ডাফনি ছিলো নদীদেবতা পানিয়াস এর মেয়ে। মেয়ে ছোটো থেকেই খুব ডাকাবুকো স্বভাবের, যেমন তেজী তেমনি জেদি। দিনে দিনে মেয়ে বাড়ে, যত বাড়ে ততই সুন্দরী আর শক্তিমতী হয়ে ওঠে। কিশোরী বয়স থেকেই স্বাধীন আরণ্য সিংহীর মত সে বনে বনে শিকার করে বেড়ায়। সে পশুচর্মের পোশাক পরে, চুল খোলা রাখে। সে আরণ্যক হ্রদে স্নান করে, বনের ফল আহার করে।
দেশের সুন্দরী, শান্ত, লক্ষ্মীমতী মেয়েদের মতন কেশবিন্যাস করে গলায় মালা পরে নখপালিশ মুখপালিশ ঠোটপালিশ লাগিয়ে সাজগোজ করার কথা সে স্বপ্নেও ভাবতে পারে না। তবু বসন্তের নতুন পাতার মতন সতেজ অনাবিল সৌন্দর্য উছলে পড়ে তরুণী ডাফনির সর্বাঙ্গ থেকে, শরৎশিশিরের মতন ঝলমল করে তার চোখ দু'টি।
পানিয়াস মেয়ের বিয়ে দেবার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। দূর দূর দেশ থেকে আর কাছের দেশ থেকেও তিনি সুন্দর সুন্দর সব তরুণদের নিয়ে আসেন ডাফনির পানিপ্রার্থী হিসাবে। কিন্তু ডাফনির কাউকে পছন্দ হয় না।বস্তুত ডাফনি কোনো ছেলেকেই বিশেষ সুনজরে দেখতো না। সে ছিলো শিকারপ্রিয়া চন্দ্রদেবী ডায়ানার উপাসিকা।
দিনের পর দিন যায় এভাবে। পানিয়াস খুব বিষন্ন হয়ে বলেন, "মামণি, কেন তুই বিবাহ করে ঘরসংসার করতে চাস না মা? আমার কপালে কি আর নাতিনাতনি নিয়ে আনন্দ করা হবে না? "
ডাফনি বলে, "কেন বাবা আমায় তুমি বন্দিনী হয়ে দাসীবৃত্তি করতে বলছ? বনের সিংহীকে পিঞ্জরে রাখলে সে কখনো সুখে থাকে বলো? আমার কাছে বিবাহ ব্যাপারটাই তাই, সব স্বাধীনতা শেষ। আমাকে তুমি দেবী ডায়ানার উপাসিকা হয়ে থাকতে দাও বাবা। লক্ষ্মী বাবা, সোনা বাবা, অমত কোরো না। তুমি অমত করলে যে মরণ ছাড়া গতি নেই আমার।"
পানিয়াস আর কী করেন, আদরের মেয়ে, জেদি মেয়ে, জোরাজুরি করলে যদি সত্যিই গাছের ডালে দড়ি লাগিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ে? ও মেয়ে তা পারে। পানিয়াস দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিরস্ত হন, আর চাপাচাপি করেন না।
একদিন ডাফনি গভীর বনে শিকারে ব্যস্ত, খোলা এলোমেলো চুল বাতাসে উড়ছে, চর্মের পোশাক অবিন্যস্ত, উত্তেজিত মুখে বিন্দু বিন্দু ঘাম। সূর্যদেব অ্যাপোলো এই অবস্থায় ডাফনিকে দেখে একেবারে যাকে বলে একদেখায় ঘোরতর প্রেমে পড়ে গেলেন।
ডাফনির দিকে দৌড়ে আসছেন সূর্যদেব, ডাফনি দেখতে পেয়েই উল্টোদিকে দৌড় দিলো। ডাফনি খুব দ্রুত ছুটতে পারতো, অচিরেই সূর্যদেব পিছিয়ে পড়লেন। পিছন থেকে তিনি চিৎকার করে বললেন, " ভয় পেয়ো না, আমি কোনো বাজে লোক না, আমি স্বয়ং সূর্যদেব অ্যাপোলো। একবার পিছন ফিরে তাকাও। আমি তোমার কোনো ক্ষতি করবো না, আমি তোমায় ভালোবাসি। আমি তোমাকে বিবাহ করতে চাই।"
ওরে বাবা! দেবতা বিয়ে করতে চায়। এ যে সাড়ে সব্বনাশ! ওদের তো কিছু টাক্করটিও লাগে না, কাজকাম মিটলেই ওরা পালায়, যত ঝামেলা তো তখন পৃথিবীর মেয়েটার! জানাজানি হলেই হয় মৃত্যু, নয় নির্বাসন। আর নির্বাসন, সে যে মৃত্যুর চেয়েও ভয়ংকর!
ডাফনি আরো জোরে দৌড়ালো। পালাতেই হবে, পালাতেই হবে। এদিকে অ্যাপোলোও দৌড়ের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে, তার তখন একেবারে প্রেম আর মানসম্মানেরও ব্যাপার। একটা মেয়ে দৌড়ে হারিয়ে দেবে তাকে? অ্যাপোলো ডাফনিকে প্রায় "ধরি-ধরি মনে করি ধরিতে পারি না" অবস্থায়, এমন সময়ে ডাফনি সামনে দেখলো নদী। ডাফনির বাবা পানিয়াস এই নদীর দেবতা। ডাফনি করজোড়ে প্রার্থনা জানালো, "বাবা, আমাকে রক্ষা করো।"
পিতা কন্যার প্রার্থনা শুনলেন। মুহূর্তের মধ্যে ডাফনির পা মাটিতে শিকড় হয়ে ছড়িয়ে গেল, সর্বাঙ্গ ছেয়ে গেল বল্কলে, বাহু হয়ে গেল শাখাপ্রশাখা, হাজার হাজার পাতা বার হয়ে এলো শাখায় প্রশাখায়। ডাফনি হয়ে গেল লরেল গাছ।
অ্যাপোলো ছুটে এসে ডাফনিকে জড়িয়ে ধরতে গিয়ে দেখলেন ডাফনি পাল্টে গেল, মানুষ থেকে হয়ে গেল লরেল গাছ। গাছ রূপেও তিনি ভালোবাসলেন ডাফনিকে, লরেল হলো তার প্রিয় গাছ, এই লরেল পাতার মুকুট পুরস্কার দেওয়া হতো বিজয়ীদের।
লরেলের পাতায় পাতায় সূর্যের আলো ঝলমল করতে লাগলো। কোনোদিন অ্যাপোলো পেলেন না যে মানুষ ডাফনিকে, তাকে লরেল গাছ হিসাবে চিরকালের জন্য পেয়ে গেলেন।
*******
মন্তব্য
আমি ফাস্টো, কি খাবো তুলিদি?
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
নাহ্, গোহারা হেরে যাবার অভ্যেস হয়ে যাচ্ছে যে ! মান সম্মান বাঁচাতে এখন ঠিক ছোটবেলার মত ঠোঁট উল্টে 'না বাবা, আমার পেটে ব্যাথা, আমি খেল্বনা' বলতে হবে দেখছি...
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশালতা, খেলে কী হবে? বরং চলো বড়মাঠের মেলায় ফুচকা খেতে যাই।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আহা, আব্দুর রহমান, খাবে কেন? এই নাও লরেল পাতার মুকুট, মাথায় পরো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সব্বাই কত কিছু খায়, আর আমায় মাথায় পাতার মুকুট পরে খালি পেটে ঘোরাঘুরি করতে হবে? আমি সর্ষে ইলিশ দিয়ে ভাত খেতে চাই।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
আরে বড় বড় রোমান সেনাপতিরা পাতার মুকুট পরে ঘুরতেন তো! এই দ্যাখো না জুলিয়াস সীজার, সেও পরতো।
ঠিক আছে, নাও নাহয় ইলিশের কয়েকটা ভাজা টুকরাই নাহয় নাও, গরম ভাত ও আছে, ইলিশের তেলে মেখে নাও, মরিচ আর একছিটা লবণ ও নিও।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
থ্যাংকু দিগন্ত।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অ্যাপালো তো সাংঘাতিক লুল দেখি!
আচ্ছা, শেষ থেকে দ্বিতীয় প্যারাটার শেষে কিছু বাকি রয়ে গেছে কি? হঠাৎ করেই বিজয়ীদের কথা চলে এলো। কীসের বিজয়ী, কারা বিজয়ী, কেনো বিজয়ী- এসবের কোনো উল্লেখ নেই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যদ্দুর জানি, গ্রিসে এই লরেল পাতার মুকুটকে খুব সম্মানিত ধরে নিয়ে যেকোনো যুদ্ধ বিজয়ী সাহসী বীরকে সেই পাতার মুকুট পড়িয়ে বরণ ও সম্মানিত করার চল হয়েছিল। তাইনা তুলিরেখা ? আর এপোলো তো কোন ছাড়, ওনাদের দেবরাজ জিউসের কাণ্ড কীর্তি পড়লে তো ভির্মি খেতে হয়। কোন এক মেয়েকে তো মাটির নিচের এক ঘরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল উনার কুদৃষ্টির ভয়ে। সেইখানেও উনি রূপ বদলে আলোর রেখা বেয়ে গুঁড়ো স্বর্ণরেণুরূপে ঝরে পড়ে হাজির হয়েছিলেন। [ হে হে হে ফেল করে মুখ খেয়ে মগজে গিয়ান কড়কড় কচ্ছে তো তাই আজ সব্বাইকে বিনিমাগ্নায় গিয়ান বিতরণ করে বেড়াচ্ছি !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আরে ধূ গো, শুধু অ্যাপোলো কেন? বাকী গ্রীক/রোমান দেবতারাও এরকম, ঘোরতর "প্রেমিক"।
প্রশ্নের উত্তর আশালতা দিয়ে দিয়েছে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
যাচ্চলে, আজ হঠাৎ করে ধুগোদা প্রথমে ঢুকে পড়লেন? পছন্দনীয় এবার কী করবে?
ছন্দ আজকে রেগে চতুর্ভূজ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
*********ওরে বাবা! দেবতা বিয়ে করতে চায়। এ যে সাড়ে সব্বনাশ! ওদের তো কিছু টাক্করটিও লাগে না, কাজকাম মিটলেই ওরা পালায়, যত ঝামেলা তো তখন পৃথিবীর মেয়েটার!***********
হা হা হা হা! রামায়ানে পাণ্ডবদের মাতা কুন্তির কথা মনে পড়লো-
শুভকামনা।
"pandob-mata" in the ramayan ! bravo!!!
প্রখর রোদ্দুর, ওটা তো রামায়ন নয়, মহাভারতে। আর যতদূর জ্ঞান যায়, পাণ্ডবমাতা নিজেই সূর্যিদেবকে আহ্বান করেছিলেন, উনার প্রাপ্ত বরটি পরীক্ষা করার জন্যে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
শুধূ নিজের বর পরীক্ষা করার জন্যে নয়, সূর্যদেব নিজেও কুন্তির রুপে পাগল হয়েছিলেন!!
আর তাই ঘটনাটা ঘটেছিলো।
তুলিরেখার লেখা দারুন হয়েছে, তোফা। [অবশ্যি একথা না বললেও চলে। আমি যে এই লেখার বিমুগ্ধ ভক্ত এ তো জানাই আছে ]
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
রোমান ডায়ানাই কি গ্রিক আর্টেমিস না? ব্যাটা পাজি অ্যাপোলো, এত বিয়ে করার শখ তো আগে নিজের বোনটাকে বিয়ে দিয়ে নিলেই পারতি...
আর নিম্ফ এর বাংলা কি হবে? ডাফনে তো ছিলো নিম্ফ...
হুম, ডায়ানাই আর্টেমিস। অ্যাপোলো অবশ্য গ্রিক রোমান দুই সভ্যতাতেই আছে। আর ডায়ানা/আর্টেমিস তো চিরকুমারী, দেবদেবীদের লুচ্চামি দেখে অতিষ্ঠ হয়েই মনে হয় এই প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলেন।
নিম্ফের মনে হয় না সঠিক কোন বাংলা আছে। পানির নিম্ফদের জলকুমারী বলা যেতে পারে। গাছের নিম্ফদের কী আলাদা কোন নাম আছে বাংলায়? বেশিরভাগ জায়গাতেই যেখানে বাস করতো নিম্ফরা সেই জায়গার আত্মা বা পরী হিসেবে পরিচয় দেওয়া হতো মনে হয়।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
আর্টেমিস খালি চিরকুমারী থাকার প্রতিজ্ঞাই নিয়ে বসেনি, রীতিমত মৌলবাদী হয়ে গেছিলো - বেচারা ওরিয়ন আর আরো বেশি বেচারা সিরিয়াসকে খালি খালি মেরে ফেললো
আহ, এই পুরাণ পড়তে আমার যে কি ভালো লাগে!
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
আমারও।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
Nymph = জলপরী বললে কিছুটা কি মানায়?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ওয়াটার নিম্ফদের নাহয় জলপরী বলা গেল, বনের বা বৃক্ষের নিম্ফও তো ছিলো অনেক!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বনপরী
মেয়েরা চিরকাল এইরকম ফাঁকি দিয়েই বেড়ায়
অ্যালার্ম!!! জেনারালাইজেশন!!!
দাদা ভয় পাইছি!!
কমেন্টটা পুরোটাই ফান ছাড়া আর কিছূ না।
আশা করি বুঝতে পারবেন। হা হা হা
এতো সুন্দর একটা লেখায় এই মজাটুকু না করতে পারলে হয় বলুন!
মাফ করা হইলো।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আহা ছন্দ ভায়া, বোঝো না কেন, অর্ক হলো যাকে বলে সমব্যথী, অর্ক মানে সূর্য কিনা!
ওকে চেপে ধরে জিগালেই জানতে পারবে সেও কোনো বাঘশিকারী সুন্দরীর পিছে পিছে দৌড়াইছিলো কিনা!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আমি বরাবরই রূপকথা অনেক পছন্দ করি...আপনার বলার ধরণে সেই ভালোলাগা আরো বেড়ে গেল...চালিয়ে যান...
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হাহহাআ তুলিদি খুব ভালো লাগলো, এক্কেবারে উচিত শিক্ষা হয়েছে সূর্যদেবের। এখন থাকো তোমার লরেল গাছ নিয়ে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
গাছেই রয়ে গেল শেষে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বাহ! এইটা তো খুব সুন্দর! এক সময়ে সব সব গ্রীক আর স্ক্যান্ডেনিভিয়ান আর আর যত পূরান গোগ্রাসে পড়েছি... কিন্তু এখন অনেকই ভুলে গেছি... এইটা আগে পড়েছিলাম কিনা মনে করতে পারছি না। ডাফনির জন্যে একটু খ্রাপ লাগছে, বেচারি কি আর নিজের রূপ ফিরে পায় নি? তাহলে তো সে অ্যাপোলোর হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে সেই যে বন্দীত্ব থেকে মুক্ত স্বাধীন জীবন যাপন করতে চাইছিলো সেইটাতেই আটকা পড়ে গেল...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধইনবাদ।
ডাফনি গাছ হয়ে গেল, আর গাছ তো "বন্দী হইলেও মুক্ত" কিনা!
সেই সে দাড়িবুড়া লিখেছিলো, "আমরা থাকবো, আমরা বাঁচবো, আমরা চিরপথিক, মৃত্যুর পর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে অনন্ত প্রাণের বিকাশতীর্থে যাত্রা করবো রৌদ্রে বাদলে দিনে রাত্রে।"
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন