প্রবাসের প্রথম ইংরেজি নববর্ষে ওশিলভ হতভাগার মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছিলাম। ব্যাটা থার্টি ফার্স্ট পালন করতে আটলান্টায় তুর্কী বন্ধুদের কাছে যাবে। অগাস্ট এ আমেরিকা এসে ডিসেম্বর পর্যন্ত চুল কাটেনি। চুল কাটতে ২০ ডলার লাগে। ১৮ ডলার দিয়ে চুল কাটার মেশিন কিনে এনে আমাকে আচ্ছাসে পেপার মুড়িয়ে ফটাফট আমার চুল কেটে দিলো। খানিকটা এবড়ো থেবড়ো হলেও মোটের উপর চলনসই ছিল সেটা। এরপর আমার হাতে মেশিন দিয়ে বলে, এবার আমারটা কাটো। জীবনে চুল কাটিনি এমন তো নয়। তবে সেটা নিজের চুল ছিল আর সেটা মাথার চুলও ছিলোনা। হতভাগা বলে পানির মতো সোজা। মেশিনের উপর চার নম্বর সাইজের একটা চিরুনির মতো ক্লিপ বসিয়ে বলে, খালি এবার আমার মাথার উপর দিয়ে টানো। পানি যে সোজা নয় সেটা প্রমাণ করতেই আমি টানলাম। ভূমির সাথে উলম্ব ভাবে যে মেশিনটা টানতে হয় সেটা হতভাগা বলে দেয়নি। আমি ভূমির সমান্তরাল করে টানলাম। চোখের নিমিষে ব্যাটা ইনভার্স Mr. T হয়ে গেলো। মাথার মাঝখানে চুল বিহীন একটা ২ ইঞ্চি সাইজের সুন্দর রাস্তা তৈরি হল। রাস্তার দুপাশে মনোহর ঢেউ খেলানো চুলের জঙ্গল। ওশিলভ হতভম্ব হয়ে আমাকে জীবনে দ্বিতীয় বারের মতো বললো, হোয়াট হ্যাভ ইউ ডান (প্রথমবার আমার রান্না জগাখিচুড়ি খেয়ে বলেছিল)। আমি কি কইচ্চি ভাব ধরে কাচু মাচু পিচু হয়ে বসে থাকলাম। ওশিলভ বুঝল ন্যাড়া হওয়া ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই। আমি মিন মিন করে বললাম, রেজার চালিয়ে আমি ন্যাড়া করে দিতে পারি। একদম ব্যাথা দিবনা। আর এটাতে তেমন ভুলের সম্ভাবনা নেই। ভয় পেল মনে হয়, এইবার যদি চুল কাটতে গিয়ে মুণ্ডুটাই যদি কেটে ফেলি। গজগজ করতে করতে নিজেই মেশিন আর রেজার চালিয়ে ন্যাড়া হয়ে গেলো।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে জগাখিচুড়ি লেখা শুরু করেছিলাম। গল্প উপন্যাস লিখতে বসলে মনে হয় বানিয়ে বানিয়ে জিনিস লেখা হচ্ছে। তাই জগাখিচুড়ি কিছু একটা লিখতে চেয়েছিলাম যেখানে স্থান, কাল, পাত্রদের কে খিচুড়ি পাকিয়ে চারপাশের ঘটনাগুলোকে নিয়ে কিছু লিখা যাবে। রম্যরচনা হবার কথা ছিলোনা। কিভাবে হল পাঠকই ভালো বলতে পারবেন। রসিকতা করার দায়ভার নিতান্ত বেকুব বা নির্লজ্জ বা দুঃসাহসী না হলে কেউ নেয় না। সেই তুলনায় যে কোন বিষয়ে চিন্তাভাবনামূলক কিছু লেখা সহজ। বিষয়ের অভাব নেই। দেশের হচ্ছেটা কি, দেশ রসাতলে গেলো বলে শুরু করে ১০১ দিকে আলোচনা নেয়া যায়। ভাষা সৈনিক গোলাম চু আযম কে বৃদ্ধ বয়সে হেনস্থা করলে দেশের কোন লাভ হবে কিনা সেটা থেকে শুরু করে পুনম পাণ্ডে দেখাব দেখাব বলেও দেখাচ্ছে না কেন সেইটা নিয়ে গুরুতর আলোচনা করা যায়। শুরুতেই তাই রসিকতার দায় আবারও এড়িয়ে বলছি জগাখিচুড়ি রম্যরচনা নয়। এটা চিন্তাভাবনা ক্যাটাগরির লেখা। পড়ে যদি হাসি আসে সেটা মাথার সমস্যা আর মেজাজ খারাপ হলে হরমোনের সমস্যা। লেখকের কোনই দায়ভার নেই।
দেশে একসাথে একডজন বাঙ্গালী এক হলে কিছুদিনের মধ্যে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে যায়। আর প্রবাসের একডজন বাঙ্গালী ভাগ হয় চার ভাগে। আমেরিকার ছোট এক শহরে প্রবাস জীবন শুরু। কিছুদিনের মধ্যেই দেখতে পেলাম এখানে আসলে দুইটা প্রধান গ্রুপ। একদলের সাথে অন্যদলের মুখ দেখাদেখি বন্ধ। কোন উপলক্ষ হলে আলাদা অনুষ্ঠান হয়। প্রবাসের প্রথম বাংলা নববর্ষেও দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি অনুষ্ঠানের আয়োজন হল। আমরা নতুন কজন পড়লাম বিপদে। গবেষণা করে দেখি এক গ্রুপের খাওয়াদাওয়া ভালো কিন্তু আড্ডা ততো জমজমাট নয়। সবাই খালি তাস পেটায় আর বসে বসে গ্যাস ষ্টেশন এর গল্প করে। অনেকেই নিজেরদের গ্যাস ষ্টেশন চালায় । সেখানে কবে কত বিক্রি হল থেকে শুরু করে আরও নানান গল্প। অন্যদিকে অপর গ্রুপে কিছু সমমনা লোকজন আছে। বুয়েটের কাঁঠালের নাম কেন কাঁঠাল হলো থেকে শুরু করে কোন আর্কির মেয়ের দৈর্ঘ্য প্রস্থ কেমন ছিল সেটা নিয়ে বেশ রসালো গল্প ফাঁদা যায়। কিন্তু এই গ্রুপের রান্নাবান্না তেমন সুবিধার না। আমরা তখন দেশী খাবারের জন্য পাগল প্রায়। এক বাটি ডালের বিনিময়ে নিজেদের ইজ্জত বিলিয়ে দিতে ব্যাকুল, যদিও সেটা নিতে কেউ আকুল নয়। আমরা তাই দুই গ্রুপেই যাবো ঠিক করলাম। নববর্ষের দাওয়াতে তাই আমরা একটাতে মেইন কোর্স শেষ করে অন্যটাতে গিয়ে ডেসার্ট সাঁটিয়েছিলাম। আমার রুমমেট ৬ টা চমচম আর ৪ টা রসগোল্লা খেয়ে ঘোষণা দিয়েছিলো মিষ্টি তার বিশেষ পছন্দের খাবার না। যাই হোক দুই নৌকায় পা দিয়ে ঘুরার জন্য পরে আমাদের ঝামেলাও পোহাতে হয়েছিলো। দেখা গেলো দলের মুণ্ডুরা ব্যাপারটা ভালোভাবে নিচ্ছে না। ইতিহাস থেকে জেনেছিলাম পুরাকালে দুই গ্রুপের দুই মুণ্ডুর দুই স্ত্রীর মধ্যে গলায় গলায় সখ্যতা ছিল। একরকম কাপড় চোপড় পরত, এক সাথে চলত, একজন আরেকজনের উকুন বেছে দিতো ...ইত্যাদি ইত্যাদি। তারপর একদা ক ভাবী খ ভাবীর দাওয়াতে গিয়ে গ ভাবীকে ঘ ভাবী সম্পর্কে দুষ্টুমি করে কিছু কথা বলায় সেইটা ঙ ভাবী শুনে ফেলে চ ভাবীকে বলে দেয়। তারপর চ ভাবী ছ ভাবীর দাওায়তে গিয়ে জ ভাবীকে বলে যে ক ভাবী খ ভাবীর দাওায়তে গিয়ে গ ভাবীকে ঘ ভাবী সম্পর্কে এইরকম দুষ্টু কথা বলেছে (ততক্ষণে প্রতি ভাবী টু ভাবী ডাটা ট্রান্সফারে প্রচুর ডাটা যোগ বিয়োগ হয়ে গেছে)।এই শুনে ক ভাই খ ভাইয়ের দাওয়াতে গিয়ে গ ভাইকে হুঙ্কার দিয়ে বলে তবেরে দুষ্ট আমার বউকে দুষ্ট বলিস .. ইত্যাদি ইত্যাদি। বর্ণমালা শেষ হয়ে যাবে কিন্তু ঘটনার ঘনঘটা শেষ হবে না। ফলাফল, দুই গ্রুপের গোড়াপত্তন। যাইহোক দুই গ্রুপের রেষারেষিতে আমরা চিড়ে চ্যাপ্টা। তবে কিছুদিন পরে আমাদের নবীন প্রজন্মের দলে আরও কিছু লোক যোগ দেয়ায় আমরা দেখতে দেখতে শক্তিশালী হয়ে উঠলাম। এবং বিকল্প ধারা শুরু করে দিলাম। এরপর প্যাঁ পোঁ করে হারমোনিয়াম বাজিয়ে আমরাই নিজেরাই নববর্ষ পালন করতাম। দুই বছর পর শহর ছেড়ে চলে আসায় বিকল্প ধারার সেইখানেই সমাপ্তি হয়। আর কিছুদিন থাকলে দুই মুণ্ডুকে এক্কেবারে মাইনাস টু করে দুই গ্রুপকে ছ্যারাবেরা করে দিয়ে আসা যেত।
আমাদের এক জন্ম সৈনিক বন্ধু বিশাল কবি ছিল। যাই বলে কবিতা হয়ে যেত, তাও আবার ছন্দবদ্ধ প্রাচীন কবিতা না। ছন্দবিহীন উত্তরাধুনিক কবিতা। এতই আধুনিক যে রীতিমতো সাইন্স ফিকশন। আমরা তাই একে সাইন্স ফিকশন কবিতা বলতাম। বন্ধুটি রীতিমতো কালাপাহাড় ছিল। আদর করে আমরা ডাকতাম কালা ভোমা বলে। ভোমা মানে বোধহয় বিশাল। মধুসূদনের যেমন ছিল অমিত্রাক্ষর ছন্দ সেরকম ভোমার ছন্দের নাম দিয়েছিলাম আমরা ভোমিত্রাক্ষর ছন্দ। যার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে শেষ লাইনে ছন্দ কেটে যাওয়া। ছোকরা যেমন একদিন কি এক প্রসঙ্গে বলে বসল, কিসের মধ্যে কি? পান্তাভাতে ডালডা। চিরকাল পদ্য শুনেছি, কিসের মধ্যে কি, পান্তাভাতে ঘি। এখন ঘি এর বদলে ডালডা যুক্ত ছন্দবিহীন পদ্য শুনে আমরা যারপরনাই মুগ্ধ। ওর কবিতার স্টাইলটাই এমন। প্রথম কয়েক লাইন চলে কোনমতে, শেষ লাইনে এসে ভ্যাবাচ্যাকা। জীবনে একবার ছন্দ মিলিয়েছিল। তাও আবার বাংলায় না, পুরা মাইকেল মধুসুধনের মতো ইংরেজিতে। সবাই মিলে ওর বিভিন্ন কবিতা নিয়ে ওকে টিজ করে যাচ্ছিলো। বান্দা চেয়ার টেবিল ছুড়ে ফেলে তেড়েফুঁড়ে উঠে দাড়িয়ে বলল,
আই এম নট এ সান অফ এ বিচ, টু টলারেট ইয়োর টিজ।
টিজকে উত্তেজনায় টিচ বলায় আরও চমৎকারভাবে ছন্দ মিলে গেলো। আমরা ওর কানের কাছে এরপর খালি গুনগুন করে আবৃত্তি করতাম, নট এ সান অফ এ বিচ, টু টলারেট ইয়োর টিচ।
অনেককাল খবর ছিলোনা। হটাত নববর্ষে সবাইকে এসএমএস করে তার অনবদ্য এক পদ্য পাঠাল,
সময়ের হাত ধরে জীবনের পথচলা,
অনেক সুখে অনেক দুঃখে আজ সময় হাত ছাড়ে না
২০১১ আমাকে পৌঁছে দিলো ২০১২ এ, ঠিক তোমাকেও।
বুঝলাম কাব্য প্রতিভা নষ্ট হয়নি। অনেককাল পরে এসে এখন বুঝি, আমাদের জীবনটা আসলে ভোমিত্রাক্ষর ছন্দে চলা ভোমার কবিতা। কোনোমতে ছন্দ মিলে আগাতে আগাতে শেষ লাইনে এসে মাঝে মাঝেই ছন্দ কেটে যায়।
মিলিটারি স্কুলে থাকতে একবার নববর্ষের আগের রাতে কেলেঙ্কারি কাণ্ড হয়েছিলো। পরদিন বন্ধ থাকায় রাতে সবাই হুল্লোড় করে যাচ্ছিলো। বিনোদনের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় ছেলেপিলে সব কু খেলা আবিষ্কার করতো। সেরকমই তখন চালু হয়েছিলো টেপাটেপি খেলা। একজন গিয়ে আচমকা অন্যের দেহের কোন স্পর্শকাতর স্থানে টিপ দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে হবে। স্পর্শকাতর স্থানের স্পর্শকাতরতা অনুসারে পয়েন্ট সিস্টেম। কোন স্থানের জন্য ৫, কোন স্থানের জন্য ১০, আর কোনটার জন্য ২০। সেই খেলার জের ধরেই সেরাতে আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে নিরীহ ছেলে আশরাফ আমাদের প্রিন্সিপ্যালের নিতম্বে কষে চাপ দিয়ে বলেছিল, আর আমার টা টিপবি? আমাদের মিলিটারি প্রিন্সিপ্যাল প্রকারে বাঘ হলেও আকারে বিল্লি ছিলেন। রাতে হটাত কারেন্ট চলে গেলো। জেনারেটর চালু করতে যেই সময়টুকু লাগে তার মধ্যেই শুরু হল হুল্লোড়। ক্ষেপে মেপে আমাদের মিলিটারি প্রিন্সিপ্যাল টহল দিতে আসলেন। এসেই আশরাফের কাছে টিপি খেলেন। আশরাফ ছোটোখাটো একজনকে দেখে অন্ধকারে ভুল করে ভেবেছিলো ওইটা ফটকা হাফিজ আগেরদিন যে আশরাফের ইজ্জতের উপর হামলে পড়ে ২০ পয়েন্ট কামিয়েছিল। ইজ্জত যে গেছে সেটা যদি কেউ না জানে তাহলে ইজ্জত দিব্যি থাকে। সেটা বুঝেই প্রিন্সিপ্যাল কিছু না বলে চুপিচুপি চলে গিয়েছিলেন। আর স্পর্শকাতর স্থানের গুরুত্ব হিসেবে আশরাফের মাত্র ১০ পয়েন্ট পাবার কথা থাকলেও, ব্যক্তি এবং তার পদমর্যাদার গুরুত্ব বিবেচনা করে সবাই সেই এক টিপের জন্য আশরাফকে ৫০০ পয়েন্ট দিয়ে চ্যাম্পিয়ন টিপরাজ ঘোষণা করলো।
বাংলাই হোক আর ইংরেজিই হোক যেকোনো নববর্ষ এলে, আজি হতে শতবর্ষ পরে কি হবে তা নিয়ে একটু গুনগুন হয়। সাহিত্য আর ব্লগ জগতে কি পরিবর্তন হবে আন্দাজ করা যায়। ভাড়াটে সাহিত্যিকদের মৃত্যু হবে। লেখকের চেয়ে লেখা অনেক বেশী গুরুত্ব পাবে। কোন এক ঘুণেধরা লেখক এককালে কি লিখেছিলেন সেটার জের ধরে তাকে আঁকড়ে না ধরে পাঠককুল নবীনদের দিকে মন দিবে। হিসাব সহজ, ভালো লেখক খারাপ লেখক বলে কিছু নেই। আছে শুধু ভালো লেখা আর খারাপ লেখা। ব্লগজগতের অনেক প্রভাব বহির্জগতেও পরবে এটা বলা যায়। নতুন শিশুরা স্পাইডারম্যান, সুপারম্যান হতে চাবে না, তারেকাণুম্যান হতে চাবে। সুপারম্যানের মতো প্যান্টেলুনের উপর আন্ডি না পরে খালি নেংটি আর স্নরকেল গিয়ার পরে কমোডে ঝাঁপ দিবে। সৃষ্টিকর্তা নিজেই সন্দেহে পড়ে যাবেন আদমকে তিনি বানিয়েছেন নাকি নাকি মুখফোড়। ফাহিম হাসানের বরাত দিয়ে দুষ্টু তরুণরা ধুয়ো তুলবে, মানুষকে ব্যাঙের সমান অধিকার দেয়া হোক। বাৎস্যায়নের কামসূত্র ফেলে নতুন প্রজন্ম বেলুন ফুলিয়ে স্পর্শের যৌনশিক্ষা পড়বে। হামদ-নাত ফেলে পাজামা পাঞ্জাবী পরে সবাই হিমুর মমিন গীতি গাইবে। বাসায় কুকুর বিড়াল না পুষে অনার্য সঙ্গীতের ভক্তরা এইচ আই ভি আর সোয়াইন ফ্লু এর ভাইরাস পুষবে। তবে এসব সামান্য ব্যাপার হবার জন্য শতবর্ষ অনেক বেশী সময়। দেখা যাক হয়তো আগামী নববর্ষেই হয়ে যাবে। তবে যেভাবে অদ্ভুত উটের পিঠে উল্টা পথে চলছে স্বদেশ, হয়তো দেখা যাবে পুরো বছর ধরে যে যেই অন্ধকারের বিরুদ্ধে লড়ে গেছে ভবিষ্যতে হয়তো তার নাম দিয়েই সেই অন্ধকারের চাষ হবে। শতবর্ষ পরে তাই দিব্যি মাহবুব মুর্শেদ বুরখা হাউস, নিয়াজ মোর্শেদ জবাই ঘর, উচ্ছলা আদব কায়দা কোচিং সেন্টার, দিহান মাতৃ নির্যাতন কেন্দ্র, তাসনীম শিশু প্রহার কেন্দ্র বা হিমুর কাঁঠাল পাতার আড়ত গড়ে উঠবে অলিগলিতে। সেইসাথে ভারত নতুন আরেক বাঁধ তুলবে সচল জাহিদ বাঁধ নামে।
এখানের এক বাঙ্গালী শিক্ষককে চিনতাম যিনি শুভ নববর্ষ বলে মেইল শুরু করায় এক ছাত্রকে অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ দিতে রাজী হননি। বাংলা নববর্ষ ছিল সেটা। আমাকে ডেকে বললো, দেখেছ কতবড় বেয়াদব। নববর্ষ হিন্দুয়ানী ব্যাপার। যেই ছেলে আজকে শুভ নববর্ষ বলছে কালকে এসে সে বলবে নমস্কার স্যার। আমি মাথা হেলিয়ে বললাম, জী স্যার। নিজের স্বার্থ জড়িত ছিল, প্রতিবাদের সাহস হয়নি। ইংরেজি, বাংলা বা যে কোন নববর্ষই হোক সেটা যেন আমাদের চারপাশের বড় বড় মানুষের ক্ষুদ্রতাগুলো উড়িয়ে নিয়ে যায় এই কামনাই করবো। আর সেইসাথে যেন আমার মতো দুর্বল মানুষদের যেন ভুলকে ভুল বলার শক্তিটুকু হয়। শেষ করার আগে বলে যাই গতবছর থেকে আমার প্রাপ্তি কি। প্রাপ্তি হচ্ছে গুরুতর উপলব্ধি, ভাগ্যিস আমাদের মুক্তিযুদ্ধটা ৭১ এ হয়েছে এখন না। এখন হলে বোধকরি একমাসও লাগতো না আমাদের পরাজয় বরণ করতে। আমরা এই প্রজন্ম হয় নপুংসক নয়তো ছাগু। যুদ্ধ শুরু হলে হয় আমরা ইমরান খান ভাইয়া বাঁচানগো মিলিটারি মারে বলে বড়ভাইয়াদের কোলে আশ্রয় নিতে যেতাম আর নয়তো নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। এই প্রজন্মের আমরা বেশ মুফতে একটা স্বাধীনতা পেয়ে গেছি। শুধুমাত্র অসীম সাহসী কিছু পূর্বপুরুষদের কাছে আমাদের ঋণ স্বীকার করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। ঋণ শোধ? সেটার কথা না হয় পরের নববর্ষে বলবো, আগে দেখি ভাষা সৈনিক মহাশয়কে নিয়ে কি তামাশাটা হয় এই বছরে।
মন্তব্য
মারাত্মক
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই। আপনার নামেও একটা শিশু প্রহার কেন্দ্র খুলে দিয়েছি, বেয়াদবি মাফ
৫ নাম্বার প্যারায় ঠা ঠা করে হাসার পর শেষ প্যারায় এসে মনে হলো থাপ্পড় খেলাম। এটাই মনে হয় সত্যিকারের জগাখিচুড়ি। ওই ছেলের গল্প নিশ্চয় জানেন যে মিষ্টির বিচি ফেলে মিষ্টি খেয়েছিল। আপনার জগাখিচুড়ি খোমাখাতার পাতে পাতে ভালোই ছড়ায়, তাই আশা করি মানুষ মিষ্টির সাথে দেয়া ওষুধটাও গিলবে। তাতে যদি একটু রোগের উপশম হয়। লিখতে থাকুন।
অটঃ উপন্যাসের কি হইলো? আপনিও কি জলদস্যু হয়ে গেলেন?
ধন্যবাদ নিভৃত_সহচর। লিখতে থাকব।
উপন্যাসের কথা এখনো ভুলেন নাই? । ফেব্রুয়ারী মাস থেকে দেয়া শুরু করবো, এক্কেবারে ননস্টপ ধারাবাহিক ভাবে।
হে হে ভক্তদের কাজই তো পেছনে লাগা। ব্যাসবাবা সুমনকে তো চিনেন। উনি একটা ভূত শিকার জাতীয় রিয়েলিটি শো বানানোর কথা বলছিলেন, নাম ভৌতিস্ট। এরপর থেকে ওনার পেজে শুরু হয়েছিলো জ্বালাতন, উনি যাই স্ট্যাটাস দেন না কেন কোন অকালকুষ্মান্ড ভক্ত এসে মন্তব্যে ভৌতিস্ট লিখে যেত বা শো কবে শুরু হবে জানতে চাইতো।
স্ট্যাটাস হইতো "আমি সিলেটে" মন্তব্যে ভৌতিস্ট। শো ভালো হইসে,...ভৌতিস্ট । অ্যালবাম রেকর্ড করি...ভৌতিস্ট ; আমি ক্যান্সার ফ্রি...তাতেও ভৌতিস্ট! বেচারা অস্থির হয়ে গেছিলো।
আমি তো পাঠক তাই নববর্ষে ভাবলাম সব বাকী লেখার দাবি এইভাবে জানাবো । আপনি ডেট দিয়ে বেঁচে গেলেন। এখন সাঁতার শিখেই হাঁটুপানির জলদস্যুর পিছু ধাওয়া শুরু করবো।
ধরেন ধরেন বড় বড় ঋণ খেলাপিদের আগে ধরেন। আমি তো চুনোপুঁটি।
হ উপন্যাস ঝুলায়ে দিলেন ক্যান। খালি আদিরস দিলেই হইব?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আয়েগা আয়েগা ...
সেইরকম হইছে ব্রাদার। হাসতে হাসতে
আচ্ছা, দিহানের ম্যাজিকাল জার্নি নিয়ে কিছু বললেন না?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ ব্রো ( ও কার দিছি আ কার না কিন্তু, খেয়াল কইরা)
দিহান মাতৃ নির্যাতন কেন্দ্র আর তাসনীম শিশু প্রহার কেন্দ্র যোগ করে দিয়েছি
হো হো করতেছিলাম মাঝপথে! কিন্তু কেন যেন শেষে মনে হলো আপনি বিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছেন! বিদায় কখনোই ভালো কিছু নয়!
কেমন আছেন আপনি? অনেকদিন পর লিখলেন!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বিদায় নিয়ে কই যাবো ?? । এইখানেই আছি গ্যাঁট মেরে। মডুরামরা (শুনেছি আপনি যাদের সর্দার ) আমার মস্করা সহ্য করতে না পেরে বের করে না দেয়া পর্যন্ত আছি ।
ভালো আছি। আর অনেকদিন পর কই দেখলেন। আমি মোটামুটি একটা একটা স্যিকুয়েন্স ফলো করে লেখা দেই, প্রতি দুই সপ্তাহে একটা , মাসে দুইটা।
লেখাটা যে চিন্তা-ভাবনা ক্যাটেগরির হইছে, সেইটা একেবারে চিন্তা-ভাবনা না করেও বলে দেয়া যায়। কিন্তু চিন্তা-ভাবনা ক্যটেগরির লেখা আপনার মত আদিরস মিশায়ে কয়জন লিখতে পারে!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আবার সেই আদিরস। । জানেননা আমি খতিবের কাছে তউবা ভালো হয়ে গেছি?
এইযে ধরেন প্রায় হিমশীতল ভোররাত্রে প্রচণ্ড গলা ব্যথা নিয়ে খিদা পেটে এইসব খিচুড়ি পড়তে পড়তে হাসতে হাসতে কাশি উঠে মাকে ঘুম থেকে তুলে ফেলে গালমন্দ খাওয়া, এগুলা তো ভালো না। এইজন্যে আপনাকে (গুড়) দেয়া কি উচিত বলেন?
কথাটা খুবই জ্ঞানের কথা হয়েছে। আমিও বলে ভাব নেব এর পর থেকে।
অটঃ কাপড় 'পরা' ছাড়া আর সব পড়াই 'পড়া' সম্ভবত।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ।
অটঃ পরা/ পড়া নিয়ে কয়দিন আগে জ্ঞানার্জন করেছি। অব্যয় ব্যাবহারে আর পরিধান করার সময় পরা। পতন আর পাঠ করার সময় পড়া।
তারপরেও কোন চিপা দিয়ে কোন পরা /পড়া নিয়ে গেঞ্জাম করে ফেলেছি বলেন তো?
কার কাছ থেকে জ্ঞানার্জন করলেন বলেন দেখি! আমি তো না, নাকি?
কোন এক জায়গায় 'পড়া' হবে, সেটা চোখে পড়তেই জ্ঞান ঝেড়ে দিলাম আরকি! এখন তো ঘুম লাগছে, পরে আবার খেয়াল করে জানাবোনি, এডিট করে দিতে পারবেন।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অনেক সুন্দর লিখেছেন। প্রথম দিকে হাসালেও শেষের দিকে অপ্রিয় সত্য কথাগুলো লিখেছেন। এরকম সুন্দর আরো অনেক লেখা চাই।
ধন্যবাদ অরিত্র অরিত্র
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হায়রে কবিতাপ্রেমী! খালি কবতের আংশটাই চোখে পড়ল?
ইয়ে, মোল্লার দৌড় ঐ মসজিদ অবধি-ই কি না।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমি লেখার কিছু বুঝি না, শুধু ভালো লাগাটুকু জানিয়ে গেলাম, দু দু বার করে!
অসাধারণ লাগছে!
আমি গত পরশু আর কালকে মিলে আপনার সবগুলা লেখা পড়লাম। খুব ভালো লাগছিলো। মাঝে মাঝে হাসি আটকাতে দাতে দাত বা মুখে রুমাল চাপা দেয়া লাগছিলো [ অফিসে জোরে হাসতে পারছিলাম না, তাও আবার বৈদেশে ], তারপরেও কখনো কখনো গলা দিয়ে চাপ খাওয়া ঘর ঘর বা খক খক বের হয়ে যাচ্ছিলো! সেটাকে বৈধতা দিতে সঙ্গে করে একটা ফাও কাশি বা গলা পরিষ্কার এর শব্দ [খাকারি] ছাড়তে হচ্ছিলো, বুঝানোর জন্যে যে আসলেই গলায় কোন সমস্যা হইছে আমার!
ভালো থাকবেন।
আর পারলে দুই সপ্তাহের পিরিওড টা কমায়ে এক সপ্তাহ করা যায় কিনা দেখেন!
একবার করে বল্লেই হবে । ধন্যবাদ পড়ার জন্য। সপ্তাহে একটা লেখা নামানোর মত সময় বা মেধা নাইরে ভাই।
হাসতে হাসতে হঠাৎ হোঁচট খাইতে হয় আপনার চিন্তভাবনামূলক লেখায়। আমার কেন জানি মনে হয় আমাদের দেশের সবথিকা সাহসী মানুষগুলা একাত্তরে শহীদ হয়া গেছে। অপেক্ষাকৃত ভীতু আর কাপুরুষ যারা ছিল, নিজের চামড়া বাচাইতে যুদ্ধে যায় নাই বা যাওয়ার সাহস সঞ্চয় করতে পারে নাই, তারাই বাইচা আছে আর বংশ পরম্পরায় তাদের কাপুরুষ বংশধর দিয়া দেশ বোঝাই হইছে। রাজাকারগুলা তো বরাবর ছিলই।
ভাষা সৈনিক মহাশয় তো দুধকলা থুক্কু দুধমুরগি খাইতেসে। এই বছরে তার তৈলচিক্কণ নধর দেশের মানুষের ট্যাক্সের খাদ্যে আরো পরিপুষ্ট হয়ে উঠবে আশা করা যায়।
সেটাই! এ বছরেই বোঝা যাবে কি হয়।
আগেই বুচ্ছিলাম এক গোয়ালেরই...খালি আপনি ৩ ব্যাচ আগের !
ভাইরে আপনের নাম দেখে ভয় পাইছি। বুকটা চিলিক দিয়ে উঠলো
হাসতে হাসতে খিদা লেগে গেছে।
আপনাদের টেপাটেপির মতই একটা খেলা আমরা খেলতাম ভার্সিটিতে। নামটা কাবাডি খেলার সাথে মিলিয়ে বলা হত যার শেষটা ছিল "ডি" দিয়ে। কারন ওখানে নির্দিষ্ট একটা জাইগাতে ছোঁয়ার একটা ব্যাপার ছিল, যা কেবল ছেলেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
ছি! আপনারা এতো খারাপ
আমার মাথার সমস্যা আছে বলতে চান?
হরমোনে যে নাই সেইটা বলতে পারি
উপলব্ধিজাত নব জগাখিচুড়িটা চরম হয়েছে..... ঠিক হাসি-কান্নার দোল দোলানো টাইপ ...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ধন্যবাদ অরফিয়াস
ইয়া হাবিবি!
_________________
[খোমাখাতা]
চমৎকার। চরম উদাস রক্স।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অসাধারন
অসাধারন
অসাধারন
ধন্যবাদ pupei
ভাল লেগেছে। বেশী ভাল লেগেছে, লেখার শেষের দিকে আমার প্রজন্মের কাছে ঋণ স্বীকার করায়।
ঋণ শোধ ? হবে, যে চেতনায়, যে আকাঙ্খায় মুক্তিযোদ্ধারা অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছিল, তার বাস্তবায়নে।
হে আর্য রসিক , ভাষা শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা, এদের প্রতি আপনার প্রজন্মের প্রতিভু হয়ে কিছু লিখুন না!
ধন্যবাদ প্রৌঢ় ভাবনা। খুব গভীর কিছু লেখার মতো অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান কোনটাই নেই। তবে আবেগটুকু আছে। সেটা সম্বল করেই হয়তো লিখবো।
ব্যাটা বদের্বদ !!
দারুণ হইসে মিঁয়া , তারেকণুম্যানের কথা পইড়া ভিম্মজা পাইসি !!
ধন্যবাদ ইমো সম্রাট
আপনি সত্যি একজন জিনিয়াস। এইভাবে সবাই লিখতে পারেনা বস। মনে দাগ কেটে যাবার মতো লেখা হয়তো তো সবাই লিখতে পারে কিন্তু মনের অনাবিল আনন্দস্রোতে এই রকম জোয়ার কেউ কেউ আনতে পারে। আপনি সেই কেউ কেউর একজন। আমাদের চারপাশ 'এতটাই নোংরা' এই কথাটা বুকে কোলবালিশ চেপে সবাই বলতে পারে কিন্তু সেটাকে শুধু চোখে নয়, তিব্র বাক্যবানে ফালাফালা ক'জন করে দিতে পারে, আপনি পারেন...
প্লীজ ডোন্ট স্টপ। এটা আপনার হোনার নয়, এটা আপনার অধিকার...
ডাকঘর | ছবিঘর
এক্কেবারে প্রশংসায় ভাষায় দিলেন দেখি , আমার কি লজ্জা সরম নাই নাকি
আপনার মতো অতো আবেগ দিয়ে তো লিখতে পারিনা, আমার সকল কিছুই হালকা চালে লিখা।
আবেগ আর কিছুই না , মনের একটা চোরাস্রোত আর কিছুই নয়। ভাইজী আপনার লেখার সেই আবেগই আছে কিন্তু তার ভাষা আপনার মতোই, তাইনা । আর আমরা আপনার মতো হাল্কা হতে পারিনা। আপনি পারেন, আর এটাই আপনাকে সবার থেকে আলাদা করে দেয়। দ্যাটস হোয়ায় আপনি - আপনার মতো...
ডাকঘর | ছবিঘর
মিষ্টির ভেতরের বিচিটা গেলার চেষ্টা করে জাচ্ছি... দেখিনা , এ বছর তাতে সফল হই কিনা ... লেখা চরম ।। একেবারে ফাটাফাটি
গিলে ফেলেন কুত করে
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
আপনি মশাই লেখেন চমৎকার!
বলছেন?
এই লেখাটা ১০০% উদাসীয় হয়েছে। মাঝে কয়েকটা যেন ঠিক জমছিল না, অবশ্য আমার সবকটা পড়ার সময়ও হয়না।
ফেসবুকে আছেন্নি মিঁয়া?
আছেন তো অবিশ্যি। আই সুগার হিম
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
একডেলা মিছরি এদিকেও দাও
, ক্যামনে?? আমার সিক্রেট আইডেন্টিটি তো সিআইএ, এফবিআই, র্যাব ছাড়া আর কেউ জানেনা। আপ্নে কোনটা?
হে হে
বলা যাবেনা, টপ সিক্রেট ! দেখলেন না কাল্কেই যাযাবর ব্যাকপ্যাকারও স্বীকার গেল, ওকেও ধরে ফেলেছিলাম কিনা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধন্যবাদ কচুদা। মাঝে খালি একটা জমে নাই, বাকিগুলা কি সুন্দর জমায়ে কুল্পি বানায়ে দিলাম তাও চোখে পড়েনা
আমার ফেসবুক আইডি হচ্ছে (কানে কানে বললাম)
MSG দিয়ে জানাব নে
মামা আমারেও দিয়েন ইয়ে হে হে কতা আছে । কি দেবেন
ডাকঘর | ছবিঘর
আপ্নে সিআইএ, এফবিআই, র্যাব বা মিলিটারি না হইলে দিবো
SOPA, PIPA
যখন ধইরা দিব টিপা
তখন বুঝবেন
কারে কয় মাইনকা চিপা
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আমি আমাদের টিপরাজ কে পাঠিয়ে দিবো, SOPA/ PIPA কে টিপা দিতে।
যে মিলিটারি টিপতে পারে সে দুনিয়ার সকল কিছুই টিপতে পারে
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আপনি আবার পপ্পন নিয়ে বসে পড়লেন কেন? এটা তো উপন্যাস না, গপ্প।
আপনার লেখার শেষ কয়েকটি লাইন আপনার অনুমতিক্রমে ফেবুতে দিতে চাই। কোটেশন মার্ক সহ।
লেখা যথারীতি চমৎকার।
অনুমতির প্রয়োজন নেই। ভালো লাগলে যখন খুশী শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
চ্রম মানে যারে কয় চ্রম। কশা হইছে লেখাডা ...
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ধন্যবাদ অনুপম ত্রিবেদি। এবার কি তাহলে ফুটো তোলা শিখাবেন? বিনিময়ে কিভাবে ঈভ টিজিং করতে হয় শিখায়ে দিতে পারি।
লর্ডী লর্ড ! আপনি কোন্ মাপের জিনিয়াস লেখক, আপনার ধারনা আছে?! ...আপনি সচলের দুইটা রকস্টারের মধ্যে একজন; সন্দেহাতীতভাবে
টিপরাজের কাহিনী পড়ে মনের সুখে হেলেদুলে হাসলাম অনেকক্ষন...আর 'উচ্ছলা আদব কায়দা কোচিং সেন্টার' নামকরণ সার্থক হয়েছে।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
- অন্যজনটা কে? দলছুট ?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
লগ ইন করতেই হল...
আমার বিরাট রকমের শর্ট-টার্ম মেমোরি ইয়ে হচ্ছে (কী লিখতে চাইছিলাম ভুলে গেছি)!
যাইহোক, কালকে লেখাটা পড়ছিলাম, কিন্তু পরে (এখানে কী জানি হবে) লিখতে মনে ছিলো না। তবে, আমি এতে মোটেও বিচলিত নই। সমগ্র বাংলাদেশ যেমন ৫ টন, তেমনি গোটা বাংলাদেশের মানুষও মেমোরি-লসে ভুগে। আমি বাদ যাবো কেনো!
ভাষা সৈনিক সাহেবের কোনো স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা না থাকার পরেও হরদম হাসপাতালের কেবিনে শুয়ে শুয়ে নিজের পছন্দ মাফিক দুধ-মুরগী-মাছ খাচ্ছে। যে বাংলাদেশেরই একজন মুক্তিযোদ্ধা একবেলা নুন-ভাত খেলে আরেকবেলা সেটাও খাওয়ার নিশ্চয়তা পায় না, তারই হাতে গড়া সেই বাংলাদেশেই একজন রাজাকার হায়েনা তিনবেলা পেটপুরে স্পেশাল খাওয়া খাচ্ছে, তাও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের পয়সায়!
বাংলাদেশের মানুষ সব শর্ট-লং-টার্ম মেমোরি লসের রোগী না হলে এটা কীভাবে সম্ভব, এইটাই আমার মাথায় ঢুকে না!
আর যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের অবস্থা কতোটা সিভিয়ার সেটা বোধকরি ঈশ্বর নিজেও জানেন না। একজন সুস্থ-সামর্থ্য, জাতির বিরুদ্ধে অপরাধকারী গোলাম আযম, যার থাকার কথা জেলের ফটকের ভেতরে, সে ঠিক 'কী কারণে' সেখানে না থেকে হাসপাতালের আরামদায়ক কক্ষে থাকছে! এই জবাবটা তারা কী দিবেন? মেমোরি লস? নাকি শয়তানের কাছে নিজের বিবেকের বন্ধক!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মন্তব্যে
চারিদিকে ভাষা সৈনিকের জন্য সহানুভূতি দেখি আর অবাক হয়ে চিন্তা করি আজ থেকে দশ বছর আগেও কি মানুষ এতোটা অন্ধ, এতোটা গোল্ডফিশ, আর এতোটা অকৃতজ্ঞ ছিল?
আহ খিচুড়ি, এদিকে ভাত আর শিম খেতে খেতে পেতে চড়া পড়ে গেল !
দারুন হয়েছে কিন্তু এর মধ্যে আমার মত নিরীহ প্রাণীকে টানা কেন ভাই, গত দুই দিনের ছবি দেখলে তো বলতেন ভবিষ্যতের শিশুরা অণুর মত আধা ন্যাংটো সৈকতে ঘুরঘুর করতে চাইবে
রিও থেকে রোদেলা শুভেচ্ছা!
আসল কথাই বলা হয় নাই-- আমিও জীবনে প্রথম যে বন্ধুর মাথা কামানোর চেষ্টা করছিলাম, সেই শ্রীলঙ্কান ব্যাটাও মাথা ন্যাড়া করতে বাধ্য হয়ে ছিল!
facebook
... জলদি জলদি ছবি দেন, আপনাকে আর পচাবনা তাইলে। এক্কেবারে আবুলের নামে কসম।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ধন্যবাদ কল্যাণ দা। আপনের লেখা কই?
টানা পড়ে যাচ্ছিলাম; সাথে ছিল গত কয়েকদিনের চর্চায় রপ্তকৃত নিঃশব্দ হাহাপগে টাইপ হাসি। শেষে এসে যেন মোহাম্মদ আলীর একটা পাঞ্চ পড়লো সরাসরি বুকের উপরেই। ভাই আপনি কেম্নে পারেন?
মনে করেন দুইবেলা কষে কাঁঠাল পাতা খাই, তাই পারি
পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ
বাড়ি কাঁপায় হাসলাম.............
ভবিষ্যতকথন দারুণ লাগলো..............
একটা কথা- আপনার জগা খিচুড়ি ভীষণ মিস করি, পেয়ে যাবো ভাবি নাই। মাঝে মাঝে লেইখেন কিন্তু বস।
_____________________
Give Her Freedom!
নিয়মিত লিখবনা, তবে মাঝে মাঝে ইচ্ছা হলে অবশ্যই লিখবো। ভালো থাকবেন।
লেখা পড়ে বুঝলাম আমার মাথায় সমস্যা
যাক, হরমোনে সমস্যা নাই তাইলে
ঘটনা কি? হাসি কান্না সবই দেখি একসাথে
এগুলো ধারাবাহিক প্রতিক্রিয়া জনাব
আরেকটা মাস্টারপিস...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
বরাবরের মতই মারমার কাটকাট
অসাধারণ হইছে। =)
আপনার জগাখিচুড়ি খুব মিস করি ভাই।
ধন্যবাদ কাশফুল।
জগার ভূত মাথায় চড়লে অন্য কিছু আর লেখার সময় হয়না। নিয়মিত লিখবনা, তবে চেষ্টা করবো মাঝে মাঝে জগাখিচুড়ি লেখার।
এক ঢিলে কত্তগুলা ব্লগীও পক্ষী মাইরা গেলেন। হবে আপনাকে দিয়েই হবে
ব্লগীও পক্ষী !
থুক্কু "ব্লগীয় পক্ষী" লিখবার চাইছিলাম
আপনি বস পারেন ও বটে! পুরাই হাসতে হাসতে অবস্থা শেষ... লেখায় অনেকগুলা
-স্বপ্নাদিষ্ট
=======================
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।
থিঙ্কু
বরাবরের মত চমৎকার লেখা উদাস ভাই। শেষের দুই প্যারায় শিক্ষামুলক কিছু কথা। আপনার এই লেখার স্টাইল্টা আমার বেশ লাগে। রম্যের আড়ালে স্যাটায়ার আর কিছু শিক্ষা।
বাক্যহারা। অসাধারণ। এত অসাধারন লেখা আমি এত দেরিতে পড়লাম ! আমি একট বেকুব ।
"ভাষা সৈনিক মহাশয়" কে নিয়ে নাটক তো আরো হচ্ছে, এদিকে আবার সরকারী উকিল নাকি স্বাক্ষী খুঁজে পায় না
নাটক হয়তো সবে শুরু
জটিল কুটিল।
ক্যামনে ক্যামনে যেন একটা তৈলাক্ত বাঁশ ঢুকায় দেন।
বরাবরের মতই অসাধারণ!
সুবোধ অবোধ
হোয়াট হ্যাভ ইউ ডান ?
নতুন মন্তব্য করুন