ইস্কুলবেলার গল্প(৩২)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: সোম, ১১/০৮/২০১৪ - ৩:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেখতে দেখতে লোকজনে ঘর ভরে উঠতে লাগলো, গোল করে পাকানো ডায়াগ্রামের তাড়া নিয়ে সেমিনার দিতে আসা ছাত্রছাত্রীরা, সঙ্গে তাদের গাইড শিক্ষকরা বা শিক্ষিকারা, তাছাড়া এমনি দর্শক, শ্রোতা, ছাত্রছাত্রীরাও আসছে। জাজেরাও শোনা গেল এসে গিয়েছেন, তবে তাঁরা তখন অন্য ঘরে বিশ্রাম করছেন আর টিফিন খাচ্ছেন।

অন্বেষার মুখ আরো খানিক ভয়-ভয় হয়ে গিয়েছে, আমি কিছু জোকস বলে খানিকটা হাসি হাসি করে দিলাম ওকে।

ঘরে লোক আরো বাড়ছে, ঘরের একদিকে একটা উঁচু জায়গা, হয়তো ডায়াসের মতন কিছু ওটা। ঐখানেই ফুল ফুল টেবিলক্লথ দিয়ে ঢাকা টেবিল আর সুন্দর গদীওয়ালা চেয়ার। ঐসব চেয়ারে মনে হয় জাজেরা বসবেন। মঞ্চের একপাশে একটা তিনপায়া কাঠের স্ট্যান্ডের মতন, ঐখানে ছবি ঝুলিয়ে মনে হয় বলতে হবে।

বেশ একটা অন্যরকম ব্যাপার, আমাদের মেয়েদের স্কুল, এখানে মেয়েদের স্কুল ছেলেদের স্কুল সহশিক্ষা স্কুল সব থেকেই এসেছে প্রতিযোগী ছাত্রছাত্রীরা। হঠাৎ মনে হলো আমাদের স্কুলটা সহশিক্ষার হলে মন্দ হতো না ।

টাউনের এক নামকরা স্কুল থেকে এসেছে দুই ছাত্রী, তাদের সঙ্গে তাদের দুই শিক্ষিকা। ওদের হাবভাব আর সাজপোশাক সবই দারুণ আত্মবিশ্বাসী। দেখে মনে হয় আহ, এইরকমই বুঝি হয় তাহলে বড় শহরের ছেলেপুলেরা!

যাই হোক নির্দিষ্ট সময়ে তো শুরু হয়ে গেল সেমিনার। একে একে নাম ডাকা হচ্ছে আর সেই ছাত্র বা ছাত্রী মঞ্চে গিয়ে উঠছে আর বক্তৃতা দিচ্ছে ছবি টবি লেখা টেখা দেখিয়ে, মাত্র পাঁচ মিনিট সময় বরাদ্দ প্রত্যেকের। ভেবেছিলাম প্রত্যেক পরিবেশনের পরে হয়তো ছোট্টো প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকবে, সেসব দেখলাম কিছুই থাকলো না।

অন্বেষার পালা এলে সে গিয়ে বললো আর ঝোলানো ছবির পাতা উল্টে উল্টে দেখালো ডায়াগ্রামগুলো। ভালোই বলেছিল সে, বেশ গোছানো পরিবেশন, মিলারের পরীক্ষার সেই মিথেন, অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন আর জলীয় বাষ্প থেকে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরী হওয়ার জায়্গাটা বেশ দারুণ বুঝিয়ে বললো, কিন্তু ডায়াগ্রাম ছিল হাতে আঁকা, জাস্ট চলনসই।

সেই টাউনের নামকরা স্কুলের ছাত্রী দুজনের বক্তব্য ইত্যাদি আর বলার কায়্দাও মোটামুটি একইরকম ছিলো, একটু বেশী পালিশ ছিল হয়তো। কিন্তু বিরাট তফাৎ ছিলো অন্যত্র। ওদের ডায়াগ্রামগুলো ছিল অতি চমৎকার, একেবারে প্রফেশনাল। ওরাই ফার্স্ট আর সেকেন্ড হলো সঙ্গত কারণেই। অন্বেষা হয়েছিল থার্ড।

ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই পুরো ব্যাপার সমাপ্ত হয়ে একেবারে প্রাইজ ইত্যাদিও দেওয়া হয়ে গেল, তারপরে সবাই বাড়ীর দিকে রওনা হলো।

আমাদের এক দিদিমণি পরে সব শুনে বলেছিলেন ঐ নামকরা স্কুলের ছাত্রীরা এইসব ব্যাপারে ট্রেনিং অনেক ভালো পায়, ওদের সঙ্গে এইসব ব্যাপারে তৈরী করে দেবার জন্য ডেডিকেটেড টিচার থাকেন। উনি দীর্ঘশ্বাস ফেললেন যে আমাদের গাঁ-মফস্বলের স্কুলে সেই কালচারই তৈরী হয়নি যা এইসব একস্ট্রা ব্যাপার, স্পেশাল ব্যাপারগুলোতে আমাদের ট্রেনিং দিয়ে যুগোপযোগী করে তুলবে।

উনি খানিকটা হতাশার সঙ্গে এও বলেছিলেন যে ভালো ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও তো এইসব জিনিসের আগ্রহ নেই, তাদের কাছে উটকো উৎপাত এইসব। কারণ তারা ছকে দেওয়া পথে চার-পাঁচজন প্রাইভেট টিউটর এর কাছে তালিম নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ভালো নম্বর পেয়ে গেলেই খুশি। জয়েন্ট এনট্রান্স পরীক্ষার উত্তীর্ণতালিকায় ভালো জায়্গায় থাকতে পারলেই তাদের পাথরে পাঁচ কিল, কোনো না কোনো শিওর শট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বা মেডিকেল কলেজে ঢুকে পড়তে পারলে মার দিয়া কেল্লা, পড়ার শেষেই লাখবেলাখের চাকরি বা সেইরকম কোনো শাঁসালো জম্পেশ হসপিটালে বা ক্লিনিকে ডাক্তারির অফার ।

তো সে আর কে না জানতো! খুব বেশী বিকল্প রাস্তাও তো চোখে দেখতে পেতাম না আমরা। ভালো ভালো সব কিছুই যেন বিশাল উঁচু একটা পাঁচিলের অন্যপারে, আমরা শুধু তার ভাসা ভাসা আওয়াজ শুনি মাত্র, এই আবিষ্কার হয়ে গেল টপ কোয়ার্ক, এই এক্সপেরিমেন্ট হচ্ছে কোয়ান্টাম এনট্যাংগলমেন্ট নিয়ে, এই পাওয়া গেল ডার্ক ম্যাটারের আভাস, এই জানা গেল আমাদের মহাবিশ্ব প্রসারিত হচ্ছে ক্রমত্বরান্বিত হারে, এই হিউম্যান জিনোম সিকোয়েন্স বার করার জন্য বিশাল প্রোজেক্ট শুরু হচ্ছে, আরো আরো কত কিছু--- সেই সব কিছুই আমাদের কাছে ছিল যেন এক কল্পনার জগৎ, কিছুতেই সেই জগৎটা আমাদের কাছে সত্যি হয়ে আসতো না।

ঐসব ভালো ভালো কাজ, ভালো ভালো আবিষ্কার সবই "ওরা" করবে, "আমরা" কোনো না কোনো কোম্পানিতে ভালোমাইনের কাজ করবো মাত্র। যদি বা আমাদের কারুর কোনো মৌলিক চিন্তা ইত্যাদি থাকেও, সেসব সন্তর্পণে গোপণ করতে হবে কারণ ওসব লাটসাহেবী করতে গিয়ে রেজাল্ট খারাপ হলেই নাকি গভীর গাড্ডায় পড়ে যাবার মতন কেস হবে, সেখান থেকে ওঠার আর কোনো প্রশ্নই থাকবে না।

আমরা সেই সকালে উঠে প্রাইভেট কোচিং যাত্রা, ফিরেই তাড়াতাড়ি নেয়ে খেয়ে স্কুল, স্কুল থেকে ফিরেই আবার আরেক প্রস্থ প্রাইভেট কোচিং যাত্রা কোনো কোনো দিন, নয়তো হয়তো পরেরদিনের কোনো ইউনিট টেস্টের পড়া-এইসব চক্করে পড়ে থাকতাম। পড়াশোনার প্রায় সবটাই একধরণের ব্লাইন্ড মুখস্থবিদ্যা- প্রশ্ন নেই, নিজে নিজে ভাবার স্পেস নেই, নতুন প্রশ্নের উদয় নেই, সেই প্রশ্নের সমাধানের অভিযান নেই, ভুল করার কোনো স্বাধীনতা নেই বলে নিজস্ব পর্যবেক্ষণ ও এক্সপেরিমেন্টের কোনো অবকাশ নেই। থোড়-বড়ি-খাড়া আর খাড়া-বড়ি-থোড়ের এক অদ্ভুত অসহায় অন্ধকার চক্র।

তবু তার মধ্যেও কেউ কেউ বুকের ভিতর আলোর স্বপ্ন লালন করতো ঠিকই।

(চলমান)


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বই করছেন মনে হচ্ছে হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

আর বই! লেখাই আসে না কলমে। মন খারাপ

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কিছু ব্যতিক্রম তো হয় - হয়েই যায়। এর বাইরে গড়পড়তা আমরা আর ওরা পার্থক্যটা জীবনের শেষ পর্যন্ত থেকে যায়। কী চাকুরী, কী ব্যবসায়, কী রাজনীতি হেন জায়গা নেই যেখানে ওল্ড স্কুল বয়েজ নেটওয়ার্ক ছড়ি ঘোরায় না। কোন্‌ স্কুল, কোন্‌ কলেজ, কোন্‌ ইউনিভার্সিটি, কোন ডিপার্টমেন্ট - এই প্রশ্নগুলো প্রতি দিন শুনতে হয়! পদে পদে শুনতে হয়!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তুলিরেখা এর ছবি

বাক্সের মধ্যে বাক্সো, তার মধ্যে আরো বাক্সো। জাতপাতের বাক্সো, ধর্মের বাক্সো, ধনীদরিদ্রের আলাদা বাক্সো, স্কুলকলেজের আভিজাত্য ও হামকীধামকী অনুসারে আলাদা আলাদা বাক্সো, আরও আরও অনেক অনেক বিভাজন। কে উঁচু কে নিচু কে বড় কে ছোটো কে অধিকারী কে অনধিকারী----এরকম হরেক জিনিসের চক্কর আমাদের।সবাই ছোটো ছোটো বাক্সের ভিতরে পড়ে আছি। কখনো বীরপূজা কখনো নাক সিঁটকানো এই করতে করতে কেটে যায় দিন রাত মাস বছর যুগ শতাব্দী। দুনিয়া কিন্তু ঠিকই এগোতে থাকে তার মতন করে।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বাক্সের ভেতরের বাক্সে যারা থাকে তারা কখনো এটা ভাবে না ভিন্ন পরিবেশ পরিস্থিতিতে তার এই কলার নাচানোটা একেবারেই অকাজের জিনিস। সেখানে কেউ তাকে পুঁছবেও না। এগুলোকে বর্ণবাদ/সাম্প্রদায়িকতা বললে লোকে হা হা করে তেড়ে আসবে। অথচ এগুলো বর্ণবাদ/সাম্প্রদায়িকতার সহোদর ছাড়া কিছু নয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তুলিরেখা এর ছবি

একদম।
একজন ব্যক্তি যে তার জাতধর্মবংশস্কুলকলেজপরিচয়ের বাইরে একজন সম্পূর্ণ মানুষ, অনেক অনেক সম্ভাবনার ধারক বাহক, এই মর্যাদা কেউ কাউকে দিচ্ছে এটা দেখিনি আমার সমাজে। মন খারাপ এরই কারণে দেখেছি অনেক সম্ভাবনাময় প্রতিশ্রুতিময় মানুষ নিজেদের খাটো করে চেপেচুপে এঁটে ফেলেছে কোথাও না কোথাও, বাঁচতে তো হবে! ক্ষতি কিন্তু হয়ে গেল মানবজাতিরই, কে বলতে পারে এই লোকেরা হয়তো সত্যিকারের দিশারী কাজ কিছু করতে পারতো।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

এক লহমা এর ছবি

"ভুল করার কোনো স্বাধীনতা নেই বলে নিজস্ব পর্যবেক্ষণ ও এক্সপেরিমেন্টের কোনো অবকাশ নেই।" চলুক
ভাল লেগেছে, তুলিদিদি। (অবশ্য, সে আর নুতন কথা কি! হাসি ) পরের কিস্তির অপেক্ষায় থাকলাম।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তুলিরেখা এর ছবি

সেটাই। অন্তত প্রথমবার ভুল করার স্বাধীনতা থাকা খুব দরকার। নাহলে বহু লোকে ট্রাই করতে পর্যন্ত সাহস পায় না । অনেকে হয়তো জানেই না সারাজীবন যে কোনদিকে তার বিশেষ ট্যালেন্ট ছিল। দমবন্ধ ছকে বাঁধা বারো বছরের স্কুলজীবন (কিন্ডারগার্টেন হিসাবে ধরলে আরো বেশী) মানুষের সৃজনশীলতা ও মৌলিকত্ব গুঁড়িয়ে পিষে শেষ করে দে্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। মন খারাপ

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো ভালো সব কিছুই যেন বিশাল উঁচু একটা পাঁচিলের অন্যপারে, আমরা শুধু তার ভাসা ভাসা আওয়াজ শুনি মাত্র

চলুক

অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। আগে মফঃস্বলে প্রাইভেট কালচারটা কম ছিলো,অন্তত আমাদের বেলাতে কম ছিলো। এখন যে কি হাল কী আর বলব। টিচিং প্রফেশনে থাকার দরুন কাছ থেকে দেখা হলো অনেক। ক্লাস ওয়ান থেকেই যদি পিছনে মাস্টার লাগায়ে রাখে আর সেই মাস্টার গরুকে ঘাস চড়াতে নিয়ে যাবার মতো করে পিটায়ে-মিটায়ে যেইভাবে পারুক সেইভাবে পড়ায়, তাইলে ক্যামনে কি? ইন্টারের সাইন্সের ছেলেদের দেখি বই রেখে স্যারের শিট মুখস্ত করে। আমাদের সরকারী কলেজের এক স্যার ক্যামেস্ট্রি পড়ায় কিন্তু তিনি প্রাইভেটে বা ক্লাসে কোনো বই রেফার করেন না। প্রাইভেটের টাকার বাইরে ৫ হাজার টাকা দিয়ে তার শিট কেনা লাগে।ফিজিক্স,ম্যাথেও শিট। বই ধরেই না অনেকে। পরীক্ষার আগে আমি বই কিনাইছি এমন রেকর্ডও আছে। সাইন্সের ছাত্রের হাতে শিট দেইখা "ওফ শিট" বলে লাফ দেয়া ছাড়া আর কিছু করার আছে??সৃজনশীল আসার পর অবস্থার আরো অবনতি হইছে। শিক্ষকেরা একটা প্রশ্ন বানাইতে পারেনা। নোট/গাইড থাইকা কপি মারে। আর মেট্রিক/ইন্টারে এ প্লাস ক্যামনে পায় সেটা আর না বলি। চরম উদাসের মতো কইতে হয়, "কিছু কথা থাক না গুপন"। রেগে টং

--------------------
আশফাক(অধম)

তুলিরেখা এর ছবি

আমাদের সময়ে (নব্বই এর দশকের মাঝামাঝি) গাঁ-মফস্বলে প্রাইভেট টিউটর কালচার বেশ ভালোমতন শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে ক্লাস ওয়ান থেকে না, আরো অনেক পর থেকে। ক্লাস এইট-নাইন থেকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রা্য গোয়ালের মতন অবস্থা হতো, কিছু কিছু বিখ্যাত অংকের আর ইংরেজীর টিউটর ছিলেন, এক এক ব্যাচে প্রা্য কুড়ি পঁচিশজন থাকতো, এদেরকে গ্যালারি সিস্টেমে বসিয়ে পড়াতেন। আদৌ কেউ কিছু শিখতো বলে মনে হতো না, তাতে কিছু এসে যেত না, কারণ তারা যেতো "নোট" আর "সাজেশন"নিতে। ঐ মুখস্থ করে পরীক্ষায় ভালো নম্বর তোলা-ব্যস, এই ছিল লক্ষ্য। নিজেরাই বলতো-"জানা ফানা শেখা ফেখা ওসব বড় বড় কথা গুলি মারো, কারণ ওসব করে বড়লোক হওয়া যাবে না, বাস্তবতা দ্যাখো, কেরিয়ার গড়ে তোলো এমন যাতে বেশ ভালো একটা নিরুপদ্রব পথে মোটা টাকা পকেটে ঢোকা নিশ্চিত হয়। "
হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ঈয়াসীন এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

আয়নামতি এর ছবি

খুব সত্যি কথাগুলো লিখেছো তুমি! নিজেও তো ঐ চক্রব্যূহের ভুক্তভোগী মন খারাপ
শেষমেশ না ঘরকা না ঘাটকা অবস্হানটা আরো ভোগায়।
ঘোড়ার ডিমের মনুষ্য জীবন বলে আর জীবনে পাখি কিংবা একটা রঙিন ঘুড়ি হতে চাই।
কারণ ওদের তো আর এত সবের হ্যাপা নেই। কিন্তু কি যে হয় সব গুলে খেয়ে ভাবি মনুষ্য জীবনটা মন্দ নয় হে!
ইহাকে কী ডিলাইমা কওয়া যায়! কি জানি রে।

***
কেম্নে ঠ্যাং ভাঙছিলাম জান্তে চাইছিলা...হাত দুইখান যে আস্তো আছে আমার ইহা এক রহস্য।
আমি বেপুক শান্ত সুবোধ মেয়ে কিনা শয়তানী হাসি হুদাই ধড়াম করে পড়ে গেলুম আর ঠ্যাং খান পট্টাস

তুলিরেখা এর ছবি

আহা, মনুষ্য বলেই না এসব বোঝার উপায় আছে। হাসি
কিন্তু তুমি শেষে শুকনা ডাঙায় আছাড় খাইলা???? চিন্তিত

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।