এই উপকথা ব্যাবিলনের। তবে রচিত গল্প হিসাবে এটাকে আমরা প্রথম পাই রোমান কবি ওভিডের লেখায়। পিরেমুজ আর থিসবির করুণ-মধুর কাহিনি। এ কাহিনি চিরকালের, যুগে যুগে দেশে দেশে বারে বারে এ কাহিনি আমরা পেয়েছি ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে, মানুষের নিবিড় ভালোবাসার কাছে সংঘবদ্ধ বিষয়বুদ্ধি কীভাবে পরাজিত হয়েছে, তার গল্প!
বহুকাল আগে মালবেরী গাছের ফল ছিলো দুধসাদা। কেমন করে সেই ফল হয়ে গেল টকটকে লাল, তার নেপথ্যে আছে এক করুণ-মধুর কাহিনি। পিরেমুজ আর থিসবির কাহিনি।
ব্যাবিলন নগরীতে যেখানে ভবনগুলি ঘনসন্নিবদ্ধ হয়ে নগরশ্রী বাড়িয়ে তুলেছিলো, সেখানে পাশাপাশি দু'টি বাড়ীতে থাকতো পিরেমুজ আর থিসবি। পিরেমুজ তখন এক চমৎকার তরুণ আর থিসবি এক আশ্চর্য সুন্দরী তরুণী। ছোটোকাল থেকে পাশাপাশি বেড়ে উঠেছে তারা দু'জন, বড় হয়ে তারা পরস্পরকে ভালোবাসলো। বিয়ে করতে চাইলো।
শুনে তো দুইজনের বাবামাই রেগে চটে ক্ষেপে একাকার! তারা একেবারেই রাজি হলেন না এতে। এ কেমন করে হবে? বংশ কুলমর্যাদা এসবও তো দেখতে হবে! পিরেমুজ আর থিসবিকে খুব বকাবকি করলেন বাবামায়েরা, "ছি ছি পাশাপাশি বাড়িতে ভাইবোনের মত বড় হয়ে এ কী ব্যবহার? শিগগির এসব ভুলে যা, খবরদার ওসব কথা ভুলেও মনে স্থান দিবি না।" কিন্তু তাতে ছেলেমেয়ে দুটো মানে না দেখে তাদের দেখাসাক্ষাত বন্ধ করে দিলেন উভয়পক্ষের বাবামা।
পিরেমুজ আর থিসবির দেখাসাক্ষাৎ বন্ধ হয়ে গেল উভয়ের পিতামাতার কঠোর আদেশে। আর তারা পরস্পরের দেখা পায় না, কথা বলতে পারে না, মনমরা হয়ে ঘুরে বেড়ায় নিজের নিজের বাড়িতে। বাড়ী তো না, যেন জেলখানা!
এদিকে হয়েছে কী, ওদের দুই বাড়ীর মাঝের দেয়ালে ছিলো একটা ছোটো চিড়, কেউ তা লক্ষ ও করে নি কোনোদিন। দু:খী পিরেমুজ আর থিসবির সাবধানী আর অনুসন্ধানী চোখে অচিরেই সেই বন্ধু চিড়টি ধরা পড়ে গেল।
তারপর থেকে প্রতিদিন খুব ভোরে উঠে চুপি চুপি সেখানে গিয়ে দু'জনে দু'পাশ থেকে ফিসফিস করে কথা বলতো। কত কথা! সুখের কথা দু:খের কথা রাগের কথা ভালোবাসার কথা সব। সবই খুব আস্তে ফিসফিস করে, কেউ না শোনে। একটু বেলা হলেই অবশ্য ওদের সরে যেতে হতো কারণ বাড়ীর লোকেরা একে একে উঠে পড়তে থাকতো। দু'জনে দু'জনকে হাত বাড়িয়ে ধরতে পারতো না, দেয়ালের গর্ত দিয়ে দুজনে দুজনের মুখের খুব সামান্য একটু দেখতে পেতো খালি। কিন্তু কথা বলতে আর শুনতে যে পারতো সেই জন্যই দু'জনে দু'জনের ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিতো।
এইভাবে দিন যায়, লুকিয়ে লুকিয়ে এভাবে ফিসফিস করে কথা বলা আর কতদিন সহ্য হয়? একদিন পিরেমুজ আর থিসবির অসহ্য লাগলো। ওরা ঠিক করলো সেদিন সন্ধ্যাবেলা দু'জনেই বাড়ী থেকে পালাবে। নগরী থেকে বার হয়ে দু'জনেই চলে যাবে বাইরে, স্বাধীন উন্মুক্ত দেশে। হাত ধরাধরি করে তারা চলে যাবে সব অন্যায় নিষেধের বাইরে, সেখানে সুখে ঘর করবে তারা।
ঠিক হলো সন্ধ্যাবেলা ওরা দু'জনেই নগরীর প্রান্তে নিনাস এর সমাধিতে দেখা করবে, জায়গাটা দু'জনেরই চেনা, একটা খুব বড় মালবেরী গাছ আছে সেখানে, দুধসাদা ফলে ভরে আছে বছরের এই সময়ে। কাছেই একটা জলকুন্ড, ঝিরঝির করে জল বেরিয়ে আসছে পাতাল থেকে। ঠিক হলো যে আগে গিয়ে পৌছাবে সে অপেক্ষা করবে, আরেকজন গেলেই দু'জনে একসাথে রওনা হবে বাইরের পথে।
সারাটা দিন যে কী উদ্বেগে উৎকন্ঠায় গেল তাদের তা তারাই জানে। দিন যেন আর ফুরায় না। অবশেষে সূর্য পাটে বসলো। সন্ধ্যা হলো, একে একে জ্বললো তারারা। বাড়ীর সকলের নজর এড়িয়ে থিসবি তার জরিদার ওড়নাটা দিয়ে মাথা ঢেকে রওনা হলো চুপি চুপি, এই ওড়নাটা পিরেমুজ খুব পছন্দ করে, ঝামেলা হওয়ার আগে যখন রোজ দেখা হতো, তখন এই ওড়না না পরলে পিরেমুজ বলতো সুন্দর ওড়নাটা কোথায়?
কিছুক্ষণ পরেই থিসবি এসে গেল নিনাস এর সমাধিতে। পিরেমুজ তখনো আসে নি। থিসবি অপেক্ষা করতে লাগলো মালবেরী গাছের নিচে। আকাশে পুষ্ট চন্দ্র, হাল্কা জ্যোৎস্না চারিদিকে। সেই আলোতে হঠাৎ থিসবি দেখলো একটা সিংহী, সদ্য শিকার করেছে বুঝি, মুখে রক্তমাখা, আসছে যেন মালবেরী গাছের দিকেই। থিসবি ভয়ে শিউড়ে উঠলো, কী হবে এখন? থিসবি দৌড়ে পালালো সেখান থেকে, কিন্তু পালাবার সময় ওড়নাটা পড়ে গেল মাটিতে।
সিংহী কিন্তু তেষ্টা মেটাতে আসছিলো জলকুন্ডে, অন্য কোনোদিকে সে ভ্রূক্ষেপ করেনি। জলপান করে ফেরার পথে দেখলো থিসবির ওড়না পড়ে আছে পথে। সিংহী কী মনে করে সেটাতে খুব করে মুখ ঘষে কামড়ে খিমচে ওড়নাটা ছিন্নভিন্ন করে চলে গেল বনের দিকে। ওড়নায় লেগে রইলো সিংহীর মুখের থেকে লাগা রক্তের দাগ।
সিংহী চলে যাওয়ার কয়েক মুহূর্ত পরেই এসে হাজির পিরেমুজ। সে দেখলো পড়ে আছে থিসবির রক্তমাখা ছিন্ন ওড়না, চারিদিকের মাটিতে সিংহের থাবার দাগ। শিউরে উঠে সে ভাবলো থিসবি মরে গেছে, সিংহের শিকার হয়েছে থিসবি। সেই উত্তেজিত আর দুঃখে অভিভূত অবস্থায় দ্বিতীয় কোনো চিন্তা সে করতে পারলো না। সে ভাবলো হায় হায় একলা মেয়েটা এসেছিলো, সে নিজে কেন আগে এলো না? সে এখানে থাকলে তো থিসবি ওভাবে---
থিসবির অসহায় মৃত্যুর জন্য পিরেমুজ নিজেকেই দায়ী করলো। থিসবির ছিন্ন ওড়নাখানা তুলে নিজের মুখে চেপে ধরে সে অস্ফুটে বললো, "আমিও আসছি থিসবি, আমিও আসছি।" তারপরেই নিজের তলোয়ার খুলে নিজের বুকে বসিয়ে ঘ্যাচ করে টান দিয়ে বার করে নিলো। পিরেমুজের তাজা রক্ত ছিটকে উঠে মালবেরী গাছের সাদা ফলগুলোকে টকটকে লাল করে দিলো।
এদিকে সিংহীর ভয়ে দৌড়ে গিয়ে থিসবি তো লুকিয়েছিলো, কিন্তু বেশীক্ষণ থাকতে পারলো না। পিরেমুজ কি এসেছে, নাকি আসে নি? কী হলো সেখানে, এইসব ভাবতে ভাবতে থিসবি লুকানো জায়গা থেকে বার হয়ে গুটি গুটি এসে হাজির হলো মালবেরী গাছের কাছে।
সে এসে দেখলো এই হৃদয়বিদারক দৃশ্য। মৃত্যুপথযাত্রী পিরেমুজ পড়ে আছে মাটিতে, চারিদিক রক্তে রাঙা হয়ে গেছে। থিসবি ছুটে গিয়ে পিরেমুজের মাথাটা কোলে নিয়ে বসলো। পিরেমুজের চোখ বোজা, নিঃশ্বাস ভারী হয়ে এসেছে, সে আচ্ছন্ন গলায় কোনোরকমে বললো, "কে?"
থিসবি অশ্রুচ্ছন্ন গলায় বললো, "আমি থিসবি।"
শুনে পিরেমুজ মৃতপ্রায় চোখের পাতা কোনোক্রমে খুলে একবার দেখলো, তারপরেই তার চোখ বুজে গেল চিরকালের মত।
পিরেমুজের তরবারিটা পড়ে ছিলো পাশেই, তার পাশে থিসবির ছিন্ন ওড়না। থিসবি বুঝলো পিরেমুজ নিজেই নিজেকে হত্যা করেছে, কারণ এই ছিন্নভিন্ন রক্তমাখা ওড়না দেখে সে ভেবেছিলো থিসবি মরে গেছে। থিসবিও একই কাজ করলো, পিরেমুজের তরবারি নিজের বুকে বসিয়ে সেও মৃত্যুকে বরণ করলো।
পরদিন সন্ধান করতে করতে দু'জনের বাবামা আর বাড়ীর লোকেরা এসে এই তরুণ তরুণীর মৃতদেহ পেল। পাশাপাশি পড়ে আছে তাদের নশ্বর দেহ দুটি, পৃথিবীতে মিলন হতে পারলো না বলে তাদের আত্মা পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়ে চিরকালের মত মিলে গেল।
উভয়ের বাবামাই অনেক হাহাকার করলো, তখন আর হাহাকার করেই বা কী হবে? তারা তো ফিরবে না। দু'জনের বাবামাই তখন বলছিলেন আহা যদি বাধা না দিতাম আমরা! এখন যে আমাদের কিছুই রইলো না।
একই সাথে অন্তেষ্টি হলো পিরেমুজ আর থিসবির, একই স্ফটিকপাত্রে রাখা হলো দুজনের ভস্ম। আর মালবেরীর ফল চিরকালের জন্য হয়ে গেল টকটকে লাল। মালবেরীর এই লাল ফল হয়ে রইলো পিরেমুজ আর থিসবির ভালোবাসার অমর স্মৃতি।
******
মন্তব্য
শুরুটা চিরায়ত বাংলা সিনেমা ... শেষে দেখি একেবারে রোমীয় জুলিয়েট এ টার্ন নিল । সুন্দর হৃদয় স্পর্শী রূপকথা টির জন্য ধন্যবাদ নিন তুলিরেখা ।
কমেন্ট কি সবার আগে আমি করলাম নাকি ?
আরে রীডার, এখন উঠলো আপনার কমেন্ট! আপনি আর ফাহিম হাসান দু'জনে মিলে যুগ্মভাবে প্রথম! সন্দেশ আর দইয়ে আপনারো ভাগ আছে। ফাহিম দিতে না চাইলে ডুয়েল লড়ুন।
একই সময়ে একেবারে ঘন্টা মিনিট মিলিয়ে একসময়ে দুজনে কমেন্ট করেছেন! তবু লোকে দেখুন এনট্যাঙ্গলমেন্ট, টেলিপোর্টেশন কিছুই বিশ্বাস করতে চায় না!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
একটি বিশেষ মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সন্দেহের তালিকায় কৌস্তুভ, পছন্দনীয় তো আগে থেকে ছিলই, এখন মডুদের মাঝেও কেউ থাকতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। জাতি এরকম অবিচার মেনে নিবে না। contact@সচলায়তনে প্রতিবাদ লিপি পাঠাচ্ছি। আমার প্রথম স্থান ফিরিয়ে না দিলে আগামী সপ্তাহ থেকে লাগাতার হরতাল....
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ইকি, দিন দিন দেখি প্রতিযোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে !!! দেখছি 'নিখিল সচল দল' সিন্ডিকেট গঠন না করলেই চলছেনা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কৌস্তুভ আর পছন্দনীয়ের দাঁতে জুতার কালি ঘষে আমি প্রথম
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বাঃ। আজকে ফাহিম পেয়ে গেলেন এক বাক্সো সন্দেশ আর চিনিপাতা দই।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সাদা সাদা সন্দেশ, চিনিপাতা দই
উপহার পেয়ে আমি বড় খুশি হই।
ঐ দুই ব্যাটা এসে ভাগ যদি চায়
এই ভয়ে সন্দেশ পেটে চলে যায়।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দারুণ ছড়া তো! নিয়মিত লেখেন না কেন?
হাতের টিপ খারাপ, ঝড়েও বক কদাচিৎ মরে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আপনার ব্লগ পড়ে কিন্তু পাকা হাতের টিপ বলেই মনে হয়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আপনাকে নিরাশ করব না।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
@ফাহিম, আপনাকে ছড়া লেখতে বলা হচ্ছে! ঢিল মেরে কারো মাথা ফাটাতে বলা হচ্ছে নাকি
এরকম কিছু ছড়া নিয়ে অতি অবশ্যই একটা পোষ্ট চাই, দিতে হবে
খুব হয়েছে শিক্ষা! (মনে দুঃখ চেপে বলি) বিজয়ের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে ফাহিম ফটুরে কে অভিনন্দন!
বিজয় তো রিডার ছিনিয়ে নিয়ে গেল পাপী মডুদের সাথে চক্রান্ত করে
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আহা! প্রশংসা শুনতে কী মধুর (গুড়) (গুড়)
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দুজন দাঁতে জুতার কালি ঘষে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভাবতেই হা হা হা হি হি হি হো হো হো...
অনেক আগে একবার গ্রামে এক কাজিনের বিয়েতে রঙ খেলেছিলাম সবাই। ক্রমে গোলান রঙ ফুরিয়ে গেলে পায়েস, মাড়, কাদামাটি, পাতিলের কালি এবং শেষে বারান্দার কোনায় রাখা আলকাতরার টিন অব্দি সেই খেলা গড়াল। সদ্য বিয়ে হওয়া দুলহাটি হাসিমুখে আমাদের কিম্ভুত চেহারা দেখে খুব আমোদ পাচ্ছিলেন। অম্নি সবাই গিয়ে ওকেই ধরে খালি গা করে কালি মাখিয়ে দিলে, একজনের তাতেও মন ভরল না, সে গিয়ে খুব করে দাঁতেও কালি ঘষে দিল। বেচারা বর হকচকিয়ে কাক ভুশুণ্ডি হয়ে উঠোনের মাঝে দাঁড়িয়ে রইল। সেই কথা মনে পড়ে গেল
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ফাহিমের কিন্তু বুদ্ধি আছে - আমাদের গায়ে কালি দিলে তো হেরফের কিছুই বোঝা যাবে না, ওই দাঁতই একমাত্র জায়গা...
আমার গায়ের রঙ তো ঠিক এমন - ফ্ল্যাশ না মারলে ছবি তোলা শক্ত।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এই গল্পটা ছোট বেলায় যখন পড়ি তখন কষ্টের চোটে কাঁদতে কাঁদতে শেষ। অনুবাদ ভালো হয়েছে। তবে এখন বড় হয়ে গিয়েছি। সহজে কান্না পায় না।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
একই মন্তব্য দুইবার এসেছে। দুঃখিত।
এই গল্পটা ছোট বেলায় যখন পড়ি তখন কষ্টের চোটে কাঁদতে কাঁদতে শেষ। অনুবাদ ভালো হয়েছে। তবে এখন বড় হয়ে গিয়েছি। সহজে কান্না পায় না।------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
রোমিও জুলিয়েট ও তো এরকমই।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এইটা আমিও ছোটবেলায় পড়েছিলাম! তবে অতদিন আগের অনুবাদ তো, ভাষা আরো ভারী ছিল... এইটা সহজসরল...
আহা মণিরত্নম, দুপুরের ঘুমে স্বপ্ন দেখলাম। দেখলাম আপনি আর সুবোধ বালক ছন্দ, দুজনে এক বিরাটাকার রামপাখির (প্রায় সিন্দবাদের দৈত্যপাখির সাইজের সে পাখি ) দুই ঠ্যাং ধরে ঝুলছেন আর পাখিটা বিরক্ত মুখ করে উড়ছে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সেকী, ওই রামপাখিই কি আমাদের খাওয়ার ধান্ধা করছিলো নাকি???
আহা, এরকম একখানা রোস্ট খেতে পেলে...
আবারো আপনি? কই পছন্দনীয় ভাই, জরিমানা বসান...
হুঁহুঁ, তুলিদি... এইবার তবে...
হে হে, জরিমানা দিমু না।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
না দিলে সুদে বাড়বে
তাতে কী? না মানলে সুদই বা কী আসলই বা কী?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কান্দো ক্যানো ?
লেবুচিনি দেওয়া ঠান্ডা সরবত নাও, যা গরম!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হি হি, ঐ ঘোল আর সরবতই জোটে শুধু, আহারে !!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আজকে আশালতা, আয়নামতি আর তিথীডোর যে কোথায়! মৌরলা মাছের একটা রান্না ওদের জন্য করে রেখেছিলাম! আর ঝাল আচারও ছিলো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আমি আছি! খাওয়ার রুচি নেই কয়েকদিন ধরে, আপনার আচার সহযোগে মৌরলা মাছ - রুচি ফিরিয়ে আনলো!
লেখা চমৎকার!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এএহ্, রাত দুটোর সময় পোস্ট দিলে কি করে ফার্স্ট হই ? তখন তো আমি ঘুমিয়ে থাকি। অত রাত্তিরে কম্পুতে বসে থাকলে বাড়ি থেকেই তাড়িয়ে দেবে যে! ওসব খাবার তোমার প্রিয় পাত্তর, যাদের নাকি ঘুমিয়েও স্বপ্ন দেখো, তাদের দাওগে, আমি খাবই না, মান করেছি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আহা রাধা ছাড়া আর কারু মান করা সাজে না। কৈকেয়ী ও কত্তেন, তবে গোসাঘরে ঢুকে যেতেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ইইশ, আমি সেই কবেই রাধারানী উপাধি পেয়েছি তা জানো ? ওইসব ষোল সতের পাতার চোখের জল মেলানো পেম্পত্তর গুলো নেহাত ডাস্টবিনে গেছে, তাই সাক্ষীসাবুদ নেই। নইলে কি বুড়ি হয়েছি দেখে মান করতেও পাবো না ? এ কেমনতর শিব ঠাকুরে আইন হল ?
অবশ্যি, অন দা সেকেন্ড থট, আজকালকার বাংলাদেশের যা সামাজিক প্রেক্ষিত, তাতে নারীদের মান করলে আরও হতমান হবারই সমূহ সম্ভাবনা। তাইতে মানে মানে কেটে পড়াই ভালো।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমি চিঙড়ি পোকা ছাড়া আর কোন মাছ খাই-ই না।
মাছ_আচার ওইসব পেটুকদের জন্য তুলে রাখো দিদি, ক্যাডবেরি, ললিপপ আর গেলাশ ভরা তক্কেট হরলিক্স পেলেই আমার চলবে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বিড়াল বলে মাছ খাবোনা আঁশ ছোঁবনা কাশী যাব...
সেকি খুকি, তুমি ইলিশ খাওনা???!!! প্রাণে বড় ব্যথা পেলাম পেটুক হতে হবেনা, কিন্তু তাই বলে এই জিনিসও না খেয়ে থাকে কেউ?
ঠিক আছে, ললিপপ নাও।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এ এ এ এহ ... আসছে কোত্থেকে কমেন্ট দিতে ... । সন্দেশ আর দই ত আমার । ফাহিম দিতে না চাইলে মানে কি? আমাকে জিজ্ঞেস করেন বরং ফাহিম কে আমি ভাগ দিব কিনা...। আহা... মন খারাপের কারন নেই ফাহিম । আমি সন্দেশ, দই এর ভাগ আপনাকে দেব তবে গুনে গুনে ১ টেবিল চামচ এর বেশি নয় ( যতই দই সন্দেশ এর কবিতা ফাদা হোক না কেন ) । আর বাকি সবাই কে বলে রাখি , লাইনে দাড়িয়ে লাভ নেই । আর কাউকে ( কৌ , অপ ) কানাকড়ি সমতুল্য ভাগ ও দেয়া হবে না ।
আপনেতো দেহি বাই বিরাট “কিরপিন” লোক! মনে কইতাছে আপনের টেবিল চামুচের সাইজ ভি সেইরকম অর্ডারী মাল অইবো! আমরা এত্তোডি মানুষ এইহানে কাঙালের মতন খাড়ায়া খাড়ায়া মরতবা করতাছি আর আপনে টেবিল চামুচ লয়া আইলেন? ইমানদারী কইতাছি, আপনে খান, আমগো দিলখুশ।
বহুৎ দিন বাদে এইরহম একজনের লগে দেহা হইলো!!
