উফ সেদিন মণিরত্নম এমন এক রিকোয়েস্ট করলেন, না পারি ফেলতে না পারি গিলতে। ছুটির দিন, কোথায় বেড়াবো খাবোদাবো গান শুনবো নাচবো, তা না মুখ তুম্বো করে টাইপাও। কুমতি বলে- "কিছু করতে হবে না। আয় নাচি।" সুমতি বলে- "ছি ছি, একজনে একটা অনুরোধ করেছে। রাখবি না? " মনের ভিতর একটা কেমন খোঁচা লাগে। আগেই বলে রাখি আমি এ ফিল্ডের লোক না, সামান্য সামান্য জানি, তাছাড়া আমার ভাষাও ভাসা ভাসা । কিছুই নতুন জানতে পারবেন না এখান থেকে, এসব সবই বহু আগে থেকেই লোকে জানে। তবু পড়লে নিজ দায়িত্বে পড়ুন।
এ জগতে আছে দুই জাতের কণা। একজাতের কণা মেনে চলে বোস-আইনস্টাইন সংখ্যায়ণ আর আরেক জাতের কণা মানে ফার্মি-ডিরাক সংখ্যায়ণ। প্রথম দলের কণাদের বলে বোসন আর দ্বিতীয়দলের কণাদের বলে ফার্মিয়ন।
বোসনেরা খুব মিলমিশ ওয়ালা কণা, তারা একই কোয়ান্টাম স্তরে থাকতে পারে অনেকে মিলে। ফার্মিয়নেরা তা পারে না, এরা একেকটা কোয়ান্টাম স্তরে একটা করেই থাকতে পারে, তার বেশী না। ফার্মিয়নেরা প্রাইভেসির ব্যাপারে আপোস করে না।
বোসনের উদাহরণ? ফোটন, গ্লুয়ন, ডাবলু এইসব। যত বলবাহী কণিকারা সব বোসন। টেকনিকাল ভাষায় বলে গেজ বোসন।
আর ফার্মিয়নের উদাহরণ? ইলেকট্রন, মিউয়ন, টাউ, সবরকম নিউট্রিনো, সব রকম কোয়ার্ক-এককথায় বলতে গেলে বস্তু তৈরী হয় যেসব কণা দিয়ে, সবই ফার্মিয়ন।
এদের মধ্যে আরো একখানা মূলগত পার্থক্য আছে। বোসনেরা সব ইন্টিজার স্পিন ওয়ালা কণা, মানে এদের স্পিন হলো ০, ১ বা ২ বা এরকম কোনো পূর্ণসংখ্যা। ফার্মিয়নদের স্পিন কিন্তু আলাদারকম, এদেরগুলো হয় অড হাফ ইন্টিজার, মানে ১/২, ৩/২ বা ৫/২ ইত্যাদি। আবার দু'খানা ফার্মিয়ন অনেকসময় পেয়ার-আপ করে বোসন হয়ে যায়। এদের অড হাফ ইনটিজার স্পিন একে অপরকে ক্যানসেল করে নেট স্পিন ০ হয়ে যায় বা পূর্ণসংখ্যা হয়ে যায়।
এই দু'জাতের কণার ওয়েভফাংশন ও আলাদা। বোসনদের ওয়েভফাংশন সিমেট্রিক আর ফার্মিয়নদের ওয়েভফাংশন অ্যান্টিসিমেট্রিক। কিন্তু তার মানেটা কী?
ধরা যাক দু'খানি বোসন দিয়ে একটি সিস্টেম তৈরী। বোসন ক আর খ। ক আর খ নিজের নিজের বিন্দুতে অবস্থান করছে, আমরা তাদের দুজনকে নিয়ে তৈরী এই সিস্টেমের ওয়েভফাংশন লিখলাম। এবারে ক আর খ এর জায়গা বদল করে দিলাম, ক য়ের জায়গায় খ এলো আর খ য়ের জায়গায় ক। এবারে আবার লিখলাম সিস্টেমের ওয়েভফাংশন। দেখা যাবে এবারের ওয়েভফাংশনটি আগেরবারের মতো, অবিকল এক। গুণগতভাবে এই হোলো সিমেট্রিক ওয়েভফাংশন বলার কারণ।
দু'খানা ফার্মিয়ন দিয়ে তৈরী সিস্টেমের ক্ষেত্রে কী হবে? তখন অবস্থাটা একটু অন্যরকম হবে। বদলাবদলির পরে ওয়েভফাংশনটি ও বদলে যাবে, পরের ওয়েভফাংশন আগেরটার নেগেটিভ হবে। মোটামুটিভাবে এই ব্যাপারটাকেই বলে অ্যান্টিসিমেট্রিক ওয়েভফাংশন।
এখন ব্যাপারটা হোলো যে আমাদের চারিপাশে যা যা আছে সবই আছে বেশ উঁচু তাপমাত্রায়। সবই গরম। এরই বা মানেটা কী? উত্তরমেরু দক্ষিণমেরুর পাহাড়-পাহাড় বরফে সব ঢাকা হাড়কাঁপানো শীত, গভীর মহাকাশ-সবই গরম? মামদোবাজি না মামারবাড়ী?
আসলে তাপমাত্রার অ্যাবসোলিউট স্কেলে দেখলে সবই গরম বৈকি। তাপমাত্রার অ্যাবসোলিউট স্কেলকে বলে কেলভিন স্কেল। এই কেলভিনে হিসেব করলে আমাদের ঘরের তাপমাত্রা গড়ে ৩০০ ডিগ্রী, তরল হিলিয়াম ৪ ডিগ্রী আর গভীর মহাকাশের কসমিক ব্যাকগ্রাউন্ড মাইক্রোওয়েভ বিকিরণ হলো ২.৭৫ ডিগ্রী। কেলভিন স্কেলে শূন্য ডিগ্রীতে পৌঁছানো যায় না, তাহলে কোয়ান্টাম লেভেলে পর্যন্ত সমস্ত নড়াচড়া থেমে যেতে হবে।
এই যে তাপমাত্রা, বস্তুর একটা ম্যাক্রোস্কোপিক প্রপার্টি হিসাবে আমরা মাপতে পারি এর আসল মানেটা কী? কিসের জন্য কোনো বস্তু উষ্ণ হয়?
মাইক্রোস্কোপিক লেভেলে বস্তু তো অসংখ্য অণু বা পরমাণু দিয়ে তৈরী। এইসব পরমাণুরা চুপচাপ থাকে না, থাকতে পারে না। এরা ক্রমাগত ছুটতে থাকে, ডাইনে বায়ে সামনে পিছে উপরে নিচে। এলোমেলো গতি। কে কোন দিকে ছুটবে কোনো ঠিক নেই। এদের সবার ভরবেগ থাকে, তাই থাকে গতীয় শক্তি। এই শক্তিরই বহি:প্রকাশ হলো তাপমাত্রা বা উষ্ণতা।
তো গ্যাস বা তরলের ক্ষেত্রে না হয় মেনে নেওয়া গেল অণু-পরমাণুরা ছোটে, কিন্তু কঠিনের ক্ষেত্রে? মানে যেগুলো কিনা ক্রিস্টালাইন সলিড? যাদের পরমাণুরা একেবারে নির্দিষ্ট ল্যাটিস সাইটে থাকে? এদেরও পরমাণুরা কম্পিত হয়, সরল দোলগতির নিয়মে। তাছাড়া কোয়ান্টাম অনিশ্চয়তা ও এড়াবার উপায় নেই। অবস্থান আর ভরবেগে খানিকটা অনিশ্চয়তা থাকতেই হবে, দুই অনিশ্চয়তার গুণফল একটা নির্দিষ্ট মানের কম কিছুতেই হতে পারে না। এই মানটি হলো প্লাঙ্ক ধ্রুবককে ২ পাই দিয়ে ভাগ দিলে যা হয় তাই। তাই একটা অনিশ্চয়তা কমে গেলে আরেকটা বেড়ে যায়, গুণফল সমান রাখতে হবে তো!
আগেই বলেছি বোসনেরা খুব মিলমিশ ওয়ালা কণা, তারা একই কোয়ান্টাম স্তরে থাকতে পারে অনেকে মিলে। থাকতে পারে, কিন্তু এমনিতে থাকে না। কেনই বা থাকবে? উচ্চ তাপমাত্রায় এরা দৌড়াদৌড়ি করে বেড়ায়, নানা কোয়ান্টাম লেভেলে ঘোরাঘুরি করে। উড়তে পারলে কেউ কি মাটিতে নামে? বা নামলেও বেশীক্ষণ থাকে? কিন্তু কী হবে যদি তাপমাত্রা খুব খুব কমিয়ে আনা হয়? একেবারে মাইক্রো কি ন্যানো-কেলভিনে এনে ফেলা হয়?
সেই ৮০-৯০ বছর আগেই সত্যেন বসু আর আলবার্ট আইনস্টাইন অঙ্ক কষে দেখিয়ে গেছেন তখন সব বোসন নেমে পড়বে সবচেয়ে নিচের কোয়ান্টাম স্তরে, যাকে বলা হয় গ্রাউন্ড স্টেট। এই যে সিস্টেমের সব বোসন একই স্টেটে এসে বসেছে একেই বলে বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট বা বোস-আইনস্টাইন ঘনীভবন।
ওনারা ১৯২৪-২৫ সালে তাত্ত্বিকভাবে এর কথা বলে যান, কিন্তু তখন না ছিলো লেজার, না ছিলো ট্র্যাপিং এর কায়দা। ঢাল নাই তরোয়াল নাই নিধিরাম সর্দার কেস। তাই তখন ব্যাপারটা এক্সপেরিমেন্টালি দেখানো সম্ভব হয় নি কারুর পক্ষেই। সেইটা সম্ভব হলো ১৯৯৫ সালে, লেজার কুলিং আর ম্যাগনেটো অপটিক ট্র্যাপিং এর কায়দায়। যাঁরা করলেন, সেই এরিক কর্নেল, কার্ল ভীমান আর উলফগ্যং কীটার্লে নোবেল পেলেন। তার আগে লেজার কুলিং টেকনোলজি যারা দিয়েছিলেন তারাও নোবেল পেয়েছেন।
বলতে কি এই পরীক্ষানিরীক্ষা একটা নতুন অনুসন্ধানক্ষেত্র খুলে দিয়েছে, নানা নতুন নতুন ল্যাবে প্রচুর নতুন নতুন ছাত্রছাত্রী এই ফিল্ডে কাজ করছেন, এক্সপেরিমেন্টে নানা অভাবনীয় ব্যাপারস্যাপার দেখা যাচ্ছে। একবার তো দুম করে ফেটেফুটে গিয়ে কীসব হয়েছে। নাম দিয়েছে বোসানোভা। নাকি কোনো জানা তত্ত্ব দিয়ে কোনো ব্যাখা পাওয়া যাচ্ছে না। সেসব নিয়ে বলতে গেলে মহাভারত, সে বিরাট কান্ড।
পরের অধিবেশনে সেসব খানিকটা হবে না হয়। এখন চলুন চা আর ঝালমুড়ি খাওয়া যাক।
ছবি: আন্তর্জাল
মন্তব্য
(এই মুহূর্তে আমার সেলাই খুলে যাওয়া জামাখান মেরামত করছি। করে পোস্টটা পড়ব। তার মধ্যে আপনার জন্য ইস্পেশাল, উটের দুধ দিয়ে চা বরাদ্দ রইল।)
আহা, ভাবুন তো রাবণের জামার ক্ষেত্রে বোতাম ছিঁড়লে বা সেলাই খুললে কত কষ্ট ছিলো তার। কুড়িখানা হাতা! দশখানা গলা! উফ। মেজাজ ভালো থাকলে মন্দোদরী সেলাই করে দিতো হয়তো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আহা, একসাথে কী আর দশখানা গলারই সেলাই খুলে যেত নাকি?
তাছাড়া সেসময় পোশাকআশাক ছিল সহজ, নিম্নাঙ্গে একখানা ধুতি, আর গায়ে একখানা সিল্কের উত্তরীয়...
মণিরত্নম, আমাদের তীর্থদা লিখতেন রাবণ সম্পর্কে,
" শার্টে বিশটা হাতা ছিলো / মস্তোবড় ছাতা ছিলো/ জামার বোতাম ছিঁড়লে পরে/ মন্দোদরী ত্রাতা ছিলো।
আপনাকে বলেছিলাম একবার যদি ওনাদের কোনো খবর পান, দিতে। হয়তো দেখেন নি। উনি আপনাদের ইস্কুলেই। মেসেজে দিলেই খবর পাবো। নয়তো dhammilla অ্যাট ইয়াহু ডট কমে মেইল দিলে পাবো।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
" শার্টে বিশটা হাতা ছিলো / মস্তোবড় ছাতা ছিলো/ জামার বোতাম ছিঁড়লে পরে/ মন্দোদরী ত্রাতা ছিলো।
এইটা সবচেয়ে ভাল হয়েছে :)
পুরা একটা সিরিজ ছিলো রাবণ লইয়া।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এমন সহজ করে লিখেছেন যে মোটামুটি সব বুঝতে পারছি। এবং আরো খিদে বেড়ে যাচ্ছে। আপনার এই বোসনের সিরিজ কয়েক পর্ব চলবে আশা রাখি, এবং আপনার স্বভাবগত দ্রুতচ্ছন্দে।
এই বিইসি গবেষণা যখন নোবেল পেল, তখন আমরা সদ্য উচ্চমাধ্যমিকের পড়া শুরু করেছি, আইআইটি'র জন্য খোঁজখবর নিচ্ছি; সেসময় পত্রিকাগুলোর জন্য এটা খুব পপুলার নিউজ ছিল, দেশোয়ালি বিজ্ঞানী বলে কথা, বিইসি'র ওই ছবিটা সব ম্যাগাজিনের কভার অলংকৃত করত। তখন ফিজিক্স-টিজিক্স পড়তে হত বলে কিছু বোঝার চেষ্টাও করেছিলাম, লোকজন দেখে বেশ ইয়ে হত, কিন্তু আসলে কিছুই মাথায় ঢোকেনি। সেই বেরিয়ার আপনার লেখাই প্রথম অতিক্রম করল।
কলেজে যখন পড়ি, তখন একটা ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে একটা শিক্ষামূলক ভ্রমণ আয়োজন করল, চেন্নাইতে। আমরা, ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্ররা, হবু ডাক্তাররা, অনেক ছেলেপিলে ছিল। অতএব এদিক-ওদিক নানা জায়গার সাথে কলাপক্কম পারমাণবিক কেন্দ্রেও নিয়ে গেছিল। সেই প্রথম আমাদের লিকুইড নাইট্রোজেনের ট্যাঙ্কি, টাটকা গাব্দাগোব্দা লেজাররশ্মি, ইত্যাদি দেখা; অনেক কিছু দেখে বেশ ব্যোম মেরে ছিলাম কয়েকদিন। আর এমনই ভাল কপাল, সেখান থেকে আ্মরা কলকাতার ফেরার ৩-৪ দিনের মধ্যেই হল সেই বিখ্যাত সুনামি, যাতে নাকি ওই কেন্দ্রের দুয়েকজন বিজ্ঞানীও তলিয়ে গেছিলেন।
আরে আর কইয়েন না ভায়া। আমরা একবার শিক্ষামূলক ভ্রমণে গেলাম কাভালুরে, কেন জানি না দীর্ঘ যাত্রায় বেশ কিছু লোক সেবারে পেটের অসুখে পড়লো। ওদের লিকুইড নাইট্রোজেন প্ল্যান্টে নিয়ে তো দেখাচ্ছেন ডিরেকটর ভদ্রলোক ( ইনি ছিলেন আবার আন্টার্কটিকা ফেরত ), আর আমাদের কৌশিকদা চাপা গলায় নিবেদিতাকে বোঝাচ্ছে, এক গেলাস যদি ঢক ঢক করে খেয়ে নিতে পারো, আর দেখতে হবে না, পেটের অসুখ আর জীবনে হবে না।
লেজার প্রথম দেখেছিলাম কলকাতাতেই। উ মা য়ের পরে একটা সুযোগ এসেছিলো যাদবপুরের গবেষণাগার গুলো দেখার। সেখানে গ্লাস সেরামিক সেন্টারে দেখেছিলাম রেড লেজার। আর সাহা ইনস্টিটুটে গ্রীন লেজার। আমাদের মহুয়া আবার লেজারের গবেষিকা দিদিমণিকে কইলো "একেবারে এক্সট্রীমে দেবেন দিদি। " উনি শুনে কন, উফ, এরা তো একেবারে আস্ত আস্ত এক্সট্রীমিস্ট! ":-)
আমারো মনে আছে প্রথম কনডেনসেট সাহেবেরা যখন করলেন, তখন আবাপ তো কাছাখোলা হয়ে নাচ। সত্যেন বোসের জন্য
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
খুবই ইন্টারেস্টিং!
আপনার ফিজিক্স বিষয় থেকে একটু বেরিয়ে এসে একটা ইঞ্জিনিয়ারিং প্যারাডক্স দেই।
এই যে সলিড বস্তুর পরমাণুগুলো ল্যাটিসে থাকে এবং সলিড বস্তুটাকে ভাঙ্গতে হলে এই পরমাণুর বন্ধন ভাঙ্গতে হয়। এই বন্ধন ভঙ্গ করতে কিন্তু অনেক অনেক বেশী শক্তি প্রয়োজন। অথচ দেখা যায় পারমানবিক বন্ধন ভঙ্গ করার চেয়ে অনেক কম শক্তি প্রয়োগেই অনেক বস্তু ভেঙ্গে যায়। এটা ক্যানো হয়?
কোনো কঠিন বস্তু (যৌগিক) ভাঙ্গতে চাইলে তার পারমানবিক বন্ধন ভাঙ্গার দরকার আছে কি? আনবিক বন্ধন ভাঙ্গাই তো যথেষ্ট| সেক্ষেত্রে ভাঙ্গার শক্তি টা অনেক কম হলেও চলে, তাই না?
ঠিক ধরেছেন। তবে এই আনবিক বন্ধনের শক্তিটাও অনেক বেশী। প্লাস্টিক ডিফরমেশনের মূল কারণ হোলো ডিসলোকেশন: http://en.wikipedia.org/wiki/Dislocation
হ, আর কইয়েন না। এই তো সেদিন পাপড়ির হাত থিকা ডিম দুইটা ঠল্লরাইয়া পইড়া ভাইঙ্গা গেল গা! তারপর কাপডিশ ভাঙে। সেদিন শুটিং এর সময় লীলেনের চশমা কুড়মুড় কইরা ভাইঙ্গা গেল গা খেকশিয়ালে বইসা পড়ছিলো তার উপরে, তাই।
এইরকম সব ব্যাপার। অনিচ্ছাকৃতভাবেই ভেঙে যায়, যা কিনা ভাঙার কথাই না।
তো আমাদের পুরানো ইস্কুলে এক সলিড স্টেটের লোক ছিলেন তিনি কেবল সিমুলেট করতেন রাতদিন।
তো তিনি কইতেন এগুলি হয় কারণ সিসটেম সর্বদাই ওভারঅল এনার্জী মিনিমাইজ করার চেষ্টায় থাকে, আর এনট্রপি ম্যাক্সিমাইজ। তাই টুকরা টুকরা হয়ে গিয়ে এনার্জী মিনিমাইজ করে ফেলে, সেটাই বেশী স্টেবল কনফিগারেশন। তবে কিনা এ হোলো ম্যাক্রোস্কোপিক উত্তর।
মাইক্রোসকোপিক লেভেলে আরো নানান ডিটেল আসা উচিত।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভাঙ্গা বলতে বোধহয় প্লাস্টিক রিজিয়নের কথা বোঝাতে চাচ্ছেন। এটা হয় ডিস্লোকেশনের জন্য। আল্টিমেট ফেইলিউরের অনেক কারন আছে, যেখানে ডিস্লোকেশন থেকে ক্রাক উৎপত্তি একটা কারণ।
সলিডের ডিস্লোকেশন উৎপত্তি কিন্তু পরমানুর কম্পনের উপর নির্ভর করে। তাই তুলিরেখা আপু/ ভাইয়া এক অর্থে ঠিক।
ঠিক। তুলিরেখা বেঠিক সেটা বলিনি কোথাও। আমি কেবলে আরেকটা অ্যসপেক্ট আলোচনা করছিলাম।
ধন্যবাদ ছাড়া আর কিছু বলার মত খুঁজে পাচ্ছি না।
কন কী? কিছু বলার ভাষা পাচ্ছেন না?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বিজ্ঞান বুঝিনা, আপনার গল্পগুলোই বরঞ্চ কাছে টানে।
...........................
Every Picture Tells a Story
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এও তো গল্পের মতনই।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বোসানোভা সম্পর্কে জানতে মন চায়। ন্যানোষ্ট্রাকচারের ভেতরে কোয়ান্টাম ওয়েল কাজ করে কিভাবে?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আমারও বোসানোভা নিয়ে বেশ আগ্রহ। তবে আমি এই ফিল্ডের লোক না, সে কোন ফিল্ডেরই বা লোক!
এ ডাল সে ডাল লাফিয়ে গোটাকত আপেল কামড়ে নেমে পড়লাম।
দেখা যাক যদি পরে একটা পোস্ট কেউ দেন বা আমিই দিই।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৫ এ দেয়া কার্ল ভীম্যানের প্রেজেন্টেশন
আরে বা:। অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কোপান্তিস! ঘনীভবনের জল ছুঁইয়ে ওড়াউড়ি করছি বহুদিন, তলায় কি আছে কে জানে? এই সিরিজ চিরজীবি হোক!
ঠিক বলেছেন ভাই। আসলে আমাদের সমস্ত বিজ্ঞান ব্যাপারটাই তাই, বাইরে থেকে বুঝে ওঠার চেষ্টা কী চলছে ভিতরে। ভিতরে তো যাবার উপায় নাই, তাই আমাদের মনকে, গণিতকে চর পাঠিয়ে বোঝার চেষ্টা।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আমার লোভী মন! বিজ্ঞানের গন্ধ পেলেই একটু চেটে দেখতে মন চায়। কিন্তু পদার্থ গিলতে পারিনা। চিবোতে না পারলেও অবশ্য আপনার রান্নার গুনে বেশ স্বাদু মনে হল জিনিসটা। ঝালমুড়ি আর চা'ও দারুণ!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
"কার্ল ওয়াইম্যান" কে কেন "কার্ল ভীম্যান" লেখা হচ্ছে, আমি বুঝতে পারছিনা। Carl Wieman কে ইংরেজিতে ভীম্যান বলা হয় না। তেমনি 'স্টিভেন ওয়াইনবার্গ' কে অনেকে দেখি 'ভীনবার্গ' লিখে। যে ভাষায় যাকে যেভাবে ডাকা হয়, বাংলাতে সেভাবেই লেখা উচিত।
সেতো সাহেবেরা ইরাকরে কয় আইরাক, ইরানরে কয় আইরান।
সেইরকম কইতে কন নাকি ?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনি যে উদাহরন দিলেন, সেটা যুক্তিহীন। থার্ড একটা ভাষায় যে নাম, সেটা ইংরেজি থেকে অনুদিত করে কেন আমরা লিখব - ঐ দেশগুলোর নাম ওদেশের ভাষা থেকে নিয়ে অনেক আগেই বাংলাতে দেয়া হয়েছে। Carl Wieman আমেরিকান, তার নামও আমেরিকান, তিনি নিজে নিজের নামকে 'কার্ল ওয়াইম্যান' বলেন, সবাই তাকে সে নামেই চেনে - 'কার্ল ভীম্যান' নয়। বাংলাতে সে নামেই লেখা কারেক্ট। এটা জার্মান নয় যে 'W' 'ভি' হয়ে যাবে।
হুম। আমোগো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তো নিজেরে কইতেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সাহেবেরা কইরা দিলো টেগোর। আমরাও তাই কইতে শুরু করলাম।
আর আমেরিকান বলে যাদের আজ বলি তারা প্রায় সবাই ইমিগ্রান্ট। বাপমা এসেছিলো বা ঠাকুদ্দা কি দাদামশায়েরা এসেছিলো। কোথা থেকে? ইউরোপের নানা দেশ থেকে, আফ্রিকার নানা জায়গা থেকে, চিন জাপানের নানা জায়গা থেকে। এরা সকলেই নিজেদের নামপত্র কালচার নিয়ে এসেছে। তাই নয়?
ইংরেজীর চাপে এখন সবাই মোল্ডেড। দেখুন এই বোসের কথাই। সাহেবেরা কয় বোs. নরম স। কলকাতায় সত্যেন বোসেরে sত্যেন বোs কইলে গ্যাংস্টারের দলে ফেলাইয়া দিবো যে কইতাছে তারে।
আমার মত হলো বাংলায় নিজেদের সুবিধামতন লিখবো, নিজেদের মধ্যে বোঝা গেলেই কাফি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
Prince William কে 'প্রিন্স ভীলিয়াম' কেন লিখেন না। কারন উইলিয়ামই তার নাম। তেমনি Wieman এর নাম 'ওয়াইম্যান' - ভীম্যান নয়। বিজ্ঞান নিয়ে এত লেখালেখির পরও কেন একটা তথ্য নিয়ে অযথা আর্গু করে যাচ্ছেন। একটা তথ্য আমি জানালাম, যেটা আপনার জানা ছিলনা। আপনার সব কথাই ঠিক আছে - কিন্তু সেগুলো ভিন্ন স্টোরি। এখানে যা বলেছি তার সাথে যায় না।
আপনার তক্কো দেখে হাসি পাচ্ছে।
মোক্ষমূলর শেক্ষপীর শুনেছেন?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বেশ মুচমুচে, টকঝালনোনতা লাগলো। আরো ঝেড়ে যান দিদিভাই, মন্দিল সাফ রেখে। ইয়াদ রাখবেন, "মুঝে রং দে বাসন্তী চোলা"।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
আরে মহাস্থবির, খুব ভালো লাগলো কমেন্ট দিলেন। আমি আপনের কথাটাকে প্রথমে পড়লাম, "মুঝে রঙ দে বাসন্তীর পোলা।"
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আরি দারুণ তো! আপনার ইস্কুলবেলা আর মায়ামায়া কবিতাটাইপ গদ্য পড়েছি এতদিন। এই দুর্দান্ত জিনিস মনের মুকুরে তে না আসলে তো জানতামই না। বিজ্ঞান নিয়ে আরো লিখুন প্লিজ। অভিদা তো আর ফিরবেন না। এই কাজটা করেই সম্ভবত অভিদা'কে সবচেয়ে কার্যকর উপায়ে শ্রদ্ধা জানানো যেতে পারে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন