এটা সুরিনামের উপকথা। একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এ কাহিনি আমাদের দেশেও শোনা যায়। ইউরোপের নানা দেশেও একইরকম কাহিনি শোনা যায়।
এক রাজা এক রাণী। তাদের ছিলো বারোটি ছেলে। রাণীর আবার সন্তান হবে, রাজা এদিকে যাবে যুদ্ধে। এক গুণীন রাজাকে বললো, "রাজা, এই ছেলেদের মধ্যে একজন বড় হয়ে তোমাকে হত্যা করবে।" রাজা আতঙ্কিত হয়ে বললো, " কোন ছেলে?"
গুণীন বললো, " বারোজন ছেলের মধ্যে যে কেউ হতে পারে। আলাদা করে কে সেটা বলা সম্ভব না।"
রাজা জানতে চায়," প্রতিকারের উপায় আছে কোনো? "
গুণীন বললো, "আছে। তবে কঠিন। এবারে তোমার রাণীর যদি মেয়ে হয়, তাহলে সবকয়টা ছেলেকে মেরে ফেলতে হবে। যদি রাণীর ছেলে হয়, তাহলে শাপ কেটে যাবে, তোমার ছেলেরা কেউ ভবিষ্যতে বিদ্রোহ করবে না, এদের হাতে তোমার মৃত্যুযোগ কেটে যাবে।"
রাণী আড়াল থেকে সব শুনেছে। শুনে মনে মনে শিউরে উঠলেও বাইরে কিছু প্রকাশ করলো না। রাজা চলে গেল যুদ্ধে। আর রাণী ছেলেদের বললো, "তোরা পালিয়ে যা। তোদের যদি ভাই হয় তাহলে সাদা পতাকা তুলে দেবো, তোরা ফিরে আসিস। আর তোদের যদি বোন হয় তাহলে লাল পতাকা তুলে দেবো, তোরা ফিরিস না। অজানা জায়গায় পালিয়ে যাস।"
দিন যায়, বারোজন ভাই পালিয়ে গেছে সেও হয়ে গেল কয়েক মাস। তারা রোজ এসে দূরের এক টিলা থেকে দেখে কোনো পতাকা ওড়ে কিনা যেমন তাদের মা বলেছিলো। একদিন তারা দেখলো লাল পতাকা উড়ছে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে তারা রাজ্য ছেড়ে বলে চলে গেলো।
এদিকে রাজপ্রাসাদে ছোট্টো রাজকন্যা দিনে দিনে বাড়ে। হাঁটতে শেখে, কথা বলতে শেখে। রাজা ফিরে এসেছে যুদ্ধ থেকে, শুনেছে ছেলেরা নিরুদ্দেশ। সে ভেবেছে আপদ গেছে। মেয়েকে মানুষ করে খুব ভালো দেখে রাজপুত্তুর খুঁজে এনে মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে অর্ধেক রাজত্ব দিয়ে দিলেই হবে। মুন্ডুটা তো বেঁচে গেল। ছেলেরা থাকলে মুন্ডু দিয়ে গেন্ডুয়া খেলতো।
কত বছর পার হয়ে যায়। রাজা আবার যুদ্ধে গেছে। রাজকুমারী এখন কিশোরী। তার খুব কৌতূহল। সে দেখে তার মায়ের ঘরের পাশে একটা ছোটো ঘর, সে ঘরে ছোটো ছোটো বারোটা বাক্সো। মা মাঝে মাঝে সে ঘরে গিয়ে বাক্সো খুলে খুলে কীজানি দ্যাখে, এই নিয়ে জানতে চাইলে মুখে কুলুপ এঁটে থাকে। এর কী রহস্য?
একদিন সে মাকে চেপে ধরলো, মা কিছুতে বলবে না তো বলবেই না। তখন রাজকুমারী একটা ধারালো ছুরি এনে নিজের বুকের উপরে ধরে বললো, "তুমি যদি না বলো আমি এই ছুরি নিজের হৃদপিন্ডে ঢুকিয়ে দেবো।" মা তখন তাকে সব খুলে বললো।
রাজকুমারী পরদিন ভোররাতে রওনা হলো বনের দিকে, মা গোপণে খোঁজ রাখতো কোথায় আছে ছেলেরা। বোন যখন ভাইদের কুটিরে এসে পৌঁছালো, তখন কেবল একজন ভাই আছে পাহারায়, বাকীরা সবাই গেছে শিকারে। বোনের সব কথা শুনে ভাই বললো, "লুকাও লুকাও তুমি, অন্য ভাইরা তোমাকে দেখামাত্র খুন করবে। তুমিই তো আমাদের এই দু:খী জীবনের কারণ, তাই তোমাদের উপরে ওদের খুব রাগ।"
বোন লুকিয়ে পড়লো আড়ালে, খানিক পরে ভাইরা ফিরলো। তাদের খুব খিদে পেয়েছে, ঘরে যেভাই ছিলো সে খাবার বেড়ে দিয়েছে, কিন্তু সে বারোর জায়গায় তেরোটা থালা বেড়েছে! আরো কেউ তাহলে আছে! সেই ভাই যতো বলে ভুল হয়েছে, অন্যদের সন্দেহ বেড়ে ওঠে।
তোলপাড় করে খুঁজে বোনকে পেয়ে যায় তারা। কিন্তু মারতে পারে না, বোন নিজেই যে বলছে মেরে ফেলতে। বারোজন ভাইয়ের জীবনে দু:খের কারণ হয়ে সে বেঁচে থাকতে চায় না। অনেক রাগারাগি ও কান্নাকাটির পরে একটা মিটমাট হলো। এখন বোন ঘরে থাকে রাঁধেবাড়ে, বাগান করে, ভাইরা শিকার করে ফিরলে খেতে দেয়। সে ফিরে যায় নি ওই নিষ্ঠুর বাবার প্রাসাদে।
বাগানে একটা গোলাপ গাছে ছিলো বারোটা কলি। একদিন কী মনে হলো বোন কলিগুলি তুলে ভাইদের থালার পাশে রাখলো। ফিরে এসে যেই না ভাইরা খেতে বসেছে, ফুলের কলিগুলি দেখামাত্র বারো ভাই বারোটা ম্যাকাও পাখি হয়ে উড়ে চলে গেল।
বোন হতভম্ব! মুখে তার বাক্য নাই। এটা আবার কী হোলো? এবারে এর মধ্য থেকে সে ভাইদের উদ্ধার করবে কী করে? সারাদিন ঠায় সে বসে রইলো সেখানে চুপচাপ, নড়ল না চড়ল না, খেলো না কিছু, এমনকি জলও পান করলো না। সাঁঝের বেলা এক বুড়ী এসে হাজির সেই কুটিরে, সে ছিলো ছদ্মবেশে তাদের কুলদেবী। সে এই শোকে মুহ্যমানা কিশোরীকে বললো, "ভাইয়েরা সব ম্যাকাও হয়ে উড়ে গেছে তোর, তাই না? "
চমকে মুখ তোলে রাজকুমারী, " কে? কে তুমি? কী করে জানলে আমার ভাইদের কথা?"
বুড়ী হাসে, "আমি কে কী বিত্তান্ত সে পরে জানবি। কিন্তু এখন উদ্ধার করতে চাস ভাইদের?
রাজকুমারী উদগ্রীব হয়ে বলে, "হ্যাঁ, চাই। কেমন করে হবে তা?"
বুড়ী বলে, "হবে, তুই যদি এক কঠিন ব্রত পালন করতে পারিস।"
রাজকুমারী আগ্রহী গলায় জানতে চায়, "কী ব্রত?"
বুড়ী বলে, "কথা না কয়ে হাসিকান্নাও বন্ধ রেখে তোকে বুনতে হবে বারোটা পশমের জামা, যেদিন সবগুলো বানানো শেষ হবে, সেদিন বারোজন ম্যাকাও ভাই ফিরে আসবে তোর কাছে। তাদের গায়ের উপরে তোর বোনা পশমজামা দিয়ে দিলেই ওরা আবার মানুষরূপ ফিরে পাবে। কিন্তু তুই যদি কথা কয়ে ফেলিস বা হেসে ফেলিস বা কেঁদে ফেলিস বোনার মাঝখানে, তাহলে ব্রত ভেঙে যাবে, ওরা আর কখনো মানুষ হতে পারবে না।"
বুড়ী চলে গেল। রাজকুমারী পশম, কাঁটা সব যোগাড় করে বুনতে শুরু করে দিলো দিনরাত। সে নীরব, তার হাসিকান্নাও বন্ধ।
বেশ কিছুদিন পরে কাছের দেশের এক তরুণ রাজা সেই বনে মৃগয়ায় উপস্থিত। বনে ঢুকে সে কুটির দেখে অবাক, আরো অবাক কুটিরে এক অপরূপা সুন্দরী বসে বসে পশমজামা বোনে! সে কোনো কথা বলে না। আহা রে বোবা বুঝি! রাজার হৃদয় উচাটন, এই কন্যাকে সে নিজের রাণী হিসাবে না পেলে একেবারে মরে যাবে।
নীরব এই কন্যার কাছে রাজা অনুনয় বিনয় করে তার সঙ্গে যাবার জন্য, কিন্তু মেয়েটা তো কোনো কথা কয় না, হাসেও না কাঁদেও না। শুধু হাত চলছে তার, সে বুনে চলেছে পশমজামা।
রাজা তাকে নিয়ে চললো, না সে জোর করেনি, তার সাথে যেতে কন্যা বিশেষ আপত্তি করে নি। পশমের পুঁটুলি আর বোনা হয়ে যাওয়া জামাগুলি নিয়ে সে চললো রাজার সাথে। রাজধানীতে গিয়ে রাজা মহা ধূমধামে বিয়ে করলো এই কুমারীকে। তখনও কুমারীর কোনো আপত্তি দেখা গেল না।
দিন যায়, রাজা মেনে নিয়েছে রাণীর নীরবতা আর হাসি নাই কান্না নাই অবস্থা। সে দিনরাত জামা বোনে, সেও ঠিক আছে।
কিন্তু রাজার বোনেরা ভাইবৌকে কেন জানি ভালো চোখে দেখলো না। ভাইবৌয়ের হালচাল তাদের ভালো ঠেকে না। তারা রটিয়ে দেয়, এই বৌয়ের উপরে অপদেবতার ভর আছে, একে না ধ্বংস করলে তাদের সোনার রাজ্য ছারেখারে যাবে। পুরোহিতও তাদের ষড়যন্ত্রে যোগ দিয়ে একথাই বলে রাজাকে।
রাজা নিরুপায়, সে অনেক অনুনয় করে রাণীকে বলে, "কিছু অন্তত বলো, মুখে না বলো লিখে জানাও নাহয় আকারে ইঙ্গিতে জানাও। নাহলে তোমাকে বাঁচাবার কোনো উপায় যে আমার নাই।" রাণী কিছু বলে না, মুখ তার হাসিকান্নাহীন, সে শুধু একমনে জামা বোনে।
পরদিন রাণীকে খুঁটিতে বেঁধে চারদিকে কাঠ সাজিয়ে দেওয়া হলো, তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হবে। আগুন দেয় দেয় সময়ে হঠাৎ আকাশ চমকে দিয়ে উড়ে আসতে থাকে বারোটা ম্যাকাও পাখি।
রাণীর হাত থেকে পড়ে মাটিতে বিছিয়ে ছিল বারোটা পশমজামা, শুধু শেষ জামাটার একটা হাতা বাকী ছিলো। ম্যাকাওগুলো এক এক করে জামার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়তে লাগলো আর মানুষ হয়ে দাঁড়িয়ে উঠতে থাকলো। শুধু সবচেয়ে ছোটো ভাইয়ের একটা হাত ফিরে এলো না, সেটা ম্যাকাওয়ের ডানা রয়ে গেল।
এতদিন বাদে রাণী তার দু'চোখ থেকে ঝাঁপিয়ে নেমে আসা ঝরঝর আনন্দাশ্রুর মাঝখানে কথা বললো, "রাজা এরা আমার ভাই। এদেরই উদ্ধারের জন্য আমার এই জামা বোনা, এই কথা না বলা, এই হাসিকান্না বন্ধ রাখা। তোমার অনেক মিনতিতেও আমি তখন কিছু বলতে পারিনি, তাহলে ব্রত ভেঙে যেতো, আমাকে মাফ করো। "
তারপরে আর কী? রাজা রাণীকে বহু সমাদরপূর্বক ঘরে তুললো। রাণীর ভাইয়েরা সব নিজের রাজ্যে ফিরে গেল। এই রাজা আর রাণী তারপরে বহুকাল সুখে সংসার করলো।
মন্তব্য
আমি ইউরোপীয় ভার্সনটা পড়েছি, হ্যান্স অ্যান্ডারসনের গল্প থেকে - The Wild Swans.
এক্কেবারে একই জিনিস, খালি বারোজনের বদলে যতদূর মনে পড়ে এগারোজন, আর দু'একটা খুব ছোট্টখাট্টো এদিক উদিক। সেটাতে রাজকুমারীর নাম ছিলো মনে হয় এলি'.
হ্যাঁ, কোথাও রাজহাঁস হয়েছে কোথাও দাঁড়কাক হয়েছে ভাইরা, সুরিনামে ম্যাকাও হয়েছে।
বাংলা উপকথাটা জানেন? সেখানেও এরকম। সেখানে রাজা বিবাহ করার পরে অনেক বছর রাণী বুনতো কথা না বলে। দুই ছেলে আর এক মেয়েও হয়েছিলো, ছেলেদের বেলাতেও রাণী কথা বলে নি, শেষে মেয়ের বেলা বলে ফেললো, শেষ জামাটার হাতা তখনও বানানো হয় নি। রাণী কইলো "ছত্রধর পত্রধর ললিতা লো ঝি/ একে মরি ভায়ের শোকে, কীসের মধ্যে কী! "
মূল গল্প কোনো একটা ছিলো, সেটাই দেশে দেশে ছড়িয়ে গেছে নানারূপে। যত দেখি তত প্রাচীন কালের গ্লোবালাইজেশন এর কথা মনে হয়।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
প্রাচীনকালের গ্লোবাইলাইজেশন প্রথমদিকে খুব অবাক লাগতো, পরে সয়ে গেছে
মাঝখানে ভেবেছিলাম আপনার সাথে যোগ দেবো, পরে আর সাহসে কুলালো না ।
ইশ, আপনে লিখতে শুরু করলে কী ভালো হতো! বেশ একটা সা রে গা মা টাইপ হতো, আপনে লিখলেন উত্তরের গল্প, আমি দিলাম দক্ষিণের, আপনে ধরেন কইলেন লিটল মারমেইড আর আমি কইলাম নইদারচানের কুমীর হইয়া যাওনের গল্প। দিনে দিনে আরো লোকে যোগ দিতো। জইমা উঠতো। বেশ ভালা হইতো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
গোটাকয় পরামর্শঃ
১। শিরোনামে খালি দেশবিদেশের উপকথা - [দেশের নাম] না লিখে গল্পের শিরোনাম লেখা যায় কি?
বিকল্প ফরম্যাটঃ দেশবিদেশের উপকথা - [উপকথার শিরোনাম] ([দেশের নাম])
বিকল্প ফরম্যাটঃ [দেশের নাম]এর উপকথা - [উপকথার শিরোনাম]
২। প্রথম প্যারাগ্রাফে জেনারেল পরিচয়খানা কি রূপকথার মধ্যে একই ফন্ট সাইজে না রেখে একটু ছোট করে শিরোটীকা (পাদটীকার মুন্ডু ভার্সন) হিসেবে দেয়া যায়?
ভালো পরামর্শ। পয়েনট ১ এ সেকেন্ড অপশনটা বেশ ভালো লাগলো। এরপর থেকে ওভাবে দেবার চেষ্টা নিবো।
আর শিরোটীকার কথাটাও রইলো মাথায়। মাঝে মাঝে কাহিনি লেখার তোড়ে থাকলে ফন্ট বদলানো আলস্য লাগে, তবে করা উচিত।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তাপ্পর রানির বাবার কী হলো? গুণীনের ভবিষ্যদ্বাণী কি তাহলে বিফলে গেল?
ও গুণীন কী মতলবে ওসব বলেছিলো তার কি কোনো ঠিক আছে?
হয়তো সে কৌশলে রাজ্যটাই নিতে চাইছিলো কে বলতে পারে!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সেই তো ভাবি - গুনিনের ভবিষ্যৎবাণীর কী হল?
"ছত্রধর পত্রধর ললিতা লো ঝি/ একে মরি ভায়ের শোকে, কীসের মধ্যে কী!"
এইটা বুইতে পাচ্ছি না, বাংলা উপকথাটাও পোস্টান একদিন...
হ্যাপি এন্ডিং হতে পারে ...
কিন্তু আমি হ্যাপি হতাম যদি এইবারে ওই ব্যাটা গুণিন আর সেই সাথে নেক্সট জেনারেশন রাজার পুরুত আর বোনগুলোকে ধরে শূলে চড়ানো হতো কি আগুনে পোড়ানো হত - যত্তসব আপদ।
আহা খেপে যান কেন? ডার্ক ফোর্স তো আছেই জগতে, তারা থাকে বলেই তো ভালোবাসার শতদল ফুটে উঠতে পারে এমন আলোয় আলোময় হয়ে।
" অন্তহারা অন্ধকারের গভীর কালো জল/ ধন্য হয়ে ফুটলো সেথায় আলোর শতদল।"
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
"ছত্রধর...." এই উপকথার মতনই একটা বাংলা উপকথা, কাহিনিভাগ প্রায় এক, তবে কাঠে পোড়ানোর সিন নাই। বোবা রাণী আর তার জামা বোনার গল্প, ভালো মনে নেই, ছোটোবেলা মায়ের মুখে শোনা উপকথা। মা কোথায় শুনলো কেজানে, মা তার ছোটোকালে ময়মনসিংহে থাকতো, সেখানে হয়তো শুনেছিলো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বাহ্
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
গল্প তো শেষ হলো না। শুরুতে ফিরে না গেলে কেমনে হবে?
শুরুতে ফিরে যাবার দরকার কী? যে যার মত থাকুক।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আমার খুব পছন্দের একটা উপকথা হচ্ছে জাপানের "কাগুয়া-হিমে"। একটু কষ্ট করে লিখে ফেলবেন। উঁহু, আমাকে পালটা বলা যাবে না। আপনাকেই লিখতে হবে। আপনি যে AWM!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পরে কখনো এই গল্প দিবার চেষ্টা নিবো। কাহিনিটার জইন্য ধইনবাদ।
AWM না হইয়া ATM হইলে কত সুবিধা হইতো, এই হালার কাজকর্ম করতে হইতো না, সবুজ পাহাড়ে
ফুলবাগানে নীল সাগরে আর সাদা বালির সমুদ্রবেলায় ঘুইরা ঘুইরা বেড়াইতাম।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কেন?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
উপকথা গুলি খুবই ভালো লাগছে। ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ অনেক।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আহা! ছোট ভাইটা হাত ফিরে পেলো না!
একটা হাত পেয়েছে, অন্য হাতটা ডানাই রয়ে গেল।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন