড়ুনীদেরও তো কথা কইতে সাধ যায়, তাদেরো তো গপ্পোথেরিয়ামরা থাকে, তাদের খেঁদি টেঁপী পেঁচিরাও কোনোদিন হয়তো আকাশের লোহিতবর্ণ মঙ্গল গ্রহ চিনে সেদিকে তাকিয়ে স্বপ্নমেদুর হয়ে ভুলে যায় পারিপার্শ্বিক। সেই আরকি।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আমোলোযা, কোথাকার মিশন স্কুল? পাতি সরকারি স্কুল, ম্যাডাম...
আপনার আমোলোযা শুনে মজা লাগলো।
নারায়ণ গাঙ্গুলীর একটা উপন্যাস ছিলো, নাম মনে নেই, তাতে এক খুব পশ বড়লোক মেয়ে (ঐ যে যারা নিজেদের টেনিস কোর্টে খেলে, নিজেদের সুইমিং পুলে সাঁতরায়, বাড়ীতে বাবুর্চি ড্রাইভার মালী থাকে এরকম )তার বান্ধবীকে বলছিলো তার দাদা নাকি ব্রাইটেস্ট বয় অব এশিয়া।
তো সেই দাদা তো বিলেত গেল, তখন লোকে বললো এশিয়ার ব্রাইটেস্ট বয় এবারে ইউরোপকে আলো দিতে গেছে। হি হি হি।
আপনার মনে আছে এরকম কোনো উপন্যাস? আমার ছায়া ছায়া মনে পড়ে, ভালো করে মনে পড়ে না। বয়স হলো কিনা। এদিকে অনলাইনেও নারাণবাবুর লেখা পাই না বিশেষ, কত ভালো ভালো উপন্যাস আর গল্প ছিলো যে!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সব বদলে গেছে। কী করে কী করবো ভাবছি। মাউস দিয়ে বেছে নেবার সুবিধে না থাকলে জোড়া কথা লিখবো কী করে ভাবছি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন