শিরোনাম দেখে হয়তো খাবি খাচ্ছেন, এ আবার কি শিখাতে আসলাম। ধৈর্য ধরুন, আস্থা রাখুন। এই আমি আপনাদেরকে কিভাবে লেখালেখি করতে হয় শিখিয়েছি, কিভাবে গবেষণা করতে হয় শিখিয়েছি, কিভাবে ইন্টার্ভিউ দিতে হয় শিখিয়েছি, প্রেম করতে শিখিয়েছি, এমনকি ত্যানা প্যাঁচানোটা পর্যন্ত শিখিয়ে দিয়েছি। সুতরাং আজকেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু শেখাবো, ঠকবেন না। বস্তুত আজকে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটাই হয়তো শিখে যাবেন, কিভাবে নরম হবেন। নরম বলতে পারেন, নিষ্ক্রিয় বলতে পারেন, মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী বলতে পারেন আবার সুশীলও বলতে পারেন। ঘুরে ফিরে একই কথা, যেই লাউ সেই কদু।
জীবনের প্রতিক্ষেত্রে নরম হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি স্বামী হলে কিভাবে নরম স্বামী হবেন, সাহিত্যিক হলে কিভাবে নরম সাহিত্যিক হবেন, ধার্মিক হলে কিভাবে নরম ধার্মিক হবেন ইত্যাদি সকল কিছুই আজকের এক টিউটোরিয়ালে একেবারে গুলে খাইয়ে দিব আপনাদের।
শুরু করি হাল্কা জ্ঞান দিয়ে। Mihaly Csikszentmihalyi (এই নাম বাংলায় লেখা বা উচ্চারণ করা সম্ভব না আপার পক্ষে, মাফ চাই, দুয়াও চাই) এর একটা বিখ্যাত ফ্লো মডেল আছে। মানুষের কোন কাজে দক্ষতা আর সেই কাজে প্রতিযোগিতার পরিমাণ এর উপর নির্ভর করে তার মানসিক অবস্থা কি হবে এই নিয়ে চার্ট। যেমন আপনি হয়তো জীবনে পানি সেদ্ধ ছাড়া আর কোন রান্নাবান্না করেননি। এখন আপনাকে আপনার প্রেয়সী এসে বলল, ওগো আমাকে সর্ষে ইলিশ রেঁধে দাও। অথবা প্রোগ্রামিং একেবারেই জানেন না, আপনাকে বস এসে বলল কালকের মধ্যে জাভা আর সি দিয়ে আমার খোকার জন্য একটা জম্পেশ গেম বানিয়ে দাও। সুতরাং স্কিল লেভেল লো আর হাই চ্যালেঞ্জ এর তোপে পড়ে দুশ্চিন্তায় (Anxiety) আপনার অবস্থা হালুয়া। যাহোক বিস্তারিত এখানে পড়তে পারেন আগ্রহী হলে -
আমার কথা হচ্ছে Apathy নিয়ে। Apathy এর সংজ্ঞা উইকি দেয় এভাবে - Apathy (also called impassivity or perfunctoriness) is a state of indifference, or the suppression of emotions such as concern, excitement, motivation and passion. An apathetic individual has an absence of interest in or concern about emotional, social, spiritual, philosophical and/or physical life.
বাংলায় যাকে বলে উদাসীনতা, অনীহা, অনাকাঙ্ক্ষা, নিষ্ক্রিয়তা । সোজা করে বললে সকল কামে চরম উদাস । তাই বলে আমি না কিন্তু, বিশেষ্য নয় বিশেষণ। আপনার কিছু করার স্কিলও নাই, ইচ্ছাও নাই, দরকারও নাই। তাই সকল কিছুতে নিষ্ক্রিয়।এখন নরম আকা সুশীল আকা মধ্যপন্থী আকা সুবিধাপন্থী হতে চাইলে আপনাকে এই Apathy ষ্টেজে বসে থাকতে হবে, মাঝেমাঝে ফাল দিয়ে Arousal ষ্টেজে গিয়ে আবার দ্রুত Apathy তে ফিরে আসতে হবে। সামান্য কিছু করলেও সেটার ফলাফল যেন শূন্য হয় সেটা খেয়াল রাখবেন। ডানে একটু হাত নাড়লে, বামেও নাড়বেন। বামে একটু থু করলে, ডানেও করবেন। উদাহরণ দেই। আমি লেখায়, কথায় সবখানে সুযোগ পেলেই পাকিস্তানকে হেয় করি। এই একটি ব্যাপারে আমি অন্ধ, আমার আক্রোশ অন্ধ, আমার আবেগ অন্ধ। আমি ক্ষেপে গিয়ে একদিন বললাম, পাকিস্তানে মুতি। সাথে সাথে একজন নরম মানুষ প্রতিবাদ জানিয়ে বলল, পাকিস্তানে মুতলেন, ইন্ডিয়াতে মুতপেন না? কি বুঝলেন? এখন এই পাকিস্তান আর ইন্ডিয়া এই দুটি শব্দকে হেফাজত-শাহবাগ, বিনপি-আম্লিগ, শিবির-ছাত্রলীগ, ধর্ষণকারী-বেগানা কাপড় পরা ধর্ষিতা, আমার দেশের সম্পাদক গ্রেফতার- ব্লগার গ্রেফতার এরকম যেকোনো শব্দযুগল দিয়ে রিপ্লেস করে দুইদিকেই সমপরিমাণ মূত্রত্যাগ করতে পারলেই আপনি নরম মানুষ হতে পারবেন।
কিভাবে নরম স্বামী হবেন / How to be a happy husband
শুরু করি সহজ জিনিস দিয়ে। সব রকমের নরমের মধ্যে সবচেয়ে সহজ কাজ নরম স্বামী হওয়া। মনে কুকথা আনবেন না। এখানে নরম বলতে অমায়িক, অনুগত, বাধ্যগত বুঝান হচ্ছে। আপনি যদি পুরুষ হয়ে থাকেন তবে একটি জায়গা বাদে বিবাহিত জীবনের প্রতিক্ষেত্রে নরম হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার স্ত্রী যদি যথেষ্ট বুদ্ধিমতী হয়, তবে বাই হুক ওর ক্রুক আপনাকে প্রয়োজনমত শক্ত বানিয়ে ছাড়বে। বাদবাকি সবখানে নরম।
স্ত্রী শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে ইস্তিরি থেকে। ইস্তিরির কাজ কি? আপনাকে সোজা রাখা, ভাঁজ মুক্ত রাখা। সেই ভাঁজ মুক্ত করতে গিয়ে আপনার স্ত্রী আপনাকে একটু গরম ছেঁকা দিবে এটা তো জানা কথাই। এখন আপনি বুদ্ধিমান হলে সেই গরম ছেঁকা খাওয়ার আগে নিজে নিজেই ভাঁজ ভেঙ্গে সোজা হয়ে যাবেন। আর নরম স্বামী হচ্ছে অনেকটা wrinkle free non-iron শার্ট এর মতো। কোঁচকালে বেঁকে যায়, আবার সোজা করলে সোজা হয়ে যায়। যাই হোক, ভেজর ভেজর বাদ দিয়ে আসল কথায় আসি। আসল কথা হচ্ছে কিভাবে নরম স্বামী হবেন সেটা শিখানোর কিছু নেই। স্বামীরা বাই ডিফল্ট নরমই থাকে। তাই কিভাবে নরম হবে না বলে, কেন নরম হবেন তার সপক্ষে যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করলাম।
নরম স্বামী হবার জন্য একটাই পথ, সব কিছুতে সহমত প্রকাশ করতে হবে। কিভাবে হ্যাঁ বলতে হবে সেটা সবাই জানে কিন্তু কত দ্রুত বলতে হবে সেটা অনেকে জানেনা। ছোটবেলা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে এরকম একটা প্রতিযোগিতা হত। উড়ে কি উড়ে না প্রতিযোগিতা। লাইন ধরে কাচ্চাবাচ্চা দাড় করিয়ে একজন একের পর এক পশু পাখির নাম বলে যেত। আর প্রতিযোগীদের গলা ফাটিয়ে চেঁচিয়ে বলতে হত সেই বস্তু উড়ে কি উড়ে না। শুধু বলে না, যদি সেই বস্তু উড়ে তবে হাত উঠিয়ে উড়ার ভঙ্গি করে দেখাতে হত। না উড়লে হাত উঠান যাবে না। যে ভুল করবে সে বাতিল। এভাবে চলতে থাকত শেষ ব্যক্তি বাতিল হবার আগ পর্যন্ত। ঈগল - উড়ে, বানর- উড়ে না, মহিষ- উড়ে না, কবুতর- উড়ে, মুরগি - উড়ে না ইত্যাদি। মুরগি বেশ ক্রিটিকাল ছিল। এইখানে এসে অনেকেই বাদ পড়ে যেত, সেইসাথে বাদানুবাদও হত মুরগি উড়ে কি উড়ে না এই নিয়ে। এখন কথা হচ্ছে স্ত্রীর সাথে সহমত হবার জন্য আপনাকে ছোটবেলার সেই উড়ে কি উড়ে না খেলা প্র্যাকটিস করতে হবে। প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, তুমি কি আমায় ভালোবাস? উত্তরে পাখির ডানার মতো করে দ্রুত হাত ঝাঁপটাতে ঝাঁপটাতে বলতে হবে, হ্যাঁ অথবা আবার জিগায়। প্রশ্নের পর রেসপন্স করার জন্য আপনার হাতে সময়ে আধা সেকেন্ড। এর মধ্যে যদি হাত পা নাড়িয়ে বিশ্বাসযোগ্য ভাবে উত্তর না দিতে পারেন তবে লেখক দায়ী নহে। একইভাবে আমার চেহারা কি খারাপ হয়ে গেছে, আমি কি মোটা? ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তরে হাত পা না নাড়িয়ে গম্ভীর মুখে বলতে হবে না, নেভার, পাগল, কি যে বল, কক্ষনো না ইত্যাদি। আমি মরে গেলে তুমি কি আবার বিয়ে করবে টাইপের প্রশ্নের উত্তর আরেকটু এগ্রেসিভ ভঙ্গিতে দিতে হবে, খবরদার অমন কথাটি মুখেও এনো না লক্ষ্মীটি থেকে শুরু করে একটু ওভার এক্টিং করে দু চার ঘা (মিষ্টি ঘা আরকি) বসিয়ে দিয়ে বলতে পারেন, এমন কথা মুখে আনলে মাইর ইত্যাদি। তোমার কি মনে হয় আমি বোকা, টাইপের প্রশ্ন অনেকটা মুরগী উড়ে কি উড়ে না এর মতো ভেজাইল্যা প্রশ্ন। তাই শুধু হ্যাঁ বা না বলে আরও দুচার লাইন বলে বুঝিয়ে দিয়ে হবে, তুমি বুদ্ধিমতী তবে চালাক নও , হেফাজতে ইসলাম কিন্তু জামাতে ইসলাম নও, আঙ্গুর ফল তবে টক নও ইত্যাদি।
আমাদের এলাকায় এক ভাবী ছিল, আড়ালে আমরা ডাকতাম শকুনি ভাবী। ঘুরে ঘুরে সকল স্ত্রীদের মুফতে সৎপরামর্শ দিত। পরামর্শ না বলে সূত্র বা উপপাদ্য বলা যায়। স্থূলকোণী ত্রিভুজের স্থূলকোণের বিপরীত বাহুর উপর অঙ্কিন্ত অভিলম্ব উহার অন্য দুই বাহুর উপর ইত্যাদি ইত্যাদি স্টাইলে প্রবাস হইতে শ্বশুরবাড়ির জন্য অঙ্কিত দুইখানা সুটকেসের ওজন, বাপের বাড়ির জন্য অঙ্কিত দুইখানা সুটকেসের ওজনের অপেক্ষা ইত্যাদি ইত্যাদি।
সহজ ব্যাখ্যা , দেশে বেড়াইতে গেলে বাপের বাড়ীর জন্য শ্বশুরবাড়ির সম বা ততোধিক ওজনের সুটকেস নিতে হবে। বাপের বাড়ির সুটকেস শ্বশুর বাড়িতে খোলা যাবে না।
একইভাবে ত্রিভুজের দুই বাহুর সমষ্টি, উহার তৃতীয় বাহু অপেক্ষা বৃহত্তর ইত্যাদি স্টাইলে প্রবাসী স্বামীর প্রবাসে খরচকৃত মাসিক অর্থ ও স্ত্রীর হাতখরচের অর্থের সমষ্টি, দেশে মা বাবাকে প্রেরিত অর্থ অপেক্ষা দশগুন বা ততোধিক ইত্যাদি ইত্যাদি। সহজ ব্যাখ্যা , জামাই যেন দেশে বেশী টাকা না পাঠায় সেই দিকে তীব্র খেয়াল রাখতে হবে।
আপনি দেশেই থাকুন বা বিদেশেই থাকুন প্রতি এলাকায় একখানা করে শকুনি ভাবী পেয়ে যাবেন চোখ কান খোলা রাখলেই। সুতরাং যারা যারা নিজ স্বামীকে নরম বানাতে চান তার শকুনি ভাবির ভাবীর সম্পাদ্য উপপাদ্য মন দিয়ে অনুসরণ করুন।
এখন হয়তো স্বামীরা আমার উপর গোস্বা করে বলবেন, কেন আপনি কিভাবে নরম স্ত্রী হবেন শেখাচ্ছেন না। জীবনে কখনো আটা গুলেছেন? আমি গুলেছি। একদা এক বান্ধবীর পরামর্শে আটা গুলে পরোটা বানাতে গেলাম। আমাকে বলে বেশী করে চিপ ( তাকে না, আটাকে), যত বেশী দলাই মলাই করবা তত নরম হবে। আমি যত বেশি আটা নিয়ে চিপাচিপি করি আটা তত আরও রবারের মত হয়ে যায়, পরে আস্তে আস্তে এলুমিনিয়াম এর মত, সবশেষে লোহার মত শক্ত হয়ে গেল। পরিশেষে আমার হাত নরম হয়ে গেল, আটার কিছু হল না। সুতরাং যা হবার নয় তা নিয়ে চিন্তা করা বাদ দিন।
কিভাবে নরম সাহিত্যিক - ব্লগার হবেন / How to be a Dual Core Writer
ভালো সাহিত্যিক হবার জন্য আপনাকে দুটো জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। আপনি কি পড়ে লিখছেন এবং কি পরে লিখছেন। অনেকের ধারণা আপনি কি পরে আছেন সেটা লেখালেখির জন্য গুরুত্বপূর্ণ না। ভুল ধারণা। লেখালেখির জন্য পোশাক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কি পড়ছেন সেটা যেমন আপনার লেখায় ছাপ ফেলবে তেমনি কি পরছেন সেটাও আপনার লেখায় ছাপ ফেলতে বাধ্য। দিনরাত রসময় পড়ে লিখতে বসলে আপনার লেখায় যেমন মাসিমা, মেসোমশাই, ভাবী, পাশের বাড়ি, বেড়ার ফাঁক দিয়ে এসব নানা শব্দ আপনি না চাইলেও ঢুকে পড়বে। তেমনি দিনরাত কবিগুরু পরে লিখতে বসলে আপনার সাহিত্যে ঝরঝর, বাদল, রবি, প্রভাত, বর্ষা ইত্যাদি তো আসবেই সেইসাথে বোনাস হিসেবে সকল ক্রিয়াপদের শেষে হ্রস্ব উ চলে এসে আপনি এসেছিনু, খেয়েছিনু, করেছিনু করতে করতে নু তে নু-ময় হয়ে যাবেন। একই ঘটনা পোশাকের ক্ষেত্রেও। আপনি কি লুঙ্গী পরে একখানা অমিত লাবণ্যের প্রেমগাথা লিখতে পারবেন? কক্ষনো না। আপনাকে অবশ্যই মালকোঁচা দিয়ে ধুতি সাথে পাঞ্জাবী পরে মাঝ দরিয়াতে বজরায় বসে লিখতে হবে। সবকিছুর একটা নিয়ম কানুন আছে। গদ্য লিখতে হয় শার্ট প্যান্ট স্যুট টাই ইত্যাদি পরে। তাতে গদ্য জমাট বাঁধে। পদ্য লিখতে হয় ধুতি পরে তাতে পদ্যে খোলা হাওয়া চলাচল করতে হয়। লুঙ্গিটা পরলে আবার বেশী ইয়ে হয়ে যায়, পদ্যের ভাবগাম্ভীর্য নষ্ট হয়। আর সব ত্যানা প্যাঁচানি দালালী লেখা লিখতে হয় দিগম্বর হয়ে, কারণ লেখা শেষে যেন পাবলিক কাছা ধরে টানাটানি না করতে পারে। কাছা নেই তাই টানাটানিও নেই। নরম লেখা লেখার জন্য পড়তে হবে নরম লেখা, পরতে হবে লুঙ্গী। লুঙ্গীর মতো নরম আর ফ্লেক্সিবল কাপড় দুনিয়াতে কমই আছে। আরাম করে হাওয়া খান, তুফান উঠলে কাছা মারুন।
সাহিত্যে পড়া ও পরার পর পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে উপমা। অনেক বড় বড় সাহিত্যিকরাই বলে গেছেন, সাহিত্যে উপমা একটি বড় বিষয়। উপমার মান দেখে সাহিত্যের মান বোঝা যায়। সবাই চাঁদকে নিয়ে রঙঢঙ করলো, সুকান্ত একে ঝলসানো রুটি বলে চরম হিট। সেইযুগে ফেসবুক থাকলে ভদ্রলোক সেকেন্ডে কয়েক হাজার লাইক আর শেয়ার পেয়ে যেতেন। শ্রাবস্তীর কারুকার্য জিনিসটার আসলে কি সেই সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা না থাকলেও ছোটবেলা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ওইরকম কারুকার্য অলা একটা মুখ না পেলে বিয়েই করবোনা জীবনে। মধুসূদন রাবণকে বৈদেহীহর বা সূর্যকে অংশুমালী উপমা দিয়ে আমাদের উচ্চমাধ্যমিক বাংলা জীবন বিষময় করে গেছেন। দিন বদলে গেছে। সাহিত্য আধুনিক হয়েছে। উপমারাও তাই আধুনিক হয়েছে। এখন তাই মতিকন্ঠের উপমা পড়ে বিমুগ্ধ হই। কবি সাহিত্যিকরা চুল থেকে শুরু করে ENT ডিপার্টমেন্ট ঘুরে, বুক, পেট, কোমর পর্যন্ত এসে ভয়ে থেমে গেছেন। মতিকন্ঠ দেখিয়েছে পুটু নিয়ে নিদারুণ সাহিত্যচর্চা সম্ভব। ছাত্রী সংস্থার সেবা যত্নে পুষ্ট একটি সুস্থ পুটু, বাগদাদ নগরীর নেয় বিধ্বস্ত পুটু, রয়াল বেঙ্গল টাইগারের নেয় ডোরা কাটা পুটু , আহা কি উপমা, কি প্রয়োগ। মাইকেল মধুসূদন বেঁচে থাকলে আনন্দে কেঁদে ফেলতেন। সে যাই হোক, নরম সাহিত্যের উপমাও নরম হতে হবে। এইসব মতিকন্ঠীয় উপমা, শব্দাবলী থেকে দূরে থেকে সুন্দর সুশীল ভাষা ব্যাবহার করতে হবে। নরম সাহিত্যে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও রাজাকারদের হায়েনা ও তাহাদের দোসর বলা হয়। শুয়োর আর শুয়োরের বাচ্চা বলা হয়না। নরম সাহিত্যের নায়িকারা মেহেরজানের মত গোলাপি হয়, খান সেনা ভালোবেসে তাকে আদর করে, তার যৌনাঙ্গে বেয়োনেট ঢুকায় না।
বহুকাল আগে এক মুরুব্বীর কথা লিখেছিলাম। যে কিনা রাস্তায় আমাকে পাকড়াও করে বলছিল, শুনলাম আজকাল নাকি গরম উদাস ছদ্মনামে পত্রিকায় কি সব অশ্লীল সাহিত্য রচনা করে যাচ্ছ। আমি মৃদু গলায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম, আজ্ঞে গরম না চরম, পত্রিকা না ব্লগ, সাহিত্য না খিচুড়ি। এতকাল পর দেশে গিয়ে আবার এমনি এক মুরুব্বীর কবলে পরলাম। বলে, তুমিও নাকি বোলোগ এ নাস্তিক কথাবার্তা লিখ। আমি যথারীতি বিনয়ের সাথে উত্তর দিলাম, আজ্ঞে বোলোগ না ব্লগ। দেখি তিনি শত চেষ্টা করেও ব্লগ বলতে পারেন না। ভাবলাম ধাপে ধাপে শিখাই। বলেন দেখি ফু দেয়ার ইংরেজি ব্লো। ঠিকঠাক ব্লো বলতে পারলেন। আমি বললাম এইবার বলেন দেখি, জব। তিনি জব বলেই আমার দিকে রোষকষায়িত লোচনে তাকিয়ে চলে গেলেন। আর আমি এত নম্র ভদ্র হবার পরেও কেন যে আমাকে মুরুব্বীরা দেখতে পারেনা এই ভেবে উদাস হয়ে গেলাম। তবে ঘটনা হচ্ছে আজকাল দেশের জ্ঞানীগুণী ঈমানদার লোকেরা অনেকেই বোলোগে, কেউবা বলগে কি হচ্ছে এইটা নিয়ে চিন্তিত। সমস্যা হচ্ছে সকলে ব্লোজব দিব্যি ঠিকঠাক উচ্চারণ করতে পারলেও ব্লগ শব্দটা অনেকেই উচ্চারণ করতে পারেনা। ব্লগার হয়ে যায় বোলোগার, বলগার, এমনকি বগাও মাঝে মাঝে। নাম যেটাই হোক, সুশীল সাহিত্যিকদের জন্য ব্লগ একটা সমস্যা বটে। ছোটবেলা বইতে পড়তাম বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হচ্ছে জনসংখ্যা সমস্যা। আরেকটু বড় হয়ে মনে হল সবচেয়ে বড় সমস্যা লোডশেডিং, যানজট আর মশা। আর এই মুহূর্তে মনে হয় দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নাস্তিক সমস্যা। আরও ভালোভাবে বললে, নাস্তিক ব্লগার সমস্যা। তাই নরম লেখক হওয়া সহজ হলেও নরম ব্লগার হওয়া একটু ঝামেলা। নরম লেখকরা নরম নরম কথা লিখে কাট্টি মারেন। ব্লগে নরম কথা লিখলে কোন না কোন বেয়াদব ছোকরা এসে আপনাকে দু চারটা গাল পেড়ে যাবে। মান ইজ্জত নিয়ে টানাটানি। তাই ইজ্জত রেখে লেখালেখি করতে চাইলে ব্লগ ফেলে পত্র পত্রিকার দিকে মন দিন।
এসো নিজে করি যেহেতু, তাই নিজে কিছু নরম সাহিত্য করে দেখাই। পুরো না লিখে বরং একটা নরম উপন্যাসের আইডিয়া দেই। ভেবেছিলাম নিজেই লিখব কিন্তু সময় সুযোগের অভাবে হয়ে উঠছে না।
শাহাবাগির পেম (নরম উপন্যাস)নায়িকা শাহবাগে শ্লোগান দেয়, ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই রাজাকারের ফাঁসি চাই। দেখতে কাটখোট্টা তবে সুইট আছে। নায়িকার বর্ণনার জন্য হাসনাত আব্দুল হাই আর অদিতি ফাল্গুনীর একই সময়ে শাহবাগ নিয়ে লেখা দুটি অনুসরণ করতে পারেন। দুজনের লেখাই শাহাবাগকে নিয়ে, এ কেবল মিলের শুরু। এরপর মিলই মিল। দুজনেই গল্পের নায়িকার বক্ষ নিয়ে ব্যাপক চিন্তিত। বক্ষ বেশি বড় না আবার একেবারে সমতলও না।
নায়ক হেফাজত। নির্যাতিত, নিষ্পেষিত (শারীরিক), সুবিধা-বঞ্চিত, হাল্কা মোচ ও ফিনফিনে দাড়িযুক্ত বালক।
শাহাবাগে নায়ক ঢিল ছুড়তে এসে নায়িকার প্রেমে পড়ে যায়।
নায়কের বাপ ছোটবেলা মুক্তিযোদ্ধা ছিল এখন বাকশাল এর অত্যাচারে বিরক্ত হয়ে বিনপি করে।
নায়িকার বাপ ছোটবেলা রাজাকার ছিল, বড় হয়ে আম্লিগ করে (যৌবনের উত্তেজনায় দুইটা চারটা রেপ করলেও মানুষ খারাপ না)
ওইদিকে নায়কের চাচা জামাত নেতা।
নায়িকার মামা কড়া চিনে বাম।
ইত্যাদি ইত্যাদি ...
নায়ক নায়িকার প্রেমকে বাকশালি শাহবাগিরা আর বৃহত্তর জামাতিরা মেনে নিতে পারে না।
শেষ সিনে নায়ক নায়িকা দুইজনেই মারা যায়।
আওয়ামী সন্ত্রাসীর গুলি খেয়ে নায়কের পুটু ফুটা হয়, নায়িকার কল্লা আর রগ দুইটাই কাটা পড়ে শিবিরের হাতে।
মরার আগে দুজনে কানতে কানতে বলে, আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম? যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, আশরাফুল-আফ্রিদি ভাই ভাই ... ইত্যাদি ইত্যাদি।
ঠিকমতো লিখতে পারলে (আর সেই সাথে এইটা নিয়ে একটা সিনেমা বানাতে পারলে) এই উপন্যাস থেকে আপনি কি কি অর্জন করতে পারেন ভেবে দেখুন।
প্রেমের ছবি হিসেবে মেরিল পুতুমালু পুরস্কার।
মাদ্রাসা ছাত্রের সমকামী ব্যাপারস্যাপার তুলে ধরার জন্য কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ইস্পিসাল ক্রিটিক্স অ্যাওয়ার্ড, অস্কারে বেস্ট ফরেন ফিল্ম।
সাহিত্যে নুবেল।
শান্তিতে নুবেল।
কেমিস্ট্রিতে নুবেল ( এরকম জটিল প্রেমের রাসায়নিক ফর্মুলা আবিষ্কারের জন্য)
যাহোক, লিখতে বসেছিলাম কি আর লিখছি কি! আসলে যা যা বলার জন্য মূলত লেখা শুরু করেছি তার আসল কথা শুরুই হয়নি! আপাতত বরং এখানেই থামি। এই লেখার দ্বিতীয় পর্বে বরং আপনাদের শেখাবো কিভাবে নরম মুসলমান হবেন, কিভাবে নরম মানবতাবাদী হবেন আর কিভাবে নরম দল হবেন।
শেষ করি, প্রিয় সচলায়তনকে শুভ জন্মদিন জানিয়ে। আমার পূর্ণ উদ্যমে লেখালেখির বয়স দুই বছর। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই দুই বছরে আমি সচল ছাড়া আর কোথাও কিচ্ছুটি লিখিনি। বাল্যকালে যখন লেখালেখি করতাম, তখন একসময় অন্যদিন, সাপ্তাহিক ২০০০ এ যেমন গল্প লিখেছি তেমনি অন্যভুবন ইত্যাদি ফিল্মি ম্যাগাজিনে দিব্যি শাহরুক খান ভালো না আমীর খান ইত্যাদি ধরণের লেখা লিখেছি Stardust/ Filmfare থেকে অনুবাদ করে। লেখা প্রতি ৫০০ টাকা করে পেতাম, ছাত্র অবস্থায় নিতান্ত খারাপ আয় না। এখন লিখি শুধুই সচলায়তনে, টেকাটুকা ছাড়াই। দুই বছর লেখালেখি করে লেখা থেকে চার আনা পয়সাও পাইনি ( বানচু আই মিন জালিম দুনিয়া) কিন্তু যা পেয়েছি সেটা আমার পক্ষে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। আজ চরম উদাস নাম বললে ওবামা মুচকি হাসে, কফি আনান গম্ভীর মুখে কফিতে চুমুক দেয়, মেসি হাসতে হাসতে এক জোড়া গোল দিয়ে দেয়, নাইজেরিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কেলে শিশুটি ফোকলা দাঁত বের করে হাসে ... একটু বেশী হয়ে যাচ্ছে কি ! ওক্কে, কন্ট্রোল কন্ট্রোল।
সব জায়গা ফেলে সচলে লেখার কারণ একটাই। সচল নরম না। সচলের হাজারো সমস্যা থাকতে পারে, এর সাথে ওর ঝগড়া বিবাদ মান অভিমান থাকতে পারে, সচল অহংকারী হলেও হতে পারে, অতিথি লেখকদের প্রতি কড়া হলেও হতে পারে তবে সচল নরম না। ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা অবশ্যই প্রয়োজনীয়। পৃথিবীতে মানুষ যেমন আছে, তেমনি ছাগু, বলদ ইত্যাদিও আছে। আপনি হয়তো আয়োডিনের অভাবে জন্মসূত্রে বা সৎসঙ্গে পড়ে কর্মসূত্রে বলদ ছাগু ইত্যাদি। দোষের কিছু নেই। বলদ বা ছাগু হওয়া আপনার নাগরিক অধিকার। তেমনি আপনি বলদ বা ছাগু হলে আপনাকে বলদ বা ছাগু বলাও অন্যের নাগরিক অধিকার। কারণ কবি বলেছেন,
কানাকে কানা বলিও না, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিওনা
তবে
ভণ্ডকে ভণ্ড বলিও, বলিতে বলিতে ডাণ্ডাইও
বলদকে বলদ বলিও, বলিতে বলিতে কান্দাইও
ছাগুকে ছাগু বলিও, সাথে অল্প পোন্দাইও
শুভ জন্মদিন ভালোবাসার সচলায়তন। শক্ত মানুষ হওয়ার ধাপগুলো তোমার কাছ থেকেই শেখা। ভদ্রতা আর সুশীলতার মুখোশে থুতু দেয়ার কায়দাটা তোমার কাছ থেকেই শেখা।
মন্তব্য
আবারও অসাধারণ একটা লেখা!
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এত জলদি ক্যামনে পড়লেন?? দিলাম তো পাঁচ মিনিটও হয়নাই।
পুরোটাই তো পড়ে কমেন্টালাম।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
দুর্দান্ত!!
অলমিতি বিস্তারেণ
থিঙ্কু
ঊর্ণনাভ মানে কি মাকড়সা??
হ
বরাবরের মতো অসাধারণ !! চরম উদাস রক্স
কেম্নে পারেন উদাসদা কেম্নে পারেন ?
আবারও অসাধারণ একটা লেখা।
একদম মনের কথা, প্রানের কথা।
আজকাল খুব ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছি, হয়ত লগ ইন করে সচলে আসা হয়না তবুও যে কোন কম্পু বাবাজী পেলে সবার আগেই সচল দেখা হয়।
খুব অনুভব করি যখন সচল এইভাবে আমার জীবনে ছিলনা তখন সব কিছু অনেক অন্য রকম ছিল।
জয়তু সচলায়তন।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
সচল একটি অভিশাপ
দূর্দান্ত!
নরম উপন্যাসের নায়কের রোলের জন্য...
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
বেনেডিক্ট রে নিয়া এইখানে কি চলিতেছে
শাহবাগী পেম মুভি টা বানামু , ট্যাকা টুকা দিবো নি মতি সাবে ? ;)
ফাডাইয়ালাইছেরে!
'শাহবাগির পেম'- সম্ভ্রমজাগানিয়া একটি চমৎকার 'নরম উপন্যাসের' সারসংক্ষেপ হইছে। এই শিরোনামে একটু বিশদে একটা পুরনাঙ্গ পোস্ট মারলে আমরা বিমুল আনুন্দ পাইতাম।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
ভরসা আর সাহসী প্রকাশক দিলে আজকেই উপন্যাসটা লেখার কাজ শুরু করে দেই
আবার বেটাইমে পোস্ট দিছেন! ধুর!
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
কই বেটাইমে দিলাম?? আপনার কথা শুনেই তো আজকে অপিস শেষ হওয়ার টাইমে লেখা দিলাম। আমার এইখানে বিকাল পাঁচটা।
টেকাটুকার সমস্যাটা সচলে একটা বড় সমস্যা। সপ্তম বছরে আমাদের দাবী সচলদের মাসোহারার। টেকাটুকা ছাড়া লেখালেখি নাই!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হ
একমত, মাসোহারা দেয়া হউক চরম হারে
facebook
অসাধারন প্রতিভাবান লেখক
বয়সকালে কতজনরে যে পত্রাঘাতে বশ করছেন ।।।।।।।।।।।।।।।
কিছুকথা থাক না গুপন
পইড়া আগেরডির মত মজা পাই নাইক্কা
তারপরেও
নেক্সট পর্বের জন্য
পরের পর্ব আরও ভালু হবে, কথা দিলাম
জীবনের বেশীর ভাগটা পার হয়ে গেছে সচলায়তনের জন্মের আগে। সচলায়তনের সাথে পরিচয় হতে তার পরেও চলে গেছে প্রায় সাতটা বছর - এ দু:খ সহজে যাবার নয়। কিন্তু সামনের দিনগুলোকে সচলায়তনের সাথে জুড়ে রাখা ছাড়া আর কোনোভাবে এই লোকসানের মোকাবেলার পথ জানা নাই। তাই সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি। সচলায়তনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
লেখা যেমন হওয়ার তেমন-ই হইসে খুব শক্ত, এক্কেবারেই নরম না! (থাউক, অই লাইনে আর আউগ্যাইয়া কাম নাই।)
পরের কিস্তির অপেক্ষায় থাকলাম। তাড়াতাড়ি দিয়েন!
- একলহমা
পরের কিস্তি এই আসলো বলে ...
সামবডি ডাই মি!! আপ্নে বস্লুক এইটা কইতে মুখ ব্যাথা করে না।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
উত্তম জাঝা
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
থিঙ্কু
বস, আপ্নের লেখা পইড়া তাব্দা খাইয়া বইসা থা্কি আর ভাবি, কেম্নে?
যাউজ্ঞা, সচলায়তন নিয়া যা কইছেন, কইছেন, ভাল করছেন। আম্রার কষ্ট কমছে।
এই ভাবতাসেন এদ্দিন ধইরা?? আপনের ল্যাখা কই?
আমি আইজ থিকা আপনের লেখা নিয়া আর কিসসু কমু না। ল্যাখায়
কিন্তুক গল্পডারে এত্তকিচু দিলেন, বায়ুলজিতে একখান নুবেল দিতারলেননা?
হ, বাইলজিতে একটা দেয়া উচিৎ ছিল। এত করে যখন বলছেন দিয়ে দিলাম অইখানেও একটা নুবেল।
হ, ভাবাভাবি বাদ দিয়া নিজের লেখা দেন
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
Mihaly Csikszentmihalyi এর বাংলা উচ্চারণ মনে হয় হবে মিহাঈ চিক-সেনট-মি-হাঈ
অবশ্য আপনার লিখা পড়ে "নরম ভাবে" উনার নাম উচ্চারণ করতে গিয়ে আরেকটু হলে এই পেজের ছবিটার মত অব্স্থার শিকার হচ্ছিলাম আরকি
------------
বাপ্পীহায়াত
আম্নে আসলেই অদ্ভুদ।
-----------
মিলন
সবই আপনাদের দুয়া
সেরাম উদাসীয় লেখা!
হক কথা!
বটতলার উকিল।
থিঙ্কু
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
দুর্দান্ত!!! এই কোটেশনের প্রতিটি শব্দের সাথে একমত, এক্কেবারে মনের কথা - জয় বাবা চরম উদাস !
ভালো লেগেছে যথারীতি। সচলের জন্মদিনে সবাইকে শুভেচ্ছা।
থিঙ্কু
আরও একটা মাস্টারপিস, চরম উদাস রক্স । প্রতিদিন সকালে অফিস এ এসে প্রথমেই সচল খুলি, ছুটির দুই দিন যখন সচলে বসা হয় না মনে হয় 'ইস না জানি কয়টা নতুন পোস্ট এসেছে' - সচলের সাথে পরিচয় মাত্র একবছর কিন্তু এখন মনে হয় "তুমি না থাকলে সকালটা এত মিষ্টি হত না" শুভ জন্মদিন সচল
আর মিষ্টি, সচল পুরা সকালরে তিতা কইরা দিল।
সেইরাম'দা!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
সেরাম হইসে চৌ(চউ) দা - (অট: ঔ কার দিতে ভুলি নাই)।
গত সংখ্যায় আমার একটা দাবী ছিল - how to write like Chorom Udas এই বিষয়ে একটা লেখা চাই। কবে আসবে?
আরে গত সংখ্যার কমেন্টেই না কে যেন লিখ দিল ওই আর্টিকেলটা
আমিই দিয়েছিলুম গো দাদা।
অবোধ দের কেউ মনে রাখে না!
আপসুস!!
------------------
সুবোধ অবোধ
------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!
মনে আছে
চৌদাস্তিক...
কিচ্চে???
আমিও নরম লুক আছিলাম। সচলায়তন একটি অভিশাপ।
আপনিও নরম লুক ছিলেন আমার মত? টুইটার কাঁপাইলেন ক্যাম্নে
হ
বস, লন
_____________________
Give Her Freedom!
থিঙ্কু
বেঁচে থাকলে আপনার সাহিত্যে নুবেল, শান্তিতে নুবেল আর কেমিস্ট্রিতে নুবেল কেউ ঠেকাতে পারবে না।
এট্টু কষ্ট করে যদি বাইলজিটাও দিতেন
ঐডা আমি দিয়া দিলাম
(কষ্ট কইরা আইসা লয়া যান)
আপনিও একটা "তারেক অনু"
আপনি পারেন ও (ডিম পারা না লিখতে পারার কথা কইছি)। জব্বর হইছে।
ডিম কি 'পারে' ?
এই লেখা আমি এত দেরীতে পড়লাম !!! দু:খ কোথায় রাখি ?
চরম উদাস - আপ্নে যে একটা কি !!!
নরম হইয়েন না। এমুন শক্ত থাকেন ভাইডি।
-কাম্রুজ্জামান পলাশ
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এই শ্লোগানটার জন্য আপনারে
পুস্ট নিয়া জ্ঞান-গর্ভ আলু-চোনা করা দরকার। এই যেমনঃ
"ছাগুকে ছাগু বলিও, সাথে অল্প পোন্দাইও"। অল্পটা স্পেসিফাই করা দর্কার ছিল। কার কিসে অল্প সেইটা পরিস্কার হয় নাই। কারো হয়ত দু' মিনিটে অল্প, আবার কারো হয়ত দু দু ঘন্টা চলে গেলেও অল্প হয় না। তাছাড়া ছাগুকে অল্প পোন্দানোর কথা বলে বোলোগার এইখানে নিজে নরম হইছে বলেই মালুম হয়
অফটপিকঃ
১।
২। চরম উদাস ভালু না।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আপ্নে এতকাল ছিলেন কুন চিপায়?????????
আমি ধারেকাছেই ছিলাম, কিন্তু আপনার আর হিম্ভাইয়ের নামে যে হুলিয়া বের হইছে মতিকন্ঠে সেইটা দেখছেন?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
কেন? আমি মতির পাকা ধানে কবে মই দিলাম?? আমি মতির একনিষ্ঠ ভক্ত পাঠক।
কস্কী মমিন?
নগদে বসে একটা পোষ্ট লেখার নিয়তে সচলে ঢুকে দেখি আপনার লেখা। চক্ষু সংযম করে নিজের লেখাটা শেষ করে পোষ্টালাম- তারপর আপনার পোষ্টে ঢুকলাম। ঈমানে কই আপনার পোষ্ট পড়ার পর লেখালেখির ইচ্ছে উবে যায়। এবার প্রাণখুলে হাসতে পারি
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক লেখা পড়া হয়নাই লোকজনের, এখন পড়তে বসি
আবারো চরম......
ইউরেকা! আগের ত্যানাপেচানি শিক্ষা লেখাটা পড়া থাকার কারণে আমি এই লেখার মুল বিষয় আমি ধরতে পারছি। এখানে মূল বক্তব্য হইল: ভাই সব দেখেন ২ বছর ধইরা সচলে টানা লেইখা যাইতাছি অথচ একটি টাকাও পাই নাই! ঠিক বলছি না উদাস ভাই!
`নরম মনের মানুষরা` (monkey minded men! ) হয়ত সবাই অর্থ (অর্থাৎ, এই লেখার সাথে টেকাটুকার সম্পর্ক) উদ্ধার করতে পারব না তাই আমি একটু হেল্প করলাম। আপনে কিন্তু আবার মনে কিছু নিয়েন না!
হ, একদন ঠিক। আসল রহস্য টেকাটুকা।
apathy স্তরে আছি। তাই এখন মন্তব্য করতে পারলাম না।
সবসময় ‘নরম’ হয়ে কিন্তু লাভ নাই। আমরা টিউটোরিয়াল ছাড়াই জাতিগতভাবে একটা কাম ভালো পারি- ‘শক্তের ভক্ত আর নরমের যম’
হ
আহারে, পোড়া কপাল ! এই শেষ বয়সে এসে এখন এইসব মোক্ষম উপদেশ পাচ্ছি। আগে পেলে জীবনটা অন্য রকম হতে পারতো ! যাক, তারপরও বাকি জীবনটার জন্যও এটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পোস্ট। ধন্যবাদ দিয়ে আর আপনাকে ছোট করতে চাইনা, এমনিও আপনি একজন ছোটলোকইতো (ছবিতে দেখেছি, ছি,ছি, না না, উচ্চতার কথা বলছি)।
লেখা দারুণ হয়েছে।
মিয়া আপ্নে একটা বদলুক কাল থেকে মুখ আমাশা রোগির মত করে বসে আছি সেই আমি এখন ঠা ঠা করে হাসতেছি , অফিসের সবাই কেমন করে জানি আমার দিকে তাকিয়ে আছে কেউ কেউ বোধহয় হেমায়েতপুরের নাম্বার ও খুজতেছে
নরম হওয়ার কোনরকম ইচ্ছা ছিল না, তাই স্যুট কোট টাই পরে খুব শক্ত হয়ে পড়তে শুরু করেছিলাম। কিন্তু শেষ করার আগেই নরম মোলায়েম হয়ে গেলাম।
আব্দুল্লাহ এ এম
হে হে হে হে
চররররম। শর্ট ফিল্মটা বানানো হইলে হিট হইবে জরুর। তার জন্য একটা নরম পরিচালক দরকার।
হ, দেন একটা নরম পরিচালক মেনেজ করে। ফিলিমটা বানায়েই ফেলি এই বেলা
এত বড় কেন লিখা, কেনু কেনু, কেনু?? সময় নাই যদি ও , তারপর ও না পইড়া পারিনা। আপনি মিয়া পুরাই বদলুক।
ও মা, লেখা বড় হয়ে গেছে বলে দুই ভাগে ভাগ করে দিতেছি তাও বলে বড় লেখা। লোকজন দিনকে দিন আলসের ডেঁপো হয়ে যাচ্ছে।
এক্কেবারে উদাস হইয়া গেলাম, আহা ! এইজন্যই তো আমি লেখা শুরু করি লুঙ্গি পইরা খুব মোলায়েমভাবে ! ময়দা গোলা নরম পাঠকরা কেউ যেন ইট্টুও কষ্ট না পায় !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
একদম মনের কথা।
চরম হইছে
থিঙ্কু
কারণ, কানা বা খোঁড়া নিজেকে ঠিক করতে পারবে না আর সে নিজে থেকে কানা বা খোঁড়া হয় নি। এর দুর্গোগ সে বয়ে বেড়াচ্ছে।
-এরা সবাই নিজে থেকেই এরকম।
লেখায় ৫ তারা, ৫টাকা, ৫ ডলার, ৫ ইউরো, ৫ রিয়াল, ৫ দিরহাম, ৫ ইয়েন - আর যা যা দেয়া যায় সব দিলাম।
৫ তারা, ৫টাকা, ৫ ডলার, ৫ ইউরো, ৫ রিয়াল, ৫ দিরহাম, ৫ ইয়েন - সব মিলায়েও তো বেশী কিছু হইলনা। যাক, তাও তো দিছেন। সব পাথকরা এম্নে পাঁচ ডলার করে চান্দা দিলে কাম কাজ ছেড়ে পূর্ণ উদ্যমে লেখালেখিতে নেমে পড়তাম।
একেবারে ডাইরেক্ট অ্যাকশান যাকে বলে, আপনার সব হাউ টু মিলিয়ে চরম উদাস ফর ডামিস বা উদাস বচন টাইপের কিছু বের করে ফেলা দরকার।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
চরম উদাস নিজেই ডামি, চরম উদাস ফর ডামি ক্যামনে হবে
ওরে বাবা রে! হাহাপগে।
আপনার লেখা পড়তে গেলে জানপ্রাণ নিয়ে টানাটানি পড়ে যা্য় ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
চরম লিখা উদাস-দা।
থিঙ্কু
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
চ্রম!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
শ্লোগান বালা হইছে না??
১। লেখায় পাঁচ তারা দিলাম ( ক্যান দিলাম বুঝতেছি না। টিপি দিয়ে ফেলছি এখন ফিরানো যাচ্ছে না )
২। লেখা পড়ে হাসতে হাসতে এই রাতে এলাকাবাসী এক করে ফেলার অবস্থা হয়েছে আমার। অথচ এটা করার কথা ছিলো না
৩। আপনার লেখা পড়লে ক্রমবর্ধমান হারে লেখার ইচ্ছা উবে যেতে থাকে। মনে হয় কী আর হবে লিখে টিখে। এরকম চরম লেখা তো আর লিখতে পারবো না। ধুত্তুরি!
৪। বউদের নিয়ে বাজে কথা লিখছেন ক্যান? আপনি একটা অতি বদ লোক
৫। শেষে সত্যি কথা বলে যাই, লেখা অসাধারণ হয়েছে। এই রাত জেগে থেকে শেষ বেলায় মনে হচ্ছে একটা কাজের কাজ করেছি লেখাটা পড়ে। ভাল লাগছে
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
হে হে হে হে
চরম কবিকে । দ্বিতীয় পর্বের জন্য বসে রইলাম।
দুষ্ট লোকে জান্তে চায় কি পরলে চ্রম উদাসের মত লেখা যায় ?
দ্বিতীয় পর্ব দিয়ে দিলাম নগদে
দারুণ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
থিঙ্কু
ভাল লাগছে ,অসাধারণ একটা লেখা।
"সব জায়গা ফেলে সচলে লেখার কারণ একটাই। সচল নরম না। সচলের হাজারো সমস্যা থাকতে পারে, এর সাথে ওর ঝগড়া বিবাদ মান অভিমান থাকতে পারে, সচল অহংকারী হলেও হতে পারে, অতিথি লেখকদের প্রতি কড়া হলেও হতে পারে তবে সচল নরম না। ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা অবশ্যই প্রয়োজনীয়। পৃথিবীতে মানুষ যেমন আছে, তেমনি ছাগু, বলদ ইত্যাদিও আছে। আপনি হয়তো আয়োডিনের অভাবে জন্মসূত্রে বা সৎসঙ্গে পড়ে কর্মসূত্রে বলদ ছাগু ইত্যাদি। দোষের কিছু নেই। বলদ বা ছাগু হওয়া আপনার নাগরিক অধিকার। তেমনি আপনি বলদ বা ছাগু হলে আপনাকে বলদ বা ছাগু বলাও অন্যের নাগরিক অধিকার। কারণ কবি বলেছেন,
কানাকে কানা বলিও না, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিওনা
তবে
ভণ্ডকে ভণ্ড বলিও, বলিতে বলিতে ডাণ্ডাইও
বলদকে বলদ বলিও, বলিতে বলিতে কান্দাইও
ছাগুকে ছাগু বলিও, সাথে অল্প পোন্দাইও
শুভ জন্মদিন ভালোবাসার সচলায়তন। শক্ত মানুষ হওয়ার ধাপগুলো তোমার কাছ থেকেই শেখা। ভদ্রতা আর সুশীলতার মুখোশে থুতু দেয়ার কায়দাটা তোমার কাছ থেকেই শেখা।"
পরিপূর্ণ সহমত।
প্রত্যেকদিন ল্যাপটপ অন করে নেট কানেক্ট করে ব্রাউজারে ঢুকে- ই sa লিখি। । সাজেশানে সচল চলে আসে। খুব অল্পদিনেই অনেক বেশি আপন হয়ে গেছে!
কিছুদিন ধরে GRE প্রস্তুতির মাইনকা চিপায় পরে তেমন ঢুকতে না পারলেও ঢু মারা হয় দৈনিক ই। গতকাল দৌড়ের উপর ছিলাম তাই ঢুকতে পারিনি!!
আর আপনি লেখা দিয়ে দিছেন!
অসাধারণ!!!!!!
--------------------
সুবোধ অবোধ
--------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!
আমি ব্রাউজারে sa লিখলে Saudi এর নানা ওয়েবসাইট আসে, মেলা গবেষণা করি তো
saudi নাকি sayedi??
গবেষণার বিষয় কি??
সন্দেহজনুক!!!
কোন মতিবেদকরে Investigation এর দায়িত্ব দিমু নি??
-------------------
সুবোধ অবোধ
----------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনের লেখা কই
---------------------
আমার ফ্লিকার
পেন্নাম হই 'এসো করি বাবা'
লিখছিলাম অনেক কিছু, চ্রমভাবে যদি পিট্টা দেন ভয়ে মুছে দিলাম
আমি শিওর, আপনিই মতিকন্ঠের সম্পাদক!!!
I wish I were
অস্থির হইসে। আবারও সেই আগের ফর্ম। ভাই, আপনি একটা মাল। স্যালুট বস। ২য় পর্বটা এখনো পড়িনাই।
আমি শপথ করিতেছি যে, ভণ্ডকে ডাণ্ডাইবো, বলদকে কান্দাইবো, ছাগুকে পোন্দাইবো।
ভাই, মন মেজাজ চ্রম খ্রাফ ছিল, আপ্নের লেখা পড়ে ভাল লাগল। ক্যাম্নে পারেন?? লেখালেখি জিনিসটা আমাকে দিয়ে হয় না, আমি শুধুই পাঠক । আপনার কোন লেখা মিস করিনা। সাধারণত আপনার লেখার শেষ টা পড়ে মন খারাপ হয়ে যায়, এইটায় হয় নাই। ধইন্যা। পরের খন্ডের অপেক্ষায় থাকলাম, স্পেশালি কিভাবে ভাল মুসলিম হবেন এর জন্য।
মন খারাপ এর ভাগ মনে হয় পরের পর্বে পড়ছে
হয়নি ভাই। ইহাই সত্য, সত্যকে অস্বীকার করার উপায় নেই। যাক গে, মডারেট দের খ্যাতা পুড়ি। সুকুমার দিয়ে লেখা শেষ করলেন, তাও আমার অন্যতম প্রিয় টা, ভাল লাগল খুব।
ইয়ে... মানে ... "অল্প" কেন??
ইয়ে মানে বেশি করতে গেলে হাপায়ে যাবে তো দ্রুত!
অস্থির ...... আপরে কি বইলা থিঙ্কু দিমু সেইটাই খুইজা পাচ্ছি না পাইলে দিমুনি :-D
মেধা মনে হয় জন্মগত......... আমি আপনার লেখা পড়া শুরু করে বলি তাড়াতাড়ি যেন শেষ না হয়...
প্রতিটা লাইন প্রতিটা শব্দই জুয়েল
যাই হোক আরেকটি প্রভুখন্ড
তবে এসো নিজে করি নিয়ে একটা সংকলন বই লিখলে কিন্তু বই মেলা ফাটায় দিত
প্রশংসা মূলক বিশেষন শব্দগুলোকে আমার অপ্রতুল মনে হয়,আমাদের পূর্ব পূরুষ বাঙালিরা বোধহয় কারো প্রশংসা করতে চাইতো না।তাই প্রশংসা মূলক বিশেষন শব্দের বড়ই অভাব বাংলা ভাষায়।আর যে কয়েকটি আছে তাকে ঠিক প্রশংসামূলক মনে হয়না আমার,মনে হয় চাটুকারী মূলক শব্দ মালা।যেমন মহামান্য,চির বিপ্লবী,এমন একই গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া আরো অসংখ্য শব্দ মালা।যাইহোক আপনাকে প্রশংসা করতে গিয়ে পূর্ব পূরুষদেরকে ও ধুয়ে দিলাম হা হা।আমাদের অভ্যেস হয়ে গেছে এখন অপরকে ধুয়ে দেওয়া।ভাষাহীন হয়ে তাই প্রতীকের কাছে আশ্রয় নিলাম এবং এমন মজাদার লেখার জন্যে ।
মাসুদ সজীব
নতুন মন্তব্য করুন