মহিলার বয়স আশি হতে পারে, নব্বই হতে পারে, এমনকি একশোর বেশীও হতে পারে। এরকম থুত্থুড়ে বুড়ি আমি জীবনেও দেখিনি। একজন মানুষের শরীররে এত ভাঁজ থাকাও সম্ভব? বয়স জিজ্ঞেস করায় আঙ্গুলের কড়া গুনে কি যেন হিসেব করতে লাগলো। গুনতে গুনতে মাঝপথে খেই হারিয়ে ভুলেই গেল কি গুনছিল। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম। আবারো একই কাণ্ড। হাল ছেড়ে দিয়ে ভাবলাম দরকার নেই আসল বয়স জানার। স্ক্রিপ্টে অশীতিপর বৃদ্ধা লিখে দিলেই হবে। অশীতিপর কথাটার মধ্যেই কেমন যেন অনেক কিছু লুকিয়ে আছে। বয়সের ভারে নুজ্জ, দুর্বল, অসহায় একই সাথে অনেক কিছু ফুটে উঠে। তবে বুড়ির সারা শরীর ভেঙ্গে পড়লেও গলার স্বর অসম্ভব তীক্ষ্ণ।
বুড়ি তীক্ষ্ণ গলায় বলে, পনেরশ টেহা কয় টেহা?
এখন এই প্রশ্নের কি উত্তর দেই আমি? পনেরশ টাকা মানে কত টাকা? বুড়ি মনে হয় গুনতে টুনতেও ভুলে গেছে। মোটা চালের কেজি কত জানিনা, নাহলে চালের পরিমাণ দিয়ে হিসাব দিতে পারতাম।
আমি কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম, আপনের এক বছরের খুরাকি।
আন্দাজে বললাম। পনেরশ টাকা দিয়ে এক বছর চলতে হলে বুড়ির ভাগে মাসে হয় একশ পঁচিশ টাকা। দিনে চার টাকার মতো। বুড়িও মনে হয় কড়ে গুনে একই হিসেবের চেষ্টা করে। হাল ছেড়ে দেয় কিছুক্ষণেই। বিড়বিড় করে আবার কি যেন উল্টাপাল্টা বকে কিছুক্ষণ। আমি আবার কানের কাছে মুখ নিয়ে চেঁচিয়ে মনে করিয়ে দেই,
আপনে খালি ওই ক্যামেরার সামনে তাকিয়ে বলবেন, আমি সন্তুষ্ট। পারবেন না?
বুড়ি ফোকলা দাঁত বের করে বলে, পারতাম না আবার।
কিন্তু কাজের বেলা গিয়ে লাগে সেই পুরানো ভেজাল। বুড়ি কোনভাবেই সন্তুষ্ট কথাটা উচ্চারণ করতে পারেনা। করতে না পারারই কথা। আমি মাসুদ ভাইয়ের সাথে এটা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তর্ক করেছি। গ্রামের লোকজন কিভাবে সন্তুষ্ট কথা উচ্চারণ করবে? আর করতে পারলেই বা সেটা তাদের মুখে কেমন অদ্ভুত শোনাবে না? এরচেয়ে আমি খুশী বা আমি শান্তি পাইছি এরকম সহজ কোন কথা বলানো ভালো। মাসুদ ভাইয়ের এক কথা, তিনি পুরো অনুষ্ঠানের থিম সাজিয়েছেন সন্তুষ্টি নিয়ে।নাম দিয়েছেন, আত্মার সন্তুষ্টি। বাংলাদেশের বিয়াল্লিশ বছরের অতৃপ্ত আত্মা আজ এই রাজাকারের বিচারে সন্তুষ্ট, কাঁপা কাঁপা গলায় এই বলে শায়লা পপি শুরু করবে। তারপর বিয়াল্লিশটা ফুটেজ দেখানো হবে বাংলাদেশের বিয়াল্লিশটা বিভিন্ন গ্রাম থেকে। কেউ বৃদ্ধ, কেউ মধ্যবয়েসি, কেউ মুক্তিযোদ্ধা, কেউ বীরাঙ্গনা, কেউ সন্তানহারা, কেউ পিতামাতাহারা। এরপর দুইজন আইনজীবীর সাথে মতবিনিময়। বাস্তবতার নিরিখে যাবজ্জীবন মৃত্যুদণ্ড থেকে কোন অংশে কম নয় সেটা নিয়ে পর্যালোচনা। পা হারানো এক মুক্তিযোদ্ধার লাইভ সাক্ষাৎকার। ৭১ সালে তাদের টিম মুক্তাগাছা গ্রামের এক থানা আক্রমণ করে বিজয় ছিনিয়ে আনে। এই নিয়ে পনের মিনিটের একটা ছোট ডকুমেন্টারি। শহীদদের জন্য দোয়া চেয়ে রফিউল হুজুরের পাঁচ মিনিট প্রার্থনা। দুই মিনিট নীরবতা পালন। সবশেষে আবার মাসুদ ভাই শায়লা পপিকে সাথে নিয়ে "নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান. ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই " আবৃত্তি করতে করতে অনুষ্ঠান শেষ করবেন। মূলত মাসুদ ভাই আবৃত্তি করবেন, শায়লা পপি পাশে দাঁড়িয়ে চোখ মুছবে। একেবারে শেষে এসে পপি মেকআপ নষ্ট না করে যতটুকু ভেঙ্গে পড়া যায় কাঁদতে কাঁদতে ততটুকু ভেঙ্গে পড়বে।
কিন্তু বুড়িকে দিয়ে কোনভাবেই "আমি সন্তুষ্ট" উচ্চারণ করানো যায়না। প্রায় আধাঘণ্টা চেষ্টা করে আমি আর ক্যামেরাম্যান জলিল ভাই হাল ছেড়ে দেই। একজনের সন্তুষ্টি অর্জন নিয়ে এত সময় লাগানো সম্ভব না, আরও একচল্লিশ জন বাকি। শেষ পর্যন্ত "আমি খুশী" এই কথা রেকর্ড করা হয়। মাসুদ ভাই ঘ্যানঘ্যান করবে একটু কিন্তু কিছু করার নেই। আমি বুড়ির ফাইলে একটু চোখ বুলিয়ে বুড়ির জন্য পনেরশ টাকা বের করি। বুড়ির দুই মেয়ে, এক নাতনী আর বুড়ি একসাথে একই ঘরে রেপড হয়। স্বামী আর ছেলেকে জবাই করে। মেয়ে আর নাতনীদের ব্যারাকে তুলে নিয়ে যায়, বুড়ি থেকে যায়। আমার মনটা একটু খারাপ হয় ফাইল পড়ে। বরাদ্দের পনেরশ টাকার সাথে নিজের পকেট থেকে আরও একশ টাকা বের করে বুড়িকে ষোলশ টাকা দেই। বুড়ি খুশী হয়ে বিড়বিড় করে আমাকে দোয়া করে। তারপর আমাকে অবাক করে দিয়ে এতক্ষণ চেষ্টা করেও যা করতে পারেনি সেটা করে ফেলে। ফোকলা মাড়ি বের করে হেসে তীক্ষ্ণ গলায় পরিষ্কারভাবে বলে, আমি সন্তুষ্ট।
মন্তব্য
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
-----------------
সুবোধ অবোধ
শেষে এসে কোথায় যেন একটা ধাক্কা খেলাম কিংবা বুঝতে পারিনি। বাকি একশ টাকা দেয়ার কারণে সন্তুষ্ট নাকি সন্তুষ্ট শব্দটা এতক্ষণ উচ্চারণ না করে থাকতে পারার কারণে সন্তুষ্ট। মাথা কাজ করছে না।
এইসব আসলেও আমাদের দেখতে হবে আর কিছুদিন পর!
১৬ একটি আপামর গর্বিত সংখ্যা হে!
যাক বুড়িমা শেষ পর্যন্ত বলতে পারলেন! আমি অন্য একটা অপশনের কথা ভাবছিলাম।
আমাদের মাননীয়া প্রধাণ মন্ত্রী ভারী দরদ দিয়ে বলতে পারেন কথাটা। তাঁকে দিয়েই না হয় ডাবিংটা,,,,,,
আমি মন্তব্য করতে পারছি না!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এইসব লেখাগুলারে মাথার উপর কুনুহান্দিয়া চইলা যাইতে দেয়া ভাল । বিদেশ বিভূঁইয়ের আর কোথাও কারো কাছে নিজের জাতীয়তা নিয়া মিছা কইতে একটুও গলা কাঁপবো না , কারণ বাংলাদেশ নামের সার্বভৌম রাষ্ট্রের অস্তিত্ব আর বেশীদিন থাকব না , থাকার কথাও না
কিছু বলতে বা মন্তব্য করতে ভালো লাগে না তপুদা। গতকাল থেকে নিজো মনে ১০ টা অনুচ্ছেদ লিখে ফেলছি, গুণ নাই দেখে সচলে হয়তো দেই না। সন্ন্যাসী নামে এক ফেসবুক বন্ধু লিখেছে তার পাগলের মত রাস্তায় নেমে ভাষণ দিতে ইচ্ছে করছে অনর্গল, আমারো একি ইচ্ছা। আপনিও একটার পর একটা লেখা লিখে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের যেই মূল চেতনা তার হৃদয়ের শুভ্রতম কোমল অংশে মোটামুটি বেয়োনেট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে, আমাদের পাগল হবার খুব বেশি বাকি নাই!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
কাদের মোল্লার রায় ছিল গালে একটা প্রচন্ড চড় খাওয়ার মত! আর গোলাম আযমের রায় যেন ঠিক বুকের মধ্যে প্রচন্ড একটা লাথি খাওয়ার মত!! আর তাই আজ মুজাহিদের রায় শুনেও কেন যেন তেমন খুশি লাগছে না যেমন লাগার কথা ছিল!!!
--------------------
সুবোধ অবোধ
'আমি সন্তুষ্ট'! ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।
বেবসা করি চলেন - একটা টি শার্ট বানাই - ছাপাবে বাহার ভাই নিত্য উপহারের - বুক বরাবর লেখা
আমি সন্তুষ্ট
খাপোমাপোচুভা
facebook
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
সন্তুষ্টি কি জানি না। এই রায় মানি না
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
ডুপ্লি
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
বড় গলার পাবলিকগুলা হইলো মঠেল।
কই যামু রে ভাই- কই??? ... ... ...
--------------------
সুবোধ অবোধ
ভাল আইডিয়া। আমি এরকম ই একটা t-shirt বানাবো বলে ভাবছিলাম।
একদম সহমত
নির্বাক হইলাম
- মুকুল
বুড়ির ভাতা পনেরশ দেখে মনে পড়ে গেলো, ফেসবুকে এক সচল হিসাব করে দেখালেন আফিফা বেগমের লিস্ট অনুযায়ী গোলাম আজমের দৈনিক খাওয়াখরচ ১৫০০ টাকা। নব্বই বছরে তাহলে গোলামের খোরাকি বাবদ খরচ হবে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।
আর সেইটা আমরা গোলাম আজম করের মাধ্যমে সরকারকে দেই, কি বলেন?
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
মন তো খারাপই, গল্পটি পড়ে আরো খারাপ হয়ে গেলো। আমরা যারা যুদ্ধের সময়ের কথা মনে করতে পারি তাদের জন্যে এই রায় গুলো শুনে যেমন রাগ হয় তেমনি অসহায় লাগে।
উদার বাঙালি জাতি অতি অল্পতেই সন্তুষ্ট হয়ে যায়। বাঙালি জাতিকে খুশি করতে হীরা-জহরত লাগে না, একশ টাকাই যথেষ্ঠ। আর সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে অনন্তকাল ধরে পুটু মেরে যাচ্ছে বিভিন্ন জনেরা। প্রথমে ইংরেজরা মারল, পরে ফাকিস্তানিরা, এখন রাজনৈতিক দলগুলো (উইদ রাজাকারস) মারতেছে।
কবে জাগবে এই বাঙালি জাতি? কবে এই জাতি বুঝবে যে, নিজের অধিকার ১৬ আনা বুঝে না পাওয়া পর্যন্ত সন্তুষ্ট হওয়া চলবে না?
আমি জানি না
রাগ, গালাগালির কাব্য, কার কারনে এমন হলো" খুজে বেড়ানো, আর দিন শেষে ভোট যায় বেজন্মাদের ঘরে; অন্তত নিকট অতীততো তাই বলে!
কোনো কিছু লেখার ভাষা নেই আমার। আমি ভাষাহীন হয়ে গেছি। কাল থেকে ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছি একটা সত্যি ঘটনা লিখে যেতে। কিছুতেই পেরে উঠছি না। কিছুই হচ্ছে না আমার।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
লেখাটা পড়ে মনটা আরও বেশি খারাপ হয় গেল।
ইসরাত
কিছু ভালো লাগছে না। এইসব লেখা পড়ে আরও খারাপ লাগে, চোখ কান মুখ বন্ধ করে অন্ধকার বসে থাকতে ইচ্ছে করে। মাঝে মাঝে রাস্তায় নেমে খুব ভাঙচুর করতে ইচ্ছে করছে।।। ইচ্ছে করছে খুব বড় করে আগুন জ্বালাই, সব কিছু পুড়ে যাক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আম্মোও!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আমি সন্তুষ্ট, এটা রেকর্ড হয়েছিলো ?? যা বুঝলাম, ক্যামেরা তো বন্ধ ছিলো !!
রায় আমার পছন্দ হয়নি, এর চেয়ে বড় কথা রায় সঠিক হয়নি। এটা আমার মতামত নয়, এটা সত্যিকার বাস্তবতা। এ ব্যাপারে কাউকে দোষ দেবার আগে আমি আমার নিজের দোষ স্বীকার করতে চাই। অন্যেরা এ বিষয়ে কি করেছে, কি করেনি, তা বলার আগে বলতে চাই, আমি আমার দায়িত্ব ঠিক মত পালন করিনি। দেশের এবং আন্তর্জাতিকতার কঠিন বাস্তবতার নীরিখে ফাঁসির মত সুকঠিন একটি রায় দেয়ার অবস্থা তৈরী করার জন্য অন্য সবার যেমন দায়িত্ব আছে, তেমনি ব্যাক্তি হিসেবে প্রতিটি নাগরিকেরও করনীয় আছে। কোন কপটতা না করে অকপটে স্বীকার করতে চাই, আমি ব্যক্তি নাগরিক হিসেবে আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করিনি। আমি বুঝি যে গোআ‘র নূন্যতম শাস্তি হওয়া উচিৎ মৃত্যু দন্ড। কিন্ত দেশের ৮০% মানুষই তা বুঝে না। কিন্তু আমি তো একজন মানুষকেও বুঝিয়ে মৃত্যুদন্ড সমর্থন করার জন্য প্রস্তুত করিনি। বর্তমানের কঠিন বাস্তবতায় ব্যাপক গণমত সৃষ্টি করা ছাড়া আশানুরূপ রায় পাওয়া সম্ভব হবে বলে আমার বিশ্বাস হয় না। আমরা নিরঙ্কুশ গণমত গড়তে সক্ষম হলে আপিল বিভাগ থেকে গোআ‘র ফাঁসির রায় আসবে বলে আমি দৃড়ভাবে বিশ্বাস করি। আসুন আমরা গণমত বাড়ানোর জন্য কঠিন পরীক্ষার পূর্বরাত্রে যেরকম পরিশ্রম করি ঠিক সেরকম খাঁটি পরিশ্রম করি।
- পামাআলে
রাজাকার শ্রেণীর সাথে আমার প্রথম পরিচয় জিয়াউর রহমানের আমলে। শাহ্ আজিজ কে দিয়ে। এরপর আমার সাথে পরিচয় যে রাজাকারের সাথে তার তুলনা সে নিজেই। আমার সমস্ত অস্তিত্ব দিয়ে আমি ঐ নরপশুটাকে ঘৃণা করেছি গত ৩১ বছর। আমি কোনদিন ঐ রাক্ষসের ছবি পত্রিকা বা টিভিতে আগ্রহ করে দেখিনি। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হবার পর আমি শুধু ঐ কুকুর টার বিচার চেয়েছি। আর কোন রাজা-বদর-শামস্ এর কি হবে না হবে ভাবিনি। শুধু রাষ্ট্রের আতিথেয়তায় রাজার জীবন যাপন করা এই হায়েনা রাজাকারের ফাঁসি চেয়েছি।
আমি সন্তষ্ট নইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইই
----------------------------------
এমন একটা লেখার জন্য
----------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
গো আজমের রায় অনেকটা আগে থেকেই আঁচ করা যাচ্ছিল, তবু আশা টিকিয়ে রাখছিলাম । কাদের মোল্লার রায়ে যেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি আমরা, গো আজমের রায়ে কেমন মিইয়ে গেছি ।
এক কথাটিই বলতে চেয়েছি। আমি না পারলেও মসীলক্ষণ ভাই আরও স্পষ্ট করে বলেছেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, কাদের মোল্লার রায় হবার পর দেশব্যাপী আমরা যে স্বতস্ফূর্ত, সার্বজনীন প্রতিবাদ ও দাবী উত্থাপন করেছিলাম, আমরা যদি সেই মানের গণজাগরণও আবার ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হই এবং থেমে না গিয়ে তা ধরে রাখতে পারি-তাহলেই আপিলে গো আযমের ফাঁসির রায় হবে।
তবে তার জন্য চাই আমাদের নিখাঁদ চেষ্টা। ‘উমুক বা তুমুক ব্যক্তিগত ঝামেলার কারণে আন্দোলনে হাজির হতে পারিনি‘- এ কথা না বলে আমরা যদি বলতে পারি, ‘আন্দোলনে হাজির হবার কারণে উমুক বা তুমুক ঝামেলায় হাত দিতে পারিনি‘- তাহলেই আবার ব্যাপক প্রতিবাদ গড়ে তোলা সম্ভব।
মানুষ রেডি হয়েই আছে, শুধু আগের মত একটি ডাকের অপেক্ষা।
- পামাআলে
এই লেখা গুলা পাঠ্য বইয়ে থাকা দরকার।।।
মাসুদ সজীব
নতুন মন্তব্য করুন