ঋক ছিল একটা আধা আচ্ছন্নতার ভিতরে। কড়া সিডেটিভ দেওয়া হয়েছিল ওকে। তাই এখনও চোখ মেললে চারিদিক কুয়াশাকুয়াশা। একবার মাত্র চোখ মেলে আবার বুজে ফেলেছিল ঋক। এলিয়ে পড়ে থাকতেই ভালো লাগছে ওর।
কথামালার মুখ ঝুঁকে এসেছিল খুব কাছে। কথা বলছিল," ঋক, আমি এসেছি। আমি কথা। তুমি ভালো হয়ে যাবে ঋক। তুমি খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে।" কথার কথাগুলো ঋকের আচ্ছন্ন চেতনায় গিয়ে পৌঁছচ্ছিলো খুব মৃদু হয়ে। সে ভাবছিল কথা এত ফিসফিস করে কথা বলছে কেন?
চোখ মেলতে চেষ্টা করলো ঋক। আঃ, বড়ো ক্লান্তি। চোখের পাতাদুটো খুলতে যেন বিরাট পরিশ্রম! চোখ মেলে খুব কাছেই কথার মুখ দেখতে পেলো ঋক। এত ঝাপসা কেন?
কথা মৃদু ফোঁপাচ্ছিল। ঋক বলতে চাইলো,"কথা, কেঁদো না।" কিন্তু ওর শুধু ঠোঁট কাঁপলো। কোনো শব্দ বেরোলো না।
কথামালা আস্তে আস্তে হাত রাখলো ঋকের চুলে। খুব কোমল করে এলোমেলো করে দিতে লাগলো চুলগুলো। ঋকের ভালো লাগছিল, খুব ভালো লাগছিল। বুকের ভিতরে যে দগ্ধ ক্ষতটা একটুও শুকায়নি এই পাঁচমাসে, সেটার উপরে যেন স্নিগ্ধ শ্বেতচন্দনের প্রলেপ পড়লো।
ঋক বলতে চাইলো," তুমি খুব ভালো।" কিন্তু এবারেও কোনো শব্দ বেরোলো না। আহ, ক্লান্তি, বড্ড ক্লান্তি।
ওর চোখ আবার জড়িয়ে এলো ঘুমে। এবারে তার সঙ্গে কথামালার হাতের মৃদু কোমলতার যোগে আরামও ছিল ওর চেতনায়। সে ভাবছিল, "আচ্ছা, আমার এই না-বলা কথাগুলো বুঝতে পারছে কি কথা?"
ঘুমের ভিতরে ডুবে যেতে যেতে ওর মনে যে মুখ ভেসে এলো তা কিন্তু কথার নয়। এক নরম হাল্কা কিশোরী চেহারার মেয়ে ওর স্বপ্নের মধ্যে দাঁড়িয়েছিল। হালকা নীল রঙের সালোয়ার-কামিজের উপরে শরতের সাদা মেঘের মতন ওড়না পরা ছিল মেয়েটির। পিঠ ছাপিয়ে পড়া চুলগুলো খুলে রাখা ছিল। পুরন্ত ঠোঁট দুটো ফুলিয়ে অভিমানীর মতন মেয়েটি তাকিয়ে ছিল ঋকের দিকে। বৃষ্টিভেজা কচিপাতার মতো দু'খানা চোখ ছিল ওর।
ঋক প্রাণপণে এগিয়ে যেতে চাইছিল। স্বপ্নের মধ্যে কিন্তু এক অলঙ্ঘ্য দূরত্ব। ঋকের মুখ ক্লিষ্ট হয়ে উঠলো। হাত বাড়িয়ে মেয়েটিকে ছুঁয়ে ফেলার প্রাণপণ চেষ্টা যতই করে, ততই হাওয়ায় সরে যাওয়া শরৎ মেঘের মতো মেয়েটি সরে যায়। ঋক চিৎকার করে বলতে চায়, "নেহা, নেহা, নেহা, চলে যেও না।"
কথামালা ঋকের মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে দেখছিল ওর ঘুমিয়ে পড়া। ও শুনতে পেলো ঋক বলছে, "নেহা।" সে জানে নেহার কথা, ঋক আগেই বলেছে ওকে। কিন্তু এই মুহূর্তে ঐ নামটা শুনে কথামালার চোখে জল ভরে আসে।
ক্লিনিকের ভিজিটিং আওয়ার শেষ হয়ে গেলে কথামালাকে বেরোতেই হয়। ওর যেতে ইচ্ছে করে না, তবু ক্লান্ত শরীর আর ক্লান্ত মনটাকে টানতে টানতে ঘরের দিকে পা বাড়াতে হয়। এই আধা-চেনা শহরের পথে হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে উঠতে হয় নিজের একলা চুপ করে অপেক্ষায় থাকা ঘরটায়।
যাবার পথে চপওলার থেকে চপ কিনে নিয়ে ফিরে যেতে হয়। চা বানিয়ে নিতে হয় ঘরের মুড়ি দিয়ে খাবার জন্য। যতটা না দৈহিক তার চেয়েও বেশী মানসিক ক্লান্তিতে সমস্ত শরীর ভেঙে আসে ওর। মোটেই রান্না করতে ইচ্ছে করে না রাতে। খাওয়ার ইচ্ছেটাই নেই। মাথা ধরেছে। দুটো অ্যাস্পিরিন খেয়ে সটান বিছানায় শুয়ে পড়লো কথামালা।
ঋকের বাড়ী বেশ কয়েকটা ব্লক দূরে। ওর ঘরেও ও একাই থাকে। অগোছালো এক অবিবাহিত যুবকের ঘর যেরকম হয় ঋকের ঘর সেই রকমই এখন। কথা বেশ কবার গিয়ে গুছিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাতে কাজ হয় না। কিছুদিনের মধ্যেই আবার যে কে সেই।
আগে, প্রায় দু'বছর আগে কথার সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল ঋকের। তখন ঋক সদ্য সেই শহরে চাকরি করতে এসেছে। কথা আগে থেকেই চাকরি করতো একটা বিজ্ঞাপন সংস্থায়। সেই বিজ্ঞাপণের খোঁজে ঋকদের কোম্পানিতে গিয়েই ওর সঙ্গে দেখা। সেই থেকে আলাপ, বন্ধুত্ব।
ঋক বলেছিল বাবা-মা কেউ নেই ওর। দু'জনেই স্বর্গে গেছেন। বাবা বহুবছর অগে আর মা এই মাত্র তিন বছর আগে। ভাইবোনও কেউ নেই। খুব ছোটো থেকেই তাই নাকি অন্তর্মুখী স্বভাব ওর। মা ছিলেন দারুণ কড়া মহিলা। তাই মায়ের কাছেও কোনোদিন মনের কথা বলতেই পারেনি ও।
আস্তে আস্তে শান্ত ও অন্তর্মুখী ঋকের সঙ্গে ভাব হলো কথামালার। আস্তে আস্তে কাছের বন্ধু হয়ে উঠলো ওরা। কথা আর ঋক। কিন্তু বন্ধুত্বই শুধু, প্রেম নয়। কথা বুঝতে পারছিলো ঋকের মনের মধ্যে একটা তীব্র গভীর বেদনাময় ক্ষত আছে, সেটা না সারলে ও কিছুতেই কাউকে ভালোবাসতে পারবে না।
বহুদিন বন্ধু থাকার পরে একসময় কথাকে আস্তে আস্তে মনের চাপা ব্যথাগুলো বলতে শুরু করেছিলো ঋক। তখনই সে একদিন বলেছিলো নেহার কথা। বহির্বঙ্গের যে শহরে ঋকরা থাকতো, সেখানে প্রতিবেশী বড়োলোক বাড়ীর মেয়ে ছিলো নেহা। জাতিতেও ওরা অনেক উঁচু আর খুব জাত্যাভিমানী। তবু কেমন করে যেন বন্ধুত্ব হয়ে গেছিলো দু'জনের। ছোটোবেলা পাশাপাশি বেড়ে ওঠার সময় ছিল খেলার সাথী, কৈশোরে পৌঁছে দু'জনে দু'জনের প্রেমে পড়ে। আর কেউ সেকথা জানতো না। জানাজানি হলে যে সব ভেস্তে যাবে, তা দু'জনেই ভালো করে জানতো। ঋকের মা তাহলে ওকে নিয়ে হয়তো শহর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হবেন, কারণ নেহার বাপমায়ের ও অন্যান্য আত্মীয়দের মতন প্রভাবশালী লোকেদের চটিয়ে সেখানে থাকতে ঋকরা পারবে না। আর নেহার কী হবে তা না ভাবাই ভালো। ওদের পরিবার এত গোঁড়া যে এর জন্য নেহা স্রেফ হাপিসও হয়ে যেতে পারে, এতটাই ভয়ানক শক্ত সমাজনীতি ওদের।
তাই দু'জনেই কথাটা লুকিয়েছিলো। লুকিয়ে লুকিয়ে চলছিলো প্রেম, তেমন কিছু না, এই দুটো কথা, হাত ধরা, একটু কাছাকাছি আসাআসি। এর বেশী কিছু না। একদিন দশেরার পরে ঋক নেহাকে চুমো খেয়েছিলো। কাহিনির এই জায়গায় এসে ফর্সা ঋক আপাদমস্তক লাল হয়ে গেছিলো, রীতিমতো তোৎলাচ্ছিলো।
ওর অবস্থা দেখে কথার খুব মায়া হয়েছিলো, তাড়াতাড়ি নিজেই কথা ঘুরিয়ে পরের কথায় নিয়ে গেছিলো। কেন যে বুকের ভেতর চিমটিকাটার মতন ব্যথা অনুভব করছিলো তখন কথামালা, সেটা নিজেও বোঝেনি। তার নিজের পঁচিশ বছরের জীবনে কোনো সত্যিকার প্রেম আসেনি বলে কি?
আবছাভাবে মনে পড়েছিলো নিলয়ের কথা, সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রণায় শিউরে উঠেছিলো কথামালা, জোরকরে মন থেকে নিলয়কে সরিয়ে কৃত্রিম আগ্রহী গলায় প্রশ্ন করেছিলো, "তারপরে? ঋক? কেউ বুঝি জানতে পেরে গেল?"
"না, না, কেউ জানতে পারেনি। দু'জনেই লুকানোয় দারুণ দক্ষ ছিলাম। তাছাড়া আমরা তো চিঠি বা অন্য কিছু দিতাম নিতাম না! কোনো বস্তুপ্রমাণ থাকতো না তো কোথাও।"
আজকে চোখের জলের দাগধরা সন্ধেবেলা বসে বসে এসব ভাবতে ভাবতে সত্য সত্যি ধারা বেয়ে জল নামলো কথামালার চোখে। ঋক নিজের মনের বোঝা হাল্কা করতে সব কথা বলেছিলো কথাকে, কিন্তু কথা কোথায় গিয়ে মনের বোঝা হাল্কা করবে? সে তো কিছুই বলতে পারেনি, কিচ্ছু না।
আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ায় কথামালা, ঐ আয়নার ভিতরে যে মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে, সে আজকের কথামালা, পঁচিশ বছরের ভরা যুবতী। ওকে চেনে কথা, ও প্রত্যেকদিনের আটপৌরে চেনালোক। কিন্তু চোখের জলের ঝাপ্সা দেওয়ালের ওপারে যে দাঁড়িয়ে আছে, সেই পনেরো বছরের অমল কিশোরী, সরলা, অশ্রুবিবশা, লজ্জায় বেপথুমতী---তাকে কি চেনে সে আজও? চেনে না, সে অন্য মেয়ে, তাকে চিনতে চায় না কথামালা। সে নিলয়কে অতখানি বিশ্বাস করেছিল বলেই কি ঐ ভয়ানক পুরস্কার তাকে দিয়েছিল নিলয়? ঐ ভয়ানক অস্বীকার? ঐ বীভৎস বিতাড়ন?
কেন মনের আয়নার ভিতরে ঐ বোকা মেয়েটাকে দ্যাখে কথামালা? শুনতে পায় তার ভীতু ভীতু গলায় করুণ মিনতি? দু'হাতে কান চেপে ধরে সে পাগলের মতন চিৎকার করে, "চলে যা, চলে যা তুই, চলে যা।" তারপরে অসহ্য কান্নায় ভেঙে পড়ে বালিশে মুখ গঁজে দেয়। ঘুম অসুক, ঘুম আসুক, চোখে এসে লাগুক সর্বদুঃখহর ঘুমের স্পর্শ।
ঘুমিয়ে পড়তে চায় কথা, কিন্তু কই ঘুম আসে? বদলে কেবল কান্না, কান্না আর কান্না। এত জল আজও কোথা থেকে আসে? সে তো বহু বছর আগের কথা, দশ বছর কি কম সময়? দশবার পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে এলো সূর্যকে, এই বিরাট কক্ষপথ জুড়ে। কত জল বয়ে গেলো পৃথিবীর সমস্ত নদীতে নদীতে, কতবার কত বর্ষা নামলো, কত নতুন বসন্ত এলো ফিরে। তবু এতকাল পরে এত জল কেন কথার চোখে?
ঐ ভয়ংকর ভুলের পরেও তো বেঁচে ছিলো সেই মেয়ে, ফিরেও তো এসেছিলো সংসারে, পড়াশোনায়, কাজেকর্মে! কিছুই জানাজানি হয় নি, পড়াশোনায় এক বছরের ছেদ পড়ে গেছিলো, সেও অল্পেই পুরিয়ে নিয়েছিলো পড়াশোনায় ভালো মেয়েটি। কিন্তু শুধু বুকের মধ্যেটায় শক্ত একটা পাথরখন্ড জমাট বেঁধে রয়েছিলো, সেই জমাট পাথরখন্ড কি আজ বরফখন্ডের মতন গলে পড়ছে? নইলে কেন কেন কেন আজ এত কাঁদছে কথামালা? এতকাল পরে?
(চলবে)
মন্তব্য
গল্ফ তো ভালাই আউগ্যাইসে তবে কি,
(১) ত্রিস্রোতা-র ২ পর্ব পার হয়্যা সেইটা 'চলবে'-তে আটকে আসে!
(২) ওই দিকে সাইকির গল্প ৩ পর্ব পার হয়্যা ৪র্থ পর্বের মুখে 'চলবে'-কয়্যা খাড়য়্যা,
(৩) এখন কথা-র কাহিনীর-ও 'চলবে' শুরু হইল!
কি আর কমু, আমার এই ছুড মাথার পক্ষে একটু চাপ-এর হয়্যা গ্যাল গা!
- একলহমা
একলহমা,
এই লেখাগুলো পড়ছেন বলে ধন্যবাদ।
(১) আসবে, ত্রিস্রোতা (৩) আসবে।
(২) সাইকির গল্প সমাপ্ত হয়ে যাবে চতুর্থ পর্বে।
(৩) কথা ছিল তারে বলিতে---এরও পরের অংশ আসবে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কিউপিডের টা কই ?? তুলিরেখা আপুর পোষ্ট দেখে তাড়াহুড়ো করে ঢুকলাম ।
তবে এ গল্পটাও ভালো হয়েছে ।
কিউপিডের পরের পর্বটা তাড়াতাড়ি চাই কিন্তু ।
সাইকি আর কিউপিডের পুরা গল্প দিয়া দিসি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
দারুণ লাগলো...
চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল,
ধন্যবাদ, অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কথামালার কান্না থামার অপেক্ষায় রইলাম।
কথামালার কান্না থামলো তো ফোন পেয়েই।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
facebook
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
শক্তিশালী বাক্য। পড়তে আরাম লাগে
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বেশ।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অসাধারণ বর্ননা। সাইকির গল্পের সাথে সাথে এখন এটার জন্যও অপেক্ষায় থাকব।
সাইকির গল্পের শেষপর্ব তুলে দিয়েছি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনার লেখা দেখে তাড়াতাড়ি পড়তে এসে দেখি ওমা - আরেকটা সিরিজ!!
যদিও লেখা "তুলিরেখীয়"ই হয়েছে, তারপরও এত এত সিরিজ দিয়ে ধৈর্যের পরীক্ষা নেয়ায় -
লেখায় -
তাড়াতাড়ি পরের পর্ব - সবগুলোরই।
না না, ধৈর্যের পরীক্ষা কেন, এই তো সাইকি-কিউপিডের গল্পের তো শেষপর্ব দিয়ে দিলাম।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
গোটা গল্প দিয়ে দিলে কী হতো বাপু! তোমার চলবের পাল্লা দেখি বেশ ভারী।
বেশি ভুগিও না, এটা ত্তাতাড়ি শেষ করে দাও কেমন?
আরে আয়নামতি গোটা গল্প থাকলে তো দিয়েই দিতাম। গল্প তো পুরোটা লেখা হয় নি।
তবে তাড়াতাড়ি শেষ করার চেষ্টা করবো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন