চন্দ্রাবতী । শুধুমাত্র নামটা শুনেই মুগ্ধতা ছেয়ে গিয়েছিল অন্য কিছু জানার আগেই । কে রাখলেন এত সুন্দর নাম? এত সুন্দর নাম সেকালে বা একালেও খুবই কম শোনা যায় । তারপরে জানলাম তিনি কবি, রামায়ণের কাহিনি রচনা করেছিলেন আঞ্চলিক আখ্যান বুনে বুনে, চন্দ্রাবতী-রামায়ণ । আরও জানতে পারলাম তিনি মহুয়া পালা রচনা করেছিলেন । আস্তে আস্তে আরও আরও কাহিনি । যেন গোটানো নকশি কাঁথা, একটু একটু করে খুলছে আর নতুন নতুন কল্কা চোখে পড়ছে ।
কিন্তু তৃষ্ণা মেটে না । মনে হয় পূর্বকালের এই অসামান্যা নারীকে নিয়ে আরও আরো অনেক কিছু জানার রয়ে গেল । ফুলেশ্বরী নদীর তীরের গাঁয়ে ভাসান গানের কবির কন্যা হয়ে জন্মেছিলেন যে নারী, তাঁকে নিয়ে কি কোনো উপন্যাস আছে? গল্প আছে? অথবা জীবনীগ্রন্থ?
তাঁর রামায়ণটিই বা কেমন? মূল রামায়ণের আখ্যানভাগের সঙ্গে কী কী জুড়েছেন তিনি? কী কী বাদ দিয়েছেন? তাঁর মহুয়া পালাটিই বা কেমন? তাঁর সময়টি কেমন ছিল? কেমন ছিলেন তাঁর প্রিয়পরিজন?
তখনই মনে পড়ল সচলায়তনের কথা । অনেকদিন হয়ে গেল নিয়মিত আসা হয় না, মাঝে মধ্যে এসে পড়ে যাই । কিন্তু জানি এখানে অনেক গুণী মানুষ আসেন যান, তাঁদের কাছ থেকে চন্দ্রাবতীর সন্ধান পাওয়া সম্ভব বিস্তারিতভাবে । তাই ভাবলাম এখানে লিখি । মন্তব্যের ঘরে হয়তো জমে উঠবে রত্নখনি। চন্দ্রাবতীর কাব্য ও জীবনের ভিতরে হয়তো প্রবেশ করতে পারবো তাঁদের সাহায্যে ।
ষষ্ঠ পান্ডব, সত্যপীর, মনমাঝি, লীলেন, আশালতা, আয়নামতি আর আরও অনেকে, শুনতে পাচ্ছেন? আপনাদের কাছ থেকে সাহায্য পাবার আশায় আছি । বইপত্রের নাম, লিংক, ভিডিও, অডিও, যা পাওয়া যায়, সবই আন্তরিক ধন্যবাদের সঙ্গে গৃহীত হবে ।
আগাম ধন্যবাদ রইল সবার জন্য ।
মন্তব্য
সামান্য সহযোগিতা করি। কতিপয় লিংক - ১, ২, ৩, ৪ । চন্দ্রাবতী রামায়নের কপি'র জন্য লীলেনকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, রামায়নের সম্ভাব্য সব ভার্সান নিয়ে তাঁর গবেষণা চলছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এইখানে চন্দ্রাবতীর রামায়ণের কপি পাইবেন।
সীতা সিংস দ্য ব্ল্যুজ নামে নিনা পেইলির একটা কার্টুন আছে। এই কার্টুনে রামায়ণের ভাষ্য সীতার চোখ দিয়া দেখানো। এই আইডিয়া নিনা পেইলি পাইছিলেন চন্দ্রাবতীর রামায়ণের উপর নবনীতা দেবসেনের একটা লেখা পইড়া, যেখানে নবনীতা দেখাইছেন চন্দ্রাবতীর রামায়ণে সীতার দিকটা উঠে আসছে চমেতকার।
..................................................................
#Banshibir.
নবনীতা দেব সেন এর একটা চমৎকার লেখা, দেশ পত্রিকায় বেরিয়েছিল । সে প্রায় ২০ বছর আগে । সেই লেখাটা থেকেই চন্দ্রাবতী সম্পর্কে আমার আগ্রহের শুরু ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নিনা পেইলির এ্যানিমেশনটা দুর্দান্ত লেগেছে। লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ।
****************************************
নিনা পেইলির আরেকটা দুর্দান্ত এনিমেশন আছে দিস ল্যান্ড ইজ মাইন। দেখা না থাকলে ঐটাও দেখে ফেলুন।
..................................................................
#Banshibir.
দেখলাম অ্যানিমেশন । খুব ভালো ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ষষ্ঠ পান্ডব, সত্যপীর, মনমাঝি বা আর কেউ, মহুয়া পালা কি চন্দ্রাবতীর? নাকি দ্বিজ ঈশানের? এই মহুয়া কাহিনীর কোনো লিংক কি আছে?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
"মহুয়ার পালা" দ্বিজ কানাইর। এটা মৈমনসিংহ গীতিকার অংশ। চন্দ্রাবতীরটার নাম "মলুয়ার পালা"। দু'টিই সম্ভবত নেত্রকোনার চন্দ্রকুমার দে সংগৃহীত এবং ড দীনেশ্চন্দ্র সেন কর্তৃক মৈমনসিংহ গীতিকায় সংকলিত।
কিছু লিঙ্ক (উপরের লিঙ্ক দু'টি সহ) :--
টেক্সট
https://bn.wikipedia.org/s/8ifd
https://bn.wikipedia.org/s/2djo
http://archive.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDRfMTFfMTRfNF8yNF8xXzEyMjM4Ng
http://www.kishorgonj.com/web/14082
http://www.kishorgonj.com/web/14094
http://www.milansagar.com/kobi-chandrabati_kobita.html#top (চন্দ্রাবতীর কিছু পালা / কবিতা)
http://noor122361.blogspot.com/2016/11/blog-post_20.html
http://uzbuk.blogspot.com/2013/03/mohua-and-noder-chand.html
https://www.amarblog.com/doubarik/posts/21817
ভিডিও
চন্দ্রাবতীর জন্মস্থান / বাসস্থান / বাড়িঘর / মন্দির ইত্যাদি সম্পর্কে
https://youtu.be/lf-tMaWTmA8
https://youtu.be/a14xRKVY_8A
https://youtu.be/KYy8th2ZObk
https://youtu.be/TN4_NHFgIZk
https://youtu.be/AQP3KOfxsc8
https://youtu.be/YmP6sQZ40rY
https://youtu.be/uJq3GdZ2gLo (সংগ্রাহক চন্দ্র কুমার দে সম্পর্কে)।
গীতিনৃত্যনাট্য / আবৃত্তি ও নানা ধরণের পারফর্মেন্স
(একই নামে একাধিক লিঙ্ক থাকলেও এগুলি সব ভিন্ন-ভিন্ন প্রোডাকশন। মহুয়া পালা সংক্রান্ত বেশির ভাগ পারফর্মেন্সই সম্ভবত দ্বিজ কানাইর মহুয়া পালাগান নিয়ে, যদিও "মলুয়া" নামে খুব কাছাকাছি নামের আরেকটা পালাগান কবি চন্দ্রাবতীরও আছে। এনিয়ে ভিডিও আপলোডারদের মধ্যে দু'য়েক জায়গায় কনফিউশন থাকা অসম্ভব না।)
মহুয়া সুন্দরীঃ https://youtu.be/B6EGGUK4TJk
মহুয়া সুন্দরীঃ https://youtu.be/RB6T4O7ubfE
মহুয়া সুন্দরী ভলিউম-১ঃ https://youtu.be/3QB3Nw4kyQo
মহুয়া সুন্দরী ভলিউম-২ঃ https://youtu.be/Qy3vjPifyQg
মহুয়া পালাঃ https://youtu.be/qjpJZrWIE74
মহুয়াঃ https://youtu.be/1lblwLFvM0A
পুঁথি-গীতে মহুয়াঃ https://youtu.be/dl7d4x7yB4c
চন্দ্রাবতীর মলুয়া পর্ব-১ঃ https://youtu.be/qn85Tre4QxY (ইউটিউবে আরও ৮-১০ পর্ব আছে)
চন্দ্রাবতীর "দস্যু কেনারামের পালা" পর্ব- ১ঃ https://youtu.be/RIjddyvvxLs?t=2s
চন্দ্রাবতীর "দস্যু কেনারামের পালা" পর্ব- ২ঃ https://youtu.be/hXY5JKc5sqc
বিবিধ
দ্বিজ কানাইর "প্রেমের জয়"-এর আবৃত্তিঃ https://youtu.be/Rtfb6LEt1rc
মহুয়ার পালা অবলম্বনে বাংলাদেশের আধুনিক টিভি নাটকঃ https://youtu.be/Tqw3h2qgSMc
সোনাই-মাধব (ময়মনসিংহ গীতিকা থেকে) : https://youtu.be/cAM-xVKKj1E
সোনাই মাধব (লোকনাট্য দল, বাংলাদেশ): https://youtu.be/aqt1Koj4xMA
ধনেশ চন্দ্র পন্ডিতের নির্দেশনায় কিশোরগঞ্জের শিকড় নাট্য সম্প্রদায়ের উপস্থাপন – "চন্দ্রাবতী" : https://youtu.be/WTlsWIKyTbk
মৈমনসিংহ গীতিকা থেকে কিছু গান
নয়া বাড়িঃ https://youtu.be/IKSKZx-Akw0
কাঙ্খেতে গাগরী কইন্যা (কাঁধে কলস কন্যার?) : https://youtu.be/od1zYf2hgEw?t=1s
যুবতী রাধেঃ https://youtu.be/rtwiHxUx5u4
****************************************
চন্দ্রাবতী সংক্রান্ত আরও কিছু লিঙ্ক --
[url=http://www.milansagar.com/kobi-chandrabati.html https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%80]এক[/url]
দুই
তিন
চার
পাঁচ
ছয়
সাত
আট
নয়
দশ
এগারো
বারো
তের
চৌদ্দ
পনেরো
ষোল
সতের
****************************************
কী বলে যে ধন্যবাদ দেব বুঝতে পারছি না । লিংকগুলো খুবই ভালো, অনেক সমৃদ্ধ হলাম ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আর কেউ কিছু সন্ধান পেলে দেবেন প্লীজ । আগাম ধন্যবাদ ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এত জ্ঞানীগুণীদের পাশে আমার নামখানা দেখে লজ্জায় মরে যাবো কিনা ভাবছি দিদি!
যথেষ্ট সাহায্য আশা করি পেয়ে গেছো ইতিমধ্যেই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারী বিষয়ক একটা পত্রিকা 'চন্দ্রাবতী'র কথা জানি, ( ওটা এখনো বের হয় কিনা জানা নেই)ওই পত্রিকা থেকে কিছু পেতে পারো হয়ত। আমার কাছে যে সংখ্যাটা আছে তাতে সুস্মিতা চক্রবর্তীর একটা প্রবন্ধ আছে 'চন্দ্রাবতীর রামায়ণ: নারীর ইতিহাস, নারীর স্বর' এটা কোনো কাজে লাগবে কিনা জানিও। চন্দ্রবতীকে নিয়ে কোনো গল্প/উপন্যাস/ইতিহাসের খোঁজ পেলে জানাবো।
আয়নামতি, অনেকদিন পর তোমায় দেখে ভালো লাগছে । এখন আর সচলে লেখো না কেন?
সুস্মিতা চক্রবর্তীর ঐ লেখাটা পড়েছি, একজন লিংক দিয়েছিলেন ।
সবচেয়ে ভালো হত যদি চন্দ্রাবতীর রচনা বলে পরিচিত যা যা পাওয়া যায়, মলুয়া পালা, দস্যু কেনারামের পালা ইত্যাদি, এইগুলোর যদি কোনো লিংক পাওয়া যেত । চন্দ্রাবতীর রামায়ণের কিছু অংশ পাওয়া গেলেও চমৎকার হত ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
চন্দ্রাবতীর রামায়ণের কপির লিঙ্ক উপরে দিছি তো। আর মন মাঝি ভাই বাকি পালার লিঙ্ক দিয়া ভরায়লাইছেন।
এইবার সব ঘাঁইটাঘুঁইটা একটা পোস্ট নামান।
..................................................................
#Banshibir.
হ!
****************************************
চন্দ্রাবতী আর আরো আরো নানা চন্দ্রেরে (চন্দ্রকুমার, দীনেশচন্দ্র )লইয়া একটা বড় ব্যাপারের সাধ আছিল। কিন্তু আমার ক্ষমতায় কুলাইবে কিনা জানা নাই। "সেই সময়" পড়তে গিয়া মনে হইল মধ্যযুগ নিয়া তো নাই এমন কিছু! থাকলে কেমুন হয়?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
থাকলে দারুন হয়! দুর্দান্ত হয়!! আপনেই পারবেন!!!
সাধ থাকলে সাধ পুরণের চেষ্টা না করাটা ঘোরতর অন্যায়। অন্যের প্রতি তো বটেই, নিজের প্রতিও। আর হোয়্যার দেয়ার ইজ আ সাধ, দেয়ার ইজ আ সাধ্য। সুতরাং আপনার "বড় ব্যাপার"-টা নিয়ে এগিয়ে যান তুলিরেখা, আমরা আছি আপনার সাথে। মধ্যযুগ থেকে চন্দ্রাবতীদিও চেয়ে আছে আপনার মুখপানে। আর "বড় ব্যাপার" নিয়ে একবারেই এগুতে দ্বিধা থাকলে, আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কিছু "ছোট ছোট ব্যাপার" দিয়ে ওয়ার্ম-আপ করে নিন না?!
এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি, আমরা ছোট-বড় সব 'ব্যাপারেই' আপনার পাশে আছি!
****************************************
সকল চন্দ্র নিয়া চন্দ্র অমনিবাস নামানো যাবে একসময়, কোন সমস্যা নাই। ওয়ান চন্দ্র অ্যাট এ টাইম। চন্দ্রাবতী নিয়া কাজ শুরু করেন আগে।
..................................................................
#Banshibir.
শতবারের দরকার নাই, একবারই চেষ্টা করুন। নিশ্চয়ই হয়ে যাবে। আপনার নিকটস্থ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য বিভাগে যোগাযোগ করলে চাই কি এই ব্যাপারে জলপানিও পেয়ে যেতে পারেন। তাতে মুফতে একটা পোস্টডক্ও করে ফেলতে পারবেন।
অটঃ ডক্টরেট/পিএইচডি'র এক শব্দে বাংলা কী হয়? পোস্টডক্কেইবা কী বলা যায়?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এমন হলে কেমন হয় -
ডক্টরেট/পিএইচডি = বিদ্যাপতি
পোস্টডক্ = বিদ্যামণি
?
****************************************
'বিদ্যাপতি' পুরুষবাচক এবং 'বিদ্যামণি' স্ত্রীবাচক শব্দ। আমাদের দরকার লিঙ্গনিরপেক্ষ শব্দ। তাছাড়া বিদ্যাপতি নামে একজন কবি আছেন, অনেক মানুষও আছেন। একই প্রকার কথা বিদ্যামণি'র জন্যও প্রযোজ্য।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
১। যথাক্রমে 'পণ্ডিত' আর 'অতিপণ্ডিত' বললেই সমস্যা চুকে যায় তাহলে!
জোক্স এপার্ট, এটা কিন্তু মন্দ লাগছে না আমার। সাধারণ ভাষায় এই দুইটার বহুল ব্যবহার আছে ঠিকই, কিন্তু সাধারণ ভাষা থেকেই এধরণের অনেক শব্দ অনেক সময় এপ্রোপ্রিয়েট করা হয়। পণ্ডিত, অতিপণ্ডিত ও মহাপণ্ডিত খুবই সহজবোধ্য শব্দ।
২। আমার সন্দেহ 'ডক্টর' কথাটাও এক সময় পুংবাচক ছিল, কিন্তু পরিস্থিতির চাপে তা এখন ইউনিসেক্স হয়ে গেছে। বিদ্যাপতি/মণি-র ক্ষেত্রেও সেরকম হতে বা এগুলিকে সেভাবে ট্রিট করতে কোনো অসুবিধা তো দেখি না আমি। অধ্যাপিকারা এখন অনেকেই অধ্যাপক হিসেবে পরিচিত হতে পছন্দ করেন এবং এখন এই দেশেই নারী-পুরুষ নির্বিশেষেই অনেক সময়ই অধ্যাপক-ই বলা হয়, আর ইংরেজিতে "প্রোফেসরেস" শব্দটা শোনাই যায় না এখন - পুরুষবাচক "প্রোফেসর" দিয়েই কাজ সারা হয়। অফিস-আদালতে এখন অনেক সময়ই মহিলা বস বা সুপিরিয়রকে ম্যাডাম নয় তথাকথিত পুরুষবাচক 'স্যার' হিসেবেই সম্বোধণ করা হয়। কয়েকদিন আগে কাকরাইলের ভিআইপি রোডের একটা ব্যাঙ্কে গিয়েছিলাম কাজে। হঠাৎ শুনি ঐ ব্যাঙ্কের এক পুরুষ কর্মী তার মহিলা সহকর্মীকে একটা দরখাস্ত ডিক্টেশন দিচ্ছেন - "ডিয়ার ম্যাডাম --" - অমনি ঐ মহিলা সহকর্মীর ঝাড়ি - স্যার বলুন! তারপর ঐ মহিলা কর্মী ৩-৪ মিনিট লম্বা একটা লেকচার দিলেন তার পুরুষ কলিগকে কেন এখন আর দরখাস্তে ম্যডাম-ফ্যাডাম বলতে হয় না।
তবে হ্যাঁ, 'পতি'-র মধ্যে একটু বেশিই পুরুষত্ব আছে মনে হয় - কিন্তু 'মণি'-র মধ্যে অতটা এক্সপ্লিসিটলি নারীত্ব আছে বলে মনে হয়না আমার, তা সে যেই 'বাচক'-ই হোক না কেন! এসব বিষয় আসলে অভ্যস্ত হয়ে উঠার বিষয়।
আর কোনো টাইটেল কারও ব্যক্তিনামের সাথে মিলে গেলে কি সমস্যা বুঝতে পারছি না। ভারতবর্ষে - আর শুধু ভারতবর্ষেই কেন - সারা পৃথিবীতেই মূল ব্যক্তিনামের মধ্যেই পেশা, টাইটেল ইত্যাদি ঢুকিয়ে দেয়ার চল আছে। তাতে যদি কোনো অসুবিধা না হয়, তাহলে এখানেও (অর্থাৎ উল্টোটা) কোনো অসুবিধা তো দেখছি না। তাছাড়া এই শব্দগুলির অর্থগত দিক থেকে নিজস্ব একটা স্পষ্ট ও আলাদা বা স্বনির্ভর সত্তা আছে - সেই সত্তার ভিন্ন ব্যবহারে আমার অন্তত খুব অসুবিধা আছে মনে হয় না।
যাজ্ঞে, মূল কথা হলো, আমার মনে হয় সংস্কৃত পণ্ডিতদের টাইটেলের মতো করে 'বিদ্যা'-র সাথে কোনো একটা মানানসই শব্দ জুড়ে দিয়ে এর বাংলা করা যেতে পেরে। বাকিটা আপনি ভেবে দেখুন।
****************************************
আপনার যুক্তি গ্রহনযোগ্য। পণ্ডিত > অতিপণ্ডিত > মহাপণ্ডিত বললে কিছুটা শ্লেষাত্মক শোনায়। এরচেয়ে আপনার প্রস্তাবিত 'বিদ্যাপতি'কে যদি 'বিদ্যাধর' বলি তাহলে কেমন শোনায়? এতে অন্তত 'পতি'কে বিদায় করা যায়। পোস্টডক্কে যদি 'বিদ্যামণি'র বদলে 'বিদ্যাতীর্থ' বলি তাহলে কেমন হয়! এতে 'মণি'-কে বিদায় করা যায়। এক কালে সংস্কৃত কওমী মাদ্রাসাগুলোতে 'কাব্যতীর্থ' ডিগ্রী দেয়া হতো - অনেকটা 'দাওরায়ে হাদীস' ডিগ্রীর মতো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
"বিদ্যাতীর্থ"-টা চমৎকার লেগেছে। "বিদ্যাধর"-ও চলে, তবে আরও সুন্দর কোনো কম্বিনেশন আছে কিনা ভেবে দেখুন না!
****************************************
এই বিদ্যাসাগর, বিদ্যাতীর্থ, বিদ্যারত্ন এইসব উপাধিগুলো নিয়ে একটু খোঁজখবর করলাম কিছুদিন। এই ধরণের উপাধি একসময়ে সংস্কৃত কলেজ থেকে দেওয়া হত। প্রসঙ্গতঃ, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর নামের বিদ্যাসাগর অংশটি উপাধি, সংস্কৃত কলেজ থেকে ডিগ্রি হিসেবে পান। এর আরো অনেক আগে বহু সংস্কৃত শিক্ষার টোল ছিল দেশ জুড়ে, সেসব জায়্গা থেকেও বিদ্যার্ণব, তর্কচূড়ামণি, তর্কপঞ্চানন, বিদ্যাবিনোদ, বিদ্যারত্ন এই ধরণের উপাধি দেওয়া হত। সংস্কৃত কলেজে সম্ভবতঃ ঐ ট্র্যাডিশনেরই একটা নবজাগরণের চেষ্টা হয়েছিল।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আরে!!! এ যে যারে কয় "ম্যাঘ না চাইতেই বন্যা"। অনেক অনেক ধইন্যাপাতা ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
লিংকগুলি খুবই কাজের।
লেখাটা নামান
অজ্ঞাতবাস
লেখাটা নামানো চ্যালেঞ্জের ব্যাপার ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
জয় মা! বলে চ্যালেঞ্জটা নিয়ে ফেলুন। আমরা সবাই পেছন থেকে হাততালি দিয়ে উৎসাহ যুগিয়ে যাব।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
..................................................................
#Banshibir.
নতুন মন্তব্য করুন