বেলা পড়ে আসে, সূর্যের আলোয় নরম ভাব। যদিও এখনই আমাদের ফিরতে হবে না, কালও তো ছুটি, রবিবার। এখানের পিকনিক স্পটে দেওয়ালহীন কাঠের ছাদওয়ালা ঘরগুলো বেশ, রোদ বৃষ্টি থেকেও বাঁচায় আবার ঘরের ভিতর আছি বলেও মনে হয় না।
আমরা সে ঘর থেকে বার হয়ে লেকের কাছে গিয়ে বসি, পাড় থেকে ঝুঁকে পড়ে জলে হাত ছোঁয়ায় অন্বেষা, আমি যেন হঠাৎ লাইভ ইলেকট্রিক তার ছুঁয়েছি এমনভাবে ভিতরে ভিতরে চমকে উঠি, ওর হাত ছাড়া সবকিছু আউট অব ফোকাস হয়ে যায়, মনে পড়ে সায়ন্তনীর কথা। এটা আগের স্কুলের কথা, প্রাইমারির। ওখানে কিন্ডারগার্টেন ওয়ান থেকে ক্লাস ফোর অবধি ছিলো। ওটা ছিলো সহশিক্ষার স্কুল, ছেলেরা মেয়েরা একই স্কুলে পড়াশোনা।
"অন্বেষা, তোর সাথে একই স্কুলে পড়লাম গোটা প্রাইমারি, সেখানের তোর কথা মনে পড়ে না কেন রে? এর কারণ কী? আমার দুর্বল স্মৃতি নাকি অন্য কিছু? "
অন্বেষা হাসে, সে আবার পুরানো মুডে ফিরে গেছে। বলে, "তুলি, শরদিন্দুর গৌড়মল্লার পড়েছিস? সেখানে রাজা শশাঙ্কের ছেলে মানব কী বলছিলো? পরাজিতকে কেউ মনে রাখে না। সেখানে আমি ছিলাম ভীড়ের মানুষ, প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয়ের ভিক্টরি বেদীতে আমাকে দেখতে পাস নি, তাছাড়া নাচগান জানতাম না, ফাংশানে পরীর নাচে দেখিস নি, মনে থাকে কী করে বল? মনে রাখার কিছু একটা উপলক্ষ্য তো লাগবে!"
"সে আমিও তো সেখানে ভীড়ের মানুষই ছিলাম, নাচগান আমিও পারতাম না, মেধাতালিকায়ও উপরের দিকে ছিলামনা। তোরও নিশ্চয় সেখানের আমাকে মনে নেই?"
অন্বেষা কিন্তু অবাক করে দিয়ে বলে, " না, তোর একটা স্মৃতি আমার আছে। ক্লাস থ্রীতে তুই আর সায়ন্তনী একবার যুগ্মভাবে একটা কবিতা আবৃত্তি করেছিলি একটা হঠাৎ হওয়া ফাংশানে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূজারিণী কবিতাটা। অত বড় কবিতা মাত্র কয়েকবার রিহার্সাল দিয়ে তোরা দু'জনে এমন সুন্দর পারফর্ম করেছিলি একসাথে, টিচাররাও অবাক! এখনো যেন শুনতে পাচ্ছি প্রথম স্তবক বললি তুই,
"সেদিন শারদ দিবা অবসান
শ্রীমতী নামে সে দাসী
পুণ্য শীতল সলিলে নাহিয়া
পুষ্পপ্রদীপ থালায় বাহিয়া
রাজমহিষীর চরণে চাহিয়া
নীরবে দাঁড়ালো আসি।"
তুই শেষ করতেই সায়ন্তনী ধরে নিলো একদম পুরো সঠিক টোনে,
"শিহরি সভয়ে মহিষী কহিলা
একথা নাহি কি মনে?
অজাতশত্রু করেছে রটনা
স্তূপে যে করিবে অর্ঘ্যরচনা
শূলের উপরে মরিবে সে জনা
নতুবা নির্বাসনে।"
তারপরের স্তবক আবার তুই। এরকম তো আগে হয় নি ওখানে, সবার চমক লেগেছিলো। "
ঐ ফাংশানের কথা আমারও মনে ছিলো না, অন্বেষার কথায় আবার মনে পড়লো ছায়া-ছায়া। আর আবার এই কথার সূত্রেও মনে পড়লো সায়ন্তনীকে। সে আজ তার ভাগটুকু না নিয়ে যাবে না।
দীঘা যাচ্ছিলাম আমরা স্কুল থেকে, ক্লাস ফোরের চল্লিশজন ছাত্রছাত্রী আর সঙ্গে আমাদের ক্লাস টিচার পরমাদিমণি আর আরেকজন দিদিমণি যিনি প্রকৃতিবিজ্ঞান পড়াতেন সেই সোমাদিমণি। আলাদা বাসভাড়া করে আমাদের যাওয়া, খুব ভোরে স্কুলের সামনে থেকেই ছাড়লো বাস। সেদিন যাওয়া, পরদিন থাকা, তারপরদিন ফেরা। আমাদের উৎসাহের শেষ নেই, এই প্রথম স্কুল থেকে এক্সকার্শানে যাওয়া। আগে তো এরকম হতোই না, নেহাত আমাদের ক্লাস টীচার নতুন যোগ দিয়েছেন কাজে, নতুন আদর্শবাদ তার ভিতরে টগবগ করছে। আমাদের সমুদ্র দেখাবেন, চারপাশের পরিবেশ বোঝাবেন, আরো কত কী করবেন। আমরাও টগবগ করছি সেই নয়/দশ বছরের নতুন কৈশোর টগবগেরই তো সময়।
গোটা পথে আনন্দ করতে করতে আমরা গেলাম, সমুদ্র দেখলাম, কিন্তু ফেরার পথে সবাই চুপ, পাথরের মতন ভারী হয়ে রইলো বাতাস। সবাই ফিরছে সায়ন্তনী বাদে। স্নান করতে নেমেছিলাম আমরা সবাই। কখন সায়ন্তনী ঢেউয়ের ধাক্কায় ডুবজলে চলে যায়। তারপরে আরো আরো গভীরে। সমুদ্র তাকে টান দিয়ে নিয়ে গেল, দেহটা ফিরে এলো পরে।
"অন্বেষা, তোর মনে পড়ে সেই দীঘা যাওয়া? সায়ন্তনী---- "
ও মাথা হেলিয়ে জানায় মনে পড়ে, আস্তে আস্তে বলে, "সেই মেয়ে দশ বছরেই থেমে রইলো, চিরদিনের কিশোরী। বড় হতে হতে মানুষের সংসারের শঠতা ক্রুরতা বিশ্বাস ভাঙা এসব আর দেখতে হলো না ওকে।"
নিশ্চুপ হয়ে যাই আবার আমরা, বাতাসও যেন চুপ। গর্ভবতী নিস্তব্ধতা। বহুযুগের ওপারের একটা বাচ্চা মেয়ে কাজলকালো চোখ দুটো মেলে আমাদের দিকে চেয়ে থাকে যেন। ওর ঠোঁটে অভিমানের রেখাগুলো পড়তে পারি, সে যেন বলছে, আমার যে আর বড়ো হওয়া হলো না!
সত্যি কি সে নেই? হয়তো ছড়িয়ে গেছে আমাদের সবার মধ্যে, বড় হয়েছে আমাদেরই নকশিকাঁথার মতন বিচিত্র জীবনে। আজকের এই স্মৃতিকথা, আগামীকালের অন্য কারুর আরো কোনো অন্য স্মৃতিকথা, এসব তো সেই তাদের জন্যও, চিরকিশোর-চিরকিশোরী সেইসব চলে যাওয়া বন্ধুরা, আমাদের জীবন্ত হৃদয়গুলোর প্রতি স্পন্দনে যারা রয়ে গেছে লীন হয়ে।
এখন একেবারে আলো কমে গেছে, একটা দুটো তারা ফুটছে। আমরা ফেরার পথ ধরি।
(চলার সম্ভাবনা আছে )
মন্তব্য
(গুড়)
শরদিন্দু > শরবিন্দু হবে বোধহয়
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ।
শরদিন্দু মানে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, বিখ্যাত লেখক, মাস্টার স্টোরিটেলার।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ওহ! ধন্যবাদ।
কিন্তু লেখা এত ছোট যে! পরের পর্বের দৈর্ঘ্য যাতে বড় হয়...হুঁ।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
উঁহুঁ, এইসব কোয়ান্টাম লোকজনকে এ ধরনের অনুরোধ করতে হয় না - মুন্ডুর ভেতরে প্যাঁচ লাগাতে এঁদের জুড়ি নেই। শেষটা দেখবেন ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একখানা ঝেড়ে দিয়ে আপনাকে বলে দিচ্ছেন আপনি লেখার মর্মার্থ ঠিকঠাক বুঝেছেন বলে দৈর্ঘ্যটা বুঝতে ভুল হয়েছে বা ওই ধরনের কিছু।
আজকে এক কোয়ান্টাম তত্ত্বমূলক বই পড়তে গিয়ে দেখলাম দাবী করা হয়েছে কণা ওই যে রেস্টুরেন্টে ভালো চিংড়ি রান্না হয় সেখানে খেয়েদেয়ে বৃহস্পতি গ্রহের চারদিকে গোটাকয় চক্কর খেয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয় বা এধরনের কিছু একটা - এখনো হজম করে উঠতে পারিনি।
(বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই কণা কণিকামাত্র, কোন মানুষের নাম নয়)
ঠিক, একদম ঠিক।
আরে লেখা কি শুধু কথাগুলোই? কথার মাঝের নিস্তব্ধতা, ভাবনা, সুখ দু:খ গুলো নয়? সবগুলো নিয়ে হিসাব করুন।
দাড়িবুড়া তো বলেইছেন, "কিছু তার দেখি আঁকা, কিছু পাই অনুভবে" তবে?????
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
দারুণ কইছেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভেবেছিলাম মজার কাহিনী পড়বো... মনটা খারাপ হয়ে গেলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মন খারাপ কইরা কী হইবো নজরুল? ভালা থাকেন, একটা মজার নাটক বানান, তুলেন ইউটিউবে, দেইখা পরাণ খুইলা হাসি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আরে মিচিও কাকুর বই পড়বেন, দেখবেন নিজেই ঘর থেকে বারান্দায় যেতে সূর্য প্লুটো প্রক্সিমা সেন্টরি মিল্কিওয়ের কেন্দ্র ঘুরে একচুপি অ্যান্ড্রোমিডাটা ঘুরে দেখে নিয়েই তারপরে ধুপ করে বারান্দায় গিয়ে পড়লেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কি জ্বালা, ঠিক করেছিলাম আপনার উপকথা আর ইস্কুলবেলার সবক'টা পর্বে প্রথম মন্তব্যটা আমার হবে... এইটাতেও তা-ই ছিলো, হাওয়া হয়ে গেলো কোথায়?...
ইয়ে দিদি, আপনার গপ্পগুলোকেও কি বিশ্বব্রহ্মান্ডের 'যেকোন জায়গায়' 'যেকোন মুহূর্তে' খুঁজে পাওয়ার 'কিছুমিছু সম্ভাবনা' থাকে আর তাই মাঝে মধ্যে এখানে পাওয়া যায়? নইলে সবকিছুর শেষে ওই একখানা আনসার্টেনটি ঝুলে থাকে কেন?
(গ্র্যান্ড ডিজাইন হজম করার চেষ্টা করছি, আপনার লেখা থেকে মোটামুটি প্র্যাকটিক্যাল ভিউ পাওয়া যায়...)
আরে এ আর এমন কি? সাইআমের জুন সংখ্যায় পড়লাম এই যে বড় বড় সব পরিয়ায়ী পাখি, মানুষ, লবণখন্ড, বড় বড় গাছ এদের যে আমরা ক্লাসিকাল বলে নিশ্চিন্ত হয়ে আছি, সব ক্লাসিকাল মাপজোক পাওয়া যাবে বলে, সে গুড়ে বালি! সবই নাকি কোয়ান্টাম! ঠিকমতো খুঁজতে পারলে সবখানেই নাকি ইন্টারফেরেন্স প্যাটার্ন, এনট্যাঙ্গলমেন্ট এইসব পাওয়া যাবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখনই গেছে পাওয়া। সালোকসংশ্লেষের এই যে নিয়ার-পারফেক্ট এফিসিয়েন্সি আর পরিযায়ী পাখিদের নিখুঁত দিক বোঝা এও নাকি এনট্যাঙ্গলমেন্টের খেলা! বুঝুন।
দেখি ঐ সাইআম লেখাটার সারানুবাদ দেবার ইচ্ছে আছে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হুঁ, ওই কীসব অতীত নিয়ে কথাবার্তা, এই যেমন এখন এখানে থেকে বাসায় যাবো সেটা নাকি আমি একটা রাস্তায় যাচ্ছি না, সেটা নাকি সকল সম্ভাব্য পথের কি এক কম্বিনেশন...এবং আমি একটু মোটাসোটা মানুষ বলেই নাকি আমার নিউটনিয়ান পথের সাথে বেশি সম্ভাবনাময় অন্য পথগুলো কনস্ট্রাক্টিভ ইন্টারফিয়ারেন্স ঘটিয়ে মোটামুটি নিউটনিয়ান রাস্তায়ই নিয়ে আসে...
কেমন কেমন জানি...আমি অসীমসংখ্যক রাস্তা ধরে এখান থেকে বাসায় যাচ্ছি, তাও আবার একই সময়ে, ব্যাপারটা চিন্তা করতেই যেন কেমন লাগে...
ফাইনম্যানের পাথ ইন্টিগ্রাল অ্যাপ্রোচ। কণিকা অসীম সংখ্যক বিভিন্ন পথ ধরে এক বিন্দু থেকে আরেক বিন্দুতে যায়। এপাশ ওপাশের সব পথ মারামারি করে কাটাকুটি হয়ে গিয়ে শুধু চেনা শর্টেস্ট পথটাই পড়ে থাকে।
আমার কিন্তু বেশ লাগে ভাবতে, ঘরে যাবার পথে সূর্য নেপচুন ছায়াপথের সেই মিলিয়ন সোলার মাস কেন্দ্র দূরের সেই সম্ব্রেরো গ্যালাক্সি যার আজকের আলো এসে পৌছাবে বহু বহু বছর পরে অর্থাৎ কিনা প্রচলিত কোনো উপায়েই যাদের কাছে যেতে পারবো না নীতিগতভাবেই, সেই সবাইকে ছুঁয়ে এলাম সম্ভাবনার এই ডানা দিয়ে।
আসলে কোয়ান্টামের মাথাঘোরানো তত্ত্ব আর নতুন নতুন পরীক্ষানিরীক্ষাগুলো স্পেসটাইমের মূল চরিত্র নিয়েই আমাদের নতুন করে ভাবতে বলছে। হতে পারে স্পেসটাইম ব্যাপারটাই একটা ইলুশন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আবারো বাটপারী পোস্ট। তবে এই পোস্টের এই শব্দটার জন্য আপনার সাত খুন মাফ হয়ে গেলো।
এমন অপার্থিব তুলনা আপনার মাথায় এলো কী করে!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পান্ডব, আসলে কথাটা পুরানো, পন্ডিতেরা পাত্রাধার তৈল না তৈলাধার পাত্র নিয়ে যখন বিপুল বিক্রমে তর্ক করতেন, তখন কোণে বসে থাকা কিছু চুপচাপ কবি নানা কবিতা রচনা করেছেন। ওনারাই এই আশ্চর্য শব্দযুগলের আবিষ্কর্তা।
তা স্পনসর ঠাকমা কোথায়?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
একটা ধাক্কার মতো লাগলো সায়ন্তনীর কথা পড়ে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রানা, ছোটোবেলার এইসব দু:খগুলো থেকে যায়, মোছা যায় না। সায়ন্তনীরটা তবু দুর্ঘটনা বলে সান্ত্বনা পাওয়া গেলেও যেতে পারে, মালতী বলে আরেকটি মেয়ে আমাদের সাথে পড়তো, ক্লাস এইটে পড়ার সময় নিজেকে নিজে শেষ করলো। এসব দু:খগুলো আরো গভীর হয়ে কেটে বসে যায়। তবু আমরা থেকেই যাই, জীবনের লাবণিক স্রোতে বহে নিয়ে চলি এইসব দু:খসুখ, হারানো ও পাওয়া।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সকালের একফালি সোনালি রোদ্দুর!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ রোমেল।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নজরুলের একটা গান মনে পড়ল,
তোমার মহাবিশ্বে কিছু হারায়নাকো কভু,
আমরা অবোধ অন্ধ মায়ায় তাইতো কাঁদি, প্রভু।
শক্তির নিত্যতা সূত্র?
ঠিক।
এ মহাবিশ্বে হারায় না অনুপরমাণু ও। সব থেকে যায়। শুধু আমাদের সীমাবদ্ধ মানুষজীবন সেই অবিচ্ছিন্ন ধারা ধরতে পারে না, এই দু:খ। তাই আছে আমাদের গান, ছবি, কবিতা, গল্প।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
খুব ভালো লাগলো স্মৃতিচারন। আপনার বর্ননা মনকে ছুয়ে যায়।
ধন্যবাদ আসমা। ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভীষণ মন খারাপ হলো তুলিদি!
মনখারাপ কোরো না, জীবন সাদাকালো তো না, নানা রঙে ভরা। কখনো সাদা হয়ে যায় কালো আবার কখনো কালো বলে যাকে মনে করেছিলাম একদিন, ফিরে দেখি তার মুকুটে শত শত অনির্বচনীয় রঙের আলো ঝলমল করছে। দু:খ করে কী হবে, বলো?
ভালো থেকো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
স্মৃতিচারণ ব্যথাতুর করল।
জীবন এমনই, কত অন্ধকার কত আঘাত কত প্রিয়বিচ্ছেদ কত অপ্রিয়সঙ্গ-তবু জীবন বহে চলে। এরই মাঝে আলো ও তো জ্বলে কখনো কখনো, ভালোবাসার স্নিগ্ধ শুশ্রুষার জলও তো ঝরে খরায় ফুটিফাটা মনজমিনে, নয় কি?
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অবশ্যই সঠিক বলেছেন।
কবিতার মত লাগলো। দারুণ।
কল্যাণ হোক।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ব্যাকলগ লম্বর ১-টা পড়া হল, কয়টা হবে কেজানে...
সব ব্যাকলগ ক্লিয়ার হয়ে গেল?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ধন্যবাদ আশালতা।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন