বাইরে আলোছায়ার খেলা চলছে আর হাত ধরাধরি করে আমরা দু'জন পরিপার্শ্ববিচ্ছিন্ন হয়ে ফিরে গেছি আমাদের কিশোরীবেলায়। সেই তখন, যখন আমাদের বিশ্বাস ছিলো কাঁচা আর বিশুদ্ধ, যখন আমাদের মনের মোড়কটা কচ্ছপের খোলার মতন হয়ে যায় নি।
বৃষ্টি ঝরানো মেঘের মতন আমরা হালকা হয়ে যেতে থাকি। কিছুটা সময় পার হয়ে যায়। কতটা? হয়তো মিনিট কুড়ি পঁচিশ কি তারো কম। আমাদের মনে হয় যেন যুগ পার হয়ে যাচ্ছে। সেই আঠেরোর খোলসের মধ্যে সময়ের স্রোত এড়িয়ে পিউপার মতন যে দু:খ বন্দী হয়ে ছিলো, তা আস্তে আস্তে সময়জলের ছোঁয়ায় মুক্ত হয়ে উড়ে গেল বাতাসে। আমরা শান্ত হয়ে আসি দু'জনেই, এখন আবার হয়তো নিরাসক্ত পর্যবেক্ষকের মতন কথা বলতে পারবো সেই ঘটনা নিয়ে।
হ্যাঁ, সেই উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট। সে জিনিস যা হয়েছিলো তা ছিলো একেবারেই আমাদের সব হিসাবের বাইরে। আসলে হয়তো চারপাশের মানুষদের আর শিক্ষিকাদের এত এক্সপেক্টেশান আমাদের নিজেদের সম্পর্কেও ও লার্জার দ্যান লাইফ একটা ধারণার জন্ম দিয়েছিলো। আমরা ভাবতে আরম্ভ করেছিলাম "কেন হবে না? এখান থেকে, এই অজপাড়াগাঁয়ের স্কুল থেকেও সম্ভব হবে রেকর্ড নম্বর তোলা। মাধ্যমিকে সম্ভব হলে কেন উচ্চমাধ্যমিকে হবে না? "
আমাদের ধারণা আর অনুমানে মারাত্মক ভুল ছিলো। ক্যানিউটের চেয়ে অনেক বেশী ক্ষমতার কেউ ঠিকই আমাদের সীমা নির্দেশ করে দিলো, "দাস ফার অ্যান্ড নো ফারদার।"
সব চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেল, সব হিসেব ভেঙে গুঁড়িয়ে গেল। উচ্চমাধ্যমিকের সঙ্গে সঙ্গে যারা জয়েন্ট দিয়েছিলো তারাও পেল না কেউ। পরবর্তীকালে যে বিষয় নিয়ে যেভাবে লেখাপড়া করবে ভেবে রেখেছিলো এক একজন, সব বদলে গেল। কেউ কেউ দুনিয়া থেকেই পালালো জীবন ঠিক করে শুরু হতে না হতেই।
"অন্বেষা, আমি তখন তোর সাথে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিলাম নানা ঘটনার আবর্তে। এতকাল পরে সাগরপাড়ে ফের তোর সঙ্গে দেখা হবার আগের কথা তো তেমন জানি না। সেই দিনগুলো কেমন করে কেটেছে তোর?"
