• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

দেশবিদেশের উপকথা- সাতমাথা সাপ (দক্ষিণ আফ্রিকা)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ০৭/০৮/২০১৩ - ৮:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দক্ষিণ আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ক্ষোসা(Xhosa) জাতির আদি নিবাস ছিল, এই উপকথা তাদের।
এখানে প্রথম অংশ

তারপরে দিন যায়, রাত কাটে। মঞ্জুজা খুব সতর্ক থাকে গোলাঘরের ব্যাপারে, সব সময় তালা বন্ধ করে চাবি নিজের সঙ্গে রাখে। সকালে কাকপক্ষীর ঘুম ভাঙার আগে সে গোলাঘর খুলে সাতমাথা সাপকে খাইয়ে দাইয়ে তারপরে আবার দরজা বন্ধ করে রাখে।

দুই ছেলে আর এক মেয়ে মাঝে মাঝেই মঞ্জুজাকে জিজ্ঞেস করে, "বাবা কবে আসবে মা?"

মঞ্জুজা বলে, "আসবে, আসবে, সময় হলেই তোদের বাবা ফিরে আসবে।"

কিন্তু দিনের পর দিন যায়, তাদের বাবা তো আর আসে না!

এদিকে শিকারী দলের সবাই ফিরে এসেছে, তারা বলছে মিথিয়ান তো তাদের সঙ্গেই ফিরলো সেদিন। কিন্তু কী হলো তারপর?

গ্রামের লোকে নানারকম জল্পনা কল্পনা করে, কেউ বলে মিথিয়ান আর বেঁচে নেই, কেউ বলে হয়তো মিথিয়ান অন্যত্র চলে গেছে বৌছেলেমেয়ে পরিত্যাগ করে'। এইসব জল্পনা-কল্পনার কিছু কিছু মঞ্জুজার ছেলেমেয়েরাও শুনতে পায় খেলার মাঠে, তারা ফিরে তাদের মাকে প্রশ্নে প্রশ্নে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। কিন্তু মঞ্জুজা কিচ্ছু বলে না, সে নীরবে ওদের খাইয়ে দাইয়ে শুইয়ে দেয়।

এদিকে বিবাহ উৎসবে নাচের যে বরাতগুলো ছিল মঞ্জুজার, সেগুলোর দিন একে একে আসতে থাকে, মঞ্জুজা ওগুলোতে যেতেও থাকে, খুব পারদর্শিতার সঙ্গেই নৃত্য প্রদর্শন করে। সেইসব সময়ও সে গোলাঘরের চাবিটি সঙ্গে নিতে ভোলে না।

এইভাবে একের পর এক সফল বিবাহ-নৃত্যানুষ্ঠান হতে থাকে আর মঞ্জুজা একটু একটু করে যেন ভারমুক্ত হতে থাকে। ছয়টি বিবাহনৃত্যের অনুষ্ঠান সফলভাবে শেষ হয়েছে যখন, তখন মঞ্জুজার মুখে হাসি ধরে না, আপনমনে গান গেয়ে ওঠে। দেখেশুনে ওর ছেলেমেয়েরা তো অবাক! ভাবে, মায়ের কী হলো? এতদিন বাড়ীতে গোমড়া মুখে ভুরু কুচকে থাকতো, যেন কী দুশ্চিন্তায় আছে, আর এখন হঠাৎ এমন খুশি যে!

"কী হয়েছে মা তোমার?" মেয়ে জিজ্ঞেস করে মাকে।

মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে মঞ্জুজা বলে, "মামণি, আমার মনে আনন্দ হয়েছে, তোদের বাবা ফিরবে আর মাত্র দুইদিন পরেই।"

দুইদিন পরেই ছিল মঞ্জুজার সপ্তম নৃত্যানুষ্ঠানের দিন।

এদিকে ছেলেমেয়েরা কিন্তু লক্ষ করেছিল যে মা তাদের গোলাঘরে সর্বদা তালা দিয়ে রাখে। তারা মাকে অনেক প্রশ্ন করেছিল, কিন্তু মা কিচ্ছু বলে নি। এমনকি ওরা তিনজনে মিলে চাবিটা চুরির পরিকল্পনাও করেছিল, কিন্তু মা এমন সতর্ক ছিল যে চুরি করতে পারে নি।

কী আছে গোলাঘরে? কৌতূহলে ফেটে পড়ছিল ওরা।

তারপরে তো এসে গেল সেইদিন, মঞ্জুজার সপ্তম নৃত্যানুষ্ঠান সেদিন। অন্যদিনের মতন কাকভোরে উঠে সে তো গোলাঘর খুলে সাতমাথা সাপকে খাবার দিয়ে সব বন্ধসন্ধ করে ছেলেমেয়েকে ঘুম থেকে ওঠালো। তারপরে ওদের খাইয়ে দাইয়ে খেলতে পাঠিয়ে নিজে তৈরী হলো নাচে যাবার জন্য। যাবার সময় ভালো করে দেখে নিল চাবিটা সঙ্গে আছে কিনা! আছে, নিশ্চিন্ত।

মঞ্জুজা রওনা হলো পাশের গাঁয়ের দিকে, সেখানেই বিবাহ অনুষ্ঠানে তার নাচের কথা। যেতে যেতে তার মনটাও নাচতে থাকে, আজই আজই আজই সেদিন, আজই সফল অনুষ্ঠান সেরে সন্ধ্যাবেলা সে যখন ফিরবে, তখন মিথিয়ান শাপমুক্ত হয়ে মানুষ হবে আবার। আহ, আহ, কী আনন্দ। সে যদি আরেকবার গোলাঘরের দরজাটা পরীক্ষা করতো, তাহলেই বুঝতে পারতো কী ভুল সে করেছে।

এদিকে ছেলেমেয়েরা মাঠে খেলতে খেলতে একসময় ছায়ায় বসে বিশ্রাম করতে। এইসময়েই বড় ভাই তার ছোটো ভাই আর বোনকে বলে, "মা তো চলে গেছে পাশের গাঁয়ে, এখন আমরা গোলাঘরটা একবার দেখি, কী বলিস তোরা? তেমন তেমন হলে তালা ভেঙেই নাহয় দেখবো কী এমন করে লুকায় ওখানে মা।"

ছোটোভাই আর বোন উৎসাহে লাফিয়ে ওঠে, "চল চল, এখনই চল।"

তারা দৌড়াতে দৌড়াতে গোলাঘরের দরজার কাছে আসে, ভেবেছিল দেখবে তালাবন্ধ, কিন্তু খোলা তালা কড়ায় ঝুলছিল, বেশী সতর্ক হতে গিয়ে তালাবন্ধই করতে ভুলে গেছিল মঞ্জুজা।

ঠেলা দিতেই দরজা খুললো, ভেতরে অন্ধকার, খোলা দরজা দিয়ে আলো ঢুকলো কিছুটা, সেই আলোতে চোখ সয়ে এলে তিন ভাইবোন দেখলো একটা মস্ত তিন ঠেঙে গামলা রয়েছে ঘরের মধ্যে।

তিন ভাইবোনে বলাবলি করলো, "মা একটা গামলাকে লুকিয়ে রেখেছে এখানে? কী আছে ওটার মধ্যে? "

বড়ভাই সাহসে ভর করে এগিয়ে যায়। দ্যাখে গামলার ঢাকনার কয়েক জায়্গা ভাঙা। সে ঢাকনার একটা সুবিধামতন জায়্গা ধরে টান দেয়, ঢাকনা খুলে যায়। আর তারপরেই-

হিস হিস হিস হিস হিস হিস হিস করতে করতে মাথা তুলে দাঁড়ায় সাতমাথা সাপ। উঃ, সে কী ভয়ংকর দৃশ্য!

তিনটি বাচ্চা প্রাণপণে চিৎকার করতে করতে ছুটে চলে যায় মাঠে, সেখানে তাদের খেলার সাথীদের বলে তারা কী দেখেছে।

সেই ভয়ানক সাতমাথা সাপ হিলহিল করে গামলা থেকে বেরিয়ে পড়ে। সাত ফণা তুলে এদিক দ্যাখে, ওদিক দ্যাখে। তারপরে তরতরিয়ে চলতে থাকে মাঠের দিকে। মাঠের পরে নদী, সাপ গিয়ে নদীর ধারে স্থির হয়। গাছের ছায়ায় ফণাগুলো নামিয়ে বসে বিশ্রাম করতে।

মাঠে খেলছিল যেসব ছেলেমেয়েরা, তারা দূর থেকে দেখতে থাকে এই অভূতপূর্ব জানোয়ার, সাতমাথা সাপ। বিস্ময়ে আর ভয় তারা নানারকম মন্তব্য করতে থাকে। তাদের কথাবার্তার শব্দ কানে যেতে সাপ নড়ে ওঠে। সাত ফণা তোলে। প্রথম মুখ বলে, "হিস হিস হিস, এই ছেলেপুলেরা, তোরা কী দেখিস?"

ছেলেপুলেদের মধ্যে বিস্ময়ের ধ্বনি, সাপ কথা বলে!

সাপের দ্বিতীয় মুখ বলে, " হিস হিস, কী রে এখানে তোরা কী করিস?"

তৃতীয় মুখ বলে, "ওরা আমাদের দেখছে মনে হয়।"

চতুর্থ মুখ বলে, "কাছে আসে না কেন তবে?"

পঞ্চম মুখ বলে, "মনে হয় ভয় পায়, যদি ছোবল দিই আমরা? তাই দূর থেকে দেখছে।"

ষষ্ঠ মুখ বলে,"হিস হিস হিস, কেন, আমরা কি একটু এগিয়ে গিয়ে দিতে পারি না ছোবল?"

সপ্তম মুখ বলে, "হ্যাঁ, তাই তো। আয়, এগোই।"

এই অবধি শুনেই চিল-চিৎকার করতে করতে দৌড় দেয় ছেলেমেয়েরা সবাই। সোজা গ্রামে গিয়ে বড়দের সব কথা বলে।

ওদের বাপ খুড়া দাদারা তো শুনেই লাঠিসোঁটা নিয়ে রওনা হয় মাঠের শেষে নদীর দিকে। কিন্তু দূর থেকেই সাত ফণা বিস্তার করা মারাত্মক সাপ দেখে তারাও ভয় পেয়ে যায়। এরকম জিনিস তো আগে দেখা যায় নি। সেই সাপ হিস হিস করে আবার বলছে, "এই আসছে গাঁয়ের পুরুষেরা। এগুলোকে ছুবলে দিতে পারা যাবে না? কয়েকটাকে গিলে খেলেই বা কেমন হয়? "

গাঁয়ের পুরুষেরা এবারে বেশ ত্রস্ত হয়। নিজেদের মধ্যে তারা পরামর্শ করে, প্রথমেই পিটিয়ে না মারার চেষ্টা করে বরং গাঁয়ের বুড়া পুরোহিতের কাছে গিয়ে উপদেশ চাওয়া যাক সব কথা জানিয়ে। এইসব অলৌকিক ব্যাপারে তাঁর উপদেশ নেওয়া দরকার। বলা যায় না হয়তো পুর্বপুরুষের কেউ সাতমাথা সাপরূপে এসে কিছু বলতে চাইছেন তাদের। তারা সবাই বুড়া পুরোহিতের গুহার দিকেই রওনা হয়।

এদিকে তখন বিকাল গড়িয়ে আসছে, বাচ্চারা ছুটে গিয়ে তাদের মায়েদের জানায় কী হয়েছে।

মায়েরা এসব শুনে ক্ষেপে যায়। কী? এইসব পুরুষেরা কিনা ভয় পেয়ে শেষে পুরুতের ঘরে গেল ছেলেমেয়েদের বিপদের মধ্যে ফেলে রেখে? এদিকে সন্ধ্যে হয়ে গেলে বিপদ বাড়বে বই কমবে না।

মহিলারা সবাই কড়াইতে কড়াইতে ঝোল চাপিয়ে গরম করে, তারপরে কলসীতে, ঘড়ায় ফুটন্ত গরম ঝোল নিয়ে রওনা হয় দল বেঁধে। সাপ-সমস্যা সমাধান না করে তারা ফিরবে না।

সাতমাথা সাপ তখন চোখ বুজে ঘুমাচ্ছে নদীর ধারে গাছের ছায়ায়, মহিলারা দৌড়ে দৌড়ে গিয়ে গরম ঝোল ঢেলে দিল তার গায়ে।

আহ, আহ, সাপ যন্ত্রনায় ছটফট করতে লাগলো, তার চামড়া পুড়ে বড়ো বড়ো ফোসকা পড়ছিল।

মহিলারা আনন্দে বিজয়সঙ্গীত গাইছে, এমন সময় দূর থেকে সেই গান শুনতে পেল মঞ্জুজা, সে তখন নৃত্যানুষ্ঠান সেরে ফিরছিল। তার বুকের মধ্যে ধক করে উঠল, বিজয়সঙ্গীতের মধ্যে সাতমাথা সাপ মারার কথা ছিল।

ছুটতে ছুটতে সে গিয়ে পৌঁছলো নদীর ধারে, সেখানে তখন লোকে লোকারণ্য, পুরুষরাও সব ফিরে এসে সেখানে জড়ো হয়েছে।

ভীড় ঠেলে মঞ্জুজা গিয়ে পৌঁছালো দগ্ধদেহ সাপের কাছে, সে তার পোড়া গায়ের উপরে হাত রাখতেই আশ্চর্য কান্ড। সাপের পোড়া ছাল খসে গেল, বেরিয়ে এলো মিথিয়ান। যেন সে বহুকালের ঘুম থেকে উঠল। ঘুম ঘুম গলায় সে মঞ্জুজাকে বললো, "আমি কোথায়? এত লোক কেন এখানে?"

কান্ড দেখে সব লোকের তো চক্ষু চড়কগাছ! নিরুদ্দিষ্ট মিথিয়ান যে ওভাবে ফিরে আসবে, তা তারা কল্পনাও করেনি!

তারপরে আর কী? মঞ্জুজা সবাইকে সব কথা খুলে বললো।

সবাই এই অদ্ভুত কাহিনী বলাবলি করতে করতে করতে যে যার ঘরে গেল।

আর মঞ্জুজা, মিথিয়ানকে আর তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে আনন্দাশ্রুতে ভাসতে ভাসতে ঘরে চললো।

গল্পটি ফুরালো।

( শেষ )


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

=DX
ভয় ধরায় দিছিলা খুব। ভাল গল্প হইছে। এইবার শান্তি কইরা ঘুম লাগাই।
- একলহমা

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ একলহমা।
শান্তি কইরা ঘুমান। এতক্ষণে হয়তো একঘুম দিয়া উঠলেন। :-)

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

আয়নামতি এর ছবি

আমি তো ভেবেছিলাম মহিলাদের গরম ঝোল ট্রিটমেন্টে মিথিয়ানের কম্মকাবার!
ভালো লাগলো দিদি সুখী সুন্দর সমাপ্তিতে। তোমার জন্য ঈদের আগাম শুভেচ্ছা থাকলো :)

তুলিরেখা এর ছবি

হ্যাঁ, আমারও মিলনান্তক সমাপ্তি পছন্দ। এমনকি বিয়োগান্তক গল্পগুলোকেও আমার মনে হয় অসমাপ্ত, কোথাও না কোথাও তাদের আবার মিল হয়েছেই। :-)
শুভ ঈদ। খুব আনন্দ করো।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

সেইরাম হইছে !! =DX
নেক্সট কবে?

------------------
সুবোধ অবোধ

তুলিরেখা এর ছবি

(ধইন্যা)
নেক্সট কবে, উপরোলা জানেন। :-)

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

এস এম নিয়াজ মাওলা এর ছবি

পড়তে পড়তে খুব টেনশনে ছিলাম, শেষটায় কী হয়! যাক বাবা! ভালোয় ভালোয় মিথিয়ান আবার মানুষ হয়েছে।
ভালো থাকুন খুব।

-নিয়াজ

তুলিরেখা এর ছবি

হ্যাঁ, আফ্রিকার উপকথাগুলো বেশীরভাগই মিলনান্তক। :-)
ভালো থাকবেন।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

ইস রে, শেষ হয়ে গেলো!!

(Y)

____________________________

তুলিরেখা এর ছবি

:-)
(ধইন্যা)

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন (Y) , আজকেই বাসায় ফিরে মেয়েকে এই গল্প শুনাতে হবে
ইসরাত

তুলিরেখা এর ছবি

পরে বলবেন কিন্তু গল্প শুনে মেয়ে কী বললো। :-)

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আহা, শেষটা অতি নাটুকে হল। ট্রাজিক সমাপ্তি হলে সম্ভবত ভাল লাগত। কিন্তু সে তো আর আপনার হাতে নেই!

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তুলিরেখা এর ছবি

হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন, এতো আমার হাতে না। :-)
মাইকেল মধুসূদন নাকি মেঘনাদবধ লেখার সময় একবার ভেবেছিলেন পরিণতিটা পালটে দেবেন কিনা! :-)

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

রাত-প্রহরী এর ছবি

বাঁচছি। ভাগ্যিস মিথিয়ান মরে যায়নি। আমার খুব খারাপ লাগতো ওর ছেলে-মেয়েদের কথা ভেবে।
(Y)

------------------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

তুলিরেখা এর ছবি

এইজন্যেই তো বেছে বেছে মিলনান্তক কাহিনী শুনাই। :-)

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ভালই লাগলো।

তুলিরেখা এর ছবি

আমার ধন্যবাদ গ্রহণ করুন।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নজমুল আলবাব এর ছবি

কেমন যেনো হয়ে গেলো। একটু ম্যাড়মেড়া। তবে আপনার লেখনিটা আগেরই মতো।

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তারেক অণু এর ছবি

(Y)

তুলিরেখা এর ছবি

(ধইন্যা)

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ওডিন এর ছবি

বরাবরের মতোই চমৎকার। :)

আগেও বলেছি অনেকবার, আবারও বলি। এইসব রূপকথার গলটল্প হাতে নিয়ে বিছানায় একগাদা বালিশ চাপিয়ে তাতে হেলান দিয়ে বসে পড়তেই বেশি মজা। ;)

তুলিরেখা এর ছবি

হ্যাঁ, মনে আছে। বই বের করা শক্ত ব্যাপার, তারো চেয়ে শক্ত সেই বই ছোটোদের মনের মতন করে করা আর তারচেয়ে আরো শক্ত সেই বই অনেক হাতে পৌঁছে দেওয়া। তবু চেষ্টা জারি আছে। :-)

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।