এই উপকথা ফিনল্যান্ডের। সেখানে বছরের বেশীরভাগ সময় শীত আর দীর্ঘ অন্ধকার রাত। বসন্ত আর গ্রীষ্ম আসে মাত্র কিছুদিনের জন্য। এই উপকথায় তাই আলোঝলমল বসন্ত আর গ্রীষ্মের স্বপ্নময় কথা। কাহিনি হিসাবে দেখতে গেলে এই উপকথা চেনা চেনা ঠেকে। আরো কত দেশে হয়তো এই কাহিনিই আছে নানা রূপে। চিরকালের গল্প এ। চিরকালের সব মানুষের চাওয়া পাওয়ার কাহিনী।
এক গ্রামে এক ছেলে ছিলো, ঘরে বাপমাভাইবোন সবাই ছিলো, তারা এই ছেলেকে ভালোও বাসতো সবাই। কিন্তু এই ছেলের ছিলো বাইরের দিকে মন। আকাশ বাতাস দূরের পাহাড় মাঠ অরণ্য সব তাকে যেন হাতছানি দিয়ে ডাকতো, আর সে সাড়া দিতে চাইতো। কিশোর বয়সী হয়ে উঠে একদিন সে বাড়ী থেকে পালালো।
চলছে আর চলছে, মাঠ বন পার হয়ে গান গাইতে গাইতে সে চলছে, পাহাড়ে চড়ছে কখনো, পাহাড় পার হয়ে আবার নামছে উপত্যকায়, পাখির গান, খোলা হাওয়া, বিরাট আকাশ তার মন ভরে তুলছে। এইভাবে সে চলে দিনে রাতে, বনের ফল পেড়ে খায়, দু'হাতের অঞ্জলিতে নদীর জল তুলে পান করে। রাত হলে কোনো গাছে উঠে সুবিধামতন তেডালায় গা ঢেলে ঘুম দেয়। পরদিন সকালে আবার চলা শুরু করে।
একদিন সে দেখলো সামনে বিরাট সমুদ্র, নীল জলরাশি, তার কুলকিনারা নাই। সাগরতীরে বালির উপরে একটা নৌকা, চারপাশে কেউ নেই। সে ভাবে, এই নৌকা আমারই জন্য, দেখাই যাক না, এই নৌকা নিয়ে সাগরপাড়ি দিয়ে! কীজানি কী আছে ওপারে।
নৌকা নিয়ে সাগরে ভেসে পড়ে সে, কিন্তু একবেলা পার হতে না হতেই এক বিরাট ঝড় ওঠে। নৌকা ডুবে যায়, ছেলেটা একটা নৌকার একটা ভাঙা কাঠ ধরে আধাচেতনে ভাসতে ভাসতে এসে ওঠে এক বালুতীরে। ভালো করে চেতন পেয়ে সে উঠে বসে, দ্যাখে তীর থেকে একটু দূরেই এক কালোপাথরের বিরাট পাহাড়, ধাপ ভেঙে ভেঙে উঠে গেছে আকাশের দিকে। সে সেই পাহাড়ে উঠতে শুরু করে।
ওঠে আর ওঠে, মাঝে মাঝে বসে বিশ্রাম নেয়। চূড়ায় গিয়ে দ্যাখে সেখান থেকে একটা পথ নেমে গেছে একদিকে, সেই পথ গিয়ে থেমেছে এক গুহার সামনে, সেই গুহার মুখে সোনার দরজা, দরজা বন্ধ।
ছেলেটা সেখানে এসে থামে, ভাবে ঠেলবো কি ঠেলবো না? তারপরে দ্বিধা কাটিয়ে দরজায় ঠেলা দেয়। আরে! দরজা তো খোলা, ভেজানো ছিলো শুধু। সে ঠেলা দিতেই খুলে যায়।
ভিতরে ঢুকে ছেলেটা দেখলো সে এক আশ্চর্য জগৎ! চারিদিক ঝলমলে আলোয় ভরা, কত কত সবুজ গাছে কত কত সোনালি লাল কমলা ফল, কত পাখি উড়ছে, ডাকছে, ঝুটোপুটি করছে। সবুজ ঘাসে ঘাসে নাচছে ফড়িং, প্রজাপতি দুলছে ফুলের উপরে। একটা ঝিলমিলে নদী বয়ে যায় সেই সবুজ বাগানের ভিতর দিয়ে। ছেলেটা চলতে থাকে গাছপালার পাশ দিয়ে, আরেকটু এগিয়ে দ্যাখে এক তামার প্রাসাদ।
প্রাসাদে থাকে এক খুব বুড়ো লোক, তার চুল দাড়ি সব তুষারের মতন সাদা। বুড়োমানুষটা ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করে, "কে তুমি, কোথায় যাচ্ছিলে? "
ছেলেটা নিজের নাম বলে আর বলে, "জানি না কোথায় যাবো। অনেক দূরে বাড়ী আমার, বাড়ী থেকে চলে এসেছি, কেবলই যে আমার দূরের দেশ দেখতে ইচ্ছে করতো।"
বুড়ো হেসে বলে, "আমার এখানে তাহলে থাকো কিছুদিন। দ্যাখো কেমন লাগে।"
ছেলেটা রাজি হয়, বুড়ো ভালোমানুষ, তার এই দেশটি বড় চমৎকার!
কয়েকদিন বেশ ভালো কাটলো ছেলেটার। তারপর একদিন সকালে বুড়োমানুষটি বললো, "আমি দূরে একজায়গায় যাচ্ছি অনেকদিনের জন্য। এই নাও এই প্রাসাদের ঘরগুলোর চাবি।"
চাবির গোছা হাতে নিয়ে ছেলেটা দেখলো চব্বিশটা চাবি আছে মোট, সবকটায় নম্বর দেওয়া।
বুড়ো বললো, "শোনো একটা কথা বলি, মন চায় তো ঘুরে ঘুরে দেখো সব ঘর, কিন্তু চব্বিশ নম্বর ঘর খুলো না, ওঘর যদি খোলো নিজ দায়িত্বে খুলতে হবে।"
ছেলেটা ঘাড় হেলিয়ে সায় দিলো, বুড়োমানুষটা চলে গেল বেড়াতে।
এরপর ছেলেটা একেকদিন একেকটা ঘর খোলে আর আশ্চর্য সুন্দর সব কান্ডকারখানা দেখে অবাক আর খুশী হয়। এইভাবে তেইশখানা ঘর দেখা হয়ে যায় আর সেইদিন বিকালে সেই ঘরটা থেকে বেরিয়ে সে ভাবে, সব দেখা হয়ে গেলো, এইবার তবে কী?
পরেরদিন সকালে ঘুম ভেঙে সে দেখলো হাতে সেই চব্বিশ নম্বর ঘরের চাবিটা! আরে! ও ঘরে তাহলে ঢোকাই যাক, যা হয় হবে।
সেই ঘর খুলে সে ছেলে অবাক! আলোয় আলো সে ঘরে সোনার থাম রূপার থাম, মেঝেতে রেশমী আস্তরণ পাতা, সোনার সিংহাসনে বসে আছে এক সুন্দরী কিশোরী, প্রায় তারই বয়সী। ছেলেটার মনে হলো এ মেয়ে জগতের সেরা সুন্দরী।
মেয়েটা সে ছেলের হাত ধরে বেরিয়ে এলো বাগানে, সারাদিন তারা ছুটলো খেললো, ফল পেড়ে খেলো, নদীর জল খেলো। এইভাবে দিনটা কেটে গেল, যেন পালকের মতন হালকা দিন। দিনের শেষে ঘাসের উপরে তারা ঘুমিয়ে পড়লো।
পরদিন সকালে উঠে ছেলেটা দেখলো মেয়েটা নেই। নেই তো নেই, কোথাও নেই। সারা বাগানে, প্রাসাদের ঘরে ঘরে তাকে ডেকে ডেকে ফিরলো ছেলেটা, কিন্তু কোনো সাড়া নেই। ক্লান্ত হয়ে ছেলেটা নদীর ধারার পাশে শুয়ে পড়লো, ভাবলো, একেবারে চিরঘুমে ঘুমিয়ে পড়লে কেমন হয়?
এইসময় সেই বুড়োমানুষটা ফিরে এলো। ছেলেটার মুখ দেখেই সে সব বুঝলো। বললো, "আমি তোমায় ও ঘরে ঢুকতে সাবধান করে দিয়েছিলাম না?"
ছেলেটা বললো, "দিয়েছিলে। কিন্তু আমি নিজে ভেবে দেখলাম যা হয় হবে, খুলে তো ফেলি।"
বুড়া বলে, "খুলে তো ফেলেছ ভালোই করেছ, পছন্দ তোমার নিজের। কিন্তু তার ফলে যা হলো তা সামলানোর মতন জ্ঞানবুদ্ধি হয়েছে কি তোমার?"
ছেলেটা বললো, "আমার দুঃখ আমাকে বড় করে দিয়েছে। তুমি তাকে ফিরিয়ে এনে দাও, আমি সামলাতে পারবো সব।"
বুড়ামানুষটা কয়েকটা যাদুমন্তর বললো আর সেই সুন্দরী মেয়ে ফিরে এলো। চারিদিক যেন আলো হয়ে গেল।
ছেলেটা ছুটে মেয়েটার কাছে গিয়ে বললো, "আঃ, তুমি ফিরে এসেছ! আর আমাকে ছেড়ে যেও না।"
মেয়েটা হেসে বললো, "না যাবো না, তবে একটা শর্তে। একটা খেলা হবে এখন। তুমি লুকিয়ে থাকবে আর আমি যদি তোমাকে তোমার লুকানো জায়গা থেকে না বার করতে পারি তাহলে তোমার কাছে থাকবো। যদি লুকানো জায়গা থেকে পেয়ে যাই তোমায় তাহলে তোমার হার, আমার জিত। তখন আমি চলে যাবো। তিনবার সুযোগ পাবে তুমি লুকানোর। কী, রাজি?"
ছেলেটা বললো, "রাজি।"
তারপরে খেলা শুরু হলো। বুড়ার যাদুর সাহায্য নিয়ে ছেলেটা বুনো খরগোশ হয়ে খরগোশের দলে মিশে গেল। কিন্তু মেয়েটা খুব চালাক, ঠিক বের করে ফেললো। ছদ্মবেশী খরগোশের কান ধরে টেনে নিয়ে এসে বললো, "এইটা তুমি।" ছেলেটা হতাশ হয়ে মানুষরূপে ফিরে এলো।
এরপরের পালায় ছেলেটা বুনো ভালুক হয়ে ভালুকের দলে মিশে গেল। কিন্তু মেয়েটা খুব চালাক, ঠিক বের করে ফেললো। ছদ্মবেশী ভালুকের পিঠে লাফিয়ে উঠে বললো, "এইটা তুমি।" ছেলেটা হতাশ হয়ে মানুষরূপে ফিরে এলো।
এরপরের বারে কিন্তু ছেলেটা এমন জায়গায় লুকালো যে মেয়েটা আর পায় না। পায় না তো পায়ই না। অবাক হয়ে সে সে বলে, "কই, কই তুমি?"
ছেলেটা বলে, "এই যে, আমি এইখানে, এইখানে।"
মেয়েটা চারিদিকে তাকায়, বলে, "কই, কই তুমি? এত কাছ থেকে তোমার গলা শুনি, কিন্তু দেখতে তো পাই না। কই তুমি? "
ছেলেটা বলে, " তুমি তাহলে থাকবে তো আমার কাছে? "
মেয়েটা বলে, "থাকবো। বলো কোথায় লুকিয়েছ তুমি?
ছেলেটা বলে, "এই যে এইখানে, তোমার হৃদয়ের ভিতরে।" এই বলে হাসতে হাসতে লাফ দিয়ে সে বেরিয়ে আসে সেখান থেকে।
তারপরে সেই চিরবসন্তের বাগানে তারা সুখেশান্তিতে বাস করতে থাকে।
*******
মন্তব্য
আমি ফার্স্ট ! তাইনা তুলিরেখা ? আয়নামতি কচু খাও হি হি
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হাহাহা, পছন্দনীয় ছেলেটা এইবার বাটে পড়েছে!
লাফাংলাফাং
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
দারুণ দেখালেন আশালতা! ইয়ে কচুটা পুড়িয়ে দিলে হয় না? কাঁচামরিচ, পেয়াজ আর লেবুর রস দিয়ে দারুণ একটা ভর্তা হবে তবে
ইইশ রে, বলে চল্লিশ টাকা কেজি দরের কচু এমনিই মাগনা দিলাম, এখন আবার পুড়িয়েও দিতে হবে ! ফেলটুর দল, নিজেরা পুড়িয়ে খাওগে হুঁহ্ !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বলো কী!!! কচুর এত দাম হয়েছে ????
আমাদের কালে তো বড় বড় মানকচু, ছোটোখাটো ওলকচু, শাকের জন্য দুধকচু, মুখিকচু এসব মাগনা পাওয়া যেত! মাঠকে মাঠ কচুর জঙ্গল হয়ে যেত! লাগাতেও হতো না। মানের বড় বড় পাতা এমারজেন্সি টেম্পোরারি ছাতা হিসাবেও ব্যবহার হতো বর্ষাকালে।
গলা ধরা কচুও ছিলো, সেগুলো তেতুল দিয়ে রান্না করা হত।
সে কচুর এখন এই অবস্থা????
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হবেনা ? বলেন কি ! এ যে কলিকালের কচু !!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হায় রে, কচুও এখন হিসাব করে কিনতে হবে? কলির চারপো পুরে গেল বুঝি!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আরে তাই তো! আশালতা ফার্স্ট! এই যে চকোলেট প্রাইজ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু এ তো আমি এমনি এমনিই খাই
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আহা আয়নামতি রাগ কইরেন না। আপনেও প্রাইজ পাবেন, আলুকাবলি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনার বেপার কি তা তো হামি সমঝতে পারছে না। নবীনা লোগদের আপনি বিন মাঙতেই ঝালমুড়ি আলুরদম সব বিলাচ্ছেন, আর হামার পোস্ট তো আপ উল্টিয়ে ভি দেখেন না...
আরে আলুরদম না, আলুকাবলি। এরপরে ফুচকাও আসবে। মির্চি মির্চি। আলুচাট, চুরমুর এসবো ক্রমে ক্রমে।
আপনারা তো এসব খান না, ঝাল লাগে।
আর আপনার পোস্ট দেখি না মানে, অনেকবার দেখি, বারে বারে চুপিসাড়ে গিয়ে পড়ে আসি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আঁ আঁ আঁ... ভাগ না পেলে
আর আপনি বলা তো অনেকদিন ছেড়ে দিয়েছিলেন, এদের সঙ্গে এত্ত এত্ত মিলমিশ করে কি সেইসব ভুলে গেলেন?
আচ্ছা বাপু মণিরত্নম, তুমি ই কইতাসি।
তোমার লিগাও একটা চুরমুর বানাই, সাবধানে খাইও। র যেন থাকে। র বাদ্দিও না।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
র বাদ্দিয়া খাওয়ার/খাওয়াইবার লোক পাই না...
আহারে বেচারা...
( কাকে কী বলি, আমি নিজেই বা লোক পাই কোথায় )
ডুপ্লিকেট...অতঃপর ঘ্যাঁচাংআমাকেও তুলিদি তুমি বলতে শুরু করেছিলেন, এখন সেটা গুলে খেয়ে ফেলেছেন
দিব্যি গপ্প
লগ ইন করতে জীবনটা বেরিয়ে গেলো। ঢুকতে পারি না ওদিকে বাম দিকের প্যানেলে আমার নাম কুড়ি না বাইশবার দেখায়।
ধুত্তোর। ডবল ফেল্টু খেলাম আজকে। সকল প্রশংসা এই মডুগণের প্রাপ্য। লগ ইন করতে পারছিলাম না, দুইটা পিসি থেকে কুড়ি পঁচিশবার চেষ্টা করলাম লাভ হলো না। শেষটা ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে যখন আশা ছাড়তে বসেছি তখন দেকি বামপাশে আমার নাম কুড়িবার দেখাচ্ছে! যত্তসব!
এই যে সুবোধ বালক ছন্দ, এত রাগ কইরো না। লও, একখান ফুচকা খাও। ঝাল পুর আর তেতুলজল দিসি ফুচকায়, শুকনা দেই নাই।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এসব মনে পড়াতে হয়না দিদি... এই চুলোয় তো আর ফুচকা পাওয়া যায় না
নাচতে জানেনা, উঠোন বাঁকা !! দুয়ো দুয়ো
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
শুনেছেন আশালতাদি, এই কেবল আপনাকে হটিয়ে প্রথম কমেন্ট করার জন্য "দু'খানা কম্পু, প্রতিটায় একখানা করে দু'খানা ব্রাউজার," এইসব খুলে বসা হয়েছে, সাদ্দামের উপসাগরীয় যুদ্ধের অস্ত্রসম্ভারকেও হার মানায়...
উঠান বাঁকা নয়, উঠানে তেল ঢেলে দেয়া... এতদিন ভাবতাম তেল যা দেয়া হয় মডুরামরা তা দিয়ে করল্লা ভেজে খায় বোধহয়, এখন বুঝছি ওগুলো জমিয়ে রাখা হয় বিশেষ ব্লগারদেরকে আনফেয়ার অ্যাডভান্টেজ দেয়ার উদ্দেশ্যে অন্যদের সামনে ঢেলে দেয়ার জন্য
পছন্দনীয় ভাই, আসলেই বিস্ময়কর ঘটনা দেখালাম আজ!!!!!!!
হুঁ হুঁ বাবা, ওস্তাদের মাইর বুঝলেন কিনা !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সুবোধ বালক ছন্দ, কীরকম কুইক দেখেছেন মেয়েরা????
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
"কীরকম কুইক দেখেছেন মেয়েরা" নয় - ওটা হবে "কীরকম তেলখেকো দেখেছেন মডুরা"? (অবশ্য লগ ইন করতে না পারা মডুর দোষ নয়, তবে সুযোগ যখন পেয়েছি কষে দু'একটা গালাগাল দিয়েই নেই )
হি হি হি, পারে নাই, পারে নাই ! দুয়ো দুয়ো !!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হ্যাঁ হ্যাঁ, আজকে আপনার আর আয়নামতির দিন, আপনারা তো বলবেনই...অপেক্ষা করুন, দিন সামনে আরো আছে...
আরে! রাগো ক্যান?
এক বুড়ীমানুষ এরকম দিনে কইতেন " দিনের লাগাইল পাইছস বুঝি? "
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
"আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে, দেখতে আমি পাইনি তোমায়, দেখতে আমি পাইনি,
বাহির পানে চোখ মেলেছি, হৃদয় পানে চাইনি"
রবীন্দ্রনাথ অত্যন্ত দুষ্ট লোক ছিলেন, এই গপ্পো থেকেই গানের আইডিয়া মেরে দিয়েছিলেন।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
একেবারে!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ভালো গল্প। এর মূল এলিমেন্ট তিনটে অবশ্য অনেক রূপকথাতেই থাকে...
ঠিক। এক সুদূরের পিয়াসী তরুণ নায়ক, ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে দূরে সুন্দরী নায়িকাকে পাওয়া, তারপরে তাকে হারিয়ে ফেলে নানা ঝামেলার পরে সেই সুন্দরীকে উদ্ধার করা। এই তিন এলিমেন্ট নানা সূক্ষ্ম বা বিস্তারিত মোড়কে থাকে। সম্ভবত মানবজাতির পুরাতন যাযাবর কালের কুয়াশাকুয়াশা কালেকটিভ স্মৃতি থেকে এসেছে এই জিনিস।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কমেন্ট লাফানো বন্ধ করার কোনো উপায় হয় না?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আছে বৈকি - সব মডুদের একদিন ধরে পছন্দনীয় ভাইয়ের রান্না খাইয়ে দেন। তৃতীয় দিনই ঠিক না করে যাবে কই?
কেন? তৃতীয় দিন কেন? দ্বিতীয় দিবস করিল কী দোষ?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দ্বিতীয় দিনে সারাদিন ধরেই ওনাদেরকে লোটা হাতে "বিশেষ শান্তিময় ক্ষুদ্রঘরের" দিকে ছুটতে দেখা যাবে - আর দেশে ওই একদিন খাওয়ার স্যালাইনের বিক্রি হঠাৎ করে বেড়ে যাবে...
খেয়ে মূর্ছা যাবে কিনা; তৃতীয় দিন হুঁশ ফিরলে তবেই না মেরামতের প্রশ্ন?
কৌস্তুবদা, হুঁশ ফিরবেই আপনি নিশ্চিত?
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
বেশ মিষ্টি একখান গপ্পো
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
থ্যাংকু।
মূল গল্পটাই সত্যি-সত্যি মিষ্টি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কমেন্টের পায়ে শিকল পরাতে হবে মনে হয়।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
খুব মিষ্টি একটা গল্প! অনেক ধন্যবাদ তুলিদি আলুকাবলির জন্য। এরকম পুরষ্কার পেলে আমি ফেল্টু খেতে রাজী
আন্টি,
আজ শুক্রবার, আজ আমাদের ছুটি। ইস্কুলে যেতে হয়নি, তাই একটু দেরী করেই ঘুম থেকে উঠেছি। ঘুম ঘুম চোখে বাবার স্টাডির সামনে দিয়ে যেতেই বাবা ডাক দিলেন। আর সকালটা শুরু হলো দারুণ মজার একটা রূপকথা দিয়ে। আপনার লেখা যতগুলি রূপকথা পড়েছি তারমধ্যে এই রূপকথাটি সবচেয়ে ভালো লেগেছে। ঝুলিভর্তি আরো অনেক অনেক কল্পকথা চাই। এক একটি রূপকথার পাতা খুলেই মনে হবে চব্বিশটি চাবির এক একটি দিয়ে চব্বিশটি আশ্চর্যঘরের এক একটির রহস্যময় তালা খুলছি। ভালো থাকবেন।
---------------রোদেলা চৌধুরী
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল ভাই, রোদেলা কে আদর দিয়েন আমার হয়ে।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ছোট চৌধুরানী তার ফুপা-ফুপীকে অনেক মিস করে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
চমৎকার গল্প যদিও প্রায় বেশিরভাগ রূপকথার সারমর্ম একই। আপনার লেখাগুলো পড়তে দারুন লাগে।
সবাই দেখলাম প্রথম কমেন্টের জন্য কাড়াকাড়ি করছে, আমি তাই ধীরে সুস্থে মাঠ খালি হতে গোল দিলাম।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
কাড়াকাড়ি ঠিক না। কৌস্তুভের সাথে আমার একটু ঝামেলা চলছিলো প্রথম কমেন্ট করা নিয়ে। তা কৌস্তুভ ছেলে ভালো, দেখতে শুনতেও বেশ, তাইতে আবার রাঁধে চমৎকার আর লেখে তার চেয়েও চমৎকার, কাজেই নিজের জন্য দিব্যি দুই পল্টন রিইনফোর্সমেন্ট জুটিয়ে নিয়েছে - আর আমি বেচারা একা পড়ে গেছি
না না কাড়াকাড়ি একেবারে ঠিক না।
লেখক শিব্রাম কিশোরবয়স থেকেই লিখতেন, একবার এক বোমারু পত্রিকায় কবিতা লিখেছিলেন, "জীবন পথে চলতে গিয়ে কে কার চুমু কাড়বে?"
পরে তাকে দেখে সম্পাদকেরা তো থ, এই বাচ্চা ছেলে এসব লিখেছে?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
রোমেল ভাই, যদি কিছু মনে না করেন, রোদেলার মন্তব্যগুলো আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে না এসে ওর নিজের নামে অতিথি লেখক থেকে আসলে মনে হয় ভালো হতো - ভাবুন একবার, কখনো যদি আমার কোন পোস্টে মন্তব্যে নাম দেখি রোমেল চৌধুরী আর নিচে সম্বোধন দেখি, "আঙ্কেল" - বাকিটা না পড়েই তো গলায় দড়ি দিতে ইচ্ছে করবে
আরে তাইতো, এমনটি তো আগে খেয়াল করিনি। তুলিরেখা কি তাহলে রেগে মেগে টং হয়ে আছেন নাকি? যাহোক রোদেলা চৌধুরী অতিথি একাউন্ট থেকে শীঘ্রই আসছে। মন্তব্য নিয়ে নয়, জলজ্যান্ত লেখা নিয়েই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বাহ্ রূপকথার শৈশব কথা বলছে!!! কোমল স্নেহাদর রইল, পৌছে দিয়েন রোমেল ভাই!!!
ধন্যবাদ, ভাই!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোদেলা, তোমার কমেন্ট পেয়ে একেবারে রূপকথার মতন আলোঝলমল হয়ে গেল সব। এইসব গল্পগুলো সব তোমাদেরই জন্য, তোমার আর তোমার সব বন্ধুবান্ধবদের ভালো লাগলেই সবচেয়ে ভালো।
ভালো থেকো, খুব খুশি থেকো, আনন্দে থেকো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আপনাদের কথোপকথোন খুব মজা পেলাম, হেভি আড্ডা চলেছে একটা! রোদেলা চৈাধূরীকে শুভেচ্ছা
ছোট চৌধুরানীকে শুভেচ্ছা পৌঁছে দেব।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
দারুণ তো!
থ্যাংকু বইখাতা।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
চমৎকার লাগলো......
থ্যাংকু
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভাবতেছি আপনার রূপকথাগুলো দিয়ে নিজেই একটা ই-বুক বানিয়ে নেবো আমার কন্যার জন্য। কিন্তু মডুগন কপিপেষ্ট বন্ধ করে এই কর্মসাধনে বিরাট বাধার সৃষ্টি করেছে। তাই যদি কখনো আপনি নিজে গল্পগুলো দিয়ে কোন ইবুক বানান, অধমকে একটা লিংক দিয়েন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আরে আমিও তো কপি করতে পারি না! কী অবস্থা হইলো!
রাবণে সীতারে নিলো, সাগরের বন্ধন হইলো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
দারুন গল্প তুলিপু।
ফাটাফাটি লেগেছে, রুপকথা আমার এমনিতেই খুব পছন্দ।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
নতুন মন্তব্য করুন