অন্বেষা নিজের কপালের আর চোখের উপরে হাত বোলাতে থাকে কিছুক্ষণ। তারপরে হেসে উঠে বলে, " আরে তখন তো অনেকের ঘোর উল্লাস। সুদে আসলে পুরিয়ে শুনিয়ে দিয়ে যেতো কেমন করে আমার জীবনটা শেষ হয়ে গেল, কেমন করে আর কোনো প্যানাশিয়া দিয়েই এ রোগ আরোগ্য করা যাবে না। মানুষ এককালে যাকে মেটাফরিকালি কাঁধে তুলেছে সে যখন আছড়ে পড়েছে, সেটা সেলিব্রেট করবে না? রাজনীতিতে নামতে চাইলে নামতে পারি মনে হয়, একটা ভালো ট্রেনিং হয়ে গেছে তখন।"
এবারে আমিও হেসে ফেলি, সত্যি আমাদের লোকেদের সব কিছুই এত তীব্র আবেগে জরজর। কেউ জিতলো তো তাকে নিয়ে লাগামছাড়া লোফালুফি শুরু হলো। আবার কিছু বছর পরে সে যখন হারলো তখন " আরে তুই মরলি নে কেন? " টাইপের এক্সট্রীম সমালোচনা।
অন্বেষার মুখের উপরে একটা হালকা ছায়া, ও বলে, " শুধু আজও কষ্ট হয় শক্তিস্যরের আচরণের কথা ভেবে। ভদ্রলোক আমাকে ফিজিক্স পড়াতেন এগারো বারোয়, ওনার বাড়ীতে প্রাইভেট ব্যাচ ছিলো, তবে আমাদের কয়েকজনকে আলাদা করে ছোটো ব্যাচে পড়াতেন শনি-রবিবার। কত উৎসাহভরে হাইজেনবার্গ বোর শ্রোডিংগার এদের গল্প করতেন। সেই লোক রেজাল্টের পরে বাড়ী বয়ে এসে আমাকে বলে গেলেন আমার কিছুই নাকি আর হবে না, কিছুই আর হবার নেই। কোনো ওষুধেই এ রোগ সারবে না। এবারে বিয়ে থা করে আমাকে সংসার টংসার করতে হবে।"
আমি হাত বাড়িয়ে ওর হাত ধরি আবার, "মানুষ চেনা শক্ত রে। মাফ করে দে, উনি জানতেন না কাকে কী বলছেন।"
অন্বেষা হাসে, বলে, "সেদিন আমারও সেইরকমই মনে হচ্ছিলো রে। মনে হচ্ছিলো সামনে অন্ধকার একটা লবণসমুদ্র, কোথাও কোনো আশার আলো নেই। হাতেপায়ে জোর নেই, দু'চোখে ঘুম নেমে আসছে। মনে হচ্ছিলো অনেক তো হলো, আর কেন, এখন সত্যি সত্যি ঘুমিয়ে পড়া যাক। আবার মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিলো হয়তো কোথাও কিছু ভুল হয়েছে, স্ক্রুটিনি করতে দিলেই হয়তো ধরা পড়বে। এরকম সব এলোমেলো ভাবনা, কী অদ্ভুত আমাদের ব্যবস্থা, কী আলগা জিনিসকে ধ্রুব বলে বিশ্বাস করতে শেখায়। স্কিল না, নলেজ না, কতগুলো নম্বরকে মোক্ষ বলে ধরে নিতে হয়, সেইগুলো ছাড়া আর কোনো প্রমাণ নেই, প্রমাণ দেবারও উপায় নেই।"
আমি আস্তে আস্তে বলি, "তারপরে? মরণগুহা থেকে কী করে তুই বেরিয়ে এলি জ্যান্ত? "
অন্বেষা বলে, " বেরুলাম কি? কেজানে? হয়তো সেখানেই মরে গেছি, বেরিয়ে এসেছে আমার পাথরমূর্তি, সিমুলেশন। এখন মনে হয় সেদিন যখন সব আশা ভরসা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেল, তখন তার সঙ্গে গেল আমার মিথ্যা অহঙ্কারও। ভালোই হয়েছিলো একদিকে। সব আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হলো। সব আবার নতুন করে ঢেলে সাজাতে হলো। তবুও ভাবি সেসময় ওভাবে সব না ভেঙে গেলে সেই পুরানো ধ্যানধারণা থেকেও তো বেরুতে পারতাম না। এক ভিশাস সাইকল থেকে আরেক ভিশাস সাইকলে ঢুকে যেতাম। এখন মনে হয় সেই বিপর্যয় শাপে বর হয়েছিলো।"
আমি বলি, "আমারও তাই মনে হয়।ঐ নম্বরের জন্য বড় শহরের কলেজে পড়া হোলো না তখন, ছোটো টাউনের কলেজেই পড়তে হোলো বটে কিন্তু পরে মনে হলো আশা-আকাঙ্ক্ষার বড় কলেজে গিয়েও যদি দেখা যেতো সেখানেও একইরকম মিনিংলেস মুখস্থবিদ্যা আর জীবনের সাথে যোগাযোগহীন সব পাহাড়প্রমাণ সিলেবাস, কেউ কোনো কিছু বোঝানোর বা বোঝারও চেষ্টা করে না, মুখস্থ করিয়ে বৈতরণী উতরে দিতে চায় শুধু, তাহলে মন আরো ভেঙে যেতো। "
অন্বেষা হেসে বলে, "ঠিকই বলেছিস রে তুলি। আমি কলেজের ঐ বছরগুলো কাটালাম সিডেটিভ দেওয়া রোগীর মতন, কেবল প্রার্থনা করতাম "ভোর কখন হবে? হয় আমার জীবনরাত্রি ভোর হোক না হয় এ অসহনীয় সময় শেষ হোক। কিছুটা জ্যান্ত মন অনুসন্ধিৎসু মন যেন বেঁচে থাকে, সবটা যেন না ক্ষয় হয় এই গ্রাইন্ডিং মেশিনে।"
আমি বলি, "প্রার্থনা তোর পুরেছে। টানেলের অন্য দিক দিয়ে বেরিয়ে এসেছিস। অনেকে পারে নি রে। চন্দ্রার কথা মনে আছে? স্কুলে ভালো ছাত্রী ছিলো, ভালো গানও গাইতো। অঙ্ক অনার্স নিয়ে পড়ছিলো, সেকেন্ড ইয়ারে নিজেকে শেষ করে দিলো। সবকিছু নাকি তেতো লাগছিলো। আর পারমিতা, সেও বায়োলজি অনার্স নিয়ে পড়ছিলো, মাঝপথে ছেড়ে দিয়ে বিয়ে করে ঘরসংসার শুরু করলো। আমায় বলেছিলো যা মন থেকে চাই তা যখন করতেই পারবো না অ্যাকাডেমিয়ায়, তখন মিছে দেয়ালে মাথা ঠুকে লাভ কী? তার চেয়ে সম্মানজনক রিট্রীট ভালো। মন দিয়ে সংসার করলে হয়তো কিছু ভালো পেতেও পারি। হয়তো তিরিশ বছর পরে আমার সন্তানের ক্ষেত্রে দেখতে পারবো জগদ্দল পাথর সরেছে, অচলায়তন ভেঙেছে। সত্যিকারের অনুসন্ধানী গবেষণা তারা করতে পারছে।"
অন্বেষার ঠোঁট নড়ে, আস্তে আস্তে প্রার্থনার মতন করে বলে, " সত্যিকারের শিক্ষাদীক্ষার দিন আসবে একদিন আসবেই, কিন্তু সে কবে? "
( আরো চলবে হয়তো )
মন্তব্য
হুমম... কিন্তু সে কবে?
এই পর্বে তো মেঘ ঘন হয়ে চেপে বৃষ্টি নামল, পরের পর্বে রোদ উঠবে কি?
বৃষ্টি টিষ্টি হয়ে গেলেই তখন রোদ ওঠে। নয় কি?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কথা সত্য
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আমাদের তো এক প্রফেসর বোর্ডে স্রেফ লিখে দিলেন বড় হাতের T M. আমরা তো বাকরহিত, ব্যাপারটা কী?
উনি বুঝিয়ে দিলেন এ ধাঁধার সমাধান, টেনে মুখস্থ। ভাবুন একবার, এটা কলেজ লেভেলের কেস, অনার্স কোর্স।
আরেক বেচারা তরুণবয়সী প্রফেসর, বিদেশ থেকে দেশে ফিরে গেছেন কাজ করবেন। তিনি শান্তভাবে পড়িয়ে যেতেন, ইকোয়েশন গুলো বিষন্নমুখে লিখতেন আর বলতেন এইভাবে কি কখনো কোনো সিস্টেম চলা উচিত? অদ্ভুত এক পড়া যেখানে থিওরি আর প্র্যাকটিকাল আকাশপাতাল তফাত দিয়ে হুড়হুড়িয়ে চলছে, সারাবছর কী কে কেমন শিখলো কোনো জাজমেন্ট নেই, অদ্ভুত এক ফাইনাল পরীক্ষা যেখানে টেনে মুখস্থ করে উগড়ে দিয়ে সবাই বেরিয়ে এলো সব ভুলে গিয়ে ফ্রীম্যান, কোনো লজিক আছে কি এই ধরনের সিসটেমের? এ তো গড্ডলিকাপ্রবাহ চালিয়ে যাবার ছক। এর মধ্যে নতুন আইডিয়াই বা আসবে কী করে, সৃজনশীলতাই বা দেখা দেবে কী করে? দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতেন এই সিস্টেমের মধ্য দিয়ে যুদ্ধ করে দেখো বেরোতে পারো নাকি?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনার লেখাগুলো পড়ার পরে মুগ্ধতা এমন ছুঁয়ে থাকে, কী কমেন্ট করবো ভেবেই পাই না।
রেজাল্ট নিয়ে মোহভঙ্গ আমারো হয়েছিল, তবে সেটা মাধ্যমিকেই। তার পরে নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের স্বপ্নের জায়গায় উচ্চশিক্ষা শুরুও করেছিলাম, কিন্তু আসলেই সেটাও মোটামুটি আশাভঙ্গই। সেই একই ধাঁচের, গ্রেডের জন্য পড়া আর জানার জন্য পড়া কখনোই এক হলো না। বাইরে এসে তবু কিছুটা আভাস পাচ্ছি, তাও আমাদের ইউটোপিয় শিক্ষাব্যবস্থা বলে মনে হয় কিছু নেই।
পরের পর্বের রোদের অপেক্ষায়।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
আইডিয়াল ব্যবস্থা কোথাও থাকে না, সে জিনিস চাওয়াও উচিত না, আমি শুধু বলছিলাম একটা খোলা দরজা একটা খোলা জানালার কথা। একটা চেষ্টার কথা। যেখানে মানুষ অন্তত কিছু প্রশ্ন করতে পারে, বোঝার চেষ্টা করতে পারে, নতুন আইডিয়ার কথা বলার আগেই ভয়ে কুঁকড়ে যায় না যে সেটা সিভিয়ারলি ডিসকারেজড হবে। এইটুকু শুধু। একটা সামান্য স্বাধীনতা, প্রথমবার ভুল করার স্বাধীনতা। আমাদের রিজিড সমাজে কোথাও তা নেই। একেবারে তলা থেকে উপর পর্যন্ত সব কিছু শক্ত আটোসাটো, হাওয়া খেলার কোনো পথ নাই।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
লাফিয়ে উঠে গেছিলো কমেন্ট
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভালো লাগলো
ধন্যবাদ সুরঞ্জনা।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
স্বপ্ন ভাঙার ব্যাপারটা ছিলো বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায়। চারটা সাবজেক্টের তিনটায় হাই স্কোর করেও যখন কেমিস্ট্রিতে পেয়ে বসলাম মিনিমাম কোয়ালিফিকেশন মার্ক, আর তার ধাক্কায় হাজির হলাম ওয়েটিং লিস্টে তখন।
তবে মুখস্থবিদ্যা, সে আমাদের যেখানেই যান, স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি সব জায়গায়ই আছেই। আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলোতে তো আবার অসাধারণ রীতি, প্রথম তিনজন জয়েন করবে টিচার হিসেবে, পড়ানোর ক্ষমতা থাক আর না-ই থাক। ভালো ছাত্র মানেই যে ভালো শিক্ষক নয় এটা পর্যন্ত বুঝতে শেখেনি এদেশের মহা পন্ডিতেরা।
যে কয়টা ইউনিভার্সিটির খোঁজ জানি সবগুলো একই। শিক্ষক হচ্ছেন ঈশ্বর। তিনি সব জানেন, সব বোঝেন, কখনো ভুল করেন না, ভুল জানেন না, ভুল চিন্তাও করেন না। তাঁদের কথাকে বেদবাক্য হিসেবে ধরে নিয়ে যে সব শিশু অনুসারীর জন্ম হয় তাঁরাই একদিন আবার ঈশ্বরের আসন অলংকৃত করেন - এবং এদের বেশিরভাগের (সবাই নয়) ওই ইউনিভার্সিটির চার দেয়ালের বাইরে চরে খাওয়ার যোগ্যতাটুকু থাকে না। কর্মজীবনে একসাথে কাজ করতে গেলে বোঝা যায় শিক্ষার ফল কই! মূল অবলম্বন যখন অন্ধবিশ্বাস তখন শিক্ষা আর উঠবে কি করে? বাইরে এসে খানিকটা অন্য রকম স্বাদ পাচ্ছি। অন্ততঃ এরা এখনো দেবদূত পর্যায়ে আছেন, পুরো ঈশ্বর হয়ে ওঠেন নি।
(চলুক )
লাফাং
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আমি তো এইজন্যই ইস্কুলবেলাতেই আটকে রাখছি লেখাটা। কলেজবেলার গপ্পো এত বেশী স্বপ্নভঙ্গের যে বলতে গেলে মদে চুর হওয়া লোকের মতন লাগামছাড়া বলে ফেলবো। তাই ও পথে যাচ্ছি না, ওসব কথা গোর দিয়ে রেখেছি, শান্তিতে ঘুমাক তারা।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এমন সব হেজেমোনিতে পড়ে না আমার পছন্দ মতো পড়াশোনা করতে পারলাম, না পড়াশোনাটা কন্টিনিউ করতে পারলাম। সারাটা জীবন অর্ধশিক্ষিত, অসফল, বাকিদের জন্য বোঝা হয়ে রইলাম।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লাফাং
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনি যদি নিরাশার কথা কন, আমরা যাই কই???
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মনোজগতের দ্বৈরথ শাঁখের করাতের মতো, ফালা ফালা করে দুদিকেই কাটে। আর সেই ব্যবচ্ছেদ বড়ই ভোঁতাফলা, প্রতি দাঁতে যার জ্বালাময়ী বিষের মতো নীলাভ বেদনারা নিষ্ঠুর খেলা খেলে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
লাফাং
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সময়ের ঋণশোধ না করে উপায় কী বলুন। আর স্থানকালের দূরত্ব জিনিসটাকে কিছুটা সহজ করেও দেয়, নিরাসক্ত পর্যবেক্ষকের মতন ফিরে দেখা জীবন, তখন যাকে মনে হয়েছিলো পরিণতিহীন দহন, এতকাল পরে ফিরে দেখতে গিয়ে দেখা আসলে কেন তা হয়েছিলো, আসলে কেন দরকার ছিলো, কী তার পরিণতি। এও একটা তর্পণের মতন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এই ভঙ্গুর-বিদ্ধস্ত-জঘন্য শিক্ষাব্যাবস্থা দিয়ে আর কত মেধাবী নামের ছাগল উৎপন্ন হবে এই দেশে । চলুক আরো । দুরন্ত লেখনি ।
ধন্যবাদ ভাই। এই ব্যবস্থার খোলনলচে শুদ্ধু না বদলালে মুশকিল, কারণ একটা দেশের একটা সমাজের মূল শক্তি আসে সঠিক জ্ঞান আর সঠিক কর্মের চলমান আদানপ্রদান থেকে। চিরকাল এই সিসটেম গড্ডলিকাপ্রবাহে আমাদের ঠেলে দিতে থাকলে আমরা ভার্চুয়াল ক্রীতদাসই হয়ে থাকবো। শিল্পবিপ্লব তথ্যবিপ্লব জেনেটিকসবিপ্লব সব অন্যরা করবে, আমরা মেইনটেনান্স সার্ভিস দেবো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
লেখাটি খুব ভালো লেগেছে। আমার বাসায় দেশের মুখস্ত বিদ্যার উদাহরনঃ দেশে প্রতিবেশি এক ছেলে গলা ফাটিয়ে ভূগোল পড়ছে; ‘পৃথিবীটা কমলা লে’, ‘পৃথিবীটা কমলা লে’ নিশ্বাস নেবার জন্য থেমে ফের,’বু র মতন গোল’, ‘বু র মতন গোল’। ক্লাসে ভালো নম্বার পেয়ে, বলাই বাহুল্য সে এখন পদস্ত অফিসার।
দেশে গাছের ডাল ভেঙ্গে ছাত্রদের মারাটা তো বন্দ হয়েছে!,অনেক কিছুই বদল হয়েছে, মুখস্ত বিদ্যার চাইতে আমার কাছে মনে হয়, বছর শেষে শুধু পরীক্ষাই সব কিছুর নির্ধারক নাহোত! এদেশে মাত্র চল্লিশ পারসেন্ট নাম্বার থাকে ফাইনাল পরীক্ষায়।
ঠিক বলেছেন। সারা বছর অনেক ভাবে যাচাই এর সুযোগ থাকা উচিত, তাছাড়া প্রচলিত পুঁথিগত শিক্ষার বাইরে হ্যান্ডস অন লার্নিং এর ব্যাবস্থাও থাকা উচিত। নানাভাবে সৃজনশীলতা বার করে আনা যায়, উৎসাহ দেওয়া যায়। নতুন আইডিয়াকে ওয়েলকাম করা যায়। অনেক মেধাবী ছেলেমেয়ে প্রচলিত পদ্ধতিতে হয়তো সচ্ছন্দ নয়, তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখা যায়। আমাদের তো তা না, "ওরে তোর কিছু হবে না" বলতে পারলে আর কিছু চায় না দন্ডমুন্ডের কর্তারা। কী অপচয়!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বাসায় তো দন্ডমুন্ডের কর্তারা হচ্ছেন মায়েরা, আর তেনাদের প্রায় সবাইকেই এই "ওরে তোর কিছু হবে না"-টাই বলতে শুনি! আমার ধাড়িবেলায় যখনই কাজেকর্মে-পড়াশোনায় ফাঁকি দিতাম, এই শুনতে হত, "ওরে, তোর জয়েন্ট-ফয়েন্ট কিছু হবেনা", "ওরে, এইচ-এস-এ যখন থার্ড ডিভিশন পেয়ে ঘুঁটেবাগান-মার্কা কলেজে ভর্তি হতে হবে তখন বুঝবি"... আর বাবা একটা ডায়রিতে এসব বাণীগুলো টুকে রাখত। তারপর যখন সব চুকেবুকে গেল, কলেজে ভর্তি হলাম, তারপর এটা নামিয়ে মা-কে শোনানো হত মাঝে মাঝেই
আপনার বাবা খুবই গোছানো লোক, সব টুকে রেখেছেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
লাফাং
কী হচ্ছে আজকে?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এই লাফাং লাফাং করেই দেখি আজকাল সব পোস্টে কমেন্ট কাউন্ট ডবল হয়ে যায়!
আমারগুলো আর লাফায় না।
প্রতিটা মন্তব্য করে একবার করে পেজ রিফ্রেশ করুন, লাফাবে না।
মডু-ডেভুগণ তো যে তেলগুলো তাঁদেরকে দেয়া হয় সেগুলো দিয়ে ঢ্যাঁড়শ ভাজি করে খেতে ব্যস্ত, এসব লাফালাফি দেখার সময় কই?
..............চলুক
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তবুও তেমন জোর দিয়ে এই সিস্টেম পাল্টানোর কোনো চেষ্টা কোথাও দেখি না। পণ, দূর্নীতি, ঘুষ, পলিউশন গুন্ডা সবকিছুর সাথেই মানুষ যেমন মানিয়ে গুছিয়ে নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে, তেমনি এই শিক্ষার সাথেও। কে কী বলবে? বাইরে থেকে "কেউ"-কোনো বিরাট ডিভাইন বেনিফ্যাক্টর এসে তো আর আমাদের ভালোটা করে দিয়ে যাবে না!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বাকিগুলোর সাথে "মানিয়ে গেলেও" পণ / যৌতুক বস্তুটার সাথে ঠিক মানিয়ে যাচ্ছে মনে হয় না। উল্টো তথাকথিত অভিজাত ব্যক্তিবর্গকে দেখছি এটাকে রীতিমত প্রমোট করতে। ওদিকে মুখে দুনিয়া উদ্ধার করে ফেলবে, সেমিনারে বক্তব্য দেবে, যাকে তাকে ধরে যৌতুকের কুফল বোঝাবে... এদিকে আবার মেয়ের বিয়েতে ফ্রিজ টেলিভিশন খাট পালঙ্ক বিছানা বালিশ নিয়ে হাজির হবে। কিছু বললে আবার বলবে, "এ তো যৌতুক না, এটা গিফট, আমার মেয়েকে কি আমি উপহার দেবো না?"
এতে যে মেয়েটাকে আর ছেলেটাকে দুজনকেই অপমান করা হয়, এই ধারণাটাই করে উঠতে পারে না পিতৃত্ববাদী প্রভুত্বকামী আমাদের "মহান" সমাজ।
খুব কাছ থেকে দেখলাম, হায়দেরাবাদের এই মেয়ে বড়লোকের ঘরের মেয়ে, নিজেই সে ইলেকট্রিকাল ইনজিনিয়ার, ১ কোটি টাকা পণ দিয়ে সেই মেয়ের বিয়ে হলো। মেয়েটা কাজকর্ম যা করছিলো ছেড়ে দিলো, কৃতার্থ হয়ে গেছে এমন ভঙ্গীতে বরের ঘরে গেল, আইটি চাকুরে এই বর শিকাগো থাকে, সোজা কথা তো না, এই জামাই কিনতে ১ কোটি তো কিছু না। আমি খালি ভাবি এই মেয়েগুলো তাহলে এত কষ্ট করে এতখানি লেখাপড়া করে কেরিয়ার গড়লো কেন? পুরো অপচয়! তার লেখাপড়ার খরচের এই টাকা দিয়ে প্রকৃত আত্মসম্মানকামী কোনো দরিদ্র মেধাবী মেয়ে তো দাঁড়াতে পারতো! সে মেয়ে হয়তো টাকার অভাবে পড়তে পারে নি।
আমি ভেবেছিলাম সনাতনধর্মের "মহান" ব্যবস্থাতেই বুঝি এই কান্ড, অন্যরা বুঝি এই গন্ডগোলগুলো অন্তত করে না, কোথায় কী? যা শুনছি তাতে তো দেখছি সর্বব্যাপী।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ব্যাপারটা যতটা না ধর্মসংক্রান্ত তার চেয়ে অনেক বেশি সমাজসংক্রান্ত। পুরুষতান্ত্রিকতা প্রমোট করা অবশ্যই সব ধর্মের মূল, কিন্তু সরাসরি যতদূর জানি কেউ পণ/যৌতুক প্রমোট করে না।
আমি নিজেও মনে করি একটা বিয়ে করে পৃথিবীর জনসংখ্যা গোটাকয় বাড়ানোটাই যাদের মূল লক্ষ্য, তাদের তথাকথিত উচ্চশিক্ষা সরকারী পয়সার অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। বরং ওই টাকাটা দিয়ে শিক্ষাটা যে কাজে লাগাতে পারবে তার লেখাপড়া করাটাই সেটার উপযুক্ত ব্যবহার হওয়া উচিত। চোখের সামনে প্রচুর উদাহরণ দেখলাম। ইউনিভার্সিটির সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিচ্ছে - উদ্দেশ্য কি? বিয়ে করে ঘরসংসার করা! বিয়ে করার জন্য শিক্ষিত মেয়ে খুঁজছে তবে বিয়ের পর প্রথম শর্তই হলো চাকরী করা যাবে না, তাহলে "খানদানের" ঐতিহ্য নষ্ট হয়! আর চাকরী যদিবা করবেও, বেতন পাওয়া মাত্র পতিদেবতাকে পুরোটা দিয়ে দিতে হবে - চাকরীর অনুমতি দিয়ে বাধিত করেছে না? কৃতজ্ঞতা বলেও তো একটা জিনিস আছে!
খবরের কাগজের পাত্র-পাত্রী চাই কলাম আমি সাধারণতঃ দেখি - প্রচুর অ্যামিউজিং জিনিসপত্র পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত কোনদিন দেখিনি কেউ শুধুমাত্র উচ্চশিক্ষিত পাত্রী খুঁজছে - সব সময়েই সাথে "সুন্দরী", "ফরসা", "নম্র", বেশিরভাগ ক্ষেত্রে "লম্বা" এবং অভিজাত কখনো কখনো "স্লিম" এবং "নামাজী" বিশেষণ থাকে। আর পাত্রবাবাজীর গুণের ফিরিস্তি শুরুই হয় "ঢাকায় বাড়ি", "শিল্পপতির পুত্র", "সুদর্শন" ইত্যাদি দিয়ে, শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি বা থাকেও, সেটা সবসময়েই এইসব গুণপনার(!) পরে আসে। তবে পাত্র চাই গুলোতে এ পর্যন্ত লম্বা, ফরসা, ইত্যাদি চাই জাতীয় কথাবার্তা দেখিনি। খুব লক্ষ্যণীয় একটা ব্যাপার হলো, পাত্রী চাই বিজ্ঞাপনে পাত্রীর কি কি থাকতে হবে তার বর্ণনাই থাকে বেশিরভাগ। আর পাত্র চাই শুরু হয় পাত্রীর একটা বিশাল বর্ণনা দিয়েই, ওই একইসব গুণপনার(!) সমাহারে।
এই যখন কোন সমাজের অবস্থা, তখন তারা গিফটের নামে যৌতুক প্রমোট করবে না তো কি করবে?
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ এই মন্তব্যটিতে ধর্ম শব্দের উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু কোন বিশেষ ধর্মের সকল অনুসারীকে ধুয়ে দেয়া হয়নি।
এই পাত্রপাত্রী কলাম নিয়ে বলতে গেলে আবার লাগামছাড়া হয়ে যাবো, তাই ঘোর সংযম অভ্যাস করলাম।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ঠিকাছে। কমেন্টে সংযম করে পোস্ট দ্যান।
এই আলোচনায়
আলাদা পোস্ট? পাত্রপাত্রী পণ যৌতুক আর গাত্রবর্ণ বিষয়ে আমাদের ধুন্ধুমার নিয়ে? মশয়, একেবারে কান্ড হয়ে যাবে, মানে কুরুক্ষেত্র লেগে যাবে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
লেগে যাক ... নারদ! নারদ!
ঝেড়ে দিন না একখানা পোস্ট। মনের সাধ মিটিয়ে মন্তব্য করি।
এই সিরিজটাকে খুব আপন লাগে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধন্যবাদ রানা মেহের। তোমরা সাথে থাকলে শোনাবার তাগিদ পাই।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এইচ এস সি পরীক্ষা চলছে।
রাত প্রায় দেড়টা। চারদিকে শুনশান নীরবতা।
পাশের ফ্ল্যাটের এক শিক্ষার্থীর কন্ঠে শুনতে পেলাম-
"...তাঁর রচিত নাটকগুলোয় একদিকে যেমন আমরা গভীর দেশপ্রেম অন্যদিকে তেমনি দেশকে পরাধীনতা থেকে মুক্তির আকুল আকাঙ্খা দেখতে পাই। তাঁর রচিত নাটকগুলোয় একদিকে যেমন আমরা গভীর দেশপ্রেম অন্যদিকে তেমনি দেশকে পরাধীনতা থেকে মুক্তির আকুল আকাঙ্খা দেখতে পাই। তাঁর রচিত নাটকগুলোয় একদিকে যেমন আমরা গভীর দেশপ্রেম অন্যদিকে তেমনি দেশকে পরাধীনতা থেকে মুক্তির আকুল আকাঙ্খা দেখতে পাই। ..."
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আমাদের এই অদ্ভুত সব মুখস্থ করে রচনা লেখা, ইংরেজী বাংলা দুইয়েই, এও এক লজিকবিহীন কান্ড! আমরা প্ল্যাজিয়ারিজম কথাটাই বুঝতে পারি না, এইভাবে নোটবই লেখকের লেখা বা যিনি নোট দিচ্ছেন তার লেখাও যে মেরে দেওয়া যায় না সেটাই অনেকে বুঝতে পারে না, এদিকে যে যত ভালো মুখস্থ করেছে সে তত নম্বর পেয়েছে। হায় সেলুকাস!
এইসব লোকেরা বাইরের দুনিয়ায় এসে নানা স্ট্রাগল করে থিতু হয়ে কপিরাইট রুল শিখতে শিখতেই থতমত হয়ে যায়, এ একটা প্রায় মূল্যবোধের শিকড় ছিঁড়ে বেরুনো, ছোটোবেলা থেকে সে শেখেই নি মুখস্থ করে টোকা বেআইনি, সে এটার জন্য উল্টে বাহবা পেয়েছে। এই অবস্থায় সব শিখে টিখে ধাতস্থ হয়ে কাজ সে যদি পারেও করতে ততদিনে তার বয়স গড়িয়ে গেছে। এগুলো নিয়ে ভাবা দরকার সিরিয়াসলি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হ!
আহা আপনেও তো আলাদা পোস্টে এইসব নিয়া একটা স্ট্যাটিস্টিক্স ওয়ালা লেখা লিখতে পারেন!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কয়েকটা কিস্তি পড়া বাকি ছিল, এক বসায় পড়ে ফেললাম, সত্যি ভীষণ ভাল একটা সিরিজ। একদম থামবেন না।
ধন্যবাদ আনন্দী।
এই সিরিজটা চালিয়ে যাবার তাগিদ আমিও অনুভব করি, ইদানীং আমার কিছু ইস্কুলবেলার বন্ধু এ পাতার নীরব পাঠক, তাছাড়া আরো অনেক ছেলেমেয়ে যারা ওরকম অবস্থার মধ্য দিয়ে গিয়েছে, এনারাও আমাকে অনেকে বলেন এই সিরিজ চালিয়ে যেতে। এই লেখার মধ্য দিয়ে সেই পুরানো সুখ আর দু:খ স্বপ্ন আর স্বপ্নভঙ্গ আশা আর নিরাশা হারানো আর পাওয়াকে আবার ছুঁতে চান।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন