জ্যোৎস্নারাতের ড্রইং খাতায় ফেলে আসি আমার নীল পালকের পাখিদের। আরো ফেলে আসি লালচে-বাদামী ভুলভ্রান্তির বিষাদ-দাগ, সাদা হয়ে নামা তুমুল বৃষ্টির ঝরোখার ওপারে হারিয়ে যাক ওরা। অবিশ্রান্ত বর্ষণে ধুয়ে যাক, ধুয়ে যাক ওদের সবকটি আঁচড়।
ফেলে আসি সেই কালচে সবুজ শাড়ীটা, মলিন আর জীর্ণ হয়ে যাওয়া সেই শাড়ীটা যা রক্ষাপর্দার মতো হয়ে বাঁচিয়েছিল উজ্জ্বল টিয়ারঙের আরেকটা শাড়ীকে। কলাবতীরঙের পাড় ছিলো ঐ টিয়ারঙ শাড়ীটায়। সেটা পরলে কেমন দেখাতো মিতিনকে? খুব সুন্দর? সঙ্গে যদি কানে পরতো পান্নাবসানো দুল আর গলায় ঝিলিক দেওয়া সবুজ পাথরের মালা? আমার আর দেখা হয় নি কোনোদিন।
এখন বৃষ্টি থেমে গেছে, আকাশের সব মেঘ একেবারে নিঃশেষে ঝরে গেছে। এখন অনেক রাত। তারায় তারায় ঠাসাঠাসি আকাশ। যেন হাজার হাজার চুনী পান্না হীরা নীলকান্তমণি জ্বলছে! তারা-ঝমঝম আকাশের নীচে ঐসব অপ্রেম অবহেলা আঘাত কত তুচ্ছ মনে হয় আজ!
পাখিদের ঝাঁক মাথার উপর দিয়ে উড়ে গেল-
ওদের ডানার শব্দ শর হয়ে এসে লাগলো আমার কানে,
বাকী সব শব্দ মুছে গেল তারপরে।
ঘুমের ভিতরে অফুরাণ কান্নার ভাঁজে ভাঁজে
লুকিয়ে পড়তে লাগলো পলাতক ডানার শব্দ।
তারপরে শক্ত জমাট মাটি বহুদিন, বিবর্ণ শীতবেলা
সারাদিনমান কাটে কাজে, সাঁঝবেলা আগুন জ্বেলে বসে
রুটি সেঁকি, বেগুন পোড়াই, ডাল গরম করি।
অকারণে কথা বল উঠি যখনই সাড়া পাই শীতলতার।
ঘুমের ভিতরে অলীক স্বপ্নের ভাঁজে ভাঁজে,
নীল নীল ডানার শব্দ, আমার জ্যোৎস্নাবেলার পাখিরা -
ওরা কবে ফিরবে?
ফিরবে কি আর?
ধূসর বিষাদপ্রহর পার হয়ে
প্রতীক্ষার আকাশপ্রদীপ অবিরাম জ্বলতে থাকে।
*******
মন্তব্য
এমনটা লিখে যান
আপনাকে ধন্যবাদ অতিথি। কিন্তু আপনার নাম কোথায়?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ধূসর বিষাদপ্রহর পার হয়ে
প্রতীক্ষার আকাশপ্রদীপ অবিরাম জ্বলতে থাকে।
ধূসর বিষাদপ্রহর পার হয়ে
প্রতীক্ষার আকাশপ্রদীপ অবিরাম জ্বলতে থাকে।
ধন্যবাদ শামীমা রিমা।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন