এখানে আগের পর্ব ৫। আমি আর আরেনুশ কিছু কিছু সকালের ক্লাস একসঙ্গে করি, প্রধানত চিত্রকলার ক্লাস৷ দুপুরে একসঙ্গে দু'জনে টিফিন খাই, তারপরেই আরেনুশ চলে যায় এক দূর প্রান্তরে যেখানে অনেক ছোটো বড়ো মিনার আর প্রার্থনালয় তৈরী হচ্ছে, সেখানে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ও ভাস্কর্যের কাজ করে৷
আমি দুপুরের পরে যাই গুহাচিত্র অংকনের কাজে, এক চিত্রশিল্পী দলের সঙ্গে একত্রে কাজ করি সেখানে৷ আমাদের যিনি নির্দেশনা দেন, তিনি একজন প্রাচীনা সন্ন্যাসিনী, কিন্তু খুব শক্তসমর্থ, বয়স ওঁর মুখে বলিরেখা এঁকেছে কিন্তু সতেজ দেহমনে তেমন ভাঙন ধারাতে পারে নি৷ ওঁর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চোখ দুটির দিকে তাকিয়ে ভাষা পড়তে পারিনা, কিন্তু ধীরলয়ের কথাগুলি এত স্পষ্ট আর ওঁর দেখিয়ে দেবার ভঙ্গী এমন পরিষ্কার যে আমাদের বিশেষ অসুবিধা হয় না, ঠিক ঠিক রঙ ঠিক ঠিক তুলির কাজ ঠিকমতই হতে থাকে৷ পুরো দলের সবাই আমরা সুরবাঁধা যন্ত্রের মতন কাজ এগিয়ে নিয়ে যাই৷ প্রদীপের পীতাভ আলোয় আর কর্মীদের দেহছায়ায় ঐ অদ্ভুত গুহার মধ্যে কখনো স্পষ্ট কখনো ছায়াময় হয়ে উঠতে থাকে গুহার দেয়ালের ঐসব আশ্চর্য চিত্রমালা-কিছু কিছু সমাপ্ত, কিছু অর্ধসমাপ্ত, কিছু মাত্র শুরু হয়েছে, কিছু অংশে এখনো হাতই পড়ে নি৷
আমি প্রদীপ তুলে ধরে এখন দাঁড়িয়ে আছি গুহার ভিতরে, কোথা থেকে যেন মৃদু বাতাস আসছে, প্রদীপের শিখা অল্প অল্প কাঁপছে৷ আমার অন্য হাতে রংতুলির থালা, প্রাচীনা সন্ন্যাসিনী নির্দেশিকা সেখান থেকে তুলি ও রঙ বেছে, রঙের বাটিতে তুলি ডুবিয়ে ছোট্টো চৌকো পাথরপাটায় পরীক্ষা করে নিয়ে তারপরে কোমল করে তুলি বোলাচ্ছেন গুহার দেয়ালে আঁকা অলৌকিক অগ্নিপক্ষীর ডানায়৷ তাপসীর মুখ ধ্যানমগ্নের মতন শান্ত সমাহিত, চোখ অর্ধনিমগ্ন৷ আমায় এখানের বন্ধুরা বলেছে উনি নাকি অমন আচ্ছন্ন ধ্যানমগ্ন অবস্থাতেই কোনো সুদূরের কারু নির্দেশ অনুভব করেন নিজের হৃদয়ে, সেই অনুসারে কাজ করেন, তাই ওঁর কাজের এইসব মুহূর্তগুলোতে কথা বলা নিষিদ্ধ৷
প্রথমটুকু এসে গেলেই উনি আমাকে দায়িত্ব হস্তান্তর করে পরের জনের কাছে চলে যাবেন৷ শান্ত হয়ে নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে দেখতে থাকি, হঠাৎ গুহার দেওয়াল মুছে গিয়ে জেগে ওঠে মুইনুখের বাজারের সেই দুপুর, মনে পড়ে ঋতোবন্তো সুমিন্তোসকে৷ ওনার সঙ্গে দেখা করতে সমুদ্রবিলাস এ গিয়ে আমরা অবাক মুগ্ধ হয়েছিলাম দু'জনে, আমি আর আরেনুশ৷ অত বিলাসবৈভবের অতিথিনিবাস আমাদের মতন সাধারণ অবস্থার মানুষের পক্ষে দেখা প্রায় অসম্ভব৷
ঋতোবন্তো আমাদের ওঁর ঘরে নিয়ে গিয়ে বসিয়েছিলেন, সুস্বাদু খাদ্যপানীয়ে তৃপ্ত করেছিলেন, দেখিয়েছিলেন ওঁর শিল্পসংগ্রহ৷ আরেনুশ বিমুগ্ধ বিস্ময়ে সেই সংগ্রহের মূর্তিগুলির দিকে তাকিয়ে বলেছিলো, "এত সুন্দর!" উনি আমাদের বলেছিলেন আমরা যদি সাংগ্রিলায় যেতে চাই, তবে উনি ব্যবস্থা করে দিতে ইচ্ছুক৷ উনি দুনিয়া ঘুরেছেন, শিল্পকলা উনি চেনেন, অনেক নামীদামী শিল্পনমুনা রয়েছে ওঁর সংগ্রহে৷ কিন্তু আমাদের কাজের মধ্যে উনি এমন কিছু দেখেছেন যা আগে কোথাও দেখেন নি৷ সাংগ্রিলায় ওঁর চেনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষ আছেন, তাছাড়া উনি জানেন ওখানে চিত্রশিল্পী ও ভাস্করের কাজ জানা মানুষের প্রয়োজন৷ আমারা যেতে চাইলে খুবই স্বাগত৷
সেদিন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি আমরা, কুন্ঠিতভাবে ভাবার সময় চেয়েছিলাম৷ উনি হেসে ফেলেছিলেন, শান্ত ধীর গলায় বলেছিলেন, " অবশ্যই৷ এখনি কিছু বলতে হবে না, কয়েকদিন সময় নাও, ভালো করে ভাবো, দুইজনে আলোচনা করো। তারপরে এসে আমাকে বোলো৷ আমি এখানে আগামী দুইমাস থাকবো৷" স্নেহময় প্রৌঢ় মানুষটির কথা ভাবলেই কেমন একটা অদ্ভুত ভালোলাগা ছড়িয়ে যায়৷
৬।
"আকাশের চাবি,আকাশের চাবি ... " কোথায় শুনেছিলাম এই আশ্চর্য কথা দুটো? আকাশের কি চাবি হয়? তালার চাবি হয়, কোনো কোনো বাদ্যযন্ত্রের চাবি হয়, কিন্তু আকাশের চাবি? কে বলেছিলো আকাশের চাবির কথা? আরেনুশ বলেনি জানি, তবে কে বলেছিলো? আমার সেই পাহাড়ী গাঁয়ের সেই আধপাগল বন্ধুটা, নিজনি?
প্রদীপের কাঁপা কাঁপা আলোয় আস্তে আস্তে আগুনপাখীর ডানায় কমলা রঙ বুলাতে বুলাতে বারে বারে কেন ফিরে আসছে ফেলে আসা সেই গাঁ, সেইসব ঋতুতে ঋতুতে নতুন নতুন গাছে নতুন নতুন ফুল ফুটে ওঠা সেই প্রিয় জনপদ? আরেনুশ বলেছিলো আমাদের নতুন দেশে নতুন জীবন হবে, আমাদের সামনে খুলে যাবে গোটা দুনিয়া, আমাদের সুযোগ বেড়ে যাবে অনেক৷ অসহায়ের মতন আক্ষেপ করতে হবে না শুধু অর্থাভাবে কতকিছু করা হয়ে উঠছে না, নিজেদের আর বন্দী বলে মনে হবে না৷
আমি আরেনুশের কথায় সায় দিয়েছিলাম, শুধু ওকে খুশী করার জন্য নয়, নিজেরও সেইসময় তাই মনে হয়েছিলো৷ এখন মাঝে মাঝে মনে হয় এই জীবন কি চেয়েছিলাম? সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত্রির ডানায় ঢুকে গেলে ক্লান্ত পাখির মতো বাসায় ফিরে যাই, আরেনুশ ফিরে আসে ওর দূর মিনারের প্রান্তর থেকে৷ এত ক্লান্ত যে কথা বলতেও ইচ্ছে করে না, কোনোরকমে ভাগাভাগি করে রান্নাবান্না করে কোনোরকমে দুটো মুখে দিয়েই আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়ি, আধোঘুমে আরেনুশ পাশ ফেরে, আমিও ফিরি ... কিন্তু সেই পাহাড়-অধিত্যকায় রেখে আসা জনপদটি আমাদের মাঝখানে এসে দেখা দেয়, আমি ভেঙে পড়লে ও আমাকে সান্ত্বনা দেয়, ও ভেঙে পড়লে আমি ওকে ...সব ঠিক হয়ে যাবে, সব ঠিক হয়ে যাবে ... আমরা এখনো তাজা অনেক, এখনো তাই সতেজ আমাদের আশাবাদ, কিন্তু আস্তে আস্তে তাপ কমে আসবে, তখন কী হবে?
গভীর অতীতের বুক থেকে সেই রহস্যময় গিরিগুহার প্রত্নমানব প্রত্নমানবীরা আমাদের আশা যুগিয়ে চলেন, তোমরা ভয় পেয়ো না তোমরা ভয় পেয়ো না, আমরা তোমাদের পাশে আছি৷ আমরা উঠে পড়ি শেষরাত্রে, সকালের কাজকর্ম আর স্নান-টান তখনি সেরে, অল্প কিছু খাবার বানিয়ে উপবাসভঙ্গ করে তারপরে হোমওয়ার্ক করতে বসি৷ শেষরাত আর ভোর ছাড়া আর সময়ই বা কোথায়? রাত্রে করতে পারি, কিন্তু চেষ্টা করে দেখেছি সারাদিনের ক্লান্তির পরে রাত জেগে কাজ করলে কাজ ভালো হয় না৷ আরেনুশও পারে না রাত জাগতে, তাই আমরা হোমওয়ার্কের জন্য বেছে নিয়েছি শেষরাত আর প্রথম ভোর৷ হোমওয়ার্কে পরস্পরকে সাহায্যও করতে পারি আমরা৷ ঘন্টা তিনেকের নিটোল সময় পাওয়া যায় সকালে, ঐসময় অনেক কাজ হয়, তারপরে কাগজপত্তর পাথরপাটা রঙ তুলি টিফিন সব গুছিয়ে নিয়ে আমরা ক্লাস করতে চলে আসি৷ এইভাবেই নতুন অভ্যাসের ছকে আস্তে আস্তে খাপে খাপে বসে যাচ্ছে আমাদের জীবন৷
কিন্তু গতকাল মাঝরাতে আরেনুশ ঘুম ভেঙে আমায় আস্তে আস্তে ধাক্কা দিয়ে ডেকে বলেছিলো ," ওরিয়ানা, ওরিয়ানা, ওঠো ওঠো৷ "
আমি জেগে গিয়ে অবাক হয়ে গেছিলাম , এতরাত্রে ডাকলো কেন, সাংঘাতিক কিছু ঘটলো নাকি? আরেনুশ উঠে বসেছিলো, চিন্তিতভাবে তাকিয়ে ছিলো জানালার দিকে, জানালার বাইরে নিকষকালো আকাশ, অসংখ্য তারা তাতে৷ শনশন করে রাত্রি বয়ে যাচ্ছে৷
আমি উঠে বসে আরেনুশকে বলেছিলাম," কী হলো, হঠাৎ ডেকে তুললে যে এই মাঝরাত্রে? কোনো জরুরী কিছু?"
আরেনুশ কথা না বলে শয্যা থেকে নেমে জানালার কাছে গেছিলো, খানিকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলো বাইরের দিকে চেয়ে, তারপরে মুখ ফিরিয়েছিলো। আমিও গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম ওর কাছেই, ও বলেছিলো, " ওরিয়ানা,আমার কেমন যেন অস্বস্তি হচ্ছে, প্রথম থেকেই হচ্ছে, এতদিন গ্রাহ্য করিনি, এখন মনে হচ্ছে কিছু করা দরকার৷"
আমি চমকে উঠেছিলাম, ওরও অস্বস্তি হচ্ছে! আমারই শুধু না তবে? আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম," কীসের অস্বস্তি? এখানে ভালো লাগছে না? ফিরে যেতে চাও?"
ও বলেছিলো," ঠিক তা নয়, ক্লাস করতে ভালো লাগে, কাজ শিখতে আর কাজ করতেও, কিন্তু .... কিন্তু কোথায় যেন কাঁটার মতন একটা অস্বস্তি, মনে হয় ... কী জানি হয়তো আমার মনের ভুল৷"
আমি বলেছিলাম, "আমারও অস্বস্তি হয় মাঝে মাঝে, আমার মনে হয় কেউ আমাদের যেন লক্ষ্য করছে, যেন ছাঁচে ফেলে দেবার চেষ্টা করছে, যেন একটা ঘোরের মধ্যে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে ... কিন্তু হয়তো মনের ভুল, হয়তো তা না৷ কিন্তু তোমার ও ওরকম মনে হয়?"
আরেনুশের চোখ উত্তেজনায় জ্বলজ্বল করে উঠেছিলো, "একদম তাই৷ আমারও মনে হয় যেন একটা ঘোরের মধ্যে ফেলে দেবার চেষ্টা করছে কেউ, জোর করে বেরিয়ে আসছি বারে বারে, কিন্তু ভয় হয় একদিন হয়তো আর পারবো না৷"
আমি আরেনুশের হাত ধরে হাতে অল্প চাপ দিয়ে বলেছিলাম,"ভয় করে কী লাভ আরেনুশ? যদি সত্যি ই কিছু ব্যাপার থাকে, কীই বা করতে পারবো? কতটুকুই বা শক্তি আমাদের? কিন্তু আমরা পাশাপাশি থাকবো, পরস্পরকে সাহায্য করবো৷ তেমন তেমন বুঝলে দেশে চলে যাবো, সেই পথ তো বন্ধ নয়! সেখানে যা করতাম, তাই করবো আবার, দুইজন মানুষের সহজসরল জীবন কোনোভাবে চলে যাবে৷ ভয় করে লাভ নেই আরেনুশ৷ এভাবে রাত জেগে নিজেদের ক্লান্ত করেও লাভ নেই৷ এসো ঘুমাই৷" ও মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়েছিলো। তারপরে আমরা ঘুমিয়ে পড়েছিলাম৷
( চলমান )
মন্তব্য
এই পর্বের শেষে এসে টুইস্টটা দারুন লাগল। আর বর্ণনা আগের মতোই চমৎকার। চরিত্রগুলির জট খুলছে ধীরে ধীরে, টানটান গল্পের বুনন ভালো লাগছে।
একটা কথা বলি দিদিভাই আপনার এই গল্পের প্লট খুবই আলাদা। একটা ইউনিকনেস আছে। এটাকে উপন্যাসে কনভার্ট করার কথা ভাবুন। বেশ দাঁড়াবে কিন্তু। যেভাবে এগুচ্ছে তাতে চমৎকার একটা উপন্যাস হয়ে যাবে আরামসে।
আর হ্যাঁ। গত পর্বে আপনি বলছিলেন এই লেখা বোধ হয় কেউ বেশী একটা পড়ছেনা। আমি বলছিঃ যারা পড়ছেন না তারা চমৎকার একটি ফিউচার ফিকশান মিস করছেন। অন্তত আমি নিজে একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে এই কাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত হতে পেরেছি। পরের পর্ব কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি চাই।
ভালো থাকুন। শুভকামনা।
ডাকঘর | ছবিঘর
ভাই তাপস, আপনার কমেন্ট ভালো লাগলো খুবই। কিন্তু মনে হয় না এ জিনিস চলবে, এর প্রথম পর্বে কিছু তবু সাড়া এসেছিলো, তারপর থেকে শুধু আপনাকেই দেখছি পাঠক হিসাবে। তাই আমার মনে হচ্ছে এটা চালিয়ে যাওয়া মানে একরকম জনমতের বিরূদ্ধে যাওয়াই।
তাই বন্ধ করে দেওয়াই ভালো মনে হচ্ছে। উপন্যাস হিসাবে কখনো লিখলে আপনাকে কোনোভাবে জানিয়ে দেবো, মুখবই ইত্যাদি উপায় তো আছেই।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তুলিদি আপনার এই ধারণার কিন্তু আমি স্বপক্ষে নই। বন্ধ করে দেওয়ার তো মানেই হয়না। এইবার আসি পাঠকের কথায়, অনেক পাঠক আছেন, যারা লেখা পড়েন অথচ মন্তব্য করেন না। অনেক লেখা আসে যেখানে মন্তব্যের ঘর প্রায় শূন্য থাকে, এর মানে এই নয় যে পাঠক লেখাটা পড়ছেন না। আসলে আমি নিজেও তো এমন হয় যে কোন লেখা পড়েছি অথচ মন্তব্য করিনা। এটা হয়, সময়াভাব কিংবা আলসেমি কিংবা কিছুই বলার মতো থাকেনা ইত্যাদি। তাই বলে লেখাটাকে পাঠক নিচ্ছেনা, ( যা আপনি বলছেন - 'চালিয়ে যাওয়া মানে একরকম জনমতের বিরূদ্ধে যাওয়া' - এটা আমি মেনে নিতে পারলাম না )
যদি লেখাটা এই কারণে বন্ধ করেন তাহলে একজন পাঠক হিসেবে আমার খুব খারাপ লাগবে। আর বাই দ্য ওয়ে মুখবই এ মনে হয়না আপনি আমার ফ্রেন্ড লিস্ট এ আছেন। আপনার আইডি তো আমার কাছে নেই তাই খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যদি সময় করে উঠতে পারেন তাহলে আমার আইডিতে আওয়াজ দিয়েন, আমার প্রোফাইল সচলের আমার একাউণ্টে ব্লগ পরিচয়ের এখানে দেওয়া আছে।
আবারও বলছিঃ লেখাটা বন্ধ করবেন না। বরং উপন্যাসের কথাই ভাবুন।
ডাকঘর | ছবিঘর
আজকাল প্রবন্ধের তুলনায় গল্প কম পড়ি, উপন্যাস আরো কম। আর টুকরো টুকরো করা উপন্যাস, যেটার পরের পর্ব কবে আসবে কোনো ঠিক নেই, সেটা পড়তে আরো উৎসাহ কম লাগে। এইটা তো তুলিদির পোস্টের বিরুদ্ধে মত না, আমারই আলসেমি
সেটাই কথা মণিরত্নম, তোমরা কয়েকজন ছাড়া আর তো সেরকম কাউকে পাই না কমেন্টের ঘরে, তাই বুঝতেও পারি না তেনারা রেগে গেলেন নাকি খুশি হলেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তাপস, ভাববেন না, মুখবইয়ে আপনাকে খুঁজে নেবো ঠিক।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তুলিরেখা!!!!!! কয়েকদিন থেকে আপনার কথা ভাবছিলাম। আপনার লেখাও মিস করছিলাম। অবশ্য আমিও এখন খুব অনিয়মিত। আপনি কি অনেকদিন পর লেখা দিলেন? বন্ধ করবেন না প্লীজ।
পরিচিত অনেককেই কেন জানি আজকাল দেখি না।
অনিন্দিতা, অনেক ধন্যবাদ। আজকাল আগের মতন ঘন ঘন না আসলেও বলতে গেলে নিয়মিতই আসি। আমিও পরিচিত অনেককেই দেখি না, কী জানি কেন তাঁরা আসেন না!
এমনি লেখা বন্ধ করার কথা বলিনি, বলছিলাম এই লেখাটা বন্ধ করার কথা, পাঠক স্বল্পতার কারণে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভাগ্যিস মন্তব্যস্বল্পতার কারণে এমন চমৎকার ধারাগল্পটা বন্ধ হচ্ছে না!
জলদি জলদি চলুক।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
১ম পর্ব শেষ হয়ে গেছে তো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন