লেখালেখি শুরু করলেই এক মহা মুশকিল। বিভিন্ন জিনিস মাথায় এসে উঁকি দেয়, এ বলে আমায় লেখ, ও বলে আমায়। আর লেখা শুরু করলে তখন সবাই আবার হারিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ডজন খানেক আধা খ্যাচড়া লেখা পড়ে থাকে, কোনটাই শেষ হয়না। ইদানীং আবার লেখাগুলি হয় হস্তি-সম। তাই আরও গোটাকয়েক এসো নিজে করি ঝুলে আছে, শেষ হবো হবো করেও শেষ হচ্ছে না। লাইনে আছে ফাতরা কিছু অণুগল্প, লাইনে আছে জগা মিয়া , ঝুলে আছে সাহিত্যিক। অনেক লেখার ভিড়ে তাই ভাবলাম আপাতত আরেকটু মিষ্টিমুখ করাই পাঠকদের। তারপরে না হয় বাকিদের নিয়ে চিন্তা করা যাবে।
যাহোক এবারের মিষ্টি মূলত "ডরাইলেই ডর" ইবই বাহিনীর জন্য। ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়ে ইবই বাহিনী এতো চমৎকার একটি বই বানিয়েছেন এজন্য ভাবলাম তাদেরকে একটু মিষ্টিমুখ করাই। কম্পিউটার আসার পর যখন ই-বুক জিনিসটার নাম প্রথম শুনলাম তখন ভেবেছিলাম ই-বুক মানে E সাইজের বুক। সিনেমার গুনে C দেখেছি, D দেখেছি, সেমিকন্ডাক্টর এর গুনে DD ও দেখেছি। উৎসাহী হয়ে ভাবলাম, না জানি E কেমনতর হবে। পরে মন উদাস করে দেখি, এই তবে কাণ্ড।
আজকে সহজ জিনিস বানাবো। গাজরের লাড্ডু। গাজরের হালুয়াও বলতে পারেন। হালুয়া বানিয়ে সেটা গোল্লা পাকালেই তো হয়ে গেলো লাড্ডু।
এতো কথা না বলে রেসিপি শুরু করি। প্রথমেই কি কি লাগবে বলি। গাজর লাগবে এইটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। তবে গাজর ছাড়াও গাজরের হালুয়া বানাও যায় বৈকি। আমি একবার বানিয়েছিলাম। ভাবছেন কিভাবে সম্ভব? নীতি ছাড়া যদি রাজনীতি হতে পারে, অনুভূতি ছাড়া যদি ধর্মানুভূতি হতে পারে, বুদ্ধি ছাড়াই যদি বুদ্ধিজীবী হতে পারে তাইলে গাজর ছাড়া গাজরের হালুয়া হবে না ক্যান? যাই হোক, লাইনে আসি। কি কি লাগবে লিস্ট দিয়ে দিচ্ছি-
১ হৃষ্টপুষ্ট কিছু গাজর। যেসব গাজরের গোড়া মোটা আগা চিকন ওইসব গাজরে চলবে না । বরং আগাগোড়া একইরকম মোটা ওরকম হৃষ্টপুষ্ট কিছু গাজর লাগবে। তাহলে কুচি করতে সুবিধা হবে।
২ চিনি
৩ ঘি
৪ গুড়া দুধ
৫ পেস্তা (Pistachio) এবং কাঠবাদাম (Almond)
৬ এলাচ ও তেজপাতা
প্রথমে গাজর ধুয়ে নিয়ে উপরের ছাল শেভ করে ফেলুন। কোন সবজি কুচি করার যন্ত্রের উপর ঘষে ঘষে গাজর গুলো একদম কুচি কুচি করে কেটে ফেলুন। আমি ফুড প্রসেসর এ দিয়ে করে ফেলি, এক মিনিটে হয়ে যায়। মেশিনে ঢুকিয়ে চাপ দিলে রা টা টা টা করতে করতে ব্যাটা চোখের নিমিষে সব কুচিকুচি করে ফেলে। স্ত্রী কিছুকাল আগে ফুড প্রসেসর কেনার পর, বাসার যা পায় ধরে কেটে ফেলে। কাটতে নাকি ভালো লাগে। ওই যন্ত্র কেনার পর থেকে আমার বাসায় আস্ত কোন সবজি দেখিনা। আলু, বেগুন থেকে শুরু করে মটরশুঁটি পর্যন্ত সব কুচিকুচি। একদিন বিমর্ষ মুখে এসে বলল, বাসায় নাকি কাটার মতো আস্ত কোন সবজি নাই। কিন্তু খুব কাটতে ইচ্ছা করছে। আমার একখানা আঙ্গুল ফুড প্রসেসরে একটু ঢুকাতে চায়। এরপর থেকে প্রতিদিন সবজি কিনে বাসায় রাখি, খাই আর না খাই।
যাহোক, এবারে চুলার উপর ফ্রাইংপ্যান একটু গরম করে সেটাতে গাজর কুচি তুলে দিন। ননস্টিক ফ্রাইংপ্যান হলে তেল লাগবে না, আর না হলে হালকা একটু তেল দিয়ে তার উপর গাজর দিন।
১০ মিনিট মাঝারি আঁচে নাড়াচাড়া করুন। গাজর থেকে সব পানি বের হয়ে যেতে দিন। এরপর পরিমাণগত চিনি দিয়ে আবারও নাড়াচাড়া করুন ৫ থেকে ১০ মিনিট। গাজর খুবই অভিমানী জিনিস, একটু চোখের আড়াল করলে জ্বলে পুড়ে ঝামা হয়ে যাবে। সুতরাং একটু পর পর নাড়তে থাকুন। এলাচ ও তেজপাতা দিন। ১৫ থেকে বিশ মিনিটের মধ্যে ব্যাটার সব পানি বের হয়ে যাবার কথা। নাইলে আরও ৫ মিনিট রিমান্ডে নিয়ে নাড়তে থাকুন। এরপর ঘি দিন দুই টেবিল চামচ। প্রবাসীরা ঘি না পেলে আনসল্টেড বাটার দিতে পারেন। তবে ঘি এর স্বাদ বাটারে কতটুকু মিলবে জানিনা। এবারে আরও ৫ মিনিট নাড়তে থাকুন। চেখে দেখুন মিষ্টির পরিমাণ ঠিক আছে কিনা। মিষ্টির পরিমাণ একটু কম হলে স্বাদ বেশী পাওয়া যাবে। সবশেষে কয়েক চামচ গুড়া দুধ আর বাদাম কুচি দিন। আরও ২/৩ মিনিট নেড়েচেড়ে নামিয়ে ফেলুন।
জিনিসটার রঙ দেখতে বাচ্চু রাজাকারের দাড়ির মতো হবে। টকটকে লাল, চিপায়চুপায় সাদা। রঙ যদি নিজামির দাড়ির মতো পুরাই সাদা হয় তাইলে বুঝবেন সামথিং ইজ রং। সম্ভবত অতি উত্তেজনায় গুড়া দুধের ডাব্বা পুরাই উপুড় করে দিয়েছেন। আর যদি আলী আহসান মুজাহিদের কাঁচাপাকা দাড়ির মতো রঙ হয় তাইলে বুঝবেন সামথিং ইজ ভেরি ভেরি রং। প্রবল সম্ভাবনা গাজর পুড়ায়ে ঝামা বানায়ে ফেলছেন। অসুবিধার কিছু নেই, গোল্লা পাকিয়ে প্রিয় বন্ধুদের ডেকে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। খবরদার নিজে খাবেন না।
এবারে আসি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। কিভাবে গোল্লা পাকাবেন। এক বন্ধু চপ খাওয়ার কাহিনী বলেছিল একবার। রেস্টুরেন্টে গিয়ে আলুর চপে চুল খুঁজে পেয়েছিল। তদন্ত করতে কিচেনে ঢুকে দেখে, চপ কারিগর দুই হাতে দুই মুঠো আলু ভর্তা নিয়ে দুই বগলে ভরে দিচ্ছে চাপ। চাপ খেয়ে সুন্দর চপ সাইজ হয়ে বের হয়ে আসছে। ইয়াক থু! যাই হোক, এই বগল চপের কাহিনী নিশ্চয়ই উর্বর মস্তিষ্কের চাপা। ভুলে যান এই কাহিনী, নাইলে এই জীবনে কোন দোকানে গিয়ে চপ খেতে পারবেন না। আমি যেমন পারিনা। চপ দেখলেই মাথার মধ্যে বগল চপ, বগল চপ গান বাজতে থাকে। যাই হোক কিভাবে গোল্লা পাকাবেন সেইটাও নিশ্চয়ই আমাকে শিখিয়ে দিতে হবে না। কিভাবে গোল্লা পাকাবেন না সেইটা বললাম আরকি।
আগের মিষ্টিমুখে যে বলেছিলাম ডেসার্ট হচ্ছে ছোট গল্প, সেটা আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছি। সুতরাং ছোটগল্পের মতো "শেষ হইয়াও হইল না শেষ" আবহ ধরে রাখতে পরিমাণে কম বানাবেন। দশজন লোক থাকলে ১২ টা লাড্ডু গোল্লা পাকাবেন। প্রত্যেকে ১ টা করে নিয়ে যেন "খাইলাম, আমি ইহাকে খাইলাম" বলে ফাল দিয়ে উঠে বাকি ২ টা নিয়ে সবাই মারামারি করে। আর আপনি বসে তামাশা দেখেতে পারেন।
এবারে কিছু পেস্তা আর কাঠবাদাম একদম গুড়া করে সেটার সাথে সামান্য গুড়া দুধ মেশান।
একটা একটা করে গোল্লাকে ধরে ওই মিশ্রণ এর উপর গড়াগড়ি খাইয়ে পাত্রে রাখুন। ব্যাস হয়ে গেলো আপনার গাজরের লাড্ডু। পরিবেশন করার আগে ফ্রিজে রাখতে পারেন কয়েক ঘণ্টা। একটু ঠাণ্ডা হবার পর এই হল আপনার লাড্ডুর ছবি। চাইলে গরমাগরম ও পরিবেশন করতে পারেন, দুটোর স্বাদই চমৎকার।
ছবির একটা লাড্ডু থেকে এক খাবলা উধাও দেখে হয়তো ভাবছেন এটা কার কাণ্ড। আসলে হালুয়া গরম থাকতে থাকতে গোল্লা না পাকালে এই সমস্যা হতে পারে। ঝুরঝুর করে আপনার লাড্ডু বা তার অংশ বিশেষ ভেঙ্গে পড়তে পারে। একই রকমের সমস্যায় পড়েছিলাম আগে পুডিং বানাতে গিয়ে। শালার পুডিং দাঁড়ায় না, ভেঙ্গে পড়ে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য লোকে নানা পরামর্শ দিবে। আমার সহজ সমাধান একটা Viagra এর চার ভাগের একভাগ ভেঙ্গে পানিতে গুলায়ে মিশিয়ে দেন। এরপর দেখি ব্যাটা না দাঁড়িয়ে যায় কোথায়।
যাই হোক বেলাইনে যাবার আগে বিদায় নেই। মোটা-চিকন হাইকলস্টরেল-লোকলস্টরেল ডায়াবেটিক-ননডায়াবেটিক নির্বিশেষে সবাই নির্ভয়ে এটা বানিয়ে মিষ্টিমুখ করে ফেলুন। কারণ কবি বলেছেন- ডরাইলেই ডর।
মন্তব্য
একশো কমেন্ট পার হওয়ার আগে আপনার লেখায় এই পরথম কমেন্ট করতে পারসি।
ইয়েয়েয়েয়েয়ে
এখন আমারে মিষ্টিমুখ করান।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
না পড়েই কমেন্ট করে ফেললেন। আগে না পড়েন, লাড্ডু বানান তাপ্পর ...
পড়ে তো লাভ নাই। আমি কি লাড্ডু বানাবে নাকি? কেউ বানাতে থাকবে, আমি পাশে বসে বসে লাড্ডু বানানো দেখবে। শেষ হলে গরম গরম খাবে।
তবে বাইরের চপ আর কোনদিন খাবে না।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দেইখেন আবার উদাস মিয়া "বগল মিষ্টি" না সার্ভ করে...
ইয়াক!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ভাগ্য ভালো ওই কারিগর ডোনাট বানায় না!
লেখা তো পুরাই (গুড়) । বানাইতে হবে, সবজি দিয়ে বানানো হইলে তো কেউ অস্বাস্থ্যকর বলতে পারবে না
..................................................................
#Banshibir.
আপনে আর উচ্ছলা মিলে কি আরম্ভ করলেন, খালি রসগোল্লা লাড্ডুর ছবি। আর খাইতে চাইলে কইবেন টেক্সাস যাইতে
কইষ্যা মাইনাস।
..................................................................
#Banshibir.
পীরবাবা, সাহস করে বানায়ে ফেলেন। এইটা রসগোল্লার চেয়ে অনেক সহজ বানানো। আর কতদিন কানাডায় বইসা বরফ পানি খেলবেন। আম্রিকা চলে আসেন, একসাথে বোম্বাস্টিং খেলুম নে।
আমি দুই নম্বর
নিজেকে ঘোষণা দিয়ে দুই নম্বর বলা কি ঠিক ? আর ওই দেখেন পাব্লিকে ঠ্যালা দিয়া আপনেরে কত পিছে পাঠায়ে দিছে।
আনলাকি থারটিনে এসে গেছি, এখন মনে হয় আর সরবে না
চরম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাই আম্নে একটা পিস । যাদুঘরে রেখে দেয়ার মত।
আগে মরতে দেন। জ্যান্ত অবস্থায় আপাতত চিড়িয়াখানায় রাখা যায়। মরলে না পরে মমি বানায়ে জাদুঘরে
নেক্সট টার্গেটঃ বগল চপ
াপনাকে
ওরে খাইছেরে, হাসতে হাসতে মইরা গেলাম !!
তয়, আলুর চপ নিয়া মজা করার লাইগা আপনেরে মাইনাস
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আহা, সব চপই কি আর বগল চপ হয়। একটু খিয়াল কইরা খাইলেই হয়
চরম উদাস ভাইকে তার এই স্বভাবসুলভ চরম মজার জন্য ধন্যবাদ !!!
পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। এইবার লাড্ডু বানায়ে ফেলেন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাইলাম আপনে, তানিম ভাই আর বদ বালিকা মিলে নাকি ধুমসে আমার বদনাম করছেন কবি সাহেবের বাসায় বসে
কবি সাহেব কিন্তু আপনের সব গোমড় ফাঁস করে দিছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমিও কবি সাবের অনেক সিক্রেট জানি কিন্তু কইলাম
কানে কানে বলেন... প্রতিশোধ নেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দিবো সব ফাঁস করে। আমাদের বাল্যকালের ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট আর আমাদের ফ্রেন্ডস ক্লাব নিয়ে একটা লেখা লিখবো ভাবতেছি। কিন্তু সমস্যা হইতেছে সত্যি কথা বইলা লম্বু কবি ভাইরে পচানোর মতো কিছু পাওয়া যাবেনা। কিন্তু আমি কি তাতে থেমে থাকার বস্তু? হাছা মিছা মিলায়ে গিট্টু পাকায়ে দিবোনে কিছু একটা লেইখা
আমি আগেই থেকেই পারতাম তারপরও পড়তে ভালো লাগলো। আশা করি খেতেও অনেক মজা হয়েছে আপনার লাড্ডু।
এইবার আমার রেসিপি দিয়ে বানান। মারাত্মক হবে, গ্যারান্টি।
বগল চপ বগল চাপ! =)-" আমার সহজ সমাধান একটা Viagra এর চার ভাগের একভাগ ভেঙ্গে পানিতে গুলায়ে মিশিয়ে দেন।"
খিক খিক খিক!
ভাই আপ্নে অমানুষ!
---------------------
আমার ফ্লিকার
মিয়া বগল চপের কথা বলে একটা বদ কাজ করলেন। এখনতো দেশে গিয়ে যাই খাব তার সাথে মানব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মিল খুঁজে বেড়াব।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
বলে তো পরে ভুলে যেতে বলছি
আন্নে কি মানুষ ???????????????????????
অশ্লীল !
এ কোন মিষ্টি দেখলাম!________ছোভানাল্লাহ !
আমি খুবই লাড্ডুপ্রিয়।
লেখাটাও দেখছি লাড্ডুর মতোই মজার
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আরে শৈশবের প্রিয় ছড়াকার এর কমেন্ট পেয়ে আমি ধন্য । ভালো থাকেন রিটন ভাই। আম্রিকা আসলে খবর দিয়েন, লাড্ডু নিয়ে হাজির হবো।
অপেক্ষা করতেছিলাম ফাঁদ পেতে কার মনে কুচিন্তাটা জাগে আগে দেখার জন্য
হ। আমার নামের শর্ট ভার্সন দেইখাও আপনার মনে কু ফাল দিছিলো। ভাবছেন খেয়াল করি নাই? রতনে রতন চেনে মিয়া
অন্য কারো সাথে গুলাইছেন মনে হচ্ছে। আমি তো বিশিষ্ট ভদ্রলোক
লিখবেন আপনি আর ধরা খাব আমি ! এই আপনার বিবেচনা?
ইডা দেখান কেন ?
আধলা আপনার মাথায়।
আর বাকি আধলা আমার নিজের মাথায়।
লেখায় (গুড়) দিলাম।
বগলের চাপ, ওয়াক থু! কেবল রাশান রেস্তোরাঁ থেকে আসলাম, মিয়া অরুচি লাগায়ে দিলেন, আপনেরে কষে ডলা দেয়া দরকার।
facebook
গাজরের হালুয়া! আমার অতি প্রিয় খাবার। আর জানেনতো আমরা, দেশের পুরুষেরা অধিকাংশই রান্না বান্না জানিনা। এখন এই রাতে আমাকে কে হালুয়া বানিয়ে দিবে ? আর মনে হলো হালুয়া বোধহয় আপনি পুড়ায়ে ফেলছেন, তাই প্যানের সাথে সেঁটে রয়েছে। ল্যাপটপ উল্টায়ে এত ঝাকাঝাকি করলাম একটা লাড্ডুও পড়লোনা। আপনেই বউ-পোলাপান নিয়ে খান (রাগের ইমো)।
বস, খুবই সোজা বানানো। ট্রাই মেরে দেখেন একবার
ম্যালা কষ্ট! আমি এট্টুস খানি সল্টেড মাখনের মধ্যে গাজরের কিমা জ্বাল দিয়ে শেষে এক কৌটা কন্ডেন্সড মিল্ক ঢেলে দিয়ে গাজর নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকি (আহেম ) , পানি না শুকানো পর্যন্ত। তারপর গোল্লা কেন, হাতি ঘোড়া সবই বানানো যায়। ও! দুই চারটা এলাদ দারচিনিকে কিছুক্ষণ হুজুরের দাড়ির মধ্যে উকুনের মত খানিক্ষণ বিচরণ করতে দিয়ে পরে আবার উদ্ধার করে নিয়ে আসি, খুশবু বাড়ে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
এট্টুস খানি মাখনে কিছু হবে?? ঘি লাগবে গো ঘি।
আমাদের এখানে ইদানিং পার্পল (বাংলা কি হবে? রক্তবেগুনী? ) গাজর পাওয়া যাচ্ছে। অনেক মিষ্টি আর এন্টি অক্সিডেন্টের পরিমানও বেশি। ভাবছি এই পার্পল গাজর দিয়ে লাড্ডু বানাবো, আপনার রেসিপি-ই সই - শুধু গুড়ো দুধের জায়গায় অনেক অনেক এভাপোরেটেড মিল্ক।
কিন্তু বাইপ্রোডাক্ট যদি গোলাম আজমের দাড়ির মতন হয় তাইলে?
অ.ট. ১ - আর কেউ না হোক, অন্তত কামড়ুজ্জামন সার্ডিন কে আপনার লাড্ডু খাওয়ানো উচিৎ
অ.ট. ২ - সাহিত্যিক ০৪ কো?
পার্পল এর বাংলা জানিনা, এই জাতীয় সকল মেয়েলী রঙ কেই আমি গোলাপি বলি, আই মিন বৃহত্তর গোলাপি জেলার আন্ডারে সবাই।
বাইপ্রোডাক্ট যদি গোলাম আজমের দাড়ির মতো হইলে ওইটা এলাকার ছাগল রে ডেকে খাওয়ায়ে দিতে হবে, উপরে কচি ঘাসের টপিং সহ।
সার্ডিন কি গুরুর লাস্ট নেম নাকি? আমি তো ভাবছিলাম স্বাধীন?
সাহিত্যিক সেন্সর বোর্ডে আজকে আছে। কিছু রগরগে দৃশ্য বোর্ড কেটে বাদ দিতে চাইতেছে, কিন্তু আমি অবস্থানে অনড়।
আর জীবনে দোকানের চপ খামুনা, আপনি পুরাই অমানুষ। তয় গাজরের লাড্ডু বেশ ভালো বানান মনে হচ্ছে। দাওয়াত নিয়ে রাখলাম কোনদিন যদি আপনার ওদিকে যেতে পারি তো খাওয়াতে হবে কিন্তু পাক্কা।
আলবৎ চলে আইসেন। তিরামিশু, গাজরের হালুয়া আর ম্যাঙ্গো চীজ কেক এর একটা ডেসার্ট ট্রায়ো বানায়ে খাওয়াবো নে।
চরম হয়েছে
থিঙ্কু
গাজর খেতে পারি না, গন্ধ লাগে। আপনার হালুয়া তে কি গাজর গাজর গন্ধ থাকে? নাকি ঘি দিয়ে গন্ধ দুর করেন? লেখা মচৎকার হইছে
গন্ধ থাকবে না কোনভাবেই। এজন্যেই তো এলাচ, তেজপাতা আর ঘি দেয়া। ট্রাই করে দেখেন। ভালো না লাগলে মূল্য ফেরত।
অতি মজাদার পোস্ট। আপনার বানানো মিষ্টি খাওয়ার জন্যই টেক্সাসে যেতে হবে মনে হচ্ছে।
কি আছে জীবনে। গাট্টি বোঁচকা বেঁধে চলে আসেন।
এই লাড্ডু আমি বানাবোই! কিন্তু কথা হচ্ছে, লাড্ডুর অংশবিশেষ যদি ভেঙ্গে পড়ে, এমনকি গরম হালুয়াকে গোল্লা পাকানোর পরও, তাহলে কি করব?
ডায়াবেটিসের রোগীদেরও খাওয়ায় বারন নাই? তাদের মিষ্টিমুখ করাতে যেয়ে যদি পরে তিক্তমুখ দর্শন করতে হয়?
ভেঙ্গে পড়লে টোটকা চিকিৎসা তো দিলাম ই। হাতে একটু ঘি মাখিয়ে গোল্লা পাকাবেন, ভাঙ্গবে না।
আমি দেশে একবার বানিয়েছিলাম আব্বার জন্য। Splenda দিয়েছিলাম চিনির বদলে। খারাপ হয়নি। কিন্তু পরিমাণে অল্প দিবেন নাহলে তেতো লাগতে পারে।
চরম লেখা।
এইটা বিশ্বাস করা খুব কঠিন হইতেছে যে আমি, যে কিনা ফুটানো পানি ছাড়া আর কিছুই রাঁধতে পারি না, আস্তা একটা রান্নার লেখা পড়ে ফেলসি। পেট স্রেফ ব্যথা করতেছ, হাস্তে হাস্তে
অলমিতি বিস্তারেণ
এইবার বানিয়েও ফেলেন। পানি যখন ফুটাতে পারেন তখন তো রান্নাবান্নার অর্ধেকই জানেন।
মিয়া চপের বারোটাটা না বাজাইলে হইতনা?
আহা, সমস্যা কি? খালি গোল চপ খাবেন। চ্যাপ্টা গুলা খায়েন না।
এইসব করবো আবিয়াইত্যা পোলাপান। আপনে বিবাহিত মানুষ, আপনে এইসব করেন কেন? বউকে খালি বলবেন, "টুনি গাজরের লাড্ডু বানাও।" ব্যাস, কাম শ্যাষ! গাজরের লাড্ডু রেডি।
আসলে ছোটবেলা থেকে সব কাজ নিজ হাতে করে অভ্যাস তো । এইজন্য পরহস্তে দায়িত্ব না দিয়ে নিজেই করে ফেলি।
হ, এতে পরবগলের দুঃশ্চিন্তা থিকাও মুক্ত থাকা যায়।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
হ। এজন্যই কবি বলেছেন,
গ্রন্থগত বিদ্যা আর পর বগলে চপ ...
আহা আপনার বউ কত ভাগ্গবতি, বাংলাদেশের সব ছেলেরা যদি নিজের কাজ নিজে করতে শিখত!!!! দেশ আগাই যাইত আর কি
আবার জিগায়
ধুর চপ আমার অতি প্রিয় একটা জিনিস,দিলেন বারোটা বাজায় :(।
এইটা কি করলেন। চপ আমার বহুতি পছন্দের একটা খাবার ছিল
তবে গাজরের হালুয়া যখন বানাতে পেরেছি লাড্ডুও পারব। আপনি একটা রান্নার বই লিখে ফেলেন। এক বই লিখেই কোটিপতি হইয়া যাবেন নিশ্চিত।
হ, রান্নার বই পড়ে পাবলিক আমারে পরে পিডাইতে আসবে আরকি
১)
২)
৩) সাহিত্যিক বেশি ঝুলাইয়েন না। ওদিকে আবার হিম্ভাইয়ের চন্ডিশিরাও বহুদিন যাবত্ পেন্ডিং
৪) ৫ ভোট দিলাম
৫) আপনার ঐ ম্যাটল্যাব পদ্যের মত এই সব গদ্য লেখার কোন কায়দা নাই?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আগে বলছি আবারও বলতেছি আমার সব লেখাই ম্যাটল্যাব দিয়া লেখা। বিশ্বাস করেন না ক্যান
একটা জগাখিচুড়ী লেখেন না ভাই আবার। আপনার ঠ্যাং ধরি (ঠ্যাঙ্গের লোম ধইরা টানমু না, চিমটি দিমু না আলুর চপের কসম)
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আর দুই মাস পর জগাখিচুড়ির বর্ষপূর্তি হবে। সেই উপলক্ষে জুলাই এ লেকপো নে একটা।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
বিশ্বাস করিনা কে বললো?
চাকরীতে যোগ দেবার আগ পর্যন্ত যে মানুষ বাসার বাইরে কখনোই থাকেনি এবং গত তিনবছর ধরে ঢাকা শহরের একটি হোস্টেল ক্যান্টিনের খাবার নামক বস্তুটা গলাধঃকরনে বাধ্য হচ্ছে তার কাছে এমন পোস্টের জন্য আপনাকে মাইনাস দেয়া হল
আর লোভনীয় এবং মজাদার এই খাবারের জন্য আপনারে ডাবল প্লাস। আমি হোস্টেল ছেড়ে দিয়ে বাসায় থাকা শুরু করব তখন এই লাড্ডু তৈরি করে একা একাই খাবো আর মনে মনে আপনারে দিব।
ভালো থাকবেন। লাড্ডু আমার খুব প্রিয় খাবার। (এখানে জিভে জল আসার ইমো হবে)
বানায়ে ফেলেন। একদমই সহজ। তবে হোটেলের খাবার দেখে শুনে খাইয়েন
একশো আগে কোরে নেই মন্তব্য পরে দিবো
নাইচ রেছিপি। পাত্র পক্ষকে এইটা বানায় খাওয়াইতে হইব। তাইলেই বিয়া কনফার্ম। তখন আমিই আপ্নেরে মিষ্টি মুখ করামু।
আর যদি পোলা বা পোলার গুষ্টি খাইয়া কাইত না হইব তাইলে কইলাম আপ্নের খবর আছে। নিম পাতার বড়ি খাওয়ায় দিমু
কাইত হবে না মানে, কাইত হতে বাধ্য।
ভাইরে, তিন বেকুব(3 idiots)দেইখা রুটি তে রুচি নাই
কোন এক খান অ্যাড দেইখা বাদামেও অরুচি
এখন, চপের চাপেও চুপ হয়ে যাবো!!!!!!!!!
(গুড়)
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আপনার মত ক্রিয়েটিভ ব্যাড-এ্যাস্ এই তল্লাটে আর একটাও নাই।
লেখা চরম চখাম। গোগ্রাসে লেখাটা খাইলাম
(গুড়)
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ঐ উচ্ছলা আপু, তুমি লেখা দেও না কেন? এমন চুপ মাইরা গেলা কেন?
সেইটাই, আপনার লেখা কই? সবাই দেখি ফাঁকিবাজ হয়ে যাচ্ছে।
ইস! চপ খাইতাম না আর জীবনে
আমি যখন খাওয়ার দোকান দিমু একটা, তার বাইরে নোটিশ বোর্ড টাংগায় রাখুম 'এখানে বগলের চাপ মুক্ত আলুর চপ পাওয়া যায়। বাবুর্চি - চরম উদাস দ্বারা শিক্ষাপ্রাপ্ত।'
রাইত সাড়ে চারটায় নাকের সামনে গাজরের লাড্ডুর ছবি লটকাইয়া বসাইয়া রাখলেন,যাকগে ব্যাপার না,খিদা লাগ্লে কি আর করার,কিন্তু আলুর চপের ইয়োগাটা না মারলে আপ্নের হইতো না!!!
সাথে ২ টা ডিম দিলে আরো ভালো হবে।দেখতে ভালো হবে, খেতেও।।।চিনি দেআর পর ডিম ছেরে দিয়ে ঘুটা দিবেন।।।
এরপর আন্ডা দিয়ে ট্রাই করবো অবশ্যই
এই লাইনটা খুব চিনা চিনা লাগে
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নতুন মন্তব্য করুন