কবে যেন চলে গেছিস তুই, হিমঝরা শীতের শেষরাত্রি ভোর হয়ে গেছে। শুধু ফেলে রেখে গেছিস কিছু কমলা-গোলাপী নখরঞ্জনী, মরিচারঙের দাগলাগা ঘী-রঙের রুমাল, কোণাওঠা আয়না একটা আর আলতার একটা আধা-ফুরানো শিশি।
তারপরে বসন্তও এসেছিলো, সেও চলে গেছে। এখন গ্রীষ্ম, এখন আকাশের নীলে তামাতামা গরম। অপরিমেয় রোদে ধুয়ে যায় মাঠ। দিনান্তের সন্ন্যাসী চলে যায় লোহিতজটায়। রেশমী রাত ভরে যায় নক্ষত্রমুকুতায়, আরক্ত চুম্বনে মোমবাতি ছুঁয়ে ছুঁয়ে তোকে মনে করি।
কোনোদিন নিদাঘ-সন্ধ্যার খোলা জানালার ধারে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিমন্ত্র বলি, সেই অনেক আগের মতন। তখন আমরা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখেছিলাম, শুনেছিলাম আকাশের সাথে বসুধার জোড়মেলানো গান। দেখেছিলাম কেমন করে ফুটিফাটা ভিক্ষাপাথর ভরে যায় অনি:শেষ সুধায়।
তুমুল বৃষ্টি এলো
ভিক্ষাপাত্র ভরে গেল জলে,
জীর্ণবাসে ছিন্না ভিখারিণী
মুখ রাখে মেঘরাত্রিতলে।
জটাভার কেশজাল নীড়ে
ফুটে ওঠে নষ্টচন্দ্রকলা,
আঁকিবুকি রাঙামাটিমুখে
বল্গাহীন পাথরের ফলা।
উদরে ক্ষুধা ও শাবক
হৃদয়ে জ্বরের প্রলাপ,
শর্তহীন তৃষার্ত প্রেমিক
ছিঁড়েছিলো ওষ্ঠগোলাপ।
নখরে ছিন্ন বুকে ওর
জন্ম নেয় রক্তবীজদল
বেদনায় নীল ভিখারিনী
নাভিনীলে অশ্রুশতদল।
ঝঞ্ঝারজনীশেষে ভোর
জেগে উঠে আকাশের কোলে-
বাতাসে ছড়ানো আলোমুখ
ভিক্ষাপাত্র ভরে আছে জলে।
*****
মন্তব্য
(কাব্য বুঝিনা)
সে কী ?????
কাব্য না বুঝলে কোয়ান্টাম বুঝবে কী করে?????
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অসাধারণ লাগল----!!!
ধন্যবাদ অনিকেত। অনেকদিন পরে আপনার মন্তব্য পেলাম।
ভালো আছেন?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
চমৎকার বর্ননা!!! কবিতা খুব ভালো হয়েছে!
ধন্যবাদ আসমা। ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কয়দিন আসিনাই, এর মধ্যে তুলিদি দা AWM বোধহয় ডজনখানেক পোস্ট দিয়ে ফেলেছেন!
আসেন নাই কেন???? ;-?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বেস্ত ছিলুম যে!
ডিপার্টমেন্টে চৈনিক বালিকার সংখ্যা বেড়েছে নাকি হঠাৎ করে?
বেস্ত? এই ভরা বসন্তে ? কন কী? তবে কি আপনের স্বপণচারিণী সেই চৈনিকা বালিকারে পাইলেন?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আরে আরে, আপনারা শুরু কর্ছেন কী? আস্তে কন! চারিদিকে মুরুব্বিরা রয়েছেন, বলতে নেই এলিজিবল বালিকারাও রয়েছেন, এর মধ্যে এসব কথা তুলতে আছে?
নারে ভাই, সেসব কিছু ঘটেনাই। কাজেকর্মে বেস্ত ছিলাম, লোকজনও এয়েছিল, এই যেমন সজল ভাই বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে গেলেন একদিন...
তা সেইসব লইয়া পোস্ট দ্যান। কই, দিলেন?
ভালো কথা, কীটার্লে সাহেবের ল্যাবের এক্সপেরিয়েন্স কীরকম হইলো? কী কী দেখাইলো সাহেব? কী কী কইলো? আপনে তারে কী জিগাইলেন? ফোটো তুললেন? সে হাসলো?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আহা, আমি কোন সার্নের অধিকর্তা যে সে আমারে নিজে থেকে ট্যুর দিবে? আর সায়েব তখন ছিলও না দেশে... ল্যাবের বন্ধুই দিল ট্যুর। দেখলাম তো বেশ, তবে আমি হলুম ওইলাইনে মুখ্যুসুখ্যু, আমি আর কি সব বুঝিয়ে কইতে পারি?
সার্নের অধিকর্তা এখন কেডায়? এককালে এমন এক রাগী লোক সে পদে ছিলো যে তার সেক্রেটারি টিকতো বড়জোর এক হপ্তা। দেখেশুনে মোটাসোটা এক বিজ্ঞানী কইলেন WWII তে বম্বার পাইলটদের সারভাইভাল রেট ও এর চেয়ে ভালো ছিলো। আশা করি সেরকম কেউ এখন সেপদে নাই।
কিন্তু আপনাকে বুড়ো সায়েব ল্যাব দেখায় নি একদিকে ভালোই, সুন্দরী চৈনিকা বালিকারা বেশ যত্ন করে দেখিয়েছে বুঝিয়েছে।
তবে বুড়োটাকে আমার বেশ লেগেছিলো ছবি দেখে, যদি এ গোলাম হোসেনের ও কোনোদিনন বস্টনে যাওয়া হয় তাইলে তেনাদের দেখার ইচ্ছে। এই বুড়ো, আরেক বুড়ো উইটেন, আর গ্রীন আর লিসাদিদি। ব্যস, এই শুধু।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আহা এ তো বলতে হয়না... ল্যাবে খাওয়াদাওয়া থাকবে এতটা আশা করা ঠিক না, আর খাওয়াদাওয়া যখন নেই, তখন চৈনিক বালিকা ছাড়া আর কীসের আকর্ষণে কৌস্তুভ ওখানে ঘুরতে যাবে?
আমি কি জানি, ওসব তো আপনি জানবেন!
নাঃ, চৈনিক বন্ধু, বান্ধবী না...
চলেই আসেন না বস্টনে, কী আর, দুদিনের দুনিয়া...
তুলিদি ইদানীং পোস্ট প্রথম পাতা থেকে সরা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন না, নিজেই ঘাড় ধরে সরিয়ে দিয়ে আরেকটা ঝেড়ে দেন।
AWM মানে কী?
কী কান্ড! এই বালক তো দেখি কৌস্তুভদারে দেইখা কমপ্লেইন করে! সৌজন্যবোধে তুলিদিরে কইতেও পারে না, আরে এইসব আপলাঝাপলা কী লিখেন! আবার সইতেও পারে না।
আহারে ঠিক আছে, আমিও না হয় বেস্তই হইয়া পড়ি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
উঁহুঁহুঁ সবাই খালি আমাকে উল্টো বোঝে
আপলাঝাপলা কইলাম কখন? আর ওটা কমপ্লেন না তো, সত্য ঘটনার নিরপক্ষ বর্ণনা। মাঝে মধ্যেই আপনার লেখা পড়ি, পড়ে মগজে ঢুকতে যেহেতু একটু সময় নেয়, মন্তব্য করতে এসে দেখি সেটা নেই! তার বদলে প্রথম পাতায় আরেকটা হাজির। তার মধ্যে আপনার ইস্কুলবেলা ১১ তো রীতিমত জাদুকরী খেল দেখালো, এই দেখি প্রথম পাতায়, আবার কয় মিনিট পর নেই, আবার হাজির, আবার হাওয়া...পুরো একটা দিন এরকমই করলো।
দোহাই দিদি, বেস্ত হয়ে পড়লে আমাদের কী হবে?
আরে ওটা আছে আর নেই এর লিনিয়ার কম্বিনেশানে ছিলো, তাই। পরে আবার লগিন করে কী একটা লিখতেই স্টেবল হয়ে সাদামাঠা ক্লাসিকাল হয়ে গেল।
আর ভায়া, কিছুদিন নাহয় বেস্ত থাকি! সুন্দর সুন্দর গেলমানেরা তরমুজের সরবত আইনা দিবো, চা আইনা দিবো সিঙারা আইনা দিবো, মাঝে মাঝেই ওরে কে কোথায় আছিস কইলেই ছুইটা আইয়া কইবো--- কী লাগবে?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তখন যদি কই, "তুলিদির ইস্কুলবেলা আর উপকথার ছাপানো সঙ্কলন লাগবে" ... দিতে পারবে ব্যাটা গেলমান?
গেলমানেদের মুখ দেখলে এমন থ হয়ে যাবেন যে এসব তুচ্ছ জিনিস চাইবার কথাই মনে আসবে না। তাছাড়া সেখানে চতুর্মাত্রিক লেখকেরা সব দশমাত্রিক লেখা লেখেন, একেবারে আলো শব্দ নাচ গান রেজোন্যান্স আর অগুনতি আরো নানা ফিচার সহযোগে। সেখানে তুলিদির বই??? হে হে ধুলিমাত্র!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হুঁ:
চতুর্মাত্রিক দেখতে ওখানে যেতে হবে কেন? কয়দিন আগেই তো এক স্টুডিও না কিসের বিজ্ঞাপনে দেখলাম ত্রিমাত্রিক ছবিতে অনেক কিছু বোঝা যায় না বলে তারা চতুর্মাত্রিক ছবি তোলে। পোস্টারটা রেখে দিয়েছিলাম, কিন্তু দেশে ফেলে এসেছি।
ছোটবেলায় পরকাল ফকফকা করার জন্য স্কুলে ধর্ম পড়াতো, সেখানে বইতে লেখা ছিলো মরলে পরে কবরে নাকি তিনখানা প্রশ্ন করা হবে - "মান রাব্বুকা? ওয়ামা দ্বীনুকা? মান হাযার রাযুলু?" সেগুলো মুখস্থ করে পরীক্ষায়ও পাশ করতে হয়েছিলো। কিন্তু তখন থেকেই দুশ্চিন্তা, এই তিনটি না হয় মুখস্থ করে ঝেড়ে দিলাম, আস্ত ভাষা তো আর মুখস্থ করে ঝাড়া সম্ভব নয়, তাহলে স্বর্গে বসে ওখানকার এইসব হুর গেলমানদের সাথে কথা বলবো কি করে? তারা তো মনে হচ্ছে একখানা ছাড়া ভাষা বোঝে না! সেই একখানাও আবার এমনই খটমটে যে বেহেস্তের সাধ ওখান থেকেই মিটে গেলো।
ইয়ে, নরকে আপনার বই মিলবে তো? তাহলে সেখানেই যাবো। না মিললেও সম্ভবত যাবো, তবে মিললে একেবারে নিশ্চিত হতাম আর কি।
ও তিনটা প্রশ্নের মানে কী? চিন্তা করুন, পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফাঁস করে দিলো????
আর পেটের দায়ে ইংরাজী শিখলেন, হুরের গেলমানের দায়ে না হয় সে ভাষাও শিখলেন!
খুব ইন্টারেস্টি একটা ব্যাপার হলো সনাতন ধর্মেও এই ভাষার ব্যাপার রয়েছে, দেবভাষা নাকি সংস্কৃত। সম্ভবত পুরানো বা নতুন সব ধর্মেই কোনো একটা ভাষাকে কমুনিকেশন মাধ্যম করা হয়েছে।
আমার চিরকাল এনাদের জিগাতে ইচ্ছা হয়, এরকম ভাষা ডিপেন্ডেন্ট হবে কেন যদি এত লিমিটলেস হয় ব্যাপারটা! ভাষা তো একটা বিরাট লিমিটেশন! বরং সরাসরি টেলিপ্যাথি দিয়ে কমুনিকেট করলে তবে বুঝি যে হ্যাঁ লিমিট নেই!
আর যেই না তুলিদি, তার আবার বই! তারচেয়ে তুলিদার বই পড়ুন, তুলিও সুবরান। তিনি আমার পুরানো ইস্কুলে পড়াতেন কম্পুসায়েন্স।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ইংরেজী অনেক সোজা ভাষা, আমার মত বোকাসোকা ভীতু টাইপ "ধর্ম শুধুমাত্র ভালো কথা বলে" - বুঝতে অক্ষম, নিরীহ গোবেচারা মানুষ সেটা শিখতে পারে আরবী ভাষাটা অনেক কঠিন, আমার মাথায় ধরবে না - কই যেন শুনেছিলাম আরবী ব্যাকরণ নাকি পৃথিবীতে সবচেয়ে প্যাঁচালো।
প্রশ্ন ফাঁস করে দিক, সমস্যা নেই, সমস্যাটা ছিলো প্রশ্ন আর উত্তর দুই-ই লেখা ছিলো বাংলা অক্ষরে আরবীতে। দেখেছেন আমাদের পরকাল নিয়ে বই লেখকের কত দুশ্চিন্তা?
আহা, ধর্মগুরুদের তো 'সম্মানজনকভাবে' খেয়ে বাঁচতে হবে নাকি? দেবভাষা না থাকলে সবাই যদি সব বুঝে যায় তাহলে ওনাদের পেশা কী হবে?
উঁহুঁ, আমি তুলিদির বই চাই... (এবং এটা পৃথিবীতে একমাত্র দাবী যেটা চকলেট ঘুষ দিয়ে পাল্টানো সম্ভব না)
পছন্দনীয় ভাই, AWM উপাধিটা বোধহয় পাণ্ডবদার দেওয়া, মানে হল automatic writing machine...
ভাবেন একবার! নেহাৎ পান্ডবদা ওয়ান অব দ্য পোটেনশিয়াল স্পনসরস, তাই যা কয় মাইনা লই, না হইলে আমিও তো ওনারে ATM ডাকতে পারতাম.
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কিন্তু এই লেখাটা তো কোয়ান্টাম না!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এরা কেউ আর আসেন না এখানে। তবু আমি বলে যাই কবিতা ভাল লেগেছিল। আর, ধন্যবাদ দিই মনের মুকুর-কে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নতুন মন্তব্য করুন