স্ক্যান্ডিনেভিয়ার উপকথা অনুযায়ী আদিতে না ছিল পৃথিবী, না ছিল আকাশ, শুধু এক বিরাট শূন্যতা হা হা করতো, তার নাম ছিল গিন্নুঙ্গাগ্যাপ। তার দক্ষিণে ছিল আগুনের জগৎ মাস্পেল আর উত্তরে ছিল ঠান্ডা তুষারের জগৎ নিফলহেইম। মাস্পেল থেকে উষ্ণ বাতাস গিন্নুঙ্গাগ্যাপ পেরিয়ে এসে পড়তে থাকলো নিফলহেইমের তুষারে, জমাট তুষার গলতে থাকলো, খসে খসে পড়তে থাকলো গিন্নুঙ্গাগহ্বরে।
একসময় দেখা গেলা বিশাল তুষারদৈত্য ঈমীর ঘুমিয়ে আছে তার নিচে। ঈমীরের বাহুমূল থেকে জন্মালো এক মানুষ আর আরেক মানুষী। ঈমীরের উরু থেকে জন্মালো এক ভয়ানক দৈত্য, কালক্রমে সেই দৈত্যের সন্তানেরাই তুষারের দানব হয়ে দাঁড়ায়।
তারপরে বরফ আরো গললে দেখা গেল এক বিরাট গাভীকে, তার নাম আধুম্লা। বিপুলা সেই গাভীর বাঁট থেকে দুগ্ধধারা বইছে, তার থেকে সৃষ্টি হলো চার চারটি নদী। আধুম্লা লবণের সন্ধানে বরফ চাটতে চাটতে বার করে আনলো একটা মানুষের মাথা, তারপরে পুরো মানুষটাকে। সে হলো বুরি। বুরির ছেলে বোর, তার সঙ্গে বিবাহ হলো তুষারদৈত্যের কন্যা বেস্তালার। এই বোর আর বেস্তালা সুখে সংসার করতে লাগলো-কালক্রমে ওদের তিনটি পুত্র হলো, ওডিন, ভিলি আর ভে।
দিন যায়, ওডিন, ভিলি আর ভে বড় হয়। তারপরে ওডিন একদিন তার ভাই দুইজনকে ডেকে বললেন, "ওরে ভিলি, ওরে ভে, শোন আমার কথা। আমার মাথায় একটা দারুণ পরিকল্পনা এসেছে।"
ভিলি আর ভে উৎসাহে কাছিয়ে আসে, " কী পরিকল্পনা রে?"
তখন ওডিন বললেন," আমরা নতুন জগৎ সৃষ্টি করবো।"
ভিলির আর ভে'র তো বিস্ময়ে চোখ কপালে। "নতুন জগৎ? কেমন করে সৃষ্টি করবি? "
তখন ওডিন বললেন, "কাছে আয়, তোদের কানে কানে বলি।"
ওডিনের পরিকল্পনা মন দিয়ে শুনে ভিলি আর ভে লাফিয়ে ওঠেন, "চল আজই যাই।"
ওডিন রাজী হোলো, "চল।"
সেই মতন সব হলো।
ওডিন আর তার দুই ভাই ---এই তিনজনে মিলে তুষারদানব ঈমীরকে হত্যা করলো । ঈমীরের রক্তে ডুবে মরে গেল প্রায় সব তুষারদৈত্য, শুধু দৈত্য বার্গেলমীর আর স্ত্রী নৌকা করে পালালো। পরবর্তীকালে এদের থেকেই আবার দৈত্যদল গড়ে ওঠে।
ঈমীরের মৃত শরীরের মাংস-চর্বি-পেশী থেকে ওডিন আর তার ভাইরা মিলে বানালেন পৃথিবীর মাটি, হাড় থেকে বানালেন পাথর আর পাহাড়, রক্ত থেকে বানালেন যত নদী, হ্রদ আর সমুদ্র-মহাসমুদ্র।
ঈমীরের মাথার খুলি দিয়ে তৈরী করলেন আকাশ, গোল বাটির মতন তা ঘিরে ফেললো পৃথিবী, চারদিকের চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিন্দুতে পাহারায় বসানো হলো চার বামনকে। সেই বামনদের নাম উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব আর পশ্চিম।
তারপর অগ্নিজগৎ মাস্পেল থেকে ফুলকি সংগ্রহ করে করে করে আকাশে উঠিয়ে উঠিয়ে দিলেন ওডিন আর তার ভাইয়েরা, ওভাবে তাঁরা তৈরী করলেন সূর্য, চন্দ্র, গ্রহ, তারা। এরপর ঈমীরের মগজ থেকে মেঘ তৈরী করে আকাশে ভাসালেন।
এইভাবে পৃথিবী-আকাশ-সূর্য-তারা সব বানানো হয়ে গেলে জুটেনহেইম বলে একটা জায়্গা দৈত্যদের জন্য নির্দিষ্ট করে দিলেন ওডিন, ওখানে থাকবে তারা, বাইরে বেরিয়ে ঝামেলা করবে না। নিজেদের জন্য ওডিন বানালেন আসগার্ড, মানে স্বর্গ, তার চারিদিকে বানালেন প্রতিরক্ষা প্রাচীর। ঈমীরের ভুরু থেকে বানালেন ঐ প্রাচীর।
এইভাবে সব হয়ে টয়ে গেলে একদিন তিনভাই সাগরতীরে ঘুরে ঘুরে বাতাস খাচ্ছেন, হঠাৎ দ্যাখেন বিরাট দুটো গাছের গুঁড়ি পড়ে আছে। তাঁরা ঠিক করলেন ঐ দুটো থেকে তাঁরা এক পুরুষ আর এক নারী বানাবেন।
যা ভাবা সেই কাজ, তৈরী হলো পুরুষ ও নারী।
ওডিন বললেন, "আমি ওদের প্রাণসঞ্চার করবো আর শ্বাসপ্রশ্বাস দেবো।" তো তাই হলো। ওডিন তাদের প্রাণ দিলেন আর শ্বাসপ্রশ্বাস দিলেন। তারপরে ভিলি এগিয়ে এলেন, তিনি দিলেন মন আর অনুভূতি। এরপরে ভে দিলেন দৃষ্টিশক্তি আর শ্রবণশক্তি।
প্রাণবান দৃষ্টিবান জ্যান্ত সতেজ শক্তিশালী পুরুষটিকে তাঁরা জাগিয়ে তুললেন প্রথমে, বললেন, "ওঠো জাগো। তোমার নাম আমরা দিলাম অস্ক।"
তারপরে প্রাণময়ী অনুভবময়ী করুণাময়ী নারীটিকে জাগিয়ে তুললেন, বললেন, "ওঠো, জাগো, আমরা তোমার নাম দিলাম এম্বলা।"
মিডগার্ড বলে এক জায়্গা নির্দিষ্ট করে, সেইখানে তাদের বসতি গড়ে দিলেন তাঁরা। এই অস্ক আর এম্বলার সন্তানরাই মানুষজাতি।
মিডগার্ডে মানুষের বসতি, উপরে আসগার্ডে থাকেন দেবতারা, নিচে নিফলহেইম হলো ঠান্ডা, মৃত্যুর জগৎ। ওডিন আসগার্ডের সর্বোচ্চ আসনে বসে সর্বজগৎ শাসন করেন। আসগার্ড আর মিডগার্ড যুক্ত আছে বাইফ্রস্ট নামের এক রঙধনু-সেতুর দ্বারা।
এইসব জগতের কেন্দ্রে আছে এক বিরাট মহান বৃক্ষ, তার নাম ইয়গদ্রাসিল, জগৎতরু। এরই পল্লবিত শাখা প্রশাখা সর্বজগতে ছায়া দেয়, এরই প্রসারিত শিকড়জাল সর্বজগতে প্রাণরস যোগায়।
ওডিন মাঝে মাঝেই আসগার্ড থেকে নেমে এসে মানুষের বেশে মিডগার্ডে ঘুরে বেড়াতেন। তিনি নিতেন বৃদ্ধ একজন মানুষের বেশ, লাঠিতে ভর দিয়ে ঝুঁকে পড়ে হাঁটতেন, পরনে থাকতো জীর্ণ পুরাতন বেশ। ঐ অবস্থায় কেউই তাঁকে দেবাদিদেব বলে চিনতে পারতো না। ঐভাবে ওডিন মানবজাতিকে পরীক্ষা করতেন। যারা দয়ালু তাদের তিনি দিতেন ধনসম্পদ, যারা ভদ্রসভ্য তাদের দিতেন প্রজ্ঞা আর যারা মন্দ ব্যবহার করতো, তাদের দিতেন শাস্তি।
প্রতি সকালে দুই দাঁড়কাক, হুগিন(চিন্তা) আর মুন্নিন(স্মৃতি) তাঁর কাছে খবর নিয়ে আসতো দুনিয়ার সর্বপ্রান্ত থেকে। ওডিন নিজে নানা জীবজন্তুর রূপ ধারণ করতে পারতেন, কখনো জন্তু কখনো পাখির রূপ ধরে তিনি সর্বলোক পর্যবেক্ষণ করে বেড়াতেন।
ওডিন মহা প্রজ্ঞাবান দেবতা, মহা শক্তিমানও বটে। কী করে তিনি সেই মহা প্রজ্ঞা ও মহাশক্তি পেলেন, সেই বিষয়ে বহু কাহিনি আছে। তবে প্রতিটি অর্জনের জন্যই তাঁকে যথোপযুক্ত মূল্য দিতে হয়েছিল।
বিশাল ইয়গদ্রাসিলের একটি শিকড় চলে গেছে নিফলহেইমে, সেখানে থাকে মহানাগ নিধোগ, ইয়গদ্রাসিলের শিকড়ে দাঁত ফুটিয়ে সে প্রাণরস সংগ্রহ করে।
জগতদ্রুমের দ্বিতীয় শিকড় চলে গেছে আসগার্ডে, সেখানে তিনজন দেবী সেই শিকড়ে নিত্য অভিসিঞ্চন করেন সঞ্জীবনী সুধা।
ইয়গদ্রাসিলের তৃতীয় শিকড় চলে গেছে জুটেনহেইমে মানে দৈত্যপুরীতে। এই শিকড়টির পাশে আছে এক আশ্চর্য ঝর্ণা, জ্ঞানের ঝর্ণা। সেই জ্ঞানঝর্ণার পাশেই রয়েছে তার মালিক, মিমির দৈত্যের ছিন্নশির। সেই জ্ঞানী দৈত্যের মাথা দেহবিচ্ছিন্ন হয়েও দিব্যি বেঁচে আছে। সে কথাও বলে। বহু রহস্যের সমাধান তার জানা।
একদিন ওডিন সেখানে গিয়ে হাজির হলেন। মিমিরকে বললেন, "মিমির, তোমার জ্ঞানঝর্ণার থেকে আমাকে এক চুমুক পান করতে দেবে?"
মিমিরের মাথা গম্ভীরভাবে হাসলো, তারপরে বললো, "কী দাম দেবে?"
ওডিন উৎসুক গলায় বললেন, "কী দাম চাও?"
মিমিরের মাথা বললো, "তোমার একটা চোখ চাই দাম হিসাবে। পারবে দিতে?"
ওডিন একমুহূর্ত ভাবলেন, তারপরেই মনস্থির করে বললেন, "হ্যাঁ, আমি রাজী। জ্ঞানের জন্য এই দাম দেওয়াই যায়।"
নিজের ধারালো অস্ত্রে একটি চোখ উপড়ে আনলেন, রাখলেন মিমিরের মাথার পাশে। মিমির বললেন, "পান করো ওডিন, আমি সন্তুষ্ট হয়েছি দাম পেয়ে।"
ওডিন পান করলেন জ্ঞানঝর্ণা থেকে, মহা প্রজ্ঞাবান হয়ে ফিরে গেলেন আসগার্ডে। মিমিরের কাছে রয়ে গেল তার একটি চোখ, প্রজ্ঞার জন্য দাম।
কিন্তু সর্বোচ্চ জ্ঞান ওডিন লাভ করেছিলেন আরো কঠোর দাম দিয়ে। এই জ্ঞান ছিল রহস্যলিপির জ্ঞান, অদ্ভুত সব চিহ্ন আর মন্ত্র যা দিয়ে যুগ যুগ সংরক্ষণ করে রাখা যায় ঘটনা, কথা, ভাবনা, ধারণা, হিসাবনিকাশ-সব।
ইয়গদ্রাসিলের কান্ডে নিজের বর্শা দিয়ে নিজেকে বিদ্ধ করলেন ওডিন। ঐভাবে বর্শাবিদ্ধ হয়ে তিনি ঝুলে রইলেন নয়দিন নয়রাত্রি, গভীর সাধনায় মগ্ন। নিজেকে তিনি বলি দিলেন নিজেরই কাছে।
দশদিনের দিন তিনি ঐ কঠোর সাধনায় সিদ্ধিলাভ করলেন, মৃত্যুকে জয় করে লিপিরহস্য অধিগত করে নেমে এলেন ইয়গদ্রাসিল থেকে। তিনি চিরঞ্জীব প্রজ্ঞাবান দেবাদিদেব, তাঁরই করুণায় তাঁরই সৃষ্ট মনুষ্যজাতি নানা কল্যাণকর বিদ্যা পেয়েছিল যা তাদের জীবনকে সুন্দরতর করে তুলেছে।
*******
মন্তব্য
বল সব, জয় ওডিনের জয়!
ভাল লাগসে। চলুক।
- একলহমা
জয় ওডিনের জয় কয়ে চিক্কুর দিলে যদি ওডিন চোখ পাকান? এত রাতে কেনে ডাক দিলি কয়ে?
তবে আপ্নি সামলাবেন তো! সচলে একজন ওডিন আছেন কিন্তুক
হ্যাঁ, সচলের ওডিন এসে গেলে তো তখন খবরই আছে।
হি হি হি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ছোট্টবেলায় এসব রূপকথা শুনে কেমন বোকার মত সব সত্যি ভাবতাম, বলো?
এখন বুড়িধাড়ি হয়ে জেনে গেছি সত্যি মিথ্যের দৌড়।
কিন্তু দেখো ছেলেবেলার মায়াটা বোধ হয় কেউ ছাড়তেও পারিনা।
অবশ্য তোমার অসাধারণ করে বলবার/লেখবার ক্ষমতা আমাদের ঘাড় ধরেই যেন পোস্টে ঢুকিয়ে দেয়।
তাই ঠিক বুঝতে পারছিনা , একলহমার সাথে গলা মিলিয়ে কেবলই ওডিনের জয় বলবো নাকি সাথে তুলিদি'কেও জুড়ে দিবো
আসলে উপকথা তো রূপকের মাধ্যমে সত্যিটাকেই জানানো, একটু অন্যরকম করে আরকি!
ছোটোবেলা মানুষের মন থাকে মুক্ত, চারপাশের সমাজের নিয়ম দিয়ে এত মালিশ হয়ে শক্ত হয়ে যায় না, তাই উপভোগ করাটা তখন সহজ হয়।
তবে ছোটোবেলার মনটাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলে সারাজীবনই উপভোগ করা যায়।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ধন্যবাদ একলহমা।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনার লেখা উপকথা দারুন উপভোগ্য
ইসরাত
অনেক ধন্যবাদ ইসরাত।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
চমৎকার লাগলো। আপনি কি এটি সিরিজ আকারে লিখছেন? তাহলে অপেক্ষায় আছি- পরের পর্বে কি আসে সেটা দেখার জন্য।
-এস এম নিয়াজ মাওলা
ধন্যবাদ আপনাকে।
না না এটা সিরিজ না, দেখবেন আমার এইসব লেখাগুলোতে একটা ট্যাগ থাকে, "উপকথা", সেখানে এই পর্যন্ত বহু দেশের উপকথা দিয়েছি, চীনা, জাপানী, রুশ, উপমহাদেশীয়, মালয়েশিয়ান, গ্রীক-রোমান, নর্স তো আছেই, আফ্রিকার নানা দেশের উপকথাও খুঁজে খুঁজে দিয়েছি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হুম। পৃথিবীর তাবত কিছুর জন্ম তাহলে ওই খুনে রক্ত থেকেই! এ তো ভয়ানক কথা গো!
আচ্ছা, এগুলো আর কটা হলে বই ছাপতে দেবে বল তো? আমি এগুলো একসাথে করে মিতিনকে পড়তে দিতে চাই।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
একেবারে! মহামৃত্যুর সন্তান আমরা। আর কে আমাদের কী করবে? পোড়া জায়গা আর পুড়বে কী করে?
এগুলো দেখি বেছেবুছে একসাথে করে বই করা যায় কিনা ! তাহলে মিতিন ও তার বন্ধুদের কাছে সেটা হবে আমার উপহার।
ভালো থেকো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নামের উচ্চারণ সব দেখিয়ে নিয়েছেন তো?
facebook
আরে নামের উচ্চারণ যতদূর পারা যায় মধুর আর কোমল করার চেষ্টা করেছি মূলের কাছাকাছি থেকে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভালো লেগেছে!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
থর আর লোকী তো ওডিনেরই সন্তান ছিল, তাই না?
আপনার লেখা পড়ে এখন আমার "দেশ বিদেশের রূপকথা" আর দিতে ইচ্ছে হচ্ছে না! একটা পর্ব দিয়েছিলাম। আপনার এটা পড়ে আর লিখতে ইচ্ছে করছে না - খালি পড়তে ইচ্ছে করছে।
থর ওডিনের সন্তান, কিন্তু লোকী তো সন্তান না। লোকী তো কীরকম যেন আত্মীয়।
কিন্তু আপনিও লিখুন না "দেশবিদেশের রূপকথা", ভালো হবে, এইধরনের লেখার তাহলে স্ট্রেংথ বাড়বে সচলে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন