কোথা থেকে শুরু করি অর্ফিউস আর ইউরিডাইসের গল্প? কেবলই মান্ডুর বাজবাহাদুর আর রূপমতীকে মনে পড়িয়ে দিচ্ছে যে! বাজবাহাদুর তারা-ঝমঝম আকাশের তলা দিয়ে রূপমতীর প্রাসাদের দিকে আসছে আর আসছে, কিছুতেই আর পথ ফুরায় না। ঠিক তখনই নিজের প্রাসাদের ছাদের উপরে বসে রূপমতী মধ্যরাতের রাগিণীতে আকাশেবাতাসে ছড়িয়ে দিচ্ছে আকুলতা। ওরা দু'জনেই জানতো বিরহই আসল মিলন, ফুরায় না ফুরায় না ফুরায় না।
আবার কখনো মনে পড়ে রুরু আর প্রমদ্বরার কথা, সেখানে রুরু নিজের আয়ুর অর্ধেক দিয়ে মরণলোক থেকে ফিরিয়ে আনতে পারে প্রিয়তমা প্রমদ্বরাকে। সব গল্পগুলো, ইতিহাসের গল্প আর পুরাণের গল্প সব মিলেমিশে যাচ্ছে যে! তা হোক, এবারে মূল গল্পে চলে যাই।
গ্রীক উপকথায় অর্ফিউস এক আশ্চর্য শিল্পী, সে বাজায় তারের বাজনা, এ বাজনা তাকে দিয়েছিলেন তার বাবা সূর্যদেব। অর্ফিউস এমন বাজনা বাজায় যে আকাশ বাতাস ভরে যায়, বনের পশুপাখিরা এসে চুপ করে শোনে, ঝর্ণায় নদীতে সমুদ্রে আনন্দের লহরী খেলে যায়।
একদিন ঝর্ণাপরী ইউরিডাইসকে দেখে অর্ফিউস হৃদয় হারালো। ইউরিডাইসও ভালোবেসে ফেললো এই আশ্চর্য শিল্পীকে। তাদের বিবাহ হলো কিছুদিন পরেই, কিন্তু নববধূ ইউরিডাইস মারা গেল বিষধর সাপের কামড়ে।
অর্ফিউস একেবারে স্তব্ধ হয়ে গেল। তার বাজনা থেমে গেল, সব সুর হারিয়ে গেল। হৃদয়েশ্বরী না থাকলে কী হবে জীবনের বোঝা বয়ে? হয় সে ইউরিডাইসকে ফিরে পাবে নাহলে সে নিজেও তলিয়ে যাবে সেই ঠান্ডা অন্ধকারে যেখানে শুয়ে আছে তার প্রিয়তমা।
এদিকে এরকম চলতে থাকলে তো ছেলেটা বুঝি মারাই যায় তাই সূর্যদেব তাড়াতাড়ি দেবরাজকে গিয়ে বলে কয়ে একটা ব্যবস্থা করলেন যাতে অর্ফিউস পাতালে মৃত্যলোকে গিয়ে মৃত্যুদেবতা হেডিজকে সন্তুষ্ট করে ফিরিয়ে আনতে পারে ইউরিডাইসকে।
অর্ফিউস চললো পাতালে। সে তার সুরযন্ত্রে আবার সুর সাধতে লাগলো। সেই কোমল করুণ সুর শুনে মুগ্ধ হয়ে গেল চ্যারণ, মৃত্যুনদীর খেয়াঘাটের মাঝি। সে নৌকো করে পার করে দিলো অর্ফিউসকে। নদী পার হয়ে এসে অর্ফিউস পড়লো তিনমুন্ডু পাহারাদার কুকুর সার্বেরাসের সামনে। সার্বেরাসের তো চোখ ঢুলুঢুলু অর্ফিউসের বাজনার সুরে। কুকুর ঘুমিয়ে পড়লো, অর্ফিউস তার পিঠে হাত বুলিয়ে ঢুকে পড়লো মৃত্যুদেবতা হেডিজের প্রাসাদে।
বিরাট সিংহাসনে ঝকমকে জমকালো পোশাক পরে বসে আছেন মৃত্যুলোকের অধিপতি হেডিজ আর পাশে তার রাণী পার্সিফণী। হেডিজ তো এরকম ব্যাপার দেখে একেবারে রেগে টং, এরকম বেনিয়াম কী করে হয়? একজন জীবিত মানুষ এভাবে এসে হাজির হয় কী করে? জগতে কি আর নিয়ম বলে কিছু রইলো না?
কিন্তু অর্ফিউসের সুর কিছুক্ষণের মধ্যেই হেডিজের কুলিশকঠিন হৃদয়ও দ্রবীভূত করে ফেললো। এমন করুণ এমন মধুর এমন আকুল সুর! এ তো আগে কখনো শোনেন নি তিনি। এমন আকাশপৃথিবী স্বর্গ-মর্ত-পাতাল একাকার করা ব্যাকুলতা, এ যে তাকে ভাসিয়ে নিচ্ছে! পার্সিফণী তো রীতিমতন অশ্রুবর্ষণ শুরু করে দিয়েছেন ততক্ষণে।
রাজার চোখও জলে ভরে উঠলো, তিনি বললেন, "কী চাও তুমি অর্ফিউস?"
অর্ফিউস বলে, " মহারাজ, ইউরিডাইসকে ফিরে চাই, আর কিছু না। সে না থাকলে আমার জীবনের কী মূল্য বলুন?"
হেডিজ বলেন, " কিন্তু তা কেমন করে হয়? মৃত্যুর পরে কী করে কেউ ফিরে যায়? সেরকম নিয়ম নেই। তুমি অন্যকিছু চাও।"
অর্ফিউস বলে, " আর অন্য কোনোকিছুর আমার দরকার নেই। শুধু তাকে ফিরে চাই। সে আমার সাথে না ফিরলে আমি... আমিও আর এখান থেকে ফিরবো না সূর্যের আলোয়, আর কোনোদিন দেখবো না খোলা আকাশ, আমিও এইখানেই সেই বিস্মৃতিঝর্ণার প্রান্তরে গিয়ে শুয়ে পড়বো।"
হেডিজ দেখলেন এ আবার কী আরেক বিপদ! নরমসরম দেখতে হলে কী হয়, এ যা জেদী ছেলে, এতটা যখন আসতে পেরেছে, তখন এর পরে কী যে করে বসবে স্থিরতা কী?
হেডিজ বললেন, "ঠিক আছে, ইউরিডাইস ফিরে যাবে। তবে এক শর্তে। সে তোমার পিছন পিছন যাবে, কিন্তু তুমি তার দিকে তাকাতে পারবে না জীবলোকে গিয়ে ওঠার আগে পর্যন্ত। যদি তাকাও, তাহলেই ইউরিডাইস আবার আমার এই লোকে ফিরে আসবে। কী, রাজি?"
অর্ফিউস রাজি। লুটিয়ে পড়ে রাজারাণীকে প্রণাম করে সে ফিরে চলে জীবলোকের দিকে, তার বাজনায় সুর বেজে ওঠে আনন্দের, তার পিছে পিছে যে আসছে তার প্রিয়তমা ইউরিডাইস!
অর্ফিউস পিছু ফিরে চায় নি একবারও, ছায়ার মতন ইউরিডাইস আসছে অর্ফিউসের পিছনে, মনে মনে অনুভব করছে অর্ফিউস। ঠান্ডা অন্ধকার মরণলোক থেকে তারা চলেছে উষ্ণ আলোময় জীবলোকে। প্রতি পদক্ষেপে কাছে এগিয়ে আসছে জীবলোক। কিন্তু একেবারে জীবলোকের দুয়ারে গিয়ে অর্ফিউসের মনে হলো সত্যি এসেছে কি ইউরিডাইস?
সে পিছনে ফিরলো। এসেছিলো ইউরিডাইস, তার পিছনেই ছিলো। কিন্তু এবারে করুণ আর্ত চিৎকার করে মিলিয়ে গেল ইউরিডাইস, কুয়াশার মত মিলিয়ে গেল তার শরীর। অর্ফিউস শর্ত রক্ষা করতে পারে নি, জীবলোকে ফেরা হলো না ইউরিডাইসের।
এরপরে অর্ফিউস বনে বনে ঘুরে বেড়ায় পাগলের মতন, তার বাজনায় এখন কেবল চারিদিক লেপে দেওয়া অন্ধকারের মতন দুঃখ, কোথাও আলো নেই আনন্দ নেই আশা নেই। সে ভাবে কবে তার জীবলোকের কারাদন্ড শেষ হবে, কবে সে মিলতে পারবে সেই মরণলোকের ঝর্ণাপারে তার হৃদয়েশ্বরীর সঙ্গে?
একদিন একদল বনবিহারিণী নারী যারা নাকি সুরাপানে উন্মত্ত হয়ে সুরার দেবতার উপাসনা করছিলো, তারা ঘিরে ধরলো অর্ফিউসকে। তাকে বললো আনন্দের বাজনা বাজাতে, তাদের যে উৎসব! কিন্তু অর্ফিউস কী করে তা বাজাবে? সে যে সেই সুখের সুর ভুলে গেছে চিরকালের মত!
অর্ফিউসের দুঃখের সুর শুনে পাগলিনী নারীরা তাকে মেরে ফেললো, ভেঙে ফেললো বাজনা, অর্ফিউসকে টুকরো টুকরো করে ফেলে দিলো জলে।
কিন্তু এইবার আকাশে বাতাসে নদীর জলস্রোতে আনন্দের সুর বেজে উঠলো, এইবারে অর্ফিউস চিরকালের মতন ফিরে পেয়েছে তার ইউরিডাইসকে। তার ঝর্ণাপরীর সাথে এক হয়ে মিশে বহে গেছে সে অফুরাণ আনন্দের সরোবরে। আর কেউ কোনোদিন তাদের পৃথক করতে পারবে না। "এই সেই মধু বৃন্দাবন, যেখানে বিরহ নাই।"
যেখানে অর্ফিউসকে মেরে ফেলেছিলো সুরার দেবতার উন্মত্ত পূজারিণীরা, সেখানে আজও পাখি সবচেয়ে মিষ্টি সুরে গান গায়, সেখানে ঝর্ণার আর নদীর কলধ্বনিতে মিশে থাকে অলৌকিক সুরের সুধা।
******
মন্তব্য
হুঁহুঁ...
ভাইডি ফাস্ট, যথারীতি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
__ -এর দশদিন আর গৃহস্থের একদিন হুঁহুঁ
(এইবার কোথায় রামপাখিভোজনলিপ্ত খোকা, আশালতা, আয়নামতি?)
দিনের লাগাইল পাইলি বুঝি ?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কুলিশকঠিন মানে বজ্রকঠিন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
প্রবচন আর শুনিওনা না বাপু, ওসব ঢের জানা আছে, আমিও জানি every __ has its day ! নেহাত আম-জাম-লিচু-কাঁটাল পাকবার দিন আর হরতালের ছয় দিনের ছুটি, তাই নাতি নাতনিরা সব ঘরে এয়েচে। সারাদিন মা দুগগার মত দশ হাতে ওদের আবদার মেটাচ্ছি বলেই না নেটবাজির সময় পাচ্ছিনা, নইলে তুলির ঐ লেখা বাপু আমি তোমার আগেই দেখেছি।
যাই, এখন আবার ছানার মালপো বানাতে হবে। ওবেলা ঘন দুধের পায়েস করেছিলাম কিশমিশ আর কাজু ছড়িয়ে; আর এদিকে তো নারকোল তিল চিড়া মুড়ি এসবের নাড়ু মুড়কি তো আগেই করা ছিল ভাগ্যিস, নইলে ছোটটি যা গাল ফোলাত। আরেকজনের আবদার রাতে সেবারের মত হাঁসের ভুনা মাংস দিয়ে স্পেশাল খিচুড়ি খাবে। না বাপু, ম্যালা কাজ, তোমাদের মত ডেঁপোদের সাথে বকবকালে চলবে কেন ? তুমি গেরস্ত মানুষ, বরং দিনের নাগাল শক্ত হাতে ধরে থেকো, ফস্কায় না যেন, বুয়েচো ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হ্যাঁ হ্যাঁ, পারলে মডুরামদের কৃতিত্বকেও অন্যের ব্যর্থতা বলে চালিয়ে দেয়া যায় আর না পারলে নিজের ব্যর্থতাকেও 'অন্য দৃষ্টিভঙ্গীতে কৃতিত্ব' বলে দাবী করাই যায়...
কিন্তু...
ছানার মালপো
ঘন দুধের পায়েস :(
নারকোল তিন চিড়া মুড়ি এসবের নাড়ু মুড়কি
হাঁসের ভুনা মাংস :( দিয়ে স্পেশাল খিচুড়ি :(
এসবের নাম নেয়া তো রীতিমত অবিচার (
ছানার মালপো, ঘন দুধের পায়েসে কিশমিশ আর কাজু ছড়ানো, হাঁসের ভুনা মাংস, স্পেশাল খিচুড়ি!!! ঈয়াম্মি!!! আর পারলাম না, এমনেই আমি ভোজন রসিক মানুষ, এইসব নাম শুনে আর থাকা গেল না, থাকিও মনে হয় আপনারর বাসার কাছাকাছিই, আসছি দাঁড়ান !!!! (শনিবার থেকে টার্ম ফাইনাল, যান এযাত্রায় বেঁচে গেলেন........ )
এইসব সুখাদ্যের চেয়ে যার কাছে টার্ম ফাইনাল বড় হয়, নিজেকে ভোজনরসিক দাবী করে প্রকৃত ভোজনরসিকদের অপমান করার কোন অধিকার তার নেই...
ভাই সচল এমন নেশা এর থেকে পরিত্রাণ না থাকায় সেভাবে পড়া আর হলো কই, যে দুদিন আছে চোখ-মুখ বুঁজে পড়া শুরু করছি, তা না হলে আজ আশালতাপুর খবরই ছিল!!! আর ভোজনরসিক সে আমার নামই হয়ে গেছে, ভোজন দাস(চুপিচুপি বললাম, কাউকে বইলেন না আবার ), যেই ভুঁড়ি বাগাচ্ছি...............বেঢপ.............
আমরা গরীব বটে কিন্তু মানুষ তো! এরকম কষ্ট দেওয়ার কোনো মানে হয়?
কুলিশকঠিন মানে কি তুলিদি?
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
লাফাং হয়ে গেছে, উপরে দেখে নাও।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মনে আছে ছোটবেলায় গ্রীক ট্র্যাজেডিগুলো পড়ে অকারনে চোখে জল আসতো।
বহুদিন পর আজ পরতে যেয়ে শুরু থেকেই সেই পুরনোদিনের কথা মনে পড়ে গেলো, তারপর পড়তে বসলাম। দেখলাম, মন এখনো তরতাজা, অনুভূতিও টানটান! ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার তুলিতে উপকথা, রুপকথা পড়বার বয়সটা বুঝি আবার ফিরে ফিরে পাই।
বেশ কিছুদিন আগে যশোর এ গিয়েছিলাম গাজী-কালু-চম্পাবতীর ওখানে, আবার সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় দেখেছি গাজী-কালু-চম্পাবতী নিয়ে এখনও কবি গান হয়, যান্ত্রিক পৃথিবীর প্রবল আধিপত্যেও মানুষ ধরে রেখেছে তার পুরাতন গাথাঁ, গীতি আর আলেখ্য। যদি কিছু মনে না করেন, এইগুলা নিয়েও লিখুননা, ফিরিয়ে আনুননা আবার আমাদের হারিয়ে যাওয়া ঠাকুমার ঝুলির দিন। আমরা পড়তে শুরু করলেই আবার ফিরে আসবে। আপনি লিখতে থাকুন, আপনার হাতে চমৎকার আসে।
অনেক শুভেচ্ছা রইলো,
আরে, কন কী! তুলিদিকে আবার ঠাকুমা সাজতে বলেন? কয়দিন আগেই না একজনরে ঠাম্মি ঠাওরালুম আমরা! তবে বলেছেন ঠিকই, তুলিদি-অলসতাদি আঁতাঁত ওইরকমই কিছু ইঙ্গিত করে বটে... দ্যাখেন, বেয়ান হয়ত!
ধন্যবাদ তানিম। চেষ্টা করবো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এই গল্পটা, গল্পগুলো, বহুবার পড়া। তবুও আপনার হাতে নতুন করে, সরল ভাষায়, পড়তে চমৎকার লাগে।
অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ওই ব্যাটা হেডজ... মরবার পরে আবার মর্ত্যলোকে ফিরে আসার সুযোগ নেই তো তুই ব্যাটা কেন মর্ত্যলোকের পার্সেফোনেকে অপহরণ করতে গেছিলি? নিজের বেলায় সবই নিয়ম আছে তাই না? ব্যাটা লম্পট। ওই অপহরণটা না করলে আর তাকে ডালিমের বীজ না খাওয়ালে তো পৃথিবীতে শীতকাল বলে কিছু থাকতো না, সারা বছর ফসল ফলতো - ব্যাটা পাজি, বদমাশ, সুবিধাবাদী, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ কোথাকার...
আর কও কেন? তাদের বেলা সব নিয়ম আছে। চেপে ধরলে বলবে, "তবু তো কয়েক মাসের জন্য ফিরতে দিই বৌটারে, নিজের প্রাণের কষ্ট চেপে রেখে তারে যেতে দিই, সেকথা তো কই কস না! নাহলে তো তোরা সারাবছরই শীতে থাকতি। "
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মর্ত্যলোকের নদীতে যে তে নি ষে ধ করে ছে ন রোমান্টি ক কবি কীটস। তা'র Ode on Melancholy শুরূ করেছেন এভাবে:
No, no, go not to Lethe, neither twist
Wolf's-bane, tight-rooted, for its poisonous wine;
Nor suffer thy pale forehead to be kissed
By nightshade, ruby grape of Proserpine;
এম আব্দুল্লাহ
আর আমাদের কবি বলেছেন,
"আমার হৃদয়বধূ ক্লান্ত হস্ত প্রসারিয়া
ধরিবে তোমার বাহু।
তখন তাহারে তুমি মন্ত্র পড়িয়া নিও
রক্তিম অধর তার
নিবিড় চুম্বনে নীলিম করিয়া দিও। "
আমাদের দর্শনে মৃত্যু পার হয়ে আসে অমৃত, সব আলোর আলো, নচিকেতা তারই সন্ধানে গেছিলো মৃত্যুদেবতার কাছে। "অবিদ্যয়া মৃত্যুং তীরত্বা বিদ্যয়ামৃতমস্নুতে।" সীমাবদ্ধ মানবজীবন যে অসীমতাকে স্পর্শ করতে পারে না, সেই সীমা পার হয়েই সেইখানে যাওয়া, বিদ্যয়ামৃতমস্নুতে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
গল্পটা আগে পড়া ছিলো। কিন্তু তাও আপনার সাবলীল লেখনীতে ভাল লাগল খুব।
ধন্যবাদ রিফাত ফারজানা।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
যথারীতি আজ রোদেলার আনন্দের দিন (সেইসাথে আমারও! )
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোদেলাকে আমার আদর ও শুভেচ্ছা।
কিন্তু আপনের লইজ্জা ইমো কেন?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আহা! ছোটবেলায় এই কাহিনী পড়ে কী যে কষ্ট পেয়েছিলাম! অল্পস্বল্প কান্নাকাটিও করেছিলাম মনে পড়ে!
ছোটোবেলা এই কাহিনি অবধি যেতেই পারিনি, ওরে বাবা তার আগেই গ্রীক কাহিনিতে যা সব ছিলো! খুবই মনে মনে দুঃখ পেয়ে একেবারে পালাতে হলো রুশ কাহিনিতে। রুশ কাহিনি ভালো, ভাসিলিসা আর ইভান সবসময়েই জিতে যায়।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন