তোমারা যারা শিবির কর লিখে ডক্টর জাফর ইকবাল ব্যাপক নন্দিত নিন্দিত হয়েছেন। শিবির কি জিনিস সেটা এতদিনে ডক্টর জাফর ইকবালের ভালো করেই জেনে যাবার কথা। সুতরাং তোমার যারা শিবির কর বলে সুন্দর কিছু কথা বলা মাত্র শিবিরের দুষ্টু ছেলেরা আমার সোনার পূর্ব পাকিস্তান আমি তোমায় ভালোবাসি গাইতে গাইতে লাইনে চলে আসবে, এটা কষ্ট কল্পনা। যাইহোক, কিছু অন্যরকমের মানুষ তবুও ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ায়, উলুবনে মুক্তো ছড়ায়, বাঁদরের গলায় হার পরায়, রুমাল দিয়ে কুমীরের চোখের জল মুছতে যায়, টিস্যু দিয়ে ব্যাঙের সর্দি পরিষ্কার করে ইত্যাদি ইত্যাদি। যাহোক, এই লেখাটা তোমরা যারা শিবির কর তাদের জন্য না। তোমরা যারা আম্লিগ বিনপি বা অন্য যে কোন কিছু কর তাদের জন্যও না। যারা করার তারা তো করবেই। এই লেখা বরং তোমরা যারা কিছু কর না, খালি বসে বসে ত্যানা প্যাঁচাও তাদের জন্য। আমি বুদ্ধিমান লোক, তাই উলুবনে মুক্তো না ছড়িয়ে মুক্তো বনেই মুক্তো ছড়াই। যাদের অল্প বিস্তর ত্যানা প্যাঁচানোর অভিজ্ঞতা আছে মূলত তাদের জন্যই এই লেখা। দেশ আজ এক অভূতপূর্ব আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বিপ্লবীদের ভিড়ে মিশে গিয়ে ত্যানা প্যাঁচানোর সুবর্ণ সুযোগ আজকে সকল ত্যানা মাস্টারদের। তাই ভাবলাম কিছু ত্যানা প্যাঁচানোর শিক্ষাদান করে নেকী হাসিল করি। হস্তী আকারের লেখাটি পুরোপুরি প্রাপ্তবয়স্ক ও মনস্কদের জন্য। প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় স্ল্যাং এ ভর্তি। সুতরাং আগে বাড়ার আগে সাবধান!
ত্যানা প্যাঁচানোর ইতিহাস
শুরু করি ত্যানার ইতিহাস দিয়ে। অনেক অনেকদিন আগের কথা। পৃথিবীতে তখনও মানুষের জন্ম হয়নি। ডাইনোসররা তখন আশরাফুল মখলুকাত। হঠাৎ কিছু বেয়াদব উল্কাপিণ্ড এসে দুনিয়া ওলট পালট করে দিলো। নানাদিক থেকে পুটু মারা খেতে খেতে ডাইনোসররা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। তারপর আদম আপেল খেয়ে স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হল। হনুমান ল্যাজে আগুন দিয়ে লঙ্কা পুড়ালো। রাম এসে রাবণ এর পুটু মারল, পাণ্ডব মারল কৌরবের। মুসলমানরা এসে বিধর্মীদের পুটু মারল। মোগল এসে পাঠানের পুটু মারল, ইংরেজ এসে মোগলের। হিটলার এসে ইহুদীদের পুটু মারল, সবাই মিলে মিশে মারল হিটলার এর পুটু। পুটু খালি না পেয়ে আম্রিকা মেরে দিলো জাপানের পুটু, আফগানরা আবার মেরে দিলো আমেরিকার পুটু। একসাথে অনেকের পুটু মারতে গিয়ে আমেরিকা নিজেই মেরে দিলো নিজের পুটু। এর মাঝে আবার ডারউইন এসে বিবর্তনের কথা বলে বাকিসব জ্ঞানীগুণীদের পুটু মেরে ফানা ফানা করে ফেলল।
ইয়ে মানে আমার মনে হয় ইতিহাস লিখতে বসলে এমনই হযবরল হয়ে যাবে। কি করবো বলেন? ইতিহাস লিখতে হয় সবাইকে খুশী করে। যেখানে ধর্ম আর বিজ্ঞান, আম্লিগ আর বিএনপি, জামাত আর মুক্তিযুদ্ধ,শাকিব খান আর জলিল, একসাথে মিলেমিশে একই টেবিলে আরামে শুয়ে থাকবে। যতক্ষণ না মেশিন নিয়ে সাঈদী আসে।
যাহোক মাথা চুলকে হয়তো ঘা করে ফেলছেন এই ভেবে এইসব ইতিহাস এর সাথে ত্যানার সম্পর্ক কি। আছে, আছে একটু ধৈর্য ধরুন। কি যেন বলছিলাম, ওই যে বিবর্তনবাদ নাকি সাঈদী। ইনফেক্ট কি আর ইতিহাস বলবো। সমস্ত মানব জাতীর ইতিহাস কেবল পুটু মারার ইতিহাস। এ এসে ওর মারে, সে এসে তার। কেউ কাউকে ছাড়ে না। এমনকি সম্প্রতি কারা যেন এসে এই ইসলামের বাগানের ফুটন্ত গোলাপ (কৃতজ্ঞতা- মতিকন্ঠ) সাঈদীর পুটুও মেরে দিয়েছে। এই শোকে আমরা পাঁচ মিনিট নীরবতা পালন করে, আরও পাঁচ মিনিট ধরে মহিনের ছাগুগুলির "কারা যেন সাঈদীর পুটু মেরে ছিল" এই মরমী সঙ্গীত শুনে আমাদের পরবর্তী হিস্টুরিতে যাই।
বলছিলাম বিবর্তনবাদের কথা। ডারউইন তো হাবিজাবি থিউড়ি দিয়ে মরে গেলেন। কি সব আঁকিবুঁকি করে বাঁদর থেকে মানুষ পর্যন্ত লাইন টেনে দিলেন। কিন্তু এর পরে কি? বেচারা মরার আগে আমাকে বিশেষ করে বলে গেছেন, বাবা চরম মানব জাতিকে তোমার হাতে তুলে দিয়ে গেলাম। পারলে বিবর্তনের পরের ধাপগুলা একটু কমপ্লিট করে দিয়ো। তো এখন ঘটনা হচ্ছে গবেষণা করে আমি বুঝলাম মানব জাতি এখন বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতি। বিবর্তনের ধারায় এখন তারা তিনভাগে ভাগ হয়েছে, ছাগু, বলদ আর কুম্ভীর প্রজাতি। একদল পুটু মারে, একদল খুশি মনে পুটু মারা খায়, আরেকদল খালি গায়ে রোদ লাগিয়ে ঘুমায়। ছাগু আবার মোটের উপর চারপ্রকার, বলদ তিন প্রকার। ছাগু কি জিনিস সবাই জানে। ছাগু সৃষ্টির রহস্য নিয়ে এই সাম্প্রতিক লেখায় বিস্তারিত ইতিহাস জানতে পারবেন - বাংলাব্লগাবর্তে "ছাগু" শব্দের উৎপত্তি ।
কিন্তু বিবর্তন এর ধারায় ছাগুরও যে নানা শ্রেণীবিভাগ ও যে নানা লেভেল এর অনুসারী আছে এটা সবাই জানে না। যারা ছাগুর সরাসরি সংস্পর্শে এসে জ্ঞানার্জন করেছে কিন্তু নিজে ছাগু লেভেলে যেতে পারেনি তাদের বলা হয় ছাগুগু বা বর্গ ছাগু। মূলত চালবাজ ছাগু, দুমুখো ছাগুর আর কাঠ বলদের থ্রি সাম মিশ্রণে সৃষ্টি সকল ছাগুগু সম্প্রদায় এর। যারা আবার ছাগুগুদের কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করেছে তারা হচ্ছে ছাগুগুগু বা ঘন ছাগু। একইভাবে প্রতি লেভেল এ একটা করে গু যোগ হবে।
পিউর ছাগুরা আজকাল সাধারণত আর ত্যানা পেঁচায় না। একবার ছাগু ট্যাগ খেয়ে গেলে আপনার ত্যানা পেঁচানোর দিন শেষ। Your cover has-been blown । তখন যতই মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন না কেন, প্রিয় মাতৃভূমির হচ্ছেটা কি বলে হেঁচকি পেড়ে কাঁদেন, লাভ নাই। পাড়ার দুষ্টু পোলাপান আপনার পুটু মারবে, মারতেই থাকবে, মারতেই থাকবে। যাই হোক, কিভাবে ছাগুগু প্ররজন্মের জন্ম ও বংশ বিস্তার হয় বা কিভাবে সাদা ছাগলের ঘরে কালো ছাগলের জন্ম হয় বা কিভাবে হাইব্রিড ছাগল তৈরি হয় সেটা বুঝতে Daniel Henrotin এর এই কমিক স্ট্রিপটি দেখতে পারেন।
সুতরাং এই যে এত হিস্টুরি বললাম তার মূল কারণ বিবর্তনের ধারায় সৃষ্ট ছাগুগু থেকে শুরু করে ছাগু টু দি পাওয়ার n+1 পর্যন্ত বিস্তৃত এই নতুন প্রজাতিকে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য। এরাই আধুনিক ত্যানা বিপ্লবের সূচনা করেছে। একদা এক ছাগু ল্যাদিয়ে ফেলল। নতুন কিছুনা, ছাগুর কাজ যত্রতত্র ছোট ছোট নিখুঁত গোল গোল ল্যাদা পরিত্যাগ করা। কিন্তু একদা এই ল্যাদার উপর জনৈক ছাগুর অনুসারী (ছাগুগু প্রজন্ম) কিছু সিল্কের ত্যানা প্যাঁচিয়ে সেটাকে পুটুলি পাকিয়ে হই হল্লা শুরু করে দিল, ল্যাদা নয় হে, এ তো হুজুরের সিন্নি। আর লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়লো সেই সিন্নির ভাগ নিতে। এখান থেকেই শুরু আধুনিক ত্যানা বিপ্লবের। এর পর থেকে যত ছাগু যত ল্যাদিয়ে যায় তার অনুসারীগণ সেটার উপর নানা রকমের মনোহর ত্যানা প্যাঁচিয়ে যায়। এই ত্যানা সাম্রাজ্যের আবার ক্রমোচ্চ শ্রেণীবিভাগ আছে। আপনি শুরু যাত্রা শুরু করবেন হয়তো সামান্য ত্যানা ফকির হিসেবে। তারপর ত্যানা আমির, ত্যানা রাজ হয়ে একসময় আপনি ত্যানা সম্রাট হয়ে যাবেন।
ত্যানা ১০১ (সূতি কাপড়ের ত্যানা)
এটা ত্যানা প্যাঁচানোর বেসিক ১০১ কোর্স। ত্যানার সংজ্ঞা জেনে নেই আগে। ডিকশনারিতে এরকম পেলাম -
ত্যানা [ ṭyānā, tyānā ] বি. মলিন ও ছিন্ন বস্ত্রখণ্ড বা বস্ত্র; কানি, ন্যাতা।
ত্যানার মূল কর্ম হচ্ছে ঢাকা দেয়া। কোন একটা কুকর্ম ঢাকা দিতে তার উপর ত্যানা প্যাঁচানো হয়। সুতরাং এখানে পুরো পদ্ধতিতে মূলত দুটি জিনিস সংশ্লিষ্ট। কিসের উপর প্যাঁচাবেন এবং কি দিয়ে প্যাঁচাবেন। যার উপর প্যাঁচাবেন সেতি আপনার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হতে হবে। যা দিয়ে প্যাঁচাবেন সেটা বহু ব্যাবহারে জীর্ণ কোন বস্তু হতে হবে। জলের মতই সহজ ব্যাপার। কিছু প্রচলিত কী-ওয়ার্ড শিখিয়ে দিচ্ছি আগে।
defense key word (যার উপর ত্যানা প্যাঁচাবেন) : ১৯৭১, বুদ্ধিজীবী হত্যা, যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধী অপরাধী, পাকিস্তান, পাকিস্তানি আর্মি, শাহাবাগ আন্দোলন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি, জামাত নেতা, মেহেরজান ইত্যাদি
offense key word (যা দিয়ে ত্যানা প্যাঁচাবেন) : ছাত্রলীগ, সেঞ্চুরিয়ান মানিক, ফেলানি, বিশ্বজিৎ, পদ্মা সেতু, তেল-গ্যাস-জ্বালানি সম্পদ রক্ষা স্টেরিওটাইপিং , কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ার প্রয়োজনীয়তা, বিশ্ব মানবতা,সুষ্ঠু বিচার, স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা, দুর্নীতিমুক্ত, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, বিএসএফের সীমান্ত হত্যা, রোহিঙ্গা সমস্যা, বিংশ শতাব্দীর বাস্তবতা, পুরনোকে ফেলে নতুনকে আঁকড়ে ধরা, অতীত ভুলে এগিয়ে যাওয়া, আন্তর্জাতিক মান, সহনশীলতা, ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধা, সকল মতের মিলন, মিলে মিশে এক, আত্মউন্নয়ন, সমাজউন্নয়ন (অথবা যে কোন ধরণের উন্নয়ন), আমেরিকা, সাম্রাজ্যবাদ, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ/ পুঁজিবাদ, পশ্চিমা ষড়যন্ত্র, ইহুদী চক্রান্ত, দেশকে বিভক্ত করার রাজনীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি,রিকনসিলিয়েসন, বৃহত্তর স্বার্থ, গ্র্যান্ড ন্যারেটিভ, কাউন্টার ন্যারেটিভ, বিভেদ -বিভাজন ইত্যাদি
এবারে বাক্য গঠনের পালা। খুবই সহজ "বুঝলাম কিন্তু" পদ্ধতি। বুঝলাম এর পরে defense key word বসিয়ে কিন্তু দিয়ে তারপর offense key word বসিয়ে দিন।
বাক্য গঠন পদ্ধতি - বুঝলাম (যার উপর ত্যানা প্যাঁচাবেন) কিন্তু (যা দিয়ে ত্যানা প্যাঁচাবেন)
নিচে কিছু উদাহরণ দিয়ে দেয়া হল,
বুঝলাম ৭১ এ ধর্ষণ হইছে কিন্তু সেঞ্চুরিয়ান মানিক জাবিতে কি করছে?
বুঝলাম বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার দরকার কিন্তু বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার কে করবে?
বুঝলাম পাকিস্তানি আর্মি ৭১ এ খারাপ কাজ করছে কিন্তু বিএসএফ এখন কি করতেছে?
বুঝলাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দরকার কিন্তু নিরপেক্ষতা/ আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা দরকার
ভুলে যাবেন না আপনি ত্যানা প্যাঁচাতে বসেছেন, ছাগলামি করতে নয়। সুতরাং লেজ সামলে। কিছু শব্দের বহুল ব্যাবহার থেকে বিরত থাকবেন। নইলে লেজ বেরিয়ে যাবে। বিপদজনক কিছু কী-ওয়ার্ড নিচে দিয়ে দেয়া হল।
বিপদজনক key word: আফ্রিদি, আজমল, ইমরান খান, ভাদা (ভারতের দালাল), ভাষাসৈনিক গোলাম আজম, আল্লামা সাঈদী (মেশিন সাঈদী সেফ), মতিউর রহমান নিজামি, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (বাচ্চু রাজাকার সেফ), কাদের মোল্লা (কসাই কাদের সেফ), জামাত, শিবির, ছাত্রীসংস্থা, বাকশাল, শান্তি প্রতিষ্ঠা, সৎ লোকের শাসন, আল্লাহর আইন, ফ্যাসিবাদ ইত্যাদি
যে কোন কিছুর উপর ত্যানা প্যাঁচানোর জন্য তার একটা বিপরীত বস্তু হাতের কাছেই পাবেন। যেমন পাকিস্তানের উপর ত্যানা প্যাঁচানোর জন্য ভারতকে ব্যাবহার করুন। বুরখা কে প্যাঁচাতে হলে ব্যাবহার করুন বিকিনি। বুরখার সপক্ষে সরাসরি বললে পাবলিক ধরে প্যাঁদানি দিতে পারে। তাই মিষ্টি করে বলবেন, আমি নিজেও বুরখা পছন্দ করিনা। কিন্তু খেয়াল রাখতে পোশাক নারীর অধিকার। আপনার মা বোনেকে যদি বিকিনি পরতে বাধ্য করা হয় সেটা কি আপনার ভালো লাগবে? পাবলিক নিজের মা বোনকে বিকিনিতে কল্পনা করে শিউরে উঠবে। আল বুরখা খাইরুম মিনান বিকিনি বলে আপনার সাথে একমত হয়ে যাবে। রেপকে প্যাঁচাতে হবে অসামাজিকতা, পশ্চিমা কালচারের কুফল দিয়ে। কারো ধর্ষণের খবর শুনলে বলতে হবে, অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কিন্তু আমাদের মা বোনদেরও সতর্ক হতে হবে। পশ্চিমা সভ্যতার বদ বায়ু যেন এই বখতিয়ার খলজি, শাহাজালালের পবিত্রভূমিকে নষ্ট না করতে পারে।
এবারে দ্বিতীয় আরেকটি বাক্য গঠনে আসি। এটা হচ্ছে "যদি অবশ্যই" পদ্ধতি
বাক্য গঠন পদ্ধতি - যদি (যার উপর ত্যানা প্যাঁচাবেন) অবশ্যই (শর্তযুক্ত মৃদু প্রতিবাদ)
শর্তযুক্ত মৃদু প্রতিবাদে উপরের যা দিয়ে ত্যানা প্যাঁচাবেন এর অনেক কী- ওয়ার্ড ব্যাবহার করতে পারেন। যেমন সুষ্ঠু বিচার, নিরপেক্ষ বিচার, অরাজনৈতিক বিচার, স্বচ্ছ বিচার, নিরপেক্ষ বিচার, গঠনমূলক প্রতিবাদ, ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রতিবাদ ইত্যাদি ইত্যাদি। কিছু উদাহরণ দিয়ে দেই আবার,
যদি ৭১ এ অন্যায় হয়ে থাকে, অবশ্যই তার সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ বিচার করতে হবে
যদি কাদের মোল্লা দুষ্টুমি করে থাকে অবশ্যই তাকে নিরপেক্ষভাবে একটু বকে দিতে হবে
এবারে তৃতীয় আরেকটি বাক্য গঠনে আসি। এটা হচ্ছে "আমিও আছি তবে" পদ্ধতি।
বাক্য গঠন পদ্ধতি - আমিও আছি তবে (ত্যানা মেশিনগান)
এই পদ্ধতিতে কোন ইস্যু তৈরি হলে প্রথমে কিছুদিন ঝিম ধরে বসে হাওয়া পরিমাপ করতে হবে। তারপর হাওয়ার দিক বুঝে ইস্যুর সাথে একাত্মতা করতে হবে, আমিও সাথে আছি বলে। একাত্মতা প্রকাশ করার পর ত্যানার মেশিনগান ছুটাতে হবে। এই যেমন শাহাবাগ নিয়ে বিএনপি প্রথমে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, চিন্তায় ঘুম হচ্ছিল না তরুণ ছেলেগুলো এরকম অল্পবয়সে বাকশাল হয়ে গেল দেখে। এক হপ্তা পরে এখন লাইনে এসে "আমিও আছি তবে" স্ট্রাকচার মেরে দিয়েছে এইখানে - শাহবাগ’কে স্বাগত: বিএনপি . শাহাবাগকে স্বাগত জানিয়ে তারপর ছুটিয়েছে ত্যানার মেশিনগান। একে একে শুরু হয়েছে - স্বাধীনতা পরবর্তীকালে মুক্তিযোদ্ধা ও বিরোধী নেতা-কর্মী হত্যা, এম ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী গুম, পোশাক শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম ও বিশ্বজিত দাস খুনের প্রতিবাদ, পদ্মা সেতু, হল-মার্ক, ডেসটিনি,পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারি ইত্যাদি ইত্যাদি। শেষ হয়েছে, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিচার, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু বিচার, অসহিষ্ণুতা ও নৈরাজ্য পরিহার ইত্যাদি দিয়ে। আমি এই প্যারাটা যোগ করছি আমার লেখা প্রকাশিত হয়ে যাবার পর। উপরে বিএনপির লেখাটা পড়ে আমি নিজেই কনফিউশন এ পড়ে গেলাম, হালারা আমার লেখা চোথা বানিয়ে এই লেখাটা নামায় নাই তো। নাইলে এত নিখুঁতভাবে কী-ওয়ার্ড আর বাক্য গঠন কেমনে সম্ভব!
ত্যানা ১০২ (সিল্কের ত্যানা)
এবারে বেসিক থেকে একটু এগিয়ে আরেকটু উঁচু লেভেল এর পাতলা সিল্কের ত্যানা নিয়ে জ্ঞান দেই। এই ত্যানা সানি লিওনের কাপড় চোপড়ের মতই পাতলা। খালি চোখে দেখতে সামান্য কষ্ট হয়। এই লেভেলের ত্যানা প্যাঁচাতে হলে আপনাকে কিছু ইস্যু শক্ত করে আঁকড়ে ধরতে হবে বা বিশেষ কিছু সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হতে হবে। কিছু উদাহরণ দেই।
আমার আব্বা মুক্তিযোদ্ধা সিন্ড্রোম - এটা বেশ কার্যকরী জিনিস। তর্কের শুরুতেই বলবেন, আবার আব্বা বা চাচা একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। জানি আপনার আব্বা মুক্তিযোদ্ধা না, হয়তো আলবদর। কিন্তু কি আসে যায়। আলবদরও এক রকমের মুক্তিযোদ্ধাই। উনি বাংলাদেশ এর মুক্তির জন্য না লড়ে মুসলমানদের মুক্তির জন্য লড়েছেন। সুতরাং মুক্তিযোদ্ধা হলো কিনা সেটা? এবার কথা আগাবেন। আপনার আব্বা চাচা দেশের জন্য রা টা টা টা করে গুলি করতে করতে যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু যুদ্ধ শেষে পেলেন লবডঙ্কা। দেশের এমন করুণ হাল হকিকত দেখে এখন তাই আপনারা সপরিবারে সৎ লোকের শাসন চাই, আল্লাহর আইন চাই বলে স্লোগান দেন।
কচি মেয়ে সিন্ড্রোম - এই পদ্ধতি ব্লগে বা অনলাইনে বেশ কার্যকর। আপনি হয়তো লুঙ্গি পরে খালি গায়ে ভুঁড়ি বাগিয়ে ব্লগিং বা ফেসবুকিং করে যাচ্ছেন, লোকজন তো আর আপনাকে দেখতে পাচ্ছে না। তাই নিজেকে অল্পবয়সী লাজুক আবার একটু রঙঢঙ ও করতে পারেন এরকম একজনের ছদ্মবেশ নিন। সেই সাথে আমার আব্বা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এটাও যোগ করে নিন। অনলাইনের পুরুষরা কম বেশি সবারই একটু আধটু আলু পটোলের দোষ আছে। আপনাকে বাঁচানোর জন্য অনেকেই তাদের লোমশ বুক পেতে দিবে প্রয়োজনে। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে আস্তে আস্তে লাইনে এসে দেশের সমস্যা নিয়ে আলাপ আলোচনা শুরু করুন।
রোহিঙ্গা বা বিশ্বমানবতা সিন্ড্রোম - নিপীড়িত জনগোষ্ঠী যেমন রোহিঙ্গা, ফিলিস্তিন, আফ্রিকা ইত্যাদিকে আঁকড়ে ধরতে হবে। বিশ্ব মানবতার কথা তুলে ধরতে হবে। আমরা যে কত ছোট কত নিচ মন মানসিকতার, পৃথিবীর মানুষের এত দুঃখ কষ্ট রেখে চল্লিশ বছর আগে ঘটে যাওয়া এক সামান্য দুর্ঘটনা নিয়ে পড়ে আছি এটার কথা বার বার বলতে হবে।
বিএসএফ সিন্ড্রোম - বিএসএফ এর কথা বলবেন দিন রাত। আর কিছু না, খালি বিএসএফ আর বিএসএফ। ৭১ এ পাকিস্তানী দুষ্টুরা যত মানুষ মেরে ফেলছে বিএসএফ পাখির মত গুলি করে তার চেয়ে বেশী মানুষ মারতেছে এটা সরাসরি বললে অবশ্য লেজ বেরিয়ে যাবে। আস্তে ধীরে বলুন। পাকিস্তানের উপর প্যাঁচানোর জন্য ভারতের চেয়ে ভালো ত্যানা খুব কমই আছে।
একইভাবে বিশ্বজিৎ সিন্ড্রোম, ছাত্রলীগ সিন্ড্রোম, শেয়ার বাজার সিন্ড্রোম, দুর্নীতি সিন্ড্রোম, % সিন্ড্রোম (কপিরাইট মুখফোড়) সহ আর ১০১ টি সিন্ড্রোম পাবেন আশেপাশেই। খেয়াল রাখবেন আপনি যেগুলো দিয়ে ত্যানা প্যাঁচাচ্ছেন তার সবই প্রায় সত্যিকারের ইস্যু। এই ইস্যু গুলি ত্যানা হবে তখনই যখন এগুলোকে অন্য কোন ইস্যুর উপর প্যাঁচাবেন। প্যাঁচানো ছাড়া ত্যানা নিতান্ত মূল্যহীন ছিন্ন বস্ত্রখণ্ড।
ত্যানা ১০৩ (মসলিন ত্যানা)
বেসিক ও মিড লেভেল এর জ্ঞান দেয়া শেষ। এবারে আসুন একটু এডভান্স লেভেলে যাই। যে কোন কাস্টমার সার্ভিস সম্পর্কিত চাকুরীতে প্রশিক্ষণের সময় ক্ষেপে যাওয়া কাস্টমারকে কিভাবে সামলাতে হয় সেটার একটা পদ্ধতি বলা হয়। কাউকে যদি না রাগিয়ে কোন নেগেটিভ জিনিস গেলাতে চান সেটা দুইটা পজিটিভ জিনিসের মধ্যে পুরে গেলানোই উত্তম। সহজ উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দেই। মনে করুন কাউকে বলতে চাচ্ছেন , হালায় তুই একটা আবাল। প্রথমেই ধাম করে মুখের উপর বললে মাইর খাবার সম্ভাবনা। সুতরাং শুরুতে তার প্রশংসা করতে হবে। তারপর আসল যে কথাটি বলতে চান টা বলতে হবে। সবশেষে আবার তাকে ভাল কিছু কথা বলতে হবে। সুতরাং সিকুয়েন্স হচ্ছে তেল - বাঁশ - তেল । এভাবে বলবেন -
আপনি মশাই বেশ সহজ সরল আছেন। এরকম সরল মানুষকে অনেকে কাঠ বলদ বলে। তবে সততা ও সরলতা জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ত্যানা সম্রাটরা একই পদ্ধতিতে ত্যানা প্যাঁচায়। দুটি ভাল কথার মধ্যে স্যান্ডুইচ বানিয়ে একটা ত্যানা ঢুকিয়ে দেয়। শিক্ষা গ্রহণ করতে হয় সবসময় সেই লাইনের সেরা বান্দার কাছ থেকে। সুতরাং মন দিয়ে আসিফ দি ত্যানা নজরুলের এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে লেখাটি মন দিয়ে পড়ুন - যুদ্ধাপরাধীদের বিচার
এই ত্যানা লিজেন্ড তার প্রথম প্যারা শুরু করেছেন,
৪০ বছর পর এক দুরূহ দায়িত্ব সম্পন্ন হলো বাংলাদেশে । ১৯৭৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য প্রণীত হয়েছিল বাংলাদেশে, এই আইনের অধীনে প্রথম বিচার সম্পন্ন হলো ২০১৩ সালে। এই আইন এবং বিচার দুটোই অসামান্য নানা কারণে। ১৯৭৩ সালের আইনটি ছিল একটি পথপ্রদর্শক ধরনের আইন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার বিচার রাশিয়া, পোল্যান্ড ও ইসরায়েলে জাতীয়ভাবে হলেও, স্বাধীনতা যুদ্ধকালে সংঘটিত এ ধরনের অপরাধের বিচারের জন্য জাতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা এই আইনেই প্রথম বলা হয়।
শেষ করেছেন,
যুদ্ধাপরাধের বিচারের সঙ্গে অন্যান্য ইস্যুকে গুলিয়ে না ফেললে বরং এই বিচারের প্রশ্নে আরও ব্যাপক ভিত্তিক জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা যাবে, জামায়াত-শিবিরের নাশকতাকে রাজনৈতিকভাবে দমনও করা যাবে। এ মুহূর্তে তা-ই প্রয়োজন।
কিছু আপত্তি থাকলেও মোটের উপর বেশ সুন্দর সুন্দর কথা। এবারে দ্বিতীয় প্যারায় আসুন। শুরুতেই,
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা বোঝার সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে বিচারের রায় এবং এর বিশ্লেষণ পাঠ করা। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, আমাদের দেশে রায়ের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ কমই হয়ে থাকে, যা হয় তা পড়ার মানসিকতাও খুব একটা দেখা যায় না।
বস বস , দেখেন কি সুন্দর করে বুঝলাম কিন্তু স্টেটমেন্ট মেরে দিলেন শুরুতেই। এরপর একে একে দুর্দান্ত সব কী-ওয়ার্ড এর ব্যাবহার - কোয়ালিটি, র্যাশনালিটি, যৌক্তিকতা, জেনেভা কনভেনশন, রোম স্ট্যাটিউট, ডায়ালজিক, বিভ্রান্তিকর, দুর্নীতি, অগণতান্ত্রিক, নতজানু নীতি, শেয়ার মার্কেট বা সোনালী ব্যাংক লুটপাটের মতো দুর্নীতি, ছাত্রলীগের পাশবিক সন্ত্রাস, ক্রসফায়ার, গুম, ঢালাও দলীয়করণ, ভিন্নমতাবলম্বী, তেল-গ্যাস-জ্বালানি সম্পদ রক্ষা, নিয়মতান্ত্রিক, বৈধতা, অহিংস ... উফফ আর কত বলব। অসাধারণ কাজ।
দেখেন, মন দিয়ে পড়েন। পড়ে কিছু শিখেন। আবার শেষ প্যারায় দিয়ে বিনপি আর জামাতকে মৃদুমন্দ গালিগালাজ। চমৎকার একটা নির্দলীয় আবহ তৈরি করে সুইট এন্ড হ্যাপি এন্ডিং। বক্তব্য, আমাদের সবাইকে কোন দুষ্টামি না করে লক্ষ্মী হয়ে থাকতে হবে, তাইলেই সকল সমস্যার সমাধান। অন্তরালের বক্তব্য, আব্বা সাঈদী, আব্বা আজম, আব্বা মাওলানা আযাদ কে ছেড়ে দেন, পিলিজ লাগে। যেদিন এরকম একটি আর্টিকেল লিখতে পারবেন সেইদিন বুঝবেন আপনি ত্যানা প্যাঁচানোতে পিএইচডি অর্জন করে ফেলেছেন।
এডভান্স মসলিন লেভেল এর ত্যানা প্যাঁচাতে হলে আরেকটি বিষয় অত্যন্ত জরুরী। প্রচুর ইংরেজি শব্দ ব্যাবহার করতে হবে এবং বিদেশী মনিষীদের কোট করতে হবে। আমরা দীর্ঘদিন এর ইংরেজ শাসিত জাতি। তাই ইংলিশ নাম শুনলেই বেশ রক্ত চনমন করে উঠে। আপনি হয়তো বললেন, কুদ্দুস বলেছে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। পাবলিক আপনার কথার চার আনা দামও দিবে না। কিন্তু যদি বলেন, মাইকেল এন্ডারসন বলেছেন, হেলথ ইজ ওয়েলথ। শুনে লোকে বলবে, বাহ ঠিকই তো। যেমন ত্যানা সম্রাট বলেছেন,
ডেভিড বার্গম্যান তাঁর একটি বিশ্লেষণে আযাদের পক্ষে নিয়োগ দেওয়া রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর নিরপেক্ষতা ও প্রস্তুতি নিয়েও কিছু প্রশ্ন তুলেছেন।
ডেভিড বার্গম্যান কেডা চিনেন? আমিও চিনিনা। কিন্তু না চিনলেও সমস্যা নাই। ডেভিড বার্গম্যান বলেছেন বলে কথা, আব্দুল মতিন তো আর বলে নাই। ডেভিড বার্গম্যান নামওয়ালা কেউ কি আর ফাতরা কোন কথা বলবে?
স্কুলে থাকতে ধর্ম পরীক্ষায় এরকম আকাম করতাম আমরা। ধর্ম শিক্ষক বেশ বিজ্ঞানমনস্ক ছিলেন। ইংরেজিতে একটু কাঁচা ছিলেন, তবে ভালোবাসার কমতি ছিলনা। আমরা বানিয়ে বানিয়ে কোটেশন মারতাম। ওহুদ আর খন্দকের যুদ্ধ সম্পর্কে জার্মানির সমাজ বিশ্লেষক গুটেনবার্গ বলেছেন এই, মিরাজের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ হিসেবে বিজ্ঞানী জর্জ মাইকেল বলেছেন সেই। শিক্ষক খুশী হয়ে উচ্চ নাম্বার দিতেন। তবে এই ইন্টারনেট যুগে বানিয়ে চাপা মারতে গেলে ধরা খাবার সম্ভাবনা প্রবল। বানিয়ে বলার দরকার নেই। যে কোন কিছুর উপর ত্যানা প্যাঁচাতে রেফারেন্স দেয়ার মত অনেক জ্ঞানীগুণী পাবেন আশে পাশেই। বিবর্তন এর উপর ত্যানা প্যাঁচাতে চান, স্যার ফ্রেড হোয়েল কে নিয়ে এসে Hoyle's fallacy দিয়ে ত্যানা প্যাঁচান। তিনি বলেছেন বিবর্তন নাইক্কা, সুতরাং নাইক্কা। যদিও আর শত শত বিজ্ঞানী বলেছেন, আছে গো আছে কিন্তু কি আসে যায়। পাবলিক ইংরেজি নাম শুনলেই দেখবেন আপনার দলে চলে এসেছে। একইভাবে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে ত্যানা প্যাঁচাতে চাইলে ফট করে বলে বসবেন, Nuremberg Trial এ কি হয়েছিল নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে। ভুদাই পাবলিক মাথা নাড়বে, হ্যাঁ মনে আছে বলে। দেশের ৯৯ দশমিক ৯৯৯৯ ভাগ লোক জুকারবার্গ ছাড়া আর দুনিয়ার কোন বার্গকে চিনে না। সুতরাং নিশ্চিন্ত মনে ত্যানা প্যাঁচাতে পারবেন।
সিল্ক বা মসলিন লেভেল এর ত্যানা প্যাঁচানোর জন্য আরেকটি জরুরী বিষয় হচ্ছে বিষয়বস্তু কে ডি-ফোকাস করতে হবে। কিভাবে? এই লেখাটা পড়েন - বাংলাদেশের প্রাণভোমরার নাম এখন শাহবাগ
সুমিষ্ট লেখা। বাংলাদেশের প্রাণভোমরার নাম এখন শাহবাগ। হক কথা। পুরা লেখা পড়ে এখানে কোথায় ত্যানা প্যাঁচানো হল বুঝার কথা না। মন দিয়ে পড়েন। একেবারে ক্লাসিক মসলিন ফিনফিনে ত্যানা এটি।
এখন দায়িত্ব হলো এই চেতন-ফেরাকে আইন, যুক্তি, সংস্কৃতি ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের শুদ্ধীকরণে কাজে লাগানো।
একটা মুক্তিকামী বৈষম্যহীন সমাজই ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের জাগ্রত স্বপ্ন।
এই আন্দোলনকে তাই যুদ্ধাপরাধ, দায়মুক্তি ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।
দুইবার মন দিয়ে পড়ার পর নিজেকে প্রশ্ন করেন, হালায় আসলে কয় কি? শাহাবাগে আসলে কি হচ্ছে? রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের শুদ্ধীকরণ, বৈষম্যহীন সমাজ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমার সংস্কৃতি সবই আমরা চাই, কথা মিছা না। কিন্তু এইগুলার ফাঁকে কাদের হালায় গেল কই?? রাজাকার কই? জামাত শিবির কই? এসব খুঁজতে লেখায় কিছু ওয়ার্ড কাউন্ট এর চেষ্টা করলাম।
কাদের মোল্লা - ০ বার
রাজাকার - ০ বার
জামাত - ০ বার
শিবির - ০ বার
কি বুঝলেন? কাদের কসাই, রাজাকার, জামাত, শিবির ছাড়া শাহবাগ হচ্ছে গাজর ছাড়া গাজরের হালুয়া, চাল ছাড়া পোলাও, খাসি ছাড়া কাচ্চি, পেয়াজ ছাড়া পেয়াজু, আলু ছাড়া আলু ভর্তা, ডিম ছাড়া অমলেট। মসলিনের ত্যানা কাকে বলে এবার বুঝলেন? মসলিনের ত্যানা প্যাঁচাতে হলে আপনাকে এইরকম গাজর ছাড়া গাজরের হালুয়া খাওয়াতে হবে। পাবলিকও খুশী মনে হালুয়া খেয়ে চলে যাবে। দুই একটা বেয়াদব পিচ্চি হালুয়াতে গাজর কো বলে কান্নাকাটি করতে এলে তাদের রাষ্ট্রশক্তি, সমাজশক্তি, শুদ্ধীকরণ, ক্ষমতাবৃত্ত ইত্যাদি বলে গাল পেড়ে বিদায় করে দিবেন।
এক পাগল রাস্তায় গিয়া গলা ফাটিয়ে চেঁচাচ্ছে, মানি না , মানব না। সারাদিন ধরে খালি চিল্লায়, পাবলিক এসে যখন জিজ্ঞেস করে কি মানিস না রে পাগল কিছু আর বলতে পারে না। পরদিন আবার গিয়ে চিল্লায়, মানি না মানব না। এইভাবে এক সপ্তাহ চেঁচানোর পর পাবলিক ধরে দিল ধোলাই। তখন পাগল আবার উঠে চেঁচায়, এইভাবে আমাকে ধরে প্যাঁদানি দেয়া, মানি না, মানব না। ত্যানা প্যাঁচাতে হলে আপনাকে এইরকম জোর গলায় চেঁচাতে হবে, মানি না মানব না। কিন্তু কি মানেন না সেইটাকে আস্তে আস্তে ঘোলা করতে হবে। আজই তাই শাহাবাগ গিয়ে চেঁচানো শুরু করুন, রাজাকারের ফাঁসি চাই। তারপর আস্তে আস্তে যোগ করুন পদ্মা সেতুর লুটেরাদের ফাঁসি চাই, হলমাক কেলেঙ্কারিদের ফাঁসি চাই, শেয়ার বাজার লুটেরাদের ফাঁসি চাই, ডেসটিনি-র লুটেরাদের ফাঁসি চাই, ২১ আগষ্টের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই , সাগর রুনী হত্যাকারিদের ফাঁসি চাই বিশ্বজিত হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই, , লিমন পংগুকারীদের ফাঁসি চাই , বিডিয়ার বিদ্রোহের পেছনের শক্তিদের ফাঁসি চাই , দশ ট্রাক অস্ত্র আমদানীকারকদের ফাঁসি চাই। ফাঁসি চাই...ফাঁসি চাই...... ফাঁসি চাই.................. ফাঁসি চাই.. আমি ছাড়া দুনিয়ার সবার ফাঁসি চাই।
এবার বুঝলেন বিষয়বস্তুকে কিভাবে বিষয়বস্তু কে ডি-ফোকাস করতে হয়? না বুঝে থাকলে নিচের চিত্র দেখুন। পাবলিক হয়তো আপনাকে অরে এবার থাম বলে থামাতে চাইবে। কান না দিয়ে দাবিদাওয়ার ফোকাস বড় করতে থাকুন।
যাহোক, ত্যানা প্যাঁচানোর বিস্তারিত জ্ঞান দেয়া প্রায় শেষ। যেহেতু এসো নিজে করি তাই ভেবেছিলাম হাতে কলমে কিছু করে করে দেখাই। কাজ শুরু করেছি একখানা ম্যাটলাব ত্যানামিটার বানানোর। যেখানে আপনি আপনার ত্যানা প্যাঁচানো বাক্যাংশ ঢুকালে ত্যানার একটা পরিমাপ দিবে, সেইসাথে প্যাঁচানো ত্যানা নিরাপদ কিনা সেটা নির্ণয় করে একটা লাল বা সবুজ সংকেত দিবে। আপাতত আমার ত্যানা মিটারের প্রাথমিক খসড়ার একটা ছবি দিয়ে যাই, কাজ শেষ হলেই এখানে সেটা সোর্সকোড সহ জমা দিয়ে যাবো।
Exit plan
চোর চুরি করতে ঘরে ঢুকার আগে সবার আগে পালাবার পথ দেখে নেয়। তেমনি আপনাকেও ত্যানা প্যাঁচানো শুরু করার আগেই Exit plan ঠিক করে নিতে হবে। ত্যানা প্যাঁচাতে প্যাঁচাতে পাবলিকের রোষানলে পড়ে গ্যাংব্যাং হবার আগেই পালানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কয়েকটা ইজ্জত বাঁচানোর বুদ্ধি দিয়ে দিচ্ছি।
১ জরুরী কাজে বাইরে যাচ্ছি, পরে এসে জবাব দিব - এটা ব্লগ জগতের সবচেয়ে পুরাতন এবং কার্যকরী পদ্ধতি। তর্ক করতে করতে, ত্যানা প্যাঁচাতে প্যাঁচাতে যখন ত্যানায় তান পড়বে তখন ব্যস্ততার অজুহাত দিয়ে ফুটতে পারেন। এযুগের পাবলিকের স্মৃতিশক্তি গোল্ডফিশের থেকেও কম। দুইদিন পর জনরোষ থেমে গেলে আবার পাড়ায় ফিরে আসুন।
২ আমার জ্ঞান সীমিত, সকল জ্ঞানের মালিক তিনি - এটা আধ্যাত্মিক লাইন। সকল জ্ঞানের মালিক তিনি, আমরা আর কতটুকু জানি, সবই ব্যাদে আছে, আমনে উনাত্তে বেশি বুঝেন ইত্যাদি বলে হুঙ্কার ছাড়ুন।
৩ আপনারা এত অসভ্য কেন? আপনাদের ঘরে কি মা বোন নেই? - এটা ক্রন্দন পদ্ধতি। কচি মেয়ে পদ্ধতি অবলম্বনকারীরা এই পদ্ধতিতে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করতে পারবেন। নিমিষেই আপনার পক্ষে পাবলিক সিমপ্যাথি চলে আসবে।
৪ আমি আসলে এই কথা বলে এইটা, বুঝাইনি এই কথা বলে ঐটা বুঝাইছি - এইটা আর ঐটার ফাঁকে ফেলে পাবলিককে বিভ্রান্ত করে ফেলেন। এইটা আর ঐটার গ্যাঁড়াকলে পড়ে কোনটা যে কোনটা সেইটাই সবাই ভুলে যাবে।
৫ হয়তো ভুল হয়ে গেছে, সরি - এটা শিরোনামহীন পদ্ধতি। কিছুদিন আগে গণ-রোষের মুখে পড়ে ত্যানা প্যাঁচাতে প্যাঁচাতে শেষ পর্যন্ত বলেই ফেলছেন দিগন্ত টিভিতে প্রোগ্রাম করা হয়তো ঠিক হয় নাই, ওরা দুষ্টু।
শেষ কথা
আমরা বড় দুর্ভাগা এক জাতি। এই জাতির চলচ্চিত্র জাদুকর জহির রায়হানকে মেরে ফেলে শুয়োরের দল, তারেক মাসুদকে আমরা এমনি এমনি মেরে ফেলি বাস চাপা দিয়ে। থেকে যায় মোস্তফা ফারুকীরা দিনের পর দিন বিষ্ঠা তৈরির জন্য। শহীদুল্লা কায়সারের মুনীর চৌধুরীদের মেরে ফেলে হায়েনার দল, থেকে যান সল্প প্রতিভাধর আনিসুল হক দিনের পর দিন পত্রিকার পাতায় মা মা করে বিজ্ঞাপনের ত্যানা প্যাঁচানোর জন্য। সেলিনা পারভীনকে মেরে ফেলে হায়েনার দল, থেকে যায় আসিফ নজরুলের মত বুদ্ধিবেশ্যারা দিনের পর দিন টকশো আর পত্রিকার পাতায় ত্যানা প্যাঁচানোর জন্য। মাঝেমাঝে মনে হয় পাক হানাদার বাহিনী আর তার দোসরদের যে পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশকে পঙ্গু বানানোর সেটা সফল। যে পরিকল্পনা ছিল শেকড় কেটে দিয়ে আমাদের বুদ্ধিহীন মেধাহীন অকর্মণ্য জাতিতে পরিণত করার সেটা সফল। এ জাতির বড় অংশ গলা উঁচিয়ে ছাগলের মত ম্যা ম্যা করে যাবে, আরেক বড় অংশ বলদ এর মত তাদের সাপোর্ট দিয়ে যাবে। আর আরেক অংশ আমার কি আসে যায় ভেবে কুমীরের মত ঘুমাবে।
উপরের এই কথাগুলোই লিখে রেখেছিলাম মাসখানেক আগে এই লেখার শেষ কথা হিসেবে। ভাগ্যিস এই লেখাটা তখন প্রকাশ করিনি। তাই আজকে আমার শেষ কথার পরের কথা লিখতে পারছি এখন। খুশী মনে পালটি খেয়ে এখন তাই বলতে পারছি, সকলেই ছাগু নয়। কেউ কেউ ছাগু। সকলেই বলদ নয়, কেউ কেউ বলদ। আর আমরা বাকি সবাই কুম্ভীর বটে। তবে সেই কুমীরের ঘুম ভাঙ্গলে দারুণ সব কাণ্ডকারখানা হয়ে যেতে পারে। দলে দলে কুমীর জড়ো হয়ে তারা এক একটি বাঘ হয়ে যেতে পারে। মনে হয় বাংলাদেশের সব কুমীররা জেগে গেছে আজ এই এক ছবি দেখে।
কি করতে এই চাঁদ বদন নিয়ে ভি সাইনটা দেখাতে গেছিলি ব্যাটা কসাই। এখন দেখ কিভাবে দেশের মানুষ তোর ওই ভি দেখানো দুই আঙ্গুল তোর পুটুতে ভরে দেয়। এই ছবি যতবার দেখি মাথায় আগুন ধরে যায়। মনে হয়, আইন আদালতের গুষ্টি কিলাই। এইসব ফাঁসি যাবজ্জীবনের গুষ্টি কিলাই। শুয়োরের দুই রান টেনে ধরে তাকে ছিঁড়ে দুই টুকরা করে ফেলতে মন চায়। হঠাৎ করেই তাকিয়ে দেখি এই চাওয়া আমার একার নয়, কোটি কোটি মানুষের। কি সৌভাগ্য আমার, মাত্র কয়দিন পরে দেশে যাচ্ছি। চার বছর পর যাওয়া। কত কিছু করা, কত জায়গায় যাওয়ার পরিকল্পনা। সবকিছু হবে কিন্তু সবার আগে গন্তব্য - শাহাবাগ। দেখে আসি জেগে উঠা কুমীরের দল কিভাবে ছাগলের পালকে নিশ্চিহ্ন করে।
যাহোক, লাইন থেকে বিচ্যুত হচ্ছি আবার। আপনারা ওইদিকে যারা প্যাঁচানোর, আজই ত্যানা প্যাঁচাতে বসে যান। এইরকম ত্যানা প্যাঁচানোর সুবর্ণ সুযোগ আর পাবেন না। তাওয়া গরম থাকতে থাকতে সবাই নিজের দু চারটি রুটি পরোটা ভেজে নিন। তবে মতিকন্ঠের বিশ্বস্ত খবর, শাহাবাগে রেপ হচ্ছে। সুতরাং ত্যানা প্যাঁচাতে গিয়ে যদি টুকুশ করে ন্যাজ খানা বেরিয়ে যায় আর উপুর্যুপুরি কিছুর শিকার হন তখন কিন্তু আমাকে দায়ী করবেন না।
(পুনশ্চ - কসাই এর ছবিখানা যতবার দেখি আমার মাথায় আগুন ধরে। তবে এই আগুনের প্রয়োজন আছে। পাবলিকের মাথায় আরও কিছুক্ষণ আগুন ধরার পর ছবিটা একসময় সরিয়ে দিব।)
মন্তব্য
ইডা ফালায়া গেলেন কই??
ইচ্চা চিল সবার আগে পরুম তাই ইডা রাখ্চিলাম।সরিরে দুব্বল নাই তাই আগে বলা হয় নাই।।।।
গানটা পর্যন্ত আইসা আটকায় গ্লাম বদ্দা। হাসতেই আছি এরপর থিক্কা।
পুরাটা পইড়া আবার আইতাছি।
মহিনের ছাগুগুলির বাকি গানগুলাও শুইনা দেইখেন, ক্লাসিক !
কাল্কাই হুঞ্ছি। সেইরাম ভাই !
চরম হৈসে।
এইবারের গণজাগরণ ৯২/৯৩কে ছাড়ায় গেসে বলে মনে করি। তবে ৯২/৯৩র আনদোলন না হলে ২০১৩র আনদোলনও এত বড় হতো না।
৯২/৯৩ এর সাথে এইটার অনেক পার্থক্য আছে। আশা করি এই আন্দোলনের প্রাপ্তিও নব্বইকে ছারিয়ে যাবে।
চমৎকার। তবে আপাতত বাঙালি ছাগুদের ত্যানা প্যাঁচানোতে একটাই উত্তর দিয়ে যাচ্ছি, তুই রাজাকার। এর বেশি আর কিছু বলে এনার্জি আজাইরা খরচ করার মানে হয় না।
শেষের ছবিটা দেখলেই মেজাজ খারাপ হয় ঠিক, কিন্তু ছবিটা সরাবেন না। এই আগুনের দরকার আছে। যতদিন না এই কসাইটা ফাঁসিতে ঝুলছে, এই ছবি আমাদের সবার মনে জ্বলজ্বল করুক, আমাদের লক্ষ্য স্থির রাখতে সাহায্য করুক।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
সেটাই। এদের গালি দিলে গালিও লজ্জা পায়। সেইসাথে এনার্জি লস।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
অসাধারণ,অসাধারণ, অসাধারণ...
গানটা শুনে হাসতে হাসতে জান শেষ, বড় একটা ব্রেক নিতে হইসে। এতো সুন্দর করে ছাগু পদাবলী কেও রচনা করতে পেরেছে বলে মনে করতে পারছিনা। যদিও এইটা পড়েও ছাগুরা ত্যানা পেঁচাবে, নতুন টাইপ ত্যানা। হ্যাটস অফ ওয়ান্স এগেইন।
মহিনের ছাগু রকস
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
এই পোস্টটাকে প্রজন্ম চত্বরে চলমান আন্দোলনের মেনিফেস্টো বলা যায়।
অজ্ঞাতবাস
ঠিক
কি যে বলেন , আমি তো নজ্জায়
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ত্যানা আমার ত্যানা ওগো ত্যানায় ভুবন ভরা.................................
এই লেখা একমাস লুকায় রাখার জন্য আপনের ফাঁসি চাই।
ইমো শর্ট পড়ে যাচ্ছে দেখি
দিয়া দেন রে ভাই, ফাঁসি দেন। কিছু লোকজন যেইভাবে আস্তে আস্তে দাবিদাওয়া বড় করতেছে মনে হয় কয়দিন পর বলবে দেশ বিদেশের সবার ফাঁসি চাই।
Exit Plan - এ একটা পয়েন্ট বাদ পড়েছেঃ "আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে"।
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
হক কথা, এইতার কথা একদম ভুলে গেছিলাম। কয়দিন নিজের ফেসবুক আকাউন্ট ডিএকটিভেট করে রেখে বলতে হবে, আমারে হ্যাক করে অনলাইন অফ্লাইন সব লাইনে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র চলতেছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই পর্যন্ত দুইজন আনফ্রেন্ড হলো। তারা ছিলো সিল্কী ছাগু। অত্যন্ত পিছলা, মিনমিনা, ৭ দিনে একটু একটু করে মুখোশ থেকে বের হয়েছে।
আমার বাল্য বন্ধু বিদায় করতে হইছে, "ছিলি বন্ধু হইলি এখন কেবলই মুসলমান" এই বলে।
আমিও ছোটলোকের মত গাল দিয়ে একজনকে কেটে দিসি .. অথচ তার সাথে আমার কিছু কাজ ছিল
ত্যানা প্যাচানির শেষ উত্তর , তুই রাজাকার, তুই রাজাকার।
Exactly!
এ যাবৎ কালের শ্রেষ্ঠ রচন!! ও আমারে মাইরালা!! দেশ এ আসলে একদিন আপনারে দেখতে মুঞ্চায়!! শাহবাগ এলাকাতেই আসি !
আমিও আসতেছি শাহাবাগ এই রবিবারেই ।
আপনাকে দেখার ইচ্ছা আছে-পাইলে অটোগ্রাফ নিয়ে নিব! (যদিও আপনাকে চিনি না কেমন দেখতে!)
কাঁথায় মোড়া কিউট বাবুর ছবি দেখেন নাই?
ব্যাপার না, দেখলেই চিনবেন। দেখতে একদমই বসের প্রোফাইল পিকচারের মত। এইটা তো তার রিসেন্ট ছবি।
হে হে হে, হক কথার এক কথা কইছেন নি বাউল সাব।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
লোকজন দেখি আমার চেহারা নিয়ে খ্রাপ খ্রাপ কথা বলে যাচ্ছে। আমি দেখতে অনেকটা অনন্ত জলিলের মত হেনসাম , দেখলেই চিনবেন ইনশাল্লাহ।
টম ক্রুজের আরেক্ষান প্রতিদ্বন্দ্বী!
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
থিঙ্কু
আপনার ফ্রেন্ড আছিপ সাবের ব্যাপারে আমারও একই অবজার্ভেশন ছিল।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আসিফ নামের লোকগুলা সবাই কি জন্মানোর সময়েই একটা করে ত্যানা হাতে নিয়ে জন্মায়? (ভাই সকল ভালো আসিফরা বেয়াদ্দবি মাফ করে দিয়েন )
হ্যাঁ সকল আসিফ আশিফ প্রজাতি ত্যানা নিয়েই জন্মায় মনে হয়।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
থিঙ্কু
টুইটার
অনেক ধন্যবাদ
ত্যানার কোর্স তুলনা বিহীন
এইবার তবে কোর্স করার ফি দেন
মগজ পরিস্কারের উৎকৃষ্ঠ ত্যানা।
এই ত্যানা এক কান দিয়ে ঠুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বের করলে সব পরিস্কার হয়ে যাবে। এককথায় ফাটাফাটি
বিশাল একটা স্যালুট, ব্রাদার। কী যে অসামান্য একটা লেখা! পথে-ঘাটে-হাটে-বাজারে যত প্রকার ছাগল দেখেছি, তার এমন যথার্থ ক্লাসিফিকেশন অকল্পনীয়।
কথা হলো, এই যে সবাইকে শিখিয়ে দিলেন, এখন সামলাই কীভাবে? গত রাত তো মোটামুটি পুরাটাই কাটলো 'অ্যাডভান্সড সিল্ক লেভেলের' বিদেশি ছাগুর সাথে টুঁইটারে বাতচিত করে। একটা একটা করে ত্যানার গিট্টু ছুটানো কী যে কষ্টের!! আমি শেষ পর্যন্ত "জরুরী কাজে বাইরে যাওয়া" ফেইজে নিয়ে গেলাম। এখন রাউন্ড দুইয়ে তো পারবো না, থ্যাংস টু আপনার এই পোস্ট! :'(
ভাই আমি বিদেশি দের সরাসরি আক্রমণ করি, দ্যাশ কই? আম্রিকা! তাইলে তো আর কথাই নাই, কালকে ডেভিড বারগম্যান কে আমি আর আক্কু ভাই মিলে আইক্কা বাশ দিসি, এরপর এহনও তাঁর পাছা দেখা জাইতসেনা, গেলেই আমি সরাসরি আমার বাসায় চাইট্টা কাঠাল পাতা খাবার দাওয়াত দিমু, আর জিগামু হিরে কত পেলে ডেভিডদা!! তো মাঝে মাঝে কেউ কেউ আবার নিজেরে ইন্ডিভিজুয়াল ইত্যাদী বলে তখন আমি বলি মাশাআল্লাহ, ত্য় আপনি আগে নিজের ঘর সামলান তারপর আইসেন, তারপর বলি এত যদি মানবদরদী হন তাইলে আপ্নের আম্রিকার পাসপুট টা থুইয়া আমাজনের ট্রাইবগুলার সাথে যোগ দেন, একমাত্র ওদেরই মানবাধিকার নিয়া কথা বলা শোভা পায়! ডেভিড ভাইজান এ কয় ৩০ লাখ একটা বানানো সংখ্যা, আমি কইলাম যে আম্রিকার "মানবাধিকার" পাতিহাস লিখতে গেলে আমার ৩০ লাখ মাইল লিখতে হবে!! এদের কে ভদ্রভাবে বইলা দেখসি কোন লাভ নাই! কিন্তু এদের মাঝেও মানুষ আসে, আমার আম্রিকান বস আমারে বল্ল যে সে যদি বাংলাদেশ এ থাকত তাহলে অবশ্যই আন্দোলনে যোগ দিত! এক ইতালিয়ান বল্ল যে ও ফাশির বিপক্ষে, কিন্তু সে কাদের মোল্লা সম্পরকে পড়সে, তাঁর মতে এই ধরনের লুকদের অবশ্যই ফাসি ই একমাত্র শাস্তি!
ডেভিড ব্যাটা ভালো বাঁশ খাচ্ছে লকজনের হাতে। কিন্তু কোন লাভ নাই, এই ব্যাটা পুরাই কেনা গোলাম। পেটের দায়ে শেষ পর্যন্ত ত্যানা প্যাঁচায়েই যাবে , লাইনে আসবে না। এই ব্যাটাকে লাইনে আনতে হলে আমাদের অনন্ত জলিল ভাইকে লাগবে। হেই ডেভিড, ওয়াসসাপ বলে কথা বললে যদি ব্যাটার কানে কথা ঢুকে।
জলিল ভাই ভালা লুক।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আবার জিগায়, বাংলাদেশে হিরু একটাই, জলিল ভাই । বাকি সব হইলো পলিথিন।
ডেভিড ছাগুর টুইট দেখলে রাগে কাপতে কাপতে দিগ্বিদিকজ্ঞানশূণ্য হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়। ইংরেজি শব্দভান্ডার হইতে পারমুটেশন-কমবিনেশন কইরা ঘুরেফিরে সেই একই কথা- "আমি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বলতাছি না, আমি 'নিরপেক্ষ" বিচারের কথা বলতাছি"। বিচারপ্রক্রিয়াটারে কেন অ-নিরপেক্ষ মনে হইতেছে, এটা জিগাইলে বলে "ব্যক্তিআক্রমণ করবেন না!"।
দেশী ছাগু-বিদেশী ছাগু সব ছাগুই আসলে একই ছাগু।
তাতো অবশ্যই। খদ আম্রিকায় আমি মেলা সাদা ছাগু দেখছি। খালি কথাডা ইংলিশ এ কয়, আর সবই এক। একই ভাবে ত্যানা প্যাঁচায় নানা ইস্যু নিয়ে।
এককালে কোমর বেঁধে তর্ক করতাম। এখন এনার্জি শেষ। তবে ইদানিং লোকজন যেইখানে যারে ত্যানা প্যাঁচাতে দেখতেছে সেইখানে তারে খাড়ার উপর চিপা দিয়ে দিচ্ছে দেখে মনে বড় আনন্দ পাচ্ছি।
চরম চরম চরম হয়েছে।
এরকম প্রভুখন্ড লেখা শুধু চরম উদাসের পক্ষেই সম্ভব।
থিঙ্কু শমসের ভাই।
কই গদাম করে, একটু একটু করে পেচাইছি তো
গদাম কইরা ত্যানা প্যাচাইয়া দিলেন একটা চউদা,
আমি জানি না ঠিক কোন পর্যায়ের বিশ্লেষণী ক্ষমতা আর সেন্স অফ হিউমার থাকলে এইরকম লেখা যায়। আপনার লেখার জন্য দিন গোনা স্বার্থক। একই সাথে একটা লেখা কিভাবে একই সাথে ১) গবেষণাপূর্ণ ২) ফানি ৩) উপকারী কিভাবে হয়? আমার তো ধারণা ছিল যেকোনো ২ টা মেশানোই প্রায় অসম্ভব! আপনি গুরু
অন্যদের কথা জানি না, তবে আমি জীবনেও কুমির এর মত ঘুম দিতে পারলাম না। এতো দেখেও এখনো মাথা গরম হয়। অর্ধেক জীবন চলে গেল দাত কিড়মিড় করতে করতে।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
এসো নিজে করি শুধু মাত্র শিক্ষা ও গবেষণা মূলক লেখা। পাবলিক ফান খুজে পেলে পাবলিকের দুষ, আমার কুনু দুষ নাই। অ্আ লাইনে থাকার চেষ্টা করি সবসময়
আপনাকে কী দিয়ে বানানো হয়েছিল এটা কেটেকুটে ফৈক্ষা করে দেখা দরকার আসলে।
চ্রম অমানুষিক এইসব পোস্ট যে ক্যামনে দেন!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লা হাওলা ... শেষ পর্যন্ত কি তাজমহলের মিস্ত্রীদের মত অবস্থা হবে আমার
চ্রমদা ফাডায়ালাইছেন তো! আপনাকে গুড়
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
থিঙ্কু
এইটা বাদ গেছেঃ
আপনি কি দেশে ইসলামের শাসন চান? অপশনঃ হ্যা / না, দাঁড়িপাল্লার উপরে
হ
আপনে মিয়া একটা কসাই।
অফটপিকঃ আপনের মতন লেক্তাম ছাই। ওয়ান ডে।
..................................................................
#Banshibir.
আমিও আম্নের মত লেক্তে চাই
তেনা মেটার টা আমারেও দিয়েন তো, আইজকাল ছাগু গুলা হুট হাট কইরা লিস্টে আইসা ল্যাদায় ।
পোষ্ট উচুদরের হৈচে
হ, মিটার বানানো শেষ হইলেই ডিস্ট্রিবিউট করে দিব। একটা একটা করে আর ফিল্টার করে পারিনা, ব্যাচ প্রোসেসিং করতে হবে।
পোস্ট পুড়া এভারেস্টের সমান উচা হইছে।
ভাই এমনে মেরে দিলেন!!! আহারে ছাগুগুলান.... হাসতে হাসতে আমার চোখ দিয়া পানি বাইর হইয়া গেলো!! (চুদুর বুদুরের দু:খে)
বেশী জোরে মারি নাই তো, আদর করে মারছি
গাজী টেংক গাজী টেংক গাজী টেংক?
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
পোলাপান পাঠ্যবই পড়েনা, দিনরাত খালি মতকন্ঠ পড়ে
---------------------
আমার ফ্লিকার
অডিও শুনতে পারছিনা অফিসে বসে কিন্তু লেখাটি মারাত্মক।
মাথায় ধরে যাওয়া আগুনে রাজাকারগুলোকে ফ্রাই করতে হবে।
যেমনঃ কেআরএফ-কাদের রাজাকার ফ্রাই
বাসায় গিয়ে গান শুনে দেইখেন, মহিনের ছাগু আমার ফেবারিট ব্যান্ড।
ভাই,
জীবনে অনেক ব্লগ পড়ছি। আজকের এইটাকে সেরা ব্লগের সম্মান দিয়ে গেলাম।
ঠিক আছে
..................................................................
#Banshibir.
ধুর মিয়া, কন কি!! "ডরাইলেই ডর" পড়ছেন? না পড়ে থাকলে পড়েন, তারপর বলেন।
অনেক দেরীতে দিসেন, মাগার পুরাই টাকা-পয়সা-ডলার-পাউন্ড বেবাক উশুল। আপনার সব রচনার মধ্যে এইটা সর্বশ্রেষ্ঠ।
এই প্রথম আপনার লেখার শেষে মন খারাপ হয়নাই বরং আরো ভালো হইসে।
ফারাসাত
মন খারাপ আমারও হয় নাই। এইরকম একটা আন্দোলন দেখেও যদি আশাবাদী না হয়ে মন খারাপ করে হতাশার কথা বলি তাইলে কেম্নে কি?
সেদিন এক আড্ডায় একজনের ত্যানা প্যাচানো দেখে বললাম ভাই সরাসরি একখান প্রশ্ন করি সরাসরি উত্তর দেন, ল্যাঠা চুকে যাক। আপনি কি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান নাকি চাননা? উনি বেশ অবাক করেই বলে দিলেন চাননা। ব্যাস খেল খতম। এর পরে দেশের ঘুস, দূর্নীতি, সন্তাস নিয়ে গালভরা বক্তব্য শুরু হয়ে গেল। ভাবতে অবাক লাগে !
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সেটাই। মাঝে মধ্যে মনে হয় এত কিছু শুনার দরকার নাই। "কিন্তু" বলা মাত্র ইচ্ছা করে দেই একটা ঠাডায়ে চড়, কারন কিন্তু এর পরের কথা গুলা কি বলবে লাইন বাই লাইন জানা।
চড়? আমার মুততে ইচ্ছা করে!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এই লেখাটার জন্য 'চরম উদাস'দারে চুম্মা!
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আমিও পাঠাইলাম দুইটা চুম্মা, খামে ভইরা
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে ...
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
হাসতে হাসতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। মন্তব্য পড়তে পড়তেও ক্লান্ত হয়ে গেছি। তবে, কিন্তু আমার একটা কথা বলার আছে অব্বাই আপনি এতো বস কেন?
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
ত্যানা প্যাঁচানোর একটা গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ আজকের পত্রিকাগুলোতে এসেছে। এটা শাহ্বাগ আন্দোলন নিয়ে বিএনপি'র অফিসিয়াল বক্তব্য (লিঙ্ক)।
দোহাই আপনাদের, এই ত্যানাটা মনে রাখুন। বিএনপি হেলাফেলা করার জিনিস না। এরা ১৭ বছরের বেশি সময় এদেশের শাসনক্ষমতায় ছিল, ১০ বছর প্রধান বিরোধী দল হিসাবে ছিল (আছে)। জাতীয় নির্বাচনে এদের জেতা কোন অস্বাভাবিক ঘটনা না। সুতরাং, বিএনপি আপনার সমর্থন চাইলে বা আপনার ভোট চাইলে আগে তাকে এই ত্যানা প্যাঁচানীর সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে বলুন। স্পষ্ট করে বলতে বলুন তার আসল অবস্থান কী।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পুটুর মালিকের এই লেখাটা পড়ে "এসো নিজে করি" র প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করলাম। পুটু-আবুলের তেনা প্যাচানি
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
লোকজন অনেকে আশাবাদী কথা বলে, বিএনপি নাকি একসময় জামাত ঝেড়ে ফেলে সোজা হয়ে উঠে দাঁড়াবে ইত্যাদি ইত্যাদি। এদের অবস্থা দেখে বোঝা যায় জামাতই এদের মেরুদণ্ড, সুতরাং সুদূর ভবিষ্যতেও আমি এই সম্ভাবনা দেখি না। যদি এদের ন্যূনতম রাজনৈতিক দক্ষতা থাকত তাহলে বুঝতে পারত এরকম একটা আন্দোলন থেকে সবচেয়ে বড় লাভটা তারাই নিতে পারত। যদি শুধু জামাত কে লাত্থি মেরে ফেলে দিতে পারত।
জর্জ কারলিন এর একটা কথা মজার কথা খুব মনে পড়ে। বলেছিলেন আমেরিকার রাজনীতি সম্পর্কে, কিন্তু আমাদের জন্যও এটা খুব প্রযোজ্য - আমরা যখন আইসক্রিম এর দোকানে যাই গোটা বিশেক ফ্লেভার থাকে পছন্দ করার জন্য। আর যখন ভোট দিতে যাই অপশন মাত্র দুইটা।
অসাধারন লেখা। কিন্তু হুদাই ফারুকী আর আনিসুল হক এর পুটু মারার কি দরকারটা ছিল! অবশ্য যাদের প্রাপ্য তাদের সময়ে অসময়ে একটু আধটু দেওয়া দোষের না
(ত্যানা ১০৩)
অনেকের পুটু মারতে মারতে দুই একটা এক্সট্রা পুটু মেরে ফেলেছি তারুণ্যের সাময়িক উত্তেজনায়। কিন্তু মারাটা মনে হয় দরকার ছিল
কসাই কাদেরের ভি দেখানোর ব্যাপারটা আমিও বুঝি নাই। ফাসি হলে জলদি জলদি বেহেশত নসিব হতো!
ভাবছিলাম আপনি এত চুপচাপ কেন। বসে বসে যে বোমা বানাচ্ছেন তা আগে বুঝি নাই।
অনেক গ্যাপ পড়ে গেছে আসলে। লেখাগুলা আজকাল হস্তীসম বড় হয়, তাই শেষ করতে টাইম লাগে
লেখাটা পৈড়া লেখকরে একটা স্যালুট না দিয়া থাকতে পারলাম না। চরম মজা পাইলাম।
লেখাটা শেয়ার দিলাম, যদি অনুমতি পাই।
লেখা শেয়ার দিতে কোন অনুমুতি লাগে না, নিশ্চিন্তে দেন
এইটার প্রকোপ মনে হয় সবচাইতে বেশি।
এই কোর্স করা লোকজন এর আরেকটা গুণ - ক্যাম্রা তা যে রকমি হোক দেখলেই ত্যানামোছা চেহারা সেখানে মেলে ধরা - মিস নাই
হ, সব পিছলা মাগুরের দল।
উদাস মামা অস্থির লিখেছেন। আপনার সব লেখা মন দিয়ে পড়ব।
অসাধারন ত্যানা প্যাচালী!
ত্যানাবাজগো পুটুতে এইরাম প্যাঁচাইয়া প্যাঁচাইয়া ত্যানা কুলুপ দিয়া দিলেন?
আব্দুল্লাহ এ.এম.
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ত্যানার টেকনিকও দিনকে দিন আধুনিক হচ্ছে
এখন পর্যন্ত সর্বশ্রেষ্ঠ নিজে করা। আপসুস 'পাইলাম,আমি ইহারে পাইলাম' ডায়লগটা উদাসিনী সে কোনকালে কপিরাইট করে নিল। (দীর্ঘশ্বাসের কোনো ইমো নাই )
এই মস্লিন ত্যানাটা কাল রাতে আবিষ্কার করেছি।
/notes/bokhtiar-ahmed/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%AC/10151406874914420
কই? লিঙ্কটা তো কাজ করে না
এইখানে দেখেন
যারা সকল ছাগুরে ঘেন্না করে কিন্তু নিজের আত্মীয় যেসব ছাগু তাদের ব্যাপারে সহনশীল / ঘেন্না করে না তাদের কি কোন এক প্রকার ছাগুর প্রকারভেদে ফেলা যায় ? চউদার লেখা অনেক দিন পর পাইলাম ! আই লাবিউ চউদা .
এগুলা মনে হয় একচোখা ছাগু
যা লিখলেন পইড়া হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হইয়া গেল, আর গানটাও চরম হইছে।
গানটা মহিনের ছাগু ব্যান্ডের। যারাই বানাইছে এটা, একটা জিনিস বটে।
আপনি জানেন সকালে চা খাইতে খাইতে এই লিংক চোখে পড়ার কারণে আমার ক্লাসে লেট হইসে, অ্যাটেনডেন্স পাই নাই? আপনার বিচার চাই।
দেন ভাই দেন , ঝুলায়ে দেন।
ভাবতেই ভালো লাগে এরকম প্রতিভাবান একজন ব্লগারের সাথে সপরিবারে আমরা মোরগ-পোলাও খাই, কাচ্চী খাই। প্রায়ই
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
হ্যাঁ, আর বেস্ট পার্ট হচ্ছে খাওার পরে আবার জোর করে আমার বিলটাও দিয়ে দেন
কয়েক বারে পড়লাম, হাসতে হাসতে... শেষে এসে মাথায় আগুন ধরে গেল।
পুলিশের পুটু-মারা খাওয়ার ভয়ে এক ছাগুর-ত্যানা চিবোনোর কায়দাটা দেখুন
আবেগ নিয়ে প্যাচ
কিন্তু-যদি
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
আজকে চারিদিক থেকে লোকজন আমাকে কুটি কুটি ত্যানা যুক্ত আর্টিকেল দিয়ে যাচ্ছে। আমি পড়তে পড়তে নিজেই ত্যানা হয়ে গেছি। কোনদিন যদি আমার অকাল মিত্তু হয় তবে কারন জানবেন, অত্যধিক গবেষণার চাপে মিত্তু
তাইলে আপ্নারে শহীদের মর্যদা দিমু, মোড়ে মুর্তি বানামু, আপ্নার নামে গিত-বাদ্য রচনা করুম...
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
মানুষজন তো পারলে এখনই আপনার মাজার খুলে বসে।
কালকেই পড়েছি, কী করে এমন লেখেন! অসাধারণ!!!
হাসির ঝড়ের ভিতর দিয়ে আনতে আনতে এমন করে আগুন ধরিয়ে দিলেন শেষে এসে, অতুলনীয়!!!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ময়মনসিংহের ভাষায় বললে "মাইরালছুইন ঠাইৎ" (you nailed it)
আমিও অত্র এলাকার লোক কিনা, মাইরালাইছুন, গাইড়ালাইছুন শুনে শুনেই বড় হইছি
স্বর্গের সুর ভেসে গেছে দূর উত্তাল যমুনা, পুষ্পভ্রমর অন্তরে মোর হারায়েছে ঠিকানা ..
আমি যাই বঙ্গে, কপাল যায় সঙ্গে। আমি নিশ্চিত বিএনপি হালায় আমার এই ত্যানা প্যাঁচানোর চোথা ব্যাবহার করে তাদের আজকের এই লেখাটা নামাইছে - ‘শাহবাগ’কে স্বাগত: বিএনপি
আমি আমার লেখাতেও তাই একটা প্যারা যোগ করে দিলাম ত্যানা ১০১ সেকশনে।
একমাস ধইরা পিসিতে এই লেখা ফালায় রাখসেন আর এখন কইতেসেন এই কথা?? দেখেন কোন ফাঁকে আপনার পিসি হ্যাক কইরা এই অব্যার্থ ফর্মূলা চুরি কইরা নিসে। অবশ্য ব্যাটারা যে পরিমান বদমাশ দেখেন পুনম পান্ডের একটা ফোল্ডারও কপি কইরা দিয়া গেসে কিনা; উদাসিনীর হাতে আপ্নারে মাইর খাওয়ানোর লাইগা।
ফারাসাত
নিশ্চয়ই শালারা আমার পিসি ফটোশপ দিয়ে হ্যাক করছে। ফটোশপ দিয়ে সব করা যায়, হু হু
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আরেকবার পড়লাম। আপ্নে একটা অমানুষ!
সেইটাই , সব কিছুর শুরু ব্যাটার দুই আঙ্গুল থেকে
ছবিটা দেখে আর থাকতে পারিনি , বাসা থেকেই বের হয়ে গেসিলাম । লোকটা এখন বুঝতেসে কত বড় একটা কাজ করে ফেলসে না বুঝে !
লেখা বরাবরের মতই অসাধারণ, ত্যানা নিয়া অনেক কিছু শিখে ফেলসি, পয়সা দিব না যদিও
এখন থেকে সবাইকে এভাবে প্রশ্ন করতে হবে...আপনি মানুষ না জামাত-শিবির
হ, এক্কেবারে হক প্রশ্ন
আনিসুল হক ছাড়া কেউই আপনার চেয়ে ভালো রম্য লিখতে পারে না।
@সুহান:
এটা বেস্ট
মহীনের ছাগুগুলি দেখেই বুঝে গেলাম গান শুনতে শুরু করলে আর লেখাটা পড়া শেষ করা হবে না। মন্তব্যে এসে দেখি গান পরে শুনেই ভালো করলাম।
আপনাকে নতুন করে আর কি বলবো!
কসাইয়ের ছবিটা প্রথমদিন একদম সহ্য করতে পারছিলাম না। নিউজফীডে দেখলেই দ্রুত স্ক্রল করে নেমে গিয়েছি। কিন্তু আমরা এক হয়ে জ্বলে ওঠার পর ওটা দেখলেই এখন হাসি পাচ্ছে!
আমি আর আমার পরিবার প্রতিদিন ড্রাইভ করে অফিসে যাবার সময় আর ফেরার সময় মহীনের ছাগুগুলি শুনি গাড়ির স্টেরিওতে ফুল ভলিউম দিয়ে। বিমল আনন্দ।
আপনার লেখাটি কেমন ভাল লেগেছে এটা না বলে আমি বলব বিগত ২ বছরে এমন হিউমার আমি পাইনি কোন লেখায়।
একটা আবেদন ছিল, লেখাটা যদি আপ্নার নাম সহ পিডিএফ করে আমার মেইলে এক কপি পাঠাতেন আমি এটি প্রিন্ট করে অনেক কে বিলি করতাম। প্লিজ না করবেন না
দিছি পাঠায়ে এক কপি। পরে বিলি করে পাবলিকের হাতে ধোলাই খাইলে কিন্তু আমার দোষ নাই।
সবিনয়ে আমিও এক্কপি চাই। প্রিন্ট করে ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে লাগিয়ে দিবনে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
এপিক !!!
সবই বুঝলাম, কিন্তু আপনের লেখায় গ্রিন কই?
_________________
[খোমাখাতা]
গ্রিন নাই দেখেই তো বেঁচে গেছি। লেখায় গ্রিন থাকলেই তো হালায় এসে বলত, এই লেখা নকল, ফটোশপ দিয়া লেখছি।
একটু ত্যানা প্যাচাই চ'উদা, বেয়াদপি মাফ করবেন।
ফেবু তে একটা স্ট্যাটাস পাইলাম,
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
আপনার ফেসবুকে দেখি ব্যাপক বিনোদন
জুন জুলাই এর পর চাটগাঁ এলে খোঁজ দিয়েন, ফুল টাইম স্পেশাল কাচ্চি ফ্রী
এক প্লেট বিরানি খাইতে দুই হাজার ডলার দিয়া প্লেনের টিকেত কেটে আবার ৩ মাস পরে আসুম? এইডা একটা ইনসাফের কথা কইলেন? দুইদিন পর যে আসতেছি এইডার কোন দাম নাই?
ভাই আপনের লেখা মারাত্মক বিপদজনক। অফিসে পড়লে বস যেই লুক দেয় তার বাংলা ত্রান্সলেশন হল, "দেখ! কাজ পারে না আবার কী খুশী "; বাসায় পড়লে বউ কোন লুক টুক দেয় না, ডাইরেক্ট ঝামটি দেয় "তুমি আমার সাথে তো এত হাস না, কী এমন লেখা যে এত হাস্তে হবে" ;
বউকে বলবেন,
ওগো অনলাইনে যেই আনন্দ তা কি আর অফ্লাইনে আছে।
(মাইর খাইলে কত্তিপক্ষ দায়ী নহে)
<বেশি বেশি ফাটাইন্না হইছে> তবে <আমার ইনহেলারের শর্ট পরছে> .. হাসি থামতাছেনা .. লাস্ট এর লাইনটার জন্য +১০০
- "জামাত শিবির রাজাকার ছাগু .. হেগো মুখে হাগু"
এই শ্লোগানটা জটিল হইছে
ফাডায়ালসুইন গো বাই ফাডায়াইলসুইন। আসতে আসতে প্যাডে খিল ধরাইয়ালসি! আইন্নে ম্যা এহলাই এক্কান আমান সার্কাস পার্টি।
সব মমিসিঙ্গা লোকজন দেখি একজোট হইছে
এনরোলমেন্টের আগে দিয়া আপনার লেখা পড়া শুরু করসিলাম, অর্ধেক অবস্থায় ডাক আসছিলো, এসোসিয়েট ডীনের সামনে ফ্যাক ফ্যাক করে হাসি থামাইতে পারি নাই দেখে আমাকে আনপ্রফেশনাল বলছে। এইটা পুরা আপনার দোষ! এমন দোষ বারবার কইরেন।
হাসেন কেন জিজ্ঞেস করলে ব্লবেন, স্যার ভিত্রে সিল্কের জামা কাপড় পরে আছি তো তাই সময় অসময়ে সুড়সুড়ি লাগে
গুরু আপ্নে একটা অমানুষ।
কালকেই পড়ছি, গড়াগড়ি দিয়া হাসতে হাসতে সচল থেকে বের হয়ে গেছি।
একদম ঠিক কইছেন। ত্যানার অত্যাচারে এখন কেউ ত্যানা প্যাঁচানো শুরু করলেই মন চাই জুতা মুছার ত্যানা এনে মুখে ঠুসে ধরি।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আমি নিজেও ত্যানার অত্যাচারে অতিস্ট হ্যেই লেখাটা লেখছি
আপনার পায়ের ধুলো মাথায় নিমু পরেরবার দেখা হলে...
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমার পা পরিস্কার , কুনো ধুলাবালি নাইক্কা
হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে গেল। চরম বিনোদন ...........
অচাম হইসে ।
নতুন এক দেখলাম । কোন প্যাঁচে পরলে ৩ দিন পর আইসা কই “ল্যাবে খুব ব্যস্ত ছিলাম তাই ফেসবুকে ঢুকা হইনি। তোমার প্রষনের উত্তর দিতে দেরি হউয়ায় দুঃখিত।“ মনে হয় তাগোর কোন বড়বাপের কাস থেইকা পরামর্শ নিয়া তারপর উত্তর দেয়।
হ্যাঁ হ্যাঁ, এইটা অনেকটা জরুরী কাজে বাইরে যাচ্ছির মধ্যেই পরে। মহা ব্যস্ত সিন্ড্রোম
ভয়ে ভয়ে একটু ত্যানা প্যাচাই,
youtube খুলে দেওয়ার দাবী করা যায় কিনা প্রজন্ম চত্ত্বর থেকে?
সরকার কে কোন ভাবে একটু চাপ দিলে Ban উঠাইয়া নিতে পারে। এখন-ই সঠিক সময় ।
(EXIT PLAN 5)
হ, এইটা হচ্ছে পু সিন্ড্রোম
যেই দেশে youtube নাই সেই দেশে আবার রাজাকার এর বিচার কেম্নে?
"গেস নাই পানি নাই" পার্টি
প্রিন্ট দিয়ে নিলাম।
আপনার লেখা আমজনতাকে না পড়ালে চলবে কেমনে?
নেন, সমস্যা নাইক্কা
বিদেশ-বিভুঁইয়ে এত হরেক রকমের তেনা পাইলেন কই ?
জুত হইছে।
বডি বিদেশে, মনতো দেশেই আছে বস
^:)^
আপনার লেখার জন্য অপেক্ষা করে থাকি, সচলে আপনার সব লেখাই পড়েছি, তবে সময়োপযোগীতার সাপেক্ষে এটাই সম্ভবত আপনার সেরা লেখা।
থিঙ্কু
বাঁধাই করে রাখার মত লেখা। আপনি নমস্য।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
তাও ভালো আমারে বাঁধাই করার কথা বলেন নাই।
লেখা ভালো হইছে, কিন্তু মহান ইসলামী চিন্তাবিদ আব্দুল কাদের মোল্লার ছবি দেখলে আপনার রক্ত গরম হয়ে যায় কেন? সানী লিওনির প্রসঙ্গ যখন আসলো তখন তো গরম হন্নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বুঝেনইতো
কাদের কসাই অদ্ভুত
ওরে ... জটিল ছবি হইছে
অসাধারণ লাগলো রে ভাই। আসলেও এরকম ত্যানা দেওয়া লেখা অনেক পড়েছি। কিন্তু এরকম গুছিয়ে লেখার তো যোগ্যতা হয় ই নি, তার মধ্যে আবার হিউমার ঢুকানো তো আর কঠিন ছিল। নামটা একেবারে মচৎকার--ত্যানা!!!
থিঙ্কু
আর কুনো কতা নাই। দ্যাশে আসেন। আপ্নের্লিগা আমার তরফ থিকা তিন দফা স্টারের কাচ্চি, আর রয়েলের বাদামের শরবত।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
অক্কে, মনে থাকে যেন। আইতেছি একদিন পরেই
ওস্তাদ, এই লিখা আর পড়তে পারবো না। হাসতে হাসতে হার্টএটাক হওয়ার যোগাড়। মাফ চেয়ে গেলাম বস।
চউদা, আপ্নের এই পোস্টটা লিখে ত্যানার ব্যবসার বারোটা বাজায় দিলেন। এখন সোজা আপ্নের পোস্টের লিঙ্ক ধরায় দেই।
ধরায়ে কি লাভ হয় কোন? পাবলিক তো মনে হয় গরম গরম চোথা পেয়ে আর নতুন উদ্দমে প্যাঁচানো শুরু করবে।
আবার আসলাম। টুইটারে ছাগু গুলারে রিভার্স তেনা থিওরী এপ্লাই করে শুধু তেনা না ডাক্ট টেপ দিয়ে পেচাইতেছি। ব্যাপক আনন্দ। ভাব্লাম গুরুকে সালাম ঠুকে যাই ।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
পেঁচান পেঁচান ভালো করে পেঁচান।
খুব ভাল লিখেছেন।ণাণা রকমের ।
ক্লাসে লেকচার নেয়ার মত করে খাতায় টুকে রাখলাম। শ্রেনীবিন্যাস মুখস্থ করা জরুরী বলে মনে করছি! সেই সাথে গুরুত্বপূর্ণ ত্যানা প্যাচানো ফরম্যাট গুলোও দখলে আনতে হবে।
লেখাটা পড়ে মনে পড়লো, ফেইসবুকের ফ্রেন্ডলিস্টে ডীপ ক্লিনসীং চালাতে হবে। স্বেচ্ছায় কেউ লেজ বের করছে না! আপন্যার ম্যাটল্যাবের লিঙ্কের অপেক্ষায় আছি!
লেখার জন্য
সমস্যা নাই, মিটার পুরাপুরি খাড়া হইলেই জানায়ে দিব।
আপনি টো েদখি ত্যানার প উপর পোসট ডোকটরেট কোরে ফেলসেন
হ
ঈয়াসীন
তুই রাজা( কার) নেংটু
দেশপ্রেম এর এক লেবাস পড়ে ছিলেন রাজা বেশ,
নতুন লেবাস দিতে হবে গায় এখন সময় শেষ।
এখনি সময়, পাল্টাতে হবে নাহলে যে আছে ভয়,
পাছে লোকে সব দেখে ফেলে, আর তুই রাজা(কার) কয়।
কোথায় পাব এমন পোশাক যা কিনা মানাবে গায়,
সবার গায়ে মলিন পোশাক, আমাকে কি শোভা পায়।
চেয়ে দেখি আজ আশে পাশে যারা পরে আছে সাধারণ,
দেশপ্রেমের এক পুরাতন পোশাক , যত আম জনগণ।
রাজা সেজে আমি , আমি খুবই দামী, রাজার পোশাক চাই,
যত লোক হাবা, দেবে মারহাবা,আহা এর জুড়ি নাই।
হঠাত মাথায় এলো আইডিয়া সেই পুরাতন বর্ম,
নতুন মোড়কে পরে যাই যদি, পোশাকের নাম 'ধর্ম'।
পোশাকের গায়ে শত জোড়াতালি , গায়ের থেকে পড়ে যায় খালি
এ দিয়ে হবেনা কাজ,
জনগণ যদি দেখে ফেলে দেহ, ধর্মাবতার ভাবিবে না কেহ
ঢাকিবে না তব লাজ।
একদা সকালে, উঠে দেখি ভালে,কি বড় সুসংবাদ,
নতুন পোশাক পেয়ে গেছি, আর সমস্ত কিছু বাদ।
এপোশাক টা ভারী আধুনিক আর কতনা তুলনাহীন,
পরতে পরতে পঙতি'র মত জুরিয়াছি মসলিন।
সুষ্ঠু বিচার,আইনের শাসন, মনটা আমার করে চনমন,
পোশাকের গায়, জুড়ে দিয়ে তায়,ভাবে মসলিন যেন শোভা পায়,
দেখতে হয়েছে বেশ।
আরো কত জাদু আছে এই বেশে, গনতন্ত্র তার সাথে মেশে,
যুদ্ধাপরাধ এই সব বাদ, অতীতের ভুল বড় বিস্বাদ,
মসলিন এর নাই কোনো শেষ।
এপোশাক দেখে ভুলে যাবে সব,থেমে যাবে সব জনকলরব,
আশেপাশে যত হয়ে যাবে হাবা, সব ভুতে তাই দেবে মারহাবা,
একই সুরে সব গেয়ে যাবে গান, হয়েছে এটাই আন্তর্জাতিক মান,
আর কেউ দেখবে না কুত্সিত বক্ষদেশ।
খুবই মসৃন পোশাকের সুতো, দেবে না ভাবনার কোনো কাতুকুতু,
অবশ্য, তবে,কিন্তু আর যদি, সুতোগুলো যেন ফল্গুর নদী,
নিখুত পোশাক, মলিনতার নাই লেশ।
নতুন পোশাক পড়ে তাই রাজা বাহির হলেন পথে,
সভাসদ সব করে কলরব , বলে যায় একমতে।
পোশাকের গুন, কতনা দারুন,আজব পোশাক ভারী,
ভাবে পাবলিক, দেখছে কি ঠিক? তুব গুনগান গায় তারই।
এমন সময়, শিশু দেখে কয়, রাজার পোশাক কোথায়?
তুই রাজা(কার) ,বলে ওঠে তাই, নেংটু তো দেখা যায়।
হাসির বন্যা বয়ে গেল, এই শুনে চারিদিক,
রাজা(কার) বলে, বলে সক্কলে, দিয়ে যায় শত ধিক।
ভাবে রাজা শেষে, এই রাজা(কার) বেশে , চলবে না আর ঠিক,
মতুন পোশাক বুনতেই হবে, বুঝবে না আর পাবলিক।
ভেবে ভেবে সারা, পায়না কিনারা, সময় পেরিয়ে যায়,
জনগণ জাগে, নতুনের ডাকে, রাজাদের কি আসে যায়।
কন্ঠস্বর
তেনা পেছানো বুদ্ধিবেশ্যা দের উদ্দেশ্যে
কবতে ভালো হইছে
এই লেখাটা যে কী কাজে আসতেসে! কেউ ফালতু কমেন্ট করলেই শেয়ার দিয়ে দিই আর মনে মনে হাসি।
ধরায়ে লাভ নাই, কোন উন্নতির সম্ভাবনা দেখি না। যে প্যাঁচানোর সে পেঁচাবেই
কত বছর পর আমি সচলায়তনে সাইন ইন করলাম শুধু আপনার লিখাটা পড়ে মন্তব্য করতে। বস কি যে একটা জিনিস দিছেন! সারাজীবনে যদি আর কোনদিন কিছু নাও লিখতে পারেন আফসোস কইরেন না।
আমি আপনার ব্যাপক ফ্যান হইলাম। বিপ্লব দীর্ঘজীবি হউক
মেঘ
আপনি তো মনে হয় অনেক পুরনো ব্লগার। কমেন্ট পেয়ে ভালো লাগলো। লিখেন না কেন এখন? শেষ লেখা তো দেখি ৪ বছরে আগে। এক বার যখন সাইন ইন করে ফেলছেন আবার লিখা শুরু করেন। আপনার কিছু কবিতা বেশ ভালো লাগলো।
এফোড় ওফোড় করে দিছেন বস! এমন বিশ্লষণ বোধ করি আর কেউ করে নাই। বুলস আই।
বস, আপনার সাথে শীঘ্রই দেখা হচ্ছে এটা ভেবেই আনন্দিত। একসাথে শ্লোগান চলবে...........
(নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রতি দুর্বলতা এক ধরণের সিন্ড্রোম। এইটা কিছু ক্ষেত্রে আমার আছে। স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি-গ্রাম-দেশ কেন্দ্রিক দুর্বলতা। কাটায় ওঠতেছি ধীরে ধীরে। মুখার % সিন্ড্রোম দ্রষ্টব্য আর কী।)
_____________________
Give Her Freedom!
হ্যাঁ, রবিবারেই মনে হয় চলে আসব শাহাবাগ।
ভাই এই কদিন এই কদিন ছাগুদের কথার জবাব দিতে দিতে যখন টায়ারড তখনই আপনার এই লেখা নির্মল আনন্দ যোগাল।
ভাই সাদা কে সাদা বলতে আর কালো কে কালো বলতে যাদের ব্যাপক প্রব্লেম তারাই সবকিছু নিয়ে ত্যানা প্যাঁচাতে অতিমানবিক সুখ পায়। ধন্যবাদ এই আক্ষরিক যুগান্তকারী লেখা লিখার জন্য। অনেক কষ্ট কমে গেলো আজাইরা ছাগুদের সাথে কথা খরচের।
বরাবরের মতই অসাধারণ।
গানগুলা বেশি দারুন!!!
হিহিহিহিহিইহিহিহিহি।
লিখাটা খুব মঝা
আমিও আজ এই রকম একটা ত্যানা পেঁচানো মজার স্ট্যাটাস দেখে নিজেও শেয়ার করলামঃ
"ব্লগারদের ফাঁসি আমিও চাই কিন্তু তা হতে হবে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের। তাছাড়া ব্লগারদের ফাঁসি দিলেই কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? আপনারাই বলেন! এই যে দেশে এত এত সমস্যা… সীমান্তে সমস্যা, সাগর-রুনী হত্যা, বিশ্বজিৎ, শেয়ার বাজার, ডেস্টিনি, হলমার্ক, পদ্মা সেতু, আমার বাড়িতে তেল নাই, ডাইলে নুন হয় নাই, বাথরুমে পানি নাই, মর্জিনার বিয়া হইতেছে না, রুস্তম চাকরি পাইতেছে না - এগুলার সমাধান কী ব্লগারদের ফাঁসি দিলে হয়ে যাবে?? জামাত ও তার সমমনা দলগুলির বিক্ষোভ মিছিলে আমিও যেতাম যদি তারা ব্লগারদের পাশাপাশি দেশের এইসব সমস্যার কথাও বলতো। কিন্তু তারা শুধু ফাঁসি চায়, জবাই চায়। এভাবে কি সবকিছু পাশ কাটিয়ে আন্দোলন করা সম্ভব? আবার শুনলাম জামাত-শিবির নাকি মসজিদে আগুন দিচ্ছে, মসজিদের ইট-টাইলস ভেঙ্গে ঢিল ছুঁড়েছে, পকেটে ককটেল-বোমা নিয়ে নামাজে দাঁড়িয়েছে, কোরান শরীফ পুড়ানোর প্ল্যান করছে, নিরীহ হকারের দোকানে আগুন দিয়েছে- এসব জানার পর আমি কিভাবে বিক্ষোভ করতে যাব?? মগবাজারিরা কেউ কি দয়া করে আমার এই নির্দোষ প্রশ্নগুলির জবাব দেবেন?? ব্লগারদের ফাঁসি আমিও চাই, কিন্তু... দয়া করে ভুল বুঝবেন না।
এখন এই প্রশ্নগুলা জামাত-শিবির-রাজাকারদের কেমন লাগে? মজা না?
এহহে........গত কয়দিন শাহবাগে পইরা ছিলাম। এই লেখাটাও চোখ এড়ায়ে গেলো। টাইমমতন পড়তে পারলে কয়েকটা আয়রন বুল রে মৌখিক ধোলাই দিতে পারতাম। যাই হোক.......বেটার লেট দ্যান নেভার......
লেখায়
...
------>
আর ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে ত্যানা পরার দরকার নেই। একই মায়ের পেটের দুই জারজ ভাই একত্রেই ল্যাদা প্রসব করতে পারে এখন।
শুধুমাত্র আপনার লেখাতে কমেন্ট করার জন্য সচল এ অ্যাকাউন্ট খুল্লাম।।।।।।।দারুন।।।।।।।নেক্সট লেখা কবে পাবো।।।।।।।।।
ইসরাত জাহান
আমাদের শহরে আমরা স্টেট ক্যাপিটল এর সামনে একটা প্রটেস্ট করার উদ্যোগ নিয়েছি আগামী রবিবার (স্বাধীনতা দিবসে). কিন্তু কিছু ছাগু রাজাকারের মত ত্যানা পেঁচিয়ে যাচ্ছে . আমার যা ইচ্ছা করছে একটা বড় কাঠাল নিয়ে গিয়ে ...............
অসাধারণ।।।।।।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
নতুন মন্তব্য করুন