এই উপকথা পর্তুগালের। কিন্তু কেমন করে যেন আমাদের ঘরের, মাঠের, ঘাটের চেনা গল্পের সাথে মিলে যায়। আদিপুস্তকের জোনার গল্পের সঙ্গেও মিল আছে এই গল্পের আর ইতালির পিনোক্কিও কাহিনির সঙ্গেও মিল আছে।
এক ছিলো ভাই আর এক ছিলো বোন। ভাই বড়ো বোন ছোটো। এই ভাই আর বোন যখন নিতান্ত শিশু, তখন তাদের বাবা মারা যান। ত্রিভুবনে তাদের এক মা ছাড়া আর কেউ ছিলো না। কালে কালে ভাই-বোন বড় হয়, তরুণ বয়সে পৌছে যায়। ভাই নাবিক হলো, সে সমুদ্রে বেরিয়ে পড়লো বাণিজ্য করতে। বোন রইলো কুটিরে, মাকে দেখাশোনার জন্য।
তাদের দুঃখিনী মা একদিন জ্বরে পড়লো। মেয়ে মায়ের যথাসাধ্য সেবাযত্ন করে, কিন্তু মা দিন দিন আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন। মেয়ে কী করবে ভেবে পায় না, ভাই ও কাছে নেই।
মা ক্রমে ক্রমে একেবারে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। একেবারে শেষ সময় এসে গেছে বুঝতে পেরে মা মেয়েকে কাছে ডাকেন। মায়ের নির্দেশে মেয়ে বাক্স খুলে বের করে আনে একটা যত্ন করে পাট করে রাখা তোয়ালে আর একটা কাঠের চিরুণী। মা মেয়ের হাতে সেই তোয়ালে আর চিরুণী তুলে দিয়ে বলেন, "এই দুটো জিনিস আমি তোর জন্য রেখেছিলাম মামণি। আমি যখন থাকবো না, তখন স্নান করে উঠে এই তোয়ালেতে চুল মুছবি আর চিরুণীটা দিয়ে চুল আচড়াবি, আমাকে তাহলে তোর মনে পড়বে।"
এর কিছু পরেই মা চিরদিনের মত চোখ বুজলেন। মেয়ে অনেক অশ্রুপাতের পরে সদয় পাড়াপ্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়ে মায়ের অন্তেষ্টি সমাধা করলো।
পরদিন স্নান করে সেই মেয়ে মায়ের দেওয়া তোয়ালেতে মাথা মুছে যেই না চিরুণী দিয়ে চুল আচড়াতে শুরু করেছে, অমনি রাশি রাশি মুক্তো ঝরে পড়তে শুরু করেছে চিরুণীর গা বেয়ে। মেয়েটা প্রথমে তো থ হয়ে গেল, তারপরে আস্তে আস্তে সম্বিৎ ফিরে পেয়ে মুক্তোগুলো কুড়িয়ে জড়ো করে রেখে দিলো কৌটোয়। মনে মনে সে ভেবেছিলো মায়ের আশীর্বাদেই এই মুক্তোঝরা।
একপ্রস্থ বাণিজ্য শেষ করে ভাই দেশে ফিরলো একদিন। ঘরে ফিরে বোনটির কাছে শুনলো মা আর নেই। ভাইবোনে মিলে কান্নাকাটির পরে একসময়ে শান্ত হলো তারা। তখন বোন ধীরে ধীরে মায়ের চিরুণীর কথা বললো, সেটা দিয়ে চুল আচড়ালে যে মুক্তা ঝরে তাও বললো। সেদিন স্নানের পরে মাথা মুছে সে যখন আবার চিরুণী দিলো চুলে, তখনই আবার ঝরঝরিয়ে মুক্তা। সে বড় বড় উজ্জ্বল মুক্তাগুলো দেখে ভাই তো থ। এ মুক্তা নিয়ে রাজাকে সে বিক্রি করবে বলে ঠিক করলো।
জমানো সব মুক্তা কৌটায় কৌটায় ভরে নিয়ে ভাই আবার জাহাজ ভাসালো, রাজার কাছে গিয়ে বিক্রি করলো মুক্তাগুলো। অনেক দাম পেলো। রাজা এমন ভালো মুক্তা আগে দেখেন নি, তিনি জানতে চাইলেন কোথায় পাওয়া গেছে এই মুক্তা। ভাই রাজাকে সব বলে দিলো। তার বোন, বোনের চিরুণী, নেয়ে উঠে চুল আচড়ানোর সময় থেকে মুক্তা ঝরা-সব। শুনে রাজা নিজের চোখে দেখতে চাইলেন।
ভাই তখন বললো, "ঠিক আছে, পরের বার বোনকে সাথে করে আনবো মহারাজ, আপনি নিজের চোখেই সব দেখবেন। "
রাজা বললো, "মনে থাকে যেন। যদি দেখাতে না পারো, তাহলে তোমার প্রাণদন্ড। আর যদি সব সত্যি হয়, তাহলে তোমার বোনকে আমার রাণী করবো। আর তোমাকে দেবো অনেক ধনদৌলত।"
ভাই জাহাজ ভাসিয়ে ফিরে এলো বাড়ীতে। এসে বোনকে সব বললো।
এদিকে তাদের পাশের বাড়ীতে থাকতো এক কুটিল স্বভাবের মহিলা আর তার মেয়ে। সে মেয়েও বয়সে এই মেয়েরই কাছাকাছি। পাশের বাড়ীর লোকেদের এমন রমরমা তাদের প্রাণে সয় না। কিন্তু মনের ভাব তারা নিপুণভাবে লুকিয়ে এসে ভাব জমায় এদের সাথে। যাদের গরীব বলে এতকাল হেলাতুচ্ছ করে ফিরেও তাকায় নি, তাদের সঙ্গে এমন ব্যবহার শুরু করলো যেন কত আপন, কত প্রাণের নিকটের তারা। এই ভাইবোন সোজাসরল, বোঝে নি কুটিল এই প্রতিবেশীদের উদ্দেশ্য। তারা ভালোমনেই এদের গ্রহণ করলো।
রাজার কাছে যাবার দিন এগিয়ে আসছে, ভাইবোন গোছগাছ করে। পাশের বাড়ীর সেই মহিলা ও তার মেয়েকে নিয়ে এদের সাথে যাবার বায়না ধরেন। এই ভাইবোন আবার কাউকে "না" বলতে পারে না সহজে, রাজি হয়ে যায়।
জাহাজে করে একদিন রওনা দেয় সবাই। এদিকে সেই কুটিল মহিলা নজরে নজরে রাখতো এদের, মুক্তাঝরার ব্যাপার একদিন সে জেনে ফেললো। তারপরেই সে ঘুমের ওষুধ দিয়ে বোনটাকে এমন ঘুম পাড়ালো মনে হলো সে বুঝি মরেই গেছে। ভাই অনেক কান্নাকাটি করলো, কিন্তু বোন চোখ মেলে না। দুর্ভাগ্য বলে মেনে নিয়ে সে বোনের দেহ সমুদ্রে সমাধি দিলো যেমন কিনা তাদের নিয়ম ছিলো জাহাজে কেউ মারা গেলে।
এবারে তো আর রাজার কাছে যাওয়ার মানে হয় না। মুক্তাঝরা দেখাতে না পারলে রাজা তো প্রাণদন্ড দেবেন। সে জাহাজ ঘুরিয়ে ফিরে যাবার উপক্রম করলো। কিন্তু সেই কুটিলা মহিলা তাকে পরামর্শ দিলো, " শুধু শুধু এতবড় একটা লাভ কেউ ছেড়ে দেয়? রাজা তো আর তোমার বোনকে চেনে না, আমার মেয়েকে সাজিগুছিয়ে রাজার সামনে দিলেই হবে। তোমার বোনের তোয়ালে আর চিরুণী আমার মেয়েকে দাও, সে তোয়ালেতে মাথা মুছে চিরুণী দিয়ে চুলে টান দিলেই মুক্তা ঝরবে। তখন রাজাও তোমাকে অনেক ধনদৌলত দেবেন। "
ভাই নিতান্ত অনিচ্ছাসত্ত্বেও এই পরামর্শই মেনে নিলো।
ক্রমে জাহাজ গিয়ে বন্দরে লাগে। জাহাজ থেকে নেমে তারা সবাই মিলে রাজপ্রাসাদে গেল। রাজা তাদের রাজ-অতিথিশালায় থাকার বন্দোবস্ত করে দিলেন।
পরদিন সকালে রাজা দেখবেন মুক্তার ব্যাপারটা। সকালে উঠে স্নান করে সেই কুটিল মহিলার মেয়ে প্রস্তুত। কিন্তু রাজার সামনে এসে যেই না তোয়ালেতে মাথা মুছে চুলে চিরুণী লাগিয়ে জোরসে টান দিয়েছে, মুক্তো টুক্তো কিছু পড়লো না, শুধু রাশি রাশি খুশকি পড়লো মেঝেতে।
রাজা তো রেগে অগ্নিশর্মা। তিনজনকেই কয়েদ রাখার হুকুম দিলেন রাজা। ক'দিন পরে ভাইয়ের প্রানদন্ড হবে এরকম ঠিক হলো।
এদিকে পরদিন সকালে রাজার বাবুর্চি ভালো টাটকা মাছ কিনে আনার জন্য গেল সাগরের তীরে, সেখানে টাটকা মাছের বাজার বসে। বাজারের দিকে সে যাচ্ছে সাগরবেলার বালুর উপর দিয়ে, সে দেখলো বালুর উপরে এক বিরাট তিমির মৃতদেহ।
কাছে এসে সে শোনে কে যেন বলছে, "কে আছো দয়া করে আমাকে এখান থেকে বার করো।" একটা মেয়ের গলা। কে কথা কয়? কেউ তো নাই আশেপাশে। আরো ভালো করে শুনে সে বুঝতে পারে মৃত তিমির পেটের ভিতর থেকে কথা কইছে কেউ।
কোমরের ছুরিটা বার করে সে তিমির পেট কেটে ফেলে। আর পেটের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে এক সুন্দরী। বাবুর্চি তো থ। এ কী কান্ড!
মেয়েটা তাকে যে কাহিনি বলে সে সেটা শুনে বিশ্বাস করবে কি করবে না বুঝতে পারে না। কিন্তু মেয়েটাকে এখানে এভাবে একলা ফেলেই বা সে যায় কী করে? সে মেয়েটাকে সাথে করে নিয়ে পাকশালার উপরে একটা ছোটো কুঠুরীতে লুকিয়ে রাখলো।
মেয়েটা কুঠুরীর জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখতে পেলো উঠানে তার ভাইয়ের কুকুরটা বসে আছে। এ কুকুর খুব বিশ্বাসী কুকুর, ভাই যেখানে যেতো কুকুরটাকে সঙ্গে নিয়ে যেত। চেনা প্রাণীটাকে দেখতে পেয়ে মেয়ে খুব খুশি হল। জানালা থেকে কুকুরটাকে ডাকলো, "ভুলি, ভুলি, আমার ভাই কোথায় রে?"
কুকুর বললো, "সে তো কয়েদখানায়। আগামীকাল তার প্রাণদন্ড।"
বাবুর্চি এদিকে রাজাকে গিয়ে গোপণে সব বলেছে। রাজা আর সে মিলে পরদিন সকালে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছে কী হচ্ছে। কুকুরটা উঠানে এসেছে আর উপরের কুঠুরীর ছোট্টো জানালাটা খুলে গেছে। জানালা থেকে এক সুন্দরী মেয়ে বিষন্ন গলায় বলছে, "ভুলি, ভুলি, আমার ভাইয়ের কী অবস্থা?"
কুকুরটা বলছে, " সে মাটিতে মুখ রেখে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে কয়েদখানায়। আজ তার প্রাণদন্ড দুপুরবেলা।" শুনে মেয়েটা দু'হাতে মুখ ঢাকছে।
রাজা আর বাবুর্চি দ্রুত সোপান বেয়ে উপরে উঠে কুঠুরীর দরজা খুলে মেয়েটাকে বার করে আনে। রাজার নির্দেশে সেই মেয়ের জন্য কুসুমগরম জলে স্নানের ব্যবস্থা করা হয়। স্নান সেরে সে ভেজা চুল মোছার জন্য সেই বিশেষ তোয়ালেটি পায়, আর তারপরে হাতে পায় সেই চিরুণীটি। চুলে চিরুণী বসিয়ে টান দিতেই ঝরঝর করে মুক্তা ঝরে ঘরের মেঝে ভরে গেল।
রাজা সব বুঝলেন। সেই কুটিল মহিলা আর তার মেয়েকে রাজা প্রাণদন্ড দিলেন। কয়েদখানা থেকে মুক্ত করা হলো ভাইকে, তাকে ধনদৌলত দিয়ে বিদায় করা হলো। আর এই মুক্তাঝরা মেয়েকে রাজা তার রাণী করলেন।
*******
ডি: চন্দ্রবিন্দু দিতে পারছি না। আমি ফোনেটিকে টাইপ করি, আর কিছু কিছু জিনিস যেমন অ ঃ ং ঙ চন্দ্রবিন্দু এসব মাউস দিয়ে এনে বসাই। বাকীগুলো কোনোভাবে আনতে পারলেও অক্ষরবাক্স থেকে কিছুতেই চন্দ্রবিন্দু আনতে পারছি না। অক্ষরবাক্সটা ছোটো হয়ে গেছে। একটু বড় করা যায় না। মডুরা একটু দেখবেন অনুগ্রহ করে?
মন্তব্য
ভাইটা রামছাগল।
এবং এটা এই পোস্টের প্রথম মন্তব্য।
একেবারে। আরেকটু হলেই ঘ্যাচাং হয়ে যাচ্ছিলো আরকি, কান ঘেষে বেরিয়ে গেছে।
তবে কিনা এই রামছাগলেরাই দুনিয়া ভরে ফেলেছে। এরাই তো কলোনী বানাতে দেশে দেশে যেতো স্পেন আর পর্তুগাল থেকে। তাই না?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
রামছাগল বোম্বেটে
লাফাংপুরাই
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
তাই তো ভাবি, তুলিদি এদ্দিন গেলেনকৈ?
শুরুতেই জানি ওই বোনটাকে রাজা বিয়ে করবে। সব গল্পেই এমন হয় কেন?
হবে না? যে মেয়ের মাথার চুল থেকে মুক্তো ঝরে, তাকে বৌ করলে একলাফে রাজা কত বড়োলোক হয়ে গেল না? এবারে রাজ্যবিস্তার কলোনি বিস্তার কত সুবিধা!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মুক্তোর ব্যাপারটা চমৎকার তবে ক্লাইমেক্সটা ঠিক জমে নাই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আরে এ গল্প একেবারে প্রেডিক্টেবল। ক্লাইম্যাক্স নাই ই।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আর ওই রাজাটা কী মুক্তো দেখেই বিয়ে করে বসলো? তাহলে কয়দিন পরে যদি মুক্তো মেশিন ম্যালফাংশান করে তাহলে কী হবে? মুন্ডু ঘ্যাঁচাং?
(চঁন্দ্রঁবিঁন্দুঁ সমস্যার সমাধান না করে দিলাম?)
ছোট বেলায় বাবা একগাদা এইরকম সব গল্পের বই কিনে দিতেন । চাইনিজ, রাশান, দেশি । বাবার সাথে সাথে ঐ স্মৃতি গুলোও চলে গিয়েছে কোথায়... এই গল্পটা পড়ে আবার মনে পড়ে গেল...
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ছোটোবেলার রূপকথাগুলোর মধ্যে মিশে থাকতো একটা অজানা দেশের আলোছায়া কল্পনা, সেটা বড় হয়ে আর পাওয়া যায় না। তখন নিতান্ত সাধারণ গল্প ও কত অসাধারণ মনে হতো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আরে রাজার কাছে মণিমুক্তাহীরাপান্না নতুন কলোনি এসবের চেয়ে বেশী দাম মানুষের নাকি? আর মুন্ডু ঘ্যাচাং, এতো হামেশাই করতে হতো রাজাদের। বৃটেনের রাজাটা কী করলো, একের পর এক রাণী আনলো, নানা ক্রিয়েটিভ উপায়ে রাণীদের ঘ্যাচাং। ভুগে মোলো ইতিহাসের স্টুডেন্টরা, মনে রাখা কী ঝামেলা! শেষে এক মুন্ডু-ঘ্যাচাং রাণীর মেয়ে এলিজাবেথ এসে কিনা জাতিকে বাচায়!
আর চন্দ্রবিন্দু হয় না, ^ আসে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভালোই......
থ্যাংকু।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বহুদিন বাদে রূপকথা পড়লাম! প্রেডিক্টেবল, বাট নাইস!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ধন্যবাদ। এ গল্পে একেবারে যা যা হবার কথা ছিলো তাই তাই হয়েছে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
রাজাটা কেমন লোভীরে বাবা!
রাজারা ওরকমই। আরে লোভী না হলে রাজ্যবিস্তার করবে কী করে???
কলম্বাসের স্পনসর রাজাও তো ওরকমই ছিলো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তেমন একটা মানের রূপকথা না। এই গল্পের সবাই সুযোগ সন্ধানী।
পিন্নোকিও'র সাথে তুলনা চলে না।
আরে এরা সব নাবিক লোকজন, কেউ রাজা, কেউ তক্কে তক্কে বড়োলোক হওয়ার অপেক্ষায় থাকা । এরা সুযোগসন্ধানী হবে না?
পিনোক্কিও সাথে তুলনা চলে না, শুধু তিমির পেটে মানুষ অংশটার সাথে মিল বলছিলাম আরকি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আন্টি, বাবা মাঝে মাঝেই কাছে ডেকে নিয়ে আপনার লেখা রূপকথাগুলো পড়ে শোনাতে বলেন। আমিও খুব মজা পাই। তবে মাঝে মাঝে একটি কি দুটি শব্দ উচ্চারণ করতে গিয়ে যখন হোচাট খাই তখন কি লজ্জাই না লাগে আমার। বাবা অবশ্য আদর করে শুধরে দেন। আপনার কাছে প্রতিদিন এমন অনেক মজার মজার রূপকথার গল্প চাই। ইস্কুলে গিয়ে আমি যখন ওগুলো বন্ধুদের শোনাব, তখন কেমন অবাক চোখে ওরা আমার দিকে তাকিয়ে থাকবে ভাবতেই ভালো লাগছে। ভালো থাকবেন আন্টি।
-----রোদেলা চৌধুরী
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
শেষে এসে এই অতঃপর তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো ধরনের সমাপ্তির জন্যেই রূপকথা পড়তে এত আরাম লাগে।
আমারও সেই জন্যই এগুলো খুজে খুজে বের করা।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
রোদেলা, তোমার এই রোদ-ঝিলমিল কথাগুলো আমার এতদিনের এত লেখালিখির সবচেয়ে বড়ো পাওয়া। আমি তোমার আর তোমার বন্ধুদের বড় বড় করে মেলে রাখা অবাক চোখগুলো পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি। এই গোটা পৃথিবীর সব উপকথা সব তোমাদের জন্য। অনেক বড় হও, এই পৃথিবীটাকে অনেক ভালোবাসো, এ যে আমাদের সকলের মা।
ভালো থেকো, অনেক ভালো থেকো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কমেন্ট তো লাফিয়েঝাঁপিয়ে একাকার!
আমি তো ভয়ে আর জবাবই দিয়ে উঠতে পারছি না। হুশ হুশ করে কোথায় চলে যাচ্ছে, নিচেরটা উপরে, উপরেরটা নিচে, একেবারে হুলুসথুলুস।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আরে এটা কোন সমস্যা হলো? একটা মন্তব্য করবেন, সেটা পোস্ট হয়ে যাওয়ার পরে একখানা রিফ্রেশ দেবেন। ব্যস।
চঁন্দ্রঁবিঁন্দুঁর সমস্যা গেলো না কেন বুঝলাম না। আমি তো বরাবরই ফোনেটিক দিয়েই লিখি, কখনোই টেনে এনে বসিয়ে দেই না। আপনি কি ইংরেজী কীবোর্ডে Shift + 6 চাপছিলেন নাকি? তাহলে ^ আসবে...
নতুন মন্তব্য করুন