এসো নিজে করি ০৫ - কিভাবে বড় ছাগল হবেন / How to become a royal goat

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: শনি, ১৯/০৫/২০১২ - ১১:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রামছাগলই বলা যেত। কিন্তু মুসলমান হয়ে জন্মেছি বলে আটকে গেলাম। রাম নিষিদ্ধ বা হারাম শব্দগুলোর একটি। তাই রামছাগল না বলে বড় ছাগল ব্যাবহার করা উচিৎ। কে বলেছেন? জনৈক অনেক বড় ছাগল বলেছেন -
বড় কিছু বুঝাতে অনেক শব্দের সাথে “রাম” শব্দটি যুক্ত করে বলে থাকে। যেমন: রামদা, রামছাগল ইত্যাদি। কিন্তু “রাম” শব্দটি দ্বারা মুলতঃ যবন, ম্রেচ্ছ, অস্পৃশ্য হিন্দুদের দেবতাকে বুঝানো হয়ে থাকে। তাই “রাম” শব্দটি পরিহার করে “বড়” শব্দ ব্যবহার করা উচিত। যেমন: বড় দা, বড় ছাগল ইত্যাদি।

ওখানে গিয়ে আরও শিখলাম -
১ বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড কথাটা হারাম কারণ এটা এসেছে ব্রহ্মার অণ্ড থেকে ( এ বিষয়ে শেয়াল ভায়ার অণ্ডপুরাণ কবিতাটি পড়তে পারেন)
২ মাংস না বলে গোশত বলতে হবে কারণ মাংস কথাটি এসেছে মায়ের অংশ থেকে (গো মাতার অংশ)
৩ ঝোল না বলে সুরুয়া বলতে হবে (কারণ ঠিক বুঝলাম না, কিন্তু সব ব্যাপারে প্রশ্ন তোলাও ঠিক না)
৪ লাউ না বলে কদু বলতে হবে - অনেকে কদুকে লাউ বলে থাকে। কিন্তু লাউ শব্দের খারাপ অর্থ আছে বিধায় কদুকে লাউ বলা মুসলমানদের উচিত নয়।
৫ কালিজিরা কে কালোজিরা বলতে হবে (কালির নাম থাকায়) ... ইত্যাদি ইত্যাদি

এবারের এসো নিজে করি ছাগলামি নিয়ে। কিভাবে রামছাগল থুক্কু বড় ছাগল হবেন সেই নিয়ে। আপনি যদি কচি বা মাঝারি ছাগল হয়ে থাকেন তবে পড়ে যান। জানা ও শেখার জন্য অনেক কিছুই পাবেন আমার এই লেখায়। যদি অলরেডি বড় ছাগল হয়ে থাকেন তাহলেও পড়ুন, কিভাবে আরও বড় হবেন জানার জন্য।

শুরুতেই আসুন ছাগল কাকে বলে জেনে নেই। ছাগল কথাটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হচ্ছে ছা-গোল। যেই ছা বা ছানা (সাধারণত মানুষের) সবসময় একই জায়গায় গোলগোল ঘুরে তাকে ছাগল বলে। সংজ্ঞা শুনেই বোঝা যায় বৈশিষ্ট্য কি। মাথায় ঘিলু থাকবে কিন্তু তার প্রয়োগ থাকবে না। খিড়কি থাকতে পারে ছোট একটা কিন্তু কোন দরজা জানালা থাকবে না। খোলা জানালা দিয়ে কখন কি ঢুকে যায়। এক কথায় যেই ছা একই অন্ধকূপের ভেতর সারাজীবন গোলগোল ঘুরিতে থাকে এবং সকলকে মিষ্টভাষায় অথবা বলপ্রয়োগে সেই কূপে টেনে নামানো পবিত্র দায়িত্ব মনে করে তাহাকেই ছাগল বলে। এর সাথে ধর্মের তেমন কোন সম্পর্ক না থাকলেও ধর্মান্ধতার বিশেষ সম্পর্ক আছে।

হালাল হারাম বাছাই

মৌলিক চাহিদার প্রথমটি অন্ন বলে, সেটা দিয়েই শুরু করি। অনেকের ধারণা বড় ছাগল হতে হলে শুধু ঘাস বা কাঁঠালপাতা খেতে হবে। এটা ঠিক না। তবে হালাল হারাম এর ব্যাপারগুলো খেয়াল রাখতে হবে। খাবারের ব্যাপার তো জানাই আছে। মুরগী হালাল হতে হবে, তবে সাথে একটু আধটু মদ্যপান চলতে পারে। ভ্রমণের সময় এরকমই অভিজ্ঞতা হয়েছে। জনৈক ছোট ছাগল বিমানবালার সাথে ঝগড়া লাগিয়ে দিলেন হালাল খাবার নিয়ে, একটু পরে আবার বিয়ারে হালকা চুমুক দিতে লাগলেন।

তবে বড় ছাগল হতে হলে আপনাকে আরও উপরে উঠতে হবে। খাবার ফেলে বাকি সব বস্তুতেও হারাম হালাল খুঁজতে হবে। যেমন আমাদের দেশের সকল জিলা হালাল নয়। বস্তুত বেশিরভাগই হারাম। যেমন নারায়ণগঞ্জ ( লক্ষ্মীনারায়ণ ঠাকুর এর নামানুসারে), গোপালগঞ্জ (অস্পৃশ্য হিন্দুদের নাম “গোপাল” থেকে), ঠাকুরগাঁও (ঠাকুর থেকে), নরসিংদী (নরসিংহ থেকে), ব্রাহ্মণবাড়িয়া (আবার জিগায়!), লক্ষ্মীপুর (আবারও জিগায়!), কক্সবাজার ( ম্লেচ্ছ ব্রিটিশ নৌ-ক্যাপ্টেন “হিরাম কক্স” থেকে), কিশোরগঞ্জ (ব্রজকিশোর বা নন্দকিশোর প্রামাণিকের নামানুসারে)। বিস্তারিত জানতে এইখানে লিস্টি দেখুন । তারপর আন্দোলনে নেমে পড়ুন এইগুলার হালাল নামকরণের জন্য।

হারাম অনুষ্ঠান কোন গুলো এটা নিশ্চয়ই জানা আছে। নববর্ষ, ভ্যালেন্টাইন ডে ইত্যাদি হারাম লিস্টে সবার উপরে। প্রথমটা হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি আরেকটা পশ্চিমা। চাইলে ইলিশকেও হারাম বলে ঘোষণা দিতে পারেন। মানুষ যেখানে খেতে পায়না সেইখানে তিন হাজার টাকা জোড়ায় ইলিশ কেনা ভণ্ডামি। তবে দুই লাখ টাকা দিয়ে পাড়ার সবাইকে প্রতিযোগিতায় হারিয়ে দিয়ে কেনা তাগড়া কোরবানির গরুটি হালাল বটে।

বিখ্যাত মানুষজন থেকেও বাছাই করতে হবে হালাল হারাম। রবীন্দ্রনাথ হারাম কবি, নজরুল হালাল কবি এইটা তো একটা কচি ছাগলও জানে। বড় ছাগল হতে হলে আপনাকে আরও উপরে উঠতে হবে। হারাম লেখকদের শীর্ষে রাখতে হবে জাফর ইকবাল এবং হুমায়ুন আজাদ কে। আবার কান টানলে মাথা আসে মনে করে জাফর ইকবালকে টানার সাথে সাথে হুমায়ূন আহমেদকেও ফট করে টানাটানি শুরু করে দিবেন না। হুমায়ূন আহমেদকে ঠিক হারাম লেখক ক্যাটাগরিতে ফেলা যাবেনা। তিনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক চমৎকার উপন্যাস লিখেছেন, সিনেমা বানিয়েছেন এটা আপনার মনকষ্টের কারণ হতে পারে। তবে সেইসাথে এটাও খেয়াল রাখতে হবে উনি কখনোই কারো মনে খুব বেশী কষ্ট দেননি। ছোটবেলা থেকে বাংলা, হিন্দি ছবিতে দেখে এসেছি একেবারে সময়মত ঘরের বাতিটি নিভে যেতে। নায়ক - নায়িকা ব্যাপক কচলাকচলি করছে, জামাকাপড় আলুথালু, উত্তেজনা তুঙ্গে। শেষ মুহূর্তে শালার ঘরের বাতি নিভে যায় অথবা নায়ক - নায়িকা খেতার নিচে ঢুকে পড়ে। পরে বুঝেছি অশ্লীলতা এড়াতে সময়মত খেতার নিচে ঢুকে পড়াটা সভ্য মানুষের জন্য অত্যন্ত জরুরী। হুমায়ূন আহমেদ সবসময়ই জনমানুষের লেখক। সপরিবারে পাঠযোগ্য সকল মনের মানুষের জন্য লেখা মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাসে তাই কোন শিশুর ধর্ষণের কথা আসতে পারেনা। পিতার সামনে কন্যার স্তন ছিঁড়ে নেয়ার কথা আসতে পারেনা। পাড়ার হুজুরের মুক্তি জবাই এর বর্ণনা আসতে পারেনা। ভাষা সৈনিক গোলাম আজমের কথা আসতে পারেনা। রাজাকার আলবদর আলশামস এর কথা আসার আগেই লাইট অফ বা খেতার নিচে ঢুকে যাওয়া। এতো কথা বলার অর্থ হচ্ছে, আপনাকে বড় ছাগল হতে হলে হালাল লেখকদের ভালোভাবে চিনতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখলেই কেউ হারাম হয়ে যায়না, বরং সুন্দর ও সুশীল-ভাবে লিখতে পারলে এরচেয়ে হালাল আর কিছুই হতে পারেনা।

যাইহোক আপনার কচি মস্তিষ্কে যেন বেশী চাপ না পড়ে তাই নিচে একটা হালাল হারাম এর ছোট লিস্টি দিয়ে দিচ্ছি। চোখ বন্ধ করে মুখস্থ করে ফেলেন
Halal-Haram

পোশাকআশাক

সবসময় গুটলীযুক্ত, গোল, কোণাবন্ধ, নিসফুস সাক্ব ক্বমীছ পরতে হবে। মানে কি আমাকে জিজ্ঞেস করে লাভ নেই। তবে পালন করতে হবে এইটা জানি। অনেকক্ষণ মাথা চুলকে বুঝলাম ক্বমীছ মানে কামিজ। সালওয়ার কামিজের কামিজ। তারপরে বিস্তারিত পড়াশোনা করে বুঝলাম গুটলীযুক্ত, গোল, কোণাবন্ধ নিসফুস সাক্ব ক্বমীছ হচ্ছে এই - "যার গেরেবান আছে যা বন্ধ করার জন্য কাপড়ের গুটলী লাগানো হয় যা নিছফুস সাক্ব। অর্থাৎ হাঁটু ও পায়ের গিরার মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত প্রলম্বিত। গোল যা কোণা ফাড়া নয়, যার আস্তিন আছে, যা অতি সহজেই মানুষের সতর ও ইজ্জত আবরু ঢাকে " । আরও জানলাম - শামায়িলুত তিরমিযীর বিখ্যাত ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘শরহুল মানাবী মিছরী’ কিতাবে উল্লেখ আছে, “ক্বমীছ সিলাইযুক্ত হবে, যার দুটি আস্তিন থাকবে। কোণা ফাড়া হবে না তথা গোল হবে।” (অনুরূপ মিরকাত শরীফ-এও আছে)।

হে হে ভেবেছিলেন বড় ছাগল হওয়া এতই সহজ? ছাগল কি আর দিগম্বর থাকে? সুতরাং বড় ছাগল হতে হলে আপনাকেও গুটলীযুক্ত, গোল, কোণাবন্ধ, নিসফুস সাক্ব ক্বমীছ" পরতে হবে। সতর্ক হতে হবে আপনার স্ত্রী এবং কন্যার পোশাকের ব্যাপারেও। বিশেষত শিশু কন্যাকে ভালো করে পুটুলিতে মুড়িয়ে রাখতে হবে। কাপড়ের বদলে এলুমিনিয়াম ফয়েলেও মুড়িয়ে রাখতে পারেন। সেইসাথে একটা ছবি তুলে ফেসবুকে তুলে দিতে পারেন, এই ছোট্ট বাবুটির জন্য কয়টি লাইক বলে। যেমন এই ছবিটি দেখা যাচ্ছে অহরহ আজকাল।

এসো নিজে করি সিরিজ যেহেতু তাই ভাবলাম কিছু কাজ নিজে করে দেখাই এবারো। বলেন তো দেখি নিচের এই লাজুক পর্দানিশীল কিউট ছোট্ট চরম উদাস বাবুটির জন্য কয়টি লাইক পেতে আমি। মিনিমাম এক হাজার লাইক না পেলে কিন্তু মনে বড় কষ্ট পাবো, বুঝবো আমার কিউট চেহারা পছন্দ হয়নি আপনাদের।

IMG_0075

টিপ পরা হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি। আজকাল ফেসবুকে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে এই ইতিহাস -
বাংলাদেশের অনেক মুসলিম মেয়ে টিপ পরতে ভালোবাসে। কিন্তূ আপনি জানেন কি,টিপ যে একটি বিশেষ ধর্মের পরিচয় ও সংস্কৃতির অংশ, শুধুমাত্র তা কিন্তূ নয়। ইসলামে টিপের একটি ইতিহাস আছে। হযরত ইব্রাহিম(আ) কে হত্যা করার জন্য নমরুদ একটি ১৮ মাইলের বিশাল অগ্নিকুণ্ড নির্মাণ করে। সেটি এত বড় ও ভয়াবহ উত্তপ্ত ছিল যে, কোন মানুষের পক্ষে ইব্রাহিমকে সেখানে নিয়ে নিক্ষেপ করা সম্ভব হল না। অবশেষে সে একটি যন্ত্র নির্মাণ করল যার সাহায্যে দূর থেকেই ইব্রাহিমকে অগ্নিকুণ্ডের ভিতরে নিক্ষেপ করা যাবে। কিন্তূ ফেরেশতারা সেটাতে ভর করে থাকায় যন্ত্রটি কাজ করছিল না। শয়তান এসে নমরুদকে বুদ্ধি দিল যে, কয়েকজন বেশ্যাকে এনে যদি যন্ত্রটিকে স্পর্শ করানো যায় তাহলে সেটা কাজ করবে। নমরুদ তাই করল এবং দেখা গেল যে সেটি কাজ করছে। নমরুদ ওই বেশ্যাদের কপালে চিহ্ন দিয়ে রাখল এই ভেবে যে, এদেরকে পরে দরকার হতে পারে। সেই থেকে কপালে টিপ পরার প্রচলন হল। কিন্তূ দুঃখ এই যে, যেসব মুসলিম নারী টিপ পরে, তারা এই ঘটনা জানেনা। জেনেও যদি কেউ পরে তাহলে সেটা তার দুর্ভাগ্য।

কি বুঝলেন? টিপ পরা হারাম। তবে টিপ দেয়া যেতে পারে, এখন থেকে চান্স পেলেই টিপ না পরে দিয়ে দিবেন। পাবলিকের প্যাঁদানি খেলে অবশ্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নহে। তবে একদিক থেকে চিন্তা করলে লেখক কিন্তু খারাপ কথা বলেননি। দেশের সকল বেশ্যাদের ধরে যদি এরকম টিপ পরিয়ে দেয়া হয় তাহলে মন্দ হয়না। দেহ পসারিণীদের কথা বলছি না, বেশ্যাদের মধ্যে দেহ বিক্রি করা বেশ্যারাই সবচেয়ে সম্মানের যোগ্য। রাজনৈতিক বেশ্যা, ধর্ম বেশ্যা, সাহিত্য বেশ্যা, বুদ্ধিজীবী বেশ্যাদের কথা বলছি। ধরে ধরে একটা করে টিপ পরিয়ে আলাদা করে রাখলে আমরা সবাই সহজে চিনতে পারতাম।

বৈজ্ঞানিক ছাগল

আমরা সাধারণত কেউ মূর্খ বা বোকা হলে তাকে ছাগল বা বলদ বলি। কিন্তু এটা ভুল। বিশেষ করে বড় ছাগল কখনোই মূর্খ নয়। বড় ছাগল হতে হলে আপনাকে জ্ঞানে বিজ্ঞানে হতে হবে উন্নত। সেইসাথে জানতে হবে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান। এককালে জ্ঞানার্জনের জন্য সুদূর চীনদেশে যেতে হতো। এখন ফেসবুকে লগইন করে বসে থাকলেই হবে। জ্ঞান এমনিতেই চলে আসবে।
আমি বহুদিন থেকেই বলে আসছি স্কুল কলেজ লেভেলে আলাদা করে ধর্মশিক্ষা বিষয় রাখার প্রয়োজন নেই। যেহেতু ধর্ম আর বিজ্ঞান একে অপরের সাথে লাইলি-মজনু, সিরাজ-সত্যপীর, সাহিত্য-দলছুট, ব্যাকটেরিয়া-অনার্য্য, ক্লিনটন-মনিকা, ইউনুস-হিলারি অথবা বগল-চপ এর মতো করে মিশে আছে। সুতরাং দুটোকে মিলিয়ে কিছু হাইব্রিড সাবজেক্ট ম্যাট্রিক ইন্টারে বাধ্যতামূলক করা দরকার। যেমন -

১ ইসলামী পদার্থবিজ্ঞান -
এখানে নিউটন সহ বাকিসব চোর বিজ্ঞানীদের বদলে আসল মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদানের কথা বলা হবে। নিউটন আইনস্টাইন সহ অনেক বড় বড় বিজ্ঞানীর অনেক বড় বড় আবিষ্কারই আসলে মৌলিক নয়। যেমন এখানে চোর নিউটনের তিন সূত্রের আসল আবিষ্কারকদের কথা বলা হয়েছে
আমি শুধু তৃতীয় সূত্রটির কথা তুলে ধরলাম - গতির তৃতীয় সূত্রে বলা হয়েছে যে,“প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।” অথচ হিবাতুল্লাহ আবুল বারাকাত আল বাগদাদী (১০৮০-১১৬৫) মহাচোর নিউটনের ৫৫০ বছর পূর্বেই “আল মুকতাবার ফিল হিকমা” (The Considered in Wisdom) কিতাবে উল্লেখ করেন যে, “কুস্তির সময় একে অন্যের উপর বল প্রয়োগ করে (ঘুসি দেয়) । যদি দু’জনের একজন (ঘুসির ফলে) পিছু হটে যায় তার মানে এই নয় যে, দ্বিতীয় ব্যক্তির বলের (দ্বিতীয় বলটির) অস্তিত্ব নেই বরং দ্বিতীয় বল ব্যতীত প্রথম বলটি প্রভাব বিস্তার করতে পারে না ।” মুসলিম বিজ্ঞানী হিবাতুল্লাহ আবুল বারাকাত আল বাগদাদী, মানতেকের ইমাম ফখরু উদ্দীন রাজী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং ইবনে হাইছাম, উনাদের প্রত্যেকের বক্তব্যের দ্বারা স্পষ্টতঃ প্রমাণিত হয় যে, মহাচোর নিউটন তৃতীয় সূত্রটিও মুসলমানদের থেকে চুরি করেছে।

২ সহিহ গণিত

পারদর্শী হতে হবে গণিতেও। তাহলেই বুঝতে পারবেন এরকম ছোটখাটো অনেক গাণিতিক কুদরত আশেপাশে ছড়িয়ে আছে।

বলতে গেলে মহাভারত হয়ে যাবে। এরকম শতশত গাণিতিক কুদরতের কথা আমরা প্রতিনিয়তই কারো না কারো কাছে শুনতে পাই। বাইবেলের গাণিতিক ব্যাপারস্যাপার নিয়েও এরকম Biblical Mathematics সহ নানা বই আছে রীতিমতো।

৩ হালাল জীববিজ্ঞান
শুরু করতে হবে ডারউইন কে ইয়োগা মেরে। বিবর্তন একটা ভ্রান্ত ধারণা এটা ইতোমধ্যে ফেসবুকের পাতায় পাতায় প্রমাণিত।

বিস্তারিত এখানে দেখুন। মানুষ বাঁদর থেকে আসেনি, আদম থেকে এসেছে। জানতে আদমচরিত পড়ুন। এখানে বিশিষ্ট লেখক ও ঐতিহাসিক মুখফোড় আদমের জীবন নিয়ে ঐতিহাসিক গল্প লিখেছেন। হুমায়ূন আহমেদের "দেয়াল" এর মতো আদমচরিতেও ইতিহাসের বিন্দুমাত্র বিচ্যুতি হয়নি।

একইভাবে আরও এরকম আছে শরীয়তী রসায়ন, দারুল ভূগোল, মুনাফা অর্থনীতি (সুদ না কোনভাবেই), জিহাদি পৌরনীতি ইত্যাদি ইত্যাদি। যই হোক, আপনি অন্য ধর্মের হলে মন খারাপের কিছু নেই। আপনার জন্য Biblical Mathematics এর মতো এরকম ধর্ম-বিজ্ঞানের হাইব্রিড সাবজেক্ট আছে। যেমন বৈদিক রসায়ন, ব্রহ্ম গণিত, মেরী ফিজিক্স, এমনকি চাইলে কামসূত্র রসায়ন ও। পরে কখনো এইগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করবো।

দেশবিদেশের ছাগলেরা
দুনিয়া ছাগলময়। সকল দেশী লোক যেমন ছাগল নয়, তেমনি সকল ছাগলরাও দেশী নয়। আমার দেশের ছাগল সম্প্রদায়, ভারতের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে বসে পাকিস্তানকে ভালোবেসে ফেলে। ভারতের ছাগল সম্প্রদায় রকে বসে ভারত বনধ এর তামাশা দেখে মিটিমিটি হাসে। সুযোগ মতো এসে ফোঁড়ন কেটে যায়, "বাংলাদেশিরা অকৃতজ্ঞ", "নিজেদের গরুচোর সামলাও" আগে ইত্যাদি ইত্যাদি বলে। আমেরিকার ছাগল সম্প্রদায় সকল ইস্টকেই মিডল ইস্ট ভেবে সহজ সল্যুশন দেয়, Nuke Them. আফগানে নিতান্তই খেয়ালের বশে এক ধাক্কায় ১৬ নারী শিশু হত্যাকারী বীর ছাগলের খবর পড়ে আমেরিকান ছাগল মন্তব্য করে, Bring our soldiers home. Then carpet bomb the sharthole nation in extiction. আবার অন্যদিকে আলুতে হিটলারের খবর পড়ে বগল বাজায় দেশী ছাগল এই বলে -"তিনি সর্ব কালের সেরা বীর রাষ্ট্র নায়ক ।তার উচিত ছিল শত্রু নিধন শেষ করা ।তাহলে পৃথিবী আজ অন্য রকম হত ।তোমায় সালাম হে বীর।"

মাঝেমাঝে ইয়াহু নিউজ এর নিচের মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হয়, ইয়াহু নিউজ এ মন্তব্যকারী আর আলুর মন্তব্যকারীরা একই লোক। অথবা হয়তো দুনিয়াতে আসলে আসল ছাগলের সংখ্যাই বেশী। সেই ছাগল দেশীই হোক আর বিদেশীই হোক উপরের চামড়ার রঙ শুধু ভিন্ন, ম্যাৎকার গুলো একই রকম। এককালে বাথরুমের দেয়ালে লিখে লিখে হাত পাকিয়ে এখন ব্লগ আর পত্রিকার দেয়ালে লিখে।

আমরাদেরকে ছোটবেলা থেকে ইহুদীদের ঘৃণা করতে শিখানো হয়েছে, কিশোরবেলায় আমেরিকাকে ঘৃণা করতে শিখানো হয়েছে। (পাকিস্তানকে ঘৃণা করতে অবশ্য তেমন কেউ শিখায়ে দেয় নাই, রক্তের টানে কেউ কেউ হয়তো এমনি এমনিই শিখে গেছে)। এক ব্যাপারে দেশী ছাগল আর আমেরিকার ছাগলের ব্যাপক মিল। আমেরিকার কাছে সকল ইস্ট মিডিল ইস্ট। আমাদের কাছে পশ্চিম মানেই আমেরিকা। যে কোন জিনিসকে হালাল করার জন্য পশ্চিমা আর ইহুদী ষড়যন্ত্রের চেয়ে কার্যকরী আর কোন শব্দ নেই। আর অন্যদিকে আমেরিকার ছাগলদের জন্য যেকোনো কিছু হালাল করার জন্য ইস্ট এর টেরর প্রোটেকশন এর চেয়ে ভালো আর কিছু হয়না। একদিক থেকে আমরা নিরাপদে আছি। আমেরিকার ছাগলদের ভূগোল জ্ঞান আমাদের চেয়ে অনেক কম। আমার দেশের যে কোন একটা কচি ছাগলকে একটা বোমা দিয়া গ্লোবের মধ্যে আমেরিকারে উড়ায়ে দিতে বললে এক্কেবারে জায়গামত বোমা ফেলে পুরা আমেরিকা, কানাডা সহ উড়ায়ে দিতে পারবে। আমেরিকান ছাগলের হাতে বোমা দিয়ে বাংলাদেশ উড়াইতে বললে একবার হয়তো অস্ট্রেলিয়া উড়ায়ে দিবে, একবার জাপান উড়ায়ে দিবে। বাংলাদেশ তো দূরের কথা, আস্ত উপমহাদেশ খুঁজে পায় কিনা তাই সন্দেহ।

মসজিদে আমাদের সবারই কম বেশী জুতা চুরি যাবার অভিজ্ঞতা আছে। আমি একবার বের হয়ে আমার জুতা নাই দেখে পরে একটু ঘুরে ফিরে পছন্দমতো একটা জুতা পরে চলে এসেছিলাম। যাইহোক, এই জুতাচুরি যে সংঘবদ্ধ ইহুদী নেটওয়ার্ক এর কাজ সেটা এতদিনে জানলাম-
বেশ কয়েক বছর আগে ফেনীতে এক জুতা চোর ধরা পড়ে। দেখতে বেশ ভদ্র ও শিক্ষিত। জিজ্ঞাসা করা হলো, তোমাকে তো দেখে মনে হচ্ছে তুমি শিক্ষিত। তাহলে তুমি জুতা চুরি করো কেনো? জুতা চোর বললো, আমি এক এনজিও (NGO) তে চাকরি করি। আমার মতো আরোও অনেকে রয়েছে। আমাদের কাজ দেয়া হয়, মসজিদ, মাদরাসা ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে জুতা চুরি করতে। বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা পাই। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যুগেও ইহুদীরা এ রকম কাজ করতো। যাতে মানুষ মসজিদে, ওয়াজ মাহফিলে না যায়। মসজিদে জুতা হারিয়ে গেলে মানুষ বলবে নামায পড়তে আসলাম আল্লাহ পাক তিনি দেখলেন না। নাঊযুবিল্লাহ! ইহুদীরা চায়- মুসলমানগণ আল্লাহ পাক উনাকে দোষ দিয়ে কাফির হয়ে যাক। নাঊযুবিল্লাহ!
যাইহোক, মোদ্দা কথা হচ্ছে বড় ছাগল হতে গেলে আপনাকে এইসব বিদেশী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ওয়াকিবহাল ও সদা সচেতন থাকতে হবে।

সেইসাথে বড় ছাগল হতে হলে আপনাকে ব্রেক মারা বন্ধ করতে হবে। মানে সহজ। প্রচলিত কৌতুক দিয়ে বুঝিয়ে বলি। ছাত্রকে একই বস্তু কিন্তু স্থানভেদে নাম ভিন্ন হয় এমন একটি জিনিসের উদাহরণ দিতে বলা হয়েছে। ফটকা ছাত্র বলে, মাথার উপর থাকলে চুল, চোখের উপর ভুরু, ঠোঁটের উপর গোঁফ, চিবুকে দাড়ি। এই পর্যন্ত আসা মাত্র শিক্ষক চেঁচিয়ে উঠেছে, ওরে থাম থাম, ব্রেক মার, আর নিচে নামিসনে। সুতরাং বড় ছাগল হতে গেলে আপনাকে এইরকম ব্রেক না মেরে নিচে নামতে হবে। সীমান্তে ভারতের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে করতে একসময় পাকিস্তানকে ভালোবেসে ফেলতে হবে। আমেরিকার পুঁজিবাদকে কে ঘৃণা করতে করতে একসময় হিটলারকে ভালোবেসে ফেলতে হবে। বুশ কে অপছন্দ করতে করতে লাদেনের প্রেমে পড়ে যেতে হবে। ইসরাইলের হারামিপনা দেখতে দেখতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদী গণহত্যায় বগল বাজাতে হবে। দুই নেত্রীর কাণ্ডে অসহ্য হয়ে এরশাদ কে ভালবেসে ফেলতে হবে। ছাত্রলীগের হারামিপনার প্রতিবাদ করতে সৎ লোকের শাসন চাই বলে জামাতের পতাকাতলে চলে যেতে হবে। অনেক বলদরা আপনাকে বলতে পারে, শত্রুর শত্রু সবসময় বন্ধু হয়না, অনেক সময় আরও বড় শত্রু হয়। কান দিবেন না। একেবারে কোন বেরেক না মেরে এগিয়ে চলুন।

ছাগল যখন বাঘ

বড় ছাগল হতে হলে নিয়মিত তারেক মনওয়ার এর ওয়াজ শুনতে হবে।

মন উদাস হলেই আমি শুনি। ব্যাটা বিশাল জ্ঞানের কথা বলেছে - শক্তিশালী বাঘ বনে লুকায়ে থাকে, লোকালয়ে আসলে মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে। নিরীহ ছাগল মাথা উঁচু করে লোকালয়ে থাকে। সবাই জানে তার মালিক আছে। কেউ তার ক্ষতি করার আগে দুইবার ভাববে।

সুতরাং অস্তিত্বের কারণে বাঘ না হয়ে ছাগল হওয়াই উত্তম। তবে ছাগল হয়েছেন বলে মন খারাপের কিছু নেই। সঠিক সময় ও সুযোগ মত হয়ে উঠুন বাঘ। ঠিক যেমন করে বাঘ হয়েছিলেন কিছুদিন আগে সাতক্ষীরায় । কোন বেচাল দেখলেই উচ্চ কণ্ঠে সবাইকে ডাক দিন, ধর্ম অবমাননাকারীদের বিচারের জন্য , ঠিক এমন করে
আমাদের এই লোকে লোকারণ্য ঢাকা শহরেই কিছুদিন আগে কিছু বীর তরুণ পথচলতি এক তরুণীর পাজামা টেনে নামিয়ে দিয়েছে সবার সামনেই। চিৎকার আর কান্নায় কেউ তেমন এগিয়ে আসেনি। না আসারই কথা। মেয়েটি তো কোন প্রেরিত মানুষ ছিলোনা। সুতরাং নিশ্চিন্তে যার খুশী তার পাজামা ধরে টানুন। কেউ কিছু বলবে না। শুধু ধর্ম বা কোন প্রেরিত পুরুষ এর পাজামায় কেউ টান দিলে গর্জে উঠুন, চোখের নিমিষে দেখবেন আপনার পাশে শতসহস্র প্রতিবাদী মানুষ। জ্বালিয়ে পুড়িয়ে চোখের নিমিষে তৈরি করে ফেলবে আরেকটি সাতক্ষীরা।

শেষকথা
আমার বাবার একটাই ভাই ছিল। বাবা ও বড় চাচা দুজনেই মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন। বাবা এসএসসি এর পর বাংলা মাধ্যমে চলে আসেন, সেইসাথে গ্রাম থেকে মফস্বল শহরে। তারপর ঢাকায়। চাচার মৃত্যু হয় আমার জন্মের আগে। তিন চাচাতভাইয়ের একজন আমাদের সাথে বড় হলেও অন্য দুজন রয়ে যায় গ্রামেই। তাদের পড়াশোনার শুরু আর শেষ মাদ্রাসাতেই। তাদের পুত্রকন্যাদেরও তাই। কালক্রমে একজন হয়ে যায় ছোটখাটো পীর। আশেপাশের আরও কয়েক গ্রাম থেকে তার কাছে পানিপড়া নিতে আসে লোকজন এখনো। জোর করেও তাঁকে ঢাকায় এনে রাখা যায় না। ঢাকার রাস্তায় শুধু পাপ, চোখ খুললেই শয়তানের বাক্স টেলিভিশন। একবার আব্বার শরীর খারাপ শুনে তাবিজ দিতে ঢাকা আসলেন। আব্বা আরবি ভালোই জানেন। তাবিজ খুঁজে তাকে যে আয়াত লেখা আছে তার মানে জানতে চাইলেন। তিনি উত্তর দিতে ব্যর্থ হলে আব্বা শুধু ঠাণ্ডা গলায় বললেন, এইসব ভণ্ডামি আমার সামনে করলে চড় দিয়ে দাঁত ফেলে দিবো। আমি মাঝেমাঝে ভাবি আমি যদি আজকে আব্বার ঘরে না জন্মে চাচার ঘরে জন্মাতাম তবে এখন কোথায় থাকতাম, কি করতাম? মনওয়ার হারামজাদার ওয়াজ শুনে চোখের পানিতে বুক ভাসাতাম, নাকি নিজেই আরেকজন মনওয়ার হতাম।

আমাদের দেশে দুটি পথ সুস্পষ্ট ভাবে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। বয়স আরও কম ছিল যখন তখন স্বপ্ন দেখতাম পথ দুটি একদিন মিলে যাবে। এখন বুঝি সেটা সম্ভব না এই জনমে অন্তত। লেদার রেক্লাইনার এ হেলান দিয়ে এসির বাতাসে বসে আইপ্যাড এর জানালা দিয়ে তাকিয়ে দিনকে দিন বরং পথ দুটির আলাদা হয়ে যাওয়া দেখি। ভাবি আমার কি আসে যায়। আমি জনপ্রিয় ব্লগার। এই পোস্ট দেয়া মাত্র কমেন্টের সংখ্যা শত ছাড়িয়ে যাবে, লাইক এর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাবে। আমি কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে চমৎকার লিখেছেন, চরম লেখা এই জাতীয় মন্তব্য পড়তে পড়তে আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলবো। দেশের প্রতি আমার দায়িত্ব পালন এখানেই শেষ। আর পৃথিবীর অন্য কোনায় বসে মনওয়ার এর ওয়াজ শুনে হাজার হাজার বড় বড় ছাগল তৈরি হবে প্রতিদিন। লক্ষ লক্ষ ছাগল কেঁদে বুক ভাসাবে ধর্ম অবমাননার জন্য, লক্ষ শান দেবে তরবারিতে সঠিক সময় ও সুযোগের অপেক্ষায়। যার মধ্যে হয়তো আমার ফেলে আসা চাচাতো ভাই আর তার সন্তানেরাও আছে।

[ ১ অকুতোভয় বিপ্লবী আর তার বন্ধু কিঙ্কু কে ধন্যবাদ "এই ছোট্ট বাবুটির জন্য কয়টি লাইক" এর আইডিয়ার জন্য। সেইসাথে অভিমানী অপছন্দনীয়কে কষে মাইনাস, সবুজ বাংলার এক গাদা লিঙ্ক সরবরাহ করে আমার সর্বনাশ করার জন্য। সচল ফেলে এখন দিনরাত আমি ওখানেই পড়ে থাকি নেকীর আশায়।
২ লেখাতে যেই অংশ গুলো অন্যের লেখা থেকে তুলে আনা, সেখানের বানানগুলো ঠিক করা হয়নি।]


মন্তব্য

চরম উদাস এর ছবি

জনাব em H T , আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য ধন্যবাদ। আপনাকে এই দুটি জিনিস দিলাম

প্রথমটি ভুতা দাও, দ্বিতীয়টি পিরীতের খেতা। আপনে আমারে হয় ভুতা দাও দিয়া কাইট্টা হালান অথবা পিরীতের খেতা দিয়া জাইত্তা ধইরা মাইরালান। এই জীবন আর রাখতে চাইনা ইয়ে, মানে...

সত্যপীর এর ছবি

ঘ্যাচাং

..................................................................
#Banshibir.

অরফিয়াস এর ছবি

উপরের কিউট ছবিটা পছন্দ হইছে, বড় বাবুটা কে ?? গড়াগড়ি দিয়া হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

চরম উদাস এর ছবি

আমি লইজ্জা লাগে

অরফিয়াস এর ছবি

এই ছাগলপন্থীরা এখন চরম ফর্মে আছে পুরো পৃথিবীতেই, মাঝে মাঝে তো আজকাল গুনগুন করে গাই "এই পৃথিবী ছাগলময়.........", একটু ঘুরলেই আশেপাশে বোটকা গন্ধ পাওয়া যায় !!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

আলভী মাহমুদ এর ছবি

মনে হইসিলো,আপনি মিয়া লোক অব্যক্ত রকমের খারাপ। আপনার ওই ছবি দেইখা হার্ট কিছুক্ষণের জন্য অফ হইয়া গেসিলো। অন হইলে পরে দেখি আজ্রাইল দুইটা মিসকল মারসে!! মিয়া রাত-বিরাতে এইরকম জিনিষ মাইনষে পুলাপাইনরে দেখায়?!

আপনার লেখার প্রশংসা করতে করতে ত্যক্ত হইয়া গেসি,কাল আইসা করুম নে।

চরম উদাস এর ছবি

আমার এত সুন্দর কিউট চেহারা দেখে হার্ট ফেইল হইলো অ্যাঁ কস্কি মমিন!

রাজু এর ছবি

চি চি ...আপনিও ইহুদী নাছারাদের দলে!!

চরম উদাস এর ছবি

ইয়ে, মানে...

অবিশেষণসম্ভব এর ছবি

তাহলেই বুঝতে পারবেন এরকম ছোটখাট অনেক গাণিতিক কুদরত আশেপাশে ছড়িয়ে আছে, বলতে গেলে মহাভারত হয়ে যাবে।

এইতো একটা হারাম কথা বলে ফেললেন, এইবার এটার সাবস্টিটিউট চিন্তা করেন।

আর ভাই, এই লিংকগুলা খুঁজে পাওয়ার জন্য যে অমানুষিক পরিশ্রম করেছেন সেটা আমি হাসতে হাসতেই করে ফেললাম। আপনি অমানুষ।

চরম উদাস এর ছবি

ইয়ে, মানে...
মহাভারত এর জায়গায় মহাবুখারী হবে।

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

হাহাহা
আপনাকে আমার আজকের ফেইসবুকের স্ট্যাটাস টা দিলাম
ফেইসবুকে একটা গ্রুপ খোলা হবে যেখানে মজার মজার ওয়াজ গুলা কাটা কুটি করে আবার রিলোড করা হবে, [ Matrix Reloded এর মতো করে ওয়াজ রিলোডেড]। যাকে তাকে যায়গা দেয়া হবেনা এটা হবে শুধুই বদ পোলাপানদের গ্রুপ। সিলেকশন ক্রাইটেরিয়া হিসাবে S.S.C কিংবা H.S.C পরীক্ষায় দুই একবার ফেল করার অভিজ্ঞতা থাকলে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। কারো ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেয়ার জন্য না শুধুই মজা করার জন্য। কারা কারা আগ্রহী? একটা সুন্দর নামের প্রয়োজন। “ওয়াজ খোর” কিংবা “ওয়াজ রিলোডেড” হলে কেমন হয়? গত কিছুদিন আর না হলেও অন্তত ৫০ টা ওয়াজ শুনে মাথায় আইডিয়াটা আসলো। পুরাই অমানুষিক বিনোদন
আপাতত একটা শুনেন। [আমার ফেইসবুক দেয়ালে দেখেন ওইটা আমার নিজের তৈরি তাই ইউ টিউবে নাই]

চরম উদাস এর ছবি

আমিও ভাবতেছি ওয়াজ রিমিক্স বানামু। LMFAO এর I am sexy and i know it গানের সাথে মনওয়ার এর বয়ান।

pr0l1f1k এর ছবি

ভাই, সাথে "Sorry for Party Rocking" গান টাও রাইখেন।

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

একনের একটা গান দেখলাম কয়দিন আগে, খুব খুশি হয়ে ৪৩টা দাঁত বের করে গাইছে I Just Had Sex দেঁতো হাসি
ওইটাও রাখবেন চোখ টিপি

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

আমি একটা নাম প্রস্তাব করতে চাই।
নামটা হল - ওয়াজঃ ফুল থ্রটল দেঁতো হাসি

চরম উদাস এর ছবি

হ আরও হতে পারে -
Waz Gear Solid
Gears of Waz
Grand theft Waz - Mogbazar
Call of Religion: Modern Wazfare

দীপ  এর ছবি

হাহাহহা।।।।। হাসতে হাসতে মরছি রে।।।। গুরু গুরু

guest_writter এর ছবি

লাজুক, পর্দানশীন, কিউট ছোট্ট উদাস বাবুটার (!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!)জন্য অনেক অনেক লাইক। গড়াগড়ি দিয়া হাসি

দীপাবলি।

চরম উদাস এর ছবি

লইজ্জা লাগে

আমি-অমিত এর ছবি

হা হা হা, আমি যে আর থামতে পারসি না ভাইজান গড়াগড়ি দিয়া হাসি এই দায়িত্ব কে নিবে শুনি??
লেখা সব সময়ের মতই রাম, থুক্কু, বেশ হয়েছে

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

আমি-অমিত এর ছবি

আর একটা জিনিস বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, আপনার লেখা আগের মত রসে ভরপুর থাকলেও গাম্ভীর্য একটা ভাব চল আসছে। ভালোই লাগছে। শুভেচ্ছা নিবেন হাসি

চরম উদাস এর ছবি

মাঝে মধ্যে জ্ঞান জ্ঞান ভাব চলে আসে ইয়ে, মানে... , চিন্তা কইরেন না নেক্সট লেখাতেই আবার জ্ঞানের মায়রে বাপ করে আমার অরিজিনাল ট্র্যাকে ফিরে আসবো খাইছে

কালো কাক এর ছবি

চরম উদাসের পর্দা উঠতেসে দেখা যায় খাইছে

মনটন খারাপ নাকি বস? লেখাটা ঐরকম

চরম উদাস এর ছবি

পর্দে মে রেহনে দো, পর্দা না উঠায়ো

সত্যপীর এর ছবি

জাঝাকাল্লাহু খাইরান অর্থাৎ উত্তম জাঝা দিলাম।

আপ্নের চাদ্দর ভালু পাইসি

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

চাদর না, ইস্পিশাল ম্যান বুরখা এইটা। বোরাট এর বিকিনির ম্যানলি ভার্সন ম্যানকিনির মতো আরকি।

নিটোল এর ছবি

ছাগলে ছাগলে পুরা ইন্টারনেট ভইরা গেল। আর আপনে আসছেন নতুন ছাগল পয়দা করতে! আপ্নেরে মাইনাস! খাইছে

_________________
[খোমাখাতা]

চরম উদাস এর ছবি

ইয়ে, মানে...

জ়াতির বিবেক এর ছবি

তারেক মাওলানা আমার বড়ই ফেবারিট । মন উদাস হইলে আমিও ওনার ওয়াজ শুনি , মনে শান্তি পাই চোখ টিপি

চরম উদাস এর ছবি

হ, আমিও তাই। তারেক মওলানা রকস।

সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড  এর ছবি

বড় বাবুটার জন্য এক গুতায় ৫টি লাইক। হাসতে হাসতে চাপা ব্যথা বানিয়ে ফেললাম।

চরম উদাস এর ছবি

লাইক দেয়ার জন্য অনেক ধন্্যবাদ। আমি জানি কিউট বাড় বাবুকে লাইক না দিয়ে কেউ পারবেনা দেঁতো হাসি

হিমু এর ছবি

টিপ বিষয়ে দণ্ডায়মান দ্য মমিনসের একখানা নিবেদন:

সত্যপীর এর ছবি

...যায় যে মমিন দাঁড়িয়ে গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

..................................................................
#Banshibir.

অরফিয়াস এর ছবি

"ও মমিন রুকুতে দাঁড়াও"- শুনেছিলাম, দারুন ছিলো !!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

এসওপি লিখতে হবে রাত ১২টার মধ্যে। আধাঘন্টা নষ্ট করে দিলেন। মনটা উদাস করে দিলেন। আপনি সংক্রামক!

আপনাকে অনেকদিন পর দেখলাম। ৮/৯ বছর হবে হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

চরম উদাস এর ছবি

কি মনে হয়? এখনও আগের মতো কিউট আছি না? শয়তানী হাসি

শাফায়েত এর ছবি

""যবন, ম্লেচ্ছ, অস্পৃশ্য, নাপাক, মুশরিক ও চিরজাহান্নামী কোনো হিন্দুর নামে এদেশের মাটিতে সড়ক ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ হতে পারে না"" এটা সবুজ বাংলা ব্লগের একটা পোস্টের টাইটেল। ঠিক এরাই আবার ধর্মানুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ধর্মকারীকে বন্ধ করতে চায়!!

চরম উদাস এর ছবি

পড়ে পড়ে আমি ক্লান্তরে ভাই। একবার হাসি তো একবার হতাশ হই!

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

ভাই, আপনার লেখা পড়তে গিয়া আজকে বড়ই সমিস্যার মইধ্যে আছি। লিংকগুলি খুলতে খুলতে ট্যাবে ট্যাবে ট্যাবারণ্য হয়া গেছে আমার চরম ব্রাউজার। এতোগুলা পড়ব কখন আর ঘুমাব কখন? ধুস! মন খারাপ

(লেখা লারেলাপ্পা গুরু গুরু )

চরম উদাস এর ছবি

পড়েন পড়েন , বাচতে হলে জানতে হবে।

সঞ্জয় কুমার চৌধুরী  এর ছবি

সের'ম!

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ক্রেসিডা এর ছবি

হো হো হো দারুন হইছে চউ'দা দেঁতো হাসি ( এই শর্টকাট নামটা কে যেন দিছিল, নামটা মনে নাই, শুধু নামটা মনে ধরছে.. একটা অসব্য অসব্য ভাব আছে ম্যাঁও )

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

চরম উদাস এর ছবি

চিন্তিত

নিলয় নন্দী এর ছবি

মাঝখান থেইকা উনি আমারে ফাঁসানের ধান্দায় আছেন।
ইয়ে, মানে...

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আমিও তো একটা নাম দিছিলাম। 'আর্য রসিক', সভ্য লোকের ভাত নাই।

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

সকালে অফিসে বসে পড়বার জন্যে ইটা রেখে গেলাম দেঁতো হাসি

---------------------
আমার ফ্লিকার

চরম উদাস এর ছবি

হ, পড়েন। পড়ে ইডা আমার মাথায় মারেন, মাথা সবুজ বাংলার ভারে মাথা আউলায়ে আছে।

সুব্রত শুভ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি হো হো হো হাততালি অ্যাঁ হাসাতে হাসাতে মেরে ফেলবেন দেখছি।

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

সাত্যকি. এর ছবি

ওওফ। এ কি রে ভাই!
চ্রমুদাস ইজ ইনহিউম্যানবিং।

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

এবিএম এর ছবি

আমার কাছে অসাধারন লাগল। মনওয়ার ছাগুর ওয়াজ আমি আগেই শুনেছিলাম। একটা ওয়াজে সে বলছিল, রবীন্দ্রনাথের গীতান্জলি নাকি কোন ইসলামী কবির কবিতার বইয়ের নকল ! কত বড় ছাগু হইলে এ কথা বলতে পারে, আল্লাহ মালুম। চিন্তিত

চরম উদাস এর ছবি

ব্যটায় যে হারে রবি বাবুরে গাইল্লায়, বেচে থাকলে ওর কথা শুইন্যা রবি বাবু সব ছেড়ে হামদ নাত লেখা শুরু করত শিউর।

তারানা_শব্দ এর ছবি

লেখার শুরুতে খুব হাসলাম, শেষে মন খারাপ হলো! মন খারাপ

এইসব ছাগুদের যন্ত্রণায়।।। ইয়ে, মানে...

লেকা ভালাইচে!

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

রেজা  শাওন এর ছবি

শাহরিয়ার কবির হালাল লেখক। এখানে একটু চেঞ্জ হবে।

চরম উদাস এর ছবি

শাহরিয়ার কবির এর ব্যপারে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেন?

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ইয়াসির এর ছবি

মাহমুদ ভাইয়ের প্রোফাইল থেকে মনোয়ার ব্যাটার ওয়াজ শুনলাম। এরে তো সলিটারী কনফাইনমেন্টে পাঠানো দরকার! তবে তার সেলের টয়লেটের সেফটি ট্যাঙ্ক বড় থাকতে হবে। নইলে এত হাগা জায়গা দেয়া মুশকিল

চরম উদাস এর ছবি

হ, সেটাই।

অবনীল এর ছবি

কি সাংঘাতিক! সবুজবাংলাব্লগের মত এরকম চরম সাম্প্রদায়িক আর মিথ্যাচারে ভরপুর একটা সাইট দিনের পর দিন নির্বিঘ্নে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এটা জেনেই গা ঘিনঘিন করে উঠছে। রেগে টং

আপনার লেখা ত বরাবরের মতই চ্রম। আর কি বলব। উত্তম জাঝা!

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

শাফায়েত এর ছবি

সাইটের ব্যানারেই ওরা কাঠাল এবং কাঠাল পাতার ছবি দিয়ে রাখসে,তাও যদি না বুঝেন ক্যামনে হবে? খাইছে

চরম উদাস এর ছবি

হ, ব্যনার জটিল

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আমার মাতা মুতা এখন সবুজ, চারিদিকে খালি এখন সবুজ দেখি ইয়ে, মানে...

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

গ্র্যান্ডমাস্টার এর ছবি

যেই পোস্টগুলোর লিংক দিলেন সেগুলো কি সারকাস্টিক পোস্ট? নাকি এরা সত্যিই এইরকম আবল-তাবোল ভাবে । সারকাস্টিক হইলে এত বেশী সারকাজম সহ্য করার ক্ষমতা আমার নাই, আর সত্যি হইলে এদেরকে খুঁজে বের করে মানসিক চিকিৎসা দেয়া দরকার । আর চিকিৎসার অযোগ্য হইলে শাস্তি দেয়া দরকার ।

আপনার পোস্ট কেমন হইছে এইটা অযথাই আর না বলি, সব মজার শেষেও আপনার হতাশাটুকুই শেষ পর্যন্ত ছুঁয়ে গেল ।

চরম উদাস এর ছবি

না র. ভাই, ঐ গুলা কোন সারকাজম না। ১০০% রিয়েল। ইয়ে, মানে...

কুলদা রায় এর ছবি

ব্রহ্মার চার মুখ। তিনি দেবী সরস্বতীকে সৃজন করার পর রূপ দেখে খুব মুগ্ধ হয়ে গেলেন। কিন্তু নিজের মেয়ে বলে একটু লজ্জা লজ্জাও করে। কিন্তু ভাললাগা বলে কথা। সরস্বতী যেদিকে যায়, তার সেদিক থেকেই আরেকটি মুখ গজায়। এইভাবে চারদিক থেকেই চারটি গজিয়ে সরস্বতীকে লোলুপের মত দেখে। এই ব্রহ্মার অণ্ড থেকে ব্রহ্মাণ্ডের জন্ম।
চরম উদাস, গ্রেট লেখা আপনার এই সার্কাসটিক লেখাটি। আমি মুগ্ধ।

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

চরম উদাস এর ছবি

ধন্যবাদ কুলদা রায়।
ব্রহ্মার অণ্ডের গল্পটা ভালো লাগলো।

রু_ এর ছবি

ছাগলনাইয়া কত বড় জেলা? দেশের সব ছাগলকে কী ওখানে আঁটানো যাবে? দুঃখিত, চরম উদাসের ছবি কিউট লাগে নাই।

আমাদের দেশের মাদ্রাসা কালচার আমাকেও প্রচন্ড ভাবায়। অসাধারণ লিখেছেন।

চরম উদাস এর ছবি

চরম উদাসের ছবি কিউট লাগে নাই? অ্যাঁ এডা একটা বিচারের কথা বল্লেন? অ্যাঁ

সৌরভ কবীর  এর ছবি

উত্তম জাঝা!
শেষ অংশটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। 'জলিল সাহেবের পিটিশন' নামের একটা গল্প পড়েছিলাম অনেকদিন আগে। গল্পটির শেষটি ছিল অনেকটা এরকম। এজন্যে তখন বারবার পড়তাম গল্পটা। এই লেখাটিও বারবার পড়তে হবে।

চরম উদাস এর ছবি

'জলিল সাহেবের পিটিশন দারুণ গল্প চলুক

শাফায়েত এর ছবি

""যবন, ম্লেচ্ছ, অস্পৃশ্য, নাপাক, মুশরিক ও চিরজাহান্নামী কোনো হিন্দুর নামে এদেশের মাটিতে সড়ক ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ হতে পারে না"" এটা সবুজ বাংলা ব্লগের একটা পোস্টের টাইটেল। ঠিক এরাই আবার ধর্মানুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ধর্মকারীকে বন্ধ করতে চায়!!

তাপস শর্মা এর ছবি

শেষটায় এসে বিধ্বস্ত হলাম। আর কিছুই বলার নাই। অনেক কিছু বলা হয়না, কিংবা বলা যায়না......
অনেক ভালো থাকুন উদাস ভাই।

চরম উদাস এর ছবি

কোলাকুলি

মেঘা এর ছবি

আজকে মন খুব খারাপ ছিলো। অনেকক্ষণ লেখা পড়ে খুব হাসলাম আপনার লাজুক ছবি দেখে তারচেয়ে বেশী হাসলাম। হো হো হো হো হো হো হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

শেষে এসে আমার মধ্যেও হতাশা কাজ করছে। লেখাপড়া শিখে দিন দিন মানুষের বুদ্ধির লেভেল এতো নিচে নেমে যাচ্ছে কেন? এইসব ছাগলের কথা কি করে শোনে আর কি করে মান? আমি সত্যিই বুঝে পাই না। আমি নাস্তিক না এটা জানি। আমি ধর্মান্ধ না এটাও জানি। যতটা যা আমার নিজের বিচার বুদ্ধি পর্যন্ত ঠিক মনে হয় আমি ততটাই নেই আর মানি। বাকীটা আমার কাছে সব সময় বর্জনীয়। তবে ইদানিং এই ফেসবুকিয় পীরদের কারণে অভক্তি চলে এসেছে। আমার আব্বুর সাথে মাঝে মাঝেই এটা নিয়ে অনেক তর্ক হয় এবং সে মনে কষ্ট পায় আমি নাস্তিক হয়ে যাচ্ছি ভেবে।

আপনার মতো আমারও বলতে ইচ্ছা করছে ভাইয়া ভাগ্যিস আমি আমার বাবার সন্তান হয়ে জন্মে ছিলাম নাহলে আমাকেও ছোট থাকতেই পুটুলিতে ভরে ফেলা হতো। এই এতো লেখাপড়া শেখা আর লেখালেখি করা কিছুই হতো না। তমসম বেগমের মতো দেখা যেতো আমিও ফেসবুকে ব্ল্যাক নিনজা সেজে ছবি দিয়ে বলতাম এটাই সঠিক জীবন বিধান মেয়েদের ইয়ে, মানে...

লেখা ভালো হয়েছে আপনি জানেন তার জন্য কোন ধন্যবাদ নাই। শুধু ধন্যবাদ দেবো নেটের এইসব সাইকো গুলোর পরিচয় দেবার জন্য। সুস্থ থাকার জন্য নিজের চারপাশের ব্যাধি সম্পর্কে ভালো করে জানার অধিকার সবার। ধন্যবাদ ভাইয়া।

ক্রেসিডা এর ছবি

"ফেসবুকে ব্ল্যাক নিনজা সেজে ছবি দিয়ে বলতাম এটাই সঠিক জীবন বিধান মেয়েদের "

আমি আপনার এই কথাটা বুঝলাম না। ব্লাক নিনজা হলে সমস্যা কি? একজন নারী যদি পর্দাশীল থাকে সেটা তে দোষের তো কিছুনা, যদি সে মনে করে সেটাই সঠিক পথ - দোষ কি? যতক্ষন পর্যন্ত না সে আপনাকে বা কাউকে জোর করে তার লাইফষ্টাইল অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে? বা অনধিকার চর্চাটা না করতে? লেখাপড়া শিখলে (এত্তো এত্তে লেখাপড়া) যে বোরখা পড়াটাকে সঠিক না বা খারাপ শেয়ায় তা কি?

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অরফিয়াস এর ছবি

আমি আপনার এই কথাটা বুঝলাম না। ব্লাক নিনজা হলে সমস্যা কি? একজন নারী যদি পর্দাশীল থাকে সেটা তে দোষের তো কিছুনা, যদি সে মনে করে সেটাই সঠিক পথ - দোষ কি?

ক্রেসিডা- তাহলে কি আপনি নারীদের বোরখা কিংবা এধরনের পোশাক সমর্থন করছেন??

যদি সমর্থন করেন, তাহলে নারীদের পর্দানশীল হওয়ার গুরুত্ব কিংবা এর পেছনে আপনার যুক্তি জানতে চাই। আশা করি জবাব দেবেন।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ক্রেসিডা এর ছবি

মুর্শেদ ভাই এ লিঙ্কটি থেকে একটা লাইন নিলাম - "নারীকে কোনোকালেও কেউ এই স্বাধীনতা দেয়নি হিজাব বেছে নেবার বা বর্জন করবার। একসময় একদল পুরুষ এসে বলেছে এটা ভালো, আরেক দল বলেছে খারাপ। কিন্তু সত্যিকারের নারীদের কি মতামত সেটা কেউ জানতে চায়নি।"

অরফিয়াস ভাই@ "হ্যাঁ, নারীদের বোরখা বা হিজাব পরায় আমার সমর্থন আছে।পরানোতে না।" আপনি পার্থক্যটুকু ধরতে পারবেন আশা করি। কেউ যদি নিজের ইচ্ছেয় সেভাবে পরে, (বা কোথাও শুনেও যদি ইন্সপায়ার্ড হয়ে নিজ ইচ্ছেয় পরে, সমস্যা কি? আপনি শাড়ি পরা, বা জিন্স পরা সমর্থন করেন? কেন করেন? যখন একজন নারী বোরখা বা হিজাব স্বইচ্ছায় পরে, সেটাকে একটা ড্রেস হিসেবে ভেবে নিতে দোষ কি? জোর করে চাপিয়ে দিয়ে পরানো কথা কিন্তু আমি একবারো বলিনি।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

সত্যপীর এর ছবি

হিজাব আর জিন্সে পার্থক্য হল, হিজাবের ব্যাপারটায় ইসলামিক টেক্সটে বলা আছে অন্যান্য পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি থেকে নিজেকে বাঁচাতে শরীর হিজাবে মুড়ে ফেলতে। এইখানে বাই ডিফল্ট সকল পুরুষকে লুল বানিয়ে দেয়া হচ্ছে। অবশ্য আপনি যদি মনে করেন তাদের হিজাব পরার কারণ এইটা না আসল কারণ হল বোরকার লেটেস্ট ডিজাইনের প্রতি ভালোবাসা তাহলে অন্য কথা।

..................................................................
#Banshibir.

ক্রেসিডা এর ছবি

না; আমি ডিজাইনের কথা বলছি না, বলছি স্বইচ্ছার কথা।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

সত্যপীর এর ছবি

আমার আগের কমেন্টটা আরেকবার মন দিয়ে পড়েন। উদাসের পোস্টে উদাস হয়ে পড়লে চলবে? বলেছি হিজাব পরবার বিধান দেওয়া আছে যেন নারী অন্য পুরুষের ভয়ংকর দৃষ্টি থেকে নিজের পবিত্র দেহ হিফাজত করে। আপনি এবং আমি পৃথিবীর সকল নারীর বুকের দিকে তাকিয়ে থাকি তাই বোরকার ভিতর নারীকে যেতে হবে, এইটাই বলা আছে। তাদের স্বইচ্ছাটাকি এই যুক্তি অনুযায়ী চলছে? যদি না চলে, এই স্বইচ্ছার কারণ বিস্তারিত ব্যাখ্যা করবেন কি?

..................................................................
#Banshibir.

সুমন চৌধুরী এর ছবি

স্বেচ্ছায় পর্দাপুসিদা একটা ভ্রান্ত ধারণা। পর্দার আধুনিক সংক্ষেপণ হিজাবের পক্ষে ওকালতি ‌ছাগুপথনির্দেশক। ক্রেসিডা মনে হয় সচলের নর্ম সম্পর্কে খুব সচেতন নন।

ক্রেসিডা এর ছবি

সুমন ভাই@ সচেতন না; যদি করেন - উপকার হবে।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

ক্রেসিডা এর ছবি

সত্যপীর ভাই@ তাদের স্বইচ্ছা কোন যুক্তিতে চলছে - সেটা কি জরুরি? আমি যদি কাউকে জোর করি - যে তোমার পরতেই হবে, আর সে যদি দ্বি-মত পোষন করে, তবে না যুক্তি-তর্ক আসবে। স্বইচ্ছা কোন যুক্তিতে চলছে সেটা কি বিবেচ্য? একজন নারী যদি স্বইচ্ছায় নিজেকে আড়াল করে চলতে লাইক করে - সেটায় আপনার, আমার বা সমাজের কোন প্রকারই ক্ষুতি সাধন তো হচ্ছে না। হ্যাঁ, যদি কেই বলে - আমি স্বইচ্ছায় চোর , তাহলে বলা যেতে পারে আপনার এই স্বইচ্ছায় চোর হবার পিছনে যুক্তি কি?

আর আমি মেয়ে না ভাই!তাদের মনের ইচ্ছের কারন বলা আমার সাধ্যের বাইরে।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

সত্যপীর এর ছবি

বারবার বলছি ইসলামিক রেফারেন্সের কথা যেখানে পর্দার গুরুত্ব বলা আছে অন্যান্য পুরুষের লুল দৃষ্টি থেকে রক্ষা পাবার জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক, আপনি সেটা পাশ কাটিয়ে খালি বলে যাচ্ছেন স্বইচ্ছা স্বইচ্ছা। ঠিক আছে আর বুঝতে হবেনা, কবিতা লিখুন। খুদাপেজ।

..................................................................
#Banshibir.

ক্রেসিডা এর ছবি

সত্যপীর ভাই@ ইসলামিক রেফারেন্স-এর কথা আমি তুলে আনি নি, কারন ঐ ব্যাপারে আমার জ্ঞান সীমতি। সো, এত অল্প জানা নিয়ে ব্যাপারটা নিয়ে আমি কথা বলি নি। আমি শুধু আমার সহজাত বোধটুকু দিয়েই কথা বল্লাম। সেটা কারো কাছে গ্রহনযোগ্য হতে পারে অথবা নাই বা পারে।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

সুমন চৌধুরী এর ছবি

অতিথি সচল হবার আগেই আপনার সচলের লেখার চরিত্র এবং নীতিমালা ঠিকমতো বুঝে নেওয়া উচিত ছিল। আপনি এখানে যা করলেন সেটা হিজাবের পক্ষে সোজসাপটা ওকালতি। সচলে এই মনোভাব কতটা অভ‌্যর্থিত এবং এই বিষয়ে সচলদের সহনমাত্রা কতটা সেই ধারণা থাকলে আপনি শেষ প্রশ্নটাও করতেন না আমাকে।

ক্রেসিডা এর ছবি

আমার পোষ্ট যদি কারো কষ্টের কারন হয়, সেটার জন্যে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ওকালতি বলেন বা যাই বলেন, আমার কথা তো আমি বলবোই। সেটা যদি পরে দেখি ভুল প্রমানিত হয়েছে, তবে সঠিক তথ্যটুকু গ্রহন করতে আমার আপত্তি নেই। আমার এরকম কোন ইগো ও নেই, যে আমি যা বলবো.. সেটা নিয়েই আকড়ে বসে থাকবো।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সচলে এসে হিজাবের পক্ষে ওকালতি করা যাবে না এইটা বুঝবার মতো গ্রেম‌্যাটার নাই আপনার মাথায়? এই বিষয়ে কথা তো বহু আগেই শেষ। সচলের জন্মের মুহুর্তেই শেষ। তারপরেও আপনি অধিকার দাবী করে ভ্যা ভ্যা করতে থাকলে বাকি পাঠকরা আপনাকে ছেড়ে দেবে না। হিজাবের পক্ষে ওকালতি যারা করে তারা প্রাথমিক ‌পর্যায়ের ‌ছাগু। আমার ব্যক্তিগতভাবে তাদের পোন্দানোর টাইম নাই। কিন্তু আপনি যদি আপনার এই ভ‌্যা ভ্যা করার অধিকারটা বেশি ফলাতে যান তাহলে সম্ভাব্য ধোলাই নিয়ে আপনাকে সতর্ক করে দিচ্ছি পুরনো সচল হিসাবে এই আর কি। মনে রাখবেন সচলে আক্রান্ত ছাগুকে বাঁচানো হয় না।

ক্রেসিডা এর ছবি

বাহ! আপনার কথা বলার ষ্ট্যাইল সুন্দর তো। ওকলাতি করিনি কোথাও আমার ধারনা। আমি কোথাও বলিনি, হিজাব পড়তেই হবে, না পড়লে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, কেই যদি হিজাব পড়ে থাকে নিজের ইচ্ছেয়, তাহলে তাকে বলতে হবে যে - "না পড়বানা! মহা অন্যায় হয়েছে। এনিওয়ে -

অন্য একটা প্রসঙ্গে আসি। আপনার ব্লগে প্রথমেই লেখা - " টোপ দিলেই কেঁচো মাছ খেয়ে ফেলবে.." .. ব্যাপারটা কি "মাছ কেঁচো খেয়ে ফেলবে হবে না? " জাস্ট জানার জন্যে।

ভালো থাকবেন।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অতিথি লেখক এর ছবি

ক্রেসিডা কুরআনে কোথাও কি নারীদেরকে বস্তা পরার কথা বলা হয়েছে ? নাকি নিজের চাদরের কিয়দাংশ গায়ের উপরে টেনে দিয়ে নিজের চাকচিক্য প্রকাশের ব্যাপারে বাঁধা দেয়া হয়েছে? আরেকটা কথা কুরআন অনুযায়ী কোন নারী নিজের চুল আর বক্ষদেশ ঢাকলে আর আঁটসাঁট কাপড় না পড়লেই তার পর্দা হয়ে যাবার কথা। আর ভাইজান ওখানে যে পুরুষের হিজাব এর ব্যাপারেও এক গাদা কথা লেখা আছে সেটা কেনু বলেন না ? পুরুষের হিজাব এরপরে কাম প্রবণ দৃষ্টি এই সব কথা তো কখনও শুনিনাই আপনার হুজুরদের কাছে থেকে ? ম্যাঁও তয় তালগাছটা আপনাকে দিলাম

আসিফ এর ছবি

ক্রেসিডা তাহলে ব্লগে এসে ছাগু/ছাগবান্ধব হয়ে গেলেন। খাইছে

আমি একটা কথা মানি, কোন ব্লগে মন্তব্য করতে গেলে সেখানকার পরিবেশটা সম্পর্কে ধারণা নেয়াটা জরুরী। আপনার মনে যা আছে তা ঠিকভাবে কিবোর্ডে ফুটিয়ে তুলতে পারার ক্ষমতা অর্জন করার আগেই সবার সঙ্গে লেগে যাবেন না প্লিজ। মিথস্ক্রিয়া জরুরী, কিন্তু তা যেন নিজের সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি না করে।

এনিওয়ে, আপনি যে ছাগু/ছাগবান্ধব না সেটা প্রমাণ করার দায়িত্ব আপনারই। বেস্ট অফ লাক।

তাপস শর্মা এর ছবি

ক্রেসিডা ভাই, আপনার কোবতে ভালু পাই। তয় কথা হৈল বস্তা আপনার এত্ত প্রিয় কেনু তা আমার জানা নাই। তবে আমি এই ইছলামি বস্তাকে হেট করে থাকি। এবং সচলে এই বস্তার স্বপক্ষে বলা পাপ! তয় আপনি সেই পাপই কচ্ছেন!

এইবার নেক্সট কথাঐল ভাইজান একবার হিজাব সহ রোরকা চাপাইয়া ঠা ঠা রৈদে ঘণ্টা খানেক চক্কর মারেন তো দেখি! দেইখেন কেউ আবার লুল নজর না দ্যায়! কুইক! জলদি করেন। এরপর আইয়েন, আমি আছি, অপেক্ষা কত্তেছি। এরপর না হয় নারীর স্বইচ্ছা কিংবা বস্তার উপকারিতা নিয়ে কথা কমু।

ক্রেসিডা এর ছবি

তাপস ভাই@ বস্তা আমার মোটেও প্রিয় কিছু না। হাসি

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

তাপস শর্মা এর ছবি

তাইলে এত্ত প্যাঁচাল পিটলেন ক্যা?

স্বইচ্ছায় না হৈলে আপনার সমস্যা আছে নাকি? আর বাকি কোন সমুস্যা নাইক্কা!
আর পর্দার উপকারিতা নিয়া কিছু কইলেন না যে ভাইজান। আহা কৈতে হৈব তো! নইলে আমরা অনেক কিছু মিসামু ত। হে হে, বুঝলেন।

ও হো, আপনেরে যে কৈলাম ঐটা টেরাই মারতে, মারেন না ইট্টু! পিলিজ লাগে......

জাউজ্ঞা, এতক্ষনে উদাস ভাই এর এই পোস্টের সার্থকটা খুঁজে পাওয়া গেল।

মুক্ত কন্ঠ বলেন - আমেন!

le halua এর ছবি

বেপার টা ভালো লাগলো না, হিজাব পরার পক্ষে বলায় আপনারা কি ভাবে আক্রমন করছেন। হিজাব পরলে শুধু পুরুষের দৃষ্টি থেকেই বাচায় না, বরং এর আরো উপোকারিতা আছে। সেটা নিয়ে কেউ কথা বলে না বা জানার চেষ্টা করে না। তাছাড়া, হিজাব দিয়ে পর্দা করতে হবে তা তো না। আর মেয়ে দের ও, ছেলেদের সেক্সি দেখে কামনা হয়। তারা প্রকাশ করে না কারন তারা শেখেনি কিভাবে ছেলেদের দিকে কমেন্ট পাস করে, নাইলে এখন দেশে আ্যডাম টিজার ও থাকতো। ছেলে রা হিজাব করেন না বলে ভাববেন না আপনারা মেয়েদের লোলুপ দৃষ্টির বাইরে। সংযত হউন :প। কে জানে হ‌্য়তো আপনাদের হিজাব শুরু করতে হবে। আর ইসলামে ছেলে মেয়ে উভয়কেউ পর্দা করতে বলা হয়েছে।

সত্যপীর এর ছবি

এই "বেপার" আপনাদের ভালো না লাগারই কথা।

হিজাব পরলে শুধু পুরুষের দৃষ্টি থেকেই বাচায় না, বরং এর আরো উপোকারিতা আছে।

আপনি স্বীকার করছেন হিজাব মেয়েরা স্বেচ্ছায় করেনা আপনার আমার মতন লুল্পুরুষের দৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য পরে। হে হে হে।

ছেলে রা হিজাব করেন না বলে ভাববেন না আপনারা মেয়েদের লোলুপ দৃষ্টির বাইরে।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আর ইসলামে ছেলে মেয়ে উভয়কেউ পর্দা করতে বলা হয়েছে।

তাইলে আপ্নে বোর্কা পরেন না ক্যান?

কইত্তে যে আসে এডি চিন্তিত

..................................................................
#Banshibir.

তাপস শর্মা এর ছবি

লে হালুয়া। এইবার জমছে ভালা। দিন ভাই - "ছেলে রা হিজাব করেন না বলে ভাববেন না আপনারা মেয়েদের লোলুপ দৃষ্টির বাইরে। সংযত হউন" বলে একটা ঠেলা দিন।

জয় কাঁঠাল পাতার জয়।

হিমু এর ছবি

হিজাবিনী মেয়েগুলি আমার দিকে ক্যামোন ক্যামোন করে যেন তাকায়, জানেন মন খারাপ ? আমি মাথা নিচু করে আত্তাহিয়াতু পড়ে বুকেপিঠে ছ্যাপ দিয়ে পালিয়ে আসি।

চরম উদাস এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অরফিয়াস এর ছবি

এইবার বলে ফেলেন ভাইডি, কোন মাইয়া আপনার লুঙ্গি ধইরা টান দিছিলো নাকি?? চিন্তিত

আর মেয়ে দের ও, ছেলেদের সেক্সি দেখে কামনা হয়।

হইবোনা কে? ১০০ বার হইবো !! আপনে মিয়া সাবধান, লুঙ্গি মাথায় তুইলা রাস্তায় হাঁটতে বাইর হইয়েন না কইলাম।

ছেলে রা হিজাব করেন না বলে ভাববেন না আপনারা মেয়েদের লোলুপ দৃষ্টির বাইরে।

দুঃখের কথা কি কমু রে ভাই, রাস্তায় আজকাল পোলারা বাইর হইলেই মাইয়ারা শিস দেয়, আবার কয়, "আজা মুন্না গোদ মে বেইঠ যা" !!!!

গজব পড়ব !!!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো

নাসির এর ছবি

পাপ ? সচল ও তো দেখি ধর্মপীঠ হয়ে যাচ্ছে !

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

@ক্রেসিডা: আপনি ভুল ব্লগে চলে এসেছেন
আপনার ব্লগ হচ্ছে এটা
ওখানে আপনাকে অনেকেই মিস করছে। সচলের অনেক পোস্ট আপনাকে আঘাত করবে!!

ক্রেসিডা এর ছবি

মাহমুদ ভাই@ আঘাত করলেও সমস্যা নাই। আমি অনেক সহনশীল বলেই আমার ধারনা। চেষ্টা করবো নিজেকে এখঅনকার সাথে আপডেট করে নেয়ার।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

বোঁটকা গন্ধ এসে লাগছে নাকে, বড় তীব্র।

সাজ্জাদ এর ছবি

ইচ্ছার কি কোন কারন থাকে? আপনি জিন্স পরেন, আর আমি লুঙ্গি, তো আপনার এতো জালায় কেলা? আমি কি পরবো না পরবো তা কি জবাবদিহি করা লাগবে?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হ্যাঁ, নারীদের বোরখা বা হিজাব পরায় আমার সমর্থন আছে।পরানোতে না।" আপনি পার্থক্যটুকু ধরতে পারবেন আশা করি। কেউ যদি নিজের ইচ্ছেয় সেভাবে পরে, (বা কোথাও শুনেও যদি ইন্সপায়ার্ড হয়ে নিজ ইচ্ছেয় পরে, সমস্যা কি? আপনি শাড়ি পরা, বা জিন্স পরা সমর্থন করেন? কেন করেন? যখন একজন নারী বোরখা বা হিজাব স্বইচ্ছায় পরে, সেটাকে একটা ড্রেস হিসেবে ভেবে নিতে দোষ কি?

একজন নারী যদি স্বইচ্ছায় নিজেকে আড়াল করে চলতে লাইক করে - সেটায় আপনার, আমার বা সমাজের কোন প্রকারই ক্ষতি সাধন তো হচ্ছে না।

আপনার যুক্তিতে নানাবিধ ফাঁক! এরকম কখন হয় জানেন? যখন নিজের পছন্দ/বিশ্বাসের জন্য যুক্তি তৈরি করতে হয়, তখন। সহজে বলুন, আপনার এটা পছন্দ কারণ এটা আপনার বিশ্বাসের সঙ্গে মানানসই।

আমি ভাত অথবা রুটি খাওয়া সমর্থন করি। যার যেটা পছন্দ সে সেটা খাবে। কিন্তু বিষ খাওয়া সমর্থন করিনা। ওইটা খাদ্য নয়। যেই কারণে অ্যাম্ফিটামিন খাওয়াও সমর্থন করিনা। ওইটাও খাদ্য নয়। আমি ব্যায়াম করা সমর্থন করি, খেলাধুলার পরিশ্রম/কষ্ট সমর্থন করি। কিন্তু চাবুক দিয়ে পিঠের ছাল তুলে ফেলা সমর্থন করিনা, উরুতে কাঁটাতার গেঁথে রাখা সমর্থন করিনা। এইগুলা কিন্তু স্বইচ্ছায় করা হয়, কেউ জোর করে করায় না।

কে কী ধরণের পোষাক পরবে সেটাকে আমি ব্যক্তি স্বাধীনতা বলে মনে করি। কিন্তু হিজাব কোন পোষাক নয়। হিজাবের পেছনে একটি বিশ্বাস রয়েছে। ক্ষতিকর বিশ্বাস। কিছু না পরে থাকাও বরং ইচ্ছের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে। হিজাব করা ব্যক্তি ইচ্ছের বহিঃপ্রকাশের মত সরল কিছু নয়!

নারী স্বেচ্ছায় হিজাব করে, এই মূর্খামি থেকে বের হয়ে আসুন। কোন নারী স্বেচ্ছায় হিজাব করে না। তার পরিবার এবং সমাজ তার ভেতরে হিজাব করার ইচ্ছে তৈরি করে দেয়! সেই ইচ্ছে কেন তৈরি হয় জানেন? কারণ নারীকে ভাবতে শেখানো হয় তার শরীর হচ্ছে সম্পত্তি, এইটা তাকে লোকের নজর থেকে রক্ষা করে চলতে হবে। লোকের নজর পড়লে সে নোংরা হয়ে যাবে, তার 'সব' খোয়া যাবে। তার মূল্য কমে যাবে। নারী বিশ্বাস করতে শুরু করে সে মানে আসলে তার শরীর। তার অস্তিত্ব তার যৌনতায়। তার ওই একটা জিনিসই আছে বিক্রি করার মত, বিকিয়ে যাওয়ার মত। তার যৌনতা এবং যৌনতার (অলীক) শুদ্ধতাতেই তার মূল্য নির্ধারিত হয়। সেইজন্যে হিজাব একজন নারীকে অসন্মান করে। একজন পূর্ণ মানুষ হিসেবে তার অবস্থানকে নাড়িয়ে দেয়।

হিজাবের ধারণাটির ভেতরে নোংরামি থাকার জন্যেই সেটিকে একটি পোষাক হিসেবে ভেবে নেয়ার কোন উপায় নেই। নিজেকে আড়াল করে চলার ইচ্ছেটাও নারীর ভেতরে তৈরি করে দেয় পুরুষের আদিম প্রবৃত্তি দিয়ে চালিত সমাজ। এইটা আসলে নারীর ইচ্ছে নয়। নিজের ইচ্ছেয় একজন নারী শাড়ি অথবা সালোয়ার কামিজ পরতে পারেন। কিন্তু যার ভেতরে হিজাব পরার 'ইচ্ছে' তৈরি হয়, তার আর কোন পছন্দ থাকে না। তিনি নিজের ইচ্ছেতেই আজীবন হিজাব পরে চলেন। একটি মজার ব্যাপার লক্ষ্য করেছেন? নিজের ইচ্ছেয় যিনি হিজাব পরেন তিনি নিজের ইচ্ছেয় কখনো জিন্স-টিশার্ট পরেন না! নিজের আদিম প্রবৃত্তি থেকে সরে গিয়ে যদি ভাবেন, তাহলে বুঝতে পারবেন, পছন্দটা দুটি পোষাকের ভেতরে নয়! পছন্দ বিশ্বাসের! নিজেকে যৌনবস্তু ভেবে নেয়ায়!

একজন নারীর ভেতরে হিজাবের বোধ তৈরি করে দেয়া শিশুকাল থেকে। নিজেকে একটা আস্ত যৌনাঙ্গ ভাবতে শেখানো হয় শিশু থেকেই। সামাজ এবং পরিবেশের কারণে সেই বিশ্বাস থেকে নারী আর বেরোতে পারেনা। নিজের পরবর্তী প্রজন্মের ভেতরেও তা ছড়িয়ে দিয়ে যায়! আপনি কি মনে করেন, আত্মঘাতি বোমা হামলাকারীরা নিজের ইচ্ছেতেই আত্মহত্যা করে?

অনেকগুলো কথা লিখলাম। যদিও এ আপনার কোন উপকারে আসবে বলে মনে করিনা। কিন্তু এরকম ক্ষেত্রে যা হয়, কোন একজনের তৈরি করা 'যুক্তি'(!) বিশ্বাসের ভারে দূর্বল মানুষকে আরো অন্ধ করে দেয়। সেইসব পাঠকের জন্য এতবড় মন্তব্য করলাম, যাঁরা আপনার মন্তব্য পড়ে বিভ্রান্ত হতে পারতেন।

প্রসঙ্গত, আপনার ছবিতে বেশ পর্দা মোড়ানো একটি কন্যা শিশুকে দেখছি! আমি নিশ্চিত, সে বড় হয়ে নিজের ইচ্ছেতেই হিজাব করবে। এখন থেকেই সে ভাবতে শিখছে, তার মূল্য তার যৌনতায়। শিশুটির জন্য মায়া লাগল। কামনা করি, তার যুক্তিবোধ তাকে মানসিকভাবে পূর্ণ মানুষ করে তুলুক। সে নিজেকে সন্মান করতে শিখুক।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ক্রেসিডা এর ছবি

শিশুটি আমার মেয়ে "নামতা"। ছবিটা তার যখন ১বছর বয়স তার একটু আগের। সো, ১ বছরের শিশুকে কথায় বা উদাহরনে টেনে আনা কতটা যৌক্তিক? তাও অনুমানের ভিত্তিতে? স্বাভাবিক ভাবেই, তার দাদী যখন নামাজ পড়ে, সেও ট্রাই করে। মাথায় মায়ের ওড়না জড়ানোর ট্রাই করে।কারন শিশুরা অনুকরন করে এই বয়সটায়। যাক সে কথা - দয়া করে উদাহরনের জন্যে কোন ব্যক্তিগত কিছু বা কোন শিশুকে টানবেন না।

ভালো থাকবেন।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

নামতা, খুব সুন্দর নাম।

আমার বক্তব্যে শিশুকেই উদাহরণ হিসেবে টানার দরকার ছিল। নামতা'কে ভেবে বোঝার চেষ্টা করতে আপনার অস্বস্তি লাগছে কেন? আমার কথা সত্যি হলে সেটি সবার ক্ষেত্রেই সত্যি। মিথ্যে হলে সবার জন্যে মিথ্যে। হয় খারাপ হচ্ছে, অথবা ভালো হচ্ছে। যেটি হচ্ছে সেটিকে মেনে না নিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার তো কোন উপায় নেই। তবে নামতা'র কথা আমি একেবারে শেষের প্যারায় উল্লেখ করেছি। উদাহরণ হিসেবে নয়। অনুমানের তো প্রশ্নই আসে না। ছবিতে নামতা নিজে ওড়না পরেনি, তাকে পরানো হয়েছে। একটি এক বছরের শিশুর জন্য ওড়না অস্বস্তিকর, তবুও পরানো হয়েছে।

আপনার অস্বস্তি এড়াতে অন্য কারো কথা বলি। ধরুন, অত্রি। আমার ভাগ্নী। ওকে যদি ছোট থেকে ওড়না মুড়িয়ে রাখা হয়, তাহলে সেটাকেই সে বাস্তবতা হিসেবে মেনে নেবে। তার বোধ তৈরি হবে ওভাবেই। আরো অনেক কিছুই বড় হতে হতে সে করতে শিখবে। তার পরিবার, সমাজ থেকে অনুকরণ করবে। তাকে শেখানো হবে। এটি একটি প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার সবচে বড় সমস্যা কোথায় জানেন? সমস্যা হচ্ছে সে প্রশ্ন করবে না, করতে শিখবে না। সে জিজ্ঞেস করবে না, 'কেন?'। সেই সাহসও সে পাবে না। সন্দেহ পোষণ করাটাকেও সে অপরাধ হিসেবে জানবে! এক পর্যায়ে সে নিজে যা করছে সেটাকে সঙ্গত প্রমাণ করতে হাস্যকর যুক্তি তৈরি করবে!

উদাহরণের জন্য ব্যক্তিগত কিছুকে তো টানিনি। তবে যথাযথ মনে হলে টানতাম। কেউ বউ পিটিয়ে সেটাকে ব্যক্তিগত ব্যাপার মনে করতে পারে। কিন্তু সেটি আসলে ব্যক্তিগত নয়। এমনকি সেটাকে সেই বধুটি স্বামীর সঙ্গত অধিকার মনে করলেও (আমাদের মেয়েরা বরের হাতে পিটুনি খাওয়া স্বাভাবিক এবং সঙ্গত মনে করে, জানেন তো?)!

এবং অবশ্যই শিশুদেরকে উদাহরণ হিসেবে টানার ব্যাপারে আপনার দেয়া কোন বিধিনিষেধ গ্রাহ্য করছি না!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ক্রেসিডা এর ছবি

পরানো হয়েছে শুধু ছবি তোলার জন্যে। একটা ১ বছরের শিশুর বউ সাজাটাও অসম্ভব বিষয়। তবু আমরা সাজিয়ে ছবি তুলি। ব্যাপারটাকে সাদামাটা ভাবে নিলেই সোজা লাগবে আশা করি। এর ভিতর অন্য কিছু খুঁজতে গেলে আমার আর কিছুই বলার নেই।

ভালো থাকবেন।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমি ঘোষণা দিয়েই মন্তব্য করেছিলাম, আমার মন্তব্য আপনার কোন কাজে আসবে না।

আমি এতগুলো কথা লিখে এতকিছু বোঝানোর চেষ্টা করলাম আর আপনি যে বক্তব্য মৈথুন করলেন লাগলেন তা হচ্ছে,

১। একটি শিশুকে কথায় বা উদাহরনে টেনে আনা কতটা যৌক্তিক?
২। একটি শিশুর ওড়না পরার ভেতর অন্য কিছু খুঁজতে গেলে আর কিছু বলার নেই।

আমি এতক্ষণ এই বলেছি!

বাল!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মেঘা এর ছবি

অযথা শ্রম যাচ্ছে ভাইয়া। বুঝেও বুঝবো না দের তো বোঝানো যায় না হো হো হো

অরফিয়াস এর ছবি

চলুক

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

মেঘা এর ছবি

উত্তম জাঝা!

নিটোল এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

_________________
[খোমাখাতা]

ইমা এর ছবি

অনার্য, আপনার যুক্তিগুলো অনেক ভাল লেগেছে। আমি নিজেও এর অনেক গুলো ব্যপার বিশ্বাস করি। কিন্তু "নিজের ইচ্ছেয় একজন নারী শাড়ি অথবা সালোয়ার কামিজ পরতে পারেন। কিন্তু যার ভেতরে হিজাব পরার 'ইচ্ছে' তৈরি হয়, তার আর কোন পছন্দ থাকে না। তিনি নিজের ইচ্ছেতেই আজীবন হিজাব পরে চলেন। একটি মজার ব্যাপার লক্ষ্য করেছেন? নিজের ইচ্ছেয় যিনি হিজাব পরেন তিনি নিজের ইচ্ছেয় কখনো জিন্স-টিশার্ট পরেন না!" এখানে দুটো ব্যপারে আপনার সাথে ঠিক একমত হতে পারলাম না।
আমার আসেপাশেই অনেক মেয়ে আছে (আমার মনে হয় আপ্নিও একটু খেয়াল করলেই দেখবেন) যারা হিজাব এবং জিন্স-টিশার্ট পরেন। আর হিজাব এবং জিন্স-টিশার্ট এর তুলনাটা ঠিক মাথায় ঢোকেনি। যদি ব্যপারটা এরকমই হয় "কারণ নারীকে ভাবতে শেখানো হয় তার শরীর হচ্ছে সম্পত্তি, এইটা তাকে লোকের নজর থেকে রক্ষা করে চলতে হবে। লোকের নজর পড়লে সে নোংরা হয়ে যাবে, তার 'সব' খোয়া যাবে। তার মূল্য কমে যাবে। নারী বিশ্বাস করতে শুরু করে সে মানে আসলে তার শরীর। তার অস্তিত্ব তার যৌনতায়। তার ওই একটা জিনিসই আছে বিক্রি করার মত, বিকিয়ে যাওয়ার মত। তার যৌনতা এবং যৌনতার (অলীক) শুদ্ধতাতেই তার মূল্য নির্ধারিত হয়" তাহলে কিভাবে শুধু হিজাব একজন নারীকে অসন্মান করে? আমি ঠিক তুলনার মাপকাঠিটা বুঝতে পারিনি কারণ এখনও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেক জায়গায়ই জিন্স-টি শার্ট পরা কনো মেয়েকে যৌনবস্তু ভেবে নেয়ার প্রবনতা দেখা যায়। (তার প্রমাণ আজকাল স্কুল কলেজের মেয়েদের যে বয়সের মেয়েরা জিন্স পড়ছে তাদের এত ইভ টিজিং এর শিকার হবার ঘটনা। একজন মেয়ের অভিজ্ঞতার চেয়ে এ ব্যপারে অন্য কিছু বেশি বিশ্বসযোগ্য হবে বলে মনে হয় না)।আর "নিজেকে যৌনবস্তু ভেবে নেয়া" ব্যপারটা শুধু পোশাকের সাথে রিলেটেড না, ব্যপারটা মানসিকাতার। আমি এম্ন মেয়েও দেখেছি যারা নিজেকে "যৌনবস্তু ভেবে নেয়ায়" বিশ্বসী কিন্তু তাদের পোশাক হিজাব নয়।
"নারীকে কোনোকালেও কেউ এই স্বাধীনতা দেয়নি হিজাব বেছে নেবার বা বর্জন করবার। একসময় একদল পুরুষ এসে বলেছে এটা ভালো, আরেক দল বলেছে খারাপ। কিন্তু সত্যিকারের নারীদের কি মতামত সেটা কেউ জানতে চায়নি।" এই কথাটা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। হিজাব পরা বা না পরা, হিজাব পরা ভাল নাকি খারাপ পুরো ব্যপারটাই পুরূষশাষিত সমাজ নির্ধারণ করে দিচ্ছে। একজন নারীর মতামত সেটা পক্ষে আর বিপক্ষে যেটায় হোক কখোনই গুরুত্ব পায়নি পাচ্ছেও না। আমি নিজে হিজাব পরার ব্যপারটার সাথে মোটেও একমত না। কিন্তু যখন পুরূষশাষিত সমাজ হিজাব পরা না পরাটাকে জাস্টিফাই করছে এবং যাদের হিজাব পরা নিয়ে এত কথা তাদের মতামতের গুরুত্ব না দিয়েই তখন অনেক খারাপ লাগে। আর গুনগত দিক দিয়ে আমি জোর করে হিজাব চাপিয়ে দেয়া এবং জোর করে খুলে নেয়ার কোনো পার্থক্য দেখি না।
আর একটা কথা সচলায়তন অন্য যে কোন ব্লগ থেকে আলাদা এবং অনেক বেশি রেসপ্টেবল। এখানে সবার আলাদা বিশ্বাস থাকতেই পারে। বস্তুত এটার জন্য সচলায়তন আমার অনেক ভাল লাগে। সো এখানে ভিন্ন মতের প্রতি আর একটু শ্রদ্ধা আশা করা অন্যায় কিছু না বলেই মনে করি।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমার আশেপাশেই অনেক মেয়ে আছে যারা হিজাব এবং জিন্স-টিশার্ট পরেন।

সহজে বুঝতে চেষ্টা করুন। হিজাব কথাটি কেবল হিজাব নয়, সেটি গ্রহন করার পেছনে যে বোধ, যে উদ্দেশ্য কাজ করে সেটি। সেই ধারণাটি নোংরা। জিন্স টিশার্ট না বলে আপনি সাঁতারের পোষাক বলতে পারেন। পোষাকের নাম কেবলই বুঝিয়ে বলার জন্য নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা। পোষাক উদ্দেশ্য নয়, উদ্দেশ্য সেটি পরার পেছনে তার মনোভাব। সমস্যা সেই বোধে! বুঝতে পারছেন? কেউ যৌনবস্তু হিসেবে নিজের মূল্যমাণ রক্ষায় যদি লোহার অন্তর্বাস পরে বেড়ায় তাহলে সে হয়ত দেখা যাবেনা। কিন্তু তাতে সমস্যা রয়েছে। বুঝতে চেষ্টা করুন, কেউ হিজাব পরছে নাকি বিকিনি পরছে নাকি আয়রন ম্যানের জ্যাকেট পরছে সেটা আলোচ্য বিষয় নয়। আলোচ্য হচ্ছে, যে পরছে সে কোন বোধ, কোন ভাবনা, কোন ইচ্ছে থেকে তা পরছে! সেই ভাবনাটি যদি মানুষ হিসেবে তাকে অসন্মান করে তাহলে সেখানে সমস্যা।

(পুরো মন্তব্যটি উদ্ধৃতি দিলাম না)...তাহলে কিভাবে শুধু হিজাব একজন নারীকে অসন্মান করে?

হিজাব বলে কোন পরিধেয় একজন নারীকে অসন্মান করে না। হিজাব পরার পেছনের কারণটি নারীকে অসন্মান করে। শুধু হিজাবই নারীকে অসন্মান করে সেরকম দাবী আমি করিনি।

এখনও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেক জায়গায়ই জিন্স-টি শার্ট পরা কোন মেয়েকে যৌনবস্তু ভেবে নেয়ার প্রবনতা দেখা যায়।

জিন্স টিশার্ট না পরলেও সেটা ভেবে নেয়া হয়। শাড়ি পরলেও ভাবা হয়, বোরকা পরলেও ভাবা হয়।

আজকাল স্কুল কলেজের মেয়েদের যে বয়সের মেয়েরা জিন্স পড়ছে তাদের এত ইভ টিজিং এর শিকার হবার ঘটনা। একজন মেয়ের অভিজ্ঞতার চেয়ে এ ব্যপারে অন্য কিছু বেশি বিশ্বাসযোগ্য হবে বলে মনে হয় না। আর "নিজেকে যৌনবস্তু ভেবে নেয়া" ব্যপারটা শুধু পোশাকের সাথে রিলেটেড না, ব্যপারটা মানসিকতার। আমি এমন মেয়েও দেখেছি যারা নিজেকে "যৌনবস্তু ভেবে নেয়ায়" বিশ্বাসী কিন্তু তাদের পোশাক হিজাব নয়।

ইভ টিজিং পোষাকের কারণে হয় না। হয়, মানুষের মানসিকতার কারণে। এই দেশে বোরকা পরা নারীও নির্যাতিত হয়, সে জিন্স পরে না। ৪ বছরের শিশু ধর্ষিত হয়, সে জিন্সও পরে না বোরকাও পরে না। বাংলাদেশ কিন্তু ঢাকা শহর বা গুটিকয় স্কুল কলেজের রাস্তা নয়! বাংলাদেশ ৬৮ হাজার গ্রাম। যেসব গ্রামে নারীরা নির্যাতিত হয় হয়ত রাস্তায়-কর্মক্ষেত্রে, নয়ত ঘরে। (নির্যাতন কাকে বলে সে সম্পর্কে আমাদের মেয়েরা অনেকেই স্পষ্ট ধারণা রাখেন না!)

প্রসঙ্গত, নারীর পোষাক দেখে যদি কোন প্রাণির নারী নির্যাতনের সাধ জাগে, অথবা সেটাকে বৈধ মনে হয়, তাহলে সেই অপরাধ নারীর নয়। ওই প্রাণিটির। আমি একজনকে চিনি যে শাড়ি পরা নারীকে নির্যাতন করতে চায়, একজনকে চিনি যে বোরকা পরা নারীকে নির্যাতন করতে চায়, আরেকজনকে চিনি যে একটি বাড়ির ভেতরে সিন্দুকে মোড়া কোন নারী আছে জানতে পেলেই কামার্ত হয়ে ওঠে। এই অসুস্থতার দায় এদের তিনজনেরই। শাড়ি, বোরকা পরা অথবা বাড়ির ভেতরে থাকা নারীদের কোন দোষ নেই তাতে।

আপনি যেমন বললেন নিজেকে যৌনবস্তু ভেবে নেয়ার বোধটা শুধু পোষাকের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, সেটি সত্যি। কেবল পোষাক নয় আরো অনেক কিছু। পোষাক কেবল এর একটি উগ্র বহিঃপ্রকাশ। হিজাব না পরলেই যে নারীরা মুক্ত হয়ে উঠছেন তাও সত্যি নয়। সেই দাবীও আমি করিনি। ভাবনার পরিবর্তন প্রয়োজন সর্বব্যপী। কেবল নারীদের নয়, পুরুষদেরও।

এখানে ভিন্ন মতের প্রতি আর একটু শ্রদ্ধা আশা করা অন্যায় কিছু না বলেই মনে করি।

ব্যক্তিগতভাবে আমি কোন নির্দিষ্ট বিষয়কে শ্রদ্ধা করতে হবে এমন কোন নীতিমালা মেনে নিচ্ছি না। যেটাকে যতক্ষণ শ্রদ্ধার দাবীদার মনে হবে সেটাকে ততক্ষণ শ্রদ্ধা করব, সেটা কেবল বলতে পারি। প্রসঙ্গত, সচলায়তনে কিছু কিছু 'ভিন্নমত'কে খুবই অশ্রদ্ধা করা হয়। সচলায়তনকে জেনে থাকলে এটিও জানেন নিশ্চয়ই।

এই প্রসঙ্গে আপনার অভিজ্ঞতা এবং ভাবনা লিখে ফেলুন। আমরা কথা বলব। বুঝতে চেষ্টা করব। সবাই জানবে। শুভেচ্ছা হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ইমা এর ছবি

আপনার আমার মতাদর্শের ভিত্তিটা কতখানি আলাদা সেটা ঠিক বুঝতে পারছি না।:-? সম্ভবত আমি ঠিক মত ব্যখ্যা করতে পারিনি। যায় হোক, আপনার সুন্দর ব্যাখার জন্য ধন্যবাদ। কিভাবে আরো ভালকরে কোন কিছু ব্যখ্যা করতে হয় সেটা শিখতে সাহায্য করবে। আপনি How to explain well বলে একটা লেখা লিখে ফেলতে পারেন। আমার মত অনেকের কাজে দিবে। চোখ টিপি ভাই আমি এখনো পাঠক। লেখালেখি এখনো আসে না। তাই এখন পড়তেই বেশি ভাল লাগে। হাসি

সাবেকা  এর ছবি

হাততালি হাততালি হাততালি

অরফিয়াস এর ছবি

যদিও অনেকেই মন্তব্য করে গেছেন, কথাও অনেকদুর এগিয়েছে, আমি আমার মতো করে আপনাকে আবারও সোজা-সাপ্টা কয়েকটি প্রশ্ন করি, সোজা উত্তর দেবেন আশা করি-

১. যদি কোনো ধর্মে বোরখা বা হিজাব পরার কথা না থাকতো তাহলে কি কোনো নারী স্বেচ্ছায় এটা পরিধান করতো বলে আপনার মনে হয়?
২. স্বাভাবিক পোশাকে কি "পর্দানশীল" হয়না? নাকি স্বাভাবিক পোশাক যারা পরছে তারা সবাই পুরুষদের সামনে "আই-ক্যান্ডি" হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে?
৩. যদি পুরুষদের লোলুপ নজর থেকে বাঁচতে পর্দানশীল হওয়াটা নারীদের কর্তব্য হয়, তাহলে পুরুষদের নিজেদের নজর ঢাকতে চোখে "ঠুলি" পরাটা কর্তব্য নয় কি?
৪. বোরখা/হিজাব/ঘোমটা/ভেইল ইত্যাদি পর্দার যে বাহার তা সকল ধর্মে/যুগে/সমাজে শুধু নারীদের জন্য কেনো? পুরুষদের জন্য যে পর্দা প্রথাগুলো আছে সেগুলো কজন পুরুষ জানে কিংবা অনুসরন করে?
৫. একজন ব্যাক্তি কি পোশাক পরবে তা অবশ্যই ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত কিন্তু নারীদের পর্দা করার কোন ব্যাপারটা শুধুই ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত হয়েছিলো আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় জানাবেন কি?

প্রশ্ন আরও করা যায়, যারা মনে করে বোরখা কিংবা হিজাব পরতে পারাটা হচ্ছে নারী স্বাধীনতা কিংবা যেসব মূর্খ এসব বিষয়ে তাদের "ব্যাক্তি-স্বাধীনতা" সংক্রান্ত জ্ঞানের ঝুলি খুলে বসে, তাদের জন্য প্রশ্ন অনেক আছে। কিন্তু উত্তর নেই, একারণে প্রশ্ন করেও লাভ হয়না অধিকাংশ ক্ষেত্রে।

আর একটা কথা যতদিন এইধরনের মানসিকতা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত না হচ্ছে, ততদিন আমাদের সমাজে নারী নির্যাতন কোনো ভাবেই কমবেনা। নারীদের যৌন-সামগ্রী মনে করার এই পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব যতদিন নিয়ন্ত্রণ না করা যাবে ততদিন আমাদের পত্রিকার পাতাগুলো ধর্ষণের খবর নিয়ে বানিজ্য চালিয়ে যাবে এটা নিঃশ্চিত।

নারীরা স্বাভাবিক পোশাক পরলেই যেসব মুমিন এর দন্ড উত্থিত হয় এটা তাদের যৌন-বিকৃতি, এটা নারীদের সমস্যা নয়। একদল কলুষিত মস্তিষ্কের মানুষের জন্য নারীদের বস্তায় না ঢুকিয়ে বরং সেসব মানুষগুলোকে বর্জন করুন।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ক্রেসিডা এর ছবি

অরফিয়াস ভাই@

১. কোথাও যদি এর উল্ল্যেখ না থাকতো তবে কি হতো আমি জানি না। কিন্তু, যদি কোথাও উল্যেখ না থেকে বাজারে বোরখা বা হিজাব আসতো, কিছু ব্যবহারকারী সেটা ট্রাই করতো অবশ্যই কৌতুহুল বশে।সেটা কতদিন ঠিকতো সেটা হলো বিষয়। হয়তো টিকতো না বেশিদিন।

২.স্বাভাবিক পোষাক অবশ্যই পর্দাশীন হয়। হিজাব বা বোরখা নিয়ে আমার তেমন কোন পক্ষে বা বিপক্ষেও মতামত নেই। একদিন আমি এক পরিচিতকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, হিজাব কেন পড়েন।
তার উত্তর ছিল - বাইরে বের হলে যাতে চুলটুকু ঢেকে রাখা যায় সেজন্যে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, যে সেটা শাড়ি পড়লে আঁচল বা ওড়না দিয়েও তো করা যায়। সে তখন বল্লো- যে, তার যে ছোট মেয়ে কোলে নিয়ে বের হতে হয়, তখন বাইরে শাড়ির আঁচলকে বা ওড়নাকে সেভাবে ব্যবহার করাটা কঠিন। বারবার সামলানো, বা বাতাসে নেমে গেলে বাচ্চা কোলে নিয়ে সেটা ম্যানেজ করা টাফ। হিজাব থাকলে তার জন্যে একটু সুবিধা।

৩. এক হাতে তালি বাজে না। পুরুষরা যে ধোয়া তুলসিপাতা কখনো বলিনি। সাবারই নিজ নিজ দ্বায়িত্ব আছে।যেমন, আমি আমার নমনীয়তা বজায় রাখছি। হতে পারে আপনারা আবারো এসে ছাগু বলবেন, বা অযৈাক্তিক বলবেন। সবাই যৌক্তিক হলে তো তর্কের অবকাশ ই থাকতো না। তাই না? উপরে আমি এও বলেছি- যে আমার এই ইগো নেই যে, আমি যদি দেখি আমার বলাটা ভুল, তবে বলে ফেলেছি বলে আমি আমার কথায় অনড় থাকবো। বরং বলেছি - হতেই পারে আমার কথা ভুল, এবং সেখান থেকে আলোচনায় আমার মন ভালোটা বেছে নেবে- যেটা আমার কাছে মনে হবে। অথচ - কেউ কেই কিন্তু বলেই ফেলেছে - এটা আমার ঘর না, বা উপযুক্ত জায়গা না। কেউ কেউ ঠিকানা ও দিয়েছে নতুন প্লেসের। আমার ধারনা যারা প্রথম কোথাও বিদেশ বা কোন প্লেসে যায় - সবাই ধীরে ধীরে সেটার সাথে অডজ্যাষ্ট করে নেই। প্রথমে কিছু সমস্যা হয়ই। সময়ে সবই ঠিক হয়। যাকগে সেসব কথা।

৪. অনেক পুরুষই জানে না। জানার পর যদি তার ইচ্ছে হয় পড়বে। ইচ্ছে না হয় পড়বে না।

৫. কোনটা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেটা আমি জানি না। এর উত্তরে আমি একটা উদাহরন দেই (যেটা আমার মূল বক্তব্য ছিল) ; আমার মা বা চাচী-খালারা কেই রোরখা বা হিজাব পড়েননি। শেষ ২ বছরের আগ পর্যন্ত। সো - স্বভাবতই, তাদের এই ৪০-৫০ বছর পর্যন্ত কিন্তু কেউ তাদের উপর ব্যাপার টা চাপিয়ে দেননি; বা জোর ও করেননি। ২বছর আগে তারা পবিত্র হ্বজ করে এসেছেন। এখন তারা রোরখা পড়ছেন। আমি আপনাকে এটাও বলতে পারি লাষ্ট ৪০-৫০ বছর তাদের জীবনে সেটা কেউ চাপিয়ে দেননি, হ্বজ থেকে এসে ও কেউ সেটা চাপিয়ে দেবার ট্রাই করেননি। এখন হ্বজের পরিবেশের কারনে হোক, সৌদি আরবের পরিবেশের কারনে হোক, তারা হিজা্ব বা বোরখা পরছেন। আমার কথা এখানে- তারা পরুক । তাদেরকে কেন বলবো সেটা পরবেন না। আবার তারা যদি নাও পরতো- তো না পরতো। এখন কেউ বলতে পারেন, আগে থেকে আবহাওয়া তৈরি করা ছিল - যে হ্বজ থেকে আসলে রোরখা বা হিজাব পরতে হয়। তাহলে এটাও কিন্তু তাদের জানা ছিল যে, তাদের আশেপাশে অনেকে বলে মেয়েদের বোরখা বা হিজাব সবসময় পড়তে হয়। কিন্তু তারা কিন্তু তখন সেটা নেননি (হ্বজের আগে)। সেটা একন্ত তাদের ব্যাপার।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অরফিয়াস এর ছবি

আপনার মন্তব্য বিশ্লেষণে যাবোনা, তর্ক করার ইচ্ছে নেই।

একটা কথা যেটা মনে হলো আপনার মন্তব্য দেখে (এরকম আরও অনেকের মাঝেই দেখেছি), আপনি আসলে অবস্থানগত ভারসাম্যহীনতায় আছেন যেটাকে সহজ করে বললে হয় দ্বিধাগ্রস্থ। এরকম অনেকেই থাকে, নিজের বিশ্বাস এর বিরুদ্ধে যেতে পারেনা সেটা ভুল জেনেও, আবার পরিবর্তনের সাথে তাল মেলাতে যেয়ে হিমশিম খায়। আপনার কথাগুলো দেখলে সহজেই অনুমেয় এই ব্যাপারগুলো, আর একটা জিনিস হচ্ছে যুক্তিগুলোর পরস্পর বিরোধীতা (যদিও যুক্তি কমই দিয়েছেন অধিকাংশ প্রশ্নও এড়িয়ে গেছেন শুধু ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলে)। আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর আমি পাইনি এবং আপনি সেটি দেয়ার জন্য কোনো চেষ্টাও করেননি, তবে এড়িয়ে গিয়ে খুব বেশিদিন কি চলা যায়?

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ক্রেসিডা এর ছবি

ঐযে বল্লেন, দ্বিধাগ্রস্থ; কথাটার সাথে কিন্তু আমি দ্বি-মত পোষন করছি না। কারন পুরো ব্যাপারটা সম্পর্কে আমার ব্যাপক আইডিয়া নেই। সো, কোন একদিন নিশ্চই কোন একপক্ষে চলে যাবো।

ধন্যবাদ।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অরফিয়াস এর ছবি

খুব বেশিদিন দ্বিধাগ্রস্থ থাকার কোনো লাভ হবেনা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দ্বিধা ঝেড়ে ফেলুন। আর এইযে বলছেন, ব্যাপারটা সম্পর্কে আপনার ধারণা নেই, কথাটা ভুল। ধারণা ঠিকই আছে, এড়িয়ে যাচ্ছেন, যাতে সিদ্বান্ত নিতে না হয়।

আমি একটি জিনিসে বিশ্বাস করি, যুদ্ধে কখনো কেউ নিরপেক্ষ থাকতে পারেনা। ধর্মান্ধতা/মৌলবাদ/জঙ্গীপনা ইত্যাদির বিরুদ্ধে যুদ্ধে আপনাকেও কোননা কোনো দলে তো যেতেই হবে। আশা করবো সেদিন আপনাকে বিরুদ্ধ পক্ষে দেখবোনা।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সত্যপীর এর ছবি

অরফিয়াস ভাই, কচু কাটতে কাটতেই ডাকাত হয় কিন্তু। এরকম দ্বিধাগ্রস্ত লোকেরাই ধর্মান্ধতার ফ্রন্ট লাইন সোলজার।

..................................................................
#Banshibir.

ক্রেসিডা এর ছবি

সত্যপীর ভাই@ আবার হোচট খেতে খেতে কিন্তু হাটতে শিখে।

ভালো থাকবেন।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অরফিয়াস এর ছবি

হুমমম ঠিক বলেছেন, দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গেলেই সমস্যা। ধর্মান্ধতা মানুষের মনের মাঝে ইনজেক্ট করার জন্য দ্বিধা হচ্ছে সব থেকে বড় দুর্বলতা এবং সহজ উপায়।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

চরম উদাস এর ছবি

উপরে যে ছোট্টবাবুটির ছবি দিলাম ( আমি না, অন্য ছোট বাবুটি), সেও বোধহয় বড় হয়ে বলবে পর্দা আমার স্বাধীনতা, My choice। অনেক কথা, যুক্তি দেয়া যেত আপনার উত্তরে। কিন্তু হাই তুলে চুপ করে গেলাম, চুপ করে থাকাটা আমার অধিকার বিবেচনা করে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এ ব্যাপারে আমার একটি লেখার লিংক দিয়ে যাই: http://www.sachalayatan.com/node/40927

মেঘা এর ছবি

ক্রেসিডা ভাইয়া হাচল হবার জন্য আপনাকে অভিনন্দন। দেরী করে উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত। আমি এত্তো এত্তো (আমার লেখাপড়া করার কথাটা এভাবে কোট করলেন দেখে বলতেই হচ্ছে) লেখাপড়া করি বলে সারাদিন ব্লগে আসার সময় পাই নি।

এবার যেই কথাটা আপনি এইভাবে ধরলেন সেটা নিয়ে নতুন করে আমার তো কিছু বলার নাই সবাই সব কিছু আপনাকে বলেই দিয়েছে। তবে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলি। আমার স্কুলের সবচেয়ে প্রিয় বান্ধবীকে ক্লাস ফোরে পড়ার সময় ওর বাসা থেকে বোরখা দিয়ে দেয়। ক্লাস ফোরের বাচ্চার বয়স হলো ৮/৯ বছর। তাকে বোরখা পড়ার জন্য অবশ্যই বাসা থেকে জোর করা হয়েছে তার প্রমান স্কুলে এসেই সে বোরখা খুলে ফেলতো। কিন্তু এখন তার ২৩ বছর বয়েসে এসে সে বলে সে নিজের ইচ্ছা বোরখা পড়ে। বোরখা ওর গায়ের চামড়ার মতো হয়ে গেছে। বোরখা না পড়লে রাস্তায় হাঁটতেই পারবে না এটা ওর নিজের মুখের কথা। এখন বলেন তো ভাইয়া এই ঘটনাটাকে আপনি কি বলবেন? এটা কি আপনার মনে হয় আমার বান্ধবী নিজের ইচ্ছায় বোরখা নিয়েছিলো নাকি তাকে জোর করা হয়েছিলো? বাংলাদেশে কয়জন আছে যারা আমাদের সমাজ অথবা পরিবারের চাপে পরে বোরখা পড়ে না আপনি দেখাতে পারবেন? আমি আপনাকে তারচেয়ে বেশী দেখাতে পারবো যাদের ছোটবেলায় জোর করে অভ্যস্ত করানো হয়েছিলো।

আপনার জন্য শুভকামনা।

ক্রেসিডা এর ছবি

আপনাকে কথাটা জিঞ্জেস করাটা ছিল শুধু আপনার উত্তরটা জানার ইচ্ছে আপু। সেটাকে আক্রমন হিসেবে নিবেন না। যদি আক্রমনের মতো লেগে থাকে সেটা হয়তো আমার কমিউনিকেশেন গ্যাপ এর জন্যে তৈরী। এ বেশেী কিছু না। এবং সেরকম লাগলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

স্বনাম এর ছবি

যাবার আছে বহুদূর জনাব, বহুদূর........মানবিকতা-যৌক্তিকতা দিয়ে সবকিছু বিচার করা শুরু করুন, আপনাকে যা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই বলয় থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তাহলেই বস্তা টস্তাকে অমানবিক, বিরক্তিকর, অসহনীয়, অপ্রয়োজনীয় পোশাক বলে মানবেন-বুঝবেন।

সচলায়তন আর মুক্তমনায় ঘুরাঘুরি বাড়ায় দেন, কামে দিবো..........এ ধরণের ব্লগের পরিবেশ-সংস্কৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবেন।

আপনার আত্মিকোন্নয়ন ঘটুক........

কালো কাক এর ছবি

আমার এক আত্মীয়ের বিয়ের দিনে শ্বশুর বাড়িতে পা দেয়া মাত্র তাকে হাতে বোরখা ধরিয়ে দেয়া হলো। তাও খালি চোখ দুইটা দেখা যায় এমন বোরখা। মেয়েটি এটা মেনে নিতে পারেনি। বৌভাতের দিন সে ভর্তি ছিলো হাসপাতালে , না খেয়ে থেকে অসুস্থ হয়ে।
এক বছর পরে দেখলাম তার মা মেয়ের সংসারে শান্তি রক্ষার্থে নিজে হুজুর হয়ে গেলেন। নিজে বোরখা না পড়ে মেয়েকে ত জোর করতে পারেন না।
১২ বছর পরে এখন আমার সেই আত্মীয় ও তার মাকে দেখলে মনে হবে বোরখা তারা জন্মের সময়েই নিয়ে এসেছিলেন। যদিও তাদের পরিবারের অন্য মেয়েরা জিন্স-টিশার্ট পরেন।
সেই মেয়ে হয়তো এখনো বলবে না রোরখা সে নিজের ইচ্ছায় পরেছিলো, কিন্তু তার মা বলতে পারে। তাঁকে কেউ জোর করেনি বোরখা পরতে। কিন্তু আসলে কি ঘটনা তাই? তিনিও তো পরোক্ষভাবে জবরদস্তির শিকার।

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

কল্যাণ এর ছবি

ছাগুরাম সুলভ অফ যা

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইরে কতজন আপনের আব্বার মতন ঠিক জ্ঞান টা পায় সবাই তো ওই মনোয়ারের ওয়াজ শুনে আর ল্যাজ বড় করে। তয় টিপ আর 'টিপ' এর ব্যাপারটা ঠিক বুজলাম না তয় এই পুষ্ট খান একটা উত্তম জাঝা! হয়েছে আর কোন ছাগু এইহানে আইলেই কইব কস্কি মমিন! হে হে হে

চরম উদাস এর ছবি

টিপ পরা আর দেয়ার পার্থক্য বুঝতে হলে আপনাকে হিমুর এই এল ক্লাসিকো পানশালা লেখাটি পড়তে হবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইজান একখান কথা খুব মনে ধরেছে এই কয়দিনে অবয় দিলে কইয়া ফালাই....হাসি

ছাগু আর ছাগু নাই বিবর্তনের দ্বারায় শুয়োর হইয়া গেছে।

তাই ছাগল হওয়ার এইটা কাম হইবে কিনা বুঝতাছি না..হাসি

পাপলু বাঙ্গালী

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইজান একখান কথা খুব মনে ধরেছে এই কয়দিনে অবয় দিলে কইয়া ফালাই....হাসি

ছাগু আর ছাগু নাই। বিবর্তনের দ্বারায় শুয়োর হইয়া গেছে।
তাই ছাগল হওয়ার এইটা কাম হইবে কিনা বুঝতাছি না..হাসি

তারেক অণু এর ছবি

গুল্লি ভাগেন মিয়া! মহাভারত হবে কেন, হবে আসমানি কিতাব! উত্তম জাঝা!

বিবর্তন বুঝতেও ঘিলু লাগে , সেই সাথে আরো বেশী লাগে সেটিকে ব্যবহারের ক্ষমতা।

চরম উদাস এর ছবি

মহাভারত এর জায়গায় মহাপাকিস্তান হবে ইয়ে, মানে...

শাব্দিক এর ছবি

দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আজ্ঞে অনু ভাইজান

সজল এর ছবি

হো হো হো
মাদ্রাসার একটা বাংলা বইয়ে একটা চ্যাপ্টারের শিরোনাম ছিল গফুর, লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বড় ছাগল হতে হলে মহেশকে গফুরে পালটে দেয়ার বুদ্ধিও থাকতে হবে।

ও, একটা ব্যাপার যবন কিন্তু মুসলমানদের বলা হয় (হিন্দুপাঠাশিরোমনি বঙ্কিম দ্রষ্টব্য)

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ও, একটা ব্যাপার যবন কিন্তু মুসলমানদের বলা হয় (হিন্দুপাঠাশিরোমনি বঙ্কিম দ্রষ্টব্য)
আরো দ্রষ্টব্য "প্রোদষে প্রাকৃতজন''-শওকত আলী।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

চরম উদাস এর ছবি

কত কিছু জানার আছে চাল্লু

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ভণ্ডামী আর টাকার রাজ্যে
পৃথিবী ছাগলময়
সবুজ বাংলা যেন
একবোঝা কঁচি ঘাসের আটি----

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

খেকশিয়াল এর ছবি

ভাই ধ্বংস ধ্বংস! গুল্লি
ছোট্ট বাবু চরম উদাসের জন্য (গুড়)

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে
ছোট্ট বাবু চরম উদাসকে লাইক দেয়ার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মন মাঝি এর ছবি

চলুক ফাটাফাটি!

****************************************

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সূর্য এর ছবি

ভাই, পুজার প্রসাদ ও হিন্দু পুজা নিয়ে ছাগু গিরি বাদ পরে গেছে।

চরম উদাস এর ছবি

কত কিছুই তো লিখার ছিলোরে ভাই, লিখতে গেলে মহাভারত থুক্কু মহাপাকিস্তান হয়ে যাবে বলে ক্ষ্যামা দিলাম ইয়ে, মানে...

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

চলুক
দারুণ

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সাবেকা  এর ছবি

মনটা তেমন ভালো ছিল না, হঠাত সচলায়তনে ঢুকে আপনার এই পোষ্টটি দেখেই আর না পড়ে থাকতে পারলাম না । আপনার দেওয়া লিঙ্ক ধরে গিয়ে প্রথমে ভেবেছিলাম স্যাটায়ার বোধ হয়, পরে দেখি আসলেই ১০০% হালাল লেখা ! হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেয়েছি ঠিকই, কিন্তু শেষের দিকের লেখা পড়ে হতাশায় মন খারাপ হয়েছে আগের চেয়ে বেশী । এক সময় ভাবতাম আস্তে আস্তে মানুষ যত শিক্ষা দীক্ষা পাবে তত বেশী ছাগলামী থেকে বেড়িয়ে আসবে । এখন আর আশাবাদী হতে পারিনা । মাঝে মাঝে সত্যি অদ্ভুত লাগে, এ আমরা দিনে দিনে কোথায় যাচ্ছি? মাথায় ঘিলুর পরিমাণ কি আশংখা জনক ভাবে কমে যাচ্ছে মন খারাপ

চরম উদাস এর ছবি

আপনার দেওয়া লিঙ্ক ধরে গিয়ে প্রথমে ভেবেছিলাম স্যাটায়ার বোধ হয়, পরে দেখি আসলেই ১০০% হালাল লেখা

স্যাটায়ার হলেই অনেক বেশি ভালো লাগতো। আপনার মত একই রকম হাসি আর হতাশার অনুভূতি হয়েছে আমারো।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

মজা করাটা অনেক সময়েই চিন্তার খোরাক জোগানোর উদ্দেশ্যে। কিন্তু অনেকেই দেখবেন ‘আমি যে ছাগল নই, আর ছাগলরে যে ছাগল বলতে পারি, সেখানেই সকল সুখ নিহিত’ ভেবে নাকে তেল দিয়ে ঘুমুতে চলে যাবে। অনেকে আবার বলেন 'ছাগল'দের নিয়ে চিন্তাভাবনা করলেও নাকি 'ছাগল' হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে . . . 'ছাগল'দের নিয়ে চিন্তাভাবনা করা এমনই ট্যাবু। তাদের জন্যে শেষে এসে সমস্যাটা যে চিন্তাভাবনারও বিষয় সেটা মনে করিয়ে দেয়াটা ভালো লাগলো।

চরম উদাস এর ছবি

চলুক
ছাগল বলে গালি দেয়া বা দ্রুত ক্লাসিফাই করে দেয়া সহজ, সমাধান বোধহয় এত সহজ না।

কিংশুক এর ছবি

হলে নিজের রুমে গিয়ে দেখি রুমের জুনিয়রটা তার বেডের পাশের দেওয়ালে মার্কার পেন দিয়ে হিটলারের একটা দৈল-চিত্র এঁকেছে। পাশে লেখা 'হের ফুয়েরার'। খালি ঘুমায় ছিল, ভাগ্যটা তার ভাল আছিলো।

চরম উদাস এর ছবি

ওরে ধরে ব্যন্ড অব ব্রাদার্স আর শিন্ডলার্স লিস্ট দেখান। এর চেয়ে গভীর কিছুর কথা বললাম না, আপাতত এই দিয়েই শুরু করে দেখতে বলেন ভালোবাসা কমে কিনা।

anindya এর ছবি

"Life is beautiful"?

চরম উদাস এর ছবি

এহহে সবচেয়ে ভালোটার নামই ভুলে গেছি , থিঙ্কু মনে করিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্ত কেন যেন মনে হয় লোকজন এইসব দেখে পরে বলবে ইহুদি আর আমেরিকান ষড়যন্ত্র সব।

ইঁদুর এর ছবি

হাততালি

স্যাটায়ার কাকে বলে শিখে নিক মানুষ! গুল্লি

চরম উদাস এর ছবি

স্যাটায়ার কৈ? হালাল লেখা দিলাম তো খাইছে

ফাজিল এর ছবি

অসাধারন, অমানবিক সুন্দর হয়চে। হাততালি গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

লইজ্জা লাগে

নিলয় নন্দী এর ছবি

"বোরখা পরা উদাস পাগল করেছে।"
খাইছে

চরম উদাস এর ছবি

নিলয় নন্দী এর ছবি

এইটা একটা কাম করলেন মিয়া! অ্যাঁ
আমার মন্তব্যের জবাবে এইটা কী দিয়ে বসায় রাখলেন?
মান-সম্মান আর থাকল না! রেগে টং

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

আমি জনপ্রিয় ব্লগার। এই পোস্ট দেয়া মাত্র কমেন্টের সংখ্যা শত ছাড়িয়ে যাবে, লাইক এর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাবে। আমি কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে চমৎকার লিখেছেন, চরম লেখা এই জাতীয় মন্তব্য পড়তে পড়তে আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলবো। দেশের প্রতি আমার দায়িত্ব পালন এখানেই শেষ।

মন খারাপ

---------------------
আমার ফ্লিকার

চরম উদাস এর ছবি

ইয়ে, মানে...

Muntasir এর ছবি

আমরাদেরকে ছোটবেলা থেকে ইহুদীদের ঘৃণা করতে শিখানো হয়েছে, কিশোরবেলায় আমেরিকাকে ঘৃণা করতে শিখানো হয়েছে। (পাকিস্তানকে ঘৃণা করতে অবশ্য তেমন কেউ শিখায়ে দেয় নাই, রক্তের টানে কেউ কেউ হয়তো এমনি এমনিই শিখে গেছে)-
গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

বস চরম। স্যালুট দিয়া এই বেলা বিদায় হই।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

চরম উদাস এর ছবি

লেখা কই???

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আমিতো মূলতঃ পাঠক হাসি
রাইটার না হইলেও রাইটার্স ব্লক চলতেছে। থিসিস লেখাই আগাইতেছে না, আর সচলে লেখা ইয়ে, মানে...

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

কীর্তিনাশা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

গুরু গুরু

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

সাকিন উল আলম ইভান এর ছবি

হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি গুরু গুরু গুল্লি শয়তানী হাসি

মিয়া আপনারে নেক্সট ইয়ারে সেরা রম্য লেখকে মনোনেয়ন দেয়া উচিত , গুরু স্যালুট হাততালি

চরম উদাস এর ছবি

কি বলেন? দলছুট কে না দিয়ে আমাকে দিবেন ? চিন্তিত

onupoma nilambory  এর ছবি

তালগাছটা আপনাকে দিলাম

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

দেবাশীষ এর ছবি

আপনি ওস্তাদ!! আপনাকে সালাম

চরম উদাস এর ছবি

লইজ্জা লাগে

অতিথি লেখক এর ছবি

মাস খানেক মেঝে ঝাড়ু দেওয়া হয়নি। তা না হলে মেঝেতে গড়াগড়ি দিয়ে হাসতাম। আপাতত গামছা দিয়ে নিজেকে চেয়ারের সাথে বাঁধলাম। দেঁতো হাসি
নাফিসের "টিউটোরিয়াল - কেমনে হইবেন পেশাদার ব্লগীয় ছাগু" এর কথা মনে পড়ে গেল। চোখ টিপি
যুগে যুগে আপনাদের মত মহাপুষেরা এসেছে দেখেই তো ছাগুরা বোরিং মগবাজারী চোথা থেকে মুক্তি পায়। চোখ টিপি

শাহরিয়ার কবির এখন হয়ে উঠেছেন হালাল লেখক। উদাহরন স্বরূপ নিচের লেখাগুলো দেখতে পারেন।

১/ বাংলাদেশ পাকিস্তান সমঝোতার আষাঢ়ে গপ্পো...

২/ Pakistan chapter launched to promote peace এখান থেকে কিছু অংশ উদ্ধৃত করা প্রয়োজন--

“The initiative will help promote better understanding between the people of our two countries (Bangladesh and Pakistan) as well as CREATE A POSITIVE IMAGE OF PAKISTAN ABROAD,” said Shahriar Kabir.

--- সাদাচোখ
sad_1971এটymail.com

চরম উদাস এর ছবি

শাহরিয়ার কবির এর ব্যপারে আরও একটু স্টাডি করার দরকার ছিলো আমার হয়তো। অনেক ধন্যবাদ লিঙ্ক গুলোর জন্য। পড়ে দেখছি লেখাগুলো।

অতিথি লেখক এর ছবি

সেই কখন থেকে পেজ রিলোড করছি, আপনার মন্তব্যের আশায়। হাসি
ভালো থাকুন উদাস ভাই। হাসি

চরম উদাস এর ছবি

ভাইরে এই যুগে যে কখন কে কোন দিক দিয়া পাল্টি খায়! কয়দিন পর যদি জাফর ইকবাল স্যার জামাতের আমির হয়ে যায় তাইলেও বোধহয় অবাক হবোনা আর। শাহরিয়ার কবির এর নামটা সরায়ে দিবোনে লিস্টে থেকে। আপাতত উনি না হয় হালাল হারাম এর মাঝামাঝি মকরুহ এরিয়াতে থাকলেন খাইছে

অরফিয়াস এর ছবি

শাহরিয়ার কবির এর এই ব্যাপারগুলো চোখে পড়েছিল বেশ কিছুদিন আগেই। পত্রিকাতে দেখেছিলাম, তিনি পাকিস্থানে কোনো একটি সম্মেলনে অংশগ্রহন করে এসব মন্তব্য করেছিলেন।

যেই মানুষটি সারা জীবন রাজাকারদের বিরুদ্ধে এরকম ভাবে লিখে গেলেন, যার জন্য তাকে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হতে হলো, সেই মানুষটিই যখন এধরনের কথা বলেন তখন আসলেই অবাক হতে হয়।
তবে এই বিষয়টির সত্যতা জানা প্রয়োজন।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

চরম উদাস এর ছবি

আমারও জানার ইচ্ছা আছে এ ব্যপারে। কেউ লেখা দিলে ভালো হ‌য়।

অতিথি লেখক এর ছবি

দেখা যাক, কেউ এই মহান ব্যক্তিকে নিয়ে লেখার সাহস করে কিনা।

আপাতত এখানকার কমেন্টগুলো দেখতে পারেন।

তবে ভূলেও ঘাতক দালাল নির্মূল কিমিটির ফেসবুক পেজে গিয়ে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন না। নগদে ব্যান খাবেন, আর কপালে জুটবে ২-৪ দিন বয়সী প্রোফাইল থেকে উল্টা-পাল্টা অভিযোগ। সেখানে নিচের নিউজগুলা সগৌরবে বিলি করা হয়েছে। হাসি

http://tribune.com.pk/story/367259/bangladeshs-example-give-secularism-tolerance-a-chance-says-new-body/

http://dawn.com/2012/04/19/secularism-is-the-way-forward/

যখন দেশের ক্রিকেট প্লেয়ারদের জীবন বাঁচাতে সারা দেশের মানুষ লোটাস কামালের পিন্ডি চটকাচ্ছে। সেখানে কবির সাহেব পাকিস্থানে চ্যাপটার খুলে তাদের ভাবমূর্তি উজ্বল করার গুরুদায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। সেকুলারিজমের সাথে ধর্ম ব্লেন্ড করে তা পাকি বান্দরগুলার মাঝে বিলি করছেন।

এসব দেখে সেলুকাসরে ডাকতে ইচ্ছে করছে। :/

--সাদাচোখ
sad_1971এটymailডটcom

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

পুরো লেখাটি মনযোগ সহকারে পড়তে এতটুকু কষ্ট হয় নি।
আমাদের দেশের সাধারন-অসাধারন (!!!) মানুষদের মনজগৎ কি কি দ্বারা প্রভাবিত এবং তার অবস্থা কি হাস্যরসাত্মকভাবে উঠে এসেছে। কিন্তু বিন্দুমাত্র মিথ্যে বা ভ্রান্তির আশ্রয় আপনি নেন নি।
কষ্ট করে লেখার জন্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা।
গুরু গুরু গুরু গুরু

hironmoydigonto

চরম উদাস এর ছবি

ধন্যবাদ পড়ার জন্য। ভালো থাকুন, হালাল থাকুন খাইছে

নীড় সন্ধানী এর ছবি

গুল্লি গুল্লি
একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল।

এক মাঝারি ছাগল পহেলা বৈশাখে রাস্তায় রাস্তায় উৎসবমূখর নারী পুরুষের ভিড় দেখে বিরক্ত হয়ে মন্তব্য করলো-“যত্তসব বেলেল্লাপনা বেহায়াপনা, বিধর্মী কালচার। দেশটা দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে”।

ছাগলটিকে তখন বেরসিক একজন জিজ্ঞেস করলো, “ভাইজানের তো গার্মেন্টসের ব্যবসা, এক হাজার নারীর মধ্যমনি, তা আপনার ব্যবসাটা বেলেল্লাপনার প্রসার কিনা, অথবা ঈদের দিনে নতুন জামা কাপড় পরে বেগানা ছেলে মেয়েদের এদিক সেদিন ঘোরাঘুরিকে বেলেল্লাপনা মনে করেন কিনা কিংবা রোজার দিনে ঈদ শপিং এর সময় নারীপুরুষ একসাথে ঢলাঢলিকে নষ্টামি মনে করেন কিনা?”

ইংলিশ নিউ ইয়ারে মিষ্টান্ন বিতরনকারী, ভ্যালেন্টাইন দিবসে আনন্দকারী মাঝারি ছাগলটির চোপা তৎক্ষণাৎ গুম হয়ে গেল।
হো হো হো

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

চরম উদাস এর ছবি

ঐযে কয়দিন আগে গুনাহ নিয়ে এক অতিথে জটিল একটা লেখা দিলো না। " নারকেল কচি না ঝুনা, তাইলে আবার কিয়ের গুনাহ" খাইছে
সবগুলারই এই অবস্থা।

faruk এর ছবি

লেখা পরার পর তো মোর মাথা আওলাইয়া যাইবার লাগছে অ্যাঁ অ্যাঁ অ্যাঁ অ্যাঁ অ্যাঁ অ্যাঁ অ্যাঁ

চরম উদাস এর ছবি

পানি ঢালেন মাতায়, আমি গত কয়দিন ধরে তাই করতেছি ইয়ে, মানে...

এ ইউসুফ এর ছবি

গুনার ভয়ে রাম বলবনা, বলব বড়। লক্ষ্মণ বলবনা, বলব ছোট। সীতা বলবনা, বলবো বড় বিবি; রামায়ণ না বড়ায়ন। এত কিছু বড় করতে গিয়ে যা হারাতে হবে তাতে ছাগল তো খাসী হয়ে যাবে...

চরম উদাস এর ছবি

হ, রামখাসী থুক্কু বড় খাসী

ইমা এর ছবি

পুরো পোস্টটা পড়ে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেলও শেষটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল।কিন্তু ছাগুদের ছাগু হবার কারণটা কি আর আকটা ছাগলকে মানুষ বানানো যায় কিভাবে সেটাই মাথায় ঢুকে না আমার। মন খারাপ
তারেক মনওয়ার এর ওয়াজ শুনে হাসি পেল কিন্তু তার চেয়েও বেশি মেজাজ খারাপ হল। ফাজলামোর একটা সীমা থাকা দরকার। রেগে টং

চরম উদাস এর ছবি

প্রথমে হাসি পায় পরে মেজাজ বিলা হয়, এই সাইকেলের উপরই আছি।

মরুদ্যান এর ছবি

পড়লাম, মোটামুটি হইসে। বিশেষ করে সবুজ বাংলার লেখার তুলনায় তো কিছুইনা, যাই সবগুলা পড়িগা।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চরম উদাস এর ছবি

হ, পড়েন।

শাব্দিক এর ছবি

হো হো হো

শিমুল  এর ছবি

চৌদা, জটিল হৈচে।।।খেক খেক খেক। আপনি ১টা ড়াম তেদর সরি বড় তেদর। কেমনে জানি সব সহজে কৈয়া দেন। আমাগ ত লজ্জায় মাথা কাটা যায়...

চরম উদাস এর ছবি

আমারে ত্যাদর কইলেন? চিন্তিত

কানিজ ফাতেমা এর ছবি

চমৎকার লেখা।কিউট লাজুক ছোট্ট চরম উদাস বাবুকে ভাল দেখাচ্ছে। হো হো হো

চরম উদাস এর ছবি

লইজ্জা লাগে

শান্ত এর ছবি

এখন পর্যন্ত আপনার সব লেখা থেকে এটি হয়েছে দুর্দান্ত। সবুজ বাংলার লিংকগুলো দেখার পর কেন জানি আমার হাত পা কাপছিলো।

__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত

চরম উদাস এর ছবি

হাত পা কাপারই কথা ইয়ে, মানে...

স্যাম এর ছবি

থ্রি চিয়ার্স চরম উদাস !!!

চরম উদাস এর ছবি

পুটু পুটু হুররে

MIU পাঠক এর ছবি

"এই পোস্ট দেয়া মাত্র কমেন্টের সংখ্যা শত ছাড়িয়ে যাবে..." পীর দরবেশ কিন্তু কারো গায়ে লেখা থাকে না ভাই! আপনি নিজেও মনে হয় জানেন না যে আপনার চাচাত ভাই যেই কাজ করেন, সেই কাজ আপনার করা উচিত! রাম -থুক্কু- বড় ছাগলদের জন্য একখান অনলাইন তাবিজ দিয়া হালান!
তবে এই পোস্ট টা পড়ার সময় দারুন লেগেছে ঠিকই কিন্তু এর পর চরম খারাপ লাগছে! মন খারাপ

চরম উদাস এর ছবি

উদাস পীরের মাজার খুলে ফেলবো নাকি একটা? আমি পীর আপনে চিফ খাদেম, ৫০-৫০ পার্টনারশিপ ব্যবসা

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

এতসব দেখতে দেখতেই তো জীবন পার করছি। এই একটু সাবধান থাকলেই হয় আরকি। এই যেমন, 'দারু মোঁচমে না লাগাও, ও হারাম হো যায়েগা'। জানেনতো পানি পান করবার সময় মোঁচে লাগলে হারাম হয়ে যায়। তাই মোমিনেরা ইয়া লম্বা দাড়ি রাখলেও মোঁচ রাখেন না।
লেখার বিষয়ে আবারও বলি, আপনি 'আর্য রসিক'। নামকরণটা সভ্য সভ্য হয়ে গেল। ভদ্রলোকেরতো ভাত নাই।

চরম উদাস এর ছবি

হ, আপনার এত সুন্দর নামে কেউ ডাকেনা। সবাই গরম উদাস, চউ ইত্যাদি ফাতরা নামে ডাকে ইয়ে, মানে...

^_^ এর ছবি

গুল্লি " আমার মাতা মুতা এখন সবুজ, চারিদিকে খালি এখন সবুজ দেখি " খাইছে

চরম উদাস এর ছবি

হ, তাইতো দেখি

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

অনেক সময় নিয়ে পড়লাম। গড়াগড়ি দিয়া হাসি লিঙ্কগুলোও ঘুরে ঘুরে দেখলাম। বাহ্‌ সবকিছুই রসালো হয়ে উঠছে দিনকে দিন। গড়াগড়ি দিয়া হাসি
মনওয়ার হারামজাদার ওয়াজ এর আগেও দেখেছিলাম টিউবে। রবীন্দ্র আর নজরুল নিয়ে ব্যাপক লেকচার শুনে হাসতে হাসতে পাগল হয়ে যাবার মত অবস্থা হয়েছিল।

অসাধারণ একটা পোষ্ট হয়েছে। চলুক

চরম উদাস এর ছবি

মানুষ কবিতটা তো নজরুলেরই লেখা নাকি? এককালে পুরাটা মুখস্থ ছিলো, আংশবিশেষ তুলে দিলাম । এইটা কেউ প্রিন্ট করে নিয়ে রোল করে মনওয়ার এর পুটু দিয়ে ঢুকায়ে দিয়ে আসেন। তারপর দেখি সে নজরুলরে কি বলে।

গাহি সাম্যের গান–
মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান ,
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি,
সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি ।
‘পুজারী, দুয়ার খোল,
ক্ষুধার ঠাকুর দাঁড়ায়ে দুয়ারে পুজার সময় হলো !’
স্বপ্ন দেখিয়া আকুল পূজারী খুলিল ভজনালয়
দেবতার বরে আজ রাজা-টাজা হয়ে যাবে নিশ্চয় !
জীর্ণ-বস্ত্র শীর্ণ-গাত্র, ক্ষুধায় কন্ঠ ক্ষীণ
ডাকিল পান্থ, ‘দ্বার খোল বাবা, খাইনা তো সাত দিন !’
সহসা বন্ধ হল মন্দির , ভুখারী ফিরিয়া চলে
তিমির রাত্রি পথ জুড়ে তার ক্ষুধার মানিক জ্বলে !
ভুখারী ফুকারি’ কয়,
‘ঐ মন্দির পুজারীর, হায় দেবতা, তোমার নয় !’
মসজিদে কাল শিরনী আছিল, অঢেল গোস্ত রুটি
বাঁচিয়া গিয়াছে, মোল্লা সাহেব হেসে তাই কুটিকুটি !
এমন সময় এলো মুসাফির গায়ে-আজারির চিন্
বলে, ‘বাবা, আমি ভুখা ফাকা আছি আজ নিয়ে সাত দিন !’
তেরিয়াঁ হইয়া হাঁকিল মোল্লা–”ভ্যালা হলো দেখি লেঠা,
ভুখা আছ মর গে-ভাগাড়ে গিয়ে ! নামাজ পড়িস বেটা ?”
ভুখারী কহিল, ‘না বাবা !’ মোল্লা হাঁকিল- ‘তা হলে শালা
সোজা পথ দেখ !’ গোস্ত-রুটি নিয়া মসজিদে দিল তালা !
ভুখারী ফিরিয়া চলে,
চলিতে চলিতে বলে–
“আশিটা বছর কেটে গেল, আমি ডাকিনি তেমায় কভু,
আমার ক্ষুধার অন্ন তা’বলে বন্ধ করোনি প্রভু !
তব মজসিদ মন্দিরে প্রভু নাই মানুষের দাবী,
মোল্লা-পুরুত লাগায়েছে তার সকল দুয়ারে চাবী !”

কোথা চেঙ্গিস, গজনী-মামুদ, কোথায় কালাপাহাড় ;
ভেঙ্গে ফেল ঐ ভজনালয়ের যত তালা-দেওয়া-দ্বার !
খোদার ঘরে কে কপাট লাগায় কে দেয় সেখানে তালা ?
সব দ্বার এর খোলা র’বে, চালা হাতুড়ি শাবল চালা !
হায় রে ভজনালয়
তোমার মিনারে চড়িয়া ভন্ড গাহে স্বার্থের জয় !
মানুষেরে ঘৃণা করি
ও’ কারা কোরান, বেদ, বাইবেল চুম্বিছে মরি মরি
ও মুখ হইতে কেতাব-গ্রন্থ নাও জোর করে কেড়ে
যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে ।
পুজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল !–মুর্খরা সব শোনো
মানুষ এনেছে গ্রন্থ,–গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো ।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ও আল্লাহ!
মুসলমান হইলে এত্তোকিছু জানতে হয়!! অ্যাঁ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

চরম উদাস এর ছবি

আবার জিগা্যয় দেঁতো হাসি

প্রীনন এর ছবি

বারবার পড়ছি,পড়েই যাচ্ছি,লুপেই পরে গেলাম বোধহয় হো হো হো , সেইসাথে চরম উদাস ভাইরে গুরু গুরু গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

দময়ন্তী এর ছবি

হো হো হো

কিন্তু যাই বলেন, ছাগল খেতে বড় ভাল, ওসব মুরগী ফুরগী তো পুরো ঘাসের মত৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

সুজিপ্পে এর ছবি

মারাত্বক লিখা উস্তাদ! গুল্লি

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অমি_বন্যা এর ছবি

চলুক

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ব্রুনো এর ছবি

আমি নিশ্চিত কাল সন্ধ্যায় যখন শেষবার সচলে ঢুকি তখন এই পোস্ট ছিলো না, আর আজ এই সন্ধ্যায় ১৭০ কমেন্ট! তয় আপনি একটা খারাপ কাজ করছেন, সবুজ বাংলার লিঙ্ক দিছেন। আমি এখন সচল ফেইলা শুধু ঐ ব্লগই পড়তেছি। এই জিনিস এতোদিন কই ছিলো!
অনেক আগে কুষ্টিয়া থাকতাম। কুষ্টিয়ার এক এলাকার নাম কালীশঙ্করপুর। কালীশঙ্করপুরের মসজিদের নাম ছিলো ইসলামপুর জামে মসজিদ।
পোস্টে আর আপনার ছবিতে লাইক্স চলুক

চরম উদাস এর ছবি

আমি এখন সচল ফেইলা শুধু ঐ ব্লগই পড়তেছি।

আমারও একি দশা ইয়ে, মানে...

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

উরে, খাইছেরে টাইপ পোস্ট।

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চরম উদাসের এই পোস্ট দেখি দেড় হাজারের কাছাকাছি শেয়ার হইছে!! আমি হিংসায়.... হাসি

চরম উদাস এর ছবি

এখন ধাইধাই করে দুই হাজারের দিকে যাচ্ছে, আটকানো যাচ্ছেনা ইয়ে, মানে... । হিংসার কিছু নাই, আমি কানে কানে আপনারে টেকনিকটা বলতেছি। আপনার চেহারা ছবিও মাশাল্লাহ প্রায় আমার মতোই ভালো। খালি পর্দা করেন না, এই একটাই সমস্যা। আমার মত ঘোমটা ঢাকা লাজুক চেহারার ছবি সহ একটা পোস্ট দেন , তারপর দেখবেন কান্ড দেঁতো হাসি

কিংশুক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

কালো কাক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

শাব্দিক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

যুমার এর ছবি

গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তানিম এহসান এর ছবি

মাঝে মাঝে সবাইকে খুব জানাতে ইচ্ছে করে তোমাকে আমি চিনি, জানি। এটা গর্ব।

চরম উদাস এর ছবি

হ তানিম ভাই, আপনে তো বাল্যকাল থেকেই আমারে চিনেন। লোকে ভাবে আমি বদ আর ফটকা কিসিমের লোক, আপনেই বলেন দেখি আমি ছোটবেলা থেকে এইরকম লাজুক কিনা লইজ্জা লাগে

তানিম এহসান এর ছবি

না (উদাস ভাব)

সবজান্তা এর ছবি

শেষের কথাগুলিই কিন্তু আসল পয়েন্ট। ছাগল চিনতেছি, ট্যাগ করতেছি- কিন্তু ছাগল তৈরি হওয়া কি বন্ধ করতে পারতেছি ?

ইন্টারনেটের যুগে যেমন স্পষ্ট কইরা চিন্তা করার এবং সাহস করে প্রশ্ন করার পোলাপান বাড়তেছে, তেমনি মগজধোলাই প্রজন্মও বাড়তেছে। সমস্যা হইতেছে যে, ধর্মান্ধতার (ইনফ্যাক্ট ধর্মেরই) একটা দলগত রূপ আছে, আর উলটা দিকে মুক্ত চিন্তার ব্যাপারটা মানুষকে এক ধরনের মুক্তি দেয়, যেইখানে একজন মানুষের নিজের গোঁজামিলের প্রতি সমর্থন আদায়ের জন্য আরেকজনের দিকে তাকাইতে হয় না; কাজেই ধর্মান্ধতার চক্করে আখেরে অনেক বেশি মানুষ পড়ে, মুক্তচিন্তার তুলনায়। আর মুক্তচিন্তার জন্য একটু পড়াশোনা করতে হয়, মাথা খাটাইতে হয়- এইটাও আলগা যন্ত্রণা।

আর লেখার হাসির অংশের কথা আলাদা কইরা বলার কিছু নাই। আপনি নমস্য, গুরু।

চরম উদাস এর ছবি

ট্যাগ করে আলাদা করে ফেলাটা বোধহয় সহজ অংশ। কিন্তু তারপর? তারপর কি আমার জানা নেই, নেই বলেই হতাশা নিয়ে এটা লেখা। হয়তো কারো জানা আছে।

চরম উদাস এর ছবি

কমেন্ট এর উত্তর দিয়া ঘুমাইতে গেলাম, মাঝরাতে ঘুম ভাইঙ্গা আবার কমেন্ট এর উত্তর দিলাম, ভোরবেলা আবার। এখন আবার ঘুম ভেঙ্গে দেখি এতগুলা কমেন্ট জমছে। এখন উত্তর লেখবো কেডা??? ওঁয়া ওঁয়া জাফর ইকবাল এর কাছে জবাব চাই ওঁয়া ওঁয়া

সত্যপীর এর ছবি

এই শিখলেন সবুজ বাংলা ব্লগ পইড়া? মাকরুহ লিখক জাফর ইকবালের কাছে জবাব চাইবেন ক্যান? নাউযুবিল্লা মিন যালিক। জবাব চান তারেক মনোয়ারের কাছে।

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

ইয়ে, মানে...

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা প গে গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি হো হো হো হো হো হো

______
বুনোফুল

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

ভাবনার বিষয় হলো হারাম শব্দটাতেও রাম আছে!!! যে ছাগুরা সারাদিন হারাম হারাম করেও তারাও নাপাক!!! দেঁতো হাসি

পাঠক-জনপ্রিয়তার দিক থেকে আপনার পোস্ট দেখলে আমার মুখা'র পোস্টের কথা মনে পড়ে। আপনারা আসলেই নমস্য। মুখার এক পোস্টে দেখেছিলাম ১৫ হাজার বার পঠিত/শেয়ার্ড! অ্যাঁ

তরুণ প্রজন্মের মূল্যবোধ গঠনে লেখালেখির পাশাপাশি আরো কী কী পন্থায় আগানো যায় তা ভাবা যেতে পারে।

(আপনারে সামনা সামনি দেখার বড় শখ...........সহসাই দেশে আসবেন বস?)


_____________________
Give Her Freedom!

চরম উদাস এর ছবি

রাম আছে বলেই তো হারাম!
জনপ্রিয়তার কথা বললে হাসি পায়। এতো সময় নিয়ে একটা লেখা না লিখে জায়গামত কুদরতি একটা ছবি, লেখা দিলেই হাজারকে হাজার শেয়ার হয়ে যাবে। সুতরাং জনপ্রিয়তায় জনটা কেমন সেটাও ভাবার বিষয়। ঐ ছেরি তোর বুকে ওড়না দে বলে একটা মেয়ের ছবি তুলে দিলে সেটার নিচে শত শত কমেন্ট আর লাইক পড়ে। এরা বিজাতীয় কেউ না, আমাদেরই বন্ধু, পরিচিত।
( এ বছর শেষে আসার ইচ্ছা আছে)

সাফি এর ছবি

স্থান ওয়ালমার্ট চিজ এর আইল।

জনৈক ইরাকি/ইরানি/আফ্গানি চেহারার ভদ্রলোক গভীর মনোযোগে চিজের প্যাকেটের পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করছেন। এমন সময়ে আমি গেছি, চিজ কিনতে।

- চিজ? (হাতে এক প্যাকেট স্লাইস্ড চিজ দেখিয়ে)
- ইয়েস।
- বিফ চিজ?
আমি হাসুম না কান্দুম, কইলাম ইয়েস।
-হালাল বিফ চিজ?
আমি তো জানি মরা গরু দুধ দেয়না, কইলাম ইয়েস। ব্যাটা দেখি তাও প্যাকেটের গায়ে কিসব দেখতেসে..
- নো নো নো কোলেস্টোরেল।
আরে হালার পুত কোলেস্টোরেল এই যদি সমস্যা থাকে তাহলে চিজের এখানে কী করিস!

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো

তাসনীম এর ছবি

ইসলামী পদার্থবিদ্যা অনুযায়ী - বিসমিল্লাহ বলে বস্তুতে বল প্রয়োগ করলে ইনশাল্লাহ সেটার ভরবেগের পরিবর্তন হবে।

আমাদের দেশে দুটি পথ সুস্পষ্ট ভাবে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। বয়স আরও কম ছিল যখন তখন স্বপ্ন দেখতাম পথ দুটি একদিন মিলে যাবে। এখন বুঝি সেটা সম্ভব না এই জনমে অন্তত।

আমিও সেটা ভাবি আর বিষণ্ণ হই। নিজের অনেক স্মার্ট আর হৃদয়বান বন্ধুবান্ধবকেও দেখছি মধ্য বয়েসে এসে ধার্মিক হওয়ার নামে ছাগু হয়ে যাচ্ছে। ছাগু তৈরির কারখানা থেমে নেই - আই থিং দে আউট নম্বরস আস মন খারাপ

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

কুমার এর ছবি

চলুক

মন মাঝি এর ছবি

আমার একটা জিনিষ মাঝেমধ্যে মনে হয় - বাংলাদেশে (এবং বিশ্বজুড়েই হয়তো) মুসলমানদের মধ্যে ধর্মপরায়নতা গত ১০-১২ বছর ধরে একটু বেশি দ্রুতগতিতেই বাড়ছে। বাংলাদেশে ১০-১৫ বছর আগেও বোরকা আর মোল্লাকিপনার এতটা বিস্তার লাভ করেনি, বিশেষ করে শরাঞ্চলে আর শিক্ষিত মধ্যবিত্তদের মধ্যেও। গত এক যুগে এই ফেনোমেননটা আগের তুলনায় অনেক বেশি ভাবে অনুভূত আর দৃশ্যমান হচ্ছে। এর সাথে কি ৯/১১ আর তার পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের কোন যোগসূত্র আছে বলে মনে হয় আপনার?

****************************************

তাসনীম এর ছবি

পৃথিবী জুড়েই মানুষ মনে হয় ধার্মিক হয়ে যাচ্ছে। ধর্মাচার বাড়লে ধর্মান্ধতাও বাড়তে বাধ্য। আমার ধারণা এটা একটা সাইকেল - ৯/১১ সরাসরি সম্পর্ক নেই। বরং ধর্মান্ধতা বাড়ার কারণে ৯/১১ ঘটনা ঘটেছে। পৃথিবীর জনসংখ্যা গত দুই দশকে দুই বিলিয়ন বেড়েছে, অস্থিরতাও। ধর্মপালন একটা ইমেডিয়েট শান্তির মেডিসিনের মতো কাজ দেয়, যেটার সাইড এফেক্ট সুদূর প্রসারী। হয়ত এই হানাহানি আর কাটাকাটি থেকেই মানুষ এক সময়ে শিক্ষা লাভ করবে।

ভবিষ্যত নিয়ে এই রকম একটা ভাবনা থেকে একটা গল্প লেখার ইচ্ছে আছে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

চরম উদাস এর ছবি

আমার রক্ত ঠান্ডা। বেশিরভাগ সময় দেখি, শুনি শুধু। বললেও কাউকে আক্রমন না করে সারকাস্টিকভাবে বলি। তবে বেশিরভাগ মানুষই হ‌য়ত সেটাও বুঝে না। এখন পর্যন্ত দেখিনি, কাউকে তর্কে হারিয়ে তার মনোভাব পরিবর্তন করা গেছে। সুতরাং কি লাভ তর্ক করে। বরং নিয়তিই হয়তো একদিন তাকে তার নিজের মুখোমুখি দাড় করাবে। যে লোকটি আজকে কোন মেয়ে ওড়না গলায় পরে বলে কুতসিত একটা কথা বলে পূণ্য অর্জন করছে বলে ভাবছে, তাকে একদিন না একদিন হয়ত একইভাবে অপমানিত নিজ কন্যার চেহারা দেখতে হবে।
একইভাবে বন্ধুমহলে পর্দার গুরু প্রয়োজনীয়তা নিয়ে উজির নাজির মারবে, ঘরে গিয়ে নিজ স্তীকে পর্দা করতে বলে উস্টা খাবে তার কাছে

রুমঝুম ১ এর ছবি

"নিয়তিই হয়তো একদিন তাকে তার নিজের মুখোমুখি দাড় করাবে। যে লোকটি আজকে কোন মেয়ে ওড়না গলায় পরে বলে কুতসিত একটা কথা বলে পূণ্য অর্জন করছে বলে ভাবছে, তাকে একদিন না একদিন হয়ত একইভাবে অপমানিত নিজ কন্যার চেহারা দেখতে হবে।"--- চলুক চলুক গুরু গুরু

Srijon এর ছবি

যাই হোক ভাইয়া, সত্যি কথাটা বলেই ফেলি, আমি নিযেও একসময় মাদ্রাসার ছাত্র ছিলাম। বাবা শখ করে পড়িয়েছেন (আসলে নিয়ত করেছেন জন্মেন আগে যে, একটা ছেলে পেলে কোরআনে হাফেয বানাবেন)। বাবার সে শখ পূরণ করে এখন উড়ানযান প্রকৌশল বিদ্যায় পড়াশোনা করছি। ধর্ম নিয়ে এই ধরনের বাড়াবাড়ি আমার পছন্দ নয় বলেই অনেকটা তাড়াতাড়ি ওই লাইন পরিত্যাগ মাদ্রাসা বোর্ড থেকে দাখিল মানে এস এস সি দিয়ে। তবে হ্যা ধর্মেরপ্রতি বিশ্বাস আমার অল্প বিস্তর আছে। তবে যেটা আমার কাছে যুক্তিযোগ্য মনে হয় সেটাই পালন করি। সে ধরনের লাইসেন্স নাকি আমাদের ধর্মে দেয়া আছে। সেটাকে ক্বিয়াস বলে ধর্মের ভাষায়, তবে তার জণন্যে নাকি যথাযত ধর্মীয় জ্ঞান আবশ্যক এবং যোগ্যতা আবশ্যক। তবে নামগুলো নিয়ে কিন্তু আসলেই একটি বেশীই হয়ে যায়। আর পাক-প্রীতি, ভারত-প্রীতি ততক্ষনৈই থাকবে যতক্ষননা আমার দেশের সার্বভৌমের প্রতি আঘাত আসবে। আমি জানি, আমার পরিচয় পেয়ে হয়তো বলবেন, “এইযে, কইতে না কইতে এক ছাগল হাজির”।

চরম উদাস এর ছবি

আপনাকে ছাগল বললে আমার পিতাকেও তো একই কথা বলতে হবে। সুতরাং যদি ভেবে থাকেন ধর্মে বিশ্বাস আছে এমনটি বলা মাত্র আপনার উপর ঝাপিয়ে পড়বে সবাই, তবে সেটা ভুল ধারণা।

কল্যাণ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গুল্লি উত্তম জাঝা! চলুক হাততালি

মন খারাপ

গুরু গুরু গুরু গুরু

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

চরম উদাস এর ছবি

ইমোটিকন ফ্রি পাইয়া যা যা আছে সবই দিয়া দিছেন দেখি খাইছে

কল্যাণ এর ছবি

আবার কয়। আপনার পোস্ট পড়তে বসলে হাসির ঠেলা সামলাইতে প্রাণ বের হওয়ার যোগাড় হয়। এদিকে মাথায় কাজ করে যে শেষে নিশ্চয় কিছু আছে মানেমানে রেডি হই, কিন্তু তাতেও কি আর রক্ষা আছে? খানিকক্ষণ তব্দা খায়া থাকা লাগে। তাই শেষমেশ ইমোর স্মরণ নেয়া।

একটা জিনিস দেখে ব্যাপক শান্তি পাইলাম। আপনি এত কামেল আদমি হওয়ার পরেও দেশী "খ্যাতা" ফেলতে পারেন নাই। এই চান্সে একটা খ্যাতা সমিতি খুলে ফেলা দরকার হাসি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

আক্তারুজ্জামান এর ছবি

পুরুষদের একদল নারীদের হিজাব চাপিয়ে দিতে চায়, আর আরেকদল সেটা খুলে ফেলতে বলে। পুরুষশাসিত সমাজে পুরুষদের আলোচনায় নারীদের সঠিক পোষাক কি হওয়া উচিৎ তাই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হতে দেখা যায় এমনিভাবে। আপনারা শিক্ষিত পুরুষগণ এবার আলোচনা শেষে এবার ইচ্ছেমত পোষাক চাপিয়ে দিন স্ত্রী বোন দের উপর।

চরম উদাস এর ছবি

পুরা লেখা পড়ে যদি মনে হয় এইটা হিজাব বিষয়ক লেখা, তাইলে -
১। আপনে লেখা আসলে পড়েন নাই - সময়, সুযোগ ও ইচ্ছা থাকলে আবার পড়েন কস্ট করে।
অথবা
২। ফিল্টার হয়ে এত কথার মধ্যে শুধু হিজাব কথাটাই গিয়েছে আপনার কাছে - তা হলে মাহবুব মুর্শেদ এর সাথে যোগাযোগ করেন, উনি বুরকা স্পেশালিস্ট। প্রেম, ভালুবাসা, ফটকামি, ইতরামি সহ যে কোন দুই নম্বরি সমস্যার জন্য আমার সাথে যোগাযোগ করেন, আমি ঐগুলার স্পেশালিস্ট।

সত্যপীর এর ছবি

হিজাব বিষয়ক লিখা চাই। এক দফা এক দাবী। এক্ষন পরের পর্ব লিখেনঃ এসো নিজে করি ০৬ - কিভাবে স্ত্রীকে হিজাব করাবেন / How to become an extremely royal goat

..................................................................
#Banshibir.

কালো কাক এর ছবি

১। উনি খালি কমেন্ট পড়সে। চিন্তা করেন, আপ্নের লেখার কমেন্টও এখন আলাদা করে মানুষের মনে হিট করে চাল্লু
অথবা
২। আপনার হিজাবি ছবি দেখেই এই লেখার মূল থীম ধরে ফেলেছে চোখ টিপি

আক্তারুজ্জামান এর ছবি

আপনার পুরো লিখাই পড়েছি। পড়ে ভাল লেগেছে এবং কোথাও দ্বিমত হয়নি। এরকম সুন্দর লিখার জন্য অভিনন্দন। অবশ্য আগের কমেন্টেই অভিনন্দন দেয়া উচিৎ ছিল। তখন দেইনি এই ভেবে যে এত অভিনন্দনের জোয়ারে ভেসে বেশী আত্মতৃপ্তিতে ভবিষ্যতে যদি আপনার লিখা খারাপ হয়ে যায় সেই ভয়ে : "আমি কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে চমৎকার লিখেছেন, চরম লেখা এই জাতীয় মন্তব্য পড়তে পড়তে আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলবো।" আমি আপনার লিখার একজন ভক্ত হিসেবে সে ক্ষতি করতে চাইনি।

লিখা ভাল হওয়ায় কমেন্টগুলোও আগ্রহ নিয়ে পড়ছিলাম। এক জায়গায় এসে মনে হল বেশিরভাগ কমেন্টকারীর চিন্তা চেতনা অনেক বেশী পুরুষতান্ত্রিক। পুরুষতান্ত্রিক চিন্তা চেতনা আমাদের দেশের অনেকেরই আছে, তবে ব্যাপারটা একটা জনপ্রিয় ব্লগে এরকম ম্যাস আকারে দেখে অবাক হলাম। এই জন্যেই কমেন্ট করা।

ভাল থাকবেন।

মন মাঝি এর ছবি

মানুষসৃষ্টি খোদার একটা চমৎকার মৌলিক আইডিয়া ছিল। কিন্তু এরপরে ছাগল সৃষ্টি করেই উনি মানুষের এই মৌলিকত্বটা একদম পঁচিয়ে দিলেন!

****************************************

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

S এর ছবি

ভাইয়া, আপনি যেহেতু প্রবাসী তাই আমি নিশ্চিত না আপনার জানা আছে কিনা চট্টগ্রামের মিরসরাইতে একটা রোড অ্যাক্সিডেন্টে ৪২জন শিশু মারা গিয়েছিল। বাচ্চাগুলোর বাড়ি পাশাপাশি অবস্থিত ৩ গ্রামের, তাই দেখা গিয়েছিল প্রতিটা বাড়িতেই কেউ না কেউ মারা গিয়েছে অথবা মারা যাওয়া বাচ্চাগুলির সহপাঠীরা রয়েছে। আমি এখনো কিছুতেই ভুলতে পারিনা স্কুল খোলার পরে প্রথম দিন সহপাঠী বাচ্চাগুলি এবং তাদের শিক্ষকদের কান্নাভরা ছবিগুলো।

মর্মান্তিক এই ঘটনার সময় এই **** বাচ্চাগুলি ওদের এই সারমেয় ব্লগে একটা পোস্ট দিয়েছিল যেটার শিরোনাম এরকম ছিলো: "শিক্ষার্থীরা 'হারাম' ফুটবল খেলা শেষে ফিরছিলো, এখন মরলি, মজা বুঝ।"

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে মানুষ কতটা সিক হতে পারে এই ব্লগের **** গুলো সেটারই উদাহরন

কালো কাক এর ছবি

হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম সেই লেখাটা পড়ে। আরো অবাক হয়েছিলাম একজন মানসিক ভারসাম্যহীন হতে পারে, কিন্তু সেখানে এতগুলো সমর্থন জানানো এতজন ভারসাম্যহীন? এদের জন্য কোন বিশেষণই খাটে না অমানুষ ছাড়া।

চরম উদাস এর ছবি

মিরসরাই এর রোড অ্যাক্সিডেন্ট এর ঘটনা জানা ছিল। তবে এই লেখার কথা জানা ছিলোনা। কিছু বলার ভাষা নেই আসলে।

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

আপনার লেখাটি পড়েছি আগেই, কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি, এখন ২৫৮ টি মন্তব্য পড়ার পরে লিখছি
১) আপনার হতাশা আমাকেও ছুঁয়ে গিয়েছে। নিজের কথা মনে হল। আমি কিছুই করতে পারিনি। সমাজ তো দূরের কথা আমাদের পরিবারের একজন সদস্য যে পৃথিবীতে আসবার আগেই তার বাবা ওয়াদা করে রেখেছিল, তাকে 'আল্লাহর রাস্তায়' দিবে। তাই সে ৫ বছর বয়স থেকেই বোরকা নামক বস্তার মধ্যে দিয়ে মাদ্রাসায় যাচ্ছে। আমি প্রতিবাদ করেও কিছু করতে পারিনি। আমার খালুর ইচ্ছাই প্রাধান্য পেয়েছে।

২) সম্প্রতি আমাদের পরিবারের একজন হজ্ব করে এসেছেন, তিনি এখন সবাইকে (আমরা যারা কাজিনেরা) বোরকা পরতে উৎসাহ দিচ্ছেন, আমি জানি কয়েকদিন পরে এটা হয়ত বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। আমার ক্ষেত্রে পারবে না, কারন আমি পরিবার থেকে দূরে থাকি, কিন্তু বাড়িতে গেলে এই নিয়ে অশান্তি হবে, অনুভব করতে পারছি।

৩) আমাদের চারপাশে ধর্মভীরু লোকেদের সংখ্যাই বেশি, ছাগুদের সংখা কম কিন্তু সমস্যা হল ছাগুরা অনেক বেশি সক্রিয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নীরবতাকে তারা দূর্বলতা ভেবে নেয়।

৪) আমার পরিচিত অনেকেই আছে যারা এখন ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে লাইক দেয় কিন্তু জানেনা, কোন কীটের ফাঁদে তারা পা দিচ্ছে, ধীরে ধীরে তাদের ব্রেইন অয়াশ করা হচ্ছে, আমি তাদেরকে বুঝিয়ে, নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করছি কিন্তু এখন পর্যন্ত সফলতার হার শূণ্য।

খুবই হতাশ লাগে উদাস দাদা। খুবই হতাশ লাগে।

ইমা এর ছবি

আপনার মত আমার রিলেটিভদের মধ্য কিছু মানুষ আছেন যারা একই আচারণ করে। অনেক বেশি দুঃখ পায় যখন "উচ্চশিক্ষিত" মানুষগুলো এরকম করে। কিন্তু আমার মা-বাবা এবং দাদা এদের কথাগুলোকে প্রশ্রয় না দিয়ে আমকে আমার ইচ্ছে মতন চলতে দিয়েছেন সবসময়। আমার বিশ্বাস আপনার পরিবারেও এমন মানুষ আছেন যারা অন্যায় মেনে নেবেন না এবং আপনার সাথে থাকবেন। আপনি শুধু অন্যায়কে অন্যায় বলার সাহস রাখুন।

চরম উদাস এর ছবি

১। আমি হজ্জ করি পাঁচ বছর বয়সে। মজা করে সবাই আমাকে হাজী সাব ডাকতো। সৌদি থেকে আনা ট্রেডমার্ক জোব্বা আর লাল-সাদা চেক চাদর পরে জুম্মার নামাজ বা মিলাদে যেতাম। আদর করে সবাই বলতো, কত সুন্দর দেখাচ্ছে আমাকে। মাসাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ্‌ বলে সবাই প্রশংসা করতো। আমি ছেলে বলেই হয়ত সেই পোশাক আমার মাঝে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। শখ হিসেবেই থেকে গেছে। ভাবি, আমি যদি কন্যা সন্তান হতাম তাহলে ওই বয়সে একইভাবে শখ করে হিজাব পরার পর একই রকম প্রশংসা পেতাম। তারপর হয়ত সেটাই আমার সঙ্গী হতো, আর পূর্ণ বয়সে এসে বলতাম, এটা আমার অধিকার, আমার স্বাধীনতা।

২। আমরা ছোটবেলা থেকে একটা কথা শুনে এসেছি, পরিবারের একটা ছেলেকে অন্তত মাদ্রাসায় দিলে ও কোরআনে হাফেজ বানালে নাকি ওই পরিবারের সবার বেহেশত নিশ্চিত। এই লোভ থেকে আমি দেখেছি অনেককে তার এক সন্তানকে অন্যদের থেকে আলাদা করে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিতে। মজার ব্যাপার হচ্ছে আমার ছোটবেলায় প্রায় একই রকম ঘটনা হতে পারতো। আমি এতো অল্প বয়সে হজ্জ করার পর আত্মীয়রা কেউ কেউ বলেছিলেন আমাকে মাদ্রাসায় দিয়ে কোরআনে হাফেজ বানাতে। বাবা-মা তাঁদের অতি আদরের ছোট সন্তানকে চোখের থেকে দূরে সরিয়ে সেই পথে দিতে রাজী হননি। ভাবি, মুরুব্বীদের একটা ছোট সিদ্ধান্ত আমার জীবনকে সম্পূর্ণ অন্যদিকে নিয়ে যেতে পারত। আজকে লিখে যাদের তালি পাচ্ছি, তাঁদের গালি খেতাম। আর যাদের গালি খাচ্ছি, তাঁদের তালি পেতাম।

৩। ইহকালই হোক আর পরকালই হোক, চলছে এক ধরণের রিওয়ার্ড আর বোনাস সিস্টেমের মুলা ঝুলিয়ে। অফিসে বস মূলা ঝুলায় মন দিয়ে কাজ করলে বছর শেষে প্রমোশন আর মোটা বোনাসের। আর ওইদিকে বিগবস মূলা ঝুলায় ৭০ টা হুর আর আনলিমিটেড বাফে ফুড ড্রিঙ্কস এর। মূলা সরায়ে নিলে কে কি করে সেটাই দেখার বিষয়।

আমি এখন পর্যন্ত বুঝিয়ে কারো মনোভাব পরিবর্তন করা গেছে এমনটা খুব বেশী দেখিনি। যতক্ষণ পর্যন্ত নিজের স্বার্থে এসে সরাসরি আঘাত না লাগে, ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ অনেক হাইপথেসিসই কপচিয়ে যাবে।

সাইদ এর ছবি

আমি এখন পর্যন্ত বুঝিয়ে কারো মনোভাব পরিবর্তন করা গেছে এমনটা খুব বেশী দেখিনি। যতক্ষণ পর্যন্ত নিজের স্বার্থে এসে সরাসরি আঘাত না লাগে, ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ অনেক হাইপথেসিসই কপচিয়ে যাবে।

চলুক

উচ্ছলা এর ছবি

আগেও বলেছি, এখনও বলছিঃ আপনি একটা প্রথম শ্রেণীর রকস্টার। নাইলে এই পোস্ট লেখা সম্ভব হত নাহ্। গুরু গুরু

প্রাসঙ্গিক হবে বোধয় আমার পর্যবেক্ষনটি এখানে শেয়ার করাঃ

ইহুদি-নাসারা মাত্রই খারাপ, ধর্মীয় মুল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ মাত্রই মহামূর্খ ইতর ইত্যাদি জাতীয় সাধারনীকরণ করাটা বদ্ধ মানসিকতার পরিচায়ক; অনেককেই দেখেছি এরকম মনোভাব পোষন করতে। ( আপনি এই দলে পড়েন না, জনাব) হাসি

একটা ইহুদি সেবা-সংস্থা চিনি; সেখানকার প্রতিটা কর্মী চুড়ান্ত রকমের নাইস। অচিন্তনীয় নাইস। আর, প্লেনো মস্কের ছাব্বিশ বছর বয়সী ইমামটির মত প্রগতিশীল, উদারমনা মানুষ আশে পাশে খুব একটা দেখা যায় না।

চরম উদাস এর ছবি

কমেন্ট এর উত্তর দিতে দিতে মাতা মুতা আউলায়ে গেছে। কি জানি লিখবো ভাবছিলাম আপনার উত্তরে, এখন মাথা চুল্কায়ে চুল্কায়ে টাক বানায়েও মনে করতে পারতেছিনা। এইরকম আরেকটা লেখা আর তার কমেন্ট চালাচালির পর একদিন দেখবেন আমি পাবনার পাগলা গারদে বইসা বুরকা
পরে , বাঁচাও বাঁচাও মেয়েরা পিষে ফেললো বলে কান্নাকাটি করতেছি ইয়ে, মানে...

মতামত এর ছবি

হারাম জিনিস গুলো দেখে আমার ব্যারাম হবার দশা। আমি জানিনা আপনি কোথায় শিখতে গিয়েছিলেন এগুলো। দাড়ি-টুপি পড়া থাকলেই যে সে ইসলামের সব জানে ধরে নেয়া টা ঠিক না। সঠিক ভাবে জানতে গেলে সঠিক জায়গায় যেতে হবে। আম গাছে উঠে কাঠাল তালাশ করলে তো হবেনা। সবুজবাংলা ব্লগ থেকে ইসলাম জানা টা ভুল হবে। গুলশান জামে মসজিদের ইমাম মৌলানা মাহমুদুল হাসান, আপনি তার কাছে যেতে পারেন। তিনি ৪০ বছর ধরে কোরআন নিয়ে গবেষণা করছেন। আপনি ইসলামের কোন তথ্য, কোন ব্যাখ্যা তার কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন। তিনি আপনাকে ভুল তথ্য দিবেন না। কোন কিছু নিয়ে কথা বলতে গেলে সেটা ভালোভাবে জেনে বলা উচিত আমার মনেহয়, নাহলে সবার মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াবে।

মতামত এর ছবি

আরেকটা কথা বলা প্রয়োজন মনেহল। আপনি বলছিনা আপনারা কেউ ইসলাম বিশ্বাস করেন বা মানেন। তবে ইসলাম নিয়ে কিছু বললে সেটা সঠিকভাবে জেনে বলুন।

চরম উদাস এর ছবি

তবে ইসলাম নিয়ে কিছু বললে সেটা সঠিকভাবে জেনে বলুন।

- একই কথা কি আপনি সোনা আর সবুজে গিয়ে বলে আসবেন?

হিমু এর ছবি

মৌলানা মাহমুদুল হাসানকে সবুজবাংলা ব্লগ পড়তে দিয়েন।

চরম উদাস এর ছবি

আমার সারকাস্টিক লেখাটা মানুষের অন্ধত্ব নিয়ে, ধর্ম নিয়ে না।

অনেক ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য। আমি বাইরে থাকি তাই আমার গুলশান মসজিদে যাওয়া সম্ভব হবেনা। তবে আমি যদি জানতে চাই অনলাইন-অফলাইনে ভালো সোর্স জানা আছে আমার। আমার প্রাক্তন তুর্কী রুমমেট সহ এখানে অনেক ধর্মপ্রাণ দেশী-বিদেশী অনেককে চিনি যাদের ধর্মের ব্যাপারে প্রবল আগ্রহ ও জ্ঞান আছে। কখনো যদি আগ্রহ বোধ করি তাহলে হয়তো তাঁদের সাথে কথা বলবো, নানা বিষয় নিয়ে তর্ক করবো।

আপনি যদি মনে করেন গুলশান জামে মসজিদের ইমাম সঠিক রাস্তা দেখাতে পারবে, তাহলে আপনার সেই খোঁজটা সবার আগে সবুজ বাংলা ব্লগে দিয়ে আসা উচিৎ। আমি অলস মানুষ, ধর্মের রাস্তায় গাড়ীই বের করিনা তেমন। কিন্তু যে গাড়ী বের করে তাকে বরং সঠিক ড্রাইভিং কোথা থেকে শিখা যাবে সেই রাস্তাটা দেখান। নাইলে আজকে এরে তো কালকে তারে চাপা দিতেই থাকবে।

শেষ কথা, আপনি কি আমার লেখার পুরোটা পড়েছেন? বাকি কোন অংশ, বিশেষ করে শেষ অংশের ব্যাপারে আপনার কি কিছু বলার আছে? নাকি শুধু হালাল-হারাম এর ব্যাপারেই বলার ছিল?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।