কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?
মানুষেরি মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর!
কবি শেখ ফজলল করিম বেঁচে থাকলে এখন তার বয়স ১২৯ হতো। ভদ্রলোকের কপাল ভালো। বিংশ শতকে না জন্মে আঠারো শতকে জন্মে, এইসব হাবিজাবি পদ্য লিখে উনিশ শতকে পটল তুলে স্বর্গ নরক কোন এক জায়গায় হয়তো আছেন। এই শতকে এই কবিতা লিখলে স্বর্গ অবমাননার দায়ে পাবলিকের পিটুনি খেয়ে সময়ের অনেক আগেই স্বর্গপ্রাপ্তি হয়ে যেত। যাই হোক, স্বর্গ অবমাননার জন্য এই লেখা না বরং স্বর্গ প্রাপ্তির সহজ উপায় নিয়ে গুরুতর আলোচনার জন্যই এই লেখা। শিরোনামে বেহেশত লিখি নাই, স্বর্গ লিখেছি। সুতরাং তলোয়ার বের করার আগে একটু খেয়াল কইরা। বেহেশতে শুধু একটা নির্দিষ্ট ধর্মের লোকেরাই যেতে পারবে। স্বর্গ বলে দ্বারটা সবার জন্য খুলে দেবার চেষ্টা করছি। স্বর্গ বেশ জেনেরিক টার্ম, সেইসাথে নামটার মাঝে একটু হিন্দু হিন্দু গন্ধ আছে! তাই আশা করি কোন কিছু অবমাননার দায়ে পড়বো না। পড়লেও সমস্যা নাই। এই দেশে হিন্দু হ্যান্ডেল করা কোন সমস্যা না। মেরে খেদিয়ে আমরা এদের মোটামুটি সাইজে নিয়ে এসেছি। এদেশে আর যাই হোক, কখনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হবে না। এক তরফা পিডানি হবে। এক্কেবারে মাইরা হোতায়া লায়া যাবে।
আবার জিগায়। স্বর্গে কেন যেতে চান এই প্রশ্ন কাউকে করলে উত্তর কি আসতে পারে? টেকনিক্যাল উত্তর হচ্ছে সুখে থাকার জন্য। ভাঙ্গলে যেটার অর্থ দাঁড়ায় আনলিমিটেড বাফে ফুড এন্ড ড্রিংক আর সেইসাথে আনলিমিটেড মেয়েমানুষের লোভে। মেয়েদের অবশ্য একটু ভেজাল আছে এখানে। মেয়েরা আনলিমিটেড পুরুষ পাবে মাস্তি করার জন্য এই বেনিফিট প্যাকেজ কি কেউ অফার করে? অন্য ধর্মের কথা জানিনা, আমার ধর্মে করেনা বোধহয়। স্কুলে থাকতে এই প্রশ্ন করে আমার এক বন্ধু কচুয়া ধোলাই খেয়েছিল হুজুরের কাছে। মেয়েরা কয়টা হুর পাবে এইটা জিজ্ঞেস করায় হুজুর কটমট করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর বেচারাকে ব্যাপক উত্তম মধ্যম দিলেন। মনে হয় উনার স্ত্রী পরকালে বসে ৭০ টা ছেলে নিয়ে মাস্তি করছে, এই চিত্র মনের মধ্যে আসা মাত্র মাথা আউলায়ে গিয়েছিলো। যাইহোক, ছেলেরা বাই ডিফল্ট একটু পেটুক আর বহুগামি চরিত্রের হয়। সেজন্যই হয়তো তাদের জন্য এই দুটো বেনিফিট প্যাকেজকেই সবচেয়ে হাইলাইট করা হয়েছে। কিন্তু এ ছাড়াও আরও অনেক সুযোগ সুবিধা আছে। বলতে গেলে মোটামুটি যা চান তাই পাবেন। রোগবিহীন জীবন, যেখানে খুশী সেখানে ভ্রমণ, সারাদিন শুয়ে বসে কাটানোর সুবিধা ইত্যাদি ইত্যাদি। সবচেয়ে বড় কথা অসীম দৈর্ঘ্যের জীবন, কোন জড়া নেই, মৃত্যু নেই। ছোট বেলা একবার এই অসীম এর কথা চিন্তা করতে আমার মাথায় গিট্টু পাকিয়ে গিয়েছিলো। চিন্তা করে কুল পাচ্ছিলাম না। আচ্ছা না হয় সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলাম, কিন্তু তারপর কি হবে? ? তারও পর? তারও পরের পর? সে যাই হোক, বেনিফিট প্যাকেজে ফিরে আসি।
মাঝে মাঝে মনে হয়, ঈশ্বর যদি স্রেফ মজা দেখার জন্য স্বর্গের বেনিফিট প্যাকেজ থেকে শুধু মাত্র নারী নামক জিনিসটি উঠিয়ে নেয় তাহলে কি কাণ্ড হবে? আনলিমিটেড বাফে ফুড এন্ড ড্রিংক থাকবে, কিন্তু কোন নারীসঙ্গ, কাম ইত্যাদি থাকবে না। মানুষের মধ্য থেকে কাম জিনিসটাই উঠিয়ে নেয়া হবে। নারী পুরুষ সবাই ভাই বোন বন্ধুর মতো মিলে মিশে থাকবে। আমার ধারণা, এক দিনের মধ্যে ঈশ্বরের শেয়ার বাজারে বিশাল ধ্বস নামবে। অন্তত দুনিয়ার অর্ধেক পুরুষ পরকাল ছেড়ে সাথে সাথে ইহকালে মনোযোগ দিবে। জানি জানি, আপনি হয়তো অন্তর থেকে ঈশ্বর ভক্ত এবং বলবেন "আমি শুধু মাত্র তাকে খুশি করার জন্যই সব করি, কিছু পাবার লোভে না"। এখন আসেন ভাই, একটু চিপায় আসেন। এইবার কানে কানে বলেন দেখি, আসলেই?? লজ্জার কিছু নাই, আমরা আমরাই তো!! ছোটবেলায় এরকম ঈদের সালামি নিতে গিয়ে মেজাজ খারাপ হতো। কিছু বেয়াক্কেল মুরুব্বী ছিল। সালাম করার পর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলতো, বেঁচে থাকো বাবা, দীর্ঘজীবী হও। আমরা মুখ ভার করে ভাবতাম, টেকাটুকা কো? এইরকম ধরেন অনেক সেবা করার পর পরকালে ঈশ্বর আপনার মাথায় হাত বুলিয়ে "বেঁচে থাকো বাবা" বলে আপনাকে বিদায় করে দিলো। তখন? হাত পা ছড়িয়ে কাঁদবেন, "আমার জিনিস কই" বলে? যাহোক, ভয়ের কিছু নেই। বেনিফিট প্যাকেজ থেকে নারী বা অন্য কিছু এখনো উঠায়ে নেয়া হয় নাই। লেচ্চিন্তে থাকেন।
মিট রমনি কান ঝালাপালা করে দিচ্ছে, ফাইভ পয়েন্ট প্ল্যান, ফাইভ পয়েন্ট প্ল্যান বলে বলে। ভাবখানা যে এই ফাইভ পয়েন্ট অনুসরণ করলেই তার নেতৃত্বে পুরো আমেরিকা দিব্যি স্বর্গে পৌঁছে যাবে। আমার প্ল্যান আরও সহজ। থ্রি পয়েন্ট প্ল্যান। এই তিনটা পয়েন্ট অনুসরণ করলেই দিব্যি গড়গড়িয়ে স্বর্গে চলে যাবেন।
আমার লাইন ছেড়ে বেলাইনে দৌড় দেয়ার অভ্যাস দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে। ভ্রমণ কাহিনী লিখতে বসে, কলা ছিলা শিখাতে বসে যাই। গাজরের লাড্ডু বানাতে বসে বগল চপের ইতিহাসে চলে যাই। প্রেম করা শিখাতে বসে সানি লিওন এর কাছে চলে যাই। সুতরাং, এই লেখা এক্কেবারে আর আঁকাবাঁকা না করে সোজা যাবে। লেখার পিছন পিছন আপনিও ডানে বামে না তাকিয়ে নাক বরাবর দৌড়ে গেলে লেখা শেষ হতে হতে আপনার স্বর্গ প্রাপ্তি ঘটে যাবে। এটাই হচ্ছে, সহজে স্বর্গপ্রাপ্তির প্রথম এবং প্রধান শর্ত। ধরে নিচ্ছি আপনার ব্রেইন চড়ুই পাখির সমান। অথবা একদম নেই কিছু, হোমারের মতোই এরকম ফাঁকা।
ভাববেন না আবার স্বর্গে যেতে চান বলে বাই ডিফল্ট আপনাকে নির্বোধ ধরে নিয়ে কথা বলছি। আর কেউ আপনাকে নির্বোধ ভাবলেই বা আপনার কি আসে যায়? দুই পয়সা ব্রেইন বেশী খরচ করে দুনিয়াতে লোকজন বেশ করে টরে খেতে পারে। কিন্তু দুই বগলে সুন্দরী নিয়ে স্বর্গে বসে শেষ হাসিটা তো আপনিই হাসবেন। আপনার ব্রেইন কম, বুঝেন কম, প্রশ্ন করবেনও কম। সুতরাং আপনাকে A থেকে B পর্যন্ত লাইন টেনে দিলে আপনি দিব্যি গড়গড়িয়ে সেই লাইন ধরে চলে যাবেন। এটাই মূল রহস্য। আপনার জন্য যেই লাইন টেনে দেয়া হয়েছে সেইটা চোখ বন্ধ করে অনুসরণ করতে হবে। প্রশ্ন না করে আপনাকে আদেশ পালন করা শিখতে হবে। আপনি মিলিটারি হলে ইতোমধ্যে অর্ধেক কাজ হয়েই আছে আপনার। বাকি সিভিলিয়ানদের আরও ডিসিপ্লিনড হতে হবে। সুতরাং আসুন আমরা শুরুতেই মতিকন্ঠের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে বলি, লাইনে আসুন, লাইনে থাকুন।
চিত্র: লাইনে থাকুন
এই দুনিয়া আসলে চলে রিওয়ার্ড সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে। আমার মানিব্যাগ খুলে দেখলাম, গোটা আটেক রিওয়ার্ড কার্ড আছে। একটা গ্রোসারি এর দোকান, একটা ফ্রোজেন ইয়োগার্ট এর দোকান, একটা নাপিতের দোকান, ব্যাংক অফ আমেরিকা আর সিটি ব্যাংক, দুইটা এয়ারলাইন, আর একটা হিলটন হোটেল এর। ঘুরে ফিরে সব রিওয়ার্ড প্রোগ্রাম একই রকম। তাদের সেবা করলে ইন রিটার্ন তারা আমাকে কিছু পুরষ্কার দিবে। প্রতিবার তাদের কাছে কিছু কিনলে, তাদের ভালো কাস্টমার হলে, অন্য দোকানের কাস্টমারকে ঘাড় ধরে তাদের পতাকা তলে নিয়ে আসলে (এই কাজের জন্য সবচেয়ে বেশী পয়েন্ট পাওয়া যায়) বিনিময়ে তারা আমাকে কিছু পয়েন্ট দিবে। সেই পয়েন্ট দিয়ে কখনো ক্যাশ, কখনো উপহার সামগ্রী, কখনো বিমানের টিকেট পাওয়া যাবে। বাল্যকাল থেকে এই রিওয়ার্ড প্রোগ্রামের ভেতর দিয়ে বড় হয়েছি এবং হচ্ছি আমরা সবাই। এই করলে এই পাইবা। পরকালও একই পয়েন্ট সিস্টেমে চলে। আপনাকে মন দিয়ে পয়েন্ট টুকাতে হবে। বিভিন্ন ভালমন্দ কাজ করে যত পারেন পুণ্য, নেকী, সওয়াব ইত্যাদি নামের পয়েন্ট টুকায়ে যান।
কিছু কিছু পুণ্য অর্জন বেশ কঠিন অধ্যবসায় এর কাজ। প্রতিদিন নিয়ম মেনে প্রার্থনা করা, হেঁটে হেঁটে মসজিদ মন্দির চার্চে যাওয়া বড়ই পরিশ্রমের কাজ। মার্ক জুকারবারগ কাজ সহজ করে দিয়েছেন। এখন ঘরে বসেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে পুণ্য অর্জন করা যায়। একটা মাউস ক্লিক করে নানা কুদরতি খবর প্রচার করে আরামে পুণ্য অর্জন হয়। সেই কোন কালে কিভাবে কুদরত এর প্রচার করবেন / How to advertise miracle এ আপনাদের বিস্তারিত জ্ঞান দিয়েছিলাম এই ব্যাপারে। ইতোমধ্যে বাজারে আরও কতশত নতুন মিরাকল এর খবর চলে এসেছে তার ইয়াত্তা নেই। যেমন কয়দিন আগে এই আচানক খবর দেখলাম,
এখন বাজারের সবচেয়ে গরম ইস্যু হচ্ছে এই অবমাননাকর সিনেমা। সুতরাং হাওয়া গরম থাকতে থাকতে তাওয়াতে দু চারটা পরোটা ভেজে কিছু পুণ্য অর্জন করুন। উইকি যদিও বলছে, এটা আসলে ২০১০ এর চিলির ভূমিকম্পের ছবি, কান দিবেন না। সব ইহুদি ষড়যন্ত্র।
আস্তে ধীরে পয়েন্ট টুকায়ে যান। তবে সোজা আঙ্গুলে পয়েন্ট না উঠলে প্রয়োজনে আঙ্গুল একটু বাঁকা করুন। ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ না হলে এইবার অ্যানালগ পদ্ধতিতে কোমর বেঁধে মাঠে নামুন। বাবরী মসজিদ, সাতক্ষীরা, রামুরমতো কিছু না কিছু বোনাস পয়েন্টের সুযোগ চোখ কান একটু খোলা রাখলেই পেয়ে যাবেন।
চিত্রঃ মাদার তেরেসার মিশনারিদের ঠেঙ্গিয়ে বোনাস পয়েন্ট তুলছে ভারতের সাধুগণ
চিত্রঃ বাবরী মসজিদ দখল নিয়ে পয়েন্ট টুকাচ্ছে সাধুগন
চিত্রঃ অবমাননার কারণে সাতক্ষীরায় হিন্দু বাড়িঘর পুড়িয়ে নেকী অর্জন
চিত্রঃ রামুতে বৌদ্ধ কিলিয়ে কাঁঠাল পাকিয়ে বিশাল বোনাস পয়েন্ট অর্জন
গুগল খুঁজে খুঁজে কি সুন্দর সব কিলাকিলির ছবি দিলাম। আবার বুদ্ধিমানের মতো হিন্দু মুসলিম দুইপক্ষ ব্যালেন্স করে দিয়েছি। দুইটা হিন্দু কিল, দুইটা মুসলমান কিল। তারপরেও আবার অনেকে তাওয়া গরম করা চেষ্টা করবে এই বলে, ঐযে রোহিঙ্গাদের কথা বললেন না। দিব্যি যে রোহিঙ্গা কিলিয়ে বৌদ্ধরা পয়েন্ট তুলে যাচ্ছে। আবার ইরাক আফগান কিলিয়ে খ্রিষ্টান ইহুদীরা যে পয়েন্ট কামাই করে যাচ্ছে। আজকাল আসলে কারো বিরুদ্ধে কিছু বলা যায়না। ৭১ এর ধর্ষণের বিচার চাইলে সবাই বলে, ঐযে ইরাকে আফগানে যে ধর্ষণ হইল ওইটা নিয়ে তো কিছু বললেন না। রামুর মূর্তি ভাঙ্গার বিচার চাইলে বলে, ঐযে রোহিঙ্গাদের যে মারল তার বিচার কেন করলেন না, ঐযে বাবরী মসজিদ যে ভাংছিল তার তো কিছু করলেন না। পাকিস্তানকে গালি দিলে বলে, ইন্ডিয়ারে তো কিছু কইলেন না। আহা, করুক না যে যা করার। আমি পরে সময় করে সবাইকে সমান করে বকে দিবোনে। আপনার তো এদিকে দেরী হয়ে যাচ্ছে। আপনি আপনার মতো করে কিলিয়ে কিলিয়ে পয়েন্ট তুলুন না।
আমার আমেরিকান এয়ারলাইনস মাইলেজে ত্রিশ হাজার মাইল জমা আছে। ওইগুলা দিয়ে আরামে একখানা এয়ারলাইন্স টিকেট কেটে কোথাও থেকে একটু হাওয়া খেয়ে আসবো ভাবছিলাম। এর মধ্যে একদিন আমেরিকান এয়ারলাইন্স ফতুর হয়ে গেছে শুনে আমার মাথায় হাত। শুনে আমাকে এক পোলা ক্যালাতে ক্যালাতে বলে, Dude, you are screwed! What are you gonna do with all these miles!! তখন শুনলাম আমার আরেক বন্ধুর আছে নব্বই হাজার মাইল। আমি বদ লোক। নিজের লসের পরেও যদি দেখি বন্ধুর লস আমার তিনগুণ তখন আনন্দে হেসে ফেলি। সুতরাং দাঁত কেলিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন ব্যাটারা ঘোষণা দিবে সব মাইল বা পয়েন্ট তামাদি হয়ে গেছে। সৌভাগ্যক্রমে বা দুর্ভাগ্যক্রমে সেটা হয়নি শেষ পর্যন্ত। এরকম আপনি নানা অ্যানালগ এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে পুণ্য পয়েন্ট জমাতে জমাতে যদি পরকালে গিয়ে দেখেন, কিছুই নাই, ব্যাবাক ফকফকা, তখন?? আপনাকে দেখে তখন যদি এরকম কেউ ক্যালাতে ক্যালাতে বলে, Dude, you are screwed! আরে নাহ, এমনি একটু ভয় দেখালাম আরকি। সে কখনো হয় নাকি? দিব্যি আপনার পয়েন্ট দিয়ে স্বর্গ ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ারের কাছ থেকে একের পর এক কুমারী নারী ক্যাশ করে নিয়ে যেতে পারবেন।
ঐযে বললাম, হতে পারে আপনার চড়ুই পাখির মস্তিষ্ক। তাই এতক্ষণ ধরে যা যা বললাম কিছুই বুঝেন নাই। তার চেয়ে বরং ফ্লোচার্ট একে দেই। পারলে এটা অনুসরণ করেন, আর না পারলে প্রিন্ট করে মাদুলি বানিয়ে গলায় ঝুলিয়ে ফেলুন। যে কোনটাতেই তাৎক্ষণিক ফল লাভ হবে।
ফ্লোচার্ট বেশ সহজ করেই বানিয়েছি। তারপরেও ভেঙ্গে বলছি। আপনি মহিলা হলে সেকেন্ড থট দেন। আসলেই স্বর্গে যেতে চান? বেনিফিট প্যাকেজ কিন্তু বেশী সুবিধার না। অন্যদিকে আপনার জন্য গ্যাঞ্জামও বেশী। কোন কোন কোম্পানি আপনাকে সতী বলে খাতির করে চিতায় পুড়িয়ে আলু কাবাব বানিয়ে ফেলবে, কেউবা আবার আপনাকে পুটুলিতে ভরে প্যাকেট করে বিশেষ সম্মান দিবে। কেউবা আবার আপনাকে সারাজীবন সেক্স টেক্স করতে না দিয়ে সিস্টার বানিয়ে পাদ্রী সেবায় লাগিয়ে দিবে। এত গ্যাঞ্জাম করে ঐ পাড়ে গিয়ে পাবেন ঘোড়ার আণ্ডা স্বামী সেবার সুবর্ণ সুযোগ। সুতরাং আপনারা মহিলারা বরং অফ যান। স্টার প্লাস দেখেন। তুলসী আর কুসুম এর কি হইল না জেনে ফট করে মরাও ঠিক না। স্বর্গে গিয়েও সেইরকম আদর্শ স্ত্রীই হতে হবে। তাইলে আর লাভ কি? মহিলাদের বাদ দিলে আমারও ফ্লোচার্টের অর্ধেক কষ্ট কমে যায়।
বাকিরা লাইনে আসেন। এখন বলেন একটু ধৈর্য আছে নাকি স্বর্গে যাবার জন্য আর তর সইছে না। যদি বেশি তাড়াহুড়া থাকে তবে বুদ্ধি সহজ। কোথাও গিয়ে একটা বোমা টোমা ফাটিয়ে আসুন। "উড়ন্ত ছাগল" হয়ে একটানে উড়াল দিয়ে স্বর্গে পৌঁছে যাবেন। তবে একদম ১০০% খাটি বোমা ব্যাবহার করেন। না ফুটলে কিন্তু আপনার খবর আছে। ঐযে দেখেন এই হতভাগার কাণ্ড। বোমাটা ফুটলে এতক্ষণে দিব্যি স্বর্গে বসে আপেল আঙ্গুর খেত। না ফুটায় এখন গুয়ান্তানামোতে গিয়ে পুটু মারা খাবে। সেইসাথে দেশের পুটুটাও মেরে গেল। FBI এর হারামিদের কাছ থেকে বোমা কিনলে এইরকম ভেজাল জিনিসই দিবে। কিনতে হলে আল কায়েদা বা শিবির এর সিলমোহর দেখে কিনুন।
আর যারা ধীরে সুস্থে যেতে চান তারা হাইওয়ে টু হেভেন ফলো করুন। কিভাবে পয়েন্ট টুকাবেন সেইটা বিস্তারিত আগের অধ্যায়েই বলা হয়েছে।
আবার অনেকে ঘাউরামি করে স্বর্গে না গিয়ে নরকেও যেতে চাইতে পারেন। ওইটাও খারাপ জায়গা না। মাইকেল জ্যাকসন, সানি লিওন থেকে শুরু করে মাদার তেরেসা পর্যন্ত সবাইকেই ওইখানে পাবার কথা। আমি একবার দুই ঘণ্টা ধরে তর্ক করে আমার তুর্কী বন্ধু ওশি "দা মদন" লভ এর মুখ থেকে বের করতে পারি নাই মাদার তেরেসা স্বর্গে যাবে। খালি বলে, যদি মরার আগে যদি মহিলা ঈমান এনে থাকে তাইলে যাবে। আমি বলি, তেরেসা খালা মরার আগ পর্যন্ত সেবা কাজে ব্যস্ত ছিল, মনে হয়না ঈমান আনার সময় পাইছে। আবার কানাঘুষা শোনা যায় জীবনের শেষ পর্যায়ে নাকি তিনি বিশ্বাস হারিয়ে আধা নাস্তিক হয়ে গিয়েছিলেন। সুতরাং, খালার ভবিষ্যৎ পুরাই আন্ধার।
যাহোক, বাকি সব বিস্তারিত ফ্লোচার্টে পাবেন।
কত কথাই মনে হয়। তারেক অণুর পম্পেই ব্রথেলের ছবি দেখে হেসে ফেলি মানুষ কত লোভী আর বর্বর ছিল এই ভেবে। পরক্ষণেই মনে হয়, এখনো সেইরকমই আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। মনে হয়, স্বর্গ কি তবে পম্পেই ব্রথেল? মনে হয় হয় মানুষ প্রকৃত সভ্যতা থেকে বহু যোজন দূরে আছে এখনো। যেইদিন স্বর্গের লোভে বা নরকের ভয়ে নয়, শুধুমাত্র মনুষ্যত্বের তাগিদেই মানুষ মানুষের সেবা করবে সেইদিনই হয়তো মানুষ সত্যিকারের সভ্য হবে। ততদিন পর্যন্ত বোধকরি নিজের আসন পাকাপোক্ত করার জন্য একে অন্যকে কেটে কয়েকটুকরা করে যেতেই থাকবে মানুষ।
শেখ ফজলল করিমের কবিতা দিয়ে শুরু করেছিলাম, সেটা দিয়েই শেষ করি। মানুষের মাঝেই স্বর্গ নরক। এতো ভাব সম্প্রসারণ করেও এটার মানে এতদিন বুঝিনি। রামুর ঘটনার পর মনে হল, খানিক বুঝলাম। মনে হল, আমার দেশে সংখ্যাগুরু হয়ে জন্মালে সেটা বেশ স্বর্গীয়, সংখ্যালঘু হয়ে জন্মালে নরক। এই যে এই "চৌধুরী মুইন উদ্দিন" নামক ভদ্রলোককে দেখুন। দিব্যি স্বর্গে আছেন। প্রিন্স চার্লসের সাথে উঠবস করছেন। (ছবিতে সর্ববামে)।
মুসলিম এইড এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ডিরেক্টর হিসেবে লন্ডনে বসে মুসলিম উম্মাহ এর সেবা করে যাচ্ছেন। এই ভদ্রলোকই নাকি ৭১এ ম্যালা লোক মেরেছেন, ১৮ জন পর্যন্ত প্রমাণ আছে। তার মধ্যে বুদ্ধিজীবী ডক্টর ফজলে রাব্বী আছেন, ১৪ই ডিসেম্বর যাকে মারার আগে (পরে না , মারার আগেই) হার্ট খুবলে বের করে নেয়া হয়েছিলো। নেবারই কথা, হার্টের ডাক্তারের হার্ট খুলে নেয়ার মধ্যে আলাদা একটা হিউমার আছে। একই ভাবে এক চোখের ডাক্তারকে মারার আগে তার চোখ তুলে নিয়েছিলেো তারই দলবল, এক মহিলা সাংবাদিকের স্তন কেটে নিয়েছিলেন তাকে মারার আগেই। মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, যার লেখা আমাদের পাঠ্য ছিল স্কুলে তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে মেরেছেন। আর বাকিসব ছোটখাটো বুদ্ধিজীবীদের পরিচয় নাইবা দিলাম। এতো কাণ্ড করে এই ভদ্রলোক ইউকেতে বসে দিব্যি স্বর্গের আনন্দেই দিন কাটাচ্ছেন। ১৯৮৯ যখন সালমান রুশদির "স্যাটানিক ভার্সেস" নিয়ে ম্যালা গ্যাঞ্জাম হয় তখন ইনি ছিলেন ফ্রন্ট লাইন লিডার, নবী অবমাননার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদী কণ্ঠ। তার নেতৃত্বেই লন্ডনের মুসলিমরা মার্গারেট থ্যাচারকে প্রতিবাদ-লিপি দিয়ে আসে। সুতরাং, ঐখানেই তিনি এক ধাক্কায় বিশাল বোনাস পয়েন্ট পেয়ে গেছেন। নূরানি চেহারা এবং ইসলামের সেবা করার পরিমাণ দেখে মনে হয় একে ধরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিলেও কোন সমস্যা হবে না। সব মিলিয়ে যেই পরিমাণ পয়েন্ট কালেক্ট করেছেন সেটা দিয়ে এক স্বর্গ থেকে দিব্যি আরেক স্বর্গে গিয়ে পড়বেন। ডাইরেক্ট গেট-লক সার্ভিস। আর নরক? উদাহরণ এর অভাব নেই। আপাতত উত্তম বড়ুয়া এর নরকের কথা বলা যায়। পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বনে বাদারে, আর ওইদিকে তার মা খালাকে পুলিশ ধরে রিমান্ডে নিয়ে পেদাচ্ছে। সব ভুলে নিজেকে নিয়ে থাকলে এই পৃথিবীটা বেশ স্বর্গ স্বর্গ মনে হয়। চোখ খুলে চারিদিকে তাকালে নরক।
যাহোক, শত চেষ্টা করেও আমার বদ খাসলত থেকে বের হতে পারছি না। লেখার ল্যাজে এসে হুদাই প্যানপ্যান শুরু করি। ওইগুলাতে কান না দিয়ে আজই এই সহজ ফর্মুলা প্রয়োগ করে স্বর্গের পথে যাত্রা শুরু করুন। আর যদি মনে করেন, দুনিয়াটা আসলে অত খারাপ জায়গা না, তবে ঠিক আমার মতো এরকম করে পেটভরে চারটি খেয়ে দুনিয়াদারীর সবকিছুকে মুড়ি খাইতে বলে উদাস মনে চিত হয়ে শুয়ে থাকুন।
ছবি কৃতজ্ঞতা: আশালতা, ছবিসূত্র: Back To Earth - Artworks
মন্তব্য
আপনার আজকের পয়েন্ট ১১৫
ক্যামনে হিসাব করলেন? মাত্র ১১৫?
--- ঠুটা বাইগা
ইডা রাইখা এখন গেলেন কই??
মাথার ঘায়ে কুত্তা পাগল দশার মইধ্যেও আপনার লেখাটা না পইড়া থাকতে পারলাম না। আমি এই পয়েন্ট সিস্টেমের ব্যাখ্যা বিগত দুই বছর ধইরা করতেসি (সবার কাছে না যদিও ........ কেউ আমারে নামায়া পয়েন্ট উঠাইলে কেম্নে কি!), আর আপনি মিয়া পুরা আমার কথাগুলা কইয়া দিলেন কি সুন্দর!
বস, আপনি বস!
--- ঠুটা বাইগা
মামলা করি দেন, আপনার মনের কথা মারার জন্য
মনে হয় উনার স্ত্রী পরকালে বসে ৭০ টা ছেলে নিয়ে মাস্তি করছে, এই চিত্র মনের মধ্যে আসা মাত্র মাথা আউলায়ে গিয়েছিলো। আপ্নে একটা চ্রম খ্রাপ লুক, আজ বলতে বাধ্য হলাম।
ব্রথেলের কথাটা কি না বললেই হত না, নাকি জীবনে যে একটা পোস্ট উৎসর্গ পেয়েছেন সেটা বগল চপের মতই চাপে চাপে বলতে হবে?
দারুণ লিখেছেন কিন্তু "চৌধুরী মুইন উদ্দিন" নামের অমানুষটার ছবি দেখার পর থেকে আর স্থির চিন্তা করতে পারছি না- মনে হচ্ছে- থাক, না বলি- বুঝে নিয়েন-
facebook
আপনি লন্ডনে এসেই প্রথমে ঐখানে নেমেছিলেন। অতএব আপনি সবাত্তে বেশি বুঝেন।
লন্ডনে গিয়ে এইসব হাবিজাবি জিনিস না দেখে ঐ ব্যাটাকে গিয়ে দেখে আসলেই পারতেন।
হা হা... হাসতে হাসতে মারা গেলাম ল্যাবের মধ্যে !
পুনশ্চ : আমি কোন ইটা রাখি নাই- তারমানে আমিই সবার আগে পড়া শেষ করছি। আমার জন্য বিশেষ পুরস্কারের দাবি জানায়া গেলাম।
পুনঃপুনশ্চ: তারেক অণু সাহেব দেখলাম মন্তব্য এডিট করে অসততার আশ্রয় নিয়েছেন। তীব্র প্রতিবাদ জানায়া গেলাম !
অলমিতি বিস্তারেণ
আজকে দেখা হলে পুরষ্কার নিয়ে আলোচনা করুম নে
অণু কি এডিট করছে??
আমি শুরুতেই বুঝে গিয়েছিলাম আপনি একটা চ্রম বদ লোক। আজকে এইভাবে মুমিনদের বাঁশ দিয়ে দিলেন? এইভাবে বলতে হয় না মনে দুঃখ পাবে
মন খারাপ ছিল। শুরুর দিকে পড়তে যেয়ে ঠা ঠা করে হাসলাম তারপর ছাগুর চেহারা দেখে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। কবে এদের শান্তি হবে? কবে আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে রাজনীতি না করে সত্যি সত্যি বাস্তবায়ন করবো?
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
যেইদিন আমরা আবার টাকায় আটমন চাল পাবো ওইদিন সব হবে
"চৌধুরী মুইন উদ্দিন" এর কীর্তি শুনে মুখ থেকে অশ্রাব্যসব গালি বের হয় গেল। এদের শাস্তি না হওয়া প্ররযন্ত থামাথামি নাই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
গালি বের হবারই কথা। তবে এইরকম লোক একটা দুইটা না, অনেক অনেক বেশী।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
পড়ছি পুরাটা। মেয়েদের ফ্লো চার্টের দাবি জানায় গেলাম। জামাই ৭০ খান হূর নিয়ে পাইলে পুরান বউ এর সেবা যত্নের অপেক্ষায় থাকবে না। আনলিমিটেড খাওয়া দাওয়া আর ঘুমানির চান্স পাইলেই আমি খুশি।
অন আ সিরিয়াস নোট, যার বিবেকবোধ ধর্মের সুতায় বাঁধা তাকে সেই সুতা ধরে যেমনে খুশি নাচানো যায়, এইরকম নাচ তো দেখছি কম না। কিন্তু শুধু ভাল কাজের খাতিরে ভালো কিছু করে এমন মানুষ দের হুইল সাবান কোম্পানি দিয়া খুঁজে বের করা লাগে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ওক্কে, অচিরেই একটা কিভাবে স্বর্গে যাবেন উইমেন ইস্পিশাল বানাবো নে।
অন আ আন সিরিয়াস নোট, দুনিয়াতে ১০০% খ্যাতি লোক নাইক্কা। একজন মহামানব এসে দুনিয়া পাল্টায়ে দিবে এই আশা করে লাভ নাই। যা করার দুনিয়ার ভাঙ্গাচুরা ৬০-৭০% মানুষদের মিলেই করতে হবে।
একজন মহামানব এসে দুনিয়া পাল্টায়ে দিবে এই আশা করে লাভ নাই। যা করার দুনিয়ার ভাঙ্গাচুরা ৬০-৭০% মানুষদের মিলেই করতে হবে।
হ!
একজন ভালো মানুষ হইলে কিছুই হয় না। সবতে ভালো মানুষ হইলে না কিছু হইত।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
খায়া আইচ্ছেন কি কুনো? কি কচ্ছেন এগুলা? ও মাই গাড! আপনার তো ইমান গেচে গা। তাত্তাতারি কইরা ওযু কইরা তওবা করেন।
আমনে ওগোত্তে বেশি বুঝেন ?
প্রভু কইছে যুদ্ধে যাইয়া মানুষ মারতে।
মানুষ মারলে হুর-উর্বশী পামু, গেলমানেরও ব্যবস্থা আছে।
আপনে যে এই পুস্ট লেখছেন। ওরা তো জিন-ভূত পাঠায়া আপনের সব্বনাশ কইরা দিব। দেখবেন কম্পুত্তুন ভূত বাইরা হয়া আপনেরে ঠুসা মারছে ।
চিন্তা ভাবনা সব বনধ।
আজকে থেইকা ফূর্তি-মূর্তি সব বনধ।
যে কম্পু দিয়া পুস্ট লিখছেন, ওইটা ভাইঙ্গালান।
আসেন সবাই মিইলা বলি, প্রভু জিন্দাবাদ!
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ওরে খাইছে। ইমোতে ইমোতে দেখি ছয়লাব করে ফেলছেন । গেলমানের ইমোটা দেখে হা হা প গে
এগুলো কই পাওয়া যায়? আমি নিবো
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
মানবতাবাদী রামছাগলেরা রোহিঙ্গা রোহিঙ্গা কয়া কান্তে কান্তে লুঙ্গি ভিজায় ফেলে আর তাদের কান্ধে বন্দুক রাইখা রোহিঙ্গাদের দলে ভিড়ায় চৌধুরি মঈনউদ্দিনের মত শুওরের বাচ্চার সংগঠন মুসলিম এইড। আবালে দেশ ভরা।
এর উপরে চ্যানেল ফোর ডকুমেন্টারিও করছিল, এইখানে ক্লিকান।
লেখা ভালো হইছে উদাস দাদা, কিন্তু আল বদর দেইখা মেজাজ খিঁচড়ায় গেল শেষে।
..................................................................
#Banshibir.
মেজাজ আমারও খিঁচড়ায় আছে এই হারামির জন্য । যত মজা করেই লিখতে চাইনা কেন খিঁচড়ানো ভাবটা লেখার মধ্যেও চলে আসছে।
এই টাইপের লোকগুলো যে কি ভয়ংকর পরিমাণ হিপোক্রেট হতে পারে তা বলার বাইরে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আসলেই আমাদের বাংলাদেশের একটা শক্ত সিদ্ধান্তে আসা দরকার। রোহিঙ্গা নিয়ে দেয়া একটা পোস্টেও বলেছিলাম, এখন আবার বলছি, রোহিঙ্গারা নিপীড়িত, ওদের প্রতি আমাদের বাংলাদেশীদের সহানুভূতি আছে। কিন্তু নতুন রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে, পুরনো রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের ফেরত না পাঠানোই মাশুল দিচ্ছে বাংলাদেশ আর ফায়দা তুলছে বাংলাদেশের একটি শ্রেণী, যারা বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত পেছনের দিকে ঠেলছে।
অবিলম্বে পুরনো রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের ফেরত পাঠানো হোক, দরকার হলে পুশ ব্যাক এবং নতুন রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের বাংলাদেশে কোনভাবে প্রবেশ করতে না দেয়া হোক।
চৌধুরী মইনুদ্দীনের অনেকগুলো ভিডিও, নিউজ কালেকশানে আছে আমার। তিন বছর ধরে ফলো করছি মাগীর পোলাটাকে।
যেসব বাংলাদেশী হারামজাদা বিদেশে যেয়ে কাঠমোল্লাদের দালালী করে বোমা হামলার প্ল্যান করে, নিরীহ মানুষ মারে, এইসব নিমকহারামগুলো যদি দেশ, মাটি, স্বজাতি বুঝতো, তাহলে মইনুদ্দীনের মত অমানুষ শুয়োরের বাচ্চাগুলো হয়ত জীবিত থাকত না।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
এইটাই সমস্যা। একসময় এইসব নিয়ে কোমর বেঁধে তর্ক করতাম এখন মুচকি মুচকি হাসি। মানবতাকে সবাই নিজের মাপমতো সাইজ করে নেয়।
এসব কি কুফরী কথা বলছেন? গুনাহ হবে না?
তামান্না ঝুমু
বস পুরা লেখাটা কোট করার মত। আপনে একটা অমানুষ। পুরাই অমানুষ। বৈকালে কিলাস ছিল, ক্লাসে বইসা পড়তে নিয়ে দাত বের হয়ে গেছিল, পরে প্রফের সাথে দৃষ্টি-বিনিময় হওয়ায় ভাব্লাম ক্লাস শেষ কইরা বাকিটা পড়ি। অমানুষিক। আম্মো বেহেশ্তে যাইতে চাই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমার এক বদ বন্ধু একবার এইরকম ক্লাসে বসে কি পড়তে পড়তে হেসে ফেলছিল। পরে শিক্ষক মশাই বজ্রকণ্ঠে কৈফিয়ত চাইলে কাঁচুমাচু হয়ে বলে, স্যর জানালা খোলা তো, বাতাসে সুড়সুড়ি লাগে। ধরা খাইলে আপনিও এই কথাই বইলেন
সমস্যা হইল বস, সুপারভাইজার এর ক্লাস। বজ্রহুঙ্কার তো দিবে না। অন্যভাবে টাইট দিবে আরকি। যুগ যা আসছে দেখা যাবে সব যাবে আমার নিষ্পাপ পুটুর উপ্রে দিয়া
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
খুব ভালো লাগলো পড়ে! আর আমি নাকি এতদিন এই মহিলার কথা শুনে ভাবতেসিলাম "কি ব্যপার, ইসলাম শালার এইসব বোরিং কথাবাত্রা কবে বলল!"
http://goo[dot]gl/KvSMl
অন্ধকার, অন্ধকার নেমে আসছে ক্রোমিয়াম অরণ্যে।
আপনার লিঙ্কে গিয়ে ভিডিওটা দেখলাম। ভালো লাগলো বেশ। তবে আপনার পয়েন্ট ধরতে পারিনি। যদি আলাপ করতে চান বিস্তারিত বলেন। কথা দিচ্ছি ফাতরামি না করে আমার ভিউপয়েন্ট সুন্দর করে জানাবো।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমি বদ লোক বলে নানা বদ এক্সপেরিমেন্ট করি। খুলে বলি আপনাকে। আমি লেখাকে লাইনে রাখবো বলে বলেও বারবার ইচ্ছা করে বেলাইনে চলে যাই, মূল প্রসঙ্গের বাইরে আরও ১০ টা প্রসঙ্গে খোঁচা দিয়ে আসি। মনে করেন, এই লেখায় সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, ভণ্ডামি, যুদ্ধাপরাধ ছাড়াও আরও হাবিজাবি টুকটাক জিনিসে ইচ্ছামত খোঁচা দিয়েছি। যেমন বোরখা প্রসঙ্গ আছে, পুরুষের লুচ্চামির কথা আছে, নারীকেও খোঁচা দেয়া হয়েছে, মৌসুমি মানবতাবাদীদের কথা আছে। লেখার মূল বক্তব্য একটাই, "সহজে স্বর্গপ্রাপ্তির লোভে অনেক মানুষ পৃথিবীকে নরক বানিয়ে ফেলছে"। ছোট বাচ্চাদের বয়স ৬ মাস বা এক বছর হলে এক ধরণের টেস্ট করা হয়। ট্রে তে কলম, বই, টাকা, খাবার নানা জিনিস সাজিয়ে সামনে দেয়া হয়। শিশু যেটা খাবলে ধরে সেই অনুসারে মজা করে তার ভবিষ্যৎ বলা হয়। কেউ কলম খাবলে ধরলে বলে ছেলে লেখক হবে, বই ধরলে বিদ্বান, খাবার ধরলে পেটুক ইত্যাদি। আমিও এইরকম মাঝে মাঝে ট্রেতে কিছু জিনিস দিয়ে দেখি কে কি খাবলে ধরল। যেমন আগের এক লেখায় কত কিছু বললাম, কয়েকজন এসে সেখানে বোরখা খাবলে ধরল। চিন্তা করার মতো অনেক অনেক কিছু ছিল হয়তো, কিন্তু মেয়েদের বোরখা টেনে খুলে তাদের নগ্ন করে ফেলা হচ্ছে এই চিন্তাটাই খাবলে ধরল অনেকে।
অনেক কথা বললাম। আমার মনে হয় এই লেখায় খাবলে ধরার মতো বেশ কিছু আছে। আমি নিজে হলে মূল প্রসঙ্গের আগে চৌধুরী মইন উদ্দিন কে খাবলে ধরতাম। কারণ লেখার পরেও আমার নিজের মাথা থেকে যাচ্ছে না কষ্ঠটা। জানতে চাই আপনি কি খাবলে ধরেছেন। তারপর না হয় কথা হবে সেটা নিয়ে।
আপনার এই লেখাটা আমার পরিচিত মমিনদের ( তার মধ্যে একজন আছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যিনি তার ছয় বছরের কন্যাকে হিজাবের মধ্যে চালান করে দিয়েছেন---এখানেই থাকেন) মধ্যে উদারভাবে বিলি-বন্টন করলাম। নানান প্রতিক্রিয়ায় ইনবক্স ভরে গেছে। কিন্তু একধরণের পৈশাচিক আনন্দ পাইতেছি!
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
কিছু প্রতিক্রিয়া শেয়ার করেন মণিকাদি, জাতি জানতে চায়।
তিনখানা দেই ঃ( কপি-পেস্ট)
১।( ইনি একজন চিকিৎসাবিদ)---ইসলামের জন্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর মুসলিম নামধারী এইসমস্ত অর্ধি শিক্ষিত লোকজন। তারা না জানে আমাদের ধর্মের মূলকথা, না জানে জীবনে তার সঠিক প্রয়োগ। শস্তা জনপ্রিয়তার মোহে এরা বিপদজনকভাবে ধর্মকে স্যাটায়ারের বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছে।
২।( একে আমি চিনিনা, ফ্রেন্ড লিষ্টে যে ছিল সেটাই জানতাম না) এই---( মেয়েদের জন্যে বিশেষায়িত গালি) তুই যে এইটা শেয়ার দিলি---তোর কয়টা লাগবে?
৩।( বুড়া লোক) I am praying for these people, may god forgive them. May god show them the right path.
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
ঐ যে বল্লাম দিদি, যার যা পছন্দ সে সেটাই খাবলে ধরে। আজকাল শিক্ষিত লোকজনও মহা অলস। অত কিছু পড়ার সময় কই? চৌধুরী মইন উদ্দিন কে দেখবেনা, রামু দেখবেনা, ১৪ই ডিসেম্বর দেখবেনা, শুধু স্বর্গ অবমাননা দেখবে
পড়েও এদের মানসিকতা কখনো বদলাবেনা মনে হয়।
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
মাঝে মাঝে এইরকম জিনিশ শেয়ার দিয়ে মানুষ চেনা যায় অনেক।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
১১০% খাঁটি কথা।
আপ্নে একটা অমানুষ
অটঃ মাদার তেরেসা কে নিয়ে হিচেন্সের একখান বই আছে The Missionary Position. শোনা কথা ওটায় নাকি মিশনারিদের ভালোই বোঙ্গা বোঙ্গা দেওয়া হইছে
---------------------
আমার ফ্লিকার
হ, এইটা নিয়ে একটা ডকুও দেখছিলাম। তেরেসারে পুরা ধুইয়া দিছে হিচেন্স সাহেব।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
লিঙ্ক আছে নাকি??
টেরেজার উপর আরো দুটো বই পড়া ভালো:
Aroup Chatterjee - Mother Teresa: The Final Verdict
Prabir Ghosh - Mother Teresa and Sainthood
এই প্রবীর ঘোষ কি "অলৌকিক নয়, লৌকিকের" প্রবীর ঘোষ?
হ্যাঁ, আবার জিগায়!
শেষ পর্যন্ত তেরেসা খালাও!!
বসের আরেকটা প্রভুখণ্ড পড়লাম!!!
ফ্লোচার্টটা সাংঘাতিক হৈছে, এক্কেরে খাপেখাপ!!! এইডা প্রিন্ট কৈরা প্রেতি সক্কালে একবার দেখমু, পয়েন্ট ঘাপামু আর স্বগ্গে যামু!!
চৌধুরী মইনুদ্দীন শুয়োরের বাচ্চারে জবাই কৈরা স্বগ্গে যাইতে চাই, এইডা সহীহ নিয়ত হৈলো কী না বুঝতাছি না! আপনি বস বা পীরসা'ব যে কোন একজন এট্টু চিন্তা কৈরা দেইখেন তো!
_____________________
Give Her Freedom!
এইসব জবাই টবাই এর কথা বইলেন না। রিমান্ডে নিয়ে পেদাবে মুইন উদ্দিন অবমাননার দায়ে
পুরাই যাকে বলে, সকালে বিনামেঘে বজ্রপাত
ঘুম থেকে উঠার সময় জানতাম না কি দেখতে হবে ।।।
ফ্লো-চার্ট টা মনের মত হইসে,যাই শুরু করি !
থিঙ্কু। মন দিয়ে পড়ে পড়ে মুখস্ত করে ফেলেন।
ফ্লোচার্টটা অমানুষিক হয়েছে। তবে লেখাটায় অন্যগুলোর তুলনায় রস একটু কম। আর টেরেসা বিষয়ে অনীকের কথা সত্য - সে ক্রিশ্চিয়ানিটির হেভেনে যাবে অবশ্যই কিন্তু হিউম্যানিটির স্বর্গে ঠাঁই পাবে কিনা সন্দেহ আছে।
মাছে ভেজাল, ফলে ভেজাল, বোমাতে ভেজাল, এখন মাদার তেরেসাতেও ভেজাল। যাই কই!! দুনিয়াতে আমি ছাড়া দেখি এক নম্বর মানুষ আর একটাও নাই। তেরেসা খালার ব্যাপারে হাল্কা পাতলা শুনছিলাম তবে বিস্তারিত তেমন জানিনা। আমার ইঞ্জিরি জ্ঞান দেড় জলিল পরিমাণ বলে অত খটমট বই পড়তে পারিনা। একটা পোস্ট দেন না এই নিয়া।
এই লেখা কি একজন হাজীর কাছ থেকে আশা করা যায় ? ভাল লেগেছে।
আমার মার অসুখের সময় বহু বছরের কাজ টি ছেড়ে দেই। তখন কত জন যে আমাকে বলেছে আমার কত পুণ্য হচ্ছে। এটা যে আমার দায়িত্ব, সেটা কেউ বলেনি।
চউদা ভাই হাজি সাহেব নাকি!!!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ভাই নিজে তো আসলেই জান্নাতের রাস্তা সুগম কইরা রাখছেন
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আবার জিগায়, আমি জাতে মাতাল তালে ঠিক। সিট বুকিং দেয়া আছে।
হাড়িতে হাট ভাঙ্গেন ক্যা??
সাত সকালে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়া বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, তাই একঘেয়েমি কাটানোর জন্য প্যান্টের পকেটে থাকা ফোন খুলে ফেলেছিলাম। ওরে খোদা, এ কি? এতো পুরাই প্রভুখন্ড। রসকষ একটু কম লাগলেও (অবশ্যই আপ্নের স্ট্যান্ডার্ডে) ফাডায়লায়সেন মিয়া। আপনে রমনির মতো তিন পয়েন্ট তিন পয়েন্ট করে ফানাফানা হইলেও পয়েন্ট কিন্তু একটাই, পয়েন্ট টোকাইতে হবে।
শরীর দুলানো হাসি দিতে গিয়ে জিনিস, আহেম, গেলো আটকা পড়ে, শরীর সাধনটাই কেবল হলো না, কি আর করা!
আপনে বাথরুমে বসে আমার লেখা পড়ছেন?? এই কামডা করতে পারলেন??? লা হাওলা
দোষ তো মিয়া একশভাগ আপ্নের। এমন সব পোস্ট দেন যে এক বসায় না পইড়া উপায় থাকে না। তাই কামডা কমোডেই সাইরা ফেল্লাম
=))
বেক্কলের দল টমটম বেগমগো ছবি শেয়ার লাইক দিয়ে ভইরা ফেলে, একটু এই চিন্তাও করে না- যে ঐ ক্লিক কইরাই গুগল করা যায়।
শেষে আইসা মেজাজ খারাপ হইয়া গেল আল বদর টারে দেইখা।
মেজাজ আমারও বিলা হয়ে আছে।
"ঐযে রোহিঙ্গাদের কথা বললেন না। দিব্যি যে রোহিঙ্গা কিলিয়ে বৌদ্ধরা পয়েন্ট তুলে যাচ্ছে। আবার ইরাক আফগান কিলিয়ে খ্রিষ্টান ইহুদীরা যে পয়েন্ট কামাই করে যাচ্ছে। আজকাল আসলে কারো বিরুদ্ধে কিছু বলা যায়না। ৭১ এর ধর্ষণের বিচার চাইলে সবাই বলে, ঐযে ইরাকে আফগানে যে ধর্ষণ হইল ওইটা নিয়ে তো কিছু বললেন না। রামুর মূর্তি ভাঙ্গার বিচার চাইলে বলে, ঐযে রোহিঙ্গাদের যে মারল তার বিচার কেন করলেন না, ঐযে বাবরী মসজিদ যে ভাংছিল তার তো কিছু করলেন না। পাকিস্তানকে গালি দিলে বলে, ইন্ডিয়ারে তো কিছু কইলেন না।"--
Ai type er manush vora. Ai kotha gula sunle r kisu koar thake na - Actually, thake but ichcha thake na. Mone chai oisob chu** pola gulare **********
Jaihok oshadharon lekha, Dhonnobad.
সেটাই।
ফ্লো-চার্ট সেইরকম হয়েছে।
চৌধুরী মইনউদ্দীন একা না, তারমত আরও লোকজন ইউরোপ আর আমেরিকায় আছে, ধর্মের কল নাড়ছে। আর মানবতাবাদ এর ধুয়া তুলে যারা যুদ্ধপরাধ বিচার নিয়ে প্রশ্ন করতে আসে তাদেরই আবার দেখা যায় এইসব পশুদের সাথে ছবিতে।
ভর্তি এরকম লোকে, এখন আবার ছানাপোনা হাজারে হাজারে।
হাসতে হাসতে পড়ে যেতে নেওয়ার কালে চৌধুরী মুইন উদ্দিনের চেহারা দেখায়ে সব মজা মাটি করলেন।
যাতে পড়ে না যান, ঐ জন্যই তো সময়মত ধরার ব্যবস্থা করছি। যাহোক, আপনার মতো জ্ঞানীগুণী লোক আমার ফাতরা লেখা পড়ে দেখে মনে পাই বল, দেহে পাই শক্তি
কথা সইত্য।
চোখ খুললেই চারিদিকে নরক - এই অনুভূতিটা খুবই ভয়ংকর। এরচেয়ে মনে হয় গল্পের নরকে থাকার অনুভূতিও অনেক ভাল হবে!!!
একেকটা ঘটনা ঘটে আর হতাশার পরিমান বাড়ে। তবুও বিড়বিড় করে যাই - পরিবর্তন আসবেই, পরিবর্তন আসবেই। দিন শেষে উল্টো নিজেকেই মনে হয় বালুতে মুখ গুঁজে আছি। পৃথিবীটা লোভী আর বর্বরই থেকে যাবে।।
বিয়াপোক লুল ল্যাখা। কিন্তু একই সাথে দুঃখেরও।
আপ্নে ত পুরা ফাডায়লায়সেন। ত্য় এক্খান হাচা কথা কইচেন "পোলারা বাইডিফল্ট একটু পেটুক আর বহুগামি চরিত্রের হয়"
নিজেই মনে করেন ফাইট্টা গেছি । কথা মিছা না, নিজেরে দিয়েই তো বুঝি।
চৌধুরী মুইনুদ্দিন হারামজাদারে বোমাইতে মন চাইতেসে :।
হ্যান্ডস আপ। আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না।
আমিও স্বর্গে যেতে চাই। ডিজিটাল সোয়াব কামানোর জন্য জ্বিন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস পেজে গিয়া লাইক দিয়া আসছি। বেশি করে সোয়াব কামানোর আশায় অ্যাডমিনকে বললাম পাঁচ ওয়াক্তে পাঁচটা করে জ্বিনের পোস্ট দিতে। বানচুদ অ্যাডমিন জ্বিনের পোস্ট দেয়ার বদলে আমায় ব্যান ফরমাইয়া দিল। অন্যদিকে ইসলামী পেজগুলাতেও লাইক দেয়া মাত্র ব্যান ফরমায়। অ্যানালগ পয়েন্টের অবস্থা সুবিধার না, আজ পর্যন্ত কোন দাস-দাসীকে আজাদ করতে পারলাম না। আবার ডিজিটাল পয়েন্টও কামাইতে পারতেছি না।
আমার স্বর্গে যাওয়ার উপায় কী কত্তা?
আমারে দুইটা অ্যাকাউন্ট ব্যান মারছে। অনেকদিন আগের খোলা একটা অ্যাকাউন্ট ছিল, ইউজ করতাম না। জ্বিন জাতি নিয়ে জানার জন্যে অ্যাক্টিভেট করলাম সেইটাও ব্যান মারছে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
"জ্বিন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস" একটা জিনিস। আমার দিনের বড় সময় কাটে ওইখানে। তবে আপনার জন্য অর্ডার দিয়ে নতুন স্বর্গ বানানো লাগবে। আপাতত আপনের ভবিষ্যৎ আমার মতোই অন্ধকার
জ্বিন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস কোন পেজ? আমি তো দেখি নাই। আমি লাইক দিলে আমাকে ব্যান করবে না মনে হয়
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
https://www.facebook.com/Jin.Jatir.Itihas?fref=ts
কী কইলেন? আপ্নের জান্নাতের আশা শেষ। যান একখান লাইক মাইরা আসেন। তবে বেশি রিভার্স খেইলেন না। আমি রিভার্স খেলতে গিয়া ব্যান খাইছি।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমি তো আগে থেকেই ভালো হয়ে গেছি, খাচড়া মাচড়া কথা এখন আর বলি না। কিন্তু তারপরেও আমার সহি ভাষায়, শুদ্ধরূপে একেবারে হসন্তস সহকারে পরওয়ারদেগারের অপার মহিমা জানিয়ে করা সবগুলি মন্তব্য ডিলিট মারছে। শুধু তাই করেই ক্ষান্ত থাকেনি এডমিন জলিলের পো, আমারেও ডিলিট মারছে। তারপরে, আমি কান্নাকাটি করে এডমিন বরাবরে মেসেজ দিয়ে বললাম যে আমি একজন বিশিষ্ট হাজী মানুষ। হজ্জ্ব করি নাই তো কী হৈছে, নিয়ত করছি। আমারে নিয়তি হাজী কৈতে পারেন। আর আমি বায়তুল মোকাররমের হুজুরের কাছে তওবা কৈরা, পাপীতাপী রাহা ছাইড়া ভালো হৈয়া গেছি। আমারে জ্বিনের পেজে যোগদান করে দোজাহানের অশেষ নেকি হাসিল করার সুযোগ দিন। সব পোস্টে লাইক্স দিছ মাইরা ফাডায়ালামু অর মায়রে বাপ!
এই মেসেজের পর এডমিন হুমুন্দির পুতে আমারে তো যোগদান করেই নাই, উল্টা ব্লক ফরমাইয়া দিছে!
আমার স্বর্গপ্রাপ্তির সিস্টেম কী এখন, মাননীয় হেভেনগুরুর কাছে সবিনয়ে জানতে চাই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনের ভবিষ্যতও অন্ধকার, আশা ক্ষীণ। উপযুক্ত হাদিয়া দিলে বিকল্প রাস্তায় চেস্টা করতে পারি।
খুব চমৎকার কথাটা। মন ছুয়ে গেল।
আমার খুব প্রিয় একজন গায়ক ছিলেন, রনি জেম্স ডিও। উনার একটা কথা আমার অনেক পছন্দ এবং এখনও বিশ্বাস করি। সেটা হলঃ "স্বর্গ এবং নরক এর আগে আসে ঈশ্বর আর শয়তান। এরা দুজনেই আমাদের অন্তরের একদম ভেতরে বাস করে। আমরাই ঠিক করি আমরা এই দুই জনের কোনজন হব আর এই দুই জায়গার কোথায় থাকবো"।
কোন গানটা নাম বলেন তো
এটা কোন গানের কথা না, ভাই। একটা ডকুমেন্টারি আছে, "মেটালঃ আ হেডব্যাঙ্গার্স জার্নি"। ওইটাতে ধর্ম, সভ্যতা, নারীবাদ, যৌনতা ইত্যাদি নিয়ে রক মিউজিকের কিছু দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলা হয়েছে। ধর্ম বিষয়ে ডিও একথা বলেছেন।
দেখলাম ডকুমেন্টারিটা । ধন্যবাদ
'স্বর্গ' এক সময়ে খুব সমৃদ্ধ, স্বাস্থ্যকর, আনন্দপূর্ণ স্থান ছিল বটে। পরে নানাবিধ কারণে বিশেষ করে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে স্থান সংকুলানের অভাবে বিসৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে তেত্রিশ কোটি দেবতা। এ কারণে বহু যুগ আগেইতো অনেক দেবতা ভারতবর্ষে চলে এসেছিলেন।
তারপরও, বলছেন যখন, স্বর্গের ভিসার আবেদনটা না হয় করেই রাখি। ভিসা পেলেই যে যেতে হবে এমনতো কোন কথা নেই। ভিসা পেলে তখন না হয় দেখে,বুঝে,শুনে........
লেখা উমদা হয়েছে। চিত হয়ে নিশ্চিন্তে শুয়ে থাকুন।
চিত হয়ে নিশ্চিত জীবনেই আছি। তবে মাঝে মাঝেই উপুড় হয়ে যাওয়া মানুষগুলোকে দেখি। কখনো নিজেকে স্বার্থপর মনে হয়, কখনো সৌভাগ্যবান।
সবাই বলে, হিন্দুধর্মে তেত্রিশ কোটি দেবতা, একটু রেফারেন্স দিন না?
সত্যি বলতে কি, আমি অন্তত কোথাও তেত্রিশ কোটির নিদর্শন পাইনি। যেটা পেয়েছি, সেটা হচ্ছে, কোন বিষয়কে মহিমান্বিত করতে অতিরঞ্জনের একটি প্রবণতা। এখানে দেখুন, রাম, পনের বছর বয়সে সীতাকে বিয়ে করলেন, সাতাশ বছর বয়সে বনে গেলেন, বিয়াল্লিশ বছর বয়সে অযোধ্যায় ফিরে রাজা হলেন তারপর একাদশ সহস্র বছর রাজত্ব করলেন। এই একাদশ সহস্র থেকে সহস্র শব্দটি বাদ দিলে মনেহয় বিশ্বাসযোগ্য হয়। এরকম উদাহরণ আরও আছে। আমাদের সংস্কৃতিতে একটি বিষয় আছে, আমরা যখন কাউকে আশির্বাদ দেই, হাজার বছর বাঁচো। শতপুত্রবতী হও, ইত্যাদি। ঋকবেদের ৩য় মন্ডলের ৯ম সুক্তের ৯ম ঋকের বাংলা অনুবাদ,"তিন সহস্র তিনশতত্রিংশৎ ও নব সংখ্যক দেবগণ......" (৩/৯/৯) টীকা : ৩৩৩৯ দেব সম্বন্ধে সায়ণ বলেছেন, দেবতা কেবল তেত্রিশ জন; ৩৩৩৯ সংখ্যা তাঁদের মহিমা মাত্র। (ঋগ্বেদ-সংহিতা, রমেশচন্দ্র দত্তের অনুবাদ) বেদে কিন্তু তেত্রিশ জন দেবতার নির্দেশ পাওয়া যায়। 'তেত্রিশ কোটি' এখানেও সেই অতিরঞ্জন। তেত্রিশ কোটি থেকে কোটি শব্দটি বাদ দিলে একটা মিমাংসায় আসা যায়। আমার জ্ঞানের পরিধি অত্যন্ত সীমিত। তাই কোন সিদ্ধান্তে আসা ঠিক হবেনা।
উইকিমামু কৈতেছে ৩৩ কোটি হৈল অসীম সংখ্যার মেটাফর। এদিকে পাইলাম ৩৩ কোটি হইল আত্মা অর্থে, সকল জীবিত বস্তুই দেবতা কারণ ভগবান আমাদের ভিতরেই আছে। এই মতের আরেকটু ক্ল্যারিফিকেশন পাইলাম যে প্রাচীনকালে ধরা হইছিল যে মোট প্রাণের সংখ্যা ৩৩ কোটি, সুতরাং সকলেই ভগবান অর্থাৎ সবার মাঝেই ভগবান এইটাই ৩৩ কোটির অর্থ। সংখ্যা হিসাবে ৩৩ কোটি নাম খুইজা পাওয়া সম্ভব না।
প্রসঙ্গত, কিছু বাউল গানেও এই আমি=ভগবান জিনিসটা আসেঃ
"হাসন রাজায় জিজ্ঞাস করে কানাই বা কোনজন, ভাবনা চিন্তা কইরা দেখে কানাই যে হাসন"
"যার ঘড়ি তৈয়ার করে সে লুকায় ঘড়ির ভিতরে"
"আপন ঘরে কে কথা কয় না জেনে আসমানে তাকায়। লালন বলে কেবা কোথায় বুঝিবে দিব্যজ্ঞানে, কেন জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা দেখায় আসমানে?"
অফ-টপিকঃ আমরাই ভগবান এইটা মনে হয় ইসলাম ধর্মে খাটে না, সেইখানে আল্লা আমাদের সাথেই কিন্তু আমরা না। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার স্যাপার।
..................................................................
#Banshibir.
তেত্রিশ কোটি সংখ্যাটা বোধহয় ভবিষ্যত দেবদেবীদের নিয়ে। মনসা , শীতলা , বুদ্ধ, মহাবীড় , চৈতন্যদেব , শ্রীরামকৃষন, বিবেকানন্দ , রবিঠাকুর তালিকা ধীড়ে ধীড়ে প্রসারিত হচ্ছে। মৈত্রেয়ী বা কল্কিতে গিয়ে তেত্রিশ কোটি সম্পূর্ণ হবে হয়ত। -চম্পা
চরম হয়েছে ভাই, ফেসবুকে দেখলাম শেয়ারে শেয়ারে অস্থির হয়ে যাচ্ছে।
আচ্ছা এই লেখা শেয়ার করলে কি তাড়াতাড়ি নরকে যাওয়া যাবে?
নুরুজ্জামান মিলন
আবার জিগায়। শেয়ার করা মাত্রই হাইওাইয়ে টু হেল।
এই লেখাডা একটু নাফিস ভাইরে ড্যাডীকেট কত্তেন, কত্ত খুশি হইত দেশ ও জাতির এইরকম বিশাল পুটু মারার পরে
লেখায় প্যাট ব্যাথা হইয়া গেল হাসতে হাসতে
নাফিস এর ব্যাপারে কিছু ব্লার নাই আসলে। যদি এমন হত, যে সে নিষ্পাপ, ফেঁসে গেছে তাহলে এক কথা । কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে এখন পর্যন্ত সেরকম মনে হচ্ছে না।
ব্যাপারটা এমন হয়েছে যে, চার্লস একটু ছুঁয়ে দিলে মইন উদ্দিনদের ধর্ম সহি হল। ভণ্ডামি যে কত প্রকার হতে পারে, তা এদের না দেখলে বিশ্বাস করা যায়। এদের স্বর্গ আসলে পরকালে না, রয়াল ফ্যামিলিতে বাঁধা পড়ে আছে। কবির কথা কত যে সত্য! স্বর্গ আসলেই পরকালে নেই, এর অস্তিত্ব এখানেই, মইন উদ্দিনরা স্বর্গে বসে নরকপ্রাপ্ত নাফিসদের ধ্বংস হয়ে যাওয়া অবলোকন করছেন!
উদাস ভাইয়ের লেখার কথা আর নতুন করে বলার মানে হয় না। গ্রেট এনজয়মেন্টের সাথে গ্রেট লিসনের যে রম্য জগত, তাতে আস্তে আস্তে উদাস ভাই অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছেন।
এনজয়মেন্টের সাথে গ্রেট লিসনের যে রম্য জগত, সেখানে আমার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে এই জ্বিন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস পেজ
****************************************
চরম হইসে,,, ফ্লো চার্ট আর ছবিগুলা পুরাই অসাধারণ,,,
তবে স্বর্গের ভবিষ্যত নেতার ছবিটা দেখে মেজাজটা আউলায়ে গেলো।
পোস্টে
মেজাজ আউলায়ে যাবারই কথা। কিন্তু গেলমান হিসাবে যে জাস্টিন বিবার রে দিলাম সেইডা পছন্দ হয় নাই??
হিহ হিহ.. সেইটারও জবাব নাই... এক্কেরে পারফেক্ট সিলেকশন!!
দুনিয়াদারীই ভালো।
হক কথা
চরম
মেলা লোক শেয়ার মারছে ।। তাও মারলাম
সবাই খালি পয়েন্ট এর লোভে শেয়ার মারে
কি দিয়ে দিলেন উদাস ভাই। পুরা ধাঁধার ভেতরে আছি।
সেইরম হইছে।
অমি_বন্যা
নারীদের সৎকর্মের পুরস্কারসমূহ হলোঃ
- অনন্ত যৈবন ও সুস্হ নিরোগ জীবন
- হুরদের তুলনায়ও অপরূপ রূপ
- চোখ জুড়ানো অপরিসীম সুন্দর গহণা
- র্ঝণা যুক্ত শীতল আবাস
- ছোট ছোট অপরূপ বাচ্চা খেলার সাথী
- অপরূপ সুন্দর বেহেশ্তী স্বামী
- অপরিসীম সম্মান ।
আর পুরুষের জন্য ঐরকম মিনিমাম ৭২ টা নারী!
এইনা হলো জাররা-জাররা পরিমাণ সমতার নমুনা
এই না হইলে হিসাব বরাবর।
খালি অপরিসীম সম্মান এর মধ্যে একটু ভেজাল আছে। সম্মান দিতেছি বইলা অইখানেই নিয়েও নারীকে প্যাকেট করে ফেলবে পরে।
ধুরো, লিস্টি পছন্দ হয় নাই। আমার স্বর্গের হিসাব সোজা, জানালার পাশে বসে রকিং চেয়ারে দুলতে দুলতে বই পড়বো, মাঝে মাঝে বাইরে আকাশ আর গাছপালা দেখবো, পাশে কুড়মুড়ে মুড়ি মাখা থাকবে, আর প্রিয় গান বাজবে ঘরে। ব্যস!
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
সঙ্গে রবে সুরার পাত্র, একটু খানি আহার মাত্র,
আর একখানি দলছুটের ছন্দমধুর কাব্য হাতে নিয়ে
আহ, দলছুট! কেন বেদনা জাগিয়ে দিলেন?
তবে সুরা জিনিসটা পছন্দ না, তিতকুটে একটা বিস্বাদ বস্তু।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
অসাধারণ!!!
মাঝে মাঝে ভাবি, ধমর্ ব্যাপারটা যদি পুরুষ ডমিনেটেড না হয়ে নারী ডমিনেটেড হইত তাইলে রিওআডর্ প্যাকেজ এর চেহারাটা কেমন হইত।
স্বরগের গেট এর একটা হাইপোথেটিকাল চিত্র।
'
পুন্যবান নারী ঃ হে অধিশ্বর , আমি আজিবন আপনার রিওআডর্ পয়েন্ট টোকাইসি। আমার পুরষ্কার দিন'
অধিশ্বর ঃ হে পূন্যবান নারী , তোমার জন্য দিলাম ৭২ টা গেলমান ।
অধিশ্বর ঃ নেক্স্ট --
পুন্যবান পুরুষ ঃ ( দাত কেলাইতে কেলাইতে ) হে অধিশ্বর , আমিও আজিবন আপনার রিওআডর্ পয়েন্ট
টোকাইসি। আমারে ২ ডা বেশি দিয়েন ।
অধিশ্বর ঃ হারামজাদা ।।। তুই পাবি শুধু তোর ডাইন হাত ।
'
=))
স্বর্গে মেয়েদের প্যাকেজ আমার জীবনেও পছন্দ ছিল না, হাইওয়ে টু হেল গাইতে থাকি তাই। পারলে শেষের ঐ শুয়োরটাকে মেরে নরকের রাস্তা আরো পাকা করতে চাই।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
ধুত্তুরি। আমারে দিয়া এতো গিয়ানজাম হবে না। স্বর্গে যাওন পসিবল না । আপনের লাস্ট ছবির চাচতো ভাইয়ের মতো ডালভাতআলুভর্তাডিমভাজিইট্টুআমেরআচার একলগে মাইখ্যা খায়া ঘুমায় থাকুম ঠিক করছি।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হ, সেটাই সহজ সমাধান
মুইন উদ্দিন হারামির চেহারাটা দেখে মেজাজটা গরম হওয়া ছাড়া পুরা লেখা উদাস স্পেশাল।
মেজাজ গরমই হবার কথা
প্রথমদিকে যেমন ঠা ঠা হাসতে হাসতে পড়ছিলাম শেষে এসে কুঁকড়ে গেলাম।
আপনি নমস্য
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ফ্লোচার্টটা দুর্দান্ত ভালো হয়ছে।
থিঙ্কু সজল
ঈশ্বর যদি স্রেফ মজা দেখার জন্য স্বর্গের বেনিফিট প্যাকেজ থেকে শুধু মাত্র নারী নামক জিনিসটি উঠিয়ে নেয় তাহলে কি কাণ্ড হবে? আনলিমিটেড বাফে ফুড এন্ড ড্রিংক থাকবে, কিন্তু কোন নারীসঙ্গ, কাম ইত্যাদি থাকবে না।
দম ফুটা লাইগ্যা মিত্যু হইত আরেকটু হইলে।
তারেক অণুর পম্পেই ব্রথেলের ছবি দেখে হেসে ফেলি মানুষ কত লোভী আর বর্বর ছিল এই ভেবে। পরক্ষণেই মনে হয়, এখনো সেইরকমই আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। মনে হয়, স্বর্গ কি তবে পম্পেই ব্রথেল?
অঅঅসাধারণ!!
আপনি একেকটা বোমা ফুটান আর আপ্নারে সেজদা দিতে দিতে কাহিল হইয়্যা যাই।
(কোয়াসিমোডো)
টানা তিন ঘ্ন্টা কাজ করার পর মাথাকে একটা ব্রেক দিতে সচলায়তনে ডুকে এরকম স্পেশাল একটা লেখা পড়এ মনে হচ্চে আমার জন্য় দুনিয়াই ভাল।
ইমা
ঠিক
কিছু মানুষরে সম্মান না কইরা পারা যায়না।।।
আর আপ্নের লেখা না পইড়া থাকা যায়না।।।
স্বর্গের একটা বিষয় মাথায় ঢুকে না। শুনছি কুমারী হুর/মেয়ে দেয়া হবে সেখানে অনন্তকালের জন্য। ত, যেই সেকেন্ডে নারীটি তার কুমারীত্ব হারাল, তার পরের সেকেন্ডে কিন্তু সে আর কুমারী থাকল না। ত, অনন্তকাল কুমারী পাওয়ার উপায় টা কি ? ঈশ্বর/খোদা/ভগবান/আল্লাহ কি স্বর্গে প্রতি সেকেন্ডে নারী/হুর পরিবর্তন করে দিবে ? ব্যাপারটা কিন্তু কিলিয়ার করে নাই, ঘাপলা আছে কইলাম !!
কুমারী কনসেপ্টটাই পুরুষদের বানানো একটা হারামীপনা কনসেপ্টট
আরে আপনি বলেন কি! এইখানে দেখেন, হাজ্জাজ ইবন মিনহাল (র)......... আব্দুল্লাহ ইবন কায়েস আশকারী (রা) থেকে বর্ণিত, নবী বলেছেন, '(জান্নাতে মু'মিনদের জন্য) গুণগত মোতির তাঁবু থাকবে যার উচ্চতার দৈর্ঘ ত্রিশ মাইল। এর প্রতিটি কোনে মু'মিনদের জন্য এমন স্ত্রী থাকবে যাদেরকে অন্যরা কখনও দেখেনি।'........।
হাদিস নং-৩০১৬, বুখারী শরীফ (৫ম খন্ড), ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কতৃক প্রকাশিত।
ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।
হায় হায়, আপনি বলেন কি, এইখানে দেখেন! হাজ্জাজ ইবন মিনহাল (র)......... আব্দুল্লাহ ইবন কায়েস আশকারী (রা) থেকে বর্ণিত, নবী বলেছেন, '(জান্নাতে মু'মিনদের জন্য) গুণগত মোতির তাঁবু থাকবে যার উচ্চতার দৈর্ঘ ত্রিশ মাইল। এর প্রতিটি কোনে মু'মিনদের জন্য এমন স্ত্রী থাকবে যাদেরকে অন্যরা কখনও দেখেনি।'........।
হাদিস নং-৩০১৬, বুখারী শরীফ (৫ম খন্ড), ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কতৃক প্রকাশিত।
ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।
ত্রিশ মাইল উঁচা তাম্বু দিয়া করুম টা কি??
এই মনে করেন পাশের হাইরাইজ বিল্ডিং থেইকা জানি কেউ আপ্নেগোরে কম্প্রোমাইজড পজিশনে ধইরা না ফেলে সেইজন্য উঁচা তাম্বুর সিস্টেম মনোয়।
..................................................................
#Banshibir.
কম্প্রোমাইজড পজিশন না সিনক্রোনাইজড পজিশন??
হে হে! আমি ভাই খুব সুবিধায় আছি। একবার হাবিবুর রহমান যুক্তিবাদির ওয়াজ শুনছিলাম। হাসরের ময়্দানে আল্লাহ ডাক দিলেনঃ ফাতেমা, তুমি বেহেস্তে আস। শুনে হাজার হাজার ফাতেমা বেহেস্তের দিকে রওআনা দিলেন। আল্লাহ তাদের থামালেন। বললেনঃ আমি তো তোমাদের ডাকি নাই, আমি মোহাম্মদের মেয়েকে ডেকেছি। তখন সকল ফাতেমারা এক যোগে বললেনঃ আল্লাহ, আমাদের নাম ও ফাতেমা। আমাদেরকে আপনি বেহেস্তে যেতে বলেছেন, আমরাও যাব। আপনি তো কথার বরখেলাপ করতে পারেন না। আল্লাহ এ যুক্তি শুনে সব ফাতেমা কে বেহেস্তে পাঠিয়ে দিলেন।
এবার আমার নামটির দিকে তাকান। আমার বেহেস্তে যাওয়া কে আটকায়?
কী শিখ্লেন? বেহেস্তে যাওয়ার চার নম্বর পথ্ঃ নাম রাখুন বুঝে শুনে।
এটা তো জানতাম না, আপনি তো নামসূত্রেই বিশাল সুবিধা পেয়ে গেছেন।
আল্লা যদি উল্টা দিক থেকে কাজ শুরু করে? ধরেন উনি বলল, য়্যাই নূরে আলম সিদ্দিক দোজখে যাও।
ভাই, মোহাম্মদ কী দোজখে যেতে পারে? ওখানে ফার্স্ট নেম ধরেই তো ডাকার কথা! সারনেম ধরে ডাকলেও সমস্যা নেই। সিদ্দিক তো প্রথম খলিফার উপাধি? উনি বেহেস্তে গেলে আমার ও তো যাওয়ার কথা!
কিন্তু ধরেন, আপনাকে যদি দোজখে সবাই নূরে আলম ডাকতে থাকে?
আগেই পড়েছি, মন্তব্য করা হয়নি। লেখা ভালো হয়েছে, হাসায় দিয়ে থাবড়া মারলেন, এইসব তো পুরানো কথা! নতুন কথা হলো মনটা আসলেই খারাপ হয়ে গেছে। মানুষের এই বর্বর রূপ দেখতে ভালো লাগে না। মানব প্রজাতির বিবর্তনে শারীরিক উন্নতি তো হয়েছে, কিন্তু মানসিক বিবর্তন এখনো শেষ হয়নি।
বিবর্তনে শারীরিক উন্নতি হইছে এইটাই বা ক্যামনে কন? শারীরিক উন্নতি হইলে কি আর পাইখানা আর ডাইনিং টেবিলরে একটা পাতলা পর্দা দিয়া আলাদা করে কেউ?
এই কন্টেক্স্ট-এ ডাইনিং টেবিল আর টয়লেটের পদার্থের চেহারাসুরত একইরকম, তাই হালকা পর্দাতেই কাজ চলে যায়।
মনটা আমারও খারাপ হয়েছে।
গুরু, একটা পেন্নাম ঠুকে গেলুম।
আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগলো , আপনার উত্সাহ অটুট থাকুক .. আপনার পরিশ্রম ও সাধনার জন্য ধন্যবাদ ..
স্বর্গে যাওয়ার জন্য শয়তান হওয়ার বিকল্প নেই!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
একটা প্রশ্ন, ব্যকটেরিয়া ভাইরাস এর ভবিষ্যত কি?
এইগুলান ঠিক না !! স্বর্গে ৭০টা হুরের লোভ সামলানো বড়ই কঠিন মুমিন বান্দাদের জন্য।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হাহ হাহ হোহ হোহ
প্রথমে ফ্লো চার্টে স্বর্গে জাস্টিন বিবারের ছবি দেইখা বুঝতে পারি নাই কাহিনী কি পরে টেক্সট পইড়া কিলিয়ার হইছে খ্যাক খ্যাক
"মানুষের মাঝে সুরাসুর" - আমি এটাই খাবলে তুললাম। এখোনো মানুষের উপর বিশ্বাস রাখতেই ভাল লাগে।
লেখা দারুন হয়েছে। -ঈপ্সিত/চম্পা
ধন্যবাদ ঈপ্সিত/চম্পা, আপনাদের ব্যতিক্রমি ডুয়েট লেখা খুব ভালো লাগে। কখনো সম্ভব হলে আপনাদের লেখালেখির গল্প নিয়ে একটা লেখা দিননা।
অসাধারণ ক্লাসিক লেখা ।
কাল রাতেই পড়েছিলাম,হাস্তে হাসতে শেষের দিকে এসে হাসিটা মিলিয়ে গিয়ে হতাশায় রূপ নিল
আমাকে এই কথাটা বুঝান তো, বেহেস্তে নারীদের এতো হেলাফেলা ভাবে জায়গা দেবার পরও ধর্মের মশাল জ্বালিয়ে রাখতে কেন নারীরাই এতো বেশী মাত্রায় আগ্রহী
ক্যামনে কই । কোন নারীরই এটার উত্তর দিতে পারার কথা।
লেখাটা পড়ে ভাল লাগল, শেয়ার দিলাম। মুসলিমদের বর্তমান দশা নিয়ে যেসব লেখা দেখি সেগুলি সব শেষ পর্যন্ত ইসলামের প্রতি ঢালাও গালাগালিতে পরিণত হয়, অথবা তাতে বিদ্রুপের তোড়ে যুক্তির জায়গা থাকে না। ইসলাম নিয়ে আলাপের প্রচুর সুযোগ আছে এবং বুদ্ধিমান আলাপ আস্তে আস্তে দেখবো এই আশা রাখি। কিন্তু মুসলমানরা চিন্তাশুণ্যতার যে পর্যায়ে যুগ যুগ ধরে দাড়িয়ে আছে সেটাকে এভাবে সোজাসুজি শক্তভাবে ধাক্কা দিয়ে থামাতে হবে।
''তোমরা কে কে স্বর্গে যেতে চাও?''
টিচার ছাত্রদের কাছে জানতে চাইলেন।
সব ছাত্রই হাত তুলে জানালো- তারা স্বর্গে যেতে চায়। কেবল একজন হাত তুলল না।
টিচার জানতে চাইলেন- ''সমস্যা কি? স্বর্গে যেতে চাও না কেন?''
''আম্মু বলে দিয়েছে স্কুল ছুটির পর সোজা বাসায় চলে যেতে। বাসায় না গিয়ে স্বর্গে গেলে আম্মু বকবে।'' ছেলেটি কাঁচুমাচু হয়ে জবাব দিল।
সুখের বিষয়- এইরকম নাদান, বেয়াক্কল, বেয়াকুব ছাত্রর সংখ্যা অতি নগণ্য। আমরা অতি অবশ্যই স্বর্গে যেতে চাই।
ইয়ে- মানে- উদাস দা- ভয়ে ভয়ে বলি- কবির নামটা শেখ ফজলল করিম হবে।
কবির নামটা শুধরে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। লেখায় ঠিক করে দিলাম নামটা। আর ভয়ে ভয়ে বলতে হবে কেন? আমি কি কাউকে ভয় দেখাই না মাইর ধর করি? বড়জোর আদর করে একটু রগরে দেই কাউকে কাউকে
তাইলে নির্ভয়ে বলি। কবি শেখ ফজলল করিম কিন্তু কোনভাবেই লুল নন!!
তবে সর্দার ফজলুল করিম খানিকটা লুল বটে
সবই বুঝলাম। কিন্তু এখন এত্ত কিছুর পরেও আমার কি হপে তাই বুঝতে পারলাম না
ডাকঘর | ছবিঘর
এতক্ষণে আইছেন? লোকজন পাইকারি দরে স্বর্গের টিকেট নিয়া গেল এতদিন ধরে, আর আপনের এতদিনে হুশ হইছে?
এট্টু লেট কইরা ফেলছি।
তবু বেটার লেট দ্যান নেভার। কী কন?
এইরম পোষ্ট খালি আপনেই পারেন ।
অসাধারন লেখা।।।।।।।।কিছু পরিচিত আল্লাহের পেয়ারা বান্দার সাথে শেয়ার করেছিলাম।।।।।।। দারুন অভিজ্ঞতা।।।।।।।
"অন্য ধর্মের কথা জানিনা, আমার ধর্মে করেনা বোধহয়। স্কুলে থাকতে এই প্রশ্ন করে আমার এক বন্ধু কচুয়া ধোলাই খেয়েছিল হুজুরের কাছে। মেয়েরা কয়টা হুর পাবে এইটা জিজ্ঞেস করায় হুজুর কটমট করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর বেচারাকে ব্যাপক উত্তম মধ্যম দিলেন। মনে হয় উনার স্ত্রী পরকালে বসে ৭০ টা ছেলে নিয়ে মাস্তি করছে, এই চিত্র মনের মধ্যে আসা মাত্র মাথা আউলায়ে গিয়েছিলো। "
"শিরোনামে বেহেশত লিখি নাই, স্বর্গ লিখেছি। সুতরাং তলোয়ার বের করার আগে একটু খেয়াল কইরা। বেহেশতে শুধু একটা নির্দিষ্ট ধর্মের লোকেরাই যেতে পারবে। স্বর্গ বলে দ্বারটা সবার জন্য খুলে দেবার চেষ্টা করছি। স্বর্গ বেশ জেনেরিক টার্ম, সেইসাথে নামটার মাঝে একটু হিন্দু হিন্দু গন্ধ আছে! তাই আশা করি কোন কিছু অবমাননার দায়ে পড়বো না। পড়লেও সমস্যা নাই। এই দেশে হিন্দু হ্যান্ডেল করা কোন সমস্যা না। মেরে খেদিয়ে আমরা এদের মোটামুটি সাইজে নিয়ে এসেছি। এদেশে আর যাই হোক, কখনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হবে না। এক তরফা পিডানি হবে। এক্কেবারে মাইরা হোতায়া লায়া যাবে।"
অসাধারণ ছিল
স্বর্গে যাইতে এত আজগুবি ঝামেলার কুনু দরকার নাই। আমার এক পয়েন্ট পিলান - একখান প্লেনের টিকিট কাটলেই হবে! জ্বি হাঁ! আদি ও অরিজিনাল স্বর্গে তথা গার্ডেন অফ ইডেনে যাইতে চাইলে সোজা দক্ষিণ ইরাকে বসরা প্রদেশে পার্শিয়ান গাল্ফ অর্থাৎ পারস্য উপসাগর তীরবর্তী আল-ফাও বন্দরে চলে যান। এখান থেকে একটা ধো (একধরণের সমুদ্রচারী আরবীয় নৌকা) ভাড়া করে দক্ষিণ দিকে কিছুদুর সাগরের মধ্যে চলে যান। এবার ভাড়া করা ডাইভিং গিয়ার পরে সমুদ্রে ঝাপ দিন। হ্যাঁ, ঐখানে পানির তলাতেই আদি ও অরিজিনাল স্বর্গ পাবেন! আর ইরাকে যাওয়া বেশি বিপজ্জনক মনে হলে ঐ একই জায়গায় যেতে কাছেই কুয়েতের বুবিয়ান দ্বীপে গিয়ে একইভাবে একটা 'ধো' ভাড়া করে দক্ষিণ-পূর্ব দিক বরাবর ভেসে পড়ুন এবং কিছুদূর গিয়ে একইভাবে সাগরে ঝাপ দিন। স্বগ্গে পৌঁছে যাবেন নিশ্চিত! আর যদি ঈষৎ পরবর্তীকালের রিলোকেটেড এবং বাইবেলে উল্লেখিত নব্য-স্বর্গে (আদি স্বর্গের বংশধর) যেতে চান, তাহলে বাহরাইনে চলে যেতে পারেন। কিম্বা বাহরাইনের সংলগ্ন সৌদি আরবের পূর্ব উপকূলের কিছু অংশে ঘুরাঘুরি করতে পারেন। মোদ্দা কথা, প্লেন--ট্রেন-বাস-গাড়ি-নৌকা ইত্যাদিতে চড়তে পারলেই আপনি এক্কেবারে আসল এবং খাঁটি স্বগ্গে যেতে পারবেন। নো জোকিং! কি বিশ্বাস হচ্ছে না? এই লেখাটা পড়ে দেখেনঃ http://www.ldolphin.org/eden/ ।
এখানে স্বগ্গের একটা ম্যাপ দিলামঃ
উপরের ম্যাপেরই আধুনিক চেহারাঃ
-------------------------------------------------------------
সূত্রঃ www.ldolphin.org/eden/
-------------------------------------------------------------
ডিস্ক্লেইমারঃ এখানে আমি স্বর্গ, হেভেন, গার্ডেন অফ ইডেন, নন্দনকানন ইত্যাদির কথা বলেছি। বেহেশ্তের কথা বলি নাই। ওখানে যেতে হলে আগে মরতে হবে এবং ঈমান-আক্ক্বীদার টিকিট কাটতে হবে!
****************************************
নতুন মন্তব্য করুন