এই উপকথা পাঞ্জাবের শতদ্রু তীরবর্তী ফিরোজপুর অঞ্চলের। এখানে প্রথম পর্ব
রাজপুত্র নববধূকে নিয়ে নিজেদের প্রাসাদে এসে উঠলো। মহাসমারোহে বধূবরণ করে ঘরে তুললেন রাণীমা আর তাঁর পরিচারিকারা। এমন সুন্দরী, গুণবতী বৌমা দেখে সবাই আনন্দে ডগোমগো।
তাদের সঙ্গে যৌতুক আর পরিচারক-পরিচারিকাও এসেছিল বিস্তর।যৌতুকের জিনিসপত্রের বিলি-বন্দোবস্ত করতে করতেই কেটে গেল বেশ কিছু সময়।
ফুলশয্যার রাতে রাজপুত্র নতুন বৌয়ের সঙ্গে কথা বলতে গেছে, কিন্তু কিছুতেই বৌ কোনো সাড়া দেয় না। বড় বড় কাজলটানা চোখ মেলে শুধু চেয়ে থাকে রাজপুত্রের মুখের দিকে। সে চোখে বিস্ময় আর প্রশ্ন।
রাজপুত্র ভাবলো, আহা নতুন জায়্গা, নতুন অপরিচিত মানুষজন, হয়তো ওর মানিয়ে নিতে সময় লাগছে। আস্তে আস্তে ঠিক হবে সব, এখন বিরক্ত না করাই ভালো। এই ভেবে রাজপুত্র ঘুমিয়ে পড়লো।
পরের দিন নববিবাহিত দম্পতি চললো মধুচন্দ্রিমায়। নদীর তীরে মনোহর পরিবেশে তারা মধুচন্দ্রিমা যাপন করতে গেল।
কিন্তু সেখানেও নতুন বৌ কথা বলে না, রাজপুত্র কোনো কথা বলতে চাইলে বড়ো বড়ো চোখ মেলে চেয়ে থাকে তার মুখের দিকে, কিছু বলে না। রাজপুত্র অসহায় হয়ে বলে, "আমাকে কি তোমার পছন্দ হয় নি, বৌ?"
এইবারে বৌ মাথা কাত করে বলে, "হ্যাঁ, পছন্দ হয়েছে। কিন্তু তুমি যদি তোমার সত্য পরিচয় না বলো তবে তোমার সঙ্গে কথা বলবো না। কে তুমি? বহু অদ্ভুত কথা শোনা যায় তোমার জন্মরহস্য নিয়ে। তুমি আমাকে ঠিক করে বলো, কে তুমি।"
রাজপুত্রের মুখ বিবর্ণ হয়ে যায়, সে বৌয়ের মুখ থেকে চোখ সরিয়ে মাটির দিকে তাকায়, তারপরে মাথা নেড়ে জানায় সে বলতে পারবে না। এইটুকু জানিয়েই কোনোরকমে হোঁচট খেতে খেতে চলে যায় বৌয়ের সামনে থেকে ।
পরেরদিন আবার রাজপুত্র কথা বলতে চেষ্টা করে বৌয়ের সঙ্গে। কিন্তু বৌ বলে, "তুমি যদি তোমার সত্য পরিচয় না বলো তবে তোমার সঙ্গে কথা বলবো না।"
রাজপুত্র ম্রিয়মান হয়ে বলে," দোহাই তোমার বৌ, সেকথা জানতে চেও না। সেকথা জানলে তোমাকে সারাজীবন অনুশোচনা করতে হবে।"
কিন্তু বৌ সেকথায় কান দেয় না, স্বামীর সত্য পরিচয় না জানলে তার চলবে না।
এরপরে দিন যায়, নতুন বর আর বৌ কোনো কথা বলে না, দমবন্ধ করা এক পরিবেশের মধ্যে কাটে দিনের মুহূর্তগুলো। এ কী অদ্ভুত মধুচন্দ্রিমা তাদের?
একদিন সন্ধ্যাবেলা বর-বৌ নদীতীরে বেড়াচ্ছিল। আকাশে প্রায় পূর্ণচন্দ্র, নদীতে সেই চাঁদের প্রতিবিম্ব পড়েছিল, ঢেউয়ে ঢেউয়ে রুপোলী জ্যোৎস্না ছলছল করছিলো। দক্ষিণা বাতাস মর্মরিত হচ্ছিল গাছের পাতায় পাতায়। এই পরিবেশে দমবন্ধ নীরবতা অসহ্য হলো রাজপুত্রের, সে বললো, "বৌ, তবে শোনো আমি কে। কিন্তু আবার বলছি এ জানলে তোমাকে সারাজীবন অনুশোচনা করতে হবে।"
বৌ মুখ তুলে আগ্রহভরা গলায় বলে, "তবু আমি শুনবো। বলো তুমি কে।"
রাজপুত্র একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো, "আমি এক বহু দূরের দেশের রাজার ছেলে। সর্পরাণীর যাদুমন্ত্রবলে আমি সাপে পরিণত---" শুধু এইটুকু বলতে না বলতেই রাজপুত্র আবার সাপ হয়ে গেল, হিলহিল করতে করতে নেমে গেল নদীতে।
নতুন বৌ তো বিস্ময়ে ভয়ে দুঃখে একেবারে বাকরুদ্ধ হয়ে সেই নদীতীরেই বসে রইলো সারারাত। পরদিন তার পরিচারিকারা তাঁকে খুঁজতে এসে ওখানেই পেল। তাদের দিয়ে কর্মচারীদের খবর পাঠিয়ে আনালো বৌ। সে বললো যে সে আর সংসারে ফিরবে না, ঐ নদীতীরেই কালো পাথরের এক শোকগৃহ নির্মাণ করে দিতে হবে তার জন্য।
তৈরী হলো কালো পাথরের বাড়ী। নতুন বৌ বললো যে সে ঐখানেই একবেণীধরা হয়ে দিবসে একবার মাত্র আহার করে বাকী জীবন তপস্যা করবে স্বামী ফিরে আসার অপেক্ষায়।
এরপরে দিন যায়, রাত কাটে। দিনে দিনে তপঃকৃশা হয়ে যায় নতুন বৌ, ধূলিধূসর হয়ে যায় তার বেণী, জীর্ণ হয়ে যায় বস্ত্র। সে ভাবে, কবে তার সাধনার সিদ্ধি হবে? কোনোদিন কি হবে?
একদিন সে ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখলো মেঝেতে কেমন অদ্ভুত হিলহিলে কতগুলো দাগ, যেন সাপের চলার চিহ্ন। হৃৎপিন্ড লাফিয়ে ওঠে তার, তাহলে কি এসেছিল তার সাপ হয়ে যাওয়া স্বামী ?
বাড়ীর দ্বাররক্ষকদের সে জিজ্ঞেস করলো রাতে কাউকে তারা ঢুকতে দিয়েছিল কিনা। তারা বললো- না, রাতে তো কই কেউ আসেনি!
সারাদিন ভাবনায় চিন্তায় গেল নতুন বৌয়ের, রাত্রে সে প্রদীপ জ্বেলে ঘরের মেঝেতে আসন বিছিয়ে বসে রইলো। একপ্রহর কাটলো, দুইপ্রহর কাটলো, চারিদিকে নিশুতি রাত, কোনো সাড়াশব্দ নেই কারুর, কেবল ঝিল্লিঝঙ্কার আসে বাইরের থেকে। এমন নেশাধরানো পরিবেশে আর জেগে থাকতে পারে না বৌ, ঘুমে ঢুলে পড়ে মেঝেতেই। সে ঘুমিয়ে পড়ার একটু পরে হিলিবিলি ঢেউ তুলে ঢোকে এক সাপ, ঘুমন্ত বৌয়ের চারপাশে ঘুরে ঘুরে আবার চলে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে বৌ দেখলো মেঝেতে সাপের চলার চিহ্ন, হায় সে ঘুমিয়ে পড়েছিল বলে দেখা হলো না।
পরের রাতে নতুন বৌ প্রদীপ জ্বেলে বসলো হাতের কাছে ছুরি নিয়ে। তিন প্রহর রাতে যখন খুব ঘুম আসছিল তার, তখন ডান হাতে ছুরি ধরে বাঁহাতের পাতার মাঝে বসিয়ে দিল ঘ্যাঁচ করে। তারপরে রক্তাক্ত ক্ষত ডান হাতে চেপে ধরে রইলো, যন্ত্রণায় ঘুম পালিয়ে গেল তার।
এইবারে সে দেখলো আসছে সেই সাপ, দরজার তলা দিয়ে হিলহিল করে ঢুকে পড়লো, বৌয়ের কাছে এসে ফণা তুলে দাঁড়ালো।
বৌ ফিসফিস করে তাকে জিজ্ঞেস করলো, "কে তুমি? কী চাও?"
সাপ হিসহিস করে বললো, "আমি তোমার হারানো স্বামী। সাপ হয়ে গেছি তোমাকে নিজের রহস্য বলেছিলাম বলে। তোমাকে আমি বলেছিলাম যে ঐ কথা জানতে চেও না বৌ, তাহলে অনুশোচনা করতে হবে, কিন্তু তুমি শুনলে না আমার কথা। "
নতুন বৌ ঝরঝর করে কাঁদতে কাঁদতে বলে, "কোনো উপায় আছে কি তোমার আবার মানুষ হবার? যদি আমার জীবনের বিনিময়েও তা সম্ভব হয়, আমি দ্বিধা করবো না। "
সাপ বলে, "একটা উপায় আছে, কিন্তু সেটা খুব কঠিন।"
সাগ্রহে বৌ বলে, "বলো আমাকে কী উপায়। যত কঠিন হোক, আমি চেষ্টা করবো।"
সাপ বললো, "শোনো তবে মন দিয়ে। আগামী পূর্ণিমার রাতে ঘরের ভিতর চারকোণে বড় বড় চারটে কলসী ভরে দুধ রাখবে আর কলসীর চারপাশে রাখবে মিষ্টান্ন। সামনের বড় গেট খোলা রাখবে, ঘরের দরজাও খোলা রাখবে, আর দরজায় নিজে দাঁড়িয়ে থাকবে। মধ্যরাতে নদী থেকে উঠে আসবে শত শত সাপ আর তাদের সবার আগে থাকবে বিশাল এক সাপিনী, সে সাপেদের রাণী। সে যখন দরজায় আসবে, তখন তুমি তাকে বলবে, "রাণী, আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দাও, তাহলে তোমাকে আর তোমার প্রজাদের ঘরে ঢুকতে দেবো।" যদি রাণীকে রাজী করাতে পারো, তাহলেই আমি নিজের মানুষরূপ ফিরে পাবো, নইলে আর কোনোদিন মানুষরূপ ফিরে পাবো না। পারবে এ কাজ?"
নতুন বৌ বলে, "আমি আপ্রাণ চেষ্টা করবো। "
পূর্ণিমার রাতে ঘরের ভিতর চারকোণে দুগ্ধ মিষ্টান্নাদি রেখে প্রস্তুত হয়ে রইলো নতুন বৌ। মধ্যরাতের পরে নদী থেকে শয়ে শয়ে সাপ উঠে এলো, সামনে তাদের রাণী। এত সাপ দেখে প্রহরীরা দৌড়ে পালালো ভয়ে। ঘরের দরজায় কিন্তু নির্ভয়ে দাঁড়িয়ে রইলো নতুন বৌ।
সাপেদের রাণী তার সামনে গিয়ে বিশাল ফণা তুলে ডাইনে হেললো বাঁয়ে হেললো, বললো "হিস হিস হিস।"
একটুও ভয় না পেয়ে সাপরাণীর চোখের দিকে তাকিয়ে নতুন বৌ বললো, "রাণী, কৃপা করে আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দাও।"
সাপরাণী বললো, "হিস হিস শ শ স্বামী। শ শ স্বামী।"
তারপরে তার ভয়ঙ্কর ফণা আবার এদিকে দোলালো ওদিকে দোলালো। বললো, "ভিতরে ঢুকতে দাও আমাদের।"
নতুন বৌ বললো, "তুমি যদি কথা দাও আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দেবে তবেই তোমাদের ভিতরে ঢুকতে দেবো।"
সাপরাণী বললো, "ঠিক আছে, তবে তাই হোক। আগামীকাল সন্ধ্যাবেলা তোমার স্বামী ফিরে আসবে।"
নতুন বৌ দরজা ছেড়ে সরে গেল। শয়ে শয়ে সাপ ঢুকলো ভিতরে, ঘরের চারকোণের থেকে তারা প্রাণ ভরে দুধ-মিষ্টি খেয়ে তারপরে শেষ রাত্রে বিদায় নিল তাদের রাণীর সঙ্গে।
পরেরদিন সারাদিন ঘোরদোর ভালো করে ধুয়ে মুছে সাজালো গোছালো নতুন বৌ। ফুলের গুচ্ছ আর মালা দিয়ে চারিদিকে সুশোভিত করলো।
বিকালবেলা ভালো করে স্নান করে নিজেও সুসজ্জিত হলো তার ফুলশয্যার রাত্রের সাজে।
তারপরে সন্ধ্যাবেলা যখন জ্যোৎস্না ফুটেছে সর্ব চরাচরে, বাতাসে যুথীগন্ধ-তখন তার স্বামী ফিরে এলো মানুষরূপে। সর্পরাণী তাকে মুক্তি দিয়েছে সাপজীবন থেকে।
তারপরে আর কী! মধুর হলো তাদের মাধবী নিশি।
গল্প শেষ।
মন্তব্য
যাক খুব টেনশনে ছিলাম ঠানদি।
এইবার টেনশন কাটলো তবে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মধুরেন সমাপয়েৎ !
ঠিক।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বাঁচা গেল!
- একলহমা
ঠিক বলেছেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
জীবনটা রূপকথা হলে.....
জীবনটা কিছুটা রূপকথা, কিছুটা চুপকথা, কিছুটা অরূপকথা।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কোন পূর্ব সংকেত ছাড়াই এতো আচমকা রাজপুত্রকে সাপ বানিয়ে 'হিলহিল' করে পানিতে ফেলে দিতে পারলেন?
আবার দুধ-মিষ্টি খাইয়ে দিয়ে সর্পরাণীকে খুব সহজেই বশ মানানো গেলো!
কিন্তু রাজপুত্র তার আসল বাবা-মা'কে আর ফেরত পেলো না। আফসোস!!
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা দিদি।
ভালো থাকবেন।
---------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
আসল বাবামাকে হয়তো পেয়েছে। কে বলতে পারে? হয়তো এই পালক বাবামাকে সব জানিয়ে আসল বাবামার সঙ্গেও দেখা করতে গেছে, দুইজোড়া বাবা-মা পেয়ে গেছে, সঙ্গে দুইটা রাজ্য!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বাহ, হেপ্পী এন্ডিং থাকলে ভালই লাগে... তয় সর্পরানীর সাথে দর কষাকষি এত তাড়াতাড়ি শেষ?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এইটাই হইল কথা। আমিও সর্পরাণীর সাথে একটা লাঠালাঠির আশায় ছিলাম
..................................................................
#Banshibir.
হ্যাঁ, এদের এই গল্প কেমন শেষদিকে শর্টেকাটে পইড়া গেল। তাড়াতাড়ি দুধমিষ্টি খাওয়ার জন্যে হয়তো সাপপ্রজারা সাপরাণীরে ফণা দিয়া ঠেলতাছিল, ঈশারায় কইতেছিল, "তাড়াতাড়ি ফয়সালা করেন গো রাণীমা, আমরা যে আর পারি না, খুবই খাইতে ইচ্ছা করতেছে!"
হইতো আমাদের মনসামঙ্গল, লাইগা যাইতো প্যাঁচের পর প্যাঁচ, যারে কয় "চাঁদ-চাঁদনি-চক্রধর, চাঁদে চড় চাঁদে চড়।" বেহুলারে ভাসাইয়া এক্কেরে নেতা ধোপানির ঘাটে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এই গল্পে সর্পরাণী বেশ শান্ত ভদ্রমহিলা, অল্পকথাতেই ফয়সালা করে ফেলেছেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এই জন্য রূপকথার গল্প এত ভাল লাগে, সবসময় হেপী এন্ডিং।
ঠিক।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সাপটা তাহলে হার হলো মাত্র একবার! বাকী সময় মানুষ আর সাপ হয়ে থাকলো!!
মজা পেলাম গল্পে। দেখি আজ রাতে আমার ছেলে কী বলে।
____________________________
কী বললো আপনার ছেলে?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
একটা জিনিস খুব ভালো লাগছে, আপনার উপকথাগুলো সবই মিলনান্তক। খুব ভালো লাগলো আপু।
ভালো থাকুন খুব।
-নিয়াজ
আমাদের প্রাচ্যের দিকের বেশীরভাগ গল্প কাহিনী পুরাণ কাব্য মিলনান্তক। ব্যস বাল্মিকী কালিদাসের লেখাগুলো দেখুন, বেশীরভাগ মিলনান্তক। ওঁরা মনে করতেন বিয়োগান্ত কাহিনী অসম্পূর্ণ, তাই ইহলোকে না হলে ভাবলোকে ভাবসম্মিলন ঘটিয়ে দিতেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মন্তব্য করতে দেরি হয় গেল , পানি, সাপ, সাতলহরী হার, ছেলে, সাপ, মানুষ জটিল সার্কেল , আমার মেয়ে গল্প শুনে বলছে "আন্টিটা মনে হয় সাপ থেকে মানুষ বানানোর মন্ত্র জানে", আমার মেয়ে আপনারেই সর্পরানী ভাবছে মনে হয়
ইসরাত
সাপ থেকে মানুষ আবার মানুষ থেকে সাপ- চক্রাকারে।
আপনার মেয়েটা খুব ভালো, ওকে মনসামঙ্গলের গল্প বলেছেন? চাঁদ সদাগর, বেহুলা, লক্ষীন্দর-এদের গল্প?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন