• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

প্রজাপতিডানার রেণুধূলি

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ১৩/০৬/২০১৪ - ১০:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একদিন ভাবছিলাম আর লিখবো না । কী হবে লিখে? তার চেয়ে চোখ মেলে দিয়ে, কান পেতে রেখে, মনের দরজা খুলে চুপ করে বসে দেখাই ভালো। মানুষের হৃদয়ের আলোছায়ার খেলাও তো এই আকাশ বাতাস মেঘ রোদ বন নদীর উপরের আলোছায়ার খেলার মতনই। যারা সত্যিকারের অনুভবী লেখক, যারা সত্যিকারের সূক্ষ্ম স্পন্দনশীল হৃদয় নিয়ে পৃথিবী দেখেন-তারা হয়তো পারেন এই আলোছায়ার খেলা তুলে ধরতে। আমার পক্ষে চেষ্টা করাই মূঢ়তা।

তবু মাঝে মাঝে আকুলিবিকুলি করে ওঠে মনের ভিতরে, না-ফোটা ডানার কুঁড়ি চঞ্চল হয়ে ওঠে, তখন কে যেন কলম তুলে দেয় হাতে, কারা যেন কানের কাছে ফিসফিস করে ওঠে, অনেক অনেক স্বর--- হাল্কা কচি স্বর, গম্ভীর জোরালো স্বর, মেয়েলী কোমল স্বর-সে প্রায় গানের মতন সুরেলা, দানা-দানা পুরুষালী স্বর, তীক্ষ্ণ চড়া স্বর, গাছের পাতায় হাওয়ার মর্মরের মতন নরম স্বর--- ওরা বলে, "বলবে না আমাদের কথা?"

কাগজের উপরে কলম সরে সরে যেতে থাকে, অক্ষরের পর অক্ষর--শব্দের পর শব্দেরা উঠে আসতে থাকে, এসব ঐ স্বরগুলোর গল্প--একসময় দেখি তাদের গল্পের একেকটা অংশ কখন পুরো বা আধা ফুটে উঠেছে কাগজের উপরে। তখন ঐ কুঁড়ির মতন ক্ষুদে ক্ষুদে শব্দগুলি কথা বলতে থাকে, অন্ধকার থেকে আলোর ফুলের মতন ফুটে উঠতে চায় তারা, তাই...

নইলে এসব লেখা...অতি সামান্য ব্যাপার, অতি সাধারণ মানের... কত ভালো ভালো সফল লেখকেরা আছেন, তাঁরা আরো কত ভালো করে বলতে পারতেন...

প্রতিটা লেখার পরেই এমনি একটা মনখারাপী রঙ লেগে যায় মনের আকাশ জুড়ে, কিন্তু সব রঙ মুছে গিয়ে যখন তারারা ফুটে ওঠে মধ্যরাত্রিনীল জুড়ে তখন মনে হয়-এই যে চেনা-অচেনা জীবনগুলো বয়ে চলেছে সুখে দুঃখে আনন্দে বেদনায়, এই যে আলোছায়ার খেলা চলছে নিরন্তর--এরা কোথাও না কোথাও থেকে যেতে চায়, তাই অজস্রের স্বর হয়ে কোলাহল করে, কোথাও না কোথাও পূর্ণের পদপরশ পেতে চায় সব ঘটনাই। এই লেখাগুলোর মতন অতি তুচ্ছ ক্ষুদ্রও।

মনভালোর নীলসবুজগোলাপী কারুকাজ অমনি আবার ফুটতে থাকে। উড়ে যাওয়া প্রজাপতির পক্ষ্মধূলির মতন নরম সেইসব চঞ্চল পলাতক গল্পমালার দিকে চেয়ে হাসিমুখে ফিরে বলতে পারি সেই তরুণ কবির মতন, "শুভেচ্ছা নাও। হারিয়ে যেও না।"

এখানে দেখতে দেখতে গ্রীষ্ম চড়ে ওঠে রোদ্দুরে, ল্যাকপ্যাকে ব্যাকপ্যাক পিঠে নিয়ে হেঁটে আসে ইস্কুলের ছেলেপুলেরা। স্কুলে ওদের এসময় ছুটি বলে নানারকম প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত হয়ে ওরা আসে এসময় ইউনিভার্সিটি দেখতে।

প্রায়ই দেখা যায় একঝাঁক অল্পবয়সী ছেলেমেয়ে তাদের বিশেষ ধরণের পোশাক পরে বড়ো বড়ো লম্বাটে গাড়ী থেকে নামছে রেসিডেন্স হলগুলোর সামনে। সামনের শরতে যারা কলেজে উঠবে তারা গ্রীষ্মের ছুটিতে প্রচুর ভিজিট করে উচ্চ শিক্ষাকেন্দ্রগুলো।

আর দেখি লম্বা সাদা পোষাক আর মাথায় কালো ভেল পরা পাঁচ-ছ'জন তরুণী সন্ন্যাসিনীকে, সবসময় ওরা ক'জন একসঙ্গে চলেন, অংকের ক্লাস নিতে যাওয়াই হোক, ক্যাফেটেরিয়ায় খেতে যাওয়াই হোক বা জিমনাশিয়ামে যাওয়াই হোক। ওঁরা শুধু সামারেই ক্লাস করেন, তারপরে ফিরে যান ওঁদের চার্চে, রোমান ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী এঁরা।

গাছপালার সবুজ এখন খুব ঘন, ঝড়বৃষ্টি না থাকলে আকাশ এত নীলকান্তমণির মতন পরিষ্কার নীল যে দূর্গাপুজোর কথা মনে পড়ে যায় বারে বারে। চত্বরের চারধার ঘিরে অজস্র কাশফুল, এগুলো আমাদের পরিচিত কাশফুলের মতন হাল্কা নরম না, বেশ স্থূল, ঝাপালো। কাশঝোপও শনঝোপের মতন বেশ গোছাধরা। এই ফুল শীতের ক'টা মাস বাদ দিলে প্রায় সারাবছরই হয় এখানে।

মনে পড়ে কীর্তিকে, মনে পড়ে শ্রুতিকে, ওরা দুই বোন, কীর্তি ছোটো, শ্রুতি বড়ো। কীর্তি ছ'মাস ছিলো এখানে, কয়েকদিন আগে চলে গেল অনেক উত্তরে ওর দিদির কাছে। সেখানে মাস দুই কাটিয়ে যাবে মধ্যপশ্চিমের এক রাজ্যে পড়াশোনা করতে।

এখানে ওকে অমল বন্ধুত্ব ও সান্নিধ্য দিয়েছিলো যে পরিবারটি, সেই পরিবারের কর্ত্রী ক্যাথিকে মনে পড়ে, হাল্কা চেহারার মধ্যবয়সী ভদ্রমহিলা, গত শীতে ক্রিসমাসের কিছু আগে ওঁর সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় এই কীর্তি আর আরেক বন্ধু থাজিং এর সূত্রে। আমাদের নিমন্ত্রণ করে খাইয়েছিলেন তখন।

ওদের মেয়ে ভ্যালেরিকে মনে পড়ে, ভ্যালেরি এখন নাচের গ্রুপ খুলেছে শহরে। কিশোরীর মতন নরম চেহারার মিষ্টি মেয়ে ভ্যালেরি। আমারই এত মনে পড়ে ওদের অত অল্প দেখাসাক্ষাতেই, কীর্তির নিশ্চয় অনেকদিন ধরে ওদের মনে পড়বে অনেক অনেক প্রহরে। ওকে ওঁরা প্রায় প্রতি সপ্তাহেই নিয়ে যেতেন কোথাও না কোথাও।

এখান থেকে চলে যাবার আগে ক্যাথিদের কমুনিটি চার্চে ব্যাপ্টিজম হলো কীর্তির, সেদিন ও ক্যাথিদের বাড়ীতে ওর জন্য পার্টি ছিলো। কীর্তি ওর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছিলো সকলের সঙ্গে, ধার্মিক হিন্দু গুজরাতী পরিবারের মেয়ে হিসাবে মুম্বাই শহরে বড়ো হবার সময় ওর ধর্ম নিয়ে কী অভিজ্ঞতা হয়েছিলো, সেইসব।

কনভেন্টে পড়াশোনা করতো ওরা দুই বোন, ষোলো বছর বয়সে ব্যক্তিগত বিপর্যয়ে প্রথম ধর্মের দিকে ঝুঁকে পড়ে ও, দিদি শ্রুতি এই ব্যাপারে সাহায্য করেছিলো ওকে। কীর্তি বলছিলো কেমন করে বাড়ীতে ও বইয়ের মধ্যে লুকিয়ে রাখতো বাইবেল, কেমন করে প্রার্থনা করতো স্নানঘরে জলের কল খুলে দিয়ে যাতে কেউ শুনতে না পায়, কেমন করে ও ওর মায়ের সঙ্গে মন্দিরে গিয়ে বাইরে অপেক্ষা করতো, এখানে আসার পরে প্রথম কীভাবে ও স্বাধীনতা পেলো ধর্মাচরণের----সেসব।

সুখ ও দুঃখের কুসুমেরতনে গাঁথা মালা, এর মধ্য দিয়ে গড়িয়ে যায় জীবন, জীবনের মতন। মানুষ মানুষকে খোঁজে, কথা বলতে চায়, সঙ্গ চায় মানুষের। কখনো আবার চায় না সঙ্গ, একাকীত্ব চায় ভীষণভাবে।

মানুষের মন অতি বিচিত্র। কেউ কি আজও এর রহস্যের কোনো তল পেয়েছে? কোনোদিন কি পাওয়া সম্ভব? কীজানি, না পাওয়াই হয়তো ভালো। বিস্ময় থাক জীবনের কোণায় কোণায়---প্রতিদিন সকালে শিশুর উৎসুক উজ্জ্বল চোখের সামনে দু'হাত মুঠো করে নতুন দিনটি যেমন বলে,"বলো তো, কী আছে এই মুঠোতে?"

মনে পড়ে জেনির বাড়ী, বেশ ক'বছর ছিলাম সেখানে। জেনির অনেক পোষা কুকুর ছিলো, বেড়াল ছিলো। আর ছিলো বাগান। সেখানে জেনি নানা ফুলগাছ লাগাতেন, টোমাটোগাছ আর জুকিনিস্কোয়াশের গাছ লাগাতেন। একবার লাগিয়েছিলেন লালজবার গাছ, কিন্তু শীতের সময় ফ্রস্ট পড়ে পড়ে সে গাছ মরে গেল।

একবার এক সাদা হাঁস এসে আশ্রয় নিয়েছিলো কাঠের ঘরের তলায়-দু'খানা ছানা হয়েছিলো কদিন বাদে। একটা সাদা, একটা রঙীন। রোজ ভোরে মা আর দুই ছানা খাবার খুঁজতো। সাদা ছানাটা হারিয়ে গেছিলো একদিন, ওদের মা বড়ো বড়ো পা ফেলে প্যাঁক প্যাঁক করে ডেকে ডেকে খুঁজছিলো। খানিক পরে খুঁজে পেলো। ছানারা বড়ো হলে তিনজনে উড়ে চলে গেলো নিজবাসে। কেজানে কোথায় ওদের ঘর! হয়তো অনেক দক্ষিণে সমুদ্রের তীরের নারিকেলবনে।

জেনি এত পোষ্য ভালোবাসতো বলেই কি এভাবে অতিথি পাখিরা আশ্রয় নিতো এখনে? ওরা কি বুঝতে পারে কে ওদের চায়? ওদের ডানায় কি লাগে ভালোবাসার অদৃশ্য তরঙ্গ? কেজানে!

জেনির কথা শুনেছিলাম ওঁর নিজের মুখেই। জেনি নিজেও ছিলো পোষ্যপুত্রী। জেনি আর ওর যমজ ভাই--এই দুইজনকে পালক পিতামাতা গ্রহণ করেন আপন সন্তান হিসাবে--একদম ছোটো ওরা তখন, জেনির নিজের নাকি জন্মের পর কয়েকদিন বাঁচার আশাই ছিলো না কী একটা অসুখে।

তারপরে তো ভালো হয়ে গেল সে, পালক পিতামাতার ঘরে বড়ো হতে লাগলো। দেশের নিয়ম অনুযায়ী ছোটোবেলাতেই আস্তে আস্তে জানতে পারে যে ওরা দত্তক ছেলেমেয়ে।

তারপরে জেনির পড়াশোনা, পড়া করতে করতেই বিবাহ ও সন্তান, তারপরে একসঙ্গে চাকরি ও সন্তানপালন, বিবাহবিচ্ছেদ, পুনর্বিবাহ, দশক অতিক্রান্ত হলে আবার বিচ্ছেদ, এখন একা একাই, মাঝে মাঝে বিবাহবিচ্ছিন্ন স্বামী দেখা করতে আসেন, এখন ওঁরা ভালো বন্ধু---সব অবলীলায় বলে গেলেন স্বাভাবিকভাবে। অবশ্য এখানকার নিরিখে খুব অস্বাভাবিক বা অন্যরকম জীবন নয়, হয়তো জেনির নিজের বন্ধুবান্ধবদের মধ্যেও অনেকের জীবন এরকমই ছিলো।

কুকুর পোষার নেশা নাকি জেনির খুব অল্পবয়স থেকেই, ওনার যখন নিজের দুই শিশুকন্যা আর সংসার চাকরি সব ছিল, তখনো নাকি পুষতেন। ভ্রূণ অবস্থাতেই ঝরে যাওয়া শিশুপুত্রটির কথাও বললেন, ছেলেটি জন্মালে একটু বড়ো হলে তাকে নিয়ে ওর বাবা নৌকা করে ফিশিং এ যাবার স্বপ্ন দেখতো। কিন্তু সে তো হলো না!

কী জানি স্থায়ী সংসার আর প্রেমিক-স্বামী/প্রেমিকা-স্ত্রী আর উজ্জ্বল সন্তানেরা---এইসব হয়তো সব মানুষই চায়, কিন্তু যা চাওয়া যায়, সবসময় তা মেলে না, তাই স্বপ্নকল্পনা অবসরমুহূর্তের ভাবনায় থেকে যায় এইসব---আহা যদি অমন হতো!

জেনি রেজিস্টার্ড নার্স ছিলেন, এখন অবসর নিয়েছেন। ওর বড়ো মেয়েও নার্স হয়েছে-ছোটো মেয়ে স্কুলে পড়ায়। তারা কাছেপিঠেই থাকে, মাঝে মাঝে দেখতে আসে। অদ্ভুতভাবে ওঁর বড়ো মেয়ের জীবন খানিকটা জেনির মতন--বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে দুটি সন্তান নিয়ে সে পুনর্বিবাহিত হয় আরেক লোকের সঙ্গে।

ও বাড়ী ছেড়ে চলে এসেছি বহুদিন হলো, তাও মনে পড়ে যায়। কত মানুষ, কত ভিন্ন ভিন্ন রকম জীবনের গাথা।

মনে পড়ে সেই নাম-না-জানা বন্ধুটাকে, কোথায় সে আজ? পথের এক বাঁকে দেখা দিয়ে হাসিমুখে মিলিয়ে গেছে অন্য বাঁকে। আমাদের পুরানো শিক্ষকেরা আজ কোথায়? কেউ কেউ আছেন, মাঝে মাঝে দেখা হয় কালেভদ্রে, কেউ কেউ ধরাধামেই নেই, তাঁরা শুধু স্মৃতির সরণী বেয়ে দেখা দিয়ে যান। সেই সব পুরনো বন্ধুরা, স্কুলের বন্ধুরা, উড়ে গেছে পৃথিবীর কোণে কোণে, হয়তো মানুষের জীবনে এই চলাই কাম্য। চরৈবেতি চরৈবেতি।

স্মৃতিতে ভীড় করে আসে সোনালী গোলাপী পালকের মতন কিশোরবেলা তরুণবেলার বন্ধুরা, ওদের উৎসুক তরুণ মুখগুলো, আশাদীপ্ত, আলোয় উজ্জ্বল-সময় তখনো নখচিহ্ন আঁকে নি ওসব মুখে---প্রজাপতির ডানার রেণুর মতন উড়ে এসে লাগে ওদের গল্পগুলো আমার মনের পাতায়--- মধ্যগ্রীষ্মরাত্রির বাতাসের সঙ্গে ফিসফিস করে বলি,"ভালোবাসা নাও, হারিয়ে যেও না।"


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা ভাল লাগলো। এরকম লেখা পড়লে মন উতলা হয়।

সোহেল লেহস

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ সোহেল লেহস। (ধইন্যা)

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

এক লহমা এর ছবি

(Y) গল্প, গল্প আর গল্প, কত গল্প জীবন জুড়ে!
দুইখান কথা ছিল। :)
(১) ... চোখ মেলে দিয়ে কান খুলে দিয়ে ...
"চোখ মেলে দিয়ে"-টা ঠিক আছে। "কান খুলে দিয়ে"-টা একটু কেমন কেমন হয়ে গেল না?
(২) ... কাগজের উপরে কলম সরে সরে যেতে থাকে, অক্ষরের পর অক্ষর--শব্দের পর শব্দেরা উঠে আসতে থাকে ...
এই এত্তখানি লেখা একবার কাগজে তারপর আবার দেখে দেখে কম্পিউটারে! পারেন কি করে!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তুলিরেখা এর ছবি

(ধইন্যা)
১। "কান পেতে রেখে" করে দিলাম। :-)
২। মনের কাগজে মনের কলম যে! নাহলে এমনিতে তো কীবোর্ড আর হাত। :-)

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

এক লহমা এর ছবি

(Y) :)

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

ভালোবাসা নাও, হারিয়ে যেও না!
..........................
...............................
...............................................................................................................

তুলিরেখা এর ছবি

আহ, তোমার দেওয়া এই গান গুলো! অপূর্ব, অসাধারণ, চমৎকার !
(ধইন্যা) (ধইন্যা) (ধইন্যা)

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

বন্দনা এর ছবি

তুলিদি ভালোবাসা নিও, হারিয়ে যেওনা। :)

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বন্দনা। (ধইন্যা)

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চরৈবেতি - চরৈবেতি, চল, অগ্রসর হও। তীব্রতা ও ক্রমাগতিতেই জীবনের সৌন্দর্য ও সার্থকতা। জীবনের মূলমন্ত্রওতো তাই।
নদী যেমন উৎস হতে মোহনা পর্যন্ত নিজস্ব গতিতে বয়ে চলে, এই বয়ে চলার নামইতো জীবন।
ভাল লাগল, এলোমেলো টুকরোকথা।

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ, অনেক ধন্যবাদ। (ধইন্যা)

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রত্যেক মানুষই ভিতরে খুব একা।
তোমার লেখা পড়ে বুকের সেই হুহু ভাবটা খুব বেড়ে যায়।
তারপরও খুব টানে লেখার সৌন্দর্য আর উপাদান।

অনেক ভালো থাকবে তুলিদি।
শুভকামনা জানবে।

--------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাই। (ধইন্যা)
তুমিও ভালো থেকো।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

:S

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তুলিরেখা এর ছবি

:-?

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।