দেশবিদেশের উপকথা- কিউপিড ও সাইকি ( গ্রেকো-রোমান )

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শনি, ০৬/০৭/২০১৩ - ৭:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক রাজার ঘরে ছিল তিনটি সুন্দরী কন্যা। তাদের মধ্যে বড়টি মেজোটি সুন্দরী আর গুণশীলা বটে কিন্তু ছোটোটি রূপেগুণে একেবারে অতুলনীয়া। সেই ছোটো রাজকন্যার নাম ছিল সাইকি।

দিন যায়, সাইকি বড় হয়, উত্তরে দক্ষিণে পুবে পশ্চিমে ছড়িয়ে পড়ে তার রূপগুণের খ্যাতি। এমনও জনরবও শোনা যায় যে সাইকি আসলে সামান্যা নারী নয়, দেবী ভেনাস নাকি স্বয়ং মানবীরূপে আবির্ভূতা হয়েছেন লোককল্যাণে। অনেক মন্দিরযাত্রী ভেনাসের মন্দিরে যাওয়ার পথে বা মন্দির থেকে ফেরার পথে সাইকির নামে নৈবেদ্য দিয়ে যায় রাজপ্রাসাদে।

এই খবর স্বর্গে পৌঁছলে দেবী ভেনাস খুব রেগে যান। কী? সামান্য মানবী হয়ে কিনা দেবী হতে চায়? বামন হয়ে চাঁদে হাত দেবার ইচ্ছে? দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজাখান। এদিকে বেচারা সাইকি কিন্তু সম্পূর্ণ নির্দোষ। এইসব রটনায় তার কোনো হাত ছিল না, সে এসব জানতোও না ভালো করে।

রাজারানী এদিকে তিন কন্যার বিবাহ দিতে অস্থির হয়ে পড়লেন। মনে হয় ওঁরা এইসব জনরবে ভয় পেয়ে গেছিলেন। মানুষের সংসারের মধ্যে এইসব দৈব জটিলতা ঢুকে গেলে সামলানো মুশকিল। তাই তাঁরা দ্রুত কন্যাদের পাত্রস্থ করে দায়িত্বমুক্ত হতে চাইলেন।

বড় দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেল বেশ চটপট। পাশের দুই রাজ্যের দুই রাজপুত্র বড় রাজকন্যা আর মেজো রাজকন্যাকে বিবাহ করে পরম পরিতোষ সহকারে প্রচুর যৌতুক সমেত নিজের নিজের ঘরে গেলেন।

কিন্তু রূপেগুণে অতুলনীয়া সাইকির জন্য পাত্র আর পাওয়া যায় না। কেউ সাহস করে না। মানবীরূপিনী দেবী বলে যার খ্যাতি, তাকে বিবাহ করতে পারে এমন সাহস কোন্‌ মানুষের হবে?

সাইকির ভাগ্যে কী আছে জানার জন্য রাজা তার পুরোহিতদের নিয়ে ডেলফির মন্দিরে গেলেন। এই মন্দিরে ভবিষ্যদ্বানী শোনা যেত, সূর্যমন্দিরের পুরোহিতনী পবিত্র মুহূর্তে "ভর"এ পড়ে মানুষের ভবিষ্যৎ বলে দিতেন। সেসব কথা দৈববাণী বলেই সকলের কাছে গৃহীত হতো।

রাজা সেই মন্দিরে গিয়ে সাইকির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে গিয়ে যা শুনলেন তাতে একেবারে স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। সাইকিকে নাকি বিবাহ দেওয়া যাবে না, পাহাড়চূড়ায় তাকে নাকি একলা রেখে আসতে হবে, সেখানে এক ভীষণ মহানাগ এসে নাকি তাকে নিয়ে যাবে। এর অন্যথা হলে মহাবিপদ, সারা রাজ্যে মহামারী নেমে আসবে।

রাজামহাশয় অত্যন্ত ম্রিয়মান হয়ে পুরোহিতদের নিয়ে নেমে এলেন। প্রাসাদে এসে সব জানালেন রাণীকে আর অন্যান্য ঘনিষ্ঠদের। সাইকির কাছে গোপণ রাখা হচ্ছিল, কিন্তু সাইকি জেনে ফেললো। সে কিন্তু একটুও ভেঙে পড়লো না, বরং মুষড়ে পড়া বাকীদের সান্ত্বনা দিয়ে বলতে লাগলো, "আরে তোমরা এত ভেঙে পড়ছো কেন? বরং এতেই ভালো হবে। নইলে দিন দিন আমাকে নিয়ে সমস্যা বেড়েই চলতো। এখন সব সমস্যার সমাধান একবারে হয়ে যাচ্ছে। এ ভালো নয়? একজন সামান্য মানুষ আমি, মরতে একদিন হবেই, রাজ্যের কল্যাণে যদি উৎসর্গ করতে পারি নিজেকে, তার চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে?"

মনে মনে সে নির্ঘাৎ বলছিল, "উফ, দিনটা তাড়াতাড়ি আসুক, টেনশন থেকে বাঁচি। দিনের পর দিন প্রিয় মানুষদের ভয়ে আশঙ্কায় শক্ত হয়ে থাকা মুখচোখ দেখতে ভালো লাগে নাকি? "

কেজানে হয়তো তার মনে মনে কৌতূহলও ছিল কী হতে পারে তা দেখার, রাজপ্রাসাদের নানাবিধ সুরক্ষাপ্রাচীরের আড়াল আর রাজসংসারের নানা বাধানিষেধ হয়তো তার গলায় ফাঁসের মতন চাপ দিতো। রাজকন্যার জীবনে সেরকম অ্যাডভেঞ্চার কোথায়?

নির্দিষ্ট দিনে কাঁদতে কাঁদতে সাইকিকে সাজিয়েগুজিয়ে প্রিয়জনেরা রেখে এলো পাহাড়ের উপরে।

সেখানে চুপ করে একা একা বসে সাইকি ভাবছিল, মহানাগ এসে কী করবে তাকে? নিয়ে যাবে বলেছে দৈববাণী, কোথায় নিয়ে যাবে? নিয়ে গিয়ে কী করবে?

একসময় হাল্কা একটা শিরশিরে হাওয়া সাইকির গায়ে লাগলো, সেই হাওয়া দেখতে দেখতে সাইকিকে উড়িয়ে নিয়ে চললো। অবাক হয়ে সাইকি দেখলো হাওয়া তাকে এনেছে এক আশ্চর্য সুন্দর উপত্যকায়, সেখানে এক অপরূপ প্রাসাদ। সেই প্রাসাদের ঘরে ঘরে ঘুরে দেখতে লাগলো সাইকি, অপরূপ সব রত্নময় আসবাবে ভর্তি সেইসব ঘর, যেখানকার যা যা ঐশ্বর্য্য সব সেখানে উপস্থিত। চারিদিকে বাগান, সেখানে আশ্চর্য সুন্দর সব ফুল ও ফল। কিন্তু কেউ কোথাও নেই। সাইকির যখন যা দরকার, সব হাতের কাছে এসে পড়ে, অদৃশ্য থেকে মাঝে মাঝে বাজনা আসে, কিন্তু কোনো মানুষের দেখা সে পায় না।

সাইকি কিছুক্ষণের মধ্যে বুঝতে পারে এটা সেই মহানাগের যাদুপ্রাসাদ। সে দিনের বেলা দেখা দেবে না, রাতে আসবে।

রাতে খেয়েদেয়ে যখন সাইকি রত্নপালঙ্কে শুয়েছে, তখন সেই মহানাগ এলো। কিন্তু সে এমন আশ্চর্য কোমল স্বরে বন্ধুর মতন কথা বললো যে সাইকির ভয় কেটে গেল। সে তার মুখ না দেখেও তাকে স্বামীরূপে গ্রহণ করলো।

এইভাবে দিন যায়, সাইকির কোনো সুখেরই ঘাটতি নেই, সবই হাতের কাছে মজুত, স্বামীটিও খুবই মনের মতন। কিন্তু একটাই মুশকিল যে তার মুখ দেখা যায় না। সাইকি যতবার দেখতে চায়, লোকটা কেমন করুণ গলায় বলে, "তাহলে আমাকে হারাবে তুমি। আমাকে তুমি দেখে ফেলামাত্র আমার চলে যেতে হবে। "

সাইকি তাকে হারাতে চায় না, তাই আর দেখতে চায় না। কিন্তু তার মন থেকে খটকা দূর হয় না।

(চলবে)


মন্তব্য

সত্যপীর এর ছবি

হ অতি বড় সুন্দরী না পায় বডিওলা বর। বহু প্রাচীন প্রবাদ।

কিউপিড আসা পজ্জন্ত পপ্পন খাইতে থাকি পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

..................................................................
#Banshibir.

তুলিরেখা এর ছবি

হ্যাঁ, কিউপিড এসে গেছেন , দ্যাখা যাচ্ছে না এখনও। তবে দেখা যাবামাত্র গল্প গড়গড় করে নানা রোমাঞ্চে ভরে যাবে। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

'অতি বড় ঘরণী না পায় ঘর,
অতি বড় সুন্দরী না পায় বর।'হা হা হা ......

মন মাঝি এর ছবি

কিউপিড ও সাইকির গল্পের সবচেয়ে আকর্ষনীয়, চমকপ্রদ, একমাত্র দীর্ঘতর ও জনপ্রিয়তম সংস্করনটির উৎস হচ্ছে ২য় শতকের (খৃঃ) রোমান/ল্যাটিন লেখক লুসিয়াস এপুলেইয়াসের অসাধারন উপন্যাস 'দ্য গোল্ডেন এ্যাস'। অনেকে এটাকে পৃথিবীর প্রথম 'উপন্যাস'-ও বলেন। এপুলেইয়াসের তুলনাহীণ গল্প বলার ভঙ্গি্র কারনে এই গল্পের মজাটা আজও একেবারে মাথায় গেঁথে আছে! ভেবেছিলাম 'দ্য গোল্ডেন এ্যাস' থেকে গল্পটা অ্নুবাদের একটা চেষ্টা নিব, কিন্তু তার আগে আপনিই করে ফেললেন। হাসি

****************************************

তুলিরেখা এর ছবি

আমি অবশ্য এপুলেইয়াসের বইটা পড়ি নি, আমার ভাবানুবাদের উৎস এডিথ হ্যামিলটনের বই।
আপনি এপুলেইয়াসের ভার্সনটা করুন না অনুবাদ!

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

গ্রীক মিথলজি আমাকে খুব টানে। সুজন কবিরের লেখা একটা বই পড়েছি মিথলজি নামে, এখানকার বর্ণনা সেটার মত খাপছাড়া লাগছে। বর্ণনা আরো আর্কষনীয় হতে পারতো।

-----------
মিলন

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ, মিলন।
হয়তো পরের পর্বে আপনার মনের মতন আকর্ষণীয় হতেও পারে।
ভালো থাকবেন।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। আমি পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

আততায়ী  এর ছবি

অবশেষে সাইকি স্বামি-সংসার-পুত্র সমেত সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল ------ এমন এন্ডিং চাই না । রুপকথায় ট্র্যাজেডি না আমার ভাল লাগে না দেঁতো হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

সাইকি অনেক মারাত্মক সব অভিযানের মধ্য দিয়ে গেছিল এর পরে। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ধুসর জলছবি এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

তুলিরেখা এর ছবি

চোখ টিপি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

খটকা একটা কঠিন অসুখ!
আবারো 'চলবে'!
লেখা জমসে, চলাডা ট্টুস তড়াতড়ি হইলে ভালা হয় নি? হাসি
- একলহমা

তুলিরেখা এর ছবি

চলবে, চলবে, একটু সময় পাইয়া লই একবার।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাব্বির রহমান  এর ছবি

লেখা -গুড়- হয়েছে পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম (পপ্পন)

তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

রিয়াজ এর ছবি

ভিনাসের ভূমিকা আরেকটু বড় হবে না?মূল ষড়যন্ত্রটা-তো তাঁরই। ঈর্ষাকাতরতা,কুৎসিত লোকের প্রেমে ফেলার জন্য কিউপিডকে প্রেরণ,স্বয়ং প্রেমদেবের প্রেমে পতন-এগুলো একটু থাকলে......ভালো হয়।মিথ-তো ,পড়ার মজাই আলাদা।

তুলিরেখা এর ছবি

এরপরে ভেনাসের বিরাট ভূমিকা, সাইকিরে হাতে পাইয়া শাশুড়ী হিসাবে তিনি যা করলেন----একেবারে টিপিকাল বৌ-শাশুড়ীয় ব্যাপার হলো একটা ঐখানে।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

এ হাসনাত এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ঈয়াসীন এর ছবি

চলুক ভাল লাগছে। চলুক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ।
দেখি কবে নাগাদ পরের পর্ব দিতে পারি।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তিথীডোর এর ছবি

আলসেমি কমিয়ে লেখার সাইজটা বাড়ালে কী হয় শুনি?

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তুলিরেখা এর ছবি

সময় ব্যাটাই তো গন্ডগোল ঘটায়। মন খারাপ

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

স্যাম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ নিয়মিত গল্প শোনানোর জন্য হাসি ভাল হচ্ছে - চলুক সিরিজ

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ, অনেক ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাকিন উল আলম ইভান  এর ছবি

দারুন ।

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

একটা প্রশ্ন - কিউপিডের আরেক নাম এরস(Eros)। সাইকি কে নিয়ে কয়েকটা লেখা পড়েছিলাম, সেখানে কিউপিডের বদলে লেখা ছিল এরস। একজনের কাছে শুনেছিলাম কিউপিড যখন প্রেমের দেবতার রূপে থাকে (মানে ধনুক হাতে ডায়াপার পরা মোটাসোটা বাচ্চা), তখন নাকি তাকে কিউপিড নামে ডাকা হয়, আর যখন সে নিজেই প্রেমিক, তখন তাকে এরস বলা হয় (কমেন্ট: Eros নামটা বেশী Macho)!! এই কনফিউশনটার ব্যাপারে কোন আলোকপাত করতে পারেন কি?

তুলিরেখা এর ছবি

গ্রীক দেবদেবীর নামগুলোর নতুন রোমান নাম হয়েছে, একই দেবদেবী, কিন্তু নাম বদলে গেছে। যেমন, গ্রীক হেরা হয়েছেন রোমান জুনো, গ্রীক আফ্রোদিতি হয়েছেন রোমান ভেনাস, গ্রীক আথেনা হয়েছেন রোমান মিনার্ভা, গ্রীক আর্তেমিস হয়েছেন রোমান ডায়ানা---এইরকম।
এই যে এখানে লিংকে লিস্ট পাবেন।
ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

তুলিরেখা এর ছবি

দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক। পড়ছি।

তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

আয়নামতি এর ছবি

মহানাগ দেখি ট্যাগর জানা লুক " লুকিয়ে ভালোবাসবো তোমায় দেখতে দেবো না"
এইসব ঘোড়ার ডিমের দেব-দেবীদেররা কূটবুদ্ধি আর শাপশাপন্তের গোডাউন যেন!
আরে বাবা, সাইকি ভিনাস হতে চেয়েছে? কেমন তর হিংসুটে দেবী বলো দেখি!
আর পালেরগোদা জিউস রেগে টং সে তো রাসপুটিনেরও নাক কাটে হাজারবার! পাজী নচ্ছার সব!
তবে তোমার গপটা ভারী ভালো হচ্ছে দিদি! যাই পরের পর্বে যাই হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

একেবারে ঘোর রাবীন্দ্রিক! হাসি
রাজা আর অরূপরতন নাটকেও তো এরকম, ঘর অন্ধকার, রাজা আসেন অন্ধকারে, রাজার মুখ আর দেখতে পান না রাণী। দু:খে খালি গান শোনেন, সুরঙ্গমা শোনায়,
"এখনো গেল না আঁধার
এখনো রহিল বাধা
এখনো মরণব্রত
জীবনে হলো না সাধা।

কবে যে দুঃখজ্বালা
হবে রে বিজয়মালা
ঝলিবে অরুণরাগে
নিশীথ রাতের কাঁদা। "

মনে হয় ঐ নাটকগুলোর মূলভাবের অনুপ্রেরণা রবিকবি এই প্রাচীন মিথলজি থেকে কিছুটা পেয়েছিলেন। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।