রাক্ষসের চেহারা কেমন ? ভয়ংকর, পৈশাচিক, বিকৃত।ছোটবেলা থেকে আমরা রাক্ষস, খোক্কস, আর ভোক্কসদের গল্প শুনে বড় হয়েছি।
ঠাকুরমার ঝুলির ভয়াল দর্শন সেই রাক্ষসেরা। কাউকে সরাসরি যুদ্ধ করে মারা যায়, কারো কারো প্রাণ ভোমরা আবার লুকানো থাকে কৌটার ভেতর। কিন্তু কাজ যত কঠিনই হোক না কেন কোন না কোন রাজকুমার শেষ পর্যন্ত সেই রাক্ষসকে বধ করেই ছাড়ে।
দশ মাথা আর বিশ হাতওয়ালা ভয়াল দর্শন রাবণ। একেক হাতে একেক রকমের অস্ত্র নিয়ে শত্রু ঘায়েলে সক্ষম রাবণ। হাজার কারিগরি করেও শেষ পর্যন্ত রাবণ পরাজিত হয় রামের হাতে।
এক চোখের ভয়াল দর্শন রাক্ষস সাইক্লপ। সকালে ব্রেকফাস্ট করতো গোটা দুই মানুষ চিবিয়ে খেয়ে। সাইক্লপ পরাজিত হয় জিউস এর বীর পুত্র এপোলো এর হাতে।
দুর্দান্ত মানসিক ক্ষমতাসম্পন্ন ডার্থ ভেডার। আঙ্গুলের ইশারায় ভয়ংকর সব কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলতে পারেন। পুড়ে যাওয়া চেহারা ঢেকে রাখেন ভয়াল দর্শন কালো মুখোশ দিয়ে। শেষ পর্যন্ত নিজ ছেলের হাতেই তার পরাজয় হয়।
লর্ড ভোলডামোর এর নাম সরাসরি নিতেও লোকে ভয় পায়। "You-Know-Who" , "He-Who-Must-Not-Be-Named" ইত্যাদি নাম নিত সবাই। মাথায় চুল নেই, অদ্ভুত দর্শন নাক আর মৃত মানুষের মতো যার চেহারা। অসীম ক্ষমতাধর ভোলডামোর পরাজিত হয় সামান্য কিশোর হ্যারি পটারের কাছে।
এডলফ হিটলার। প্রথম দর্শনে অদ্ভুতদর্শন গোঁফের কারণে চেহারা কিছুটা হাস্যকর মনে হলেও একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায় কি ভয়ংকর নিষ্ঠুরতা লুকিয়ে আছে এই রাক্ষসের মাঝে। সারা পৃথিবী কাপিয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত হেরে গেছেন নিজের গোঁয়ার্তুমির কারণেই।
গোলাম আযম। তার চেহারা ভয়ংকর নয়। চোখ দুটি। মাথাও একটি। ব্রেকফাস্টে ডিম দুধ খায়, চিবিয়ে মানুষ খায়না। লর্ড ভোলডামোর এর মতো কোন কালো জাদুর ক্ষমতা নেই। ডার্থ ভেডারের মতো হাতের ইশারায় সব কিছু ধ্বংস করার ক্ষমতা নেই। তারপরেও এটাই আসল রাক্ষসের চেহারা। শান্ত, সমাহিত, মাথায় টুপি, গালে দাড়ি, মৃদুভাষী এই লোকটি শুধু আমাদের দেশই নয়, পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রাক্ষস। পৃথিবীর অনেক বড় বড় রাক্ষসেরা মিলেও যত মানুষ হত্যা করতে পারেনি, এই সুদর্শন রাক্ষস একাই তা করে দেখিয়েছেন।
গল্পের রাক্ষসই হোক আর বাস্তবের, সবাই শেষ পর্যন্ত হারে। কিন্তু এই সত্যিকারের রাক্ষসের পরাজয় নেই। মৃত্যু নেই। রাক্ষস মরলে তার রক্তের প্রতি বিন্দু থেকে একটি করে নতুন রাক্ষস জন্মায়। এক বিন্দু রক্ত খরচ না করেও এই রাক্ষস তার মৃত্যু ছাড়াই আরও লক্ষ লক্ষ রাক্ষস তৈরি করে ফেলেছে। আমি, আমরা কেউ ডালিমকুমার নই, রাম নই, এপোলো নই, হ্যারি পটার নই। আমরা জানিনা কিভাবে এই রাক্ষস বধ সম্ভব। তবে রাক্ষসকে রাক্ষস বলতে জানি। রাক্ষসকে ঘৃণা করতে জানি। বুকে হাত দিয়ে এই কথা বলতে পারি, পৃথিবীর কেউ কোন রাক্ষসকে এত ঘৃণা করেনি আমরা এই রাক্ষসকে যত ঘৃণা করি। কোন অস্ত্র দিয়েই এই রাক্ষস বধ করা সম্ভব না, হয়তো থুতু দিয়ে সম্ভব।
মন্তব্য
থু থু থু
চরম লাগসে !!
প্রিয় স্বদেশ, আজ বড় লজ্জিত তোমার কাছে।
ছোটবেলা থেকেই রাক্ষস বলতে কল্পনায় এই চেহারাটাই ফুটে ওঠে সবসময়। এই প্রথম বাংলাদেশী বলে লজ্জা হচ্ছে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
তীব্র ঘৃণা থাকবে এই রাক্ষসসর্দার আর এর সব দোসরদের প্রতি, নিজের শেষ দিন পর্যন্ত।
রাজনীতির কূটচাল তাকে আরও কিছুদিন বাঁচিয়ে রাখে। তার পোষা বাহিনী তার জন্য হরতাল ডাকে। তবু আমার কাছে সে চিরদিনই পরাজিত। কারণ আমি তাকে ঘৃণা করি। আজন্ম। আমৃত্যু। পৃথিবীর সবাই তাকে মাথায় তুলে রাখলেও আমার কাছে সে একজন ঘাতক, নরপশু, রাক্ষস! এটা কি তার পরাজয় নয়? আমার সত্তার কাছে, আমার অস্তিত্বে? বলতে কি, এইটুকুই আমার প্রাপ্তি, এতটুকুই আমার আনন্দ, যে আমার ব্যক্তিসত্তায় একজন রাজাকার কখনই ঠাই নিতে পারেনি, বিজয়ী হতে পারেনি, পারবেও না কোনদিন।
--------------------------
সুবোধ অবোধ
থুউউ
ধর্মের কল নাকি বাতাসে নড়ে? অন্যায়কারীর বিচার হয়? কতকাল এইসব ভূয়া কথায় আমাদের ভুলিয়ে রাখা হবে?
৯০ বছরের এই পবিত্র মহামানব আমাদের কাঁচকলা দেখিয়ে সুন্দর একভোরে টুক করে মরে যাবে। কি জানি, সেদিন হয়ত
আমাদের মধ্যের কেউ ফস্ করে বলে বসবেন, আহা বড় ভালো লোক ছিল। বলা যায় না, এখন সব সম্ভবেরই সময়।
এখন ঘোরকলি! ক্ষমতাবানেরা আমাদের প্রতারিত করেছে। বানিয়েছে আমাদের হাসির পাত্র। এখন তবে অসহায়ের শেষ
বুলিই সম্বল, 'আমার আল্লায় করবে তোমার বিচার!'
প্রচণ্ড কষ্ট পাচ্ছি আজ । এভাবে হেরে যেতে প্রচণ্ড কষ্ট হয়। থু থু মারি এই রাজনীতির মুখে।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
আস্থার একটা জায়গাও কি অবশিষ্ট নেই?
---------
মিলন
দানব কখনও হয় না মানুষ... থু থু...
এই রায় মানিনা, মানবো না।
যদি মানুষ কখনো বা হয়ই দানব, লজ্জা কি তুমি পাবে না>? লজ্জায় না ক্রোধে কাপছি
facebook
কিছু বলার নেই, শুধু "থু" দিতে চাই এই মানুষরূপী শয়তানকে
বুড়া মানুষ্টারে, ছি ছি এসব কী যে লেখেন আপ্নেরা। দিলে কি রহম নাই?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কল্পকাহিনী তো অনেক পরে, রাজকুমার মার্কিন রাষ্ট্রদুতের বাসায় গিয়া রাক্ষসের আইনজীবির লগে পিরিত করলে এমনই তো হবার কথা।
বোবা-কালা হয়ে গেছি। থু......
সবাইকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মুক্তিযুদ্ধে আমি আমার পরিবারের কাছের কাউকে হারাইনি তারপরও নিজেকে অসম্ভব প্রতারিত মনে হচ্ছে। যারা ৪২ বছর ধরে অপেক্ষা করে ছিলেন তাদের মনের অবস্থা অনুমান করার ক্ষমতাও নেই।
থু থু থু
আর কিছু নেই শুধু মুখ ভরা থুথু দিলাম গোলাম আজমকে।
স্বাধীন বাংলাদেশে সে বিশেষ জেলে বসে মুরগীর স্যুপ খাবে কিন্তু জানবে না তার সব খাবার, তার পুরো অস্তিত্ব ভরে আছে ১৬ কোটি মানুষের ঘৃণার থুথুতে।
রুপকথার রাক্ষসদের কোন নাম থাকেনা। এখন থেকে আপনারা যারা বাচ্চাদের ঠাকুরমার ঝুলি থেকে গল্প শুনাবেন, রাক্ষসের নামে বলবেন গোলাম আজম।
থু থু থু
ইসরাত
চমৎকার লিখেছেন। এই রাক্ষসকে কেবলমাত্র থু থু দিয়েই হত্যা করা যাবে।
এডা আপনি কি বললেন - থুতু আহত করে তাদের, যাদের বিবেক বলে কিছু আছে। এর গায়ে পেশাব করলেও তো এর কিছু যায় আসে না। ফাঁসি বড়ই সহজ মৃত্যু এ ধরণের জানোয়ারদের জন্য।
মুদ্রা সংগ্রাহক
----------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
নতুন মন্তব্য করুন