মুভাম্বা আর লুয়েম্বা ছিলো দুই যমজ ভাই, একদম একরকম দেখতে। একসাথে খেলাধূলা আর শিক্ষাদীক্ষা করে বড় হচ্ছিলো তারা। দুইজনে একরকম দেখতে হলে কী হয়, দুইজনের ভাগ্যচক্র ছিলো আলাদা। জন্মের পরে নামকরণের সময় তাদের ভাগ্যচক্র গণনা করেছিলো যে গুণিন, সে তাদের দুই ভাইয়ের গলায় পরিয়ে দিলো দুইরকম দুইখান লকেট, তার ভিতরে রইলো যার যার ভাগ্যচিহ্ন।
দিন যায়, রাত কাটে। দেখতে দেখতে মুভাম্বা আর লুয়েম্বা বড় হয়ে ওঠে। তারা দুইজনেই যখন পূর্ণ যুবক, তখন শোনা গেলো দূরের এক গ্রামের নেত্রী নিজাম্বির পরমাসুন্দরী কন্যা ইজা বিবাহযোগ্যা। একে একে চিতাবাঘ গোত্রের, হরিণ গোত্রের আর ঈগল গোত্রের যুবকেরা তার পাণিপ্রার্থী হয়ে এলো, কিন্তু ইজা সবিনয়ে তাদের সবাইকে প্রত্যাখ্যান করলো। কারুকে দেখে তার মনে হয় নি সে এরই স্ত্রী হবার জন্যে সৃষ্টি হয়েছিলো।
মুভাম্বা আর লুয়েম্বা এসব শুনলো জনরবে। মুভাম্বা নিজের ব্যাঘ্রচমের পোশাকটি পরে মাথার চুলে যত্নসহকারে ভুট্টাবেণী করে তীরধনুক নিয়ে চললো ইজার গ্রামের দিকে। সে নিজের ভাগ্যপরীক্ষা করতে চায়, দেখাই যাক না ইজা কী বলে।
গ্রামের পর গ্রাম পেরিয়ে বিকাল বেলা মুভাম্বা গিয়ে পৌঁছলো ইজার গ্রামে। তাকে পথে দেখেই ইজা একেবারে প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেললো, ভাবলো "এই তো সেই মানুষ, যে আমার স্বামী হলে পরম সুখের কথা হবে।"
ইজার মা জননেত্রী, তাঁর ক্ষমতা সেই গ্রামে যাকে বলে নিরঙ্কুশ। বিবাহের জন্য তাঁর অনুমতি দরকার।
ইজা গিয়ে তাঁকে বললো," মা, শোনো, আমি যাকে বিবাহ করতে চাই, আজ তার দেখা পেয়েছি। এখন তুমি যদি তার সঙ্গে আমার বিবাহ না দাও, তবে আমাকে আর দেখতে পাবে না, আমি মারা যাবো। এমনিতে না মরলে সামনের কুমীরজলা তো আছে, সেখানে ঝাঁপ দেবো।"
নিজাম্বি আপত্তি করে নি, মুভাম্বাকে তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছিলো।
বিবাহের বিরাট আয়োজন হলো, আনুষ্ঠানিক বিবাহকর্ম সম্পন্ন হলে ইজা আর মুভাম্বাকে একটা সুন্দর কুটিরে নিয়ে যাওয়া হলো, বাইরে তখন সারা গ্রামের লোক খানাপিনা আর নাচগান করছে বিবাহে নিমন্ত্রিত হয়ে এসে।
মুভাম্বা সেই কুটিরে ঢুকে দেখলো পরিপাটী সাজানো ঘর, ভারী চমৎকার বিছানা ও পাতা আছে। একটা জিনিস দেখে কিন্তু মুভাম্বা বেশ অবাক হলো, সে দেখলো ঘরের দেয়ালে পরপর আয়না ঝোলানো আছে, কিন্তু সব আয়না কাপড় দিয়ে ঢাকা।
বিস্মিত হয়ে সে ইজাকে জিজ্ঞাসা করলো, "ইজা, ঐ আয়নাগুলো ওরকম ঢাকা কেন?"
ইজা বললো, "ঢাকনা তুলে একেক আয়নার সামনে যদি দাঁড়াও, তবে দেখতে পাবে যে যে গ্রাম তুমি পার হয়ে এসেছ, সেই সেই গ্রামের দৃশ্য। দেখবে? "
ইজা হাত ধরে মুভাম্বাকে প্রথম আয়নার সামনে নিয়ে গেলো, ঢাকনা তুলে দিলো। মুভাম্বা অবাক হয়ে দেখলো, আরে তাই তো, আয়নার ভিতরে সেই প্রথম গ্রামটা, সবুজ গ্রাম, সকালের রোদে ঝলমল করছে গাছের সবুজ পাতাগুলো, চকচক করছে পুকুরের জল।
সেই আয়নার সামনে থেকে পরের আয়নার কাছে গিয়ে ঢাকনা তুলে ফেললো ইজা, মুভাম্বা আয়নার সামনে এসে দেখলো আরে এতো সেই পরের গ্রামটার দৃশ্য! সেই যে ঝাঁ ঝাঁ দুপুরে গাছের ছায়ায় বসে বসে গুণ গুণ করে গান করছিলো এক উদাস লোক, সেই গ্রামেই তো! আশ্চর্য!
এইভাবে পরপর সব আয়না দেখা হয়ে গেলো, বাকী রইলো শুধু শেষ আয়নাটা। সেটা মুভাম্বা দেখতে চাইতেই ইজা ভয়ে ভয়ে বললো, "ওটা দেখতে চেয়ো না গো। ঐ আয়না তোমার চেনা কোনো গ্রাম দেখাবে না, ওটা সেই গ্রাম দেখায়, যেখান থেকে কেউ ফেরে না।"
মুভাম্বা কৌতূহলে ফেটে পড়ে ইজাকে সরিয়ে যেতে চায় আয়নার কাছে, ইজা কাঁদতে কাঁদতে আটকাতে চেষ্টা করে মুভাম্বাকে। কিন্তু পারে না, দুর্নিবার কৌতূহলে মুভাম্বা সেই আয়নার সামনে গিয়ে একটানে সরিয়ে দেয় ঢাকনা, আয়নার মধ্যে ফুটে ওঠে সেই রহস্যময় গ্রামের দৃশ্য, সারি সারি পাথরের মূর্তি দাঁড়িয়ে আছে সেখানে, সব কিছু কেমন ধোঁয়াটে, আবছা, বিষন্ন কিন্তু তীব্র আকর্ষক।
মুভাম্বা সব ভুলে গেলো, বিবাহ, ইজা, উৎসব---সব কিছু। যেই অবস্থাতে ছিলো সেই অবস্থাতে ছুটে বেরিয়ে গেল, সেই রহস্যময় গ্রামে তাকে যেতে হবে। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কাঁদতে থাকলো ইজা, মুভাম্বার কানে গেলো না কিছু।
সে চললো আর চললো, কেজানে কতদিন কতরাত। তারপরে সেই গ্রামে পৌঁছে সে দেখলো ঠিক আয়নায় দেখা মূর্তির মতন সব পাথরমূর্তি পথের দুইধারে, পাথর হয়ে যাওয়া মানুষ তারা।
মুভাম্বা আরো এগিয়ে গেলো, চৌরাস্তায় এসে দেখলো এক বুড়ী বসে আছে, বুড়ী তাকে দেখে কেমন অদ্ভুত ভাবে হাসলো, তারপরে খনখনে গলায় বললো, "বাছা, একটু আগুন দিতে পারিস?"
মুভাম্বা তার ঝোলা থেকে আগুনের পাতিল যেই না বার করতে যাবে, অমনি সেই বুড়ী এসে তার মাথায় মারলো যাদুলাঠির বাড়ি, ব্যস, মুভাম্বা অবশ হয়ে গেলো, তারপরে বুড়ী মুভাম্বার গলার হারটি খুলে লকেটটিতে কী যেন মন্তর পড়ে আবার পরিয়ে দিলো, আর মুভাম্বা পাথরের মূর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো সেখানে।
এদিকে কানাঘুষো্য় মুভাম্বার ইজার সাথে বিবাহ ও বিবাহরাত্রে মুভাম্বার নিরুদ্দেশ হবার খবর গিয়ে পৌঁছেছে তার নিজের গ্রামে। ভাই লুয়েম্বা ঠিক করলো সে নিজে যাবে ইজাদের গ্রামে, সেখানে গিয়ে সব শুনবে ঠিকমতন।
যা ভাবা সেই কাজ, লুয়েম্বা গেল সেখানে। তাকে দেখে তো ইজা খুশিতে ছুটে এসে তার হাত ধরে বললো, "তুমি ফিরে এসেছ! কেউ যেখান থেকে ফেরে না, সেখান থেকে তুমি ফিরেছ? আহা, আমার কী সৌভাগ্য!"
লুয়েম্বা বুঝেছে ইজা তাকে মুভাম্বা মনে করেছে, তারা দুই ভাই যে একরকম দেখতে যমজ।
সে সব বুঝিয়ে বললো ইজাকে, তারপরে জানতে চাইলো ঠিক কী হয়েছিলো মুভাম্বার। ইজা সব বললো। সব শুনে লুয়েম্বা রওনা হলো সেই মরণগ্রামের দিকে, ইজার আপত্তি সবিনয়ে খন্ডন করে।
সেই গ্রামে গিয়ে সে দেখলো সারি সারি মূর্তি, তারপরে সেই চৌমাথার মোড়ে সেই রহস্যময়ী যাদুকরী বুড়ী। সেই বুড়ী যেই না বলেছে, "একটু আগুন দিবি বাছা? " অমনি লুয়েম্বা বুড়ির মাথায় মেরেছে বাড়ি। বুড়ী মাটিতে পড়ে মরে গেছে, তার যাদুলাঠিটি হাত থেকে পড়ে গড়িয়ে গেছে।
লুয়েম্বা সেই যাদুলাঠি আর নিজের লকেটের ছো্ঁয়া দিয়ে মুভাম্বাকে প্রথম বাঁচিয়ে তুললো, তারপরে দুইজনে মিলে নিজের নিজের লকেট ছুঁইয়ে সেখানের সব পাথর হয়ে যাওয়া মানুষদের বাঁচিয়ে তুললো। এখন তারা দুই ভাই নিজের রাজ্য স্থাপন করতে পারে, শত শত নিবেদিতপ্রাণ যুবক প্রজা পেয়ে গেছে তারা।
সকলে মিলে যখন ইজাদের গ্রামে গেল, তখন সবাই দেখে আনন্দে নৃত্য করলো।
তারপরে সকলে সুখেশান্তিতে বাস করতে লাগলো।
(শেষ)
মন্তব্য
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আমি পাপী লুক মাঝপথে ভাবসি লুয়েম্বা চান্সে ইজার সাথে সুযুগ নিবে
লিখায়
..................................................................
#Banshibir.
সুযুগ যে নেয় নাই এই কথা কেউ কি লিচ্চিত কইরা কইতে পারে! সেইটা তো লুয়েম্বা বা ইজা কেউই আর স্বীকার যাইবো না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
এই গল্পের নানা ভার্সন আছে, একটা ভার্সনে আছে ইজা আর তার পরিজনেরা কেউ বিশ্বাস করেনি লুয়েম্বা অন্য লোক, তারা ভেবেছিলো এই আসল মুভাম্বা, কোনো কারণে গোপণ করছে। সেইখানে লুয়েম্বাকে রীতিমতন ইজার স্বামী হিসাবেই থাকতে হয়েছিলো দিনকতক, তার পরে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা করে লুয়েম্বা রওনা হতে পেরেছিলো তার ভাইকে উদ্ধারে। সেই গল্পের শেষটাও অন্যরকম, লড়াই টড়াই আছে, এরকম ক্লিন হ্যাপী এন্ডিং না সেইখানে, সেই কাহিনিতে টুইস্ট আছে ।
আপনাকে
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আহা, কৈসিলাম্না? পাণ্ডবদা আর আমি ঠিকই ধরতে পার্সি। লুয়েম্বা নামটাই ঘোরতর লুলীয়...
..................................................................
#Banshibir.
আহা, হরেদরে তো সবই সমান, মুভাম্বা হোক বা লুয়েম্বা, ইজাই হোক বা লিজা।:-)
সবই সেই একই ডিএনে, উপর উপর একটু বদল করে এদিক-ওদিক করা আরকি ! তাই নিয়েই কত মহামারী দেখুন, ফরসা না কালো, লম্বা না বেঁটে, চুলে ভুট্টা না রেশম, নাক উঁচু না নাক বোঁচা, চোখ নীল না কালো, সে কি "আমাদের" নাকি সে "ওদের", সে ক্যাট ক্যাট করে কথা কয় নাকি চিবিয়ে চিবিয়ে---এই করে করে ধুমাধুম লেগে গেল কতবার!
এই ক্ষেত্রে ইজা তো তাছাড়া বুঝতেও পারে নি এটা মুভাম না, এটা লুয়েম। সে তো তার মুভামকেই ফিরে পেয়েছে ভেবেছিলো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ব্যাঘ্র চর্ম আর ভুট্টা বেণী দেখছি খুবই দরকারি, এত সহজে ইজা ম্যাডামের হৃদয় হরণ করে ফেলল :D। সচলের অবিয়াত্তারা ট্রাই দিতে পারেন।
লেখা বরাবরের মত দারুন উপভোগ্য।
তা আর বলতে!
তবে ভুট্টা বেণী কঠিন জিনিস, নানা কায়দা করতে হয়, বিশেষ রকম ঘন আর শক্ত চুল ছাড়া হবেই না মনে হয়।
আপনাকে
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
খুব ভাল অনুবাদ।
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অনেক
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হ্যাপী এন্ডিং
.........
রংতুলি
হ্যাঁ, এই ভার্সনে হ্যাপী এন্ডিং ছিলো বলেই এটা পুনর্কথন করলাম, আরেক ভার্সনে মারামারি ছিলো, এক ভাই আরেক ভাইকে মেরে টেরে কী কান্ড!
সেই ভার্সন লোকে শোনে না, তাই অল্প প্রচলিত। তাই এই মিলনান্তক ভার্সনটাই দিলাম।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনার কাহিনী গুলো সবসময় পড়ে যাই
আপনাকে
কাহিনীগুলো পড়ে কেমন লাগে তাতো বললেন না!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভালো লাগল। খাঁটি রূপকথার আঁচ আছে।
facebook
ঠিক বলেছেন, এটা উপকথা হলেও এর মধ্যে রূপকথার ছায়া আছে।
পড়ার জন্য অনেক
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ক্লাস থ্রি বা তার আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। অনেক আগে পড়া, তবে যট্টুক মনে আছে সেটার নায়কের নামটা ছিল জাপানী ধরনের আর গল্পটা এরকম- সমুদ্রতীরে এক যুবক জেলে (নায়ক) দেখলো কিছু লোক একটা কচ্ছপকে নিয়ে খেলা করছে। রঙ্গিল কচ্ছপ। সে ঐ লোকগুলোর হাত থেকে কচ্ছপটাকে মুক্ত করলো- বাঁচিয়ে আনলই বলা যায়। কালক্রমে জানা গেল কচ্ছপটা থাকে সমুদ্রের গভীর নিচে কোন এক দেশে, আর সে দেশের সে রাজকন্যা। সমুদ্রের উপরে সে কচ্ছপের রূপ ধরে থাকে। প্রেম হল। নায়ককে সে নিয়ে গেল ঐ রাজ্যে। বিয়ে হল- বয়স সম্ভবত যৌবনে স্থির হয়ে গেল। অনেক অনেক বছর থাকলো সে অনেক সুখে থাকলো ওখানে। একসময় সেও ওরকম তিনটে/একটে আয়না আবিষ্কার করে। এরকমই মনে হয় কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল আয়নাগুলো। রাজকন্যা ওগুলোর অর্থ বলতে চায়না। স্বাভাবিক, একদিন উৎসাহে আর কৌতুহলে নায়ক আয়নার পর্দা সরিয়ে ফেলে। ওখানে সে তার নিজের গ্রাম দেখতে পায়। অসংখ্য বছর পর গ্রামের স্মৃতি তাকে মায়ার মত ঘিরে ধরে। তারপর সে হয়ত ঐ আয়নায় মিশে যায়/ এরকম কিছু একটা। বাকিটা জানা হয়নি কারণ পরের পেজগুলো ছিলনা। তবে গল্পটার বিষন্নতা প্রায়ই মনে পড়ে। হয়ত বাকিটা জানতে পারলে সে বিষন্নতা থাকত না।
দুই ভাইয়ের গল্পটা পড়তে পড়তে কেন জানি ঐ গল্পটার কথা মনে পড়ছিলো। মনে হচ্ছিল, কোথাও কোন মিল থাকতে পারে।
আপনি মিথ গবেষক জোসেফ ক্যাম্পবেলের কোন বই পড়েছেন? নানা জায়গার মিথ ডিকোডিং, ওগুলোর মধ্যে মিল থাকার কারণ, মিথের আড়ালে কি বার্তা ওগুলো দেয়, ওনার অভিজ্ঞতা, চিন্তাভাবনা নির্ভর অসাধারণ একট বই পড়লাম কিছুদিন আগে। 'মিথের শক্তি' নাম বইটার। আগ্রহ পেতে পারেন ওনার বইয়ে। আরো বইয়ের পেলে সংগ্রহ করে নেবো।
-আমিনুল করিম মাসুম
য়ুরাশিমা তারো'র গল্পের কথা বলছেন তো! তুলিরেখা বহু আগেই সেটা সচলের পাঠকদের পাতে দিয়ে রেখেছেন। এই নিন তার লিঙ্ক।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ পান্ডব ভাই। এত দিন আগের একটা গল্প আজ আবার পেয়ে গেলাম আপনাদের সৌজন্যে। গল্পটা অনেক জায়গায় মনে মনে খুঁজেছি। পাইনি। ইরোশিমা লিখে গুগলে সার্চ দিয়েছিলাম। কিন্তু কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম যে 'ইরোশিমা' নয় 'য়ুরাশিমা' সেটা মনে করতে না পারায় পাওয়া হয়নি। অনেক ধন্যবাদ।
তুলিরেখাকেও ধন্যবাদ। ওনার সংগ্রহ দিন দিন আরো সমৃদ্ধ হোক। আর বইয়ের অপেক্ষায় রইলাম।
তবে এতদিন থেকে যে গল্পের শেষটা জানার জন্য অপেক্ষা করছি তার শেষটা ট্র্যাজিক জেনে কষ্ট পেলাম। করুণ রস।
-আমিনুল করিম মাসুম
আমি পড়ি নি জোসেফ ক্যাম্পবেলের কোনো লেখা, পেলেই পড়ে ফেলবো। আপাতত আমার দুই ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া দরকার, একজন সম্ভবত ফিকশনাল, যাদুকর মার্লিন(বাস্তবেও হয়তো কোনো ব্যক্তি ছিলেন যার ছায়াতে এই যাদুকরের কাহিনি গড়ে উঠেছিলো), আরেকজন বাস্তবেই ছিলেন বলে শোনা যায়, তবে বহু বছর আগের লোক, স্টেপ পিরামিডের নির্মাতা ইমহোটেপ। এই দুই লোকের সম্পর্কে ডিটেল সব কাহিনি চাই, কেউ যদি বইপত্রের সন্ধান জানেন, প্লীজ জানাবেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
স্টেপ পিরামিডের নির্মাতার ব্যাপারে 'হয়ত' কিছু জানাতে পারবো। কাল পর্যন্ত সময় দিন।
-আমিনুল করিম মাসুম
আমাজন লিঙ্ক
এ পেজটা আর তার পরে পেজগুলো দেখুন। কাজে আসতে পারে। সরাসরি ডাউনলোডের কোন লিঙ্ক পেলে পাঠিয়ে দেব।
-আমিনুল করিম মাসুম
আরে হ্যাঁ হ্যাঁ, তাড়াতাড়ির কিছু নেই, একসময় পেলেই হবে।
আগাম ধন্যবাদ রইলো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
পোস্টে আমার শেষ কমেন্টটা দেখুনতো। ওটা মর্ডারেশনের কারণে পোস্ট হতে দেরী হয়েছে। ওখানে কিছু বই আছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। যদি ডাইরেক্ট ডাউনলোডের কিছু থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে তাও দিয়েন।
যাদুকর মার্লিন সম্পর্কে কিছু পেলেন?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নিয়মিত রূপকথা পড়তে পারছি...
নিয়মিত দেবার চেষ্টা করি, মাঝে মাঝে সময়ে কুলায় না। আবার কখনো বা লেখার সামর্থই থাকে না। তবু সেই কঠিন সময়গুলো কাটিয়ে উঠলেই উপকথা নিয়ে ফিরি।
আপনাকে
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অবশেষে তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগ্লো, এই টাইপের রূপকথা ভালু পাই তুলিদি।
আমিও ভালু পাই এগুলি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
দারুণ!! লুয়েম্বা তো প্রবীর মিত্র - সত্যপীর এটিএম
বলছেন?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তুলিরেখা, আপ্নার এই উপকথা সিরিজ পুরটা পড়চি। পিচ্চি বেলার কথা মনে পড়এ গেল। সব গুল বই আকারে পেলে ভাল হত। আমি আমার বাচ্চার জন্ন বই কিনে রাখসি, যাতে তার বই পরার অভ্ভাস হয়। এই গুলা সব একই সাথে পাব কি?
আমার ও কয়েকজন শুভানুধ্যায়ী বন্ধুর একটা পরিকল্পনা আছে এইসব উপকথার সঙ্কলন বই আকারে বের করার। তবে কিনা জটিলতা অনেক।
আপনাকে
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
দুষ্টু গল্প। কিন্তু গল্পটা দুষ্টু হলেও এইটার দরকার আছে। কারণ, গল্পটা ভালো।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গল্পটার মধ্যে নানা নাটকীয়তা, কিন্তু দ্রুততালে সব চলতে থাকে, ফ্যানায় না বেশি, এইটা আফ্রিকার আরো নানা লোককথায় লক্ষ করেছি। মনে হয় ওখানকার লোককথাকাররা কুশলী কথক, একদম ছেনিকাটা সব কাহিনি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আহা, কঙ্গোতে থাকবার সময় এই উপকথা পড়লাম না। আজ অযাচিতেই তুলিরেখার তুলি এসে রঙ ছড়িয়ে দিল মনে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কঙ্গোর দিনগুলো নিয়ে লিখতে পারেন তো একটা সিরিজ। আমরাও তাহলে শুনতে পাই, জানতে পারি কেমন সেখানকার লোকজন, হাটবাজার, পথঘাট, উৎসব-আয়োজন, সাজগোজ, গল্প কবিতা গান নাচ খেলাধূলা এইসব ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
লুয়েম্বা দেখি বড্ড ভালো ছেলে!
হ্যাঁ, খুব ভালো ছেলে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন