ঝিনুক-বেলা

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০৯/২০১২ - ৩:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।
ঘরের ভিতরে স্নিগ্ধ অন্ধকার। শোঁ শোঁ করে ফ্যান ঘুরছে। বাইরে তপতপে গ্রীষ্ম দুপুর। ইস্কুলে গরমের ছুটি। পুবের ঘরের খাটে মা ঘুমায় ছোটো ভাইটাকে বুকের কাছে নিয়ে, এই মাঝের ঘরে ঠাকুমার পাশে আমি, মাঝের খোলা দরজা দিয়ে ওঘরের হাওয়া এঘরে আসে, এঘরের হাওয়া ওঘরে যায়। কোণের বন্ধ জানালার সরু সরু সূক্ষ্ম রেখা ধরে কেমন আলোছায়ার জাফরি পড়েছে!

চুপি চুপি উঠে দরজা খুলে বেরিয়ে পড়ি। সবুজ ঝোপের বেড়ার কাছে হাল্কা ছায়া, সেখানে দাঁড়াই। বেড়ার বাইরে একটুকরো ফাঁকা মাঠের পরেই বিরাট ধানক্ষেত, সেই দক্ষিণের বাঁশঝাড় অবধি চলে গেছে। দুপুরবেলার ঝিমধরানো আলো কেমন আশ্চর্য! সকালের সোনালী আলো আর সন্ধ্যার রাঙা আলোর সঙ্গে এর অনেক অনেক তফাৎ!

কাঁঠালগাছের ডালে ঘুঘু ডাকছে শান্ত ঘুমেলা স্বরে, ঘুঘঘু ঘুঘঘু ঘুঘঘু ....

মা বেরিয়ে এসে আমায় জোর করে ভেতরে নিয়ে যায়। দুপুরবেলা নাকি বাইরে থাকতে নেই একা। আমি ভেতরে থাকতে চাইনা, ঝটাপটি করি, গোলমালে ঠাকুমা উঠে পড়ে ঘুম থেকে ।আমাকে টেনে নিয়ে পাশে শুইয়ে রাখে। আমার ঘুমাতে ইচ্ছে করে না, কেবলই বাইরে চলে যেতে ইচ্ছে করে।

অনেক দূরে ঐ দিকচক্রসীমায় গাছের ঘন সবুজ রেখা। চোখ বুজলে দেখি ঐ সবুজ বৃক্ষরেখার ঐপার থেকে আমার দিকে চেয়ে দেখছে কারা যেন। ভালো করে দেখতে পাইনা তাদের, শুধু নীল জামা আর কমলা আঁচলের আভাস পাই, দু'চোখ অশ্রুতে ঝাপসা হয়ে যায়, দেখবো কেমন করে?

২।

আশ্বিনের রোদে খুশী হয়ে আছে পৃথিবী, জ্বরে পুড়ে যাচ্ছি আমি, ঠাকুমার চৌকিতে শুয়ে আছি, জানালার বাইরে থেকে শিউলির সুঘ্রাণ আসছে। পুজো এসে গেল। আমায় বোর্ডিং এ পাঠিয়ে দিতে চায় মা-বাবা, পুজোর পরে পরীক্ষা হয়ে গেলে, নতুন বছরে। ঠাকুমা রাজি না, বলে,"না না। মেয়েরে দেখতে পারে না মায়ে, তাই বোর্ডিং এ দিতে চায়।"

গতকাল আমার সঙ্গে খেলতে খেলতে ভাই পড়ে গিয়ে ব্যথা পেলো, খুব কাঁদলো, বললো আমি নাকি ফেলে দিয়েছি, তাই মা রাগ করে আমাকে ধাক্কা দিয়ে খোয়াভাঙার উপরে ফেললো। ঠোঁট কেটে গেলো, রক্ত বন্ধ হয় না দেখে ক্ষততে চিনি দিলো মা। তখন রক্তপড়া বন্ধ হলো। খুব জ্বর হয়েছে রাত থেকে, আহ, মরে গেলেই ঐ দিগন্তপারের বাপমায়ের কাছে যাবো।

"না না তুমি না তুমি না .... " প্রলাপের ঘোরে হাত সরিয়ে দিই, কে যেন কপালে বরফঠান্ডা হাত রেখেছিলো!

৩।

চুপ করে শুয়ে আছি চৌকিতে। খুব শ্বাসকষ্ট, খুব জ্বর। সারারাত শ্বাসকষ্ট চলেছে। ডাক্তার দাদুকে সকালে খবর দিতে গেছে বাবা। আমি অর্ধ আচ্ছন্ন চোখে ঘর দেখি, আর কতক্ষণ দেখবো? আর কতক্ষণ পরে হে দিগন্তপারের মা, নেবে আমায় তোমার কাছে? শ্বাসকষ্ট কাল রাতে যখন খুব বেড়েছিলো, ভেবেছিলাম রাত্রেই নেবে। কই নিলো না তো! কারা যেন কাঁদছিলো রাতে, কারা? ঠাকুমা,মা নাকি অন্য কেউ? হয়তো কেউ না, জ্বরের ঘোরে ভুল শুনেছি।

এই ঘরেই দক্ষিণের হাওয়া, দক্ষিণে খোলা মাঠ একেবারে ঐ অতদূর অবধি, উত্তরের জানালা খুলে দিলেও সেদিকে মাঠ, খেজুরগাছ, তারপরে পড়শীদের বাড়ী। আধো ঘুমে আধো জাগরণে স্বপ্ন-স্বপ্ন লাগে জগৎখানি, আর থাকতে ইচ্ছে করে না এখানে। তবু যেন কী রয়েছে, কোনো চেনা রঙ, চেনা গন্ধ, চেনা আকার, ফিরে দেখতে ইচ্ছে করে একবার দুইবার আবার আবার!

মাথা ধুয়ে দিচ্ছে কে যেন, কানের কাছে জল লাগলে খুব বিশ্রী লাগে, আমি কী যেন বলছি জ্বরের মুখে, মুখ জুড়ে কেমন করোলা ভাজার স্বাদ! মুছে দিচ্ছে মাথা, হাওয়া করছে গোল হাতপাখা দিয়ে। কে করছে এসব, মা?

আহ, কে কাঁদছে বিছানায় বসে? চোখে মেলি, ঐ তো পায়ের দিকে বসে আছে মা, মুখে আঁচল চেপে আছে। চোখ বুজে ফেলি, কাকে যেন বলি, আমায় কখন নেবে তুমি?

দাদু এসে গেলো, জাগিয়ে দেখে ওষুধপত্তর দিয়ে বিদায় নিলো। ট্যাবলেট গিলতে পারিনা, কাপে দিয়ে চূর্ন করে জল দিয়ে গুলে দিচ্ছে মা। ইচ্ছে করে না ওষুধ খেতে, তবু খাই, খুব শ্বাসকষ্ট, জ্বরও অনেক।

দুদ্দুর, নেয়ও না, এদিকে খালি অসুখ। বিরক্ত লাগে, এদের কত অসুবিধা হচ্ছে এদিকে! কোনো মানে হয়!

ওষুধে কাজ করতে শুরু করেছে, শ্বাসকষ্ট কমে যাচ্ছে। জ্বরও কমে যাচ্ছে হয়তো, অত শীত করছে না আর। নেবে না আমায়, এবারেও নিলো না। কান্না লুকিয়ে ফেলি, সোনালী আলো মিলিয়ে যাচ্ছে, খুব ঘুম আসছে, শান্তির ঘুম, জ্বরের ঘোর নেই তাতে।

৪।

রাতের গাড়ী ছুটে যাচ্ছে দক্ষিণে, কুউউউ ঝিক্‌ঝিক্‌ঝিক্‌। উপরের বাঙ্কে ঘুমের মধ্যে অদ্ভুত এক দুলুনি, সমুদ্রের মতন। আড়াইদিন এভাবেই আমরা চলমান যানের ভিতরে কখনো দিন কখনো নিকষকালো রাত্রি দেখতে দেখতে পার করে দিচ্ছি যাত্রাপথ।

অনেক অনেক পরে, এই শোঁ শোঁ হাওয়ার শব্দ আবার শুনবো, এক অদ্ভুত শূন্যযানে টানা কুড়িঘন্টা উড়তে উড়তে দিবারাত্রির মালা পার হতে হতে .... ঐ যে বলে ইতিহাস পুনরাবৃত্ত হয়? কথাটা কি আমাদের জীবনেও সত্য? কোথাও কোনো লুকানো সরল দোলগতি রয়ে গেছে রক্তের লাবণিক স্রোতে?

নিজেকে দেখতে পাচ্ছি অন্ধকার রাত্রির মাঠে, আকাশমুখী। সেই যে, যে বছর ধূমকেতু নিয়ে ঘোর উন্মাদনা! "ধূমকেতু আসবে ধূমকেতু আসবে, হ্যালীর ধূমকেতু আসবে পঁচাত্তর বছর পরে। সেই এসেছিলো দশ সালে।"

রক্তের মধ্যে দোলা লাগে, হেসে ওঠে কারা নীল দেওয়ালের ওপারে, শুকতারা পত্রিকায় যত্ন করে লেখা জার্মান চাষী পালিৎসের গল্প- যে নাকি নিজের বানানো টেলিস্কোপে প্রথম দেখেছিলো হ্যালীর ভবিষ্যদ্বানী করা ধূমকেতুটিকে। হ্যালী তখন ইহলোকে নেই, কিন্তু রয়ে গেছে তাঁর কথা, তিনি প্রথম অংক কষে বলে গেছিলেন একটি ধূমকেতুর আসার সময়কাল। সবাই বারণ করেছিলো তাঁকে, তখনো মানুষ অভ্যস্ত হয়নি ভাবতে যে আকশের বস্তুরা নিয়ম মেনে চলে, তখনো নিউটনের প্রিন্সিপিয়ার গায়ে নতুন নতুন গন্ধ, সবাই ভয় পেলো যদি না মেলে প্রেডিকশন, হয়তো সবাই হ্যালীকে দুয়ো দেবে, অন্যসব ভালো ভালো কাজগুলোও ভুলে যাবে। কেউ কেউ ঠাট্টা করে বলেছিলো, উনি এমন কায়দা করে এক ভবিষ্যদ্বানী করছেন যে তা না মিললেও ওনার গায়ে আঁচড়টি লাগবে না, উনি তো ততদিন আর বাঁচবেন না! এই আশানিরাশার দোলা থেকে উদ্ধার হলো জগৎ, প্রথম যেদিন ধূমকেতুটিকে দেখতে পেয়ে গেলো পালিৎস! হ্যালীর সঙ্গে সঙ্গে সেও শান্তমুখে ঢুকে পড়লো ইতিহাসে।

ধান কেটে নেওয়া ক্ষেতের উপরে দাঁড়িয়ে আমরা খুঁজি সেই ধূমকেতুটি, কথা দেওয়া যে ওর, প্রতি পঁচাত্তর ছিয়াত্তর বছর বাদে বাদে আসবে পৃথিবীর কাছে।আমাদের চোখে ধরা পড়ে না, উত্তর আকাশে কারখানার আলোয় আলো হয়ে আছে, প্রগাঢ় অন্ধকার নেই।

৫।
আবার দেখি সেই গাড়ী, কু উ উ উ ঝিকঝিক করে আমাদের গাড়ী রাত্রি ভেদ করে চলেছে দক্ষিণে দক্ষিণে আরো দক্ষিণে, বাঁপাশে রেখে যাচ্ছে বিশাল উপসমুদ্র।

দেখতে দেখতে একেবারে দক্ষিণতম অংশে চলে এসেছি। অন্তরীপে। সম্মুখে শুধু মহাসমুদ্র। সাগরবেলায় তিনরঙা বালি, হলদেটে সাদা, লাল আর কালো-পায়ে পায়ে শিরশিরে ভিজা বালি মাড়িয়ে মহাসমুদ্রের দিকে এগিয়ে যাওয়া, মহাসমুদ্রের হাওয়া চুলগুলো ওড়ায়, সমুদ্র কী গভীর নীল, ঢেউয়ের মাথায় ফেনারা কী দুধেল!

কী আশ্চর্য এই জগৎ! কী অপূর্ব এইসব গাছেরা, ঐ মহাসমুদ্র, ঐ রঙীন বালুবেলা, ঐ সমুদ্রদিগন্তে ভোরের লাল গোলকের মতন সূর্যের লাফিয়ে ওঠা!!!

ঢেউ আসে, ঢেউ যায়, বালিতে ঝিনুক পড়ে থাকে। বালিতে অদ্ভুত নকশা তৈরী হয় জলের টানে টানে, দেখতে দেখতে অবাক আর খুশী হয়ে ওঠে একটা ছোট্টো মেয়ে, যার আকাশী ফ্রকে সমুদ্র আর আকাশ জেগে থাকে একই সঙ্গে। ঐ তো দেখতে পাচ্ছি সে নীচু হয়ে ঝিনুক কুড়িয়ে
নেয়, ঝিনুকের গায়ে কত চিত্রবিচিত্র আঁকা।এরই ভিতরে নাকি মুক্তা থাকে?

ঝিনুক কুড়াতে কুড়াতে সে পায়ে পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে সমু্দ্রের দিকে, ফেনার মুকুট পরা ঢেউয়েরা তাকে টানছে। আর টানছে ঐ দূরের বাধাহীন নীল দিগন্ত। সেই টানে সে ভেসে যাচ্ছে, যাচ্ছে, যাচ্ছে .....

_____


মন্তব্য

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১৯৮৬ সালের বসন্তের এক রাতে ভোর রাত অব্দি দিগন্তজোড়া খোলা মাঠে বসেছিলাম হ্যালীর ধুমকেতু দেখার জন্য। সে এক আশ্চর্য রাত ছিল! কি মুশকিল পরদিন দুপুর থেকে গায়ে জলভরা ফুসকুড়ি উঠলো - মানে মুরগী বসন্ত! সেবার খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম, মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয়েছিল। তবু সেবার মনে হয়নি মরে যাবো। মরার ইচ্ছেও ছিল না তখন। তার ৯ বছর পর একবার জন্ডিস হয়ে সত্যি সত্যি মরতে বসেছিলাম। তখন অবশ্য মনে হয়েছিল - আহা! এখন যদি মরে যাই তাহলে কোন আফসোস্‌ থাকবে না, কোন পিছুটান থাকবে না। এখন ভাবি তখন কেন মরলাম না! এই জীবনে কি আর অমন আনন্দময় মৃত্যুর সুযোগ পাবো?


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

আমি জানি, আপনি অপেক্ষা করে থাকেন না এর জন্য তারপরও এই মন্তব্যের জন্য আপনাকে চলুক

তুলিরেখা এর ছবি

ছোটোবেলার রোগব্যাধির কথা বড় হয়ে ফিরে ভাবলে কেমন অবাক লাগে! তাই না?
সেই ছিয়াশি সালের হ্যালী-উৎসাহের কথা ভাবলেও এখন কেমন অবাক লাগে, কত তাড়াতাড়ি চলে গেল দিন, কত বদলে গেল দুনিয়া ! সেই হ্যালী এখন কত দূরে, ঠান্ডা বরফপিন্ড হয়ে মহাকাশে ঘুরছে, আবার পৃথিবীর কাছে আসবে সেই ২০৬২ সালে, তখন কোথায় চলে যাবো আমরা, কোথায় বা চলে যাবে আমাদের সমস্ত আনন্দবেদনার সাদাকালোবেগুনীগোলাপীসবুজনীল স্মৃতি !

উপকথা যে জমলো অনেক, পঞ্চাশ পেরিয়ে গেলো, বইটার কী হবে? হাসি

আর একটা কথা, কাগুয়া হিমের গল্পটার কি অনেক ভার্সন ? আমি খুঁজতে গিয়ে দেখি সে এক মহাকাব্যিক ব্যাপার! চিন্তিত

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনাকে সচল-বার্তা পাঠিয়েছি, দেখবেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

এক নিঃশ্বাসে পড়লাম। অসাধারন।

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাবেকা  এর ছবি

পড়লাম । এলোমেলো কথাগুলো অসাধারণ লাগল ।

তুলিরেখা এর ছবি

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সাবেকা।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তাসনীম এর ছবি

অপূর্ব সুন্দর একটা লেখা।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ তাসনীম।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নৈষাদ এর ছবি

চমৎকার লাগল।

তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

কী চমৎকার একটা কবিতা তুলিদি! কী চমৎকার! হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

তুলিরেখা এর ছবি

কবিতা???? চিন্তিত
হাসি

লন, আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

দারুণ লাগলো লেখাটি।

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সত্যপীর এর ছবি

দারুণ।

আপনি কবিতা লেখেন?

..................................................................
#Banshibir.

তুলিরেখা এর ছবি

সত্যপীর, আপনার এই প্রশ্ন, "কবিতা লেখেন?" শুনে শীর্ষেন্দুর একটা গল্প মনে পড়লো, সেখানে একদিন এক ব্যক্তি, যিনি কিনা আগে খুব উৎসাহে সাদা ল্যাবকোট গায়ে চড়িয়ে ল্যাবে নানাবিধ এক্সপেরিমেন্ট করে বিজ্ঞানচর্চা করতেন, এমনকি একটা ক্লাবও করেছিলেন ছেলেপিলেদের সেখানে ট্রেনিং দিতেন বিজ্ঞানচর্চার, সেই তিনি এক সকালে উঠে দেখলেন আকাশে কবিতা, বাতাসে কবিতা, গাছে গাছে বাঁদরের মতন ঝুল খাচ্ছে কবিতা। হাসি
তখন তিনি ঠিক করলেন আর অন্য কিছু না, এখন থেকে তিনি কবিতা লিখবেন। কালবিলম্ব না করে জোব্বার অর্ডার দিলেন, কারণ রবীন্দ্রনাথের মতন কবিতা লিখতে হলে তাঁর মতন পোশাক নাকি পরতে হবে। চিন্তিত

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সত্যপীর এর ছবি

ঐ ভেবে বলিনি কিন্তু।

..................................................................
#Banshibir.

তুলিরেখা এর ছবি

সে আমি জানি। হাসি
মজার গল্পটা মনে পড়ে গেল, তাই বললাম। হাসি
আরে, আপনার জাহানারার পরের পর্বের কী অবস্থা? আসছে? উপন্যাস বা নাটকের মতন লাগছে, খুব ভালো হচ্ছে।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সত্যপীর এর ছবি

সিলেটী লস্করের শেষ পর্বটা ঝুলে আছে, ওইটা আগে নামাবো কিনা ভাবছি। তারপরেই জাহানারার দ্বিতীয় খন্ড।

..................................................................
#Banshibir.

তুলিরেখা এর ছবি

অপেক্ষায় আছি কিন্তু আমরা। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

দারুন একটা লেখা। চলুক

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ সবুজ পাহাড়ের রাজা।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কড়িকাঠুরে এর ছবি

সুন্দর... হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তারেক অণু এর ছবি

খুব ভাল লাগল, অন্য রকম আবেশের লেখা।

তুলিরেখা এর ছবি

আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।