শ্বশুরবাড়ীর সর্বকনিষ্ঠ সদস্যটির অত্যাচারে সেই প্রথম দিন থেকেই আমার জীবন ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেল। সবকিছু সে মহানন্দে তছনছ করে, সারাক্ষন পায়ের কাছে পড়ে থাকে, গায়ের সাথে লেপ্টে থাকে, পিঠ বেয়ে কাঁধে চড়ে, কাঁধ থেকে মাথায় উঠে বসে। মাথায় বসে এখনও যে পেশাব করে দেয়নি, এতেই আমি ‘শুকুর আলহামদুলিল্লাহ’। ও আমার বড় ননদের ছেলে ‘নোটন’; নিজেকে সে তোতোন বলেই পরিচয় দিতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করে। মাত্র দুই বছর বয়সি এই শিশুটি আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যেই আমার জীবনের মূর্তিমান ‘ত্রাসে’ পরিনিত হলো !
ছয়তলা বাড়িটির একেক তলার একেকটি ফ্ল্যাটে ভাশুররা তাদের পরিবার নিয়ে থাকেন। দুপুর আর রাতের খাওয়া-দাওয়া দোতালায় আমার শাশুড়ির ফ্ল্যাটে হয়; গুনে দেখলাম এ বাড়িতে আন্ডা-বাচ্চাসহ মোট সদস্য তেইশ জন ! দোতালাটা সবসময় গমগম করে, কিচির মিচির করে। দোতালা মুলতঃ তোতোনের অভায়রণ্য।
আমি ফোনে কারও সাথে কথা বললে তোতোন যেখানেই থাকুক, মুহুর্তের মধ্যে এসে হুকুম করবে, "আমাকে দাও; আমিও হ্যালো বলব"। প্রতিদিন একবার করে বলে, "লতপত্ কই? গান দাও"। ল্যাপটপে গান শুনে সে কি মজা পায়, কে জানে। মেশিনটার উপর বসে নিরীহ মুখে দু’একটি ‘পাদু’ করাটা তার Hobby ! আমার ফ্রীজ, পানির গ্লাস, টিভির রীমোট, কুকির বয়ম সবকিছু ডাকাতটার দখলে চলে গেল চোখের সামনে ! আমার বান্ধবি তার শিশুকন্যাকে নিয়ে আমার শ্বশুরবাড়ী এসেছিল এবাড়ির লোকজন কতটা খাইষ্টা, এটা ইনভেস্টিগেট করতে; তোতোন ঐ শিশুকে চড়, থাপ্পোর, আঁচর, কামড় দিয়েই শান্ত হয়নি, ওর মাথার লাল রিবন দাঁত দিয়ে কুটিকুটি করে ছিঁড়ে ফেলেছে সবার সামনে !
এই অস্বাভাবিক বদরাগি, জেদি, অশিষ্টাচারী শিশুটিকে কিছু বুঝিয়ে বলার উপায় নেই, শিশুর মা ভয়ঙ্কর মুখড়া রমনী; বাসার সবাই তো বটেই, অত্র এলাকায় সবাই ওনাকে ‘জ্বি হুজুর জ্বি হুজুর’ করে চলে। তাই সবাই ওনার বাচ্চার অভব্য, অসভ্য উপদ্রব নির্বিচারে হাসিমুখে সহ্য করে যায় দিনের পর দিন। আমার দম বন্ধ হয়ে গেলে, যখন কেউ আশে পাশে থাকেনা, তখন অনেক সাহস নিয়ে, সপ্তাহে একবার চোখ পাকাই এই আশায় যে হয়ত আজকের মত তোতোন আমাকে নিস্তার দেবে। সে তার ঘোলা ঘোলা চোখ পিটপিট করে, হেসে বলে, "স্যরি"। (ছোট প্যাকেজের ভেতরে এরকম ধাড়ি বদমাইশ থাকে, জানতাম না) ।
সেদিন সকাল বেলা দোতালায় ঢুকতেই সে দৌড়ে এসে কোলে উঠল এবং হুড়মুড় করে আমার জামার সামনের গলার ভেতর হাত ঢুকিয়ে চীৎকার দিল, “তুমি আমার বল একেনে লুকায়ে রাখসো কেন?! বল দাও”…শুক্রবার সকাল। বাড়ির সব মুরুব্বীস্থানীয় সদস্য দোতালায় এসছে নাশ্তা করতে। এর মধ্য এই বিতিকিচ্ছিরি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমি তাকে যত বুঝাই, আমি বল লুকিয়ে রাখিনি, সে ততই তুমুল বেগে আমার ঐ জায়গায় বল খুঁজতে থাকে। ওর মা ওকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যেতেই আমার দিকে আঙ্গুল তুলে ওর বুকফাটা আর্তনাদ, “তুমি আমার বল চুরী করসো…এ্যা এ্যা এ্যা’…
দুইদিন পর তিন ভাশুরের ছয় কিশোরী মেয়ে আমি অফিস থেকে ফেরা মাত্রই নালিশ দিল, তোতোন মেয়েদের কোলে উঠে জামার গলায় হাত ঢুকিয়ে বল খোঁজাখুঁজি করে। তোতোনের এই আচরণ মাথাচারা দিয়ে উঠে যখন সে আশেপাশে কোনো পুরুষ দেখে !
বল খোঁজা অভিযান আশঙ্কাজনক গতিতে বেড়ে গেল পরবর্তী কয়েক দিনের মধ্যে। ওর মা এ ঘটনা শোনার প্রথম দিন থেকেই ধাপধুপ্ বসিয়ে দিচ্ছে। বাচ্চা ‘ক্যাঁ কোঁ’ করে কিছুক্ষন। তারপর, আবার সামনে যে মেয়ে বা মহিলাকে পায়, তাকেই সন্দেহ কোরে বল খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করে। এর মধ্যে পাঁচটা নতুন বল পেয়েছে সে এর ওর কাছ থেকে; তবুও ক্ষ্যান্ত দেয়নি ঐ অভিযানে।
যতবার তাকে বুঝাই যে, এ রকম পচা কাজ ভাল বাবুরা করে না, সে ততবার এমন মরা কান্না জুড়ে দেয় যে, আশেপাশের সবাই মনে করে, আমি বাচ্চার গলা কাটতে বসেছি। তোতোনের মা শিশুর সাথে আলাপ-আলোচনার ধার ধারতেন না। মারধোর করাকেই উনি শ্রেষ্ঠ শাষন মনে করতেন। এবং বাচ্চার সাথে আমার আলোচনার এ্যাটেম্ট নেয়াকে তিনি ভাল চোখে দেখতেন না। উনি আমাকে ওয়ার্নিং দিলেন, “খবর্দার আমরার বাচ্চারে ধরবা না। আমরার বাচ্চার কোনোই বদভ্যাস নাই”। আমি হাবার মত ওখানে দাঁড়িয়ে থাকি আর ‘যৌথ-পরিবার প্রথা’কে মনের মাধুরী মিশিয়ে আশীর্বাদ বর্ষণ করতে থাকি।
গমগমে দোতালা এখন থমথম করে। উপরতলা, নিচতলা থেকে কোনো কিশোরী আর আসেনা এখানে আড্ডা দিতে। লুডু চ্যাম্পিয়ানশীপ টুর্নামেন্ট আর হয় না, হরর মুভি দেখে ভয়ে আর কোরাসে চিৎকার দেয়া হয় না, কাঁচা আম ভর্তা আর কাড়াকাড়ি করে খাওয়া হয় না। কি অস্বস্তিকর গুমোট একটা পরিস্থিতি !
তোতোনের মা হয়ত আমাকে জবাই করবে তবুও শেষ একটা চেষ্টা হাতে নিলাম। জানি শুনতে হবে, “নতুন বৌ ফাল পাড়ে বেশি”… “খাঁন বাড়ির ছোট বৌটা বিশ্ব-বেয়াদব” ইত্যাদি। রেপুটেশনের খ্যাতা পুড়ি ! এই বদ-শিশুকে পথে আনার একটা এস্পার-ওস্পার উপায় আমাকে করতেই হবে...
শুক্রবার বিকেলে বাসার সব বাচ্চা-কাচ্চাকে দোতালায় দাওয়াত দিলাম। সবার হাতে একটা করে আইস্ক্রিম ধরিয়ে দিলাম, শুধু তোতোনকে বাদ দিয়ে। ওর মা আর নানীর চেহারা ঘষেটী বেগমে রুপান্তরিত হয়ে গ্যাছে…ভয়ে আমার হাঁটু, দাঁত কাঁপাকাঁপি করছে, “ইয়া নফসি,আল্লাহ, এই পুলসেরাত উতরে যাবার হিম্মত দাও আমাকে…” সবাইকে আলাদা করে চিপ্স-এর প্যাকেট দিলাম, শুধু তোতোনকে বাদ দিয়ে। সবাই হা-হা হি-হি করলাম, তোতোনের সাথে একজনও একটা কথাও বলল না। এরপর লুডু খেললাম সবাই দরজায় খিল দিয়ে। ঘরে তোতোনকে আমরা নেইনি। ছাদে গিয়ে আড্ডা দিলাম সবাই, ঘুড়ি উড়ালাম। তোতোন বাদ।
পুরা চার ঘন্টার এই নিদারুন অবহেলা, নিষ্ঠুর উপেক্ষা, চরম অপমান তোতোনের আর সহ্য হলোনা। ভ্যা করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে, আমার হাঁটু জড়িয়ে সে বলে, “স্যরি”। আমি বললাম, “সবার কাছে গিয়ে একবার করে স্যরি বল। আর প্রমিস কর, কখনই বল খুঁজবে না”। চোখভরা পানি নিয়ে, অনুতপ্ত তোতোন প্রত্যেকের সামনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করল, “আমি বল চাইনা। স্যরি”।
এরপর আর এরকম বখাটে, বিখাউজ খাসলত ওই শিশুর মাঝে দেখা যায়নি। খাঁন বাড়ির ইতিহাসে নতুন ছোট বৌটার নাম স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে তার ‘ড্যাম-কেয়ার প্রব্লেম সল্ভিং’ স্কিলের জন্য
মন্তব্য
উচ্ছলা জিন্দাবাদ। তা তোমার শ্বশুর M- শাইকে এই ব্লগটা পড়তে দিও
দেবই দেব উচ্ছলা কি কাউকে ডরায় নাকি?!
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ম্যাডামজী আজকাল তোমারে ভয়ই লাগে । খাইছে, তুমি পারও বটে, তা শ্বশুরের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আরেকটা পোস্ট দিয়ে দিও । তা শ্বশুর মশাইকে বল সচলে যাতে দু'একটা পোস্ট ছাড়েন , এর পর বোঝা যাবে
আহা, শৈশব! বড় হয়ে গেলে সবাই শুধু ভুল বোঝে। দীর্ঘশ্বাস।
_________________
[খোমাখাতা]
আয় হায়...আপনে কি তোতোনের মত বিখাউজ শিশু ছিলেন নাকি?!
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
নাহ। আমি শিশু হিসেবে খুব ভালু ছিলাম। বড় হয়ে একটু তোতোনপন্থী হয়ে পড়েছি। সেজন্যেই বললাম, ভুল বোঝে অনেকেই। আহা, শৈশব! আবারও দীর্ঘশ্বাস।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
তোমার অবস্থা তো দেখি আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগারের মত। উনিও মাঝে মাঝে তোতনের মতো বল খুঁজতেন। এগুলো নিয়ে কেউ প্রথমে মাথা ঘামায় নি, কিন্তু উনি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হওয়ার পরে দুষ্ট লোকেরা বলা শুরু করল - ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিং এর কাজটা উনি নাকি নিজেই করে থাকেন
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
facebook
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বড়রাতো অনেক চালাক...হাতের বদলে চোখ দিয়ে বল খুঁজে। খুব জানতে ইচ্ছা করছে উছলাদি বড়দের এই দুরন্তপনাকে কীভাবে শায়েস্তা করেন...
বোরখা
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
উহু। ঠুলি
বজ্জাত পোলা বটে!!
আমরার পোলারে বজ্জাত কইলো কেডায় রে?!
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
দোয়া করি, তোতোনের মত একটা 'জিনিস' তোমার কোলজুড়ে আসুক...হাসি বের হবে তখন !
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
হাসি তো বের হবেই, নিশ্চিন্ত মনে কিছুদিনের জন্য তোমার কোলে ট্রান্সফার করে দিব
আমার এক বান্ধবীর কিছুদিন হল বিয়ে হয়েছে, তাও খাপে খাপ - খান ফেমিলি... উপরঅলা জানে বেচারির বাসায় এমন বিখাউজ পোলা আছে কিনা
তোতন রক্স!
_________________
[খোমাখাতা]
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
কিছু ছোট ছেলে বাচ্চাদের মধ্যে আমি এই ব্যাপারটা দেখেছি আপু। মেয়েদের কোলে উঠেই গায়ে হাত দিয়ে দেয় । আর একটা ছোট বাচ্চার এই আচরণ যে কতটা বিব্রতকর সেটা বাচ্চার মাকে কোনদিন বুঝানো সম্ভব না!
ঠিকই বলেছ; ছেলে-শিশুদের মত পার্ভার্ট ধরণীতে কমই আছে !
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
এই সমস্যাটা শুধু ছোট ছেলেদের নয়
জানি। বড় ছেলেদেরও এসব সমস্যা আছে। অব্যর্থ থেরাপি হলো, বিবাহ করিয়ে দেয়া
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
তবে যে বড়োগুলোর এই সমস্যা আছে, সেগুলোকে বিবাহ করিয়ে দিলেও কোনও কাজ হয় না।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কোলে উঠিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে ভুল বার্তা পাঠানোর মানেটা কী?
লেখা রকস
ধন্যবাদ
আপনার শিষ্যের লিস্টে আমার নাম এনট্রি করাইলাম সম্প্রতি
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
তোতনকে যেটা করা হয়েছে সেটা আন্তর্জাতিক পরিভাষায় বলে স্যাংশন...আমেরিকা প্রায়ই একে ওকে এই থেরাপি দিয়ে থাকে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমেরিকার আচার-আচরণ দিনকে দিন যা-তা ভাবে আপত্তিজনক হয়ে যাচ্ছে
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ভালো আইডিয়া দিলেন তো, দেখি আমার বল কোথায় গেলো
বান্দর কি আর গাছে ধরে?!
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
তোতন ছেলেটা আসলে ভালো, বেচারা মনের মতো বল পায়না তো কি করবে... বাচ্চাটা একটু চুজি এই আর কি....
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
নোটনের আর কি দোষ। হিমু থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত সকল বড় বড় সাহিত্যিকরা বলের পেছনে ছুটেছেন। উপরে দেখেন বল নিয়ে হিমুর কান্নাকাটি আর নিচে দেখেন কবিগুরুর কান্নাকাটি -
বল দাও মোরে বল দাও
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
.............................................
বল দাও মোরে বল দাও, প্রাণে দাও মোর শকতি
সকল হৃদয় লুটায়ে তোমারে করিতে প্রণতি ।।
সবল সুপথে ভ্রমিতে, সব অপকার ক্ষমিতে,
সকল গর্ব দমিতে খর্ব করিতে কুমতি ।যেন
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে জানুন ভিক্টোরিও ওকাম্পোর আত্মজীবনী থেকে-
“মাঝে মধ্যে আমি যখন তাঁকে তাঁর রহস্যময় বাংলা লেখার খাতাটিতে ক্রমাগত লিখে যেতে দেখতাম, তখন তাঁকে কবিতার কোনো একটি অংশ অনুবাদ করার মিনতি জানাতাম। এক বিকেলে আমি তাঁর ঘরে ফুলদানিতে ফুলগুলো গোছগাছ করতে এসেছি, তিনি তখন বললেন যে তিনি অনুবাদ করছেন। টেবিলে রাখা কাগজটির উপর ঝুঁকে তাকালাম। আমার দিকে মাথা না তুলেই তাঁর হাতটি বাড়িয়ে দিলেন, যে-ভাবে কেউ গাছের ডাল থেকে ফল পাড়ার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়, তেমনিভাবে তিনি একটি হাত আমার স্তনের উপর রাখলেন। মনে হয় এক ধরনের প্রত্যাহারের শিহরণ অনুভূত হলো; মালিকের কাছ থেকে যখন কোনো ঘোড়া আঘাত আশা করে না তেমন মনে হলো আমার কাছে। আমার মধ্যে তৎক্ষণাত একটা পশু চিৎকার করে উঠলো, ‘‘না, এ তো চাই নি।’’ আমার মধ্যে অন্য আরেকটি সত্তা আমাকে সতর্ক করে দিয়ে বলে উঠলো: ‘‘শান্ত হও, নির্বোধ। এটা প্যাগান কোমলতার এক ইশারা।’’
সূত্র: http://arts.bdnews24.com/?p=3641
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ঘটনা তোতোন থেকে রবীন্দ্রনাথে গিয়ে গড়ালো !
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
তখন ফেসবুক থাকলে কী হতো চিন্তা করে দেখেন। ওকাম্পো তৎক্ষণাৎ বেফাঁস কোনো স্ট্যাটাস দিয়ে বসতো, ফটাফট লাইক পড়তো, শরীফ ছাগু হায়াত নোট লিখতো "কাফের কবির কুৎসিত কামের করুণ ক্যাজুয়ালটি কচি কিশোরী: কোমল কুচে কর্কশ করাঘাত", জবাবে রবি ঠাকুরের পাল্টা নোট, "বুইললে তো বুইলবেন বুইলছে!", বিডিনিউজে রিপোর্ট, শহীদ মিনারে ফরহাদ মগবাজারের অনশন, হিযবুত তাহরীর কর্তৃক রবিদার কুশপুত্তলিকা দাহ, শেষমেশ অ্যাটর্নি জেনারেল বলতো, প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা না পেলে রবি ঠাকুর কখনোই নোবেল পেতেন না।
অ্যাটর্নি জেনারেলকে মনে করায়ে দিলেন কেন?! মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছা করতেছে যে এখন ! আমার চুল না, ঐ ভদ্রলোকের চুল !
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
...এবং রবি ঠাকুরের বিষয়ে জাফর ইকবালের নীরবতাটাও অনেকে রহস্যময় মনে করতেন। ইনফ্যাক্ট রবি ঠাকুর যেহেতু আওয়ামী ঘরানার কবি (বঙ্গবন্ধুর মন মত জাতীয় সঙ্গীত লিখেছে এই ব্যাটা) এবং জাফর ইকবাল একই ঘরানার কলামিস্ট, ব্যাপারটা সেহেতু দুইয়ে দুই যোগ করার মত সহজ।
তবে এইসব ঘটনার মোবাইল ভিডিও বের হয়ে গেলে ব্যাটার একদম ভাত মারা যেত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
_________________
[খোমাখাতা]
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
উচ্ছলা রক্স ...
আমি এখানকার ইমোগুলো ব্যাবহার করতে পারিনা কেম?
সুন্দরী ম্যাডাম, অনেক ধন্যবাদ
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আমার এক কাজিন ন্যাংটাকালে পুরাই তোতনের মত ছিল। আপুদের সাথে চা-বানানোর খেলা খেলত। যারা এই খেলাটার সাথে পরিচিত না তাদের জন্যঃ শুরুতে যাকে নিয়ে খেলা হবে তার সামনে গিয়ে বলতে হবে, "আচ্ছা চা কীভাবে বানায় জানো?" ভিক্টিম স্বাভাবিকভাবেই বলবে, "কীভাবে?" তখন খুব দ্রুত বলতে হয় "চাপাতা-চিনি-গরম পানি আর..." শেষ শব্দটি ‘কথা নয় কাজ’ নীতি অনুসারে ছুঁয়ে দেখাত ! ওর আরেকটা খেলা ছিল 'ডুবুরী ডুবুরী খেলা'। আশেপাশে স্কার্ট পরা আপু’রা থাকলে ও মাটিতে হামাগুঁড়ি দিয়ে সাঁতারের ভান করত। সুযোগমত কাউকে পেলে তার স্কার্টের নীচে গিয়ে ‘পানি থেকে ভেসে উঠত’। চিন্তা করেন অবস্থা ! বেচারা এখন আর্মির এক ক্যাপ্টেনকে বিয়ে করে পুরাই সাইজ হয়ে গেসে।
লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা...এরা শিশু না ইবলিস !!
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
মাফ করবেন, আপনার ছোট বেলায় ব্যাট খোঁজার বায়না ছিলনাতো!
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ছিলনা নিশ্চয়ই। থাকলে লুঙ্গি বিদ্বেষ থাক্তো না
ভাগ্যিস তোতন বল খুঁজতেই যেত শুধু, বলস্ খুঁজতে যাওয়ার আগেই ওকে একটা ছবক দিয়ে দিলেন। তবে বাড়ির পুরুষদের একটু সাবধান করে দিতে পারেন।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
হাহা বল খুজার জন্য আপুদের কাছে না গিয়ে ভাইয়াদের কাছে গেলে বংশের নাম ডুবাইত। আল্লাহ যা করেন, ভালর জন্যই করেন
তোতনের জন্য কান্না পাইলো...বেচারারে এখন নতুন বৌ-য়ের পাল্লায় পড়ে মর্দাঙ্গী ঝেড়ে ফেলতে হইলো...
শিশুদের জন্য আমার মনে হয় এইসব বড় পরিবারে থাকা অনেক ভাল...বিদেশে এসে সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছি...আপনি যেরকম ফ্যামিলির বর্ণনা দিলেন, আমাদের দেশের বাসার বাড়িওলার ফ্যামিলি ঠিক সেরকম
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
তোতোনের খুব বাড় বেড়েছিল...যারা ভিক্টিম তারা জানে। আপ্নে তো দূর থেকে ভেংচি দিবেনই
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
শুধু তোতন বা হিম্ভাই না রবি দা'ও সত্তর বছর বয়সে বল নিয়ে খেলা করেছেন
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আহেময, হাসি আর খুক খুক কাশির মাঝামাঝি
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
বাচ্চাকাচ্চাদের খাসলত নিয়ে ফ্রয়েড সাহেব আগেই বলে গেছেন!
হাসলাম না, হাসলে লোকে মন্দ বলবে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
তোতন হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেই উইকেটকীপার যে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে কোন বল (বা ক্যাচ) আর ছাড়বেনা, খপ করে ধরে ফেলবে! তোতন দ্রুত বড় হোক, বিশ্বজয়ী উইকেটকীপার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক।
তাই যেন হয়
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ফ্রয়েডকে আমার ব্যাক্কল মনে হত। কিন্তু তোতোন-কাহিনী ঘটার পর উনাকে আমার আসলেই জ্ঞানী মনে হয়
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ছোটবেলার হারিয়ে যাওয়া বলগুলো এখন কোথায় খুঁজি?
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
- এতদিন পরে ওই বলের কি আর পাম আছে?
বাংলার পিএইচডি যুবসমাজ উচ্ছন্নে গেল গা !
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ক্যান, পর্যায় সারণীর ১৪ নম্বর মৌল কি দুইন্যা থেকে নাই হয়ে গেছে?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সেতো ম্যালা পয়সার ব্যাপার
মানুষজন কৈত্থিকা কৈ গিয়া পৌঁছায়!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
_________________
[খোমাখাতা]
আপনে পারেনও বস
অসুবিধা কি? ভালোমত ফু দিলেইতো কেল্লা ফতে
এহহ সাফি ভাই আপনি না কয়দিন আগে হোস্টেলে যাইতে চাইছিলেন? আজকা আবার বল খুঁজতেছেন? এই সব কি ভালু?
বাচ্চা (ছেলে) ভয়ংকর! "নিস্পাপ" শব্দটা জাদুঘরে ঝুলিয়ে রাখাটা মনে হয় তাহলে মেয়ে শিশুরা ঠেকিয়ে রাখছে
মেয়ে শিশুরাই 'শিশু' নামের মর্যদা রেখেছে এখন পর্যন্ত
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আমার ১০মাস বয়সী ভাগ্নি এই কাজ প্রায় মাসখানেক চালাইছে। আল্লাহ বাচাইছে এখন ভুলে গেছে
আমি শুনছিলাম এক পিচকার কাহিনি, কলেজে থাকতে। ঐ ব্যাটা 'আন্টি' দেখলেই কোলে উঠতে চাইতো। তো এর কারণ যখন পিচকার মা ধরে ফেললো, তখন যতোই চাইতো আন্টিদের কোলে উঠতে, পিট্টা দিয়ে হলেও নিরস্ত করতো। কিন্তু পিচকা এতে ক্ষান্ত হতো না। গড়ায়ে কান্নাকাটি শুরু করে দিতো। তো এই কান্না দেখে শিশুর প্রতি মা'য়ের 'অত্যাচারী' রূপের কারণে পিচকার মা'কে ভর্ৎসনা করতে করতে কোনো দয়ালু আন্টি তাকে কোলে তুলে নিলেও কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কোল থেকে নামিয়ে দিতে বাধ্য হতো।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এবার বিশ্বাস হলো আমার কথা !
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
না, হয় নাই। কারণ আপনের 'খাঁন' বাড়িতে বিয়া হলো ক্যামনে সেইটাই বুঝতাছি না!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মনে পড়ে গেল, আমার এক বন্ধুর নাম ছিল'শঙ্খ বল'। একবার আর এক বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে তার ছোট ভাই( ৫/৬ বছরের) তাকে জিজ্ঞেস করে বসলঃ- তুমি কি খাওয়ার বল, না খেলার বল?'
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
বল নিয়ে তাহলে এত কাহিনী? আমি তো এই বয়সেও তোতনের লেভেলেও উঠতে পারলাম না (
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আহা রে
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
এ কি কল্লেন ? এক বলের কাহিনী কইয়া দেখা যায় সবার কপাল ফাইড়া শিং বাইর কইরা ফেলাইলেন।
-মেফিস্টো
হ
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
তোতনত্ব বয়েস হলেও পিছু ছাড়েনা। বিশেষ করে বড় তোতনগুলো একটু যেনো বেশিই কৌশলী। ছোটবেলায় আমাদের থেকে বড় বয়সের পোংটা কিশোরদের দেখেছি কিশোরীদেরকে ট্রানশ্লেসন ধরতো, " বলতো 'আমার পুতুল' ইংরেজিতে কি হয়?" যেইনা মেয়েটা বলতো "মাই ডল", অমনি সাথে সাথে একশন শুরু হয়ে যেতো।
খুলনায় আমরা একটা সেলুনের সামনে আড্ডা দিতাম। রাস্তার ঠিক ওপারে ছিলো বেয়াইয়ের চায়ের দোকান। সেলুমের মালিক কৃষ্ণদা বেয়াই বলে একটা হুংকার ছেড়ে হাতের দুই আঙুল উঁচু করে ধরতো, তারপর একটা আঙুল পয়েন্টিং করতো নিজজের বুকে। তারপর আবারও তিন আঙুল তুলে ধরে তারপর আবার কাজ লেগে যেতো। এর মানে হলো দুই কাপ দুধ চা আর তিন কাপ লাল চা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ঝাঁসি'র রাণী উচ্ছলা! বলীয়ান পুরুষদের তৃণ মূলেই শায়েস্তা।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
শিশুখাদ্য নিয়ে ধাড়ি বুড়োদের এই নির্মম রসিকতার তীব্র নিন্দা জানায়ে গেলাম।
আমিও
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আমি নিজেই একটা খাইষ্টা পিচ্চি ছিলাম। মেয়ে আত্মীয়দের "ছোট ব্লাউজ" নিয়ে জ্বালাইতাম।
যাহ্ সত্যি ?!
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
হুম, এর পেছনে ভিন্ন কারণ থাকতে পারে। হয়ত শিশুটি নিজেই কোন না কোন ভাবে কখনো এবিউসড হয়েছে। এ ধরনের শিশুরা নিজের বা অন্যের অংগ স্পর্শ করতে চায় বা করে। আমার এক কলিগ নিজেই একদিন রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বললেন তিনি নাকি ক্লাসে দুই ছেলেকে দেখেছেন তাদের প্যান্টের উপর দিয়ে ---- নাড়তে। দুজন দুজনেরটা মহানন্দে নাড়ছে। এবং তারা ক্লাস থ্রির শিক্ষার্থী। এসব ক্ষেত্রে আসলে ওদের সচেতনকরা হয় না। অভিভাবকেরাও সচেতন না। আবার দেখা যায়, শিশুদের উপস্থিতির তোয়াক্কা না করেই বড়রা অশ্লীল ছবি দেখছে। এসব দেখেও ওরা প্রভাবিত হয়। এছাড়াও বাবা-মায়ের কারো মধ্যে যদি যৌন বিকৃত থাকে তাহলেও হতে পারে।বাবা-মায়ের স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবনও ওদের মনে রেখাপাত করে। ওরা এটা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারে না। তাই এসব ব্যাপারে বাবা-মায়েদেরো সচেতন হওয়া দরকার। শিশুদের মধ্যে যৌন চেতনা কেমন কী সেটা ফ্রয়েড সাহেব ভাল বলতে পারবেন। আমার এ ব্যাপারে তেমন জ্ঞান নেই বলে কচকচালাম না।
আর আপনি যে পদ্ধতিতে শিশুটিকে রেইনফোর্স করেছেন, সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। মার ধোর করলে অল্প সময়ের জন্য বাচ্চাদের আচরণ দমন করা যায়, কিন্তু অপেক্ষাকৃত স্থায়ী পরিবর্তন হয় না।
বাচ্চাটার পরিবর্তন বেশ দ্রুতই ঘটেছে।
ওগো রাজকন্যে, ধন্য হলেম তোমার আগমনে
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
কিন্তু উচ্ছলা আপু, আমি একটা ব্যাপার বুঝতে পারলাম না। বাচ্চাটিকে নেগেটিভ রেইনফোর্স দেওয়া হচ্ছে ঠিক। কিন্তু ঠিক কোন আচরণের জন্য তাকে এটা দেওয়া হচ্ছে, সেটা এসোসিয়েট হল কীভাবে? আশ্চর্য তো! মানে, ছেলেটি কী করে বুঝতে পারল যে তার এই আচরণের জন্য তাকে এই রকম অবহেলা করা হচ্ছে? আপনি যখন ছেলেটি এমন করত তখন তাকে রেইনফোর্স করতেন নাকি যে কোন সময়ই রেইনফর্স করতেন? যদি যে কোন সময় রেইনফোর্সের কারণে তার পরিবর্তন ঘটে থাকে, তবে বাচ্চাটি খুবই বুদ্ধিমান। ওকে দিয়েই হবে।
এখানে একটু বলার আছে। শিশুরা তাদের বিশেষ প্রত্যঙ্গটি সম্পর্কে সচেতন হয় তিন বছর বয়সের কাছাকাছি। এই আবিষ্কারের সময়টাতেই বা তার পর থেকে অনেক শিশুকে ( ছেলে মেয়ে দু'পক্ষকেই) উক্ত প্রত্যঙ্গ নিয়ে খেলাধুলা করতে দেখা যাওয়াটা খুব স্বাভাবিক। এর মধ্যে ঠিক যৌনতা জড়িত নয়। নিজেকে আবিষ্কার করার অনুভূতিটাই বেশি কাজ করে এখানে। আর নিজের শরীর স্পর্শ করার মধ্যে অন্যায় কিছু থাকার কথাও নয়। তবে সামাজিক যে ব্যপারটা রয়েছে, তাতে তাকে বুঝিয়ে বলা দরকার যে এটি তার ব্যক্তিগত প্রত্যঙ্গ, তাই অন্যের সামনে একে স্পর্শ করা বা যাই করা সেটা করা উচিৎ নয়, বরং প্রাইভেটলি করা যেতে পারে। আমি আমার প্রফেশনাল জীবনে এমনকি তিন/ চার বছর বয়সের বাচ্চাকে এগুলো করতে দেখেছি। সচেতন হওয়ার দরকার আছে, কিন্তু অযথা এই বিষয় নিয়ে শিশুদের মনে অপরাধবোধ ঢুকিয়ে দেয়া কাজের কথা নয়।
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
মণিকা, সুন্দর বলেছেন যে !
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ধন্যবাদ মণিকা আপা। আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। বাচ্চাদের আদর বা স্পর্শ করা নিয়ে সচেতন করি না। এটা আমাদের গার্জিয়ানদেরই দোষ। আবার অনেক সময় ওরা কারো দ্বারা এবিউসড হলেও নিজের বা অন্যের অংগ স্পর্শ করায় আগ্রহ থাকে। এটা একেক বাচ্চার ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে। । ধন্যবাদ আপনাকে।
উচ্ছলা রক্স !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
(আল্লাদের হাসির ইমো)
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
হা হা হা
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
স্বীকার করতে লজ্জা নেই যে মেয়েদের sense of humour নিয়ে আমার মনে যথেষ্ট সন্দেহ আছে , তবে আপনি সেক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে আনন্দদায়ী ব্যতিক্রম !
আর তোতন এখন থেকে আমার আইডল !
sense of humour...কি জানি তবে আমি সব সময় ফুর্তিতে থাকি। অনেক ঠেকে ঠেকে শিখেছি
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ইসসসি, কি ফচকে পুলা, জানে কি ডর-ভয় নাই!!! আমাদের বাড়ি হইলে এমুন ছেচা দিত জন্মের মত ঠান্ডা হয়া যাইত। এখুনো বাবারে খালি আসতে দেখলেই কইলজাটা বেশ ভালমত কাইপা উঠে, সাধের বিড়িটিড়ি ফালায়া বহু দূরে ভাগি।
লেখা জব্বর। নতুন বৌ পুরান হইলে হার্ড রক, অল্টারনেটিভ সহ যত রকম রক আছে সব হইবো নির্ঘাত।
নতুন বৌ আগে থেকেই ন্যাক্কারজনকভাবে মেটালহেড, নতুন কইরা আর হার্ড রক হইব কেম্নে?
লেখা পছন্দ হওয়ায় হাশিখুশি হৈলাম
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আমি নিজেকে অত্যন্ত দূরদর্শী মানুষ হিসাবে চিনতে পার্লাম। আগেই বুঝছিলাম এই ব্লগার বিখাউজ জনরায় পড়ে। এক্কেবারে বুলস আই!
লেখা রক্স। পড়া শেষ হবার পরে মনে হৈলো, অনন্য একটা স্যাটায়ারের দেখা পাইলাম এইমাত্র।
আমাদের চারপাশে ছড়ায়া থাকা প্রাপ্তবয়স্ক তোতনগুলারে সংশোধন ট্রিটমেন্ট দেওয়া যায় না?
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
শিশু তোতন, প্রাপ্তবয়স্ক তোতন...দোনোটাকেই সংশোধনের এ গুরুদ্বায়িত্ব নতুন-বৌ এর একার নাকি?! দেশের র্যাবগুলা সব একসাথে রিটায়ার করলো নাকি ?!
আমাকে দ্বিতীয়বারের মত বিখাউজ ডাকার জন্য আপোনাকে ধন্যবাদ, হে দূরদর্শী
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ট্রিটমেন্ট নতুন বৌয়ের আইডিয়া এইটা ঠিক, কিন্তু কাজে খাটানোর বেলায় তো বাকিদেরও অংশ নিতে হৈসে। ঐ তরিকায়, খাটাশগুলারে বিবিধ স্থানের ফ্রেন্ডলিস্ট থিকা বয়কট করলে কিছু কাজ হৈতেও পারে, কিজানি!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
হইলেও হইতে পারে
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
নির্ঘাত বলে দিতে পারি, নতুন বৌ ছোটবেলায় তোতনের চেয়ে বেশী দুষ্টু ছিলো!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ঘরের কথা পরে জানলো কেম্নে?!
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ভূল সংশোধনের উপায় সে তত বেশী জানে যে যত বেশী বাস্তব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যায় । আপনি ছোটবেলায় পুংটা না থাকলে কেমনে পারলেন তোতনের বল খোঁজা বন্ধ করতে!! আহারে বেচারা!!!!
আমি পোঙটা ছিলাম, কিন্তু কোনো 'বদভ্যাস' ছিল বলে তো শুনিনি
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
পুলাপাইন মানুষ একটু আধটু বজ্জাত না হইলে আর কি? তোতোন রক্স।
দারুণ লেখা, লেখা আর কমেন্ট পড়তে পড়তে জায়গায় জায়গায় জোরে হেসে না উঠে পারিনি।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
নাহ,যত দিন যাইতাসে তত ন্যাংটাকাল লইয়া আপ্সুস বাড়তাসে,কত্ত ওপেনিং ছাইড়া আইসি রে যাউকগা,কি আর করার।
আপনাকে অভিনন্দন,আমার জানা অর্ধেক খান্দানের মধ্যে পড়লে তোতন নইলে নতুন বউ,দুইজনের একজনরে কোর্মা বানাইয়া ফালাইতো (আমার বাড়ি হইলে তো পর্যায়ক্রমিক রিমান্ড!)। আমাদের দেশে পুলাপাইনরে মানুষ বানানোর একমাত্র উপায় বলতে সবাই "ভিটামিনযুক্ত মাইর" আর তিরস্কার বুঝে। এতে যে লাভ হয় ঘন্টা তার উদাহরণ আমি স্বয়ং child psychology বা শিশুদের কিভাবে কোন "শিক্ষা" দিতে হয় এই ব্যাপারে সবার "হাত থাকতে মুখে কি" মতবাদে আমি ম্যালা বিরক্ত (অবশ্য কইয়া লাভ নাই,আত্মীয়রা জানে আমি বিশিষ্ট বদ্মাইশ,আন্ডা-বাচ্চা সব আমার থেকে ১০০হাত দূরে থাকে )
আপুমণি তো বুঝলেন,বাকিরা বুঝলেই হইলো।ও হ্যা, বাই ডিফল্ট আপনার আন্ডা বাচ্চার ঝাক এই রকম কিছু হইব (কুনো মিস নাই) সো সপ্তাহে ১০১টা নালিশ শুনতে রেডি থাইকেন
আইচ্ছা
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাইলাম গো আফা !!! :D
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আমার জীবনে পড়া সবচেয়ে মজার ব্লগ ! উচ্ছলা রকস !!!
এত্ত বড় মাপের প্রশংসা! লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম, সুমন
সচলে নিয়মিত ঢুঁ মারলে দেখবেন কী অসাধারন সব লেখা এখানে নিয়মিত আসে। চমৎকার সব লেখক, ব্লগারের সমাবেশ এখানে।
শুভেচ্ছা ❤
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ছোটবেলায় এক বিখাউজ কাজিন ছিলো আমাদের বাসায়, মেয়েটা যেমন বেয়াদপ তেমনি উগ্র। ছেলেদের গোপন বিষয়ে তার আগ্রহের শেষ নাই। আমার আরেক বিখাউজ বন্ধু তাকে শায়েস্তা করেছিলো। বাসায় আসার পর জিজ্ঞেস করলাম - চা খাবি? আমি উত্তর না শুনেই ওকে পাশের ঘরে থেকে ডেকে আনলাম চা দেবার জন্য। এরপর ওকে শুনিয়ে শুনিয়ে বন্ধু বল্ল - এই বাজারে চা খাওয়া তো রিস্কি।
আমি বল্লাম কেন?
- কেন আবার? চিনির যা দাম! আর দুধে তো হাতই দেয়া যায় না।
তোতনের মতো আমাদের গ্রামের বাড়ীতে এরকম বদ একটা ছেলে ছিলো। আমার চাচার শালার ছেলে। আমার বড়খালা হচ্ছেন আমার দেখা পৃথিবীর অন্যতম রাগী মহিলা। তো তিনি আমাদের গ্রামের বাড়ী বেড়াতে গেলেন। বাড়ী পৌছানোমাত্র ঐ ছেলে খালার কোলে চড়ে খালার গায়ের জামা কাপড় ধরে টানাটানি শুরু করলো। খালা যতই ওকে ফেরাতে চেষ্টা করে, অবাক ব্যাপার পিচ্চি খিলখিল করে হাসে। শেষে খালামনি পিচ্চিকে আদর করে বল্ল - ”বাবু, কোল থেকে একটু নাতো তো। আমি তোমাকে আবার কোলে নিচ্ছি।” পিচ্চি কোল থেকে নামা মাত্র খালা পিচ্চির খালে ১৬৪ শিক্কার এক চড় বসিয়ে দিলো। পিচ্চি তাল সামলাতে না পেরে ছিটকে পড়লো দু হাত দূরে। আমরা উপস্থিত সবাই হতভম্ব হয়ে গেলাম। পিচ্চির ধাতস্থ হতে কিছুক্ষন সময় লাগলো। তারপর খালা কিছুই হয়নি এমন ভাব করে পিচ্চির সামনে গিয়ে বলে - “আসো বাবু, এবার কোলে আসো”। পিচ্চি তো আর যায় না। খালা আামদের বাড়ীতে ৩ দিন ছিলো। এই ৩ দিনে ঐ পিচ্চি খালার ত্রিসীমানায় ঘেষেঁ নাই। সুতরাং, মাইরের উপ্রে অষুধ নাই এইটা নিপাতনে সিদ্ধ একটা বাক্য।
নতুন মন্তব্য করুন