আবু ইউসুফের তেত্রিশ বানর - পর্ব এক

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/০৪/২০১৩ - ২:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


একজন মানুষের বাসায় যে তেত্রিশটা বানর থাকতে পারে সেটা নিজ চোখে না দেখলে আমি কখনো বিশ্বাস করতাম না। আবু ইউসুফ এর কাজ কর্ম সবসময়েই উল্টাপাল্টা। বিজ্ঞানী মানুষ অবশ্য একটু পাগলাটে না হলে মানায় না। এর আগে ইউসুফ যখন কোমল সাহিত্য মেশিন বানিয়েছিল, তখন ওটার ডেমো দেখানোর জন্য আমাকে ডেকেছিল। বলে, তুই তো ব্লগে নানা উল্টা পাল্টা কথা লিখিস, তোর কিছু লেখা দে, আমার মেশিনে ঢুকিয়ে দেখি কেমন কাজ করে। আমি ওকে ভালোবেসে মুড়ি খা বলে চলে এসেছিলাম। পরে ওর মেশিন এর দুর্গতির কাহিনী শুনে সমবেদনা জানাতে বাসায় গিয়ে দেখি এই কাণ্ড। এক রুমের ভিতর নানা আকারের নানা জাতের তেত্রিশটা বানর পুরে রেখেছে। ঘটনা প্রথমে চেপে যাবার চেষ্টা করলেও পরে অনেক পীড়াপীড়ির পর ব্যাটা মুখ খুলল। কথা শুনে আক্কেল গুড়ুম। সে তার বানরের পালকে কবিতা লেখা শিখাতে চায়। বলে, বিজ্ঞানী সফদর আলী যদি গিনিপিগ ট্রেনিং দিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি রান্না করাতে পারে তবে আমি কেন বানর দিয়ে কবিতা লিখাতে পারব না? সফদর আলী যে একটা গল্পের চরিত্র এটা কিছুক্ষণ বোঝানোর চেষ্টা করে আমি হাল ছেড়ে দিলাম। এরপরে বানর দিয়ে কবিতা লেখানর কি দরকারটা কি সেটা বুঝার চেষ্টা করে নৌকাই ছেড়ে দিলাম।

একথা সেকথার পর এরপর সে আসল কথায় আসলো। আমার কবিতা লেখার ম্যাটল্যাব এর প্রোগ্রামখানা তার দরকার। সে ওটাকে সাইজ করে কাজে লাগাবে বানর ট্রেইন করতে। ঠিকমতো ট্রেইন করার পর নাকি একেক বানর দুর্ধর্ষ সব কবিতা লিখতে থাকবে।
আমি বললাম,
-ওরে বলদ বানর কি কম্পুটার প্রোগ্রাম বুঝে?
সে আমাকে তার হাতের হেলমেট ধরণের যন্ত্র দেখিয়ে বলে,
-আমি ডাইরেক্ট ব্রেন স্টিমুলেশন দিয়ে শিখিয়ে দিব। তুই খালি আমাকে তোর ওই প্রোগ্রাম দে, সাথে কবিতায় যেইসব কী ওয়ার্ড বেশী ব্যবহার করা হয় তার একটা লিস্টি। আমি জীবনে হাট্টি মা টিম টিম ছাড়া কোন কবিতা পড়ি নাই, আইন কানুন কিছুই জানিনা।
আমি বোঝানোর চেষ্টা করলাম আমার ওই প্রোগ্রাম তেমন কাজের কিছু না। মজা করে লিখা। কিন্তু কে শোনে কার কথা। বলে,
- তুই যা আছে দে। আমি ওটাকে যেভাবে দরকার ঠিকঠাক করে নিব।

সপ্তাহ খানেক কোন যোগাযোগ ছিলনা। একদিন দেখি দুই বগলে দুই বানর নিয়ে বাসায় উপস্থিত। দেখে মনে হল ভীষণ খুশী। একটু পরে বলল এত খুশী হবার কারণ। ওর বানররা নাকি মাত্র এক সপ্তাহ কবিতা পড়ে পরের সপ্তাহ থেকেই দিব্যি কবিতা লেখা শিখে গেছে। ইউসুফ বলল,
- এরা যেকোনো থিম নিয়ে কবিতা লিখতে পারে। তুই একটা ছবি দিয়ে দেখতে পারিস। কোন একটা ছবি দেখে সেকেন্ডের মধ্যে এই ব্যাটা চার লাইনের পদ্য লিখে দিবে।
আমি বললাম,
- আচ্ছা, দেখি তো চুমু নিয়ে একখানা কবিতা লিখতে বল দেখি।

ইউসুফ গুগলে গিয়ে কিস লিখে সার্চ মারল। মরার কপাল, প্রথম ছবিটাই আসলো এক মর্দা লোক আরেক মর্দা লোককে ইয়ে আরকি। আমি চোখমুখ লাল করে বললাম,
- গুগল একটা অসভ্য জিনিস। এমনে এমনে ই কি আর সরকার বাহাদুর গুগল ইউটিউব এদের ব্যান করে রাখে।
ছবি দেখে আইপেড এগিয়ে দেয়া মাত্র এক হাসিখুশি ধরণের বানর দেখি সেখানে খটাখট টাইপ করে কবিতা লিখে যাচ্ছে। পাঁচ মিনিটে গরম গরম পদ্য রেডি। আবৃত্তি করে শোনাল ইউসুফ।

সাতসকালে মফিজ মিয়া করছিলো বেশ ঘুমু
স্বপ্ন দেখে লাফিয়ে পড়ে ফেললো খেয়ে চুমু
লাত্থি মেরে লোকটা বলে আমি না তোর মামু
হেসে উঠে মফিজ বলে, কার কাছে আর যামু

খুশী হয়ে ইউসুফ বলে,
- ব্যাটার উপস্থিত বুদ্ধিটা দেখলি কেমন?
- এ তো দেখি পুরা সুকুমার রায় আর সত্যেন্দ্রনাথ এর হাইব্রিড

আমি এবার মোবাইলে ফেসবুক খুলে আমার বন্ধু পর্যটক তারেক অণুর একখানা ছবি বের করে দিলাম। ছবিতে ছোকরা কোমর পানিতে এক ঠ্যাঙে বকের মতো দাঁড়িয়ে আছে প্রার্থনার ভঙ্গিতে। গম্ভীর ধরণের এক বানর আমার হাত থেকে মোবাইল নিয়ে ৫ সেকেন্ড ধ্যানমগ্ন হয়ে ছবিটা দেখে, ফোনেই খটাখট টাইপ করে নিমিষে চার লাইনের পদ্য লিখে ফেলে।

কাল রাতে খেয়েছিনু আস্ত এক বাঙ্গী
খরস্রোতে তাই আজ ভেসে গেছে লুঙ্গী
তবু অবিচল, আমি হয়ে হাফ নাঙ্গি
নেংটি ভাসলে এবার বাজবে মোর পুঙ্গি

ইউসুফ ভুরু নাচিয়ে গর্বের সাথে বলে,
- কি? কেমন বুঝলি?
- এটা একটু রাবিন্দ্রিক টাইপ মনে হয় । তবে সত্যি কথা বলি। কবিতার মান খুব বেশী ভালো হচ্ছে না। আসলে কবিতা লিখতে হলে আগে কবিতার প্রতি ভালোবাসা লাগবে, শ্রদ্ধা লাগবে। তুই এক কাজ কর। এদের যে কোন এক কবির কবিতা মন দিয়ে পড়তে দে। তোর ওইসব ব্রেন ইস্টিমুলেশন ফিস্টিমুলেশন দিয়ে একটু শ্রদ্ধাবোধ জাগা কবিতার প্রতি। বানরদের ভালোমতো কবিতা পড়া শেখা। পড়তে শিখলে লিখতেও শিখে যাবে।
আমার কথাটা মনে হয় ইউসুফের মনে ধরল। বলে,
-আমাকে তাইলে কিছু ভালো দেখে পদ্যের বই দে।
আমি ইউসুফকে বাসায় নিয়ে সঞ্চয়িতা থেকে শুরু করে রূপসী বাংলা পর্যন্ত এক গাদা কবিতার বই দিলাম। সাথে, " হরলিক্স, চম্পাকলা, ঢোঁড়াসাপ ও ভালোবাসা" নামে একটা আধুনিক কাব্যগ্রন্থও দিয়ে দিলাম। এক ব্রেইন ডিফেক্ট কবি কিছুদিন আগে আমাকে জোর করে গছিয়ে দিয়ে গিয়েছিলো। বললাম,
- এটা ফেরত দিতে হবে না। বাকি সব বই অক্ষত অবস্থায় ফেরত দিবি।

এরপর দেখি মান ছাড়াও পরিমাণ নিয়ে মহা সমস্যায় পড়েছে বেচারা। একেকজন নাকি দিনে গড়ে একশত করে কবিতা লিখে। সফদর আলী যেমন এত কাচ্চি বিরিয়ানি দিয়ে কি করবে বুঝতে পারছিল না তেমনি ইউসুফও বুঝতে পারছিল না এত কবিতা দিয়ে কি করবে। কবিতা তো আর কাচ্চি না যে ধরে ধরে লোক ডেকে খাইয়ে দেয়া যাবে। আমি বুদ্ধি দিলাম, বই ছাপাতে তো নিজের টাকা পয়সা লাগবে তুই বরং পত্রিকায় পাঠিয়ে দে। পরে আবার ভেবেচিন্তে মনে হল, এত কবিতার লোড কোন পত্রিকা নিতে পারবে না। বললাম, তুই বরং কোন ব্লগে পাঠিয়ে দে। সচলায়তন বলে একটা ব্লগ আছে, ঐখানে কবিতা পছন্দ করে সবাই। তুই তোর কোন এক বানর কে ব্রেন স্টিমুলেশন দিয়ে ক্যামনে পোস্ট করতে হয় শিখায়ে দে তারপর দিনে তেত্রিশ শত করে কবিতা পোস্ট করতে থাক।
আমার এই পরামর্শও ইউসুফ এর বেশ মনে ধরল। হন্তদন্ত হয়ে গোটা কয়েক বানর সহ চলে গেল.মনে হয় কবিতা পোস্ট করতে।


এরপর মাস খানেক ইউসুফ এর সাথে যোগাযোগ নেই। ফোন দিলে দেখি ব্যাটা ফোন ধরে না। আমার বই উদ্ধারের আশায় নিজেই একদিন ইউসুফ এর বাসায় গেলাম। গিয়ে দেখি বিধ্বস্ত অবস্থা ইউসুফ আর তার বাড়িঘর দুইটারই।
দুই সপ্তাহে মনে হয় ইউসুফ এর বয়স বেড়ে গেছে দশ বছর। সারা বাড়ীর অবস্থাও ইউসুফ এর মতোই লণ্ডভণ্ড। বললাম,
- ঘটনা খুলে বল। কি সমস্যা?
- আর বলিস না আমি তোর কথা মত কবি আর কবিতার প্রতি একটু ভক্তি শ্রদ্ধা বাড়িয়ে তেত্রিশ বানরের সবকটাকে কষে ব্রেন স্টিমুলেশন দিয়ে আচ্ছাসে কবিতা পড়ানো শুরু করলাম। স্টিমুলেশন একেবারে সর্বোচ্চ পরিমাণে দিলাম যেন কবি আর কবিতার প্রতি একেবারে চরম ভক্তি আসে।
- তারপর?
- বত্রিশটা ঠিক ছিল, একটার হঠাৎ তোর ওই ওভালটিন, চম্পাকলা বইটা
- ওভালটিন না হরলিক্স
- ওই আরকি। একটার ওই হরলিক্স চম্পাকলা বইটা পছন্দ হয়ে গেল। দিনরাত বসে ওইটার কবিতা পড়তো আর কি জানি ভাবতো। দুইদিন পর দেখি বাকি সবগুলা মিলে ওই একটারে আচ্ছাছে পোন্দাইতেছে।
- ভদ্রভাষা বল ব্যাটা, ভালোবাসা করতেছে বল।
- ভালোবাসা না তো। একেবারে উপ্তা করে ধরে মনে কর
- আচ্ছা থাক, বর্ণনার দরকার নাই। মাইনরিটি সমস্যা। এরপর কি হল বল।
- এরপর ওই একটারে আলাদা একটা খাঁচায় পুরে সরায়ে দিলাম। কয়েকদিন ভালো গেল। বাকি বত্রিশটার মধ্যে অর্ধেক দেখি দিনরাত খালি সঞ্চয়িতা পড়ে। আর বাকিরা পড়ে রূপসী বাংলা। দুইদিন যাবার পর দেখি আবার রুমে ধুন্ধুমার কাণ্ড। একদল আরেকদলকে সুযোগ পেলেই আচ্ছাছে পোন মানে ভালোবাসা করতেছে।
- খাইছে, এইবার দেখি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা! এরপর কি হল বল।
- এরপর দুইটা বড় খাঁচা কিনে, দুই গ্রুপ আলাদা করে দিলাম। এক সপ্তাহ ভাল গেল, এক খাঁচায় রবিবাবুর চ্যালারা মনের আনন্দে রূপসী বাংলা ছিঁড়ে কুটিকুটি করল, অন্য খাঁচায় জীবনবাবুর চ্যালারা সঞ্চয়িতা পুড়ায়ে উল্লাস করল।
- গেল আমার দুইটা বই।
- এরপর রবিবাবুর চ্যালাদের নিজেদের মধ্যে আবার গ্যাঞ্জাম লেগে গেল। এক দল বসে বসে কবিতা পড়ে, আরেকদল দাঁড়ায়ে। দাঁড়ানো পার্টি এইবার ধরে দিলো প্যাঁদানি বসা পার্টিকে।
- হুম।
- আবার এই দুই গ্রুপকে আলাদা করলাম। অন্যদিকে জীবনানন্দ গ্রুপের মধ্যে আবার একদল দেখি ঝুলে আর এক গ্রুপ
- থাম থাম। আর বলতে হবে না। ঘটনা বুঝতে পারছি। খালি বল এখন শেষ পর্যন্ত ঘটনা কোথায় গিয়ে ঠেকল?
আবু ইউসুফ মুখ গোমড়া করে বলে,
- তুই নিজেই পাশের ঘরে গিয়ে দেখে আয়।
পাশের ঘরে গিয়ে দেখি এলাহি অবস্থা। তেত্রিশ বানর আলাদা তেত্রিশ খাঁচায় গোমড়া মুখে বসে তেত্রিশটা আলাদা কবিতার বই পড়ছে। কেউ চোখ বন্ধ করে, কেউ চোখ খুলে। কেউ এক পায়ে দাঁড়িয়ে, কেউ দুই পায়ে দাঁড়িয়ে, কেউবা বসে, কেউবা ঝুলে। এক বানরের সাথে অন্য বানরের চোখাচোখি হলেই দাঁত মুখ খিঁচিয়ে ভয়ঙ্কর হৈহল্লা শুরু করে।

ভুল হয়েছে। তেত্রিশ না বত্রিশ। ছোটোখাটো দুবলামত এক বানর নিজের খাঁচায় চিত হয়ে শুয়ে আপন মনে কলা খাচ্ছে। কোন পড়াশোনার ধার দিয়ে যাচ্ছে না। এক খাঁচার সিকিউরিটিও মনে হল বেশি। খাঁচার চারপাশে ইউসুফ আরও কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ভালো করে মুড়ে দিয়েছে।
- ঘটনা কি? এইটা কি সবচেয়ে হিংস্র নাকি?
- নাহ, এটার একটু ব্রেন ডিফেক্ট আছে মনে হয়। এত করে ব্রেন স্টিমুলেশন দিলাম কোন লাভ হলনা। এই ব্যাটার কবিতার প্রতি কোন উৎসাহ নাই। দিনরাত কলা খায় আর নিজের মনে ঝুলাঝুলি করে।
- তাইলে এর খাঁচায় এরকম এক্সট্রা সিকিউরিটি কেন?
- কি জানি কারণে বাকি বত্রিশটার এর উপর রাগ সবচেয়ে বেশি। পারলে খাঁচা ভেঙ্গে একে পিটিয়ে আসে। এইজন্য সিকিউরিটি বাড়িয়ে দিয়েছি। তবে এই ব্যাটারও দোষ আছে বাকিরা যখন কবিতা পড়ে তখন এদের দিকে তাকিয়ে মাঝে মাঝেই ফিচেল হাসি দেয়। আর বাকিরা যায় আরও ক্ষেপে।

ইউসুফ এর কথা শেষ না হতেই দুবলা বানর দেখি পাশের খাঁচার একজনকে দেখে একটা ভেঙচি কাটল। আর যায় কই। বত্রিশ বানর নারকীয় চেঁচামেচি শুরু করে দিল।

আমি কাণ্ড দেখে হেসে ফেলি। হাসতেই থাকি। ইউসুফ বলে, ওরকম পাগলের মত হাসিস কেন?
আমি বললাম, এই কাণ্ড আগেও কই যেন দেখেছি।

................................................................................................................

আমার হাতে চাপাতি নেই যে কাউকে কোপাবো, হাতে বন্দুক নেই যে গুলি করবো, কাছে এসিড নেই যে ছুড়ে মারব। সম্বল একখানা ল্যাপটপ। তাই যখন অসহায় লাগে কীবোর্ড এর উপর রাগ ঝাড়ি। এটা নিতান্ত সাধাসিধে একটা সাইন্সফিকশন গল্প। আমার বন্ধু সুব্রত শুভ সহ বাকি সব আটককৃত ব্লগারদের উৎসর্গ করলাম এই গল্প। আমাদের চোখের সামনেই কার্টুনিস্ট আরিফ কে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে ধর্ম অবমাননার অজুহাত দিয়ে। ভোট রাজনীতির খেলায় আর যেন এরকম বলির পাঁঠা তৈরি না হয় সেই কামনায়।


মন্তব্য

ধুসর জলছবি এর ছবি

গুরু গুরু
বলির পাঁঠা বানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। মন খারাপ এখন কতজনকে কতভাবে বানায় সেটাই দেখার বিষয় মনে হচ্ছে। আমি রাগ , ক্ষোভ, অসহায়ত্ব , অস্থিরতা একই সাথে এতগুলো অনুভুতিতে এর আগে এত প্রবল ভাবে কখনও ভুগেছি কিনা মনে করতে পারছি না। মন খারাপ

চরম উদাস এর ছবি

সেটাই

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

মন খারাপ মন খারাপ মন খারাপ চরম প্রোডাক্টিভ মোডে আছেন বস। গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

চরম উদাস এর ছবি

আর কিছু করার ক্ষমতা নেই তাই

অন্যকেউ এর ছবি

তলোয়ার দিয়ে কলমধারীকে ঘায়েল করা যায়, কলমকে না আরকি।

লেখা চলছে, লেখা চলবে।

চলুক চলুক

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

চরম উদাস এর ছবি

চলবে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সুদীপ  এর ছবি

বরাবরের মতই গুলি গুল্লি
সাথে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- ধইন্না

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তারেক অণু এর ছবি

এই অমর গল্পের মাঝে অধমের নাম দেখে মনে হচ্ছে টিকেই গেলাম কালের আবর্তে।

দুর্দান্ত হয়েছে, যাদের উদ্দেশ্যে লেখা তারা বুঝবে না যদিও।

ফরহাদ মঝার, মাহমুদুর এদের নিয়ে ধুয়ে দেন কীবোর্ড দিয়ে।

খেকশিয়াল এর ছবি

কাল রাতে খেয়েছিস আস্ত এক বাঙ্গী
খরস্রোতে তাই আজ ভেসে গেছে লুঙ্গী
তবু অবিচল, তুই হয়ে হাফ নাঙ্গি
নেংটি ভাসলে এবার বাজবে তোর..

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

ইয়ে মানে অণু যদি অনুমতি দিত তাইলে ওই বিশেষ ছবিটা এইখানে শেয়ার দিয়ে দিতাম। পাব্লিকে সবাই কবিতার মর্মার্থ আরও ভালো করে বুঝত চোখ টিপি

তারেক অণু এর ছবি

দিয়ে দেন, সেটার সাথে অবশ্য সুনীলের একটা কবিতা দিছিলাম, ব্যাপার না

চরম উদাস এর ছবি

আমার কবিতা কি সুনীলের থেকে কোন অংশে খারাপ হইছে? বুকে হাত দিয়ে বলেন দেখি ...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমি বলব, আমি বলব! বুক কই? ইয়ে, মানে...

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাব্বির রহমান এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সাব্বির রহমান এর ছবি

গুল্লি চ. উ. ভাই গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো

সবজান্তা এর ছবি

আপনের লেখা, যারে বলে একদম বুল'স আই, মানে লক্ষ্যভেদী। এতো ভালো অ্যানালজি যে কেমনে পান!

গুল্লি

চরম উদাস এর ছবি

হরলিক্স খেয়ে খাইছে

খেকশিয়াল এর ছবি

গুলি গো দাদা গুলি! গুল্লি আপনের গল্প থামলে কিন্তু ছৈলত ন!
খুবই ভাল্লাগ্লো যে আপনে গণপিটুনির থ্রেটটা আমলে নিসেন খাইছে

কাল রাতে খেয়েছিনু আস্ত এক বাঙ্গী
খরস্রোতে তাই আজ ভেসে গেছে লুঙ্গী
তবু অবিচল, আমি হয়ে হাফ নাঙ্গি
নেংটি ভাসলে এবার বাজবে মোর পুঙ্গি

মারা গ্লাম, অণু কই গড়াগড়ি দিয়া হাসি

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

মেঘা এর ছবি

প্রথম কবিতা পড়ে হাসতে হাসতে শেষ! আবিদ আজাদের চুমুর স্মৃতি কবিতা পোষ্ট করেছিলাম একদিন ফেসবুকে। সেদিন এই কবিতাটা লিখেছিলেন খাইছে

লেখা লেখি জারি থাকুক। চলুক

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

বুলস আই!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

চরম উদাস এর ছবি

হাসি

শিশিরকণা এর ছবি

এই লেখাটা সাইন্স ফিকশন রচনা হিসেবে পরথম আলু আর আমার দেশে ছাপার জন্য পাঠিয়ে দেন।

আপনার লেখা অসাধারণ, যাদের উদ্দেশ্যে লেখা তারা কোনদিন বুঝবেও না কেম্নে আপনি ওদের লুঙ্গি শুধু খুলেই নেন নি, সেটা কেটে নেংটি বানিয়ে আবার ওদের কাছে বেচেও দিয়েছেন। হাসি

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো
এটা ভালো বলছেন

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

গুল্লি

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

দেবজিত এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু
এই লেখাই যাদের পোন্দাইসেন তাদের বুদ্ধির মাত্রা অবশ্য এই বানর প্রজাতির চেয়েও নিচু স্তরের। তাহারা এই লেখার মর্মার্থ বুঝবে না।
বিঃদ্রঃ এই লেখার মাধ্যমে যে বানর প্রজাতির বানরানূভুতিতে আঘাত আনা হল তার স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের বিচার নিশ্চিত করার জন্য বানর সমাজ আবার দাবি তুলবে নাতো?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের বিচারের দাবী কেবল বাঁদর সমাজই তোলে!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

চরম উদাস এর ছবি

কারে কি করলাম? আমি নিরীহ সাইন্স ফিকশন লিখছি

আনু-আল হক এর ছবি

গুল্লি গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ছাইপাঁশ  এর ছবি

চরম গুল্লি

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

রিসালাত বারী এর ছবি

গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

Emran  এর ছবি

গুরু গুরু

কিপলিং-এর প্রতি আপনার গল্পের সূক্ষ্ম nod-টা অসাধারণ।

চরম উদাস এর ছবি

হাসি

তাসনীম এর ছবি

গুরু গুরু

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

টিউলিপ এর ছবি

গুরু গুরু

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অনিকেত এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

একদিকে লেখা চলবে আরেকদিকে ইয়ে, থাক আর গেলাম না
গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

হ, ঠিক

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

বাঁদরের যখন কবিতা পড়ার সাধ হয় তখনই পো......ইয়ে মানে ভালোবাসাবাসি সব সংবিধান ফুঁড়ে বের হয়ে আসতে চায়। তখন যদি মমিন দমনের ব্যবস্থা না করে খাঁচায় পুরে দেন, এই অবস্থায় হাসি কার সহ্য হয় বলেন?

চরম উদাস এর ছবি

তারপরেও হাসতে হবে তো, হাসতে হাসতেই প্রতিবাদ করতে হবে হাসি

কড়িকাঠুরে এর ছবি

গুল্লি রে ভাই...

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

চলুক

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সচল জাহিদ এর ছবি

চলুক চলুক চলুক


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

শামীম এর ছবি

চরম দিলেন উদাস ভাই। তয় রিমান্ডে লওয়ার ব্যাপারটা বাদ পড়ে গেছে শয়তানী হাসি

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

চরম উদাস এর ছবি

চোখ টিপি

রিক্তা এর ছবি

গুরু গুরু

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

ওদিকে 'আবু ইউসুফ' ব্রেইন স্টিমুলেশন দিয়েই খালাস!!!
শুধু বানরের তামাশা দেখে!!!
মন খারাপ
আর আপনি???
বরাবরের মতই অসাধারণ....
গুল্লি

সুবোধ অবোধ

চরম উদাস এর ছবি

ধন্যবাদ
হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ
-------

মাসুম

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

m sadek এর ছবি

ভালো হইছে , কিন্ত মুশকিল হলো বুজবে নাতো ...............

চরম উদাস এর ছবি

কথা সত্য ইয়ে, মানে...

রাহী এর ছবি

আপনার লেখা পড়লে সারাদিন আর অন্য ব্লগ পরতে ইচ্ছা করেনা গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

লইজ্জা লাগে

 মেঘলা মানুষ এর ছবি

আপনার লেখাগুলো কি আপনার প্রফাইল পিকে যাদের ছবি আছে তাদের দিয়া লেখান নাকি বস?
একজন চোখ বন্ধ করে হাসে, আরেকজন চোখ খুলে হাসে। দুইজনরে দুই খাঁচায় ঢুকানো উচিৎ খাইছে

চরম উদাস এর ছবি

এতদিনে না সিক্রেট ধরতে পারছেন খাইছে

কৌস্তুভ এর ছবি

রূপকটা বুঝতে একটু সময় লাগল। কিন্তু দুর্দান্ত হয়েছে।

চরম উদাস এর ছবি

কি কন? রূপক কেডা? খাইছে

নৈর্ব্যক্তিক এর ছবি

মারাত্মক!

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

বুঝলাম না, কি লিখছেন। তয় আপনার দুস্তদের খাঁচায় বন্ধি রাখার তেব্র পেতিবাদ জানায়া গ্লাম।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

চরম উদাস এর ছবি

চিন্তিত

নীল আকাশ এর ছবি

গুরু গুরু চলুক

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু
পুরাই গুল্লি
কেম্নে পারেন বস ???

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

চরম উদাস এর ছবি

হরলিক্স খেয়ে খাইছে

সুমাদ্রী এর ছবি

আপ্নে একটা বস পাব্লিক !! তয় আপনার বন্ধু যখন বাঁদররে খুশি করতে যাইয়া পাঁতলুন নামায় দেয়, তখন আপনি খাড়াই খাড়াই খালি দেইখসেন ক্যা? আপনি মানে হাম সব লোগ।।।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

চরম উদাস এর ছবি

কথা ঠিক। আমরা সবাই তালি দেয়া দর্শক হয়ে গেছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বানরানুভূতিতে আঘাত হানার জন্য আপনার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করতে হবে। দেঁতো হাসি

চরম উদাস এর ছবি

আমিওতো সেই গোত্রেরই লোক খাইছে

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সে আর বলতে! চোখ টিপি

অতিথি লেখক এর ছবি

ক্লাসিক চরম উদাস ওয়ান্স অ্যাগেইন। গুল্লি
কিন্তু দাদা, গুল্লি যাদেরকে করলেন, তাদের এতোকিছু বুঝার সাধ্য থাকলে তো আর এইসব কাহিনী হয় না। ছাগুদের বর্জ্য যেমন গুটলিসদৃশ, তাদেরকে খাওয়াতেও হবে ওই রকম সহজবোধ্য গুটি পাকাইয়া।

- সুচিন্তিত ভুল

চরম উদাস এর ছবি

সেটাই সমস্যা , যারা পড়বে তাদের পড়ার দরকার নেই। যারা বুঝবে তাদের বোঝার দরকার নেই।

অতিথি লেখক এর ছবি

ডারউইনের বিবর্তনবাদ আবারো প্রমাণিত ! উত্তম জাঝা!

-বলদ মানুষ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।