- আপনের ঘটনা কি? গদ্য না পদ্য?
কাদের তার পাশে বসা বাবরী চুলের দুখী দুখী চেহারার লোকটিকে জিজ্ঞেস করলো।
- পদ্য
- এহহে , তাইলে গেঞ্জাম বেশি। গদ্য হইলে আমি ওসি সাবরে বলে অল্পের উপর ঝামেলা শেষ করতে পারতাম। পদ্যের উপর মনে করেন রাগটা বেশি। পদ্য একটু হিন্দুয়ানী ব্যাপার না। বুঝেনই তো।
বাবরী চুল কিছুক্ষণ চুপ থেকে কাদেরকে জিজ্ঞেস করে,
- আপনার কি গদ্য?
পাশের বেঞ্চে বসে থাকা সাদা দাড়িকে দেখিয়ে বলে কাদের,
- আরে নাহ। ওই লোকের গদ্য কেস। আমার সহজ মামলা। রেপ কেইস।
- বলেন কি?
- হ। জটিল কিছু না। ছেমড়িরে মনে করেন গত এক বছর ধরে ইশারা দিতেছি দেখেও না দেখার ভান করে। আরে হ্যাঁ না একটা কিছু কবিতো। গত শুক্কুরবার দেহি বিয়ান বেলা মফিজের ভিটার পিছনের বাঁশঝাড় এর মইধ্যে দিয়ে হাইট্টা যায়। আরে মাগি, ব্যাটাছেলে দিনের বেলাই ওই আন্ধার বাঁশঝাড়ের মইধ্যে দিয়া যাইতে ডরায়। তুই যাস কোন আক্কেলে। তো তখন আরকি ঘটনা ঘটায়ে দিলাম।
- বলেন কি?
- বলাবলির কিছু নাই। বুঝেনই তো। আপনেও তো পুরুষ মানুষ নাকি?
বাবরী চুলের ভদ্রলোক মুখটা আরও বেশি দুখী দুখী হয়ে যায়। মুখ খুলে কিছু বলার আগেই ভেতরে ডাক পড়ে। ওসিকে খানিকটা বিরক্ত ও ক্লান্ত মনে হয়। কোন ভূমিকার ধার না ধেরে তিনি পাশে দাঁড়ানো কন্সটেবলকে বলেন, ঝামেলা তাড়াতাড়ি শেষ করেন। প্রথম অভিযোগ বলেন।
- স্যার প্রথম অভিযোগ এই লোক মোল্লাদের নিয়ে কবিতা লিখছে।
কন্সটেবল হাতের কাগজ হাতরে কবিতা বের করে পড়া শুরু করেন,
মসজিদে কাল শিরনি আছিল,-অঢেল গোস্ত-রুটি
বাঁচিয়া গিয়াছে মোল্লা সাহেব হেসে তাই কুটি কুটি
সাদেক মোল্লা অভিযোগে বলছেন, এই লোক আমার মসজিদে স্পাইং করে। নাইলে আমার শিন্নির খবর জানল ক্যামনে? আমি হাসছি কি কানছি সেইটাই বা ক্যামনে জানল?
ওসি হাত দিয়ে মাছি তাড়ানোর ভঙ্গি করে বলেন,
- জলদি করেন। এরপরের অভিযোগ বলেন।
- এরপরের অভিযোগ রতন কাজীর। এই লোক পদ্য লিখছে
বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে,
আমরা তখন বসে,
বিবি তালাকের ফাত’ওয়া খুঁজেছি
ফিকহ ও হাদিস চষে।
হানাফি, শাফেয়ী,মালেকি, হাম্বলির
তখন মেটেনি গোল,
এমন সময় আজরাইল আসি
হাঁকিল তলপি তোল।
বাহিরের দিকে মরিয়াছি যত
ভিতরের দিকে তত,
গুনতিতে মোরা বাড়িয়া চলেছি
গরু-ছাগলের মত।”
একঘেয়ে স্বরে কন্সটেবল কবিতা পড়া শেষ করে বলতে থাকে,
- রতন কাজী তার অভিযোগে বলছেন, প্রথমত আমি কাজী মানুষ। বিয়া যেরকম পড়ানো আমার কাজ তেমনি তালাক দেয়াও আমার কাজ। আমি তালাকের জন্য ফতোয়া দিছি এই নিয়ে এই লোকে বিতং করে কবিতা ফেঁদে বসছে। আর শুধু এই না। চারিদিকে এমনিতেই আমাদের ছাগু বলিয়া ট্যাগ মারে। এই লোকেও আমাদের ছাগু বলছে। আমরা নাকি গরু ছাগলের মত বেড়ে চলতেছি। কত বড় আস্পর্ধা।
- আচ্ছা। আরও কিছু আছে?
- আছে স্যার। এই লোক মসজিদ ভাঙ্গতে চায়। সন্ত্রাসী। এই দেখেন লিখছে,
কোথা চেঙ্গিস, গজনী-মামুদ, কোথায় কালাপাহাড় ;
ভেঙ্গে ফেল ঐ ভজনালয়ের যত তালা-দেওয়া-দ্বার !
খোদার ঘরে কে কপাট লাগায় কে দেয় সেখানে তালা ?
সব দ্বার এর খোলা র’বে, চালা হাতুড়ি শাবল চালা !
দেখেন অবস্থা। হাতুড়ি শাবল দিয়ে মসজিদ ভাঙবে।
- অস্ত্রপাতি কিছু পাওয়া গেছে এর কাছে?
- খালি কাগজ কলম পাইছি স্যার। তবে সাথে এইযে কাঠের একটা মুগুর পাইছি। মনে হয় এটা দিয়েই মসজিদ ভাঙ্গার প্ল্যান করতেছিল।
বাবরী চুল বিষণ্ণ গলায় বলে,
- মুগুর না। এটা বেলন। রুটি বেলার বেলন।
ওসি সাহেব চোখ পাকিয়ে প্রশ্ন করেন,
- বেলন দিয়া তুমি কর?
- রুটি বেলি। আমি হোটেলে কাজ করি, ওইখানেই ঘুমাই।
তার কথা শেষ হবার আগেই এবার কন্সটেবল আবার মুখ খুলে,
- সবচেয়ে ভয়ঙ্করে স্যার এই কয়টা লাইন। শুনেন একটু,
ও’ কারা কোরান, বেদ, বাইবেল চুম্বিছে মরি মরি
ও মুখ হইতে কেতাব-গ্রন্থ নাও জোর করে কেড়ে
যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে ।
পুজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল !–মুর্খরা সব শোনো
মানুষ এনেছে গ্রন্থ,–গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো ।
চিন্তা করেন অবস্থা। কোরআন কেড়ে নিতে চায়। আবার বলে এই গ্রন্থ নাকি মানুষের লেখা। কি ভয়ঙ্কর!
ওসি সহ উপস্থিত সবাই একটু শিউরে উঠে। ওসি তার খাতায় কিসব লিখে যায়। তারপর মুখ তুলে প্রশ্ন করে। ক্রোধে একেবারে তুমি থেকে তুই তে নেমে আসে।
- তুই নাস্তিক বুঝলাম। কিন্তু হিন্দু নাস্তিক না মুসলমান নাস্তিক?
বাবরী চুল কি বলবে বুঝতে না পেরে আমতা আমতা করে।
- একে দুই সপ্তাহ হাজতে রাখেন। তারপর কোর্টে চালান। ঠিকমতো রুলের গুঁতা দেন। এইসব লেখালেখির পিছনে কার কার হাত আছে বের করেন।
কন্সটেবল এবার লম্বা, ফরসা, শ্বেতশুভ্র দাড়িওয়ালা এক সৌম্য দর্শন লোককে নিয়ে ভেতরে আসে। ওসি তার দিকে না তাকিয়েই বলেন,
- গদ্য না পদ্য?
- স্যার এই লোকের গদ্য কেস।
- সংক্ষেপে বলেন।
- কুরবানি নিয়ে খারাপ কথা বলছে স্যার। রীতিমতো উপন্যাস ফেঁদে বসছে।
- পড়ে শুনান
কন্সটেবল দাড়িওয়ালার ঝোলা থেকে একটা বই বের করে পড়া শুরু করে,
ভুবনেশ্বরী মন্দিরের পাথরের ঘাট গোমতী নদীতে গিয়া প্রবেশ করিয়াছে। ত্রিপুরার মহারাজা গোবিন্দমাণিক্য একদিন গ্রীষ্মকালের প্রভাতে স্নান করিতে আসিয়াছেন, সঙ্গে তাঁহার ভাই নক্ষত্ররায়ও আসিয়াছেন। এমন সময়ে একটি ছোটো মেয়ে তাহার ছোটো ভাইকে সঙ্গে করিয়া সেই ঘাটে আসিল। রাজার কাপড় টানিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “তুমি কে ?”
- আরে যন্ত্রণা, আপনি কি এখন আমাকে এই পেটমোটা উপন্যাসের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাকে পড়ে শুনাবেন নাকি।
কন্সটেবল জিভ কেটে দ্রুত কয়েকটা পাতা উল্টায়। বলে,
- এই যে স্যার এখানে ...
একটি রক্তস্রোতের রেখা শ্বেত প্রস্তরের ঘাটের সোপান বাহিয়া জলে গিয়া শেষ হইয়াছে। কাল রাত্রে যে একশো-এক মহিষ বলি হইয়াছে তাহারই রক্ত।
হাসি সেই রক্তের রেখা দেখিয়া সহসা একপ্রকার সংকোচে সরিয়া গিয়া রাজাকে জিজ্ঞাসা করিল, “এ কিসের দাগ বাবা!”
রাজা বলিলেন, “রক্তের দাগ মা!”
সে কহিল, “এত রক্ত কেন!” এমন একপ্রকার কাতর স্বরে মেয়েটি জিজ্ঞাসা করিল ‘এত রক্ত কেন’, যে, রাজারও হৃদয়ের মধ্যে ক্রমাগত এই প্রশ্ন উঠিতে লাগিল, ‘এত রক্ত কেন!’ তিনি সহসা শিহরিয়া উঠিলেন। বহুদিন ধরিয়া প্রতিবৎসর রক্তের স্রোত দেখিয়া আসিতেছেন, একটি ছোটো মেয়ের প্রশ্ন শুনিয়া তাঁহার মনে উদিত হইতে লাগিল, ‘এত রক্ত কেন!’ তিনি উত্তর দিতে ভুলিয়া গেলেন। অন্য মনে স্নান করিতে করিতে ঐ প্রশ্নই ভাবিতে লাগিলেন।
- এইখানে কুরবানি কোথায় পেলেন? বলির কথা বলছে তো।
- স্যার ঘুরায়ে বলছে আরকি। এই লোক ত্যাদড় আছে। সূর্যরে রবি বলে, পানিরে জল বলে, সকালরে প্রভাত বলে, দুনিয়ারে ধরণী বলে।
- বাদ দেন। এরে ধমক ধামক দিয়ে বিদায় করেন। এইরকম কেস আরও কয়েক হালি আসতেছে। এত গুলারে চালান করতে পারবোনা।
কন্সটেবল বিমর্ষ মুখে সাদা দাড়িকে কিছু ধমক ধামক দিয়ে বিদায় দিতে যায়। ওসি সাহেব আবার মুখ খুলেন,
- থামেন একটু। কি নাম বললেন এই লোকের? নামের শেষে ঠাকুর আছে শুনলাম মনে হয়।
- জি স্যার, হিন্দু
- হিন্দু নাস্তিক?
- জি স্যার
- আচ্ছা এরেও ঢুকান তাইলে দুই সপ্তাহের জন্য।
বাবরী চুল আর সাদা দাড়ি দুজনেই ছোট্ট হাজত ঘরের অন্ধকার কোণে চালান হয়ে যায়।
মন্তব্য
এখন রবীন্দ্রনাথ আর নজরুল থাকলে আসলেই সবার আগে জেলে ঢুকত আর তার আগে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে আচ্ছা করে ধোলাই দিতো। এখন তো আমাদের অন্ধকার যুগ চলছে। কেউ কোন কথা বললেই ট্যাগ।
লেখা
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
আমার মনে হয় যেসব লেখক দেশে আছে আগে আগে গিয়েই নিজ এলাকার জেলে ঢুকে পরা উচিৎ। জেলে বসে আরাম করে ব্লগিং করবে। জেল থেকে উল্টাপাল্টা কথা কিছু লিখলে নতুন করে তো তো আর জেলে নিতে পারবে না
হু প্রতিবাদ করে কিছু লেখার আগে আমি মোহাম্মদপুরের জেলে যেয়ে ঢুকবো ভাবছি
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
"ও মুখ হইতে কেতাব-গ্রন্থ নাও জোর করে কেড়ে
যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে ।
পুজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল !–মুর্খরা সব শোনো
মানুষ এনেছে গ্রন্থ,–গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো ।"
সব লেখাই পড়ছি, কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি। যথারীতি ভাল লাগছে। পরের লেখার আশায়।
আশা করার আগেই তো পরের লেখা দিয়ে দিচ্ছি। এই স্পিডে লিখতে থাকলে, যদি জেলে না পুরে তাইলে আমার লেখার সংখ্যা ইভা রহমানের গীত সংখ্যাকে অতিক্রম করে যাবে।
এ ধরণের লেখা আরও চাই। এগুলো প্রিন্ট মিডিয়ায় বেশী বেশী ছাপানো যায় না?
ভাইরে, ইন্টারনেট সবার নাই। প্রিন্ট মিডিয়ায় কি করা যায়, ভেবে দেখুন। প্রতিষ্ঠিত লেখকদের বাছা বাছা লেখা পুনঃ পুনঃ ব্যবহার হবে হাতিয়ার।
প্রিন্ট মিডিয়া এসব লেখা ছাপবে না
এরপর যখন আপনারে ধরে চালান দেবে, তারপর আবার আরেকজন জামিন করে দেয়ার লোভও দেখাবে, তখন বুঝবেন
বাই দ্য ওয়ে, স্যাল্যুট খানা দিয়েই যাই তবু (গুরু গুরু)
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
হ, লেখল বাবরী চুল আর সাদা দাড়ি আর দোষ হইলো আমার?
আসলে আহত হই কেবলি
_____________________
Give Her Freedom!
সেটাই
ভাইরে, মন্তব্য করে এই বয়সে রিমান্ডে যেতে চাইনে।
হ্যাঁ, তবে এটা বলি, মোক্ষম নিশানা !
অসাধারণ!!!
স্যালুট।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
স্যালুট না দিয়ে পারলাম না!
ইসলাম, ঠাকুর আর কাদেইর্যার এই গল্পটা আমি এখন না দেখেও মানুষ কে বলতে পারব - অসাধারণ উস্তাদ ! লিঙ্ক শেয়ার করলে অনেকে পড়েনা - অনুমতি দিলে পুরো গল্পটাই কপি পেস্ট করতে চাই। যাদের কন্ঠ ভাল (অনিকেত, হিমু, মনিকা) তাদের দিয়ে গল্পটা রেকর্ড করে লোকজনকে শোনাতে ইচ্ছা করছে! আবারো স্যালুট আপনার চিন্তাশক্তিকে বস।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
অন্য কিছু বলার ভাষা জানা নাই।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ইয়ে মানে, আমার গলাও কিন্তু খারাপ ছিলনা , এমনি বেশ ভালো, টেলিফোনে আরও মিষ্টি (সার্টিফিকেট আছে )।
লা জবাব। সবদিক থেকেই
থিঙ্কু
বাবড়ি চুল আর সাদা দাড়ি তো মরে গিয়ে বেঁচে গেছে। বান্দররে ধরে খাচায় পুরলো বলে।
স্যামের আইডিয়ার পালে বাতাস দিলাম।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আমিও বাতাস দিলাম। খালি দাবী সিনেমায় আমাকেও একটা পাট দিতে হবে (অড্যু বা ভিড্যু যাই হোক না কেন)
কিছুই বলার নাই।
স্যালুট ওস্তাদ!!!
সুবোধ অবোধ
বস
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
প্রভুখণ্ড
থিঙ্কু
(কারো অনুভুতিতে আঘাত দিলাম নাকি??)
দিলেন তো। মোমবাতি জ্বালানো যে বেদাতি কাজ জানেন না?
নাহ নাহ! কি কন?? আমি তো মাজারে জ্বালাইছি!
স্যাম ভাইয়ের আইডিয়ার পালে আমিও বাতাস দিলাম।
দেন দেন, বাতাস দেন।
আপ্নে পুরাই বস লুক।।।
আজকে ফেসবুকে লাইক মারলেই পুলিশ ধরে নিয়ে যায়; একজনের নাম, ছবি ইউজ করে একাউন্ট করে উল্টো-পাল্টা লেখা লিখে তার ঘরে গিয়ে তারে কুপিয়ে দিয়ে আসা যায়। ভাবা নিষেধ, প্রশ্ন নিষেধ, তর্ক নিষেধ, আলোচনা নিষেধ। মাতুব্বররা ভাগ্যিস এই জমানা দেখে যায় নি।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
টম ক্রুজের "মাইনরিটি রিপোর্ট" দেখছেন না। এখন ওই টেকনিক ফলো করতে হবে। অবমাননার কথা মাথায় আসলেই পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে। মাথা থেকে খাতা পর্যন্ত আসতে দেয়া যাবে না।
একের পর এক প্রভুখণ্ড ছাড়াতাছেন দেখি!
গণপিটুনির ডর এইভাবে কাজ করবে আমি বুঝি নাই
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হ, মাইরের ভয়ে ধমাধম লিখে যাচ্ছি
অছাম!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
চ্রম উদাস অ্যাট হিজ বেস্ট!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
..................................................................
#Banshibir.
আবার সবুজ বাংলার ভুত মাথায় ঢুকায়েন না, অনেক কষ্টে সবুজ এর নেশা থেকে মুক্তি পাইছি
এই পোস্টে কমেন্ট করতেও ডর লাগতাসে!
****************************************
ডরাইলেই ডর ...
বস...
চরম
অসাধারণ হইসে ভাইয়া, শেষ দুই সপ্তাহে তো তিনটা লিখা দিসেন তাইনা, চালায় যান !
তিনটা না, পাঁচটা
জবাব নাই!
বুলস আই
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
এই লেখায় কমেন্ট করিয়া অশেষ গুনাহ হাসিল করিলাম। আমিন!
লেখায়
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
জটিল হইছে ভাই!!!
এত কান্না পাচ্ছে কেন কে জানে !
এইটায় কমেন্ট করব বলেই লগিন করলাম। সেইরকম awesomeান্য গল্প হয়েছে এইটা।
ঠিঙ্কু
সরাসরি না বলে সব বলার একটা অসামান্য উদাহরণ হয়ে থাকল গল্পটা।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
অতীব চমৎকার
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
কপি-পেস্ট করার অনুমতি কি পাওয়া যাবে? লিঙ্ক দিলে কেউ পড়েনা। নিচে আপনার নাম দিমু , আল্লার কসম !
কুনু সমস্যা নাই
কিসের জানি গন্ধ পাই!!!
চরম উদাস নাস্তিক মুরতাদ
চরম উদাসের ফাসী চাই ।।
আমারে বেকুব পাইছেন, একা একা জেলের ভাত খামু না, গেলে লগে বাবরী চুল আর সাদা দাড়িরে নিয়ে যামু।
^:)^
দারুণ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শুধু এই লেখাতে কমেন্ট করব বলেই বাড়ি ফেরার অপেক্ষা না করে কাজ থেকেই লগ-ইন করলাম। দারুণ ভাই, দারুণ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
অনেক ধন্যবাদ
পরের বার লালনকেও বাদ দিয়েন না, ব্যাটা মানবধর্মের হেফাজত করত
facebook
হ, জাতপাত মানতোই না!
এটা শুনুন---
পড়গা নামাজ জেনে শুনে..
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লালন তো হিন্দু বা মুসলমান নাস্তিক না, নাস্তিক নাস্তিক। পুরাই গন কেস
ইমো পর্যাপ্ত না এই লেখার জন্য। পেরনাম হই কর্তা।
-চক্রবাক।
-চক্রবাক।
"মানুষ এনেছে গ্রন্থ"! বাবরী চুলের লুকটা আসলেই নাস্তিক!!
সেটাই
চরম
শুধু যে পুলিশ ইত্যাদি এদের এ-অবস্থা তা তো না, এইতো ক’দিন আগে ঘটনাচক্রে বাংলাদেশ সরকারের একজন মন্ত্রীস্থানীয় রাজনীতিকের সঙ্গে কথা বলবার সুযোগ হয়েছিলো। বিশ্বাস করেন, আমি প্রশ্নটা তুলেছিলাম, এবং এটাও বিশ্বাস করেন যে, তিনি বোলোগ এবং বোলোগার বিষয়টা সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানেন না। পর্যাপ্ত পরিমানে স্টুপিড এই লোকটা (উপ/প্রতি/)মন্ত্রী!
হে হে, উপমন্ত্রীরে গাইল দিলেন
দারুণ!
চরম উদাস, ভয়াবহ দৌড়ের মধ্যে আছি । তাই এদিকে মাড়াচ্ছিলাম না । খোমা খাতায় এক বন্ধু আপনার এই লেখার কথা বললো । আমি তাকে বলেছি, আপনি একটা বাজে লোক । এখন আপনাকেও তাই বলে যাচ্ছি । আপনি একটা ভীষন বাজে লোক ।
– কাজী নজরুল ইসলাম ("মানুষ" কবিতা)
মানুষকে “আশরাফ”, “আতরাফ”, “ব্রাহ্মন”, “নমশূদ্র”, “অন্ত্যজ”, “অচ্ছ্যুত”, “নাস্তিক”, “আস্তিক”, “সংখ্যালঘু”...লেবেল করা কবে শেষ হবে কে জানে ? লালন শাহের এই গানটা ক’দিন ধরে খুব মাথায় ঘুরছে ।
অপ্রাসঙ্গিকঃ আপনার যত লেখা আমি পড়েছি তার মধ্যে এটা আমার মতে সবচেয়ে সেরা । অর্থহীন কিছু তারা দিয়ে গেলাম ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আমিও মহা দৌড়ের উপর ছিলাম টাই কমেন্টের প্রত্যুত্তর দেয়া হয়নি। কি জানি উত্তর লিখব ভেবে রাখছিলাম এখন তাও ভুলে গেছি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
স্রেফ অসাধারণ!
বরাবরের মতোই অসাধারণ লিখেছেন, চরম উদাস।
কলম চলতে থাকুক।
- সুচিন্তিত ভুল
থিঙ্কু থিঙ্কু, আপনার নিকটা ইন্টারেস্টিং
আপনার কাছ থেইকা প্রশংসা পাইয়া লজ্জা পাইলাম দাদা আমি সাদাসিধা মানুষ, এতো গালভরা নাম আমার সাথে যায় না। এই নামের রহস্য হইলো, ফেবুতে second name একবার এইটা দিলাম, তারপর আর চেঞ্জ করতে পারি না, ক্যান জানি খালি Error দেখায়। সেই থেকে আমি সুচিন্তিত ভুল
- সুচিন্তিত ভুল
সার্থক নামকরণ
অসাধারণ।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
সচলে দুইজনের লেখা খুব টানে। একজন তাসনীম (ভাই), আরেকজন আপনি। অনিয়মিত না হলে যুধিষ্ঠির আর ষষ্ঠপান্ডবকেও আনতাম লিস্টে।
এমন লেখা পড়েও আরাম। এখন এই বাবরী চুলওয়ালার লেখার ব্যাপারে বৃহত্তর জামাতের বিএনপি শাখা আর বৃহত্তর হেফাজতের আওয়ামী লীগ কি বলে?
টানে কিন্তু বাঁধনে জড়ায় না তো??
বাবরি একদা লিখিয়াছিলেন "আমরা শক্তি/আমরা বল/আমরা ছাত্রদল" এই রেফারেন্স আদালতে দাখিল করে বেচে যেতেও পারেন... আর দেড়েল ব্যাটা তো সোনার নৌকো নিয়ে বসে আছেন
হ, এই কারণেই তো বাবরী ব্যাটায় বিএনপি
কয়েকজনকে শেয়ার দিলাম।।।।।।।। আপনি একটা বিটলা লুক!!!!!!!!!!!!!!!
নতুন করে ব্লগার হয়ে গেলাম মন্তব্য দিয়া। কোন এলাকার হেফাজত খানায় যামু বুঝতেসিনা। আপনি আসলে একটা অ-নাস্তিক (নতুন সংস্করণ) মিয়া।
নতুন মন্তব্য করুন