একদিন সব ভেঙে গিয়েছিল একলহমায় । সম্পর্কটাকে পরিত্যক্ত বাড়ির মতন পেছনে ফেলে পথে বার হয়ে গিয়েছিল তারা দু'জনেই । তিল তিল করে গড়ে ওঠা বহু সুখদুঃখের মুহূর্ত মালা থেকে ছিঁড়ে যাওয়া মুক্তোর মতন ছড়িয়ে পড়েছিল ধুলোয় বালিতে বাতাসে জলে আগুনে শূন্যে ।
অথচ এখন, এতকাল পরে দেখা যাচ্ছে এখনও অপেক্ষায় আছে সেই বাড়ি, তার বন্ধ দুয়ার খুলে যায় হাতের মৃদু স্পর্শে । সেই সবুজ দরজা, ছুটির দিনের সকালে যার উপরে বাঁকা হয়ে পড়তো সোনালি রোদ্দুরের রেখা । ভেতরে খোলা একের পর এক ঘরের দুয়ার , সিঁড়ির পর সিঁড়ি, ঘুরতে ঘুরতে উঠে যাচ্ছে ছাদের দিকে,সিঁড়ির রেলিং এর হাতলে সেই চেনা নকশা । আর ছাদে? সেই অপরূপ চিলেকোঠা । বাঁশের মই দিয়ে যার উপরে উঠে দাঁড়ালে দু'জনেরই মনে হত পৃথিবীর চূড়ায় দাঁড়িয়ে আছে তারা, মাথার উপরে শুধু নক্ষত্রে ভরা অসীম মহাকাশ ।
উঠোনের ধার ধরে স্থলপদ্ম, শিউলি, টগর, গন্ধরাজ, চাঁপা ফুলের গাছ । ঘন করে লাগানো রাংচিতা গাছের সীমানা বেড়া উঠোন ঘিরে । পশ্চিমের সীমানার দিকে দু'টি আমগাছ, দু'টি নারকেল গাছ । স্থলপদ্মের রঙ ভোরের বেলা থাকে সাদা, আস্তে আস্তে হালকা থেকে গাঢ় থেকে গাঢ়তর গোলাপী হতে থাকে সারাদিন ধরে । বড় বড় সবুজ পাতা ছায়া মেলে রাখে, তার নিচে কত দুপুরের বিশ্রাম ছিল তাদের । ছিল কত আলাপ, প্রলাপ, বিলাপ । স্নেহময় বৃক্ষছায়ায় ভালোবাসার মধুর অনুভূতি ।
তারপরে কখন যেন যুদ্ধ শুরু হল । সেইসব অর্থহীন যুদ্ধের দিনরাত্রি, বৃথা রক্তপাত ,অসংখ্য অস্ত্রক্ষত । রাত্রির কালো আঁচলের তলায় অন্ধ হাহাকার । অহঙ্কারের তীক্ষ্ণ ছুরিতে ফালাফালা সবুজ শান্তির দ্বীপ ।
একসময় থামল সব,স্তব্ধ হয়ে গেল সব শব্দ । বন্ধ ফটকের গায়ে মাধবীলতা ছেয়ে গেল । অসংখ্য গাছপালা তৃণগুল্ম লতাপাতা পৃথিবীর মায়াময় আঙুলের মতন উঠে এলো মাটি থেকে, সতর্ক যত্নে ঢেকে দিল সব টুটাফাটা, সব ফাটল, ভাঙনের সব দাগ ।
পড়ে থাকা ঘরে ঘরে, দরজায় দরজায়, অলিন্দে অলিন্দে, সিঁড়িতে সিঁড়িতে, ছাদের কার্ণিশে কার্ণিশে ঘুমিয়ে ছিল জীবনের না-হয়ে ওঠা মুহূর্তেরা, ঘুমের ভিতরে জেগে ছিল স্বপ্নের পদ্মদিঘির ঘাটে, যে বাগানঘেরা পদ্মদিঘির স্বপ্ন ছিল তাদের দু'জনেরই ।
আজ দুয়ার খুলে বয়ে এসেছে আনন্দ-প্রবাহিনী, তার স্নিগ্ধ স্পর্শে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে না-হওয়া সেই স্বপ্নজীবনের । দিব্য ছায়াপথে দেখা হবে তাদের, আলোর আলিম্পনে তারা মিশে যাবে প্রগাঢ় বিস্ময়ে ।
রাত্রির ডানা থেকে ঝরে গেল সব জল-
কী যেন ম্যাজিক ছিল বাতাসে কাল,
লোহার খাঁচার দরজা খুলে গেল ।
ভোরবেলা সে উড়াল দিল
অপরাজিতা-নীল আকাশে ।
ওকে নীলকন্ঠ বলে ডাকতো সবাই,
এখন আর ডাকবে না ।
কুসুম-কুসুম রোদ্দুরে সে অহেতুক ডানা ঝাপটায়
বাতাসে এখনও অফুরান যাদু, গা শিরশির করে ।
সে উড়তে থাকে প্রাণপণ-
সোনালি মেঘের প্রাসাদের দিকে,
রুপোলি মেঘের মিনারের দিকে -----
মন্তব্য
এককালে আপনার লেখা পাওয়া যেতো দৈনিকী। এখন সেটা বার্ষিকী হয়েছে। এরপর কি সেটা লিপ্ইয়ারে যাবে নাকি একবারে হ্যালির ধুমকেতুর সাথে মিলিয়ে আসবে! যাকগে, লেখা দিয়েছেন তাতে আমরা খুশি। ধন্যবাদ।
রাংচিতা'র নাম দেখে মনটা উদাস হলো। বাগান বা ঘরের চারপাশে রাংচিতা, জহরবাজ বা মধুজবা'র বেড়া এখন আর কেউ দেয় না। মাঠের পাশে মান্দার, ঢোলকলমী, কাঁটাবাবলা বা ময়নাকাঁটা'র প্রাচীরও আর কেউ তোলে না। আর কোন দেশে এমন এক/দুই প্রজন্মের ভেতর এমন হাজার হাজার গাছ 'নাই' করে দেবার ঘটনা আছে বলে মনে হয় না। এ এক এথনিক ক্লিনজিং।
কোথাও 'গোলাপী', কোথাও 'গোলাপি'; অথবা কোথাও 'কার্নিশ', কোথাও 'কার্ণিশ' হয়েছে। যে কোন একটা রীতি অনুযায়ী শুধরে দেবেন। 'ঊর্ণা' শব্দটা মনে হয় ঠিক হয়না। বিশেষত দীর্ঘ-উ ব্যবহারটা।
কোন কারণ নেই, অথবা হয়তো কোন কারণে লেখাটা পড়ে ল্যু স্যুনের 'পুরনো বাড়ি' গল্পটার কথা মনে পড়লো।
লেখা আসুক, আবার আগের মতো নিয়মিতভাবে।
অটঃ 'ইমা' কই?
কী আর করি বলুন, লেখারা আর আসে না। সচলে যে আসি না তা না, মাঝে মাঝেই আসি, কিন্তু সেইসব চেনামুখ ব্লগারদের লেখা আর দেখতে পাই না। একসময় যারা লেখার বন্যায় সচলের একূল ওকূল ভরিয়ে রাখতো, দুইবেলা পড়েও সামাল দেওয়া যেত না, মন্তব্য করার ফুরসৎ পাবার আগেই ঝাঁকে ঝাঁকে আরো নতুন লেখা এসে পড়ত, তাদের তো আর দেখি না সেভাবে! তাই আমার লেখারাও অভিমান করে কোন্ মাঠে পালিয়ে যায়, ধরে আনতে পারি না।
হুঁ, ছোটোবেলায় দেখা অসংখ্য গাছপালা লতাপাতা আর দেখি না। রাংচিতা, বেড়া-লতা, কমলজবা, লঙ্কাজবা, মৌসীম, নানারকমের কচু, খারকোন, চুকাই, চোরকাঁটা, ঘেঁটু, ওলোটকম্বল ----কতরকম গাছ ছিল আমাদের চারপাশে।
অটঃ ইমা হারিয়ে গেছে । গল্পের ঘুড়িটা লখকাটা হয়ে কোথায় ভেসে গেল, আর দেখতে পাই না । কেজানে হয়তো দূরের আকাশ থেকে আবার কোনোদিন ভাসতে ভাসতে কাছে আসবে ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ব্লগ লেখা নিয়ে আপনার ঠিক আগের লেখাটাতে মন্তব্য করেছিলাম। এখানে আর তার পুনরাবৃত্তি করলাম না।
- দিলেন তো আবার মন খারাপ করে! রাংচিতা আর লঙ্কাজবা (মধুজবা)'র কথা উপরেই বলেছি। কমলজবা মানে ঝুমকো জবা এখন কালেভদ্রে কারো বাগানে দেখা যায়। বেড়া-লতা'র ঠিকঠাক নামটা জানতে পারলে এর কথা বলতে পারতাম। মৌসীম বা মুকুল শিম হঠাৎ হঠাৎ বাজারে মেলে। তার মানে লতাটা কোথাও কোথাও ঠিক আছে। মান কচু- দুধ কচু- ওল কচু- জংলা কচু- কালী কচু- দস্তর কচু- নারকেলী কচু আরও অন্তত সাত-আট রকমের কচু ছিল। তার কিছু কিছু এখন চাষ হয় (মানে হাইব্রীড), আর বাকিরা হারিয়ে গেছে। যারা দেখেছেন তারা জানেন কচু ফুল কী অসাধারণ সুন্দর একটা জিনিস! খারকোন মানে হচ্ছে ঘেঁটু কচু। মোটামুটি নাই হয়ে গেছে। এই যে চৈত্র সংক্রান্তি গেল, এক কালে এই দিনে মা ১৪ বা ২১ রকমের শাক রান্না করতেন। সেই তালিকায় খারকোনও ছিল। চুকাই/চুকর/মেট্টোশ এখন চাষ হয়। বাংলাদেশের সিলেট বিভাগ, চট্টগ্রাম আর পার্বত্য চট্টগ্রামে বেশ ফলে। চুকাই-এর শুকনো চাটনী যে খায়নি সে চাটনী জগতের 'কাচ্চি বিরিয়ানী'র স্বাদ থেকে বঞ্চিত থেকেছে। চোরকাঁটা/নিলাজী/প্রেমকাঁটা পানি জমে না এমন উঁচু মাঠে এখনো কোথাও কোথাও দেখা যায়। ওলট কম্বল/ওলটকমল/বান্দরওলা খুব সীমিত পর্যায়ে চাষ করা হয় এর ভেষজ গুণের জন্য। এর গাঢ় মেরুনরঙা ফুলের তুলনা নেই।
চুকরের চাটনি সত্যিই স্বাদে অতুলনীয়। এতকাল ধরে আমের চাটনি, টোমাটো-খেজুর-আমসত্ত্বের চাটনি, চালতার চাটনি, তেঁতুলের চাটনি ---কতরকমেরই তো খেলাম। কিন্তু চুকরের চাটনির ব্যাপারটাই আলাদা, একেবারে অপূর্ব। ছোটোবেলার সেই স্বাদস্মৃতি আজও অটুট।
আর সেই খারকোন ডাঁটার ভর্তা! ওঃ সে যা জিনিস! সামান্য জিনিস, সামান্য আয়োজনে রান্না, অথচ গরম ভাতের সঙ্গে মুখে দেওয়া মাত্র মনে হয় যেন সুপার একটা ব্যাপার।
বেড়া-লতা নাম বটে, কিন্তু লতানে না, শক্ত গুল্ম জাতীয়। তবে খুব বৈশিষ্টপূর্ণ। কান্ডগুলো কালচে সবুজ, রসপূর্ণ। পাতাগুলো পুরু পুরু, ঘন সবুজ। কাটলে দুধের মতন সাদা রস বার হয়, ছাঁটার সময় খুব সাবধানে করতে হয়, চোখে যেন না লাগে ওই রস। লাগলে জ্বালা করে।
এককালে বাড়ীর হাতার চারপাশে ঐ গাছের বেড়া ছিল। পরে পাঁচিল তোলা হলে ওই বেড়া-লতা বিদায় নিল। এখন মনে হয় অন্ততঃ স্যাম্পল হিসেবে দু'চারটে রেখে দেওয়া উচিত ছিল বাগানের একধারে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মাঝারী বা ছোট মাছের কাঁটাকুটি মিশিয়ে খারকোনের ভর্তা বানানো হতো। তার স্বাদ যে খেয়েছে সেই জানে। মৌসীমের মতো আরেকটা জিনিস ছিল তরুকলা/তুরিকলা নামের। গায়ের রঙটা তেঁতুলের খোলসের মতো, তাতে আবার ছোট ছোট শুঙ। মৌসীমের বীজের রঙটা অদ্ভূত! বকফুল দেখেছেন কখনো অথবা তার বড়া খেয়েছেন? গন্ধ ভাদালী পাতার বড়াও মজার।
বেড়া-লতাকে চিনতে পারলাম, মানে মনে করতে পারলাম। কিন্তু হায়! তাকে যে কী নামে ডাকা হতো সেটা আর মনে নেই। বেড়া-লতার পাতার মধ্যশিরার মাঝ বরাবর আড়াআড়ি চাপ দিলে পুট্ করে ভেঙে যেতো কিন্তু ঐ যে সাদা রস বললেন তার জন্য একটা অর্ধ-বাবল্ তৈরি হতো। একে বলা হতো 'গরুর চোখ'। শুকনো ঘাসের লতা দিয়ে ছোট লুপ্ বানিয়ে তাতে মরিচা গাছের পাতার কষ লাগিয়ে ফুঁ দিলে ছোট ছোট বাবল্ তৈরি হয়ে উড়তো। হিজল ফলের কাঁচা বীজ গুড়িয়ে, পানিতে ভিজেয়ে সেই পানিতে কোন একটা নল (পেঁপের ডগা বা পাটখড়ি) দিয়ে ফুঁ দিলে প্রচুর ফেনায় বাটি উপচে পড়তো।
সময় আমাকে মুছে ফেলেছো কেন?
ধরণীর বুকে আমি একটি বাড়তি হরফ বই তো নই!
বকফুলগাছ এখনও আছে বাড়ির বাগানে । বেসনের গোলায় ডুবিয়ে ছাঁকা তেলে কড়কড়ে বকফুলভাজা -তুলনা নেই। চালবাটার গোলায় ডুবিয়েও হয়, স্বাদটা একটু বদলে যায়।
দেখুন দেখি, খাবারের আলোচনায় নিয়ে চলে গেলাম পুরোপুরি।
ভাদালিপাতাকে শুনেছি গাঁদালপাতা নামে। বড়া খেয়েছি।
এই বলতে গিয়ে মনে পড়ল, গাঁদাফুলগাছের পাতা ফোড়ন দিয়ে মটরডাল, চমৎকার।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
স্মৃতির ঢেউয়ে ভেসে যাচ্ছি।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
লিখতে গিয়ে আমার স্মৃতিও তোলপাড় ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হায়, এসবের কিছুই জানি না আমি! ভীষণ ঈর্ষা হচ্ছে!! শহরে মানুষ হওয়াতে লতা বলতে চিনি শুধু "লতি শাক", নাইলনের দড়ি আর পাটের দড়ি!
****************************************
-- আর কচু বলতে মানকচু আর ওলকচু ছাড়া চিনি শুধু বুড়ো আঙুল! ( )
****************************************
ধন্য আপনাদের স্মৃতি!!!
মাথার ভিতর পুরা চর্কি দিচ্ছে! একমাত্র ঘাস ছাড়া এত লতা-পাতা-শাক-টাকের নামই জীবনে শুনি নাই, দেখা বা খাওয়া তো কল্পনারও বাইরে। আপনারা না বললে নাম শুনে "খায়-না-পিন্দে" সেটাই পর্যন্ত বলতে পারতাম না!!! দিদি, আপনারা ক'জনা মিলে আমার মতো শহরের ইট-কাঠ-পাথর-সিমেন্ট-আলকাতরা-পিচের তলায় আজন্ম চাপা পড়া আর যক্ষে রূপান্তরিত হওয়া ভূতদের জন্য সচলে একটা বোটানি ক্লাশ খুলে ফেলুন, নিদেনপক্ষে এইরকম আরও আরও স্মৃতিচারণ! একটু মানুষ হই।
****************************************
আর হ্যাঁ,
-- এইরকম নামই-না-শোনা হয়তো হারিয়ে যাওয়া জিভে জল আসা অপূর্ব সব ফুল-লতা-পাতা-শাকসব্জি-ভিত্তিক খাবার-দাবার আর রেসিপি নিয়ে কিছু গ্যাস্ট্রোনমি বা রেসিপি পোস্টও কি আশা করতে পারি না?
****************************************
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সুন্দর
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
অনেক ধন্যবাদ ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অনেক ধন্যবাদ ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কবিতা জুড়ে কত শত রূপকের সমাহার, অথবা পুরো কবিতাটিই যেন একটি প্রস্ফুটিত রূপক। খুব ভাল লেগেছে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ রইল । আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকি, লিখবেন কিন্তু ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভাল লাগল ।।।।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
প্রথম বাক্যেই আমার নাম দেখে মনটা বেশ নেচে উঠেছিল। তার পরে দেখি আমাতেই সব ভেঙ্গে গিয়েছিল! বড়ই মুষড়ে পড়লাম! তারপর ভাবলাম - যাকগে, সেই উপলক্ষে একটা লেখা ত পাওয়া গেল!
অনেকদিন বাদে দেখা পেয়ে ভাল লাগল, তুলিদিদি! আরো তাড়াতাড়ি লেখারা আসতে থাকুক।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
দেখা পেয়ে খুব ভালো লাগছে । কতদিন পর কথা হচ্ছে!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ও দিদিইইইই কত্তদিন পর তোমার লেখা, তোমার দেখা পেলেম!!!
কেমন আছো? কোথায় আছো? পত্র দিও, ইয়ে..মানে.. ...
আমি ভালু আছি। তুমিও ভালো থেকো। ভালোবাসা নিও।
আরে আয়নামতি ই ই ই ! কত্তদিন পরে ।
ভালো আছো? লেখা দাও না কেন? তোমরা লেখা দিলে পড়ে আনন্দ তো বটেই, কমেন্ট করতে এসে একটু গল্পও করা যায় সেই সূত্রে ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভালো আছি দিদি। সত্যিই তোমার মত পুরোনো কাউকে দেখলে ভেতরটা আনন্দে লাফিয়ে ওঠে। যেন পুরোনো পেমের সাথে মোলাকাত হলু অনুভূতি হয়! লেখার সূত্রে টুকটাক গপসপ হবে আশা রাখি। ভালো থেকো। ভালোবাসা নিও।
নতুন লেখা দিও, তাহলে গপসপ হবে ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এতদিন পরে লিখলেন? তাও আবার আমি পড়লাম কতদিন পরে! বাড়ি এসেছি, আমাদের গায়ে রাংচিতা, পদ্মদীঘির ঘাট নেই তবু এখানে বসে এই কবিতা কী অদ্ভুত মায়াময় লাগলো। ভালবাসা। প্রতীক্ষায় থাকলাম আরও আরও লেখার।
...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”
বাড়ি গিয়েছেন শুনেই ভালো লাগছে। পদ্মদিঘির ঘাট, রাংচিতার বেড়া, কমলজবার গাছ---সবই তো স্মৃতি এখন, তবু তার কিছু কিছু অংশ হয়তো বা রয়ে গিয়েছে কোথাও না কোথাও । লিখতে ইচ্ছে করে কিন্তু লেখারা তো আসে না, তাই লেখা হয় না সেভাবে । আপনিও তো নিয়মিত লিখতে পারেন এখানে ।
ভালো থাকবেন ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন