দেশবিদেশের উপকথা- এক আশ্চর্য কবি(ওয়েলসের উপকথা )(২)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৬/২০১২ - ৫:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আগের পর্ব এখানে
গিহনকে নিয়ে সে ঝুড়ি নদীতে ভাসতে ভাসতে চললো, চললো আর চললো। তারপরে দিনের শেষে সন্ধ্যাবেলার রাঙা আকাশের নিচে সে ঝুড়ি এসে ঠেকলো পাড়ে।

 যেখানে এসে ঝুড়ি ঠেকলো তার খুব কাছেই সেদিন রাজা নরেন্দ্রের শিকারশিবির পড়েছিল, শিকারের শেষে এসে কেউ বা তখন তাঁবুতে বিশ্রাম করছিলো, কেউ বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে গল্পগাছা করছিলো, একদিকে রান্নাবান্নার আয়োজন হচ্ছিলো, বিরাট ভোজটোজ হবে রাতে, আগুনের চারপাশ ঘিরে নাচ টাচও হবে।

রাজা নরেন্দ্র তাঁবুতে ছিলেন, পরিচারকেরা তাঁকে কেউ বা বাতাস করছিলো, কেউ বা পানীয় এগিয়ে দিচ্ছিলো। কিন্তু কীজানি কেন হঠাৎ রাজার হাঁসফাঁস লাগলো। মনে হলো নদীর ধারে খোলা হাওয়ায় না বেড়াতে পারলে তিনি এখনই দম বন্ধ হয়ে মরবেন। তাঁবু থেকে বার হয়ে রাজা নদীর দিকে গেলেন, ঝুঁকে পড়ে হাতে জল নিয়ে চোখেমুখে জল দিচ্ছেন, নজরে পড়লো সেই ঝুড়িটা। কী আশ্চর্য, নদীতে এমন একটা ঝুড়ি কেন? মনে হয় যেন ঝুড়িতে কিছু আছে!

রাজা এসে ঝুড়িটা নিজের দিকে টেনে অবাক হয়ে গেলেন , ঝুড়ির মধ্যে কাপড়ের আস্তরণের উপরে ঘুমিয়ে আছে একটা ছোট্টো ফুটফুটে শিশু!  তারপর আর কী! রাজার ডাক শুনে লোক-লশকর সবাই ছুটে এলো, সকলকে সাক্ষী রেখে রাজা নরেন্দ্র এই শিশুকে গ্রহণ করলেন আর নাম দিলেন ত্রিলোচন।  

রাজা নরেন্দ্রের প্রাসাদে ধাত্রী ও পরিচারিকাদের যত্নে দিনে দিনে বাড়ে ত্রিলোচন, যেমন তার রূপ তেমনি তার বুদ্ধি। সে যে যে সে ছেলে নয় তা সবাই বুঝতে পারে। কথা ফুটতে না ফুটতেই তার গলায় গান আর কবিতা। এমন সুন্দর সব গান আর কবিতা যে শ্রোতারা সব মুগ্ধ। মুগ্ধ না হয়ে উপায়? তারা তো আর জানে না এই ছেলে জ্ঞান ও প্রেরণার সঞ্জীবনীসুধা পান করে জন্ম নিয়েছে।

তখনকার দিনে সেই দেশের রাজ্যে রাজ্যে রাজসভায় সভাকবিদের খুব রমরমা ছিলো। যে রাজার যত বিখ্যাত সভাকবি, সে রাজার তত সুনাম ও যশ। সেই রাজ্যেরও খুব যশ।

এদিকে ত্রিলোচন আরেকটু বড় হলে, এই যখন তার বছর পাঁচেক বয়স, তখন রাজা নরেন্দ্র তাকে নিজের সভায় সভাকবির পদে অভিষিক্ত করলেন। সকলেই খুব খুশি। আগে থেকেই তো তারা ত্রিলোচনের কবিত্বে মুগ্ধ ছিলো। এমন সব কবিতা, যেন অপার্থিব তার সৌন্দর্য ও রহস্য! দেখতে দেখতে রাজ্য থেকে রাজ্যান্তরে ছড়িয়ে পড়ে এই বালককবির খবর।

নরেন্দ্রের রাজ্য ছোটো, সামন্ত রাজ্য। পুরোপুরি স্বাধীনও নয়, কর দিতে হয় মহারাজ মহেন্দ্রকে। মহেন্দ্রই দন্ডমুন্ডের কর্তা, দেশের রাজধানীতে তিনি শাসন করেন, আলিশান প্রাসাদে থাকেন, বিরাট তার সৈন্যবাহিনী। দেশের নানা রাজ্য থেকে খুব বড় বড় কবি নিয়ে নিজের সভায় রেখেছেন তিনি।

এদিকে নরেন্দ্রের সভার এই আশ্চর্য কবির খবর মহেন্দ্রের কাছে পৌঁছালো, কে যেন আবার তাঁর কানে তুললো যে নরেন্দ্র নাকি আস্ফালন করে বলেছেন, আমাদের এই কবি ত্রিলোচন মহারাজ মহেন্দ্রের সভার সবচেয়ে সরেশ কবিকেও কবির লড়াইয়ে হারিয়ে দিতে পারে, আর বাকীদের তো কথাই নেই, ত্রিলোচনের সামনে তারা বোবা হয়ে যাবে।

শুনে তো মহেন্দ্র রেগে আগুন। সৈন্য পাঠিয়ে শিকলে বেঁধে নিয়ে গেলেন নরেন্দ্রকে। খুব মেরে ধরে অন্ধকার কারাকক্ষে বন্ধ করে রাখলেন। ত্রিলোচন সব জেনে নিজেই দু'জন লোক নিয়ে রওনা হলো রাজধানীর দিকে। সারাদিন চললো তারা, তারপরে সরাইয়ে রাত কাটিয়ে পরদিন সকালে আরো খানিক হেঁটে মহেন্দ্রের আলিশান প্রাসাদের সামনে গিয়ে পৌঁছে চুপ করে দাড়ালো। প্রাসাদের দ্বারী দু'জন এই ফুটফুটে সুন্দর ছোট্টো ছেলেটির সঙ্গে কথা বলে খুব খুশি, সে মহারাজের সঙ্গে দেখা করতে চায় শুনে বললো সভা বসলেই তারা ওকে রাজার কাছে নিয়ে যাবে।

এদিকে তখন সেজেগুজে সভাকবিরা সব একে একে প্রাসাদে ঢুকছেন, দ্বারীরা একে একে পরিচয় দিলো ওঁদের। একেকজন করে ঢুকে যান, আর সেদিকে চেয়ে নিজের মুখের উপরে ডানহাত থাবড়িয়ে ত্রিলোচন বলে, "আব্বুলিশ"।

এরপরে কাড়ানাকাড়া তূরীভেরী জয়ডঙ্কা বাজিয়ে তো সভা শুরু হলো, মহারাজ সিংহাসনে বসেছেন, ডাইনে বামে চামর দোলায় পরিচারকেরা, আরেকজন পানীয় এনে সামনে ধরে। সভাকবিরা যার যার আসনে বসেছেন।

এমন সময় গুটি গুটি পায়ে ছোট্টো ত্রিলোচন সভায় ঢুকে মহারাজের সামনে গিয়ে মাথা নুইয়ে প্রণাম জানিয়ে বলে,
" হে মহেন্দ্র করুণাসিন্ধু প্রণমি হে রাজন
নরেন্দ্রসভার কবি আমি নামটি ত্রিলোচন।"

মহারাজ তো চমৎকৃত। বলে কী এই বালক? এই নাকি সেই বিখ্যাত সভাকবি? এ তো শিশুমাত্র!

মহেন্দ্র বলেন, " বলো কী ? তুমি কবি? তুমি তো বালকমাত্র! কোথা থেকে এসেছ তুমি নরেন্দ্রের সভায়? "

ত্রিলোচন বলে,
"তারার দেশের নূরমহলে ছিলো আমার বাড়ি
উড়ানবিলাস মন্ত্র পড়ে আকাশ দিতাম পাড়ি।
স্বর্গে ছিলাম, নরকে ছিলাম, মর্ত্যে আসি যাই-
কারিগরের নায়ে বসে কৌশলে দাঁড় বাই।"

শুনে মহেন্দ্রের তো চক্ষুস্থির। বলেন, " বয়স কত তোমার? জন্মেছ কবে? "

ত্রিলোচন বলে,
"জন্মেছি আমি সহস্রবার , মরেছি হাজার মরণে
মৃত্যু আমাকে ধরতে পারে না, হৃদয় রেখেছে স্মরণে।"

এইরকম চলতে থাকে, মহারাজ যাই প্রশ্ন করেন, ত্রিলোচন গভীর রহস্যপূর্ণ কাব্যে উত্তর দেয়। মহারাজ তো মহারাজ, সভাশুদ্ধ সক্কলে একেবারে অবাক ও মুগ্ধ। সভাকবিরা অবশ্য একটু অস্বস্তির মধ্যেই পড়েছেন তখন। মহারাজ হঠাৎ এই দুর্ধর্ষ কবির সঙ্গে কবির লড়াই করতে ডাকলে কী হবে?

কে না জানে যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়? মহারাজ তাঁর সভাকবিদের সবাইকে ডাকলেন। কবির লড়াই হবে, ত্রিলোচনের সঙ্গে সভাকবিরা সব একে একে লড়বেন। এই কবিগান শুরুর আগে মহারাজ তাড়াতাড়ি লোক পাঠিয়ে নরেন্দ্রকেও কারাকক্ষ থেকে মুক্ত করে নিয়ে আসার নির্দেশ দিলেন।

শিকলমুক্ত নরেন্দ্র নিজের কব্জি ডলতে ডলতে এসে পৌঁছালেন খানিক পরেই। খুব ক্লান্ত আর উসকোখুসকো তাঁর চেহারা। কিন্তু ত্রিলোচনকে দেখে তাঁর মুখে হাসি ফুটলো।

মহেন্দ্রের সভার কবিদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বজ্যেষ্ঠ যিনি, তিনি এসে দাঁড়ালেন ত্রিলোচনকে কবির লড়াইয়ে আহ্বান করতে। কিন্তু কী যে হলো কোনো কবিতাই তাঁর মুখ দিয়ে বেরোলো না, তিনি কেবল নিজের মুখের উপরে ডান হাত থাবড়িয়ে বাচ্চাদের মতন বললেন "আব্বুলিশ"। একে একে মেজো ছোটো সব কবিদের একই অবস্থা হলো, সবাই আব্বুলিশ বললেন।

তারপরে ত্রিলোচন মুখে মুখে কবিতা রচনা করে চললো ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে, সেই সব কবিতা ছিলো আশ্চর্য ছন্দে সুষমায় ও রহস্যে পূর্ণ। শুধু তাই না, সেই সব কবিতায় ছিলো পৃথিবীর নানা গভীর রহস্যের কথা, ছিলো প্রসারিত সুদূর ভবিষ্যতের কথা। সব লোক চিত্রার্পিতের মতন শুনতে লাগলো সেসব।

এইসব শেষ হলে মহারাজ মহেন্দ্র সিংহাসন ছেড়ে নেমে এসে নিজের রত্নহার খুলে পরিয়ে দিলেন ত্রিলোচনের গলায়, তাকে বিজয়ী ঘোষণা করলেন। নরেন্দ্রের হাত ধরে তার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করলেন তার উপরে যা অন্যায় করেছেন তার জন্য।

বিরাট পরিমাণ পুরস্কার ও যশ নিয়ে নিজের রাজ্যে ফিরে এলেন নরেন্দ্র ও ত্রিলোচন।

(শেষ)


মন্তব্য

বন্দনা এর ছবি

যাক তুলিদি শেষ করলে অবেশেষে হাসি । আমি কি প্রথম কমেন্ট দিলাম নাকি দেঁতো হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

হ্যাঁ বন্দনা, তুমি প্রথম আজকে। পুরস্কারের সন্দেশ আর গরম সিঙারা নাও। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সত্যপীর এর ছবি

এইটা তো খুব কাজের পাওয়ার, পাবলিকের জবান বন্ধ হয়ে যাবে আর খালি আব্বুলিস আব্বুলিস করবে. পলিটিশিয়ান গুলিরে এই বাণ মারা দরকার!

গল্প খুব ভালো হইছে, কবিতা গুলাও দারুন হাসি

..................................................................
#Banshibir.

তুলিরেখা এর ছবি

সত্যপীর, আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

নাহ টুইস্ট কম মন খারাপ

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তুলিরেখা এর ছবি

গল্প তো ওয়েলসের, ওদের গিয়া ধরেন। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সন্ত জিমি এর ছবি

শুরুটা বেশ ইন্টেরেস্টিং ছিল, কিন্তু শেষপর্যন্ত ভাল্লাগল না। টুইস্ট কম।

নামগুলোর উপমহাদেশীয়করণ না করে ওয়েলসের নামগুলো রাখলে ভাল হত। গিহন নামটা সুন্দর।

তুলিরেখা এর ছবি

ওদের নামগুলো খুব খটোমটো, Elphin,Taliesin, Maelgwn--এইধরনের নাম। ওসব নাম রেখে দিলে মুশকিল
হতো উচ্চারণে।আমি তো উচ্চারণই করতে পারিনি কোনো কোনোটা। খাইছে

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

আশালতা এর ছবি

বাহ বাহ হাততালি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ঘুম কুমার এর ছবি

আব্বুলিস হাততালি

তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কৌস্তুভ এর ছবি

হুমম, এই পর্বটার শুরুর সঙ্গে মিল কম...

তুলিরেখা এর ছবি

এইধরনের গল্পে শেষের দিকে খুব বেশি টুইস্ট থাকে না বলেই মনে হয়, এটা তো একটা বিশেষ প্রতিযোগিতায় জেতার গলপ। হাসি তবে ত্রিলোচনের জীবনের কাহিনিতে টুইস্ট হয়তো ছিলো, কে বা তা জানে! "কবিরে পাবে না তাহার জীবনচরিতে।" হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

শেষের দিকে আরও চমক আশা করেছিলাম ঠিকই।
তারপর মনে হল ছোটবেলার কথা।

এইরকম সহজ সরল উপকথা-রূপকথারাই মনকে রাঙিয়ে রাখত অন্য জগতের আলোয়।
একটাই আক্ষেপ, বড় হয়ে গেলাম।

লেখা খুব ভাল হয়েছে দিদি।
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তুলিরেখা এর ছবি

ঠিক বলেছেন। এই ধরনের কবির লড়াইয়ের গল্প আমাদের দিকেও তো কম না, সেসবে ও দেখবেন এইরকমটাই হয়। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

শেষ করলাম। চলুক

তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ক্রেসিডা এর ছবি

ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আবারো ঝুলিয়ে না রাখার জন্যে। হাততালি

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

তুলিরেখা এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বহুদিন পর পড়লাম। শতগল্প কি পার হলো?

তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- লীলেনদা। গল্প লাগলো কেমন?

এইটা লইয়া ৪৮ টা হইলো, আর দুইখান হইলে ৫০ টা হয়। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তারেক অণু এর ছবি
তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মুস্তাফিজ এর ছবি

আব্বুলিস

...........................
Every Picture Tells a Story

তুলিরেখা এর ছবি

হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অমি_বন্যা এর ছবি

ভালো লাগলো শেষটা ।

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ অমি_বন্যা।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

যাক, বড় রকমের ঝামেলা ছাড়াই শেষ হলো।
কেমন আছেন তুলিরেখা?
আপনার লেখার মধ্যে একটা শান্তি শান্তি ভাব থাকে। কয়েকদিন না পড়লে কেমন যেন অশান্তি লাগে মন খারাপ

তুলিরেখা এর ছবি

এই আছি একরকম।
আপনার দেখা তো বিশেষ পাই না, কেমন আছেন?

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

দুই পর্বই একসাথে পড়লাম- সুন্দর ।
আচ্ছা- "আব্বুলিশ" মানে কী? আমি জানি না ।

কড়িকাঠুরে

তুলিরেখা এর ছবি

ছোটোবেলা মাঠে ছোটাছুটি লুকোচুরি কাকজোড়া জেলেমাছ এইসব খেলার সময় আব্বুলিশ বলা হতো খেলার মাঝখানে কোনোকারণে খেলা থামিয়ে কোনো কিছু করার দরকার হলে। এর যে কী মানে এ আমরা জানতাম না কেউ, কিন্তু তাতে কোনো সমস্যা হয়নি। হাসি বহুকাল বাদে একজন বলেছিলেন আব্বুলিশ মানে নাকি অ‌্যাবোলিশ, জানি না সেই লোক গুল দিলো কিনা। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

রংধনুর কথা এর ছবি

চলুক

তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

হাততালি আব্বুলিস।

তুলিরেখা এর ছবি

হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অস্বাভাবিক  এর ছবি

প্রথম পর্বটা দারুণ ছিল ; সেই তুলনায় দ্বিতীয় পর্বে চমক কম । লেখা ভাল হইছে চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।