ডাক্তার বন্ধু কামরুল বদরুলের হাত চেপে ধরে বললেন, আর মাত্র ছয় মাস।
বদরুল ক্ষেপে গিয়ে বলে, ফাতরামির আর জায়গা পাস না? পরক্ষণেই বুঝতে পারে এটা ফাতরামি না জীবনের পরম সত্য।
হাত ছেড়ে ডাক্তার বলে, যা ব্যাটা যা জিলে তেরি জিন্দেগী।
বদরুল আবারও ক্ষেপে গিয়ে বলে,
- জিন্দেগীই তো শেষ।
- ইয়ে মাত সোচ জিন্দেগিমে কিতনে পাল হ্যাঁয়, ইয়ে সোচ কিতনে পাল ম্যায় জিন্দেগী হ্যাঁয়।
ডাক্তার বন্ধু কামরুল বদরুলের হাত চেপে ধরে বললেন, আর মাত্র ছয় মাস।
বদরুল ক্ষেপে গিয়ে বলে, ফাতরামির আর জায়গা পাস না? পরক্ষণেই বুঝতে পারে এটা ফাতরামি না জীবনের পরম সত্য।
হাত ছেড়ে ডাক্তার বলে, যা ব্যাটা যা জিলে তেরি জিন্দেগী।
বদরুল আবারও ক্ষেপে গিয়ে বলে,
- জিন্দেগীই তো শেষ।
- ইয়ে মাত সোচ জিন্দেগিমে কিতনে পাল হ্যাঁয়, ইয়ে সোচ কিতনে পাল ম্যায় জিন্দেগী হ্যাঁয়।
- হিন্দি সিনেমা দেখা কমা শালা উল্লুক।
মাথা ঠাণ্ডা হলে বদরুল মনে মনে বাকেট লিস্ট করে -
- বদরুন্নাহারের একটা ব্যবস্থা করতে হবে
- অফিসে গিয়ে বসকে গালিগালাজ করতে হবে
- তারেক অণুর মতো দেশ বিদেশ ঘুরে ন্যাংটো মূর্তি দেখতে হবে
প্রিয়-বন্ধু খায়রুলকে পাকড়াও করে প্রথমে। বলে, আমার আয়ু শেষ। তুই আমার বদরুন্নাহারকে গ্রহণ করে খায়রুন্নাহার বানিয়ে দে। আমি শারুক খানের মতো করে তোকে শিখিয়ে দিবো ক্যামনে প্রেম করতে হয়। খায়রুল ক্ষেপে বলে, ওই আলুর বস্তা আমার কাছে চালান করতে চাস, যা ভাগ।
অফিসে গিয়ে বসকে গালি দেয়, তুই একটা খানকির ছেলে। বস ক্ষ্যাপার বদলে আঁতকে উঠে বলে, তুমি কিভাবে জানলা? তারপর আড়ালে ডেকে নিয়ে বেতন দিগুণ করে আর প্রমোশন দিয়ে বলে, আর কাউকে বলোনা।
মনের দুঃখে বদরুল দেশান্তরী হয়। সিদ্ধান্ত নেয়, রোগে ভুগে মরা যাবে না। বীরের মতো মরতে হবে।
একমাস পরে কামরুল ডাক্তার দৌড়ায়ে বদরুলের বাসায় হাজির হয়। হাঁপাতে হাঁপাতে বলে,
- ওরে বদরুইল্যা টেস্ট মেটেরিয়ালে ওলট পালট হয়ে গেছে। তোর মূত্র ভেবে যেইটা পরীক্ষা করছি সেইটা আসলে আমার গ্লাসে রাখা মাউন্টেন ডিউ ছিল।
কামরুলকে দেখে বদরুন্নাহার হাউ মাউ করে কেঁদে উঠে। কিছুটা বদরুলের শোকে, কিছুটা কামরুন্নাহার না হয়ে বদরুন্নাহার হবার দুঃখে। হেঁচকি পেড়ে কামরুলকে বলে,
- বদরুল শেষ।
- ক্যামনে কি? ওর টেস্ট মেটেরিয়াল তো মাউন্টেন ডিউ ভেবে আমি, ইয়াক থু।
- দেশান্তরী হইছিল। পাকিস্তানে গিয়ে আফ্রিদির বাড়ির সামনে "মেরী মি আফ্রিদি" লিখে বসে ছিল।
- এই কারণে মেরে ফেলল?
- মারে নাই, বরং আদর করে ডেকে নিয়ে বলে, আ ভি যা ব্রাদার, আন্দার শাহাদাত ভি হ্যাঁয়। ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে সৌদি গেলো।
- তারপর?
- সৌদি গিয়ে রাস্তায় রাস্তায় কেসাস কেসাস করে চিল্লাচ্ছিল।
- ধরে মুণ্ডু কেটে দিছে?
- নাহ একের পর এক আরব শেখ এসে তার পাছায় চুমু খাওয়া শুরু করলো। এক্কেবারে পাছার ছাল বাকল উঠায়ে ফেলল।
বদরুন্নাহার আবারো হাউ মাউ করে ওঠে। কামরুল বুঝতে পারে গর্দভগুলা নিশ্চয়ই কেসাস কে কিস এস শুনেছে।
- ভয়ের চোটে লাল সাগর সাতরে পালিয়ে আফ্রিকার গহিন বনে চলে গেল। আদিবাসীদের কাছে হলুদ, মরিচ সহ গিয়ে বলে খেয়ে ফেল মিজান ।
- ওইটা না পিষে ফেল ছিল? তো কেটে-কুটে খেয়ে ফেলল?
- ওই দলটা ভেজিটেরিয়ান ছিল। খালি বদরুলের সারা গা শেভ করে সব লোম তুলে নিছে ভেজিটেবল স্যুপ বানানোর জন্য। লোমহীন বদরুল ভয়ে এরপর ভূমধ্যসাগর পার হয়ে ফ্রান্স চলে আসলো। ওইখানের এক বেপর্দা মেয়েকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে বলল, আয় যাইগা।
- গণপিটুনি খেয়ে মরে গেলো?
- না। ওই মেয়ে আর কতক বান্ধবী নিয়ে আসলো। এক সপ্তাহ ধরে বদরুলকে নিয়ে জেনা করলো। সারকোজির পরে এইরকম ক্লিন শেভ জেন্টেলমেন নাকি ওরা আর দেখে নাই।
- তারপর?
-ছাড়া পেয়ে টাইটানিকে করে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকা চলে গেলো। ইমিগ্রেশেনে গিয়ে চিল্লায়ে বলল, মাই নেম ইজ বদরুল খান অ্যান্ড আই অ্যাম এ টেররিস্ট।
- গুয়ান্তানামো নিয়ে মেরে ফেলল?
- নাহ, ওকে আচ্ছা খাতির যত্ন করলো। সবাই নাকি শারুক খানের বিশাল ভক্ত। সেইসাথে জন হপকিন্সে নিয়ে গেলো চিকিৎসা করাতে। ওরা টিপেটুপে বলল, ওর কোন সমস্যা নাই।
- তাইলে শালায় মরে নাই?
- খুশী মনে আবার দেশে ফেরত আসলো। গত সপ্তাহে বায়তুল মোকারমের সামনে আতর কেনার সময় আতরওয়ালা নাম জিজ্ঞাস করায় বলছে, মোহাম্মদ বদ, রুল আর বলার সুযোগ দেয় নাই কেউ। ওইখানেই পিটায়ে মেরে ফেলছে লোকজন।
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে কামরুল ভাবে, ঠিকই তো, বদ লোক কি আর মোহাম্মদ হতে পারে?
মন্তব্য
(গুরু)
নো মোর সিজদা, রুকুতে দাড়াও মমিন।
সত্যি করে একটা কথা বলেন তো। এই লেখা কি আপনি অনেক ভেবেচিন্তে সাজিয়েছেন, নাকি হুট করে মাথায় আসলো আর নামিয়ে ফেললেন?
কেন? বেশি ফাতরা হয়ে গেছে?
একটু সময় নিয়েই লেখা।
এইটা একটা মাস্টারপিস!!! অসাধারণ হইছে রে ভাই। খালি হাস্যরস না, সাহিত্যরসের ইয়েও পাওয়া যাইতেছে।
হাস্যরস কে সাহিত্যের বাইরে বের করে দিলেন?
কঠিন বস ... কিছু কওনের নাই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ফেরার কি হৈলো? গরম অবস্থায় শেষ করলেন, সব ঠান্ডা হয়ে গেল যে!
ভাই একটু দৌড়ের উপ্রে আছি, প্রফেসর বিশাল ডেডলাইনের লিস্টি ধরায়ে দিছে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কী লিখলেন এটা!! তব্দা!!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ভাই, হাসতে হাসতে শেষ........
ধন্যবাদ অরিত্র
স্কুলের ক্লাস টেনের সাধুবাবার কোরাস মনে পড়লোঃ
বল হরিবোল, হরিবোল...
পরথমেতে সাধুবাবা গেলেন সুন্দরবন,
সেইখানেতে সাধুবাবার কাইট্যা দিসে **!
এরপরেতে সাধুবাবা গেলেন সুয়েজ খাল,
সেইখানেতে সাধুবাবার কাইট্যা দিসে **!
এরপরেতে সাধুবাবা গেলেন করাচী,
সেইখানেতে সাধুবাবার কাইট্যা দিসে **!
এরপরেতে সাধুবাবা ফিরা আইলেন দেশে,
ফিরা আইস্যা সাধুবাবা **মারা খাইছে...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ভুলে গিয়েছিলাম কোরাস টা
দ্বিতীয় স্টার পর্যন্ত বুঝছি। বাকিগুলা কী ?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপ্নে ক্লাস টেনে পড়েন নাই তাইলে
যথাক্রমে সম্পদ, চুল, বীজ, পুটু...(ট্রান্সলেট করে নেন)
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
বীজ আর পুটু বুঝিনাই। এখন কিলিয়ার
কোবানি হৈছে। তবে লাড্ডু রহমানের সাথে মোহাম্মদ বদ-রুলের পাকিপ্রেম বিষয়ক কথোপকথনটা বাদ পড়ছে বস।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যোগ করে দেন
আগেরগুলির মত মজার হয়নি পুরোটা...
কার্টুনিস্ট আরিফের কথা মনে হলে খারাপ লাগে। সেই মন খারাপের অংশটুকু লেখার মধ্যেও ঢুকে পড়েছে একটু, এজন্য হয়তো অতো মজার হয়নি।
এত হিউমার ভরা মানুষটারো মন খারাপ হয়? আরিফকে যখন বাদ দিল, আমি কিছুই বুঝলাম না, আমি যা ইচ্ছা আঁকাতে পারি ছাপাবে কি ছাপাবে না এটা তো তাদের ব্যাপার-দায়ও তাদের! আশাকরি, সব ঠিক হয়ে যাবে।
ওরে...
কিরে ...
চরম
উদাস?
খেঁক্স
-মেফিস্টো
আপনেতো মিয়া সেইরকম একটা লেখা দিসেন , হাসতে হাসতে আরেকটু হলে চেয়ার উল্টায়া পড়সিলাম আরকি!!
এর পরে সংবিধিবদ্ধ সতর্ককরণ দিয়ে দিবো নে, যেন সবাই মাটিতে বসে লেখা পড়ে।
ভাইজান, আগে আমি আপনার পাখা ছিলাম, এইডা পইরা এখন থেকে এ.সি হয়ে গেলাম। চরম।
হাহাহাহাহা!
আপনি মিয়া চরম ফাউল!
ওই মিয়া পাইছেনটা কি ? খালি 'আবুল' তাবুল লেখেন । আরে মমিন যদি পেছনে ধাওয়া করে তো কি করবেন ।
ধাওয়া করার মতো কিছু লিখলাম নাকি?
পুরাই মাল
অসাধারণ হয়েছে।
ধন্যবাদ পৃথ্বী
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
হা হা , আসলেই আপ্নি চরম উদাস
পুরাপুরি উদাস হইতে পারলে তো জীবনের সব সমস্যাই মিটে যেত
হাসতে হাসতে কোমায় চলে গিয়েছিলাম, আবার মনে হল পরের লেখাগুলো পরা দরকার, তাই কোমা ব্রেক করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলাম। গ্রেট!
আপনি কি ক্যামেরা হারানো সুমাদ্রি নাকি? আরও কিছু ভ্রমণের গপ্প ছাড়েন।
ভাই, দেশে আসলে একটু আওয়াজ দিয়েন। এই হিউমার সেন্স যেই লোকের, তারে একটু দেখতে চাই স্বচক্ষে !!
আর দেখা ক্যামনে করবো? সবাই খালি লুকায়ে লুকায়ে সচলাড্ডা দেয় । পরের বছর সামারে আসবো, তখন যদি সচলাড্ডায় ঠাই না পাই তাইলে কিন্তু মগবাজারের সোনা ব্লগ আড্ডায় যোগদান করে ফেলবো।
আপনের প্রত্যেকটা লেখা খুব চমৎকার... জগা খিচুরি থেকে শুরু করে আমি আপনার নিয়মিত পাঠক। তবে আমার মন্তব্য করতে ভাল লাগেনা বানানের ভয়ে আমি অর্ধেক অভ্র অর্ধেক গুগল ট্রান্সলিটারেশন দিয়ে লিখি ( যে শব্দ গুলা অভ্রতে পারিনা )
মাহমুদ
ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই। অভ্র কিন্তু একাই একশ। বেশ ভালো একটা স্পেল চেকারও আছে। একটু প্র্যাকটিস করলেই দেখবেন অভ্র দিয়ে লেখা কত সহজ।
সুপার ডুপার বাম্পার
sas
মিয়া, আপনে খান কী কন তো?
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
মনে হয় ভেজিটেবল স্যুপ
ছুপ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনি একটা মোহাম্মদ বদ বদ বদ
একটা অজানা তথ্য দি, খতিবের সামনে ক্ষমাপ্রার্থী দল হাজির হতেই খতিব বলেছিল, প্রথম আলোর সম্পাদক কে? মতিউর রহমান পরিচয় দিতেই খতিব বলল-- আপনার তো আলো ছড়ানোর কথা, কালো ছড়াচ্ছেন কেন?
facebook
আরে, এই জটিল কথোপকথনটা তো জানা ছিল না। অনেক ধন্যবাদ জানানোর জন্য। কার্টুনিস্ট আরিফের কোন হালনাগাদ খবর জানেন? শেষ খবর পেয়েছিলাম কুলদা রায়ের এই পোস্ট থেকে - কার্টুনিস্ট আরিফের পাশে দাঁড়ান
এই পোস্ট পইড়া মানুষ না নাইচা থাকে কেম্নে?!
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আরে, অনেকদিন পর মাদাগাস্কারের জটিল গানটার কথা মনে করিয়ে দিলেন
ক্যামনে পারেন!!!
_________________
[খোমাখাতা]
ছুপ খেয়ে
মাউন্টেন ডিউ না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই
দিন দুনিয়া লইয়া ম্যালা দুঃখে আছিলাম,৫ মিনিটের জন্য হইলেও সব গুইলা খাইয়া ভুইলা গেছি.....আপনি মহান গুরু!!
৫ মিনিটের জন্য আপনার দুঃখ কমাতে পারেছি, এটাই অনেক। কি আছে দুনিয়ায়, আনন্দে থাকুন
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
চ্রম!!
love the life you live. live the life you love.
আহা ! ধন্যবাদ এরকম অসাধারন লেখার জন্য।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য
আজকা বিকাল বেলা প্রজেক্ট প্রেজেন্ট করতে গিয়া প্রফেসরের পুটু মারা খাবার পর মনটা যারপরনাই খারাপ ছিলো...কিন্তু এখন হাসির ঠেলায় পেট ব্যাথা করে...
লেখাটা সেরকম "দুষ্টু" হয়েছে কিন্তু ...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ধন্যবাদ অরফিয়াস। আমার জীবনের বড় অংশ কেটেছে গবেষণার নামে প্রফেসরদের পুটু মারা খেয়ে খেয়ে। প্রফেসর এমন একটা জীব যে আপনার কাছ থেকে সব কিছুই চাবে, বিনিময়ে আপনাকে পুটুমারা দিবে। সুতরাং প্রফেসরদের কথা এক কান দিয়ে শুনে ওই কান দিয়েই বের করে দিবেন। দুনিয়ার কোন প্রফেসরের অধিকার নেই আপনাকে পুটু মারার। তারপরেও যদি মেরেই দেয়, সময় সুযোগ মতো আপ্নিও তাকে মারুন।
টেনশন নেবেন না, বরং প্রফেসরকে টেনশন দেন। খুব কঠিন কিছু না। মনে রাখবেন এই দুনিয়ায় সবাই ধান্দাবাজ, শুধু আপনি ছাড়া। সবাই বলদ, শুধু আপনি ষাঁড়। সুতরাং প্রফেসর জ্ঞান দিতে আসলে বলবেন, ইয়েস সার। এট্টু দূরে গিয়ে বলবেন (মনে মনে), আম্নে আমাত্তে বেশী বুঝেন?
বিশাল জ্ঞান দিয়ে ফেল্লাম, আসলে প্রফেসর কাউকে অত্যাচার করতেছে শুনলে মাথা গরম হয়ে যায়। নিজে বহুত অত্যাচারিত হইছি তো।
যাক সান্তনা আর সাহস দুইটাই পাইলাম... ধন্যবাদ...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
অ বাই, আপ্নে বেবাকদিন কুন হানে সিন্দায় আছিলেন? আপ্নে আর পাছ সাল আগ থিকা লিকা ইস্টার কইরলে, মোগো পাছ বচর বেশি হাশনের কেরিঞ্ছি পাইরতাম...
গত পাঁচ বছর ধরে টানা রস-আলো আর ১০০১টি জোকস এর বই পড়ে পড়ে মুখস্থ করেতেছিলাম।
তুলনাহীন! দীর্ঘদিন মনে থাকবে গল্পটা
ধন্যবাদ রায়হান আবীর।
অফটপিকঃ আপনি কি পরিবর্তনশীল এর ব্যাচমেট? এই ছেলেটা এখন আর লিখেনা কেন জানেন?
বাকি ব্যাচমেটরাও কতোবার, কতো জায়গায় যে প্রশ্নটা করেছে!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ওররে জট্টিল।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ জাহিদ
আপনার আরও একটি ছক্কা! অসাধারণ
Reunion কেমন হল?
অসাধারণ। জীবনের অন্যতম সেরা ৬০ ঘন্টা...একটানা এতক্ষণ যে আনন্দের অনুভূতি মানুষের মনে বজায় থাকে, সেটা এবার না গেলে বুঝতে পারতাম না!
ভালো লাগল।
অসাধারণ............।
অনেক ধন্যবাদ
শুধুমাত্র মন্তব্য করতে বহুত দৌড়ের মধ্যেও লগাইলাম!!!
আসলেই গুরু!!!
_____________________
Give Her Freedom!
আরে, আপনে খালি ব্যস্ত থাকেন দেখি। শেষ লেখা কবে দিছেন খেয়াল আছে??
অনেক কষ্টে হাসি আটকাইয়া রাখছি, এবার টাকা ফেরত দেন।
টাকার নোট নিবেন নাকি কয়েন দিবো
জটিলতম! তবে এটাই শেষ নয়, আরও অন্তত কয়েক জায়গায় দম ফাটানো হাসির ফোয়ারায় ভিজতে হয়েছে!
অন্যান্য-বারের সাথে পার্থক্য হল, এইবার আপনি একটা একক গল্প বলেছেন, যা আমার মতে সার্থক রম্য সাহিত্যের দাবি অনেকটাই মিটিয়েছে! সহজাত রঙ্গ-রস বিলানোর পাশাপাশি আপনি আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার অন্তঃসারশূন্যতা, অভিজাত সমাজের ভণ্ডামি-নষ্টামি, অনুন্নত দেশের জাতীয় আদিখ্যেতা, ধর্মীয় মৌলবাদ, সাম্রাজ্যবাদ প্রভৃতির উদ্দেশ্যে 'চরম' বাণ নিক্ষেপ করেছেন, যেগুলি লক্ষ্যভেদে 'উদাসী' নয় মোটেই!
সবশেষে, এমন একটা 'চরম' লেখা উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে 'চরম' ধন্যবাদ!
ধন্যবাদ কাজি মামুন আপনার বিস্তারিত এবং সুচিন্তিত মতামতের জন্য। ভেবেছিলাম আপনার মন্তব্যের জবাবটা ফান করে দিবো, বলবো এই ফাতরা লেখার মধ্যে এতো কিছু খুঁজে পাইলেন, আমি তো এমনে এমনেই লিখছি
তবে সত্যি কথাটা এই যে, এই লেখাটা অনেকদিন ধরে একটু একটু করে লেখা এবং উদাসভাব নিয়ে কিছু লক্ষ্যভেদ করার চেষ্টা।
কাজী মামুন ভাইয়ের বাংলা পরীক্ষায় এ+ নিশ্চিত
আপ্নে চীজ বাড়ি হ্যায় মাস্ত মাস্ত...
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
মাউন্টেইন ডিউ এর ব্যাপারটা ...
পুরাটা হাসতে হাসতেই আসছিলাম, তারপর একেবারে শেষটায় এসে দেখি দাঁত বন্ধ হয়ে মুখ সিল্ড হয়ে গেল।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ যাযাদি। বানানগুলা এট্টু যদি দেখে দিতেন , অভ্রের ফাঁক গলেও খালি ভুল হয়ে যায়
হাসতে হাসতে কাহিল হয়ে পরেছি । লেখার শুরুতে একটু বিব্রতবোধ করায় ভেবেছিলাম কোন মন্তব্য করবো না কিন্তু কিসের কি! এইরকম একটা লেখায় নিজের অভিমত না দিলে ক্যামনে কি?
অসুস্থতার মধ্যে একটু হাসতে পেরে মনটা ভালো লাগছে।
অনেক ধন্যবাদ। সুস্থ হয়ে উঠুন দ্রুত।
চরম!!
উহু... উদাস নয়- গরম
মাউন্টেন ডিউ এর অ্যাড করলেন নাকি চিপা দিয়া? বোনাস হিসাবে সাথে তারেক অণুরও বেইজ্জতি করে দিলেন।
হৈ মিয়াঁ , মস্করা করেন নাকি চরম উদাস দা আমার কত পরম বন্ধু জানেন !
facebook
ভালো হয়েছে তবে এভাবে ঘুরিয়ে পিন মারা ঠিক না। কারণ কারো ছাগু মন্তব্য হচ্ছেনা।
বলছেন পিন না মেরে বাঁশ মারতে?
আপনে কুব খ্রাপ
সবাই জানে আমি লোক খুব ভালো।
সেই রকম। এত মজার লেখা অনেকদিন পড়ি নাই (আদমচরিত ছাড়া)।
ভাই এইটা একটা ক্লাসিক হইছে। মন খারাপ হলেই পড়ব।
অনেক ধন্যবাদ
ছক্কা ছক্কা ছক্কা!!!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
পুরোটা জুড়েই হাসলাম। কিন্তু শেষে এসে তব্দা খেয়ে গেলাম। বিরাট হাহাহিহির মাঝখানে ঝাড়ি খেলে যেমন মুখে হাসিটা লেগেই থাকে অথচ মনে উলটা অনুভূতি, ঐরকম লাগ্লো।
কে আপনাকে ঝাড়ি দিলো, খালি নামটা বলেন
পিটায়ে মানুষ মেরে ফেলার ব্যাপারটা ভয়ংকর। যেকোনভাবেই ভয়ঙ্কর কিন্তু পিটায়ে মেরে ফেলার একটা দৃশ্য টিভিতে দেখেছিলাম , অনেকগুলা মানুষ (!!!) উৎসবের ভঙ্গিতে একটা মানুষকে পিটাচ্ছে আর মানুষটা মাটিতে পরে গেল (কয়েক সেকেন্ড দেখলাম)। পরে জানলাম ঐ লোকটাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল। অসুস্থ বোধ করি ঐ দৃশ্যটার কথা মনে হলেই। এই লেখাটার শেষে এসে ঐ দৃশ্যটা ভেসে উঠলো চোখে
মনে হয় কিলিং মিলন ভিডিওটির কথা বলছেন। ওইটা মনে হলে আমিও অসুস্থ বোধ করি।
চরম একটি হাসির লিখা হাহাপগে
ধন্যবাদ মুক্ত অভি
ডিপজলের মতো হাসেন কেন?
জ্যাঠা,আপ্নি মহান! মুড ভালো করতে (ম্যালা খারাপ টাইম যাইতাসে) আপনার উপর কিছু নাই!
কোন নাহারের ব্যবস্থা করতে হইবো না,নইলে আমার বাকেট লিস্টও মোটামুটি এই।হায়,কবে যে চান্স পামু
---------------------
আমার ফ্লিকার
অমানুষিক
ব্যতিক্রম ।।।।। অন্যরকম ভাবে চিন্তা করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না ।। মহান চরমের পক্ষে একমাত্র সম্ভব
অনেকদিন আগে পড়েছিলাম। তখন ছিলাম নীরব পাঠক। তাই মন্তব্য করা হয়নি। আজ রিভিশন দিলাম আবার। আপনি ,হিম্ভাই আপনাদের গল্প,বিশেষ করে স্যাটায়ারগুলো পড়লে একই মন্তব্য বারবার করতে হয়-অসাধারণ!!!
তবে সবকিছু মিলিয়ে মন খারাপ হয়ে গেল।
নামে কি আসে যায়??
অনেক কিছু আসে, জীবন যায়
নতুন মন্তব্য করুন