একজন চলে এসেছে দিদি বাকী দু'জন আসুক সবাই মিলে বেশ কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া যাবে। আজ আমি এদিকে আসতে পারিনি। ফাহিম কেমন মন্তব্যটা করে ফেললেন সবার আগে সাথে আবার রিডার! নতুন নতুন প্রতিযোগী বাড়তেই আছে দেখি দিনেদিনে
বলি আমাদের কপালে কি শুধু গুড়ই জুটবে? আয়নামতি আপা, এ কেমন ধারা ব্যবহার?
গেলাম, আর আসিবোনা ফিরে
খাইবোনা মৌরালা মাছ ঝাল ঝাল আচারে
ও মাছ কেউ খায় নাকি, পচাঁ,
খেতে গেলেই কাটার খোচা।
আর আচার? আমার টক আর মিষ্টিই পছন্দ
ঝালে কেবল মরিচ মরিচ গন্দ;
সইবেনা, সইবেনা এহেন অপমান - “খাদ্যে”
পেটের ভেতর বাজবে বাদ্য নানানরকম শব্দে
এবং তারপরেতে কি?
এক মুঠো গুড়ে লবন একচিমটি
হে হে হে হে .........
ভালোবেসে মরে যাবার বহুচর্চিত গল্পও কেন যেন ঘুরে ফিরে পড়তে ভালো লাগে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সত্যিই আশালতা। এ কাহিনি পুরানো হবার নয় কোনোদিন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হা হা হা ... না খেলে ত ভালই হয়... খাওয়া দাওয়ার ভাগ দেয়াটা আমি বিশেষ পছন্দ ও করি না... নেহাত , ফাহিমের কষ্টার্জিত প্রথম হবার হক স্বরূপ সেধেছিলাম আর কি ...
বিশেষ ঘোষণা -- আমি প্রথম হবার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত নহি । কেমনে জানি ফাস্ট হইয়া গেলাম , মনে হয় কপালে দই সন্দেশ ছিল আর কি প্রতিযোগিতা আপনাদের জন্য তোলা থাকল । আমি দর্শক মাত্র
রোমিও আর জুলিয়েটের এই ভার্সনটা আগে পড়িনি।
আর কইও না, নিন্দুকেরা কয় শেক্সপীয়ার সাহেব নাকি এই কাহিনিটা মাইরা দিয়াই রোমিও জুলিয়েট লিখসিলো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
শেক্সপীয়ারের মিডসামার'স নাইট ড্রিম গল্পে এই গল্পটা সরাসরি আছে না? একদল শখের অভিনেতা যে রাজারানীর জন্য অভিনয় করে?
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
আছে, তবে যতদূর মনে পড়ে ওটা একটা হাস্যকর ব্যাপার ছিলো...
আরে মিডসামারে ওটা ফান করে দেখানো, লন্ঠন হাতে নিয়ে চন্দ্র আসছে, এদিকে সবাই হাসছে-এরকম সব।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
চমৎকার লিখেছেন, বর্ণনা দারুন রকমের ঝরঝরে। শুভেচ্ছা-- অণু
অনেক ধন্যবাদ অণু।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
একশ হতে কত দেরী?
আরো সাতান্নটা বাকী।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অহনা নামটা ভাল। সম্ভবত: নামটা প্রথম দেখি হুমায়ুন আহমেদের বইতে। যাহোক কথা সেটা না, কথা হল এই যে লেখাটা পড়লাম। একদম ভাল লাগেনি। এই যুগের সাথে সম্পূর্ণ বেমানান। সত্যি বলতে কি নিতান্ত ফালতু মনে হয়েছে। ৮ম শ্রেণী লেভেল। আরও ভাল লেখা আশা করছি।
নতুন মন্তব্য করুন