৪। আমরা ঢুকতে মিউজিয়ামের প্রৌঢ় কিউরেটর নিজেই এসে অভ্যর্থনা করলেন। ডক্টর আদিত্য পরিচয় করিয়ে দিলেন ওঁর সঙ্গে। ওঁর নাম অসিতদেবল বসু, উনি ইতিহাসবিদ। ঐ মিউজিয়ামে কাজ করছেন প্রায় ত্রিশ বছর। তবে এই কাজ ওঁর আংশিক কাজ, উনি ইতিহাসের নানা বিষয় নিয়ে গবেষণা আর লেখালিখিও করেন। ওঁর বেশ কিছু ইতিহাসবিষয়ক বই প্রকাশিত হয়েছে গত বিশ বছরে। এ ছাড়া বিভিন্ন জার্নালে বেশ কিছু গবেষণাপত্রও বেরিয়েছে।
আমাদের নিয়ে উনি দোতলায় চললেন। উপরের বিশাল হলঘরে দেয়ালে ঝুলছে বিরাট বিরাট তৈলচিত্র, সবচেয়ে প্রাচীন পূর্বপুরুষ বিষ্ণুযশ ও তাঁর পুত্র পৌত্র প্রপৌত্র ইত্যাদিদের ছবি, যাঁরাই উল্লেখযোগ্য কোনো কীর্তি রেখে গিয়েছেন তাঁদেরই ছবি আছে। আর বড়ো বড়ো কাচের বাক্সে সাজানো আছে এইসব প্রাচীন মানুষদের নানা জিনিসপত্র, ওঁদের পোশাক পরিচ্ছদ, উষ্ণীষ, বইপত্র,
বাদ্যযন্ত্র অলঙ্কার, অস্ত্র শস্ত্র ইত্যাদি সব নানাধরণের জিনিস।
বিষ্ণুযশ আদিত্য এই আদিত্যনগরের প্রতিষ্ঠাতা। বিশাল জমকালো জোব্বা ধরণের পোশাক পরা মাথায় ইয়াব্বড় পাগড়ীওয়ালা তাঁর তৈলচিত্রটি দেখলে বেশ একটা ভয়মিশ্রিত সম্ভ্রম জাগে। এঁর কাহিনী চমকপ্রদ। বহু দূর থেকে নিঃসম্বল ভাগ্যান্বেষী এক যুবক বিষ্ণুযশ এখানে পৌঁছন কাজের সন্ধানে। নিজের পূর্ব-ইতিহাস তিনি কারুকে বলেন নি সেভাবে, শুধু জানা যায় তিনি ছিলেন দক্ষ চিকিৎসক ।
তখন এই অঞ্চলটি ছিল এক দেশীয় রাজ্য। রাজ্যের রাজা নিজের পরিবারের চিকিৎসক হিসাবে বিষ্ণুযশকে নিয়োগ করলেন। অবশ্য তার বাইরেও রোগী দেখতেন ও চিকিৎসা করতেন বিষ্ণুযশ, সেই ব্যাপারে কোনো নিষেধ ছিল না। কারণ বিষ্ণুযশ সবসময়েই বলতেন তিনি আয়ুর্বেদের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মানুষের রোগ আরোগ্য করবার চেষ্টা করার কাজে। রাজ কোষাগার থেকেই নিয়মিত বেতন পেতেন তিনি। কালক্রমে স্থানীয় এক সম্ভ্রান্ত ঘরের কন্যাকে বিবাহ করে পুরোদস্তুর সংসারী হয়ে গেলেন বিষ্ণুযশ।
এর পরে একসময় রাজামহাশয়ের একমাত্র পুত্র, যিনি তখন রাজ্যের বাইরে অন্যত্র ছিলেন শিক্ষাসূত্রে, তিনি রাজ্যে ফিরে আসেন শিক্ষা সমাপ্ত করে। তাঁর রাজ্যাভিষেকের প্রায় সমস্ত ঠিকঠাক, কিন্তু হঠাৎ তিনি অসুখে মরণাপন্ন হয়ে পড়েন। সম্ভবতঃ প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন তরুণ রাজপুত্র। রাজামশাইয়ের তখন পাগল পাগল দশা, রাণীমা অন্নজল ত্যাগ করেছেন, বিশাল
রাজপরিবারের অন্য সব আত্মীয়স্বজন কর্মচারী সবাই কেউ উদভ্রান্ত কেউ সুযোগের অপেক্ষায়-এই চরম ক্যাওটিক একটা অবস্থার মধ্যে মাথা ঠান্ডা রেখে বিষ্ণুযশ অতি সতর্কতা ও যত্নের সঙ্গে রাজপুত্রের চিকিৎসা করতে লাগলেন। নিজের বিশ্বস্ত সঙ্গী ও কর্মচারীদের ছাড়া অন্য কারুকে কাছে ঘেঁষতে দিলেন না।
তিনি জানতেন যে তিনি প্রচন্ড একটা ঝুঁকি নিচ্ছেন, যদি রাজপুত্রকে না বাঁচাতে পারেন, তাহলে তাঁর নিজের ও নিজের পরিবারের সকলের জীবন সংশয় হবে। তা সত্ত্বেও তিনি অসুস্থ ঐ যুবককে বাঁচানোর চেষ্টা ছাড়লেন না। ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল তাঁর এবং রাজপুত্রেরও, কয়েকদিনের মধ্যেই রাজপুত্রের অবস্থা ভালোর দিকে গেল। রাজাও মনের জোর ফিরে পেলেন, রাণীমাও স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরলেন। এর পরেও দীর্ঘকাল রাজপুত্রের চিকিৎসা চললো তাঁকে সম্পূর্ণ সুস্থ করার জন্য। বেশ কয়েকমাস পরে রাজ্যাভিষেক হলো তাঁর।
এই ঘটনার পরেই বিষ্ণুযশ আদিত্য বিশাল পরিমাণ নিষ্কর ভূমি উপহার পান নতুন রাজার কাছ থেকে। শুধু তাই নয় রাজসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদও পান। ঐ বিশাল ভূমিতেই কালক্রমে গড়ে ওঠে আদিত্যনগর। বিশাল উর্বর ভূমির ফসল ফল দিঘির মাছ ইত্যাদি থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছিলেন বিষ্ণুযশ, সেসব ইনভেস্ট করতেন নানা ব্যবসায়, সেইসব ব্যবসার প্রফিট তাঁর সম্পদ আরো বাড়িয়ে তোলে।
এইভাবে ষাট বছর বয়স অবধি অতি দক্ষ বিষয়ী জীবন যাপন করে হঠাৎ তিনি বললেন যে তিনি সংসার ত্যাগ করবেন। ততদিনে তাঁর দুই পুত্র চিকিৎসক হয়েছে,তাদের কাজও ভালো চলছে আর তাদের বিবাহও হয়ে গিয়েছে। তবু সকলে বাড়ীর কর্তার সংসার ত্যাগের সিদ্ধান্তে স্তম্ভিত। অনেক কাকুতি মিনতি করেও কিন্তু তাঁর মতি ফেরানো গেল না, বিষ্ণুযশ পরিব্রাজকজীবন অবলম্বন করে তীর্থে তীর্থে ও নানা অজানা পাহাড়ে পর্বতে বনেজঙ্গলে ঘুরতে লাগলেন। কোনো বিশেষ সন্ন্যাসীসংঘে তিনি যোগ দেন নি,এমনিই গেরুয়া পরিধান করে ঘুরতেন। আর সেই সব পরিব্রজন অভিজ্ঞতা তিনি লিখে রাখতেন পুঁথিতে।
বছরে একবার তিনি বাড়ী আসতেন আর সেইসব লেখাপত্র জমা রেখে যেতেন বাড়ীতে। অর্থাৎ পুরোপুরি সংসার ত্যাগ তিনি করেন নি, ওটা ছিল তাঁর এক ধরণের এক্সপেরিমেন্ট, অজানাকে জানার অদেখাকে দেখার নেশা মেটানো। ছিয়াশি বছর বয়সে শেষবার ভ্রমণে গিয়েই নিরুদ্দেশ হয়ে যান বিষ্ণুযশ আদিত্য, আর তাঁর কোনো সন্ধান মেলেনি। তাঁর বলে যাওয়া নির্দেশ অনুসারে নিরুদ্দেশের বারো বছর পরে তাঁর পুত্রেরা তাঁর উদ্দেশ্যে শ্রাদ্ধশান্তি করেন। সব আত্মীয়স্বজনও শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বছর কয়েক পরে পুত্রেরা তাঁর পিন্ডদানও করে এসেছিলেন।
মিউজিয়ামের একটি ঘরে বিষ্ণুযশের নিজের হাতে লেখা বহু পুঁথি, তাঁর ট্রাভেলগ বলা চলে, সেইসব সযত্নে সংরক্ষণ করা আছে। কেন যেন ভিতরটা শিরশির করছিল কাচের বাক্সে থাকা ঐ পুঁথিগুলোর দিকে চেয়ে, হয়তো ঐ রহস্যময় প্রাচীন মানুষটির মতই রহস্যময় তাঁর লেখাপত্র।
মিউজিয়াম ঘুরে দেখা শেষ হলে কিউরেটর মশাইকে ধন্যবাদ দিয়ে আমরা বেরিয়ে আসি আবার।
এরপর ডক্টর আদিত্য আমাদের নিয়ে গেলেন আর এক জায়গায়। একটি বাড়ী, নাম "সবুজবীথি"। যেতে যেতেই ডক্টর আদিত্য আমাদের বললেন যে এই বাড়ীতে থাকেন এক বৃদ্ধ চিত্রকর, নাম যোগেন্দ্রনাথ, ইনি ডক্টর আদিত্যের দূরসম্পর্কের কাকা। এঁর ছেলেটি, রুদ্রদীপ, সদ্য পাশ করে বেরিয়েছে ভূতত্ত্ব বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী নিয়ে। সেও এখন এই বাড়ীতে আছে। গেট দিয়ে ঢুকে লম্বা মোরাম বিছানো পথ বাগানের মধ্য দিয়ে, পথের উপরে গাছের ছায়া, বাড়ীটার সবুজবীথি নাম সার্থক। গেটের কাছ থেকেই গলা চড়িয়ে ডাকতে ডাকতে এগোচ্ছেন ডক্টর আদিত্য, "যোগেনকাকা, ও যোগেনকাকা, আছেন নাকি?"
বারান্দায় বেরিয়ে এলেন এক প্রৌঢ়া ভদ্রমহিলা, বললেন, " আরে অরুণ যে!আমাদের মনে পড়লো তবে?"
ডক্টর আদিত্য ভদ্রমহিলাকে প্রণাম করে বললেন, "মনে তো পড়ে কাকীমা,নানা কাজে আটকে পড়ি, আসা হয় না। আপনারাও তো যান না। কাশ্মীরা, আবীর, ইনি আমার কাকীমা, সুধাময়ী দেবী। আর কাকীমা, এঁরা আমার ছাত্র-ছাত্রী ছিল একসময়ে, আবীর আর কাশ্মীরা।"
আমরাও প্রণাম করি সুধাময়ীকে, উনি মাথায় হাত রেখে অস্ফুটে বলেন,"থাক থাক, ভালো থাকো, বেঁচে থাকো। এসো, ঘরে এসো সবাই। "
সুধাময়ী আমাদের ড্রয়িং রুমে বসিয়ে চা জলখাবার অফার করলেন কিন্তু ডক্টর আদিত্য বললেন আমরা ছবি দেখতে এসেছি, সবাই খেয়ে বেরিয়েছি।
চিত্রকর ছিলেন তাঁর ছবিঘরে, সেইখানেই সরাসরি গেলাম আমরা। বৃদ্ধ মানুষটি জানালার সামনে চুপ করে বসে বাইরের দিকে চেয়েছিলেন, একেবারে যেন ধ্যানমগ্ন, চারিপাশে কী হচ্ছে খেয়াল নেই। ঘরের মাঝে স্ট্যান্ডে আটকানো বিরাট ক্যানভাসে এক অর্ধসমাপ্ত ছবি।
ছবিটা দেখে চমকে উঠলাম, একটা রুক্ষ বালি-বালি পাথর-পাথর পাহাড়ের পাশ দিয়ে বয়ে আসছে একটা নদী, বালিরঙ জমির উপর দিয়ে এগিয়ে আসছে নদী আর তার দু'পাশে জেগে উঠছে সবুজ ঘাস, লতা, চারাগাছ। বাকীটা আঁকা হয় নি। আড়চোখে কাশ্মীরার দিকে তাকালাম, কিন্তু ওর নজর ছবির দিকে নেই, ও তাকিয়ে আছে ধ্যানমগ্ন বৃদ্ধ শিল্পীর দিকে।
ডক্টর আদিত্য গিয়ে প্রণাম করলেন চিত্রকরকে। সুদূরমগ্ন মানুষটি নিকটে ফিরে এসে বললেন, "কে? ও অরুণ! এতদিন পরে বুড়োকে মনে পড়ল?"
ডক্টর আদিত্য হেসে বললেন, " আমার দুই প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী এসেছে আপনার ছবি দেখতে।"
"ও তাই নাকি?"বলে উনি ব্যস্ত হয়ে জানালার কাছ থেকে উঠে ঘরের মাঝে এলেন। এই ঘরের আর তার পাশের ঘরেরও দেওয়ালে টাঙানো অজস্র ছবি, তেলরঙে আঁকা, জলরঙে আঁকা সব অপূর্ব ছবি। আমাদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাতে লাগলেন উনি।
এর আগে যতবার এসেছি আদিত্যনগরে, শুধুই ডক্টর আদিত্যের বাড়ীতেই থাকা হয়েছে আমার। অকৃতদার ডক্টর আদিত্য আর তাঁর কাজের লোকজন, এদেরই সঙ্গে পরিচয় হয়েছে শুধু। এইবারেই এরকম আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা, মিউজিয়াম দেখা-- এসব হচ্ছে। কেমন একটু অবাক লাগতে থাকে আমার, সঙ্গে সূক্ষ্ম একটু ঈর্ষাও। তবে কি এইবারে কাশ্মীরা এসেছে বলেই এত খাতিরযত্ন? নাকি অন্য কোনো কারণ?
কেজানে! উদাস মনে ছবি দেখতে থাকি। একটা বড়ো ছবির সামনে দাঁড়িয়ে থাকি,ছবিটায় গেরুয়া আর ধূসররঙের প্রাধান্য। একটা ধানকাটা মাঠ, কুটোকাটা খড় ছড়িয়ে আছে, কেমন রিক্ত ধূসর বিষন্ন একটা বিকেলের ছবি, একজোড়া নীড়ে ফিরতে থাকা পাখি গোধূলির আলোমাখা আকাশপটের উপরে-সেইটুকুই যা জীবনের স্পন্দন।
এরপরে বসার ঘরে ফিরলাম সবাই। সেখানে এলো রুদ্রদীপ। ডক্টর আদিত্য আমাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন ওর। পারস্পরিক নমস্কার বিনিময়ের পরে সবাই বসে হাল্কা কথাবার্তা মজা হাসি এইসব হচ্ছে, সুধাময়ী চা জলখাবার এনে বললেন সবাইকে খেতেই হবে তিনি তৈরী করে ফেলেছেন।
রুদ্র শক্তসমর্থ চেহারার তরুণ, মুখেচোখে আত্মপ্রত্যয় ঝকমক করছে। আরো কী যেন একটা আছে ওর চোখে, একধরণের সুদূরমগ্নতা যা ওর বাবার চোখে দেখেছি।
চায়ের সঙ্গে ছিল পকোড়া। পকোড়াগুলো সত্যি দারুণ ছিল। খেতে খেতেই ডক্টর আদিত্য বললেন, "রুদ্র, আজ দুপুরে আমার ওখানে তোকে খেতে বলি যদি,তোর কি কোনো আপত্তি আছে?"
রুদ্রদীপ একটু অবাক হয়ে তাকাল ডক্টর আদিত্যের দিকে, তারপরে হাল্কা করে মাথা নাড়লো দু'দিকে, মানে ওর আপত্তি নেই।
হা হা করে হেসে ডক্টর আদিত্য বলেন, "রুদ্র, তুই চিরকাল অল্প কথার মানুষ রয়ে গেলি। কথা কম কাজ বেশি, তাই না? তাহলে তুই যাচ্ছিস আমার ওখানে ঠিক দুপুর একটায়। ঠিক আছে? "
রুদ্রদীপ মৃদু হেসে আস্তে করে বললো, "ঠিক আছে।"
সত্যিই দেখছি এই ছেলে কথা কম বলে!
আমাদের খাওয়া হয়ে গিয়েছিল, উঠে পড়লাম সবাই। সুধাময়ীকে অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিলাম তিনজনে।
(চলমান)
মন্তব্য
পড়লাম। চলুক লেখা।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
অনেক ধন্যবাদ ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভালোইতো লাগছে,- একটু যেন সেই ছোটবেলায় পড়া রহস্য গলে্পর আমেজ।।।
অনেক ধন্যবাদ ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
পড়ে নিলেম পটাং করে। পরের পর্ব জলদি দিও বাপ।
হ্যাঁ, প্রথম পাতা থেকে চলে গেলেই নতুন পর্ব দেবো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আর একটা ধাক্কা দিলেই প্রথম পাতা থেকে এ পর্বটা সরে যাইবে। রেডি রাখিও হে তোমার পরের পর্বখানা
দিয়ে দিলাম পর্ব ৫
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন