নিয়তি দিদিমণি গল্প শোনাচ্ছেন, "এক দেশে এক রাজা ছিলেন। সেই রাজা একদিন এক সাধুর কাছে এক বর পেলেন। রাজা যা ধরবেন তাই সোনা হয়ে যাবে। রাজা তো আনন্দে এক লাফ দিয়ে প্রথমেই দু'হাতে চেপে ধরলেন রাজসভার থাম। থাম সোনার হয়ে গেল। তারপরে ধরলেন ছত্রচামর, তাও সোনার হয়ে গেল। রাজার আনন্দ ধরে না। এরপরে রাজা স্নান করতে যাবেন, যেই না তেল মাখতে গেছেন, তেল হয়ে গেল সোনার তাল। আর তেল মাখা হলো না। বিমর্ষ হয়ে তেল ছাড়াই স্নানে যাবেন ভেবে যেই না গামছা নিতে গেছেন, গামছা হয়ে গেল সোনার পাত। ....."
আমরা জনা কুড়ি ছোটো ছেলেমেয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে চোখ বড় বড় করে শুনছি এই কাহিনী। সে কী ঘোর কৌতূহল। কী হবে এর পরে?
পরে বড় হয়ে রাজা মিডাসের কাহিনী প্রথাগত আঙ্গিকে যখন শুনেছি তখন কিন্তু সেই ছোট্টোবেলার রোমাঞ্চ আর ছিলো না। সেই তেল মেখে স্নান করতে যাওয়া বাঙালী মিডাস বরং মনে রয়ে গেছে সেই রোমাঞ্চময় শৈশবের রঙটুকু নিয়ে। তখন যেন সব অনেক বেশী সবুজ ছিলো।
কেজি-ওয়ানে আর কেজি-টুতে পড়াশোনা ছিলো খেলাধূলা গল্পটল্প এইসবের সঙ্গে মেশানো। পরে বুঝেছি খুবই ভালো ছিলো ঐ টেকনিক। দিদিমণিরাও অপ্রত্যাশিত ভালো ছিলেন। পরে জেনেছি অনেক হায়ার ডিগ্রী ইত্যাদি থাকা সত্ত্বেও স্বেচ্ছায় কিন্ডারগার্টেনে পড়ানো ওনারা বেছে নিয়েছিলেন কারণ এটা ছিলো ওনাদের একধরনের ব্রত। নিয়তি দিদিমণি তো তৎকালীন সোভিয়েত দেশে গিয়ে সেখানে বাচ্চাদের কীভাবে পড়ানো হয় সেও দেখে এসেছিলেন শুনেছি পরে। আমাদের জন্য নিয়ে এসেছিলেন একগোছা বই, সবাইকে দিয়েছিলেন একটা করে, বইয়ের নাম ছিলো "বছরের কিবা মানে", সুন্দর সুন্দর ছবি দেওয়া ছড়ার বই, অনুবাদ। তখন এতশত জানতাম না, বই পেয়েই খুশি।
সকাল সাড়ে দশটায় শুরু হতো ক্লাস। তার আগে বাইরে উঠানে সবাই সারিবদ্ধ হয়ে দাড়িয়ে হাতজোড় করে দুই মিনিট চোখ বন্ধ করে চুপ করে থাকতে হতো, তারপরে শুরু হতো প্রার্থনাসঙ্গীত, একজন বড় ক্লাসের দিদি লীড করতো, আমরা তার সঙ্গে কোরাস ধরতাম। আমাদের সময়ে গাইতে হতো "ধন ধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা/ তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা।" পরে মানে বশ কয়েক বছর পরে সরকারী নির্দেশে সেই গান বন্ধ হয়ে গেল, তার বদলে গাইতে হতো জাতীয় সঙ্গীত, "জনগণমন অধিনায়ক জয় হে॥
একেবারে প্রথমদিন তো আর গানের কিছুই জানি না, মানে গান যে শুরু হবে তাই তো জানি না! হাতজোড় করে চোখ বন্ধ করতে বললো নীলিমা দিদিমণি, ব্যস, তাই করলাম। সেদিন চারিপাশে কত বাচ্চা, কাউকে চিনি না, সব নতুন, তারস্বরে কেউ কেউ চিৎকার করছে, কেউ হাপুস নয়নে কাঁদছে, কেউ কেউ চুপ করে এসব দেখছে। সেদিন প্রথম কিনা মাকে ছেড়ে এসেছে সবাই, তাই। প্রথম অভিজ্ঞতা বাইরের জগতের। নীলিমা দিদিমণি এক হাপুস-কাঁদা বাচ্চাকে কোলে নিয়ে বলছে, "এত কাঁদলে হবে কী করে? তাহলে যে ভগবান আসবে না।"
একসময় গান শুরু হলো, আমি চোখ আর মুখ কিছুই খুললাম না। কান খোলা রইলো। গান শেষ হলে একেবারে চোখ মেললাম। তারপরে প্রথম ক্লাসে ঢোকা।
দরজার পাশে জুতা রাখার জায়গা, সেখানে জুতা খুলে সুটকেস আর জলের বোতল হাতে ক্লাসঘরে ঢোকা। ঘরটা বেশ বড়ো, কোনো বেঞ্চ নেই। ঘর জুড়ে চাদর পাতা। সামনের দিকে দিদিমণির চেয়ার, কোনো টেবিল নেই, পাশে একটা কাঠের স্ট্যান্ডে ছোটো একটা কালো বোর্ড। ঘরের দেয়ালগুলোর কাছে বড় বড় আলমারি, সেই আলমারির সামনের কাচের ঢাকনার মধ্য দিয়ে দেখা যাচ্ছে কত কত রঙীন খেলনা, পুতুল, হাতীঘোড়া, কাপপ্লেট এইসব। আহা আমাদের নিশ্চয় খেলতে দেবে কখনো।
চাদরে বসতে হয় আর সুটকেস সামনে রাখতে হয়। জলের বোতল গুলো সব দিদিমণি একপাশে নিয়ে রেখে দেন। সকাল থেকে টিফিনের আগে পর্যন্ত পড়াশোনা। অ আ ক খ এ বি সি ডি এক দুই তিন চার এসব শিখতে হয় আরকি। তারপরে ছড়া গল্প এসবও হয়। কোনো কোনোদিন খেলনাগুলো বার করে দেন দিদিমণি, আমরা ছোটো ছোটো দলে ভাগ হয়ে খেলি। তারপরে বেলা দেড়টায় ঢং ঢং ঢং করে টিফিনের ঘন্টা পড়ে গেলেই পড়াশোনা গোটানো। টিফিন ইস্কুল থেকেই দিতো, ইস্কুলেরই বাটিতে, কোনোদিন মুড়ি-বাদাম, কোনোদিন খই-পাটালি, কোনোদিন মাখনচিনিপাউরুটি, কোনোদিন বা অন্যকিছু।
খাওয়ার পরেই বাটি জমা দিয়ে যে যার জলের বোতল থেকে জল খেয়ে খানিকটা খেলা বাইরের উঠানে। একপাশে দোলনা আর স্লিপও ছিলো। তারপরেই একটা ঘন্টা পড়লে ঘরে ঢোকা আবার, তখন আবশ্যিক ঘুমের ক্লাস। সুটকেস গুলো একপাশে সরিয়ে রাখা হতো আর চাদরে শুয়ে পড়তে হতো টানটান হয়ে। ঘুমের চেষ্টা করতে হতো, ঘর প্রায় অন্ধকার, শুধু বন্ধ জানালার ছোটো ছোটো ফোকড় দিয়ে আসা আলোর বাতাসা। ঘরখানা হয়ে যেতো মায়াপুরী। এর মধ্যে কি ঘুম আসে? আমরা ফিসফিস করে পাশের জনের সাথে গল্প করতাম। তবে কেউ কেউ কোনো কোনোদিন ঘুমিয়ে পড়তো সত্যি করে। আমি নিজে হয়তো দুই বছরে দিন তিনেক ঘুমিয়েছি।
এইভাবে বেলা সাড়ে তিনটে অবধি ঘুমের ক্লাস চলতো, তারপরে আবার ঘন্টা ঢং ঢং ঢং, ছুটি ছুটি। যে যার সুটকেস নিয়ে বেরিয়ে জুতো পরে রিকশা করে বাড়ী। আহা বাড়ী বাড়ী। তারপরে হাতমুখ ধুয়ে খেয়ে দেয়েই মাঠে। সেখানে একেবারে সন্ধ্যা পর্যন্ত খেলা, খেলা, খেলা। খোলা মাঠে খোলা আকাশের নিচে চারিদিকে কোনো বাধাহীন খেলা।
(চলবে কিনা ভাবছি )
মন্তব্য
আহা কি সুন্দর করেও মানুষ এত মায়ার গল্প লিখতে পারে! অসাধারন!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আবারো আশালতা ফার্স্ট। (ওরা টু মাস্কেটিয়ার্স মনে হয় একেবারে রিটায়ার্ড হার্ট )
আশা তোমার জন্য আজকে চারটে সিঙারা আর চা।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ক্ষেপেছেন ?! ঐ চা-সিঙ্গারা খেলে তো বদ দোয়াতেই এখানে স্যালাইনের বিক্রি বেড়ে যাবে, তারচে বরং ঐ দিয়ে ভাঙ্গা হৃদয় জোড়া লাগানো যায় কিনা দেখুন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
তাই ভালো। সিঙারা বরং নাতিগুলোকে দিয়ে আসি, চারটে তে কী ই বা হবে, উটের মুখে জিরা।
তোমাকে রম্বস শেপের কুচো নিমকি ভেজে দেবোখন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
"উটের মুখে জিরা"!
এইটা কি প্রচলিত, নাকি আপনি বানালেন?
"উটের মুখে জিরা" প্রচলিত।
আর এক ডেপো ছোকরা এই দেখে বানিয়েছিলো "নীলতিমির মুখে একটা সর্ষে"।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
চোখকান আরো খোলা রাখতে হবে দেখছি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনার ইসকুলের গল্পটা শুনে মনে হলো আমার কন্যার 'ফুলকি' স্কুলের গল্প শুনছি। ওদেরও এরকম ভাবে গল্প শোনায় দিদিমনিরা।
অ.ট.: আজকে আপনার পোষ্টের পয়লা কমেন্ট যোদ্ধাদের অনুপস্থিতি লক্ষ্য করছি।
বলা বাহুল্য, অংশগ্রহন না করলেও যুদ্ধটা গ্যালারী থেকে উপভোগ্য। মনে হয়, আবার যদি ফিরতে পারতাম ওই বয়সে!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বুঝছেন না, মেদিনী বেদখল হওয়ায় হেরোগুলো গিয়ে তেলোহাঁড়িতে মুখ লুকিয়েছে, এই জন্যেই কারুক্কে দেখা যাচ্ছেনা।
বুড়ো হাড় নিয়েও একাই লড়ে যাচ্ছি, আপনিই বা কি ? নেমে পড়ুন, নেমে পড়ুন...
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশালতা,
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নীড়সন্ধানী, আমাদের কিন্ডারগার্টেনের দুই বছর সত্যি স্বপ্নের মতন ছিলো।
আপনার কন্যার জন্য শুভেচ্ছা রইলো, এখন তো আরো কত উন্নত হয়েছে সব টেকনিক। সব ভালো হোক।
আপনি ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আহা, কথা কও না যে!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কথা কইবে কি ! উনি যে wounded speech মানে হত বাক
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
"মাইডাস রাজার গাধার কান, মাইডাস রাজার গাধার কান!!"
চলবেই
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
এই গল্পটাও শুনেছিলাম, তবে ইস্কুলে না, অন্য কোথাও।
রাজাটা বেশ ইন্টারেস্টিং চরিত্র।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ইশ! কি সুন্দর ইশকুল ছিলো আপনার।
আমার ইশকুলবেলার গল্প লিখলে সেখানে শুধু মার খাওয়ার (আর অবশ্যই মার দেওয়ার ) কথাবার্তা ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। মিউচুয়াল মারপিটপূর্ণ একটা শৈশব।
তবে, আই মিস ইট
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আমরাও জম্পেশ মারপিট করতাম। তবে বাড়াবাড়ির আগেই রেফারীরা সামলে দিতো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ইস্কুলবেলার তেরো নম্বরটা কই গেলো?
আর ক্যানাডা ডে তে আমি ফায়ারওয়র্কস দেখতে যাবো সেটা জেনে সেইদিন পোস্ট দিয়ে আমাকে ফেল্টু খাওয়ানোয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হি হি হি... কি দাদু ভাইটি, ভালো আছ তো ? এর আগে 'মডুরা পচা' আজ 'পথে হল দেরী' বুঝি ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ঠিক কথা ঠাম্মি, এই যে দেখুননা, এতদিন খালি মডুরামরা আনফেয়ার অ্যাডভান্টেজ দিতো, এখন তুলিদিও শুরু করেছেন...
ফেল্টু খেলেও আলুকাবলির ভাগ পাবো নিশ্চয়ই তুলিদি আশালতাকে ফাষ্টু হবার জন্য পেটুকসমাজের প্রতিনিধিকে চিরস্হায়ী হারুপাট্টি বানাতে যথেষ্ট উৎসাহ দিচ্ছি
পোষ্টটা পরে এসে পড়ছি...........
"পেটুকসমাজের প্রতিনিধি" - যদি আমাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়ে থাকে তাহলে এই অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি...
গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত পার্কে ছিলাম, ক্যানাডা ডে'র অনুষ্ঠান দেখতে - এতখানি সময়ে ধরুন গোটা পাঁচেক বালিশের সাইজের প্যাকেটের পপকর্ন, চার প্যাকেট ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, কেজিখানেক চেরী, দেড় পাউন্ড ওজনের আইসক্রীমের চারটা, দুই প্লেট ফ্রায়েড চিকেন, একটা এগ রোল, একটা হ্যামবার্গার আর এক প্লেট নুডলস ছাড়া আর কিচ্ছু খাইনি... আর আমাকে বলে কিনা পেটুক
আহারে তবে তো বড় কষ্ট! এই সামান্য কয়েকদানা পাখির আহারে তোমার আর কী ই বা হবে!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এত খেয়েও যারা বলে কিচ্ছু নাহি খাই,
তাদের জন্য আমার মুখে কোন শব্দ নাই ওম্মা কে আপনাকে পেটুক বলে! এই তো বয়স খাবার। দরকারে লোহা চিবিয়ে খান কেমন দেখলেন ক্যানাডা ডে'র উৎসব? একটা পোষ্ট দিয়ে দেন ওটা নিয়ে। সাথে কিচ্ছুটি না খাওয়ার বিশদ বিরবণ
ছন্দ তো ভালো ছেলে, সুবোধ বালক, দাও দেখি বাপু একটা পোস্টো কানাডা ডে নিয়ে!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আহা কী মিষ্টি এক টুকরো ছেলেবেলার গল্প! লেখা শেষে ঐ 'চলতে পারে' জাতীয় বাক্যটা দেখলেই পিত্তি জ্বলে
গড়গড়িয়ে লিখে গেলে কী হয় বাপু! তবে ইস্কুল বেলার একটা পর্ব আমি খুব চুপিচুপি পড়ে গিয়েছিলাম জানান না দিয়েই.......ওটা বড় কষ্টের ছিলো যে! তুলিদির জন্য (গুড়)
আরে তোমার জন্য তো ইস্পেশাল আলুকাবলি আনিয়ে রেখেছি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তুলিদি। আহা কী ভালো হয়েছে খেতে আলুকাবলিটা আচ্ছা ফেল্টুপাট্টিকেও একটা কিছু খাওয়ার ব্যবস্হা করা হোক। কাল খুব নাকাল হতে হয়েছে কিচ্ছুটি না খেয়ে
হুঁ, ব্যবস্হা হোক, ব্যবস্হা হোক
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আহা সত্যিই তো! কিছুই প্রায় খায় নি ওরা কাল!
ওদের জন্য ভালো করে লুচি আলুরদম ছোলাড্ডাল কষামাংস পায়েস মন্ডা এসবের ব্যবস্থা করতে হবে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কী, গ্যালারিতে ক্যা ????
নাইমা আইসা খাও।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
স্কুলের প্রথম দিনের কান্নাকাটির কথাটা কমন পড়ে গেল।
আর কইয়েন না। কিছু কিছু বাচ্চা তো আসতেই চাইতো না ইস্কুলে! তখন জানুয়ারী থেকে সেশন শুরু হতো, বাচ্চাদের ধাতস্থ হতে হতেই ফেব্রুয়ারী পড়ে যেত।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
থামলে খবর আছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তাই?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভাললাগছে তো! অবশ্যই চলবে!
ভালো লাগছে?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আহারে কী সুন্দর! আমার এইবেলার ইশকুল বাড়ি ঠিক মনে পড়েনা! কিছু কিছু দুষ্টামি মনে পড়ে অবশ্য, একদিন সেগুলো বলবো সময় করে! এই বয়েসটায় আমি বেশ আদুরে ছিলাম। মায়ের সময় ছিলোনা আমাকে আদর করার তাই শিক্ষিকারা আদর করে পুষিয়ে দিতো! খুব স্বপ্নময় হলোগো তুলিদি! পড়ে যে আমার নিজের লিখতে ইচ্ছে হয়ে গেলো! এইখানে থেমোনা যেন। গল্প চলুক গড়্গড়িয়ে। আর মন্তব্য করা হয়না বলে ভেবোনা পড়িনি! তোমার লেখা চোখে পড়লেই পড়ে ফেলি! লগিন আর মন্তব্য করা হয়ে উঠেনা অলস বলে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আরে তুমিও শুরু করে দাও লিখতে। তাহলে বেশ একটা জম্পেশ ব্যাপার হবে। সবার অভিজ্ঞতা আর স্মৃতির মুক্তোদানাগুলো যে আলাদা আলাদা। শুরু করে দাও।
আরে আমারই কি মনে ছিলো? লিখতে বসে একে একে মনে পড়তে লাগলো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
চলুক।
ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
"বিমর্ষ হয়ে তেল ছাড়াই স্নানে যাবেন"------শুধু রাজা নয় আপনি আমি সবাই!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
সবার তেলই সোনার তাল হয়ে গেছে বলছেন?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
না রে ভাই, 'তেল-বাংলার' সাথে 'কনোকো-বাত্তির-রাজার' 'সোনালি কাবিনের' কথা পেড়েছিলাম আর কি...
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
কী আর করা! চারিদিকেই এইরকম দেখি, তাই পালিয়ে যাই সেই শৈশবের স্বপ্নের দেশে। তখন তো যক্ষপুরীর রাজা এভাবে এত জাল দিয়ে ঘেরে নি সব! এর মধ্যেও তবু অপেক্ষা করে থাকি, থাকিই, কোথাও নন্দিনী আছেই, সে আসবেই, সে না এসে পারবে না।
মিডাসের সোনার অভিশাপ শেষে নদীতে ধুয়ে নিল, একদিন আমাদেরও নেবে। নতুন মানুষদের জন্য আরেকটু ভালো একটা পৃথিবী রেখে যাবো হয়তো এই আমরাই। কে বলতে পারে?
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
চলুক ছেলেবেলার গল্প। ছেলেবেলার গল্প হলেই কিংবা ছেলেবেলার কথা ভাবলেই বয়স কমে যায়, বয়স কমতেই থাকে। আর আপনাদের এই মন্তব্যের জোয়ারও চলুক!
চলবে চলবে, খুব করে চলবে!!
ঠিক বলেছেন। মনে মনে ফিরে যাওয়া সেই ফেলে আসা সবুজে, সত্যি করে তো ফেরা যায় না আর। তাই এইভাবেই ফেরা। ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন