অরণ্যা থাকতো একটা গোল গন্ডীর ভিতরে, একটা বৃত্ত। কিন্তু বৃত্তটাকে দেখা যেতো না। অরণ্যা যখনই চলতে চাইতো, সোজা চলতে চলতে একজায়গায় পৌঁছে কিছুতেই আর তার থেকে দূরে যেতে পারতো না, আবার ফিরে আসতে হতো চেনার দিকে। কেবল সে দূরের একটা নদীর আভাস দেখতো সে, একটা নীলচে পাহাড়ও যেন দেখতে পেতো, আর ওর মনে হতো কোথায় দূরে দূরে দূরে কী যেন রয়েছে অচেনা। কী অপূর্ব সেই অচেনা! কেন সে সেখানে যেতে পারে না? কোনোদিন কি পারবে না?
তারপর একদিন ডাক এলো, বহু দূর থেকে। সেই বৃত্তের মুখ খুলে গেল অসীমস্পর্শী পরাবৃত্তপথে।
অন্ধকারের গর্ভছেঁড়া আলোর উড়াল
পাশটিতে তার ঘুমিয়ে আছে নীলচে নদী-
আগুন জ্বলা রাত শিয়রের শঙ্খপ্রবাল
নদীর তীরে রক্তপলাশ নেশায় মদির।
বৃত্ত থেকে উপবৃত্তে ঘুরছে হাওয়া
সীমানাহীন পথের শেষে ফিরতে চাওয়া-
সব পথ তো ফেরায় না মুখ, কেবল চলে
পরাবৃত্তে ঝরছে অলীক জ্যোৎস্নাশিশির।
কালপুরুষের দু'হাত ভরে আঁধার ধরা
স্ফটিক জ্বলে চাতক প্রাণের রাতপাহারা-
গহীন ভোরের সব কথারা সেই স্ফটিকে
ঘোরলাগানো গান গেয়ে যায় স্বপ্ননিশির।
অন্ধকারের গর্ভ ছিঁড়ে উঠলো আগুন
ঘুমভাঙা নীল নদীর চোখে বাষ্প লাগে-
তীর্থপথে উড়াল দিলো হাজার পাখি
ডানার ঝড়ে খবর আনে নতুন তিথির।
*******
মন্তব্য
বেশ কয়েকবার পড়লাম- আরও পড়বো...
- অনেক সুন্দর...
গণ্ডির - হবার কথা...
কড়িকাঠুরে
কড়িকাঠুরে।
পুরানো বানানে "গন্ডীর" ও হয়।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
শব্দ নিয়া কাটাকুটির এই অদ্ভুত কৌশল খুব ভালোলাগে দিদি। এটাও খুব ভালো লাগল।
অটঃ অনেকদিন হল গল্প পাইনা কিন্তু। বাই দ্য ওয়ে সাংগ্রিলা নিয়ে কি সত্যি ভাবছেন না?
ডাকঘর | ছবিঘর
তাপস।
সাংগ্রিলা নিয়ে ভাবছি না, ওটা পরের বছর হবে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বরাবরের মতই সুন্দর।
আপনার লেখায় একটা এমন স্বকীয়তা আছে, যা সত্যিই অন্য সবার থেকে একেবারে আলাদা।
ধন্যবাদ প্রদীপ্তময়।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন