এই উপকথা কেপ টাউনের মালয়-জনগোষ্ঠীর। আজকে গল্পের শেষাংশ। এখানে আগের অংশ
পরদিন সকালে সুলতান জমকালো সাজপরানো রাজকীয় ঘোড়ায় চড়ে এসে হাজির আমিনার দুয়ারে। ঘোড়া থেকে নেমে দরজা ঠকঠক করে ডাকলেন, "আমিনা, আমিনা।"
আমিনা দরজা খুলে দেখলো সুলতান দাঁড়িয়ে। সে নত হয়ে সম্মান জানিয়ে সুলতানকে এনে প্রথম ঘরে বসালো।
সুলতান তখন তাঁর কোমরের ঝোলানো পেটিকা থেকে হীরামণিমুক্তা খচিত মহার্ঘ্য পোশাক বার করে বললেন, " এই যে আমিনা, সেই পোশাক, হীরেমোতির পোশাক, তোমার কথামতন নির্দেশ দিয়ে বানিয়ে এনেছি। দ্যাখো তো পছন্দ হয় কিনা।"
আমিনা পোশাক হাতে নিয়ে আবার নত হয়ে সেলাম জানিয়ে বলে," জাহাঁপনা, আপনার মহানুভবতা তুলনাহীন। আপনি একটুখানি অপেক্ষা করুন, আমি ভেতরের ঘরে গিয়ে পোশাকটা পরে আসি।"
সুলতানের মুখে হাসি ধরে না, বলেন, "হ্যাঁ হ্যাঁ, অবশ্যই অবশ্যই। আমি অপেক্ষা করছি।"
আমিনা ভেতরের ঘরে ঢুকে হীরামণিকের কাজকরা নীল পোশাক রাখলো আগের ঐ লাল রেশমী পোশাক আর স্বর্ণসূত্রী সবুজ পোশাকের পাশে।
তারপরে ঘরের অন্যকোণে গিয়ে তাক থেকে বার করে আনলো সর্দারপুত্রের দেওয়া সেই আংটিটা, হাতের আঙুলে পরে নিল সেটা। তারপরে তাক থেকে সেই নেকড়ের ছাল নামিয়ে নিজের পিঠের উপরে ছড়িয়ে দিয়ে আংটিতে ঘষা দিয়ে মন্ত্র বলতে লাগলো।
কয়েক মুহূর্তমাত্র। তারপরেই আমিনার আর চিহ্ন রইলো না, আমিনার জায়্গায় দাঁড়িয়ে রইলো এক নেকড়েবাঘিনী।
ওদিকে সুলতান তো উসখুশ করছেন, এতক্ষণ হয়ে গেল আমিনা তো ভেতরের ঘর থেকে বেরোয় না? আরো খানিক অপেক্ষা করে অধৈর্য সুলতান ভেতরের ঘরের দরজায় দিলেন ঠেলা। ডাকলেন, "আমিনা, আমিনা, কই তুমি?"
দরজা আবজানো ছিল, ঠেলায় খুলে গেল। কিন্তু কই আমিনা? সুলতান দেখলেন, ঘরে তো আমিনা নেই, শুধু তার পোশাকগুলো পড়ে আছে আর ঘরের মাঝখানে মেঝেতে শুয়ে আছে এক নেকড়েবাঘিনী!
সটাং করে সুলতান কোমরে ঝোলানো তলোয়ার কোষমুক্ত করলেন, সঙ্গে সঙ্গে নেকড়েবাঘিনী বিদ্যুতের মতন লাফিয়ে খোলা জানালা দিয়ে জঙ্গলে চলে গেল।
সুলতান খুবই মুষড়ে গেলেন, ভাবলেন আমিনাকে নিশ্চয় ঐ নেকড়ে মেরে খেয়ে ফেলেছে। আর উপায় রইলো না তাকে পাবার।
বিষন্নমনে সুলতান ঘোড়ায় চড়ে প্রাসাদে ফিরে এলেন একা একা।
ঐদিকে জঙ্গলে নেকড়েরূপিনী আমিনা এদিক ওদিক ছুটে বেড়ায় কিন্তু কিছুতেই মন্ত্রটা আর মনে করতে পারে না। এদিকে সেই মন্ত্র না পড়লে তো আর সে মানুষরূপ ফিরে পাবেনা।
জঙ্গলের ঐ অংশে এইসময় চারজন শিকারী এসে হাজির, নেকড়েরূপিনী আমিনা খুব ভয় পেয়ে গেল। এরা যদি নেকড়ে ভেবে তাকে মেরে ফ্যালে? সে নড়তে পারেনা চড়তে পারেনা, ভয়ে কাঠ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
ঐ শিকারীরা বলাবলি করে," আরে, এ যে দেখি পোষমানা নেকড়ে! আয় এটাকে ধরে নিয়ে প্রভুর বাগানে একটা খাঁচায় রাখি।"
যা ভাবা সেই কাজ, ওরা নেকড়েবাঘিনীটাকে ধরে ভালো করে মুখ বেঁধে নিয়ে চললো গ্রামের দিকে, ঐ শিকারীদের গ্রাম, এদের প্রভু সেই সর্দারপুত্র।
ওরা ওকে নিয়ে বাগানের খাঁচায় ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে রাখলো। নেকড়ে খাঁচার ভিতরে পায়চারি করে এদিকে ওদিক, তারপরে ক্লান্ত হয়ে চুপ করে শুয়ে পড়ে, থাবার উপরে মুখ রেখে শুয়ে থাকে।
যারা ধরে এনেছিল, তারা বিকেলবেলা একটা পাত্রে জল আর আরেকটা পাত্রে কিছু মাংস এনে নেকড়ে-বাঘিনীকে দিল। কিন্তু নেকড়ে তা খাওয়ার কোনো আগ্রহ দেখালো না, যেমন শুয়ে ছিল তেমনি শুয়ে রইলো। তাই দেখে লোকগুলো কেমন দুঃখিত হয়ে বলাবলি করতে থাকলো, " নেকড়েটা খায় না কেন? না খেলে তো বাঁচবে না।"
আমিনা কী করে ঐ কাঁচামাংস খাবে? ওর মানুষ-মন তো একই আছে, দেহটা শুধু নেকড়ে হয়ে গেছে। সে চুপ করে শুয়ে থাকে।
এমন সময় বাগানে আর একদল তরুণ এসে পড়ে। তারা এই লোকগুলোকে বলে,"এই, এই তোরা আজকে নাচের আসরে যাবি না? সন্ধ্যের পরেই তো আগুন ঘিরে নাচের আসর, আর সঙ্গে জব্বর খানাপিনা। সর্দার নিজে উৎসবের আয়োজন করেছেন। সর্দারের ছেলে যোগ দেবে।"
এই লোকগুলো বলে, "আরে তাই নাকি? আজই সেটা? আমরা তো ভুলেই গেছিলাম।"
অন্যরা এদের তাড়া দেয়, "আরে তাড়াতাড়ি চল, তৈরী হতে টতে হবে তো।"
দৌড় দিয়ে চলে যায় গোটা দলটা। এদিকে সূর্য তখন পশ্চিমদিগন্তরেখা স্পর্শ করেছে।
সূর্য ডুবে যেতেই মন্ত্রটা মনে পড়ে যায় আমিনার, সে আংটিতে ঘষা দিয়ে মন্ত্র পড়ে, কয়েক মুহূর্তেই মানুষ-রূপ ফিরে পায়। খাঁচার দরজা খুলে সে বাইরে আসে, তারপরে আবার দরজা বন্ধ করে সোজা দৌড়ে চলে যায় তার কুটিরে।
সেখানে গিয়ে ভালো করে স্নান করে সাজসজ্জা করে আর সেই লাল রেশমীপোশাকটা পরে। তারপরে যায় সেই নাচের আসরে। নাচ শুরু হয়ে গেছিল ততক্ষণে, খাওয়াদাওয়াও চলছিল। এই আসরে এমন আনন্দের জমজমাট আসরে হঠাৎ এমন এক পরীর মতন মেয়ে এসে উপস্থিত হওয়ায় তো সকলের চক্ষু চড়কগাছ। তরুণরা সকলেই তার সঙ্গে নাচতে উৎসাহী।
আমিনা একে একে অনেক তরুণের সঙ্গেই নাচলো কিন্তু যার আশায় তার চোখ এদিক ওদিক খুঁজছিল, সে নেই। সর্দারপুত্র আসতে পারে নি। তার নাকি খুব জ্বর। আমিনা শুনলো একজনের মুখে।
মাঝরাত পেরোলে আস্তে আস্তে লোকজন ক্লান্ত হয়ে পড়তে লাগলো। ভীড় কমে আসছিল। এই সময় এক সুযোগে আমিনা আসর থেকে সরে পড়লো। বাড়ী গিয়ে পোশাক বদলে সে আবার সেই নেকড়ের চামড়া কাঁধে নিয়ে রওনা হলো সর্দারপুত্রের বাগানের দিকে, আংটিটা আঙুলে পরাই ছিল।
বাগানে গিয়ে খাঁচার দরজা খুলে সে আবার ভিতরে ঢুকে দরজা আটকে দিল। তারপরে আংটি ঘষে মন্ত্র পড়ে ফের নেকড়ে হয়ে শুয়ে রইলো খাঁচায়। সকালে সূর্য উঠলো, সূর্য ক্রমে মধ্যগগনে উঠলো, তারপরে পশ্চিমে হেলে পড়ল। এই পড়ন্ত বেলায় আবার সেই আগের দলের দু'জন লোক এসে হাজির। তারা আগের দিনের মতই মাংস আর জল এনেছে নেকড়েকে দিতে।
আমিনা শোনে ওরা নিজেরা নিজেরা বলাবলি করছে, "ওফ্ফ কালকে নাচের আসরে যা হলো! একেবারে পরীর মতন সুন্দরী একে মেয়ে কোথা থেকে এসে হাজির! আমার সঙ্গেও একটুখানি নেচেছিল সে। "
দ্বিতীয়জন বলে," আজও তো সন্ধ্যের পরে তো আগুন ঘিরে নাচের আসর, কালকের মতই, সঙ্গে জব্বর খানাপিনা। ঐ আকাশ থেকে নামা পরীর মতন সুন্দর মেয়েটা আমার সঙ্গেও কাল একটু নেচেছিল। জানিস, আমাকে জিজ্ঞেস করছিলো সর্দারপুত্র কোথায়? তাঁর তো জ্বর ছিলো বলে কাল নাচে যেতে পারেন নি। আজকের নাচে তিনি নিশ্চয় আসবেন। মনে হয় ঐ পরীর মতন সুন্দর মেয়েটাও আসবে আজকে। "
খাঁচার ভিতর নেকড়ে চঞ্চল হয়ে ওঠে। এদিকে ওকে খাবার আর জল দিয়েই ওরা তড়িঘড়ি চলে যায়, নাচের উৎসবের জন্য তৈরী হতে হবে না?
তারপরে সূর্য ডুবলে আমিনা আবার মন্ত্র পড়ে মানুষ হয়ে নিজের কুটিরে যায়।
ভালো করে স্নান করে সাজসজ্জা করে আর সেই স্বর্ণসূত্রের কাজকরা সবুজ রেশমীপোশাকটা পরে। তারপরে যায় সেই নাচের আসরে। আগের দিনের মতই নাচ শুরু হয়ে গেছিল ততক্ষণে, খাওয়াদাওয়াও চলছিল। এমন আনন্দের জমজমাট আসরে সেই আগের রাতের পরীর মতন মেয়ে এসে উপস্থিত হওয়ায় আবার সকলের চক্ষু চড়কগাছ। আজকে তাকে আগের চেয়েও সুন্দর লাগছে এই নতুন জমকালো পোশাকে। তরুণরা সকলেই তার সঙ্গে নাচতে উৎসাহী। আমিনা একে একে অনেক তরুণের সঙ্গেই নাচলো কিন্তু তার চোখ এদিক ওদিক খুঁজছিল সর্দারপুত্রকে। কিন্তু সে আজও আসতে পারে নি, আজও তার নাকি খুব জ্বর। আমিনা শুনলো একজনের মুখে।
মাঝরাত পেরোলে আবার আগের রাতের মতই আমিনা আসর থেকে সরে পড়লো সুযোগ বুঝে। আজ সে খুব মানসিকভাবে মুষড়ে পড়েছিল। সর্দারপুত্রের জ্বর সারে না কেন?
বাড়ী গিয়ে পোশাক বদলে সে আবার সেই নেকড়ের চামড়া কাঁধে নিয়ে রওনা হলো সর্দারপুত্রের বাগানের দিকে, আংটিটা আঙুলে পরা আছে কিনা দেখে নিল। আংটি ঠিক ছিল। বাগানে গিয়ে খাঁচার দরজা খুলে সে আবার ভিতরে ঢুকে দরজা আটকে দিল। তারপরে আংটি ঘষে মন্ত্র পড়ে ফের নেকড়ে হয়ে শুয়ে রইলো খাঁচায়।
একসময়ে সূর্য উঠলো, তারপরে সূর্য মধ্যগগনে উঠলো। এইসময় নেকড়েরূপিনী আমিনা কাদের যেন গলা শুনে চঞ্চল হয়ে উঠলো। সেই শিকারী ছেলেরা-যারা তাকে ধরে এনেছিল প্রথমদিন, তারা আসছে। আর, তাদের সঙ্গে আসছে তাদের মালিক, সর্দারপুত্র! তার জ্বর সেরে গেছিল, সে বাগান দেখতে আসছিল।
নেকড়ের খাঁচার সামনে এসে তো সে অবাক! এই নেকড়ে কীভাবে এখানে এলো? শিকারী ছেলেদের মধ্যে একজন তখন তাড়াতাড়ি তাকে সব বললো- কীভাবে বনের মধ্যে তারা এই নেকড়ে দেখতে পা্য, নেকড়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিল, একেবারে যেন পোষা, তারপরে কীভাবে তারা একে ধরে আনলো- সব বলে।
সর্দারপুত্র খাঁচার সামনে এসে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে নেকড়ের দিকে, তারপরে বলে, "আমিনা?"
আমিনা মন্তরটা মনে করতে চেষ্টা করে, পারে না। সূর্য না ডুবলে মন্তর তার মনে পড়ে না যে! কী হবে?
সে একবার এদিকে একবার ওদিকে দৌড়ায় খাঁচার মধ্যে, কিন্তু প্রাণপণ চেষ্টাতেও মন্ত্র মনে করতে পারে না। এদিকে সর্দারপুত্র খাঁচার দরজা খুলে খপ করে নেকড়ের গলাটা চেপে ধরে টেনে তাকে বার করে আনে। সঙ্গী ছেলেরা অবাক হয়ে গেছে, ভাবছে হঠাৎ তাদের প্রভু পাগল হয়ে গেলেন নাকি?
কোমর থেকে ছুরি বার করে নেকড়ের গলার উপরে রেখে সর্দারপুত্র বলে, "তুমি যদি আমিনা না হও, তাহলে তোমাকে এখনই কেটে ফেলবো।"
ভীষণ ভয়ে আমিনার মনে পড়ে যায় মন্ত্রটা। সে আটি ঘংষা দিয়ে মন্ত্র বলে আর ফিরে পায় মানুষরূপ।
তারপরে আর কী? সেই রাতে আনন্দময় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সর্দারপুত্রের সঙ্গে বিবাহ হয়ে যায় আমিনার। বিবাহের সময় আমিনা পরেছিল সেই হীরামাণিকে খচিত নীল রেশমীপোশাকটি। তাকে দেখাচ্ছিল পরীদের রাণীর মতন।
বুড়ো সর্দার সেদিনের পরই ছেলেকে সর্দার করে দেন, নিজে অবসর নেন। সর্দার হবার পরে গ্রামের সবাই তাকে রাজা বলে অভিবাদন করে, আর আমিনাকে বলে রাণী।
কিন্তু এই রাজা নিজে সারাজীবনই তাঁর রাণীকে নেকড়েরাণী বলতেন।
ব্যস, গল্প শেষ।
মন্তব্য
বা:! ভাল গল্প বলা হইছে।
- একলহমা
অনেক ধন্যবাদ একলহমা।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
রাণী রাজকন্যারা শুনা যায় ভয় পায়া অজ্ঞান হয়া যায়, ভাগ্য ভাল এর ক্ষেত্রে তা না হয়া মেমোরি শার্প হইছে
চমৎকার লাগল।
..................................................................
#Banshibir.
অনেক ধইন্যা, পীরসাব।
আপনার "বাদার বিক্রম" দিয়া তো সবাইরে কুপোকাত কইরা দিছেন।
আমি প্রথমে নাম দেইখা ভাবলাম ব্রাদার বিক্রম বুঝি! পরে বুঝলাম ঘটনা কী!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
উপকথাগুলাতে খালি দেখি হেপি এন্ডিং
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আহা নাতিনাতকুড়দের তো হেপি এন্ডিংই বলতে চায় দাদীরা নানীরা ঠাকুমারা দিদিমারা।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ইয়ে, 'মালয়' গোষ্ঠীটার ইঞ্জিরি বানান কী?
ইংরেজী বানান হলো Malay
এই যে লিংক
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ওহ তাই বলো, আমি ভাবছিলাম মালয় নামের কোনো কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান উপজাতির কথা তো কখনও শুনিনি!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হেপি এন্ডিং ভালোই লাগলো। এরপরে আসছেন কি নিয়ে?
-নিয়াজ
ধন্যবাদ নিয়াজ।
দেখি, কী আনা যায় এরপরে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হেপি এন্ডিং ভাল লাগে, সুন্দর
ইসরাত
ধন্যবাদ ইসরাত।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
যাক শেষ করলেন তাইলে তুলিদি।
হ্যাঁ, শেষ করলাম তাড়াতাড়ি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আমার ছেলের আজকের ঘুমপাড়ানী গল্প হবে এটি।
____________________________
গল্প শুনে আপনার ছোটনের কেমন লাগলো বলবেন কিন্তু।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বাঁচাইছেন!!!
গলাতো প্রায় কাইটাই ফেলছিলো। যদি সেসময় মন্ত্রটা মনে না পড়তো?
আমিতো ভ-য় পাইছিলাম ।
দারূণ , দারূণ , দারূণ
-----------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
মন্ত্রটা মনে না পড়লে সর্দারের পুত ওর গলা কাইটা ফেলাইতে যেই যাইতো, অমনি দেখতেন কোইত্থিকা এক ফকীর আইসা কইতো, "আরে, ব্যাটা তুই করস কী?"
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভাল হইসে। রুপকথাও যে এতো উপভোগ্য হতে পারে, সেটা আপনার প্রথম পর্বের সমাপ্তিতে নিজের বিরক্তির পর জানতে পারলাম।এখন ২য় পর্ব পড়ে মনটা ভাল হল।
ধন্যবাদ অর্ফিউস।
আসলে উপকথাই বলুন, মহাকাব্যই বলুন, গল্প-উপন্যাসই বলুন, তখনই উপভোগ্য হয় যখন যিনি শোনাচ্ছেন আর যারা শুনছেন সবাই ঘটনার মধ্যে আর চরিত্রগুলোর মধ্যে মিশে যেতে পারেন। তখন আর কবেকার কথা, কোন সমাজের কথা, ভালোমন্দ নীতিরীতি কী ছিল, তফাত কী ছিল আমাদের সঙ্গে, সেসব বিচার আর আসে না, কোনো একটা মূল মানসিকতা আসলে তো একই আছে, সেইটা ধরে কাহিনীতে ঢুকে যেতে পারলেই কাহিনীর আসল রস পাওয়া যায়।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন