বাতের বালা

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৩/২০১৩ - ১:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিছু কিছু দিন আসে যার পুরোটাই খারাপ। এমন দিনের শুরু হয় ঘড়ির অ্যালার্ম ঠিকমতো না বেজে। এরপরে তাড়াহুড়ো করে শেভ করতে গিয়ে গাল কেটে যায়। গাড়ীতে উঠে দেখা যায় তেলের কাটা শূন্যের কাছে। স্টারবাকস এ কফি নিতে গিয়ে দেখা যায় রুম ফর ক্রিম বলার পরেও ব্যাটারা টইটুম্বুর করে কফি ভরে দিয়েছে। পেছনের গাড়ীটা অযথাই হর্ন দিয়ে মেজাজ খারাপ করে দেয়। কিউবে যাবার পথে বসের সাথে দেখা হয়ে যায়, আড়চোখে একবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে সে।

শুরুটা হয়েছিল হয়েছিল গতকাল রাত থেকে। রায়হানকে দিয়ে। রায়হানকে আমার কখনোই তেমন পছন্দ হয়না। যেকোনো জায়গায় প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে সিন ক্রিয়েট করতে ওস্তাদ। কাল রাতে আমার বাসায় বাংলাদেশী বন্ধুদের সবার দাওয়াত ছিল। দেশে যাচ্ছি মাস খানেক এর জন্য। ভাবলাম যাবার আগে সবার সাথে একটু দেখা আর আড্ডা হয়ে যাক। সবার সাথে রায়হানকে ডাকাটাই ভুল হয়েছে আমার। স্কুল ফ্রেন্ড, এখন আমেরিকা এসে আমার শহরেই এক গ্যাস ষ্টেশন এ ছোটোখাটো চাকুরী করে। আমার ফ্রেন্ড সার্কেল এর যারা আছে এখানে সবারই বেশ ভালো অবস্থা রায়হান ছাড়া। হায়ার স্টাডি করে সবাই এখানে বেশ ভালো চাকুরী করে। কে জানে হয়তো, এ নিয়ে রায়হান হয়তো খানিক হীনমন্যতায় ভুগে। সেই কারণেই সবার সাথে ঠিকমতো মিশতে পারেনা। শাহাবাগ এর আন্দোলনকে নিয়ে আমার আরেক বন্ধু সালেহ কথা বলছিল। ডক্টরেট করা ছেলে। বিশ্লেষণী ক্ষমতা চমৎকার। পত্রিকায় লেখালেখিও করে টুকটাক। সব কিছু যোগ বিয়োগ করে এক লেখায় দেখিয়েছে এই আন্দোলনে লাভের গুড় আওয়ামীলীগের পাতেই যাবে। জামাতও যেমন আছে তেমনি থাকবে। শুধু শুধু কিছু হুজুকে পোলাপান সময় নষ্ট করে যাচ্ছে। দেশে এত এত সমস্যা, দিনকে দিন দেশ নিচের দিকেই যাচ্ছে। এর মধ্যে ৪২ বছর আগের ইস্যুকে কেন্দ্র করে দিনের পর দিন পরে থাকার মানে নাই। দেশপ্রেম আমাদের কারও কম নেই। কিন্তু যেই অন্ধ দেশপ্রেমে দেশের কোন উপকার হয়না শুধু ধ্বংস হয়, ঐটা দিয়ে কোন লাভ নেই। দিনরাত কাজ ফেলে যেইসব মেধাবী পোলাপান শাহাবাগে পরে আছে ওরা ওই এক্সট্রা সময়টুকু আর কিছু না করে কিছু কম্পিউটারের কাজ শিখে, প্রোগ্রামিং এর কাজ শিখে তাতেও লাভ। কত কাজ ইন্ডিয়া চায়না আউট সোর্সিং করে নিয়ে যাচ্ছে। ঠিক মত অপারেট করতে পারলে এর অনেক কাজই দেশে থেকেই অনেক তরুণ ছেলেদের দিয়ে করানো যায়। এই বিংশ শতাব্দীতে এসে যুদ্ধ হয় টেকনোলজি দিয়ে। যুদ্ধ হয় শিক্ষা দিয়ে।

ওর সেই লেখাটা নিয়েই কথা বলছিল সবাই। আমার কাছে অর কথাগুলো বেশ পছন্দ হয়েছিল। অন্ধ আবেগ কার কোন কাজে আসে না। ৪২ বছরের শুকিয়ে যাওয়া ঘা জোর করে আবার খোঁচানোর নামে নেই। অন্য সবাইও একই রকম কথা বলছিল। দুই একজন কিছু কিছু জায়গায় একমত হল না। তবে সবাই বেশ যুক্তি দিয়ে আলোচনাই করছিল। এর মধ্যে রায়হান এসে বাজে কথা বলা শুরু করল। সালেহ ওকে শান্ত করার চেষ্টা করল। বলে,
- দেখ রায়হান আমি তোমার আবেগ বুঝি। কিন্তু ডিভাইড অ্যান্ড রুল হচ্ছে শত বছরের পুরনো ব্রিটিশ রেসিপি। এই ফর্মুলা আর কতদিন। ৪২ বছরের আগের ঘটনা যতটা রেলেভেন্ট তার চেয়ে অনেক বেশী রেলেভেন্ট কিভাবে সামনে আগানো যায়।

এক দুই কথার পরেই রায়হান টেম্পার লুজ করে বসলো। চিৎকার করে বলে,
-আমার মাকে কেউ রেপ করলে সেইটা ৪২ না ৪২ হাজার বছর পরেও আমার কাছে রেলেভেন্ট , তুই তোর রেপ হওয়া মায়ের মাথায় হাত বুলায়ে দিয়ে ফিসফিস করে বলিস, আম্মা ভুলে যান এসব। আমি বলব না। আমার মত লক্ষ কোটি মানুষ এখনো আছে এই দেশে। শালা বেঈমানের বাচ্চা, শালা মাদারচোদ। তোর মায়েরে গিয়া তুই বল, আম্মা ভুলে যান। আমি বলবনা। মরে গেলেও না।
পারলে সালেহ কে মারতে যায়। বিচ্ছিরি অবস্থা। রায়হানকে ডাকাই ভুল হয়েছিল, চরম ভুল।

সকাল দশটার দিকে বস তার রুমে ডেকে পাঠাল। মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে, আমি তো ভেবেছিলাম তুমি দুই সপ্তাহের জন্য ছুটিতে যাচ্ছ। এখন তো শুনছি এক মাস। কাজের এ অবস্থায় এক মাস তো সম্ভব না।
আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার দশা। পরশুদিন আমার ফ্লাইট। তিন মাস আগে টিকেট কাটা। তাকে ডেট জানিয়েই তারপর টিকেট কেটেছি। এখন হারামজাদা এমন ভাব করছে যে জানেনা। ভুল হয়েছে যে কথাবার্তা ইমেইলে না হয়ে মুখোমুখি হয়েছে। এজন্য কোন রেকর্ড নেই। আমার ধারণা ব্যাটা বুঝেশুঝেই এই ফাজলামোটা করছে। ব্যাটার মুখে মধু, অন্তরে পুরা রেসিস্ট। সাদা চামড়া পেলে সাতখুন মাফ। সুযোগ পেলে কালো চামড়াকে এক হাত নিয়ে নেয়। ঠিক করলাম তর্ক না করে আমার যা করার করবো। ফিরে এসে চাকরী থাকলে থাকলো না থাকলে নাই।

অনেককাল পরে দেশে যাচ্ছি। আত্মীয় বন্ধুদের জন্য এটা সেটা কেনাকাটা করতে করতে অবস্থা খারাপ। এর মধ্যে আম্মা ফোন করে সকাল বিকাল দুইবার। জিজ্ঞেস করে, সব ঠিক আছে তো। আম্মাও কেমন অদ্ভুত। সব ঠিক থাকবে না কেন। এটা তো বাংলাদেশের লোকাল বাস না যে কখন ছাড়বে বা আদৌ ছাড়বে কিনা ঠিক ঠিকানা নেই। তিন মাস আগে টিকেট কেটে রেখেছি। ফ্লাইট নাম্বার, টাইম সব জানিয়ে দিয়েছি। তারপরও দুইদিন পর পর ফোন করে একই কথা। সব ঠিক আছে তো। ডেট ঠিক আছে তো? হাতে আছে মাত্র দুদিন। স্ত্রীর সাথে এর মধ্যে বিশাল একটা ঝগড়া পর্ব হয়ে গেছে কেনাকাটা নিয়ে। মহারাণী রাগ করে আছেন। তার রাগ ভাঙ্গিয়ে তারপর আবার শপিং এ নিয়ে যেতে হবে।

অফিস থেকে জলদি বেরিয়ে বিকেলে শপিং মলে যাই। এর মাঝে আবার আম্মার ফোন। ফোন ধরা মাত্র বলে,
- সব ঠিক আছে তো।
- ঠিক থাকবে না কেন? সকালেই তো একবার বললাম আম্মা।
- আমার বাতের বালা পাইছো
কয় মাস ধরে শুরু হয়েছে এই আবদার। আম্মার জন্য বাতের বালা কিনতে হবে। সস্তা এক চাইনিজ প্রোডাক্ট। হাতে দিলে নাকি বাতের ব্যথা কমে। তিন ডলারের এই একটা ম্যাগনেটিক ব্রেসলেট দিয়ে যদি চল্লিশ বছরের পুরনো আর্থারাইটিজ এর ব্যথা ঠিক হয়ে যেত তাহলে তো কাজই ছিল। সমস্যা হচ্ছে এই আজব জিনিসটা কোন দোকানে পাব জানিনা। অনলাইনে পাওয়া যায় কিন্তু দুদিনের মধ্যে হাতে পাবোনা। এতদিন কিনব কিনব করে ভেবেও ভুলে গেছি। হটাত মনের কথা বুঝেই কিনা স্ত্রী পাশ থেকে মুচকি হেসে বলে উঠে ,
- বাতের বালা পাইছো?
আমি রসিকতায় বিরক্ত হই। কোন উত্তর দেই না। এবার স্ত্রী সিরিয়াস হয়ে বলে,

- দুবাই এয়ারপোর্ট এ পাবে মনে হয়। যাবার সময় কিনে নিয়ো।
- তুমিও শুরু করলা একই ঘ্যানঘ্যান। জান এই জিনিসে কোন কাজ হয় না। শুধু শুধু ভাঁওতাবাজি।
- তাও হয়তো মানসিক শান্তি। যদি ওনার মনে হয় ব্যথা কমে তাহলে কমতে দাওনা।

রাত দুটায় ফোনের শব্দে ঘুম ভাঙ্গে। আম্মা। এতদিন ধরে বাইরে আছি এখনো তিনি সময়ের পার্থক্য হিসাব করে ফোন করতে পারেন না। মৃদু গলায় জিজ্ঞেস করে,
- সব ঠিক আছে তো।
আমি ঘুমঘুম গলায় বলি,
-হুম।
-আমার বাতের বালাটা পাইছো?

আমার হটাৎ করেই প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আমি বিরক্তিমাখা স্বরে প্রয়োজনের চেয়ে একটু জোরেই বলে উঠি, আম্মা ভুলে যান তো এইটা। দেখতেছেন তো আমার কি অবস্থা। অফিসের কাজের চাপে অবস্থা খারাপ। যাবার আগে সব কিছু গুছিয়ে দিয়ে যেতে হবে। ছুটি দিতে চাচ্ছিল না এরকম সময়ে। প্রায় জোর করে ছুটি নিয়ে দেশে যাচ্ছি। এসে চাকরি থাকে কি না থাকে ঠিক নাই। বাড়ীর দুই মাস এর মর্টগেজ বাকি পড়ে গেছে। অফিসের কাজ দিনকে দিন বাড়ছে তো বাড়ছেই। বেতন যেই কে সেই। এর মধ্যে আবার এত টাকা দিয়ে দেশে যাবার টিকেট কাটলাম। এত সমস্যার মধ্যে আপনে রাত দুইটায় ঘ্যানঘ্যান শুরু করছেন আপনার এইটা নিয়ে।
মা একটু থতমত খেয়ে যায়। কাঁচুমাচু গলায় বলে, না এমনি বলছি। অত জরুরী কিছু না। অনেক দিনের পুরানো ব্যথা তো। তুমি বাদ দাও, লাগবে না। এমনিতেও মনে হয়না কোন কাজ হবে।
আমি কোন কথা বলি না। মেজাজ খারাপ হতে থাকে আরও।
মা একঘেয়ে স্বরে ঘ্যানঘ্যান করতে থাকেন, না এমনি বলছি। অত জরুরী কিছু না। অনেকদিনের পুরানো ব্যথা তো, ভাবলাম যদি এইটাতে কাজ হয়। এমনিতে সারাদিন ঠিক থাকে। রাত হইলেই ব্যথা শুরু হয়। এমনেই বলছি। অত জরুরী কিছু না।

আমি বিরক্ত হয়ে ফোন রেখে দেই। একবার ঘুম ভেঙ্গে গেলে সারারাত আর ঘুম আসবে না।


মন্তব্য

সাব্বির রহমান এর ছবি

মন খারাপ চিন্তিত চলুক

সাব্বির রহমান এর ছবি

মন খারাপ চিন্তিত চলুক

চরম উদাস এর ছবি

মন খারাপ - > মন খারাপ
চিন্তিত - > ম্যাঁও
চলুক - > আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

স্যাম এর ছবি

আপনার লেখা পড়ে বরাবরি একটা রিলিফ পাই - ঠা ঠা করে হাসতে থাকি, হাসতে হাসতে শেষে গিয়ে একটা ধাক্কা খাই - কিন্তু এ লেখাটায় গলার কাছে আটকে থাকা কি যেন আর ভারী হয়ে উঠল শুরু থেকেই - শেষে এসে তা প্রায় দম বন্ধ করে ফেলল... আপনি মানুষটা ভাল না - একদম ই না............

তারেক অণু এর ছবি

একমত

চরম উদাস এর ছবি

কি সে একমত ?? রেগে টং

চরম উদাস এর ছবি

ইয়ে, মানে...

অতিথি লেখক এর ছবি

সহমত....
মন খারাপ

সুবোধ অবোধ

সাফি এর ছবি

মন খারাপ

চরম উদাস এর ছবি

হাসি

সাইদ এর ছবি

ভাই শাহবাগের গণজাগরণ বাতের বালা হবে না আশা করি । চিন্তিত

চরম উদাস এর ছবি

হলেই বা ক্ষতি কি? যদি মায়ের কষ্ট কমে , যৌক্তিক ভাবে কমল নাকি অযৌক্তিক ভাবে সেটা জানতে চাইনা। শুধু কষ্ট কমুক এটা চাই।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইয়ে, মানে...

চরম উদাস এর ছবি

ইয়ে, মানে...

তমসা এর ছবি

সত্যিই তো, ৪২ বছরেও যে ব্যথা না সারে চীনা দাওয়াই তার কি করবে?এসব হুজুগে, সস্তা সেন্টিমেন্টাল জিনিসের কোনো বেল আছে?আপনি মশাই খুব খারাপ।এই দুর্দিনে কে মাথার দিব্যি দিয়েছে আপনাকে আয়নার ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার? মন খারাপ

চরম উদাস এর ছবি

আমি আয়না না রে ভাই। নিজে আয়নার সামনে দাঁড়ালে যা দেখি তাতে নিজেই ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলি।

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

সুশীল োার টাইম নাই বস। কারও সুশীল কথাবার্তা শুনলে মেজাজ এমন খারাপ হয় বলার না। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি অল্পশিক্ষিত হইয়াই ভালো আছি। অ্যাটলিস্ট গু প্যাকেট করে কাউরে গছায় দেই না

সাইদ এর ছবি

@ ইয়াসির আরাফাত চলুক

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

রিপন সরকার এর ছবি

না আগের মতো না, এটা কি আপনার বাস্তব, যদি বাস্তব হয় তা হলে মা ই তো তাই না সন্তানের জন্য একটু বেশিই চিন্তা করে, আপনার রাখ করা ঠিক না, আর পারলে বাতের বালা কিনে দিয়েন, সেটা যাই হোক।

চরম উদাস এর ছবি

অগ্নির এর ছবি

হা হা ! কি অবস্থা ! দুঃখ পাইয়েননা উদাসভাই । লেখাটা খুবই বাস্তবসম্মত হইছে সেটাই বোঝা গেল ।

অচল  এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি পানি পড়া খাওয়ালেও, বল সবসময় ওনার জন্য বাউন্সার-ই হবে। দুঃখ নিয়েন না বস দেঁতো হাসি । লেখা খুব ভাল লাগছে ।

রিপন সারকার এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম...

খেকশিয়াল এর ছবি

আপনে একটা ফাউল লোক, মনটাই খারাপ কইরা দিলেন। মেজাজটাও বিলা হইয়া গেল, নিজের উপরে।

কিন্তু গল্প লেখা যখন শুরু করছেন , থামাইলে কিন্তু গণপিটুনি খাইবেন!

চলুক

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

চরম উদাস এর ছবি

ভয় পাইচি

সত্যপীর এর ছবি

ঠিক আছে চলুক

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

মাতামুতা ?

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

মন খারাপ

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

চরম উদাস এর ছবি

খবর কি কবি?? আমি কিন্তু কানাডায় গত সপ্তাহ থেকে ...

সত্যপীর এর ছবি

কুনজাগায়?

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

আলবার্টার এক্কেবারে উত্তর কোনায়। হাই লেভেল শহরে তেল খুঁজি। আমি গরম এলাকার মানুষ, ফ্রিজের ভিত্রে ছাড়া এত বরফ একসাথে দেখি নাই আগে ... ... ইয়ে, মানে...

সত্যপীর এর ছবি

বরফের দেশে তেল খুঁজতে গেসেন? আপ্নেগো আম্রিকার বরফের কথা জানিনা, ক্যানাডার বরফ গলাইলে কিন্তু পানি বাইরায় তেল না। এফওয়াইআই।

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

দোয়া করেন যেন তেল না পাই। পাইলে আমি জানাবো আমার বসকে। সে জানাবে তার বসকে। তার বস জানাবে কোম্পানির মালিককে। সে জানাবে টেক্সাস এর গভর্নরকে। গভর্নর জানাবে হিলারিরে। হিলারি জানাবে ওবামারে। ওবামা জানাবে সিআইএ রে। সিআইএ বলবে, কানাডা চুপিচুপি আটা গুলায়ে নিউক্লিয়ার বোমা বানায়, মিলিটারি এটাক। এরপর বুঝেনইতো ... everything is fair in Oil and War

সত্যপীর এর ছবি

ঐদিন ইন্ডিয়ান এক দুকানে রুটি দিসিল মারাত্মক শক্ত, ছিঁড়তারিনাই। ফাজিলের দল নিউক্লিয়ার বুমা বানানোর আটা দিয়া রুটি বানায় মনোয়। শান্তি নাইরে ভাই।

..................................................................
#Banshibir.

মনি শামিম এর ছবি

everything is fair in Oil and War

হক কথা!

চরম উদাস এর ছবি

কড়িকাঠুরে এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুনএ ক্লিক করে এখন আর মন্তব্য লিখতে হয় না। বাক্সটা খোলাই থাকে। খোলা বাক্সে কার্সর টা কেবল ব্লিংকই করলো এতক্ষণ- কিছু পাচ্ছিলাম না খুঁজে। বারবার ফিরে আসছিলাম তবুও। কিন্তু বলবো কী?

আমি ঘুরিয়া ঘুরিয়া- সন্ধান করিয়া
স্বপ্নের ঐ পাখি ধরতে চাই

চরম উদাস এর ছবি

কিছু বলতে হবে না হাসি

কিষান এর ছবি

আপনে মিয়া লুক্টা বড্ড খ্রাপ মন খারাপ

চরম উদাস এর ছবি

ইয়ে, মানে...

জি.এম.তানিম এর ছবি

খারাপ লোক আপ্নে!

আমরা ভুলে যাই ৪২ বছর আগের বেদনা। মন খারাপ

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

চরম উদাস এর ছবি

হুম মন খারাপ

আইলসা এর ছবি

গল্প ভালো হইছে।মচৎকার।
তয় মনটা খারাপ লাগলো, কি যে এক দেশে জন্মাইলাম।স্ট্যান্ডার্ড গালি হইলো সুশীল, মানতবাদী, বুদ্ধিজীবি, নেতা...
উচ্চশিক্ষা আর ছাগুত্ব হাইলি কো-রিলেটেড। আল্লাহ বাচাইসে, মাস্টার্স- পিএইচডি লাইনে চান্স পাই নাই।

সাইদ এর ছবি

@ আইলসা- চলুক

চরম উদাস এর ছবি

ছাগু মনে করেন দুই প্রকার - লছাগু আর গছাগু । দুইটারে দেখলে বাইরে থেকে দুইরকম ফল মনে হয় কিন্তু ভিত্রে বিচি একই রকমের। আমার পরের গল্পের টাইটেল - লছাগু গছাগু। ঐখানে এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা করবো নে। (চামে চিকনে আসিতেছে বলে নিজের লেখার এড করে নিলাম খাইছে )

আইলসা এর ছবি

দেশে আইসা যে মিটুন ওরফে পুটুন'দার সাথে চিপায় দেখা কইরা গেছেন-তা কিন্তুক বুঝা গেলো। যাহোক লছাগু আর গছাগুর জন্য টাইমার স্টার্ট দিলাম।

চরম উদাস এর ছবি

চাল্লু
ঘরের কথা পরে জানল কেমনে ?? চিন্তিত

তানভীর এর ছবি

ওমরাব্দুলাজিজ খাপোটাকে লেখার লিংক পাঠায় দিবো কিনা ভাবতেসি চিন্তিত

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো
লক্ষ ওমর ঘরে ঘরে

ব্যঙের ছাতা এর ছবি

মন খারাপ

অন্য প্রসংগঃ আজ সচলায়তনের নীড়পাতা দেখে আনন্দে নাচতে ইচ্ছে করছে।

চরম উদাস এর ছবি

হ, আমারও

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার কোন লেখাটা খারাপ হয় যে এটাকে আলাদা করে ভালো বলবো। দেশ থেকে ঘুরে আসছেন না? শাহবাগে গিয়েছিলেন? রু

চরম উদাস এর ছবি

হ্যাঁ, গেছি হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

muhammad sadek এর ছবি

এ যেনো আমার পাড়ার demography! শিক্ষিত, প্রফেশনাল, polished, দেশের সাথে একমাত্র যোগাযোগ হচ্ছে বাপের রেখে যাওয়া ফ্ল্যাট বিক্রীর টাকা ট্রান্সফার !

চরম উদাস এর ছবি

সেটাই হাসি

নাসিফ   এর ছবি

গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ফারহানা আহমেদ এর ছবি

সাধারণত আপনার লেখা পড়তে পড়তে উচ্চস্বরে হেসে উঠি, পাশের টেবিল থেকে আমার সহকর্মী চমকে উঠে প্রশ্ন করে, 'কি হলো?' আজ পড়তে পড়তে চোখের কোন দুটো ভিজে উঠলো।

চরম উদাস এর ছবি

হাসি

সোহরাব আলী তালুকদার এর ছবি

আপনার লেখার হাত আসলেই অসাধারণ !

চরম উদাস এর ছবি

আপনের নামটাও ভাই অসাধারণ ইয়ে, মানে...

সোহরাব আলী তালুকদার এর ছবি

হে হে হে, তা আর বলতে ! তাই তো কবি গেয়ে ওঠেন, "ভুলিতে পারি না, তারে ভোলা যায় না !"

mahid এর ছবি

আপনিও কি ইয়েমেন থেকে আগত এক সাধক পুরুষের দেশের হাঁটু ইস্কুলের ছাত্র?

সোহরাব আলী তালুকদার এর ছবি

মাহিদ, কি খবর ? - নাসির

mahid এর ছবি

এই নামটা অনেক স্মৃতি বিজড়িত, ভাবলেই আপনাআপনি হাতটা গালে চলে যায়

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো
I know ...

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই,
চোখে পানি চলে আসল!!
আমরা কত স্বার্থপর ভাবে শুধু নিজেদের টাই ভাবি।
আর সামনে এগিয়ে যাওয়ার চিন্তায় অতীত ভুলে যাই।
মা এর কষ্টও আমল পায় না....
আমরা বড় স্বার্থপর...
মন খারাপ

বরাবরের মতই অসাধারণ!!!
চলুক

(সুবোধ অবোধ)

চরম উদাস এর ছবি

সবাই ভুলে না। এখনও দুই একটা পাগলা পোলাপান আছে যারা ভুলতে চায়না। তবে একদিন হ্য়তো কেউ থাকবে না আর।

অদ্ভুত মেয়েটি এর ছবি

লেখাটা পরে মন খারাপ হয়ে গেল, কিন্তু কেন মন খারাপ হল এটা বুঝলাম না চিন্তিত

চরম উদাস এর ছবি

হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অসাধারণ একটা প্লট! দারুণ লাগল গল্পটা। চলুক

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

৪২ বছর ধরে যন্ত্রণায় ভুগছি। আমার কিন্তু 'বাতের বালা' জাতীয় কিছু একটা লাগবেই।
অনেকদিন পরে। ভাল থাকবেন।

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আপনিও ভাল থাকবেন।

রংতুলি এর ছবি

চলুক মন খারাপ

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তুলিরেখা এর ছবি

আপনার সব লেখাগুলো পড়ি, হাসির লেখা, হিউমার ওয়ালা লেখা, চরম মজার লেখা পড়তে পড়তে লুটাপুটি হেসে মনের দু:খ তাড়াই, কখনো লেখাগুলোর শেষে এসে আগুন দেখি---কিন্তু আজকের এই লেখা পড়ে স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম। কী বলবো কীই বা বলা যায়? যা এতখানি নাড়িয়ে দেয়!
ভালো থাকবেন।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

চরম উদাস এর ছবি

হাসি ভালো থাকবেন

সুদীপ  এর ছবি

আমার মাকে প্রথম আমি সচলায়তন পড়তে আমি শিখাই। এর পর থেকে মা "উদাস ভাই, তাস্নিম ভাই, সাফিনাজ আপু, তারেক অনু ভাই" দের চরম ভক্ত। ইন ফ্যাক্ট আমাদের পরিবারের আমরা সবাই সচলায়তনের লেখা গুল নিয়মিত পাঠক। আজকের এই লেখাটাও মা-ই প্রথম পরতে বলে অফিস থেকে আসার পর।

কিছু বলবো না, কারন আমি নিজেও এই কাজটা করি। করার পরে ভীষণ খারাপ লাগে কিন্তু বলতে পারি না "মা, সরি"।

চাকরি নামক চাকরগিরি করতে করতে জীবন থেকে আবেগ-ভালবাসা সব কেমন যেন মিইয়ে যাচ্ছে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা উদাস ভাই আমার মনের কথাটা বলে দেবার জন্য।

চরম উদাস এর ছবি

ভীষণ ভালো লাগলো আপনার আর আপনার মায়ের কথা শুনে হাসি

তারানা_শব্দ এর ছবি

মাথা বাইড়ায়েন না, একখান কথা কই- বাতের বালা কিনে দেন। প্লিজ। মন খারাপ
আমার এক আপু (বয়স ৪০ এর উপর) একই ঘ্যান ঘ্যান করসে ১ বছর। আমার এই কাজিনটা কথা বলতে পারে না, আমাদের বাসায় আমাদের সাথেই থাকেন। আপুকে যতই বলি এইগুলাতে কাজ হয় না, সে মানে না। শেষ পর্যন্ত তাকে কিনে দেওয়া হলো এবং সে আর নাকি ব্যথা ফিল করে না। মদ্দা কথা, মানসিক শান্তির উপরে আর কোন শান্তি নাই।

আর আন্টিকে রাতের বেলা ফোনে ঝাড়ি দেওয়ার জন্য আপনাকে মাইনাস!!! মন খারাপ
লেখা বরাবরের মতন-চমকিত প্লট- ভালো লাগলো। হাসি ভালো থাকেন ভাইয়া।

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

চরম উদাস এর ছবি

হাসি
হাসি
ভালো থাকবেন

নির্ঝরা শ্রাবণ এর ছবি

চরম ভাই,

আপ্নে মানুষটা আসলেই চরম খারাপ। দিলেন তো কাঁদাইয়া ।

চরম উদাস এর ছবি

হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

চমৎকার! চলুক চলুক

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তাপস শর্মা এর ছবি

গতকাল রাতেই পড়েছি। ঘুম ঘুম চোখ ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল......

আপনি মিয়া একটা ফাউল লোক

চরম উদাস এর ছবি

আমি যে ফাউল লোক এটা ঠিক হাসি

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

চলুক

ভাগ্যিস, এই পৃথিবীতে রায়হানরা ছিল !

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

চরম উদাস এর ছবি

ভাগ্যিস

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আলতাইর এর ছবি

এহহে রে ভাই, ভুল করলেন তো। বাতের ব্যাথার সাথে চাইনিজ বালা'র যৌক্তিক সম্পর্ক এবং সাফল্যের হার নিয়া চাইরপাতা'র থিসিস লেইখা খালাম্মা রে হুনাইতে পারতেন। আমরাও ইদানীং অনলাইন-অফলাইনে এই কামটাই করতাছি। ইয়ে, মানে...

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

শাব্দিক এর ছবি

আপনার লেখার কি যেন একটা ব্যাপার আছে, পড়ার পর হুট করে ভুলে যাওয়া হয় না, খুব ভাল লেখকদের ক্ষেত্রেই কেবল এমন হয়। লেখাটা কালকে পড়েছিলাম কমেন্ট করা হয়নি। আজকে ঘুরেফিরে বারবার মনে হচ্ছিল, আসলেই চল্লিশ বছরের পুরোন ব্যথা, এত সহজে ভুলা যায় কি করে?
ভাইয়া আপনি লেখা ছাড়বেন না প্লীজ। আপনার কাছে অনেক কিছু পাওয়ার আছে আমাদের।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

চরম উদাস এর ছবি

লেখা আমি ছাড়লেও আমাকে লেখা ছাড়বে না। মাথার মধ্যে এসে ডিস্টাব দিতে থাকে লেখ লেখ বলে খাইছে

মণিকা রশিদ এর ছবি

আপনার এই পোস্ট আমি না পড়লেই ভালো হইতো! মন খারাপ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

চরম উদাস এর ছবি

হাসি

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

মন খারাপ

বস


_____________________
Give Her Freedom!

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

রুবইয়াস এর ছবি

কিন্তু মায়ের অন্য কঠিন রোগগুলার ব্যাপারে কি পদক্ষেপ নিয়েছেন , সেটা তো বললেন না ? বাতের ব্যাথা যার আছে, এই বয়সে তার তো আরো অনেক রোগে ভোগার কথা। এত পুরোন ,সামান্য ব্যাথার চিন্তা বাদ দেন। আগে অন্য রোগ সারান। চোখ টিপি

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো
এইটা ভালো বলছেন

হিস্যলা সিবা এর ছবি

ভাই, ভালো থাকবেন

চরম উদাস এর ছবি

হাসি

সামি এর ছবি

আপনে একজন লিজেন্ড। সচলে হুদা আপনার লেখা পড়ার জইন্যে লোক আসে। এই যেমন আমি। ক্যামনে পারেন ভাই, ক্যামনে? গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

হরলিক্স হরলিক্স হরলিক্স

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।