- কাল রাতে তোর বউকে স্বপ্নে দেখলাম
ভুরু কুঁচকে মতিন সোজা হয়ে বসে। রনি হারামজাদার ভাবগতিক বোঝা মুশকিল।
- আহা, ঐরকম চোখ পাকিয়ে তাকাচ্ছিস কেন? স্বপ্ন দেখাটা কি দোষের কিছু নাকি? নাকি স্বপ্ন দেখলেই দোষ হয়?
মতিনের টান পরা পেশীগুলো সামান্য সহজ হয়। তবে তারপরও সন্দেহের দৃষ্টিতে রনির দিকে তাকিয়ে থাকে। সন্দেহ হবারই কথা।
-দেখলাম আমি আর ভাবী ...
মতিনের পেশী আবারও টান টান, দৃষ্টি তীক্ষ্ণ।
-ওহ ভুলে গিয়েছিলাম, তোর যে ভাবী শব্দটার প্রতি অ্যালার্জি আছে। থাকতেই পারে। ভাবী মানেই যাকে লোকে সবসময় ভাবে। আর সবার ভাবনা তো আর একরকম হয়না। ঠিক আছে, দেখলাম রুমানা ...
রনি বিরতি দেয় একটু। চায়ের কাপে চুমুক দিতে গিয়ে থেমে যায়। কোন ব্রেন ডিফেক্ট লেখক জানি বলেছিল "কাপটা যেনো প্রেমিকার উষ্ণ অধর ...লাল চা যেনো প্রেমিকার অমৃত ঠোঁটের লালা"। এরপর থেকে না খেতে পারে চা, না খেতে পারে চুমু। চায়ের কাপ সামনে নিয়ে বসে থাকে, খাওয়ার আর সাহস হয়না।
- দেখলাম রুমানা আমার বুকে কিল মেরে বলছে, কেন আমার সাথে এমন করলে? কেন কেন কেন?
মতিন আবার নড়েচড়ে বসে। জলদগম্ভীর কণ্ঠে বলে,
- রুমানা শুধু শুধু তোর বুকে কিল মারবে কেন?
- শুধু আমার বুকে কেন, কারো বুকেই তো কিল মারার কথা না। বুকে কিল তো সিনেমাতে মারে, সত্যি সত্যি মারে নাকি? ঘটনা হচ্ছে আমরা যখন টাইটানিক থ্রিডি দেখছিলাম ...
- রুমানা তোর সাথে টাইটানিক দেখবে ক্যান?
- সেইটা তো আমারও প্রশ্ন। কিন্তু স্বপ্নের উপর কি আর মানুষের হাত আছে। কিন্তু দিব্যি দেখলাম। এমনকি আগে কেট উইন্সলেটের যা যা দেখি নাই, থ্রিডি তে তার সবই দেখে ফেললাম। একেবারে মনে কর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা সবকিছু।
- লাইনে আয়
- তো রুমানা আমার গায়ে খালি পপকর্ন ছুড়ে মারছিল একটু পর পর।
- ক্যান? তোর গায়ে পপকর্ন মারতেছিল কেন? আর রুমানা তো পপকর্ণই খায় না কখনো। ও খুবই ফিগার সচেতন।
- আরে আমি ক্যামনে বলবো কেন? আর খায়না বলেই হয়তো ছুড়ে ছুড়ে মারতেছিল।
মতিন ঠাণ্ডা হয় একটু। রনি বলে যায়।
- আসলে সিনেমা হলের আইলে ঘুরে ঘুরে এক পিচ্চি গলা ফাটিয়ে পপ্পন পপ্পন বলে চিল্লায়ে বেচতেছিল। রুমানার দেখে মায়া হল, তাই কিনেছিল।
- হুম
- আরেকজন বয়স্ক লোক "মা" বেচতেছিল অন্য আইলে। চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলে- ভালো পুলিশ হতে চাইলে মা পড়ুন, হুমায়ূন ফরিদিকে মনে পড়লে মা পড়ুন, মুক্তিযোদ্ধা কাজী কামালকে জানতে হলে মা পড়ুন। ওইটাও এক কপি কিনল।
- তারপর?
- একটু পরে ওই লোকের মা সিট থেকে উঠে কান ধরে তাকে হিড়হিড় করে নিয়ে যেতে যেতে বললেন, আরেকবার ম্যা ম্যা করলে মুখ ভেঙ্গে দিবো বদমাশ। চুপচাপ বসে টাইটানিক দেখ।
- হুম
- ততক্ষণে জাহাজ ডুবা শুরু হয়ে গেছে। ছবির মজাও শেষ। হলের অর্ধেক লোক ঘুমায়া পড়ল। আমিও ঘুমায়া পড়লাম।
- ঘুমের মধ্যে ঘুমায়া পড়লি আবার?
- পড়লাম তো। ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখি ...
- ধুর হারামজাদা। এইটা কি ক্যাপ্রিওর ইন্সেপশন পাইছস নাকি দলছুটের ডরাইলেই ডর যে কাহিনীর মধ্যে কাহিনী হান্দায়ে দেস।
রনি মতিনের ক্রোধকে পাত্তা না দিয়ে বলে যায়,
- তো দেখি আমি আর রুমানা এক কবিসভায় এসেছি।
- এইখানেও রুমানা? তারপর কি বল জলদি।
- তো কিল খেয়ে তখন আমার বুকে বেশ ব্যথা।
- কিল তো খেলি মূল স্বপ্নে। এইটা তো স্বপ্নের স্বপ্ন। স্বপ্নে কিল খেয়ে স্বপ্নের স্বপ্নে ব্যথা হয় ক্যামনে?
- আমি কি ফ্রয়েড না খাবানামা ? আমি কিভাবে বলবো ?
- বলে যা
- তো রুমানা ব্যথা দেখে বলল, আসো টিপ দেই একটা।
মতিন এবার জোরে গলা খাঁকারি দিয়ে রনিকে সতর্ক করার চেষ্টা করে। রনি বলে যায়,
- আরে ধুর, টিপ মানে টিপস, পরামর্শ। কিভাবে বুকের ব্যথা কমাবেন/ How to remove chest pain গ্রন্থে নাকি লেখক বলেছেন বুকের নিচে বালিশ দিয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে আধুনিক কবিতা পড়লে ব্যথা কমে।
- হুম
- তখন রুমানা আমাকে একটা কোল বালিশ দিলো। আমি ওইটা বুকের নিচে দিতেই দেখি হাফ প্যান্ট পরা ঝাঁকড়া চুলের এক কবি এসে আবৃত্তি শুরু করলো-
দুলু রে দুলু
চা খেতে গেলু
প্রেমিকার লালা খেয়ে
ফিরে ফিরে এলু
- ইয়াক! এইগুলা কিরকমের আখাচ্রা কবিতা?
- মানে বুঝিস না বলেই আখাচ্রা মনে হয়। কবি তখন আমাকে মানে বুঝিয়ে দিলো। দিয়ে আরেকটা লম্বা কবিতা আবৃত্তি শুরু করলো। কয়েক লাইন শুনেই আরামে আমার চোখ বন্ধ হয়ে আসলো।
- আবার ঘুমায়ে পড়লি?
- পড়লাম তো। ঘুমায়ে স্বপ্নে দেখি আমি আর রুমানা ...
- হারামজাদা এখন থার্ড লেয়ারে ঢুকে পড়ছে। ফার্স্ট স্বপ্নে ফেরত আসবি কখন?
রনি আবারও পাত্তা না দিয়ে বলে যায়
- দেখি আমি আর রুমানা বাসে করে যাচ্ছি। বাস পদ্মা সেতু পার হচ্ছে। নদীর বাতাসে রুমানার চুল উড়ছে।
- পদ্মা সেতু পাইলি কই? ও আচ্ছা, স্বপ্ন তো। তাইলে ঠিক আছে।
- রুমানা গুন গুন করে গান গাইছিল,
ও পরাণের বন্ধুরে
আমার এত্ত বড় কলা খাইল
ধাড়ি ইন্দুরে
মতিন এবার খুশী হয়ে বলে,
-রুমানার গানের গলাটা বেশ ভালো
- এমন সময় বাসে আমার অন্যদিকে বসা এক লোক গলা বাড়িয়ে আমাকে বলে, ভাই আমি নাস্তিক। আমি বললাম, তো? আবার বলে, আমি কিন্তু নাস্তিক। আমি ক্ষেপে গিয়ে বললাম, তো আমি কি করুম, তোরে কোলে নিয়া নাচুম? বলে, কিছুতো বলেন। কিছু বলি না দেখে বেচারা মন খারাপ করে চুপ হয়ে গেল।
- আরে কোন কাহিনী থেকে কই চলে গেলি। আসল অংশে আয়।
রনি আবার মুখ খোলার আগেই দেখা গেল পাশের টেবিলে বসে এক বিদেশী ভদ্রলোক ওদের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। টাক মাথা, যত্ন করে ছাটা সাদা দাড়ি গোঁফ, চোখে গোল গোল চশমা, হাতে চুরুট। রীতিমতো স্যুট টাই পরা এ লোক দুলু টি স্টলে কি করছে সেটা বুঝে ওঠার আগেই তিনি রনির দিকে তাকিয়ে পরিষ্কার বাংলায় বললেন,
- আপনার অবদমিত কামের কারণে আপনি অন্য লোকের বউকে স্বপ্নে দেখেছেন। কিন্তু আপনার কপাল এতোই ফাটা যে স্বপ্নেও তাকে পাচ্ছেন না। আপনার কপালে মুড়ি খাওয়া ছাড়া আর কিছুই নেই। সেই না পাওয়ার বেদনার প্রতীক হিসেবে ডুবন্ত টাইটানিক ও ফুটন্ত মুড়ি তথা পপকর্ন দেখেছেন । হাফ প্যান্ট পরা কবি ও কবিতা গত রাতে খিচুড়ি খেয়ে গ্যাস হবার ফসল। সেই একই গ্যাস থেকেই বুকে ব্যথা। সদা দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টারত লেখক আর নাস্তিক ভদ্রলোক রুমানার কাছে আপনার ব্যর্থ দৃষ্টি আকর্ষণ প্রচেষ্টার প্রতীক।
একদমে কথা শেষ করে ভদ্রলোক উঠে দাঁড়ালেন। রনি অবাক হয়ে বলে,
- আর পদ্মা সেতু?
- ওইটা পিউর স্বপ্ন। বাস্তবের কোন কিছুর সাথে এর কোন মিল নেই।
মতিন বিরক্ত হয়ে বলে,
- এই কুতুব কেডা রে? সবকিছুতেই খালি অবদমিত কাম আর ব্যর্থতা বলে প্যানপ্যান লাগাইছে।
ভদ্রলোক এবার মতিনের দিকে হাত বাড়িয়ে চোস্ত ইংরেজিতে বললেন,
মাই নেম ইজ ফ্রয়েড। সিগমুণ্ড ফ্রয়েড। নাইস টু মিট ইউ।
হতভম্ব মতিন আর রনির সাথে হাত মিলিয়ে দুলু টি স্টল থেকে বের হয়ে গেলেন ভদ্রলোক। পাঁচ মিনিট পর সম্বিৎ ফিরে পেয়ে রনি চেঁচিয়ে বলে,
- আমার গালে কষে একটা থাপ্পড় লাগা। এক্ষুনি। আমার ঘুম ভাঙ্গে নাই।
মন্তব্য
হা হা... ইনসেপশনের মতোই প্যাঁচায়া গেছিলো। অনেকটা সময় লাগলো বুঝতে, কিন্তু বুঝতে পারলাম আর কী শেষ মেষ !
অলমিতি বিস্তারেণ
থার্ড লেয়ারে পেচায়ে গেলে চলবে?? আমি তো ভাবছিলাম পাঁচ লেয়ার পর্যন্ত যামু
যাইতেন, প্যাঁচ ছুটলে লেয়ার তিন আর পাঁচ কোন ব্যাপার না
অট: আপনি কি এখনো উটিডালাসের ছাত্র ?
অলমিতি বিস্তারেণ
নাহ, পাশ করে ফেলছি। বিবেচনায় উত্তীর্ণ
করসেন কি !! পুরাই ইনসেপশন
প্যাঁচাইয়া গেলো যে ওস্তাদ!!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কি কন, এতো সরল করলে লেখলেও প্যাঁচায় ক্যামনে?
দারুণ। শীগগির দেখা হচ্ছে। মজার মজার গল্পের আশায় আছি।
আর আমি আছি মজার মজার খাওয়ার আশায়
চরম উদাসের রস পাত্রে এটাই প্রথম মন্তব্য । গল্পের টারনিং টা ঠিক ধ্রতে পারি নাই।বর্ণনা যথারীতি খাসা হইছে। স্বপ্নের লেয়ার অংশটা অমানুষিক হইছে।
আপনের নামডা জটিল হইছে , বুড়া মকবুল । সচলে স্বাগতম, লেখতে থাকেন পড়তে থাকেন।
(কানে কানে বলি, গল্পের টার্নিং আমিও ধরতে পারি নাই, কেউ না কেউ ধরে ফেলবে এই আশাতে আছি। তখন বলবো আসলে এইটাই বুঝাইতে চাইছিলাম )
দোষী ইনসেপসন।
সি সি! এহন কি মাইনষের বউগো স্বপ্নে দেহা শুর করছেন?
গল্প জোশিলা!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আপনে আগে আমাকে এমন একজন পুরুষ মানুষ দেখান যে নিজের বউরে স্বপ্ন দেখে (দুঃস্বপ্ন বলি নাই কইলাম)
আছে তো। যারা যারা এখনও বিয়ে করে নাই, তারা দেখে।
বিয়ে না করলে বউ হইলো ক্যামনে?? জবাব দেন!!!! নাইলে জাফর ইকবাল স্যারের কাছে জবাব চামু।
সপ্নে। জবাব তো আপনিই দিলেন- দোষী ইনসেপসন লেইখা, আবার আমারে জিগান
আহারে পদ্মা ব্রিজ!
(ভাই, এত গুলি নমঃ করলাম সেটা মনে রাইখেন। আমার বউয়ের দিকে আবার নজর (স্বপ্ন) দিয়েন না যেন।)
লেখকের সাথে লেখা গুলায়ে ফেললে চলবে? ক্রিমিনাল রনি।
আমি পবিত্র লেখক - The Pure Innocent Writer
ওরে
মতিনরে- রনিরে- দুলুরে - আনিস ভাইয়া রে- দলছুটরে- ফ্রয়েডরে- বন্ধুর বউ রে -রাইতের ঘুম ছুইটা গেলো রে--
পথিক পরাণ
ভাই উদাস,
গল্প পড়িয়া হাসিতে হাসিতে করছি হাসফাঁস---
একেবারে শিব্রামীয় স্টাইলে ('ভাবী','টিপস' এবং আরো বেশ কিছু) এমন সরস রচনা বহুদিন পরে পড়লাম।
আপনার খুরে নমস্কার বস!
টিপ নিয়ে হিমুর একটা জটিল ক্লাসিক গল্প আছে - পানশালা ০৬
হাহাহহাহহাহাহহা - মজা পাইছি! চঊ লিখতে থাকুক - তা অণু র সাথে পাল্লা দিয়ে (পারবেনা মনে হয় তবুও - আখেরে আমার ই লাভ)
তারেক অণু ?? সেটা আবার কে??
পুরাডাই হফ্ন- বাস্তবের লগে কুনো মিল নাই-
অমানুষিক!! এভাবে দিলেন মিয়া......
ডাকঘর | ছবিঘর
কই দিলাম? কি দিলাম?? কারে দিলাম???
নাউজিবিল্লাহ!!!
ছেঃ ছেঃ ...... কি সব বেশরিয়তী গপ্প গপ্পাইছেন এর পরে বলেন কি না কি দিলাম। লানত! লানত!
দ্বীনের পথে আসেন মিয়া।
ডাকঘর | ছবিঘর
একটি আনরিলেটেড স্টোরি: ফ্যামিলি গাই তে এক জায়গায় লইস পিটার কে বলছে যে ছেলে ক্রিস এর প্যান্ট পাজামা নিয়মিত ধৌতকরণের ফলে তাদের ওয়াসিং মেসিন গর্ভবতী হয়ে পড়েছে
..................................................................
#Banshibir.
আনরিলেটেড কই আর, টোটালি রিলেটেড
পদ্মার ইলিশ এবং পদ্মা ব্রিজ, দুটাই স্বপ্ন! আমার চেনা একজন পদ্মা সেতুর থিম সং লিখসিল, ভাবতেসি তারে দিয়া দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের থিম সং লিখামু।
লিখে ফেলেন। কি আছে জীবনে।
চরম হইছে!
_________________
[খোমাখাতা]
দোষ আর স্বপ্নকে একসাথে দেখে টান্টান হয়ে বসে পড়া শুরু করলাম! কিন্তু কইত্তে কি!!!
হারামজাদা আবুল স্বপ্নেও বাগড়া দিচ্ছে
স্বপ্ন কি আর কারো হাতে থাকে। কই থেকে যে কই চলে যায় ...
ভাই, সেইরাম হইছে। হাসতে হাসতে গড়াগড়ি। বহুত পর খুব মজার একটা লেখা পড়লাম।
থিঙ্কু
। ঝাঁঝটা ঠোটে লাগলো উত্তম ভাবে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ফেরা এর কথা কিন্তু ভুলি নাই। এখনো মাঝে মধ্যে ইভানা আর সামান্থা রে স্বপ্নে দেখি কইলাম।
সাহিত্যিকের কথাও ভুলি নাই। তবে ওখানকার কাউরে এখনও স্বপ্নে দেখার মত টাইম পাই নাই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আহা! পাঁচ লেয়ার পর্যন্ত যেতেন, বেশ জমে উঠেছিলো, থামলেন কেন? বস চলে আসায় ঘুমটা ভেঙে গেছিলো বুঝি?
অনেকদিন পরে একটু (গুড়) দেই কোন লেখায়।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আর বইলেন না। অফিসে লোকজনের জ্বালায় একটু শান্তি মতো ঘুমাতেও পারি না।
পদ্মা সেতুর উল্লেখে একটি স্বপ্ন ধরা দিল। বাস্তবে দেখতে চাই পদ্মা সেতু আর তার উপর উলঙ্গ দাঁড়িয়ে আছে
আবুল, মাল।
লেখা উমদা হয়েছে।
আপনার লেখা বা কমেন্ট দেখি না। ব্যস্ত নাকি আজকাল? ভালো থাকবেন।
****************************************
দেখা যাচ্ছে পদ্মা সেতু পেতে হলে তিন লেয়ারের স্বপ্ন লাগবে।
গল্প মারাত্মক
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তিন লেয়ারেও কাজ হবে না তাসনীম ভাই। পাঁচ লেয়ার লাগবে মিনিমাম। লোকজনের মাতামুতা আউলায়ে গেছে তিন লেয়ারেই এইজন্নেই আর পাঁচে গেলাম না। গল্পের মূল কথা আপনে এক লাইনে বলে দিছেন, এইজন্য গল্প না আপনি মারাত্মক । দেখা হচ্ছে আশা করি শীঘ্রই। আসা সব ঠিক আছে তো?
আমি জানি কেন স্বপ্ন তৃতীয় লেয়ার ছেড়ে বের হতে পারে নাই। কারণ, তৃতীয় লেয়ারে আছে আবুলগাম!
আইডিয়াটা আগে পাইলে তৃতীয় লেয়ারে হিরু হিরুইনকে বাসে বসে বাবুল্গাম/ আবুল্গাম খাওয়ায়ে দিতাম।
যথারীতি চরম ভালু হইসে।
এতোগুলো স্বপ্নের ভেতরে স্বপ্ন আমাদের পদ্মা সেতু!!! ভাইরে, স্বপ্নের পদ্মা সেতু কি স্বপ্নই থাইকা যাইব। আমি কি আমার ইয়েরে লইয়া স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়া একটু ঘুরবার পারুমনা! না আপনার মত স্বপ্নের মধ্যেই কাজটা সাইরা ফালাইমু!!!
বাস্তবে পাবেন না, স্বপ্নেই কাজ সেরে ফেলেন
ব্রেন ডিফেক্ট লেখক
facebook
আপনেরে বলি নাই কিন্তু
বুঝছি, কোন বন্ধুর বউরে স্বপ্নে দেখে এখন গল্প লিখে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছেন
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আপনেই আমার প্রকৃত বন্ধু
বাইচ্চা গেছি, এখনো বিয়া করি নাই।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হ, খবরদার বিয়ে কইরেন না কইলাম। নাইলে রাইত বিরাতে দুঃস্বপ্ন দেখবেন,
উ তে উদাস ওই আসছে তেড়ে
সজল ছানা ভয়ে মরে
কারাতে কি তায়কোয়ান্দো জানা কোন চাইনীজ/কোরিয়ান মেয়ে বিয়ে করতে হবে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আইচ্ছা সবাই ৩য় লেয়ারের কথা কয়, মাগার আমি কিন্তু ৪র্থ লেয়ারে পদ্মা সেতু সাঁতরে ৫ম লেয়ারে পাড়ি দিচ্ছি - দোয়া কইরেন যেন ফিরত আসতে পাড়ি
উদাস'দা - আসলেই কি গল্পটা ৩ লেয়ার না ৪ লেয়ারের? ঠিক মত বুঝতে হলে আরো ৩ বার পড়তে হবে মনে হয় - শেষ প্যরাটায় এসে মনে হচ্ছে ৪ লেয়ারই ছিল
সাড়ে তিন বা পৌনে চার লেয়ার
অন্যের বউ, আর নিজের বাচ্চার দুষ্টুমি = স্বর্গীয়
নিজের বউ, আর অন্যের বাচ্চার দুষ্টুমি = নারকীয়
(সংগ্রহীত)
চউদা পাথরীয়।
দুরন্ত খাবনামা
আপ্নের মন বড়ই পাপী
---------------------
আমার ফ্লিকার
আপনার লেখা পড়তে দারুন লাগে ।
নাওয়ারিদ
রক্তাক্ত ইন্সেপ্সহন। লেখার প্রংশা করলাম। কবিতাগুলা পুরা মাইন্ড ব্লইং হয়েচে। রুমানার ব্যাপারটা ক্লিয়ার করবেন, আপনার লাইফ সাক্স গল্পেও উনি ছিলেন।
লাইফ সাক্স গল্পে যে মতিন আর রনিও ছিলো ওইডা মনে রাখলেন না??? খালি রুমানাই চোখে পড়লো? আপনার মতো পাপিষ্ঠ পাঠকদের জন্যই আমার মত কচি সরল মনের লেখকরা বখে যাচ্ছে
হে হে হে, না, মানে, আমি এক রুমানাকে চিনতাম কিনা, পুরাই পেইন ইন দ্যা পশ্চাত দেশ ছিল কিনা
হাসিতে হাসিতে বাকরুদ্ধ হয়ে আছি।
আর যদি কোন দিন আপনার লেখা অফিসে বসে পড়ছি!!!
অট : দলছুট ভাইরে খুঁজে এনে একটা লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার দেয়া হৌক।
- সচলের জন্মদিনে এইটা আমারও এক দফা এক দাবী
আমি আমি আমি আমি আমি উনি উনি উনি উনি উনি
এই স্বপ্নের প্রতিটি চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তব বা সত্য ঘটনার সহিত কোন কাউয়াতলিয় মিল খুঁজে পেলে লেখক দায়ী নহে
ওরে চ্রম, মহা চ্রম !!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
বড়ো হলে আমিও ফ্রয়েডের ডিঙি নৌকায় চইড়া কোনো এক পদ্মাপাড়ি দিমু
আমারেও সাথে নিয়েন
বুঝছি।
এইডা হইল ফোর্থ লেয়ারের গল্প।
আর পুরা স্বপ্নটা দেখছেন আপনি।
আর আপনি হইলেন দুলু টি স্টলের দুলু।
বুকে হাত দিয়া কন, ঠিক কইছি না?
Exactly!!!
ইনসেপশনের মতই প্যাঁচ লেগে গেছল , অন্য সময়ের মতই আপনার সাবলীল হিউমার উপভোগ করলাম।
কামডা এক্কেরে ঠিককরেন্নাই!! এমনে আবুইল্যারে অফোমান করার অদিকার আফনেরে কে দিলো?
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আবুল পাইলেন কো?
দলছুট থেকে আবুল!!! একেবারে এক্সপ্রেস স্বপ্ন!!!
এই স্বপ্ন দোষী হয় কি করে??
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
লোকজন গল্পে আবুল পায় ক্যামনে?
এজন্নেই কবি বলেছেন, না চাহিলে যারে পাওয়া যায়, তেয়াগিলে আসে হাতে (সেইতো আবুল)
থিঙ্কু
আপনি শিরোনামগুলো বাংলা সিনেমা স্টাইলে দিতে পারেন- বাংলার সাথে ইংরেজির কোন মিল থাকবে না। যেমন- "দোষী স্বপ্ন"-এর ইংরেজি হতে পারে "The Dream with a Vengeance" অথবা "স্বপ্ন কেন দোষী?"- "A Midsummer Night's Dream" ইত্যাদি।
The Dream with a Vengeance পছন্দ হইছে
কবি+অনুভূতি=কব্যনুভূতিতে তীব্রভাবে আঘাত কর্লো!!! এইডা ঠিকয় নাইক্কা!!!
(ভাগ্যিস আমার কবিতা আজকাল পোস্ট হয় না!!! )
_____________________
Give Her Freedom!
লেখা না দিয়ে ফাঁকি মেরে আবার বলেন পোস্ট হয়না। আর কতদিন এইভাবে চল্পে?
এই ধাড়ি কলা(!) গীত কি আম্নের লেখা??ঈমানে কইয়েন ভাইডি!
সুবর্ণনন্দিনী
আরে নাহ, আমার লেখা না। কই যেন শুনছি (স্বপ্নেও হতে পারে)। পরান, বন্ধু এইসব কী ওয়ার্ড দেখে মনে হয় রবীন্দ্রসঙ্গীত হইতে পারে।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
।
লেখা যথারীতি চরম হইছে!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ধন্যবাদ ডাক্তার সাব
আপনার কারণে কি যে বদভ্যাস হইছে। সেইদিন বউ পর্যন্ত এসে ঝাড়ি দিয়ে গেল। বলে, লজ্জা করেনা, লোকে সারাদিন বসে ফেসবুকে মেয়েমানুষের ছবি দেখে আর তুমি কিনা সারাদিন বসে ফেসবুকে খাবারের ছবি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলো।
দিনরাত খালি রেসিপির ছবি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলি
কমন পড়ে গেল যে । মেয়েরা ব্র্যাড পিটকেও ওভাবে দেখেনা আমি যেভাবে খুটিয়ে খুটিয়ে এর-ওর-তার খাদ্য-পানীয়ের ছবি দেখি ঘুমাতে যাবার আগ পর্যন্ত !
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
হাসতে হাস্তে জান শেষ মিয়া আপনে পারেন ও
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আপনার লেখাটেখা দেখি না যে, ফাঁকিবাজ তালিকায় নাম উঠলো বলে ।
আপ্নে পারেনও।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ওইসব মিষ্টি কথা বলে লাভ নেই, চিড়ে ভিজবে না। আমি ঠিকই হিসাব রাখছি কিন্তু আবার আপনি কয়দিন ফাঁকি মারেন পরের লেখা দেয়া পর্যন্ত। কাউন্টিং ...
ফুঃ
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ফুঁ দিয়ে লাভ নাই। I am watching everyone। আমি একটা এক্সেল শিট বানায়ে সবার হিসাব রাখতেছি কইলাম আজকাল।
পুরা আউলাইয়া গেছি। :/
আসেন, একখান ভিড্যু দেখি...
--সাদাচোখ
মজা পাইলাম
হাসতে হাসতে শেষ ---
তিন লেয়ারেই এই? পাঁচ লেয়ার পর্যন্ত গেলে তো খুনই হয়ে যেতাম মনে হয়
এজন্নেই তো পাঁচে যাইনাই। পরে আবার খুনের মামলায় পড়তাম
দারুন লিখেছেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বাহ! দারুণ মজা লাগল। আপনার লেখার ভক্ত হয়ে গেলাম।
এতোদিনে ভক্ত হইলেন??
অন্যদিকে বাকিরা আমার কত আগেই ভক্ত হয়ে এখন আবার অভক্ত হয়ে গেছে
আমি যা বুঝছি, আপনে তা বুঝাইতে চাইছিলেন নাকি কেডায় জানে! টেমশমে পরে গেলুম
কি বুঝলেন?
ঝাল করে কষানো গরু মাংসের সাথে সেঁকা পরোটার যেমন স্বাদ, লেখাটা ঠিক সেইরকম।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এহহে, খিদা লাগায়ে দিলেন। এখন পরোটা গরুর মাংস কই পাই
স্বপ্ন, মতিন, রনি(এইডা আপ্নে না তো?), ভাবী, ব্রেন ডিফেক্ট লেখক, থ্রী ডি টাইটানিক, ইনসেপশন, পপ্পন, আখাচ্রা কবিতা, পদ্মা সেতু, ফ্রয়েড--- আপ্নে আসলেই একটা খ্রাপ মানুষ
কি বলেন? আমি বড় ভালা মানুষ
বেচারা ইন্সেপশান
ভালো ফুটো বানাইছেন। তবে আপনে যে ডায়পার পরেন এখনো জানতাম না
এইটা তো আপনার সমস্ত ভক্ত পাঠকের প্রতিনিধি। আমি না।
বেশ
রুমানার গানের লিরিক্স আর হাপপ্যান্ট পরা কবির কবিতা কী আপনার ম্যাটল্যাব প্রোগ্রামের ফসল?
মাতা খাটায়ে লিখছি
বাহ! জলদি, গরম থাকতে থাকতে অভিনন্দন নেন।
পূণর্ সচলত্বের অভিনন্দন।
নাম কই আপনার??
অভিনন্দন। অভিনন্দন। অভিনন্দন।
সচলত্বের অভিনন্দন হে গরম উদাস!
সচলত্বের অভিনন্দন বস । চিন্তাইতেছিলাম আপ্নেরে দিতে দেরি করে ফেলতেছে মনে হয়; পরে মনে হৈলো যে একবার সচল হৈলে আপ্নি হয়তো লেখালেখি ছেড়েই দিবেন এই ভয়ে দিতেছে না। তারপরও অনেক দ্রুত (২৬ খানা পোস্ট/১ বছর)!
সাহিত্যিক শেষ করেন নাই, জগা খিচুড়ি কালেভদ্রেও আজকাল লেখেন না-- অভিযোগ/অনুযোগ কিন্তু আমারও আছে !!
লেখা লেখি ছেড়ে দিছি
হালাল পুস্ট কৈ?
..................................................................
#Banshibir.
হুমম কৈ কৈ??
সচলত্বের অভিনন্দন জানিও হে
গরম"চরম উদাস"। এই খুশিতে এক রাউন্ড জগাখিচুড়ির ব্যবস্থা হোক। অভুক্ত মানুষের পেট ভরুক !!----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
তথাস্তু , লিখমুনে একটা জগা
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মিষ্টি না খাওয়াইলে কিন্তু চইলবে না!!!!
সুবর্ণনন্দিনী
গুল্লি হইসে-গুল্লি!
"চাদের উজ্জ্বল পিঠ থেকে ছিটকে পরা এক পবিত্র আত্তা,
কিছুদিন পৃথিবীর বুকে হেটে-শমুদ্র তলোদেশে গেলো ভ্রমনে-কৌতুহলে।
সেখানে অকটোপাসের সণমোহনি নয়োনে তাকিয়ে তার সপনের ঘুম ভাঙলো।
ঘুম ভাঙার ভয় থাকলে সপনকে কাখনো ঝাকিও না।"
-ক্রান্তিবৃত্ত
অসাধারন
থিঙ্কু
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আপনে কই উধাও হইলেন কন তো??
মজা পাইলাম, পদ্মা সেতু পিউর স্বপ্ন !!!
- মুকুল
ব্রেন ডিফেক্ট লেখক
নতুন মন্তব্য করুন