গতবারের ইস্কুলবেলার গল্পে কী যেন বলছিলাম? মনে পড়েছে, আমাদের ক্লাস-থ্রীর ক্লাস-টিচার দিদিমণির কথা। অল্পবয়সী দিদিমণি, ওনার নিজের মেয়েটি তখন মাত্র এক বছর বয়সের। প্রতিদিন ক্লাস শুরুর ঘন্টা পড়লে নাম ডাকার খাতা আর কলম হাতে দিদিমণি আসতেন। আগের দু'বছরের ক্লাসে যে মুহূর্তটা সবচেয়ে বিশ্রী লাগতো, এই দিদিমণির যাদুমন্ত্রবলে সেই মুহূর্তটাই হয়ে উঠেছিলো আমার সারাদিনের মধ্যে সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত। "আসছে, সে আসছে। "
সাধারণ হালকা রঙের সুতীর শাড়ী পরা, স্নান করার পরে ভেজা চুলগুলো একটা আলগা গেরো দিয়ে আটকিয়ে পিঠের দিকে মেলা। কোনো অলঙ্কার নেই, কপালে লাল টিপও না। খুব নরম, কিছুটা বিষাদমাখা মুখ। নরম গলায় কথা বলতেন, কোনোদিন খুব বিরক্তির মুহূর্তেও গলা তুলে জোরে ধমক দিয়েছেন বলে মনে পড়ে না। অথচ ক্লাসের মধ্যে একসাথে প্রায় ত্রিশ / পয়ত্রিশটি বাচ্চা, কোনো কোনোটা তো রীতিমত বিচ্ছু। দিদিমণির কিন্তু ধৈর্যচ্যুতি দেখি নি কখনো। ওনাকে দেখলেই কেন যেন কোনো এক মায়ের কথা মনে হতো, কারুর একার মা না, অনেকের মা, যেমন মা সারদা, যেমন মা টেরেসা। এমন একজন, যাকে ভরসা করা যায়, যার কথা শুনতে আর মানতে ইচ্ছে করে। মানতে হবে বলে নয়, মানতে ভালো লাগে বলে।
পরে জেনেছিলাম এরই কিছুদিন আগে এই দিদিমণির স্বামী অকালে মারা গেছিলেন ভুল চিকিৎসায়। সেই ভদ্রলোক কাছের এক হাইস্কুলে টিচার ছিলেন, খুব ভালো শিক্ষক বলে নামডাক হতে শুরু করেছিলো। কিন্তু সেই সময়েই এই বিপর্যয়। দিদিমণি তখন আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই চাকরিটি পান অস্থায়ী শিক্ষিকা হিসাবে, প্রথম কয়েক বছর প্রাইমারিতে পড়িয়ে পরে বদলি হয়ে যান দূরের এক হাইস্কুলে। সারাজীবন একলাই কাটালেন, সন্তানটিকে মানুষ করলেন একলাই।
এর বেশ কয়েক বছর পরে যখন প্রথম জানতে পারলাম মাদাম কুরী আর পিয়ের কুরীর কথা, দেখলাম তাদের ছবি, বর্ণনা পড়লাম পিয়ের কুরীর দুর্ঘটনায় মৃত্যুর, বর্ণনা পড়লাম মাদাম পড়াচ্ছেন ফরাসীদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে, তখন আশ্চর্যভাবে সেই অচেনা বিদেশী পরিমন্ডল মুছে গিয়ে মাদামের মুখের জায়গায় ফুটে উঠলো আমার সেই দিদিমণির বিষাদকোমল মুখটি। এইভাবেই দেশকালে আবদ্ধ আমরা হয়তো আমরা স্পর্শ করে থাকি দেশকালের বাইরের কোনো ব্যপ্ত সত্যকে। কে বলতে পারে?
সেই সময়ে শিক্ষাবর্ষ শুরু হতো জানুয়ারী মাসের দুই তারিখ থেকে। মানে ইংরেজী বছর শুরু হবার সাথে সাথেই। ক্লাস থ্রীর ক্লাস শুরু হবার কিছুদিন পরেই শুরু হয়ে গেল আরেক সাজো-সাজো রব, বিরাট পুরস্কার বিতরণী উৎসব হবে, সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগের চার বছর হয় নি, সব পেন্ডিং পুরস্কারগুলো একসাথে দেওয়া হবে, তার জন্য দিদিমণিরা সব পুরানো আর্কাইভ উল্টেপাল্টে সন্ধান করছেন, তালিকা তৈরী করছেন, স্কুলের পরে অতিরিক্ত কাজ করতে হচ্ছে।
তার চেয়েও বেশী সক্রিয় কর্মকান্ড চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য। সেই যে প্রাইমারি সেকশনের বেশীরভাগ শিক্ষিকার কথা বলছিলাম, তাদের নাচে আর গানে উৎসাহ বিরাট। তারা তো রীতিমত নাচের দল বানিয়ে ফেললেন প্রাথমিক স্ক্রিনিং টেস্ট নিয়ে, আর গানের জন্য আরেকদল নির্বাচিত হলো। কোরাসের জন্য একরকম স্ক্রিনিং টেস্ট, প্রধান গানগুলোর জন্য যাদের একলা কন্ঠদান, তাদের নির্বাচনের টেস্ট আলাদা, খুব চৌখোশ গাইয়ে চাই।
প্রধান অনুষ্ঠান পরীদের নাচ, সেই পরীরা আবার নানা রঙের, দু'জন দু'জন করে লাল, নীল, সবুজ, হলুদ আর সাদা পরীরা। সিমেট্রিকালি নাচবে রাজকুমারীর দুইপাশে। আহা আগে জানলে তো সেইখানেই খানিকটা শিখে ফেলতে পারতাম স্পেকট্রাম অ্যানালিসিস।
সে এক এলাহী কান্ড, কী রিহার্সালের ধূম। আমরা যারা কিনা নাচগান শিখতাম না, তারা দর্শক, বড় বড় চোখ করে দেখতাম ক্লাসের পরে। এসব আগে তো দেখিনি কিনা! সেই মহা-ফাংশানের কথা হবে পরের কোনো পর্বে।
( চলবে হয়তো )
মন্তব্য
আরে এ কী কান্ড?
কোয়ান্টাম টানেলিং করে ছন্দ এসে প্রথমে উপস্থিত! একটু আগেও কিন্তু এই কমেন্ট দেখায় নি!
যাক গে, নাও এক টুকরা ভাপা ইলিশ রয়েছে এখনো, গরম ভাত ও বিস্তর। আর এখনও দুই চামচ দই রয়েছে দধিভান্ডে। ভালো ছেলের মত ঐ মাছভাত খেয়ে উঠলে তবে দেবো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অনেক ধন্যবাদ দিদি, এই একটুও ঝামেলা না করে মাছভাত খেতে লেগে গেলাম
(তবে আপনি পোস্টখানা দিতে একদিন দেরী করে ফেলেছেন, গতকাল গুরুর বাসায় একখানা বারবিকিউ পার্টি ছিলো, তখন পোস্ট দিলে আর মন্তব্য করে উঠতে পারতাম না )
মাছভাত খাচ্ছ খাও, কিন্তু এই কোয়ান্টাম টানেলিং শিখলে কার কাছে?
কোনো হাংগেরিয়ান সুন্দরীর পাল্লায় পড়লে নাকি?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হুঁহুঁ, কোয়ান্টার টানেলিং করার বিশেষ পদ্ধতি আছে
প্রথমে টানেলিং এর আগেরদিন গুরুর বাড়িতে একখানা বারবিকিউর নেমন্তন্ন জোগাড় করতে হবে... তারপরে সেখানে গিয়ে দু'খানা বার্গার নিজের হাতে সেঁকে সাঁটাতে হবে, তারপরে চিকেন বারবিকিউ করে তার গুণে গুণে ছয়খানা খেতে হবে, তারপরে একটুখানি হাঁটাহাঁটি করে তিন বাটি ভর্তি করে কাস্টার্ড খেয়ে বাড়ি গিয়ে জম্পেশ একখানা ঘুম দিতে হবে, সেই ঘুম দিয়ে উঠে সচলে এসে দেখতে হবে তুলিদি কোন পোস্ট দিয়েছেন কিনা...
ব্যস কোয়ান্টাম টানেলিং এমনিই হয়ে যাবে
এইবেলা পেটে রশি বাঁধো বাপু, নইলে কদিন পরে ভুঁড়িতেই টানেলের মাঝখানে আটকে যাবে কিন্তুক বলে দিলাম। তখন কাঁদতে বোসনা যেন, হ্যাঁ !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আটকে তো গেছিলাম একবার, আপনি জানলেন কী করে?
দিদি, মাত্তর এক টুকরো মাছ আর দু'চামচ দৈ দিয়ে পছন্দনীয় ভাইয়ার পেট ভরবে নাকি! খোঁজ নিয়ে দেখো আগেই পেট ভরা ছিলো বলে রা'টি কাড়লেন না
ঠিক, বালকের পেট ভরা ছিলো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আয়নামতিইইইইই !!! কোথায় ছিলে এদ্দিন ??? আমি খুঁজে খুঁজে হয়রান। একখানা মেইল এড্রেস ম্যাড্রেস কিচ্ছুটি নেই যে যোগাযোগ করবো ! এভাবে ডুব দিতে হয় বুঝি ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
৭ মিনিটের ব্যবধানে পছন্দনীয় ভাই জিতে গেল...........যদিও এই মন্তব্য আমিও একটু আগেও দেখি নাই!!!
প্রথম শ্রেণির আগে যখন কোন লোকাল টিউটোরিয়ালে পড়তাম তখন হয়তো দিদিমণি ধরণের কেউ ছিল, মনে করতে পারছি না, স্মরণশক্তি যাচ্ছেতাই আমার। বিদ্যালয় জীবন সরকারি বিদ্যালয়ে, দিদিমণি হীন, এরকম স্মৃতি নেই। আপু আপনার এই দিদিমণিটি খুব ভালো মানুষ।
মহোৎসবের গল্প শোনার অপেক্ষায় রইলাম...............
সত্যি এই দিদিমণি ছিলেন একেবারে যাকে বলে যেমন হওয়া উচিত।
আপনাদের কি সবাই মাষ্টারমশাই ছিলেন?
মহোৎসবের গল্প লিখবো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হুমম তুলিদি, গল্যাহাসের বাচ্চা আমি, শুধু মাস্টার মশাইই নয়, যেদিকি চাইতাম শুধু ছেলে আর ছেলে...............
আহা রে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনাদের রান্না করে দিতো কারা ????
ঘরদুয়ার গুছানো গাছানো, ঝুল ঝাড়া, কেউ কান্নাকাটি করলে থামানো-এসবই বা করতো কারা ????
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এইবার আমি ফার্স্ট!
কিন্তু এসব কী? মহাসমারোহের টিজার ট্রেলার দেখিয়ে চলবে "হয় তো"? চালাতেই হবে।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
টিউলিপ ফার্স্ট।
ভাপা ইলিশ আর গরম ভাত তোমার জন্য, শেষপাতে দই।
আর, ট্রেইলার কোথায়, এতো রিলগুলো আসছে একে একে। একদম টাইম মেনে মেনে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
একটু 'কুইক' হতে হবে হে
মনে হচ্ছে পিছিয়ে পরলাম। আমার ভাগের গুলো কি অপ ভাইয়ের পেটে চালান গেল নাকি ? হায় , আমি গরীবের ভাত নাই
না না সব ছন্দ খায় নি, পাশের ঘরে খাবারের আরো ঝুড়ি লুকানো ছিলো।
তা ভাই রীডার, বসে যাও, ভাতের জন্য কান্দো কেন, পোলাও আর কোর্মা খাও।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভালো লাগলো তুলিরেখা।
... উদাস
থ্যাংকু উদাস।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নিজের স্কুলের কথা মনে পড়ে গেল। আমাদের ক্লাস শুরু হত সবসময় ৪-৫-৬ এর মধ্যে শুক্র আর শনিবারে উপর নির্ভর করে।
আমারও এক দিদিমণি ছিল, তাকে সকালে দেখলে মন্দিরের প্রতিমার মত লাগতো, খোলা চুল, সিঁথিতে সিঁদুর।
লেখাতে
অলস সময়
ধন্যবাদ পলাশ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
(আপনাকে আর দিদিমণিকে)
ধন্যবাদ।
কিন্তু দু'চার লাইন লিখতে কেন এমন কৃপণতা? আপনাকে কমেন্টকৃপাণ নাম দেবো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কনফারেন্সে আছি, সময়ের অভাব, নেটস্পিডও ঝুল। তাড়ায় তাই ইমো দিয়েই পালাই।
কিন্তু আবারও 'আপনি'? খাতায় আরেকটা ঢ্যাঁড়া পড়ল...
আহা মণিরত্নম, এটা যে মিউচুয়াল!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এইভাবে ঢ্যাঁড়া যুক্ত হতে থাকলে বেশি দেরী হবে না... খুব শিগগিরই এমন অবস্থায় পৌঁছে যাবো যে লেখাপড়া শেষে চাকরীছাড়া যখন ফ্যা ফ্যা করে ঘুরতে হবে, তখন তুলিদির জরিমানা আদায় করেই বছরখানেক দিব্যি খেয়ে বাঁচতে পারবো
কৃপাণ মানে খাঁড়া (তলোয়ার ঘরানার) না?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
কৃপাণ মানে তরবারি। শিখধর্মাবলম্বীরা অবশ্যবহনীয় হিসাবে ধরেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ইশ্ পরীদের নাচ ! আমি একবার হয়েছিলাম নীল পরী। কিন্তু নাচতে গিয়ে ঘুঙুর খুলে গেছল...পরের ইতিহাসটি বিশেষ সুবিধের নয়। দিদিমণি আঙুল তুলে খুব শাসাল, ফের যদি নাচতে যাস্...হুঁহ্, যেন আমি সেধে গেছলাম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
নীল পরী? বাঃ
ঘুঙুর খুললো কি রিহার্সালে না স্টেজে?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আরেহ্, রিহার্সেল কি বলছ ? ফাইনাল ষ্টেজে ! একগাদা লোকজন আর পেরেন্টের সামনে !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ভালো লাগছে
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
স্কুলের অনেক টীচারদের আমার ও ভালো লাগতো, মাঝে মাঝে এখন ইচ্ছে হয় গিয়ে ওনাদের সাথে দেখা করি, কিন্তু ওনাদের ওনেকেই এখন রিটায়ার্ড করে ফেলছেন। আপনার গল্প পড়ে অনেকের কথা মনে পড়ে গেলো তুলিদি।
লিখুন না সেসব দিনের কথা, সেইসব মানুষের কথা। আমি গতবারে দেশে গিয়ে এই দিদিমণির সাথে দেখা করে এসেছিলাম, খুব ভালো লেগেছিলো পায়ের ধূলা নিতে। ওই মানুষটির হয়তো মনেই নেই আরেকজন মানুষের জীবনের এক সন্ধিক্ষণে কীভাবে তিনি হাল ধরে সেই জীবনতরী ফিরিয়ে এনেছিলেন আলোর দিকে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আরো চললে পড়তে আসার অপেক্ষা রেখে গেলাম (গুড়)
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এরকম অপেক্ষা থাকলে তো লোকে ইট রেখে যায়, আপনি গুড়ের ব্লক রেখে গেলেন যে? হ্যানসেল-গ্রেটেলের গল্পে যেমন ইটের বদলে জিঞ্জারব্রেডের বাড়ি ছিল, সেইরকম নাকি?
সন্দেশের বাড়ি ও ভালো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ব্যাপকভাবে ফেল্টু খেয়েছি রে! থাক, রমজান মাসে খেতে নেই বলে মনকে সান্ত্বনা দেই
তুলিদি তোমার স্কুলের দিদিমণিটিকে যেন স্পষ্ট দেখতে পেলাম চোখের সামনে! তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা। পরের পর্ব দেবার সময় আমার সাথে একটু যোগাযোগ করো তো ভাই! খুব ছোট্ট একটা টাইপো আছে...." এইভাবেই দেশকালে আবদ্ধ আমরা হয়তো আমরা স্পর্শ করে থাকি..........."
শব্দটা চৌখশ নাকি চৌকস? শুভকামনা তোমার জন্য।
আরে আয়নামতি, আজকাল সবাই ডায়েটিং করছে, খাবারের জন্য ভেবে লাভ কী?
আর, এবারে নানা কারচুপি হয়েছে, প্রথমে টিউলিপ ফার্স্ট হয়েছিলো, পরে ছন্দ নানারকম চ্যানেল করে ডুবসাতার দিয়ে ভুস করে গিয়ে আগে ভেসে উঠেছে। ভাবা যায়? টাইমের মধ্যে টানেল করেছে!
আমি চৌখোশ আর চৌকস দুটোই শুনেছি, মনে হয় একই কথার ভেরিয়েশন।
ভালো থেকো আয়নামতি। শুভ রমজান।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
চলুক
আচ্ছা।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এই লেখাখান মিস করে গেলাম কিভাবে? (মৌরালা মাছের ঝোল আর ঝাল আচার) নিজেদের মধ্যে খেয়েদেয়ে নিয়ে এখন দেখছি নতুন খাবার আনা হয়েছে, ওদিকে আর চোখ দেবনা।)বালাই ষাট!
মিস করো নাই।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন