সন্ধ্যা আসে আশ্চর্য লাল আর কমলা মেঘের ডানা মেলে, কিন্তু সে রঙ থাকে না, সব রঙ হারিয়ে ধূসর হয়ে যায় মেঘডানা। কী যেন একটা কথা আমার শোনার ছিল কার কাছে? কিছুতেই মনে পড়ে না তার মুখ, তার চোখ, তার নাম। সেই বা কেন বলে নি সেই কথাটা? এমনই এক সন্ধ্যেবেলা ছিল কি সেটা? বলি-বলি করেও যখন সে না বলে চলে গেল?
নদীর কাছে রেখে যায় নি তো কথাটা? ধাপে ধাপে ঘাটের সিঁড়ি পার হয়ে নেমে পড়ি নদীর খুব কাছে। হাত ডোবাই নদীর শরীরে, মুখ নামিয়ে আনি তার খুব কাছে। নদী মৌন, সে কথা বলতে চায়, কিন্তু পারে না। তার অফুরান অশ্রুর স্পর্শ লাগে আমার হাতে, মুখে, চোখের পাতায়---
ছায়ায় ঢেকে গেছে চরাচর, দীর্ঘদেহ এক ছায়াময় পুরুষ যেন সর্বদিক আচ্ছন্ন করে শুয়ে পড়েছে। আকাশের কপালে টলটল করে দুলে দুলে উঠছে সন্ধ্যাতারা। এক এক করে চোখ মেলছে উজ্জ্বল নীল, সাদা, কমলা তারারা।
শিরশির ছোঁয়া বাতাসের হাতে হাত
শিহরণ লাগে মরণের নীল নখে-
ঈশম এবার ঘুমিয়ে পড়েছে চুপ
বকুল ঝরেছে ওর বুজে যাওয়া চোখে।
ঘুমের ভিতরে অথৈ বন্যা আসে
সেই বানে ভাসে স্বপ্নের জমিজমা,
পদ্মদিঘির চুপকথা পার হয়ে
পাথুরে সিঁড়িতে আলতা লিখেছে ক্ষমা।
*****
মন্তব্য
অবশেষে সচলের কিংবদন্তীরা একে একে আসছেন। আমি তো গত এক সপ্তাহ ধরে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলাম। লেখার ব্যাপারে মন্তব্য করার কিছু নেই। পুরাই ঘোরলাগা লেখা। পড়ে চুপ করে বসে থাকতে হয় কিছুক্ষণ। মস্তিষ্কের ঝড় শান্ত হলে পরে আবার পড়ি। অদ্ভুত।
ভক্ত হিসেবে শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম।
সামি
অনেক ধন্যবাদ স্যাম।
কিন্তু কিংবদন্তী টিংবদন্তী শুনে কেমন ঘাবড়ে গেলাম।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ওহে, ডেথ-এর তো সবকিছুই কালো রঙের জানতুম, নখ নীল নাকি?
হয়তো সেদিন নেলপালিশ লাগিয়েছিল।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বাহ কবিতাটা বেশ লাগল, তুলিদি।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অনেক ধন্যবাদ ত্রিমাত্রিক কবি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন