• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

নিঃস্বার্থ ক্রন্দন - What is Cry

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বুধ, ১১/০৯/২০১৩ - ২:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ - ইহা একটি গবেষণামূলক জ্ঞানের লিখা। রস খুজিয়া হতাশ হইলে লেখক দায়ী নহে)

ভেবেছিলাম আস্ত একখানা এসো নিজে করিই লিখে ফেলব - এসো নিজে করি - কিভাবে কাঁদবেন / How to cry। পরে মনে হল এত বিস্তারিত গবেষণায় কাজ নেই। অল্প কথায় কাজ সেরে মানে মানে কেটে পড়ি।
প্রশ্ন হল- মানুষ কেন কাঁদে? উত্তর হল, মনে দুঃখ হলে কাঁদে। আনন্দ হলেও কাঁদে বটে তবে অতো জটিলতায় না যাই। আপাতত দুঃখের কান্না নিয়েই কথা বলি। এইবারে দুঃখও হল মোটের উপর দুই প্রকার। অ্যানালগ দুঃখ আর ডিজিটাল দুঃখ। অ্যানালগ দুঃখ হলে মানুষ মা বা স্ত্রীর কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ে কান্দে। ডিজিটাল দুঃখ হলে ফেসবুকের কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ে কান্দে। আপাতত জটিলতা কমাতে অ্যানালগ দুঃখও বাদ দেই। ডিজিটাল দুঃখ আবার দুই প্রকার- নিজের দুঃখ আর জন মানুষের দুঃখ। প্রেমিকা গাল দিয়েছে, প্রেমিক অন্য মেয়ের স্ট্যাটাসে লাইক দিয়েছে, মনডা উদাস, গা ম্যাজ ম্যাজ করে, পেটে গ্যাস হয়েছে এসব ব্যক্তিগত দুঃখও বাদ দেই এবার। বাকি রইল জন মানুষের দুঃখ, দেশ ও দশের সমস্যার জন্য দুঃখ। এই দুঃখে কিভাবে কাঁদবেন সেটা নিয়ে হালকা আলাপ আলোচনার জন্যই প্রসঙ্গের অবতারণা।

মুজতবা আলীর বইতে পড়েছিলাম। আফগান ব্যাটার বউ মরে গেছে তার কোন চেতভেত নাই। বউ গেলে বউ পাওয়া যাবে। সন্তান মরে গেছে তেমন কোন চেতভেত নাই। সন্তান আরও বানানো যাবে। কিন্তু ভাই মরার পর তার গড়াগড়ি দিয়ে কান্না। ভাই গেলে ভাই আর কই পাব এই বলে। বেশী পাকনা লোকেরা এখন আফগানীর সাথে ডক্টর ইউনুস এর মিল খুঁজে পেতে পারেন, সেই জন্য লেখক দায়ী নহে। সে যাই হোক, কথা হচ্ছে কান্না কার কখন কি কারণে আসবে বলা মুশকিল। আফগানীর চেয়ে আমাদের অবস্থা আরও খারাপ। মা বউ পোলাপান মরে ভূত হয়ে গেলে চেতভেত নাই, পাশের বাসার কাজের বুয়া মরে গেলে হাপুস কান্না। এখন আবার আমাকে রেসিস্ট, সাম্রাজ্যবাদী, পুঁজিবাদী বলে গাল দিতে পারেন অনেকে। কাজের বুয়া গরিব বলে তার মৃত্যুতে কি কিছু আসে যায়না, পাষণ্ড কোথাকার। অবশ্যই আসে যায়। কিন্তু সিনটা একবার ভাবুন। ভদ্রলোক মায়ের মৃত্যুর সময় চোখমুখ শক্ত করে বলেছেন, হায়াত মউত সবই তার হাতে। মৃত্যু নিয়ে মন খারাপের কিছু নেই, সবই অমোঘ নিয়তি। দুইদিন পরে তিনি যদি পাশের বাড়ি গিয়ে ওগো কুলসুমের মা গো , তুমি কই গেলাগো, কে এখন এদের ঘর মুছে দিবে, থালা বাসন কে মাজবে বলে আছাড়ি পিছাড়ি দিয়ে বিলাপ শুরু করেন তাইলে ব্যাপারটা একটু ইয়ে হয়ে গেল না? এখন আপনি যদি সত্যি নরম মনের মানুষ হয়ে থাকেন তবে কিন্তু কোন সমস্যা নেই। সেক্ষেত্রে শুধু মায়ের মৃত্যুতেও আপনাকে একটু কাঁদতে হবে। নো কমেন্টস, কোন প্রতিক্রিয়া নেই, হায়াত মউত তার হাতে বলে পিনপিনানি সংলাপ শুরু করলে বুঝতে হবে আপনার মন আর ইয়ে একইরকম। কখন নরম আর কখন শক্ত হবে বোঝা মুশকিল।

আমাদের দেশে নিত্যনতুন সমস্যা লেগেই আছে, লেগেই আছে। সুতরাং আর যাই হক কাঁদার জন্য ইস্যুর অভাব হবেনা কখনোই। সুতরাং নিঃস্বার্থভাবে কাঁদতে হলে আপনাকে প্রায় সবসময়েই কাঁদতে হবে। এবারে উদাহরণ দেয়ার জন্য দেশের কিছু সাম্প্রতিক সমস্যা তুলে ধরি। সমস্যা বা কাঁদার উপযোগী ঘটনাগুলোকে দুইভাগে ভাগ করি। লাল ইস্যু আর নীল ইস্যু। যেহেতু আমরা আন্তর্জাতিক জাতি তাই আভ্যন্তরীণ সমস্যার সাথে কিছু আন্তর্জাতিক সমস্যাও চামে চিকনে ঢুকিয়ে দিলাম।

লাল ইস্যু
........................
৭১ এর গণহত্যা
কাদের মোল্লার বিচার
গোলাম আজমের বিচার
শাহাবাগ
সাঈদীর চন্দ্রাভিজান
সাঈদীর ফোনসেক্স
ফটিকছড়ি হত্যা
রামু, উখিয়া ও টেকনাফে বৌদ্ধ বিহার ও হিন্দুদের মন্দিরে তাণ্ডব
সাতক্ষীরার হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর তাণ্ডব
ব্লগার রাজীব হত্যা
চার ব্লগার গ্রেফতার
বাশার ও সিরিয়া

নীল ইস্যু
........................
হেফাজতে ইসলাম ও মতিঝিলে হত্যা
রানা প্লাজার হত্যা
ত্বকী হত্যা
সাগর রুনি হত্যা
ডেস্টিনি ও হলমার্ক কেলেঙ্কারি
আবুল ও পদ্মা সেতু
সুরঞ্জিত ও কালো বিড়াল
বিশ্বজিৎ হত্যা
লিমন ও র‍্যাব
ফেলানী হত্যা
দিগন্ত ও আমাদের দেশ বন্ধ
মাহমুদুর ও আদিল গ্রেফতার
ওবামা ও সিরিয়া
রোহিঙ্গা সমস্যা
মিসর সমস্যা

লাল নীলে ভাগ করার পেছনে তেমন কোন গুরু রহস্য নেই। সামান্য গবেষণায় মনে হল যাদের নীলে কান্না পায়, লালে তাদের তেমন কিছু যায় আসে না। বরং মাঝে মাঝে হাসিও পায়। আবার কান্না পেলেও তখন প্রশ্ন আসে ঠিক কত পরিমাণের কান্না পায়। অশ্রু মাপার জন্য Schirmer's test এ কিছু বিশেষ রকমের কাগজ ভিজিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় বটে। তবে কিছু কিছু ইস্যুতে আমাদের অনেকের কান্নার পরিমাণ এত বেশী যে ওইসব পিনপিনে কাগজ টাগজ দিয়ে তা মাপা যাবেনা। লিটার কে লিটার, গ্যালনকে গ্যালন পরিমাণে অশ্রু কি আর ওভাবে মাপা যায়? তারচেয়ে বরং প্রতিসেকেন্ডে সারা দেশে কত লিটার চোখের পানি বইছে তা দিয়ে একটা লিটার পার সেকেন্ড একক বানানো যায় কান্না মাপার জন্য। যেমন নিচের ছকে আমাদের কিছু ইস্যু, সেই ইস্যুতে মৃত্যুর পরিমাণ আর মানুষের কান্নার পরিমাণ তুলে ধরলাম।

Genocide Stat4

Death Count হিসেব করলাম উইকি মুইকি ঘেঁটে। শুধু হেফাজত গণহত্যার ক্ষেত্রে অধিকারের আদিলের ৬১ কেই ধরে নিলাম আপাতত। জানি দুষ্ট লোকে নানা কথা বলছে, এই তালিকায় নাকি একজনের নাম একাধিকবার আছে। অনেকের অস্তিত্ব নেই। তারপরেও নীল অশ্রু পার্টিদের খুশী রাখতে দিলাম আরকি ৬১ এর সাথে আরও একটা ফাও দিয়ে ৬২ বানিয়ে দিলাম। এবারে অশ্রুর পরিমাণ। এটা এক্কেবারে বৈজ্ঞানিকভাবে জরীপ করে ১০০ ফেসবুকারদের এভারেজ নিয়ে বানিয়েছি। PhD থিসিসে নানারকমের গ্রাফ আর উপাত্ত সুবিধামত ডানে বামে টানাটানি করতে করতে আমার খাসলত একটু খারাপ হয়ে গেছে। তারপরেও মনে করেন বড়োজোর দুই এক লিটার এদিক সেদিক হতে পারে হিসেবে। এর বেশী না।

তো প্রথমে যদি মৃত্যুর সংখ্যা হিসেব করে এই কয়টা ইস্যুকে একটু বার প্লট করি তাইলে এইরকম কিছু একটা দাড়ায়।

Genocide Stat3

নাহ, ঠিক ফেয়ার হল না। তিরিশ লাখের পাশে অন্য যে কোন সংখ্যাই ছোট লাগে। এমনকি রানা প্লাজার মতো ভয়াবহ একটা জিনিসকেও ছোট দেখা যাচ্ছে এর পাশে। বরং একখানা বাবল প্লট করি।

Genocide Stat1

নাহ এটাই ঠিক জুত হচ্ছে না। একটা বড় গোল্লা অসভ্যের মতো তাকিয়ে আছে। রানা প্লাজাকে ছোট একটা বিন্দু মনে হচ্ছে। হেফাজতকে টেনেটুনে ৬২ বানানোর পরেও তার বিন্দু খালি চোখে দেখা যাচ্ছেনা। এরচেয়ে বরং এক্স অক্ষে মৃত্যুর সংখ্যা আর ওয়াই অক্ষে কান্নার পরিমাণ বসিয়ে একখানা স্ক্যাটার প্লট করি।

Genocide Stat5

এখানেও তিরিশ লাখের পাশে বাকি সংখ্যাকে শূন্য মনে হচ্ছে। তবে ক্রন্দনের পরিমাণের একটা বেশ তুলনামুলক চিত্র বোঝা যাচ্ছে।
এবারে একটা উদাহরণ দেই। ধরা যাক আপনি জনৈক ডিজিটাল মানবতাবাদীর ক্রন্দন ট্র্যাক করা শুরু করলেন। খুব সহজ কাজ, তার ফেসবুকে গিয়ে তার ক্রন্দনগুলোর রেকর্ড দেখুন। যেমন আমার করা গবেষণার একটা রেকর্ড নীচে দিলাম। এক্কেবারে রিয়েল লাইফ ক্রন্দনের সময়ানুক্রমিক লগ এটা, কোন টেম্পারিং ছাড়া।

ফেলানী হত্যার রায় প্রত্যাখ্যান করে ক্রন্দন
ওবামা সিরিয়াতে বোমা মারতে যাচ্ছে এজন্য ক্রন্দন
পদ্মা সেতু দুর্নীতি নিয়ে ক্রন্দন
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ক্রন্দন
ড. ইউনুসের জন্য ক্রন্দন
অধিকারের শুভ্রের জন্য ক্রন্দন
ব্রাদারহুডকে আমেরিকান-ইসরাইল-সৌদি সমর্থনপুষ্ট বিদ্রোহীরা পুটু মারায় ক্রন্দন
ভারতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসনের জন্য ক্রন্দন
ড. জাফর ইকবালে নাস্তিকতা ছড়ানো নিয়ে ক্রন্দন
দুষ্টু সমাজব্যবস্থার কারণে ঐশীর বখে যাওয়াতে ক্রন্দন
মিতা হক টেনেটুনে সবার বুরকা খুলে ফেলায় ক্রন্দন
রানা প্লাজার জন্য ক্রন্দন
যুবলীগের সহায়তায় পান্না মাস্টার এত এত রেপ করে ফেলায় ক্রন্দন
জন্মদিনে তাজউদ্দীনের জন্য ক্রন্দন
পিলখানায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের জন্য ক্রন্দন

খেয়াল করলেই বুঝে যাবেন, সবই নীল কান্না। ফলাফল, পাড়ার পোলাপান ছাগু ছাগু বলে আপনাকে উত্যক্ত করার চেষ্টা করবে। তার মানে এই নয় সে নীল কান্না কাঁদলে আপনি ছাগু। তবে শুধুই নীল কান্না কাঁদলে ... আবার জিগায়। সুতরাং এটা কখনোই নিঃস্বার্থ ক্রন্দন হবেনা, ছাগ-স্বার্থ ক্রন্দন হবে। আবারও বলছি। মন দিয়ে খেয়াল করে দেখুন। মাঝেমাঝে নীল কান্নায় কোন সমস্যা নেই। কিন্তু শুধু নীল কান্নায় সমস্যা হেজ। ঠিক যেমন পাশের বাড়ির কাজের বুয়ার মৃত্যুতে কাঁদলে সমস্যা নেই, নিজের ভাইয়ের মৃত্যুতে কাঁদলে তো সমস্যা নেইই। গোল বাঁধে তখনই যখন মায়ের মৃত্যুতে আপনি নিরপেক্ষ! তাজউদ্দীনের মৃত্যু বা পিলখানার হত্যা নিজের ভাই হারানোর মতোই কষ্টকর। তবে সেই দুঃখে কেঁদে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদিনে কেকে কেটে উৎসব লাগিয়ে দিলে আপনার কান্না দেখলে কুমিরও লজ্জা পাবে যে।

মাঝেমাঝে বোধ হয় ফেলানির জন্য কোটি লোকের যে কান্না তার কয়টি ফেলানির জন্য আরও কয়েক লাখ ফেলানিদের লাশ ধামাচাপা দেয়ার জন্য। ভারতকে যে অবিশ্রান্ত গালি বর্ষণ করা হচ্ছে সেই গালির কতটুকু ভারতকে টলানোর উদ্দেশ্যে আর কতটুকু নিজ দেশকে টলানোর উদ্দেশ্যে। আজকে যে বাংলাদেশে মৌলবাদের দৌড়াত্ব বেড়ে চলছে, লক্ষ মানুষ খুনের দায়ভার নিয়ে গোলাম আজম তিন বেলা আপেল আঙ্গুর খাচ্ছে, রাজাকারের বিচার হবার সম্ভাবনা আস্তে আস্তে শূন্যের কোঠায় নেমে আসছে এই সকল সমস্যার কোন আশু সমাধান আমার জানা নেই। তবে ভারত সমস্যার সমাধান হয়তো খুবই সরল। প্রথমে সহজ সত্যি কথাটি মেনে নিন। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের গুরুত্ব খুব বেশী না ভারতের কাছে। আমাদের কূটনীতিক বা রাজনীতিবিদ কারোরই সেই ক্ষমতা বা প্রজ্ঞা নেই ভারতকে ধমক দিয়ে অথবা মাথায় হাত বুলিয়ে আমাদের দাবী আদায় করে নেয়। সেরকম ক্ষমতা আর প্রজ্ঞা যাদের ছিল আমরা তাদের গুলি টুলি করে পরপারে পাঠিয়ে দিয়েছি অনেক আগেই। এখন যারা আছে তারা যাবে আর আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে, আমরা জানতে পেরেছি দোষটা আসলে আমাদেরই ছিল বলে নাচতে নাচতে ফিরে আসবে। ফ্ল্যাগ মিটিং, আলোচনা, স্মারকলিপি পেশ, হাইকমিশনের সামনে প্রতিবাদ ইত্যাদি করেও তেমন লাভ নেই। করার মতো কাজ একটিই আছে, সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা। ভারতের পণ্য, মিডিয়া, টিভি চ্যানেল বর্জন করা। সেইজন্য আপনাকে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে, ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে গিয়ে মিটিং মিছিলের দরকার নেই। নিজের বাসায় এসে নিজের পরিবারের সাথে কনসাল্ট করুন। পাড়ার ডিশ ব্যবসায়ীর সাথে আলাপ করুন। দেখুন ভারতীয় টিভি বর্জন করার জন্য সবচেয়ে কৌশলগত উপায় কোনটি। আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে মনে হয় যদি সীমান্ত ইস্যুতে ভারতকে ধরে নাড়া দিতে চান তবে তাদের মিডিয়া বাণিজ্য ধরে নাড়া দিন। কাজটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। ভারতেরই মহাত্মা গান্ধী বলে একজন কিভাবে কাজটি করতে হয় সেটার উদাহরণ দেখিয়ে গিয়েছেন। আর যদি ভারতকে নাড়া দেয়ার উদ্দেশ্য না হয়ে আপনার ক্রন্দনের উদ্দেশ্য হয় নিজের দেশকে ধরে নাড়া দেয়া তবে জপতে থাকুন ... ফেলানীর মৃত্যু এবং এই অবিচার মানিনা ...আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম ...ইন্ডিয়া হইতে পাকিস্তান উত্তম ...স্বাধীনতার আগে পাকিস্তানের শোষণ থেকে স্বাধীনতার পরের ইন্ডিয়ার শোষণ আরও ভয়াবহ ...পাকিস্তান আমাদের যত লোক মেরেছে , ইন্ডিয়া তার থেকে বহুগুন বেশী মানুষ মেরেছে ... ইত্যাদি ইত্যাদি। বাস্তবতা হল মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। বাঙ্গালীর ভারত প্রতিবাদের দৌড় নিজ গ্রামের কিছু মন্দির ভাঙ্গা পর্যন্তই। নিজ ঘরে জীবন মানে জি-বাংলা চালিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে দৌড়াদৌড়ি করা পর্যন্তই। তারপরেও অবাস্তব স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে যে লোকজন ক্ষেপে উঠে মন্দির না ভেঙ্গে নিজ বাড়ির টেলিভিশন ভাঙ্গছে। সবাই এক হয়ে নিজ পরিবারকে বোঝাচ্ছে ভারতীয় চ্যানেল ছাড়াও বেঁচে থাকা যায়।

সে যাই হোক। কান্নার কথা বলে শুরু করেছিলাম। লাইনে থেকে সেই কান্নাতেই ফিরে যাই। অল্প কথায় নিঃস্বার্থ ক্রন্দন আর কুমীরের ক্রন্দনের মাঝে পার্থক্য বুঝাতে চেয়েছিলাম। ম্যালা কথা বলে ফেললাম। কাঁদুন মন খুঁজে কোন সমস্যা নেই। এমন অদ্ভুত দেশে জন্মেছি আমরা যেখানে এক কান্নার দাগ মুছতে না মুছতেই অন্য কান্নার কারণ তৈরি হয়ে যায়। মিসরের জন্য কাঁদুন, সাথে সিরিয়ার জন্যও একটু কাঁদুন। হেফাজতের অবহেলিত অবুঝ শিশুদের জন্য কাঁদুন, সেইসাথে গোলাম আজমের ফাঁসি না হবার তীব্র অপমানেও একটু কাঁদুন। বিশ্বজিৎ এর জন্য কাঁদুন, সেইসাথে বুয়েটের দীপের জন্যও একটু কাঁদুন। মতিঝিলে মৃত হেফাজতের কর্মীদের জন্য কাঁদুন, সেইসাথে ফটিকছড়িতে কুপিয়ে হত্যা করা মানুষদের জন্যও একটু কাঁদুন।

পাশের বাড়ির কাজের বুয়ার মৃত্যুতে কাঁদুন, ভাইয়ের মৃত্যুতে কাঁদুন। তবে সেইসাথে মায়ের জন্যও একটু হলেও কান্না রাখুন। তবেই না হবে নিঃস্বার্থ ক্রন্দন।


মন্তব্য

^_^ এর ছবি

:) (ইটা)

হাসিব এর ছবি

আন্তর্জাতিকমানের প্রগতিশীল এঞ্জিওফান্ডেড কান্নাকাটি করুন।

চরম উদাস এর ছবি

:))

দিগন্ত এর ছবি

একদম সঠিক।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

সাকিন উল আলম ইভান  এর ছবি

:))

এমএসআর এর ছবি

বরাবরের মতই অত্যন্ত চমতকারভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনার বক্তব্য। ধরিয়ে দিয়েছেন আমাদের অস্রু সংক্রান্ত অনলাইন অসংগতি।

আজকাল কাছের মানুষ যাকেই অনলাইনে কান্নাকাটি করতে দেখি, জিজ্ঞেস করি কান্নাকাটি না করে আমি বা আপনি নিজে কংক্রীট কি করতে পারি সেটা বলুন।

চরম উদাস এর ছবি

সেটাই

ঈয়াসীন এর ছবি

(Y)

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

চরম উদাস এর ছবি

(ধইন্যা)

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

আপ্নার পোস্টে কমেন্ট করা যাবে না। মানুষজন আজেবাজে কথা কয়।

পোস্টের ব্যাপারে কিছুই বলার নাই। =(( =(( =((

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

চরম উদাস এর ছবি

কে কি বলল? নাম ঠিকানা দেন। ৫৭ ধারায় ফাসায়ে দিব।

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

আপ্নের আগের লেখায়। খেয়াল নাই? আফসুস =(( =((

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

চরম উদাস এর ছবি

ওহ, আবার ফিরে গিয়ে দেখলাম। :))
উড কাউদের কথায় কান দিবেন না।
আমি তেল কোম্পানিতে কাজ করি, আমি নিজে বরং সবাইরে তেল দিয়া বেরাই। আগে তেল দিয়া লুব্রিকেটেড কইরা রাখলে পরে বাঁশ দিতে সুবিধা হয় ;)

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

:))

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

গৃহবাসী বাঊল এর ছবি

আপ্নে হাসেন কেলেগা? :-?

মৃষৎ এর ছবি

অধিকারের (মিথ্যা) তথ্য (৬২ জন) দেওয়ায় বস আপ্নেরই ফেসে যাবার চান্স আছে ;) :))

হাসান এর ছবি

মনে হইতেছে ৫৭ ধারায় প্রথম ধরাটা আপনে খাবেন

চরম উদাস এর ছবি

আমি কি কইচ্চি? সব ধারাপাত মেনেই তো লিখি। সমানভাবে কাঁদতে বলি ... অন্যায্য কি বললাম 8)

মেঘলা মানুষ এর ছবি

আর কান্না লুকাতে চাইলে, বাকের ভাইয়ের মত বলুন, "না না, চোখে কি জানি পড়ছে"

চরম উদাস এর ছবি

হুম

হিমু এর ছবি

^:)^

চরম উদাস এর ছবি

(ধইন্যা)

ঈয়াসীন এর ছবি

এত কঠিন সত্য লিখেন কি করে? ইয়ে হাত মুঝে দেদে ঠাকুর।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

চরম উদাস এর ছবি

মন মাঝি এর ছবি

****************************************

চরম উদাস এর ছবি

:S

কল্যাণ এর ছবি

=))

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

এ হাসনাত এর ছবি

কুপামচু (গুলি) (গুলি) (গুলি) (গুলি) (গুলি) (গুলি) (গুলি) (গুলি) (গুলি) (গুলি) (গুলি) (গুলি) (গুলি)

চরম উদাস এর ছবি

(ধইন্যা)

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

ক্যামনে ল্যাখেন এরাম সত্যি কথা চউদা। আশির্বাদ দ্যান।

চরম উদাস এর ছবি

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

$)

Fallen Leaf এর ছবি

শামছু চরম কোপানি খেয়েছে। আপনাকে "লাল" ধন্যবাদ নিঃস্বার্থ ভাবে কান্নার সমীকরণ বাতলে দেবার জন্যে। ^:)^

চরম উদাস এর ছবি

:D

অমিত এর ছবি

চমৎকার =DX

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু

অতিথি লেখক এর ছবি

যার যার কান্না তার তার কাছে,চরমের কি বলার আছে?

আর চোখের কান্না লই,চুদুরবুদুর চইলত নো।

শাকিল আরিত
স্যালুট।

চরম উদাস এর ছবি

হ 8)

কড়িকাঠুরে  এর ছবি

^:)^

চরম উদাস এর ছবি

(ধইন্যা)

সত্যপীর এর ছবি

আমি নীল দলের লোক। আঘাত দিসেন আপ্নে। পীর ফকির আলেম উলামাদের মনে আঘাত দিলে ৫৭ দুগুণে ১১৪ ধারায় পাথর মারা জায়েজ আছে। ডালাস ঘেরাও করতে বাধ্য করবেন না।

..................................................................
#Banshibir.

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ঘেরাও না পীর বাহাদুর, 'ডালাস অভিমুখে লংমার্চ' হৈলো অ্যাপ্রোপ্রিয়েট।

সত্যপীর এর ছবি

আল্লামা সাফিরে হেলিকপ্টার নিয়ে তৈয়ার থাকতে কন।

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

8)

চরম উদাস এর ছবি

হুনেন , আই তেল কোম্পানির লোক, আর লগে চুদুরবুদুর চইলত ন, চইলত ন। কয়দিন আগে এমনেই আপনাদের আলবার্টায় বিশাল তেলের খনি আবিস্কার করে আসছি। আমি হাঁক দিমু তেল পাইছিরে আর সাথে সাথে আম্রিকা হাঁক দিবে সন্ত্রাসী পাইছিরে বলে। সুতরাং ওবামা মামা ট্যাঙ্ক লইয়া আইল বইলা। আগে নিজের ঘর বাঁচান 8)

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

চিঠি লিখে সুপ্রতিক্রিয়া পাঠিয়ে দেবো নে। লাল দলের মানুষ আমি, কোন দিন আবার ডিজিটাল প্রতিক্রিয়ার জন্য সাত বছর খেয়ে ফেলি!

চরম উদাস এর ছবি

হ, সেইটাই নিরাপদ পদ্ধতি।

এক লহমা এর ছবি

আপনার সব লেখার মতই, অসাধারণ হয়েছে। পাঁচ তারা।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

চরম উদাস এর ছবি

হাচল হয়ে গেছেন দেখি ... অভিনন্দন =DX

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

আরে তাই তো। কংগ্রাটূলেটন। এক দফা এক দাবি, পার্টি চাই দিতি হবি।

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

এক লহমা এর ছবি

(ধইন্যা) বাউল-ভাই।
অবিশ্যি। চলি আসেন। সকলডি মিলা ধুঁয়ার পাহাড়ের কোলে বসি Fall Color দেখতি দেখতি পাট্টি-ই-পাট্টি।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

হা হা হা। মন্তব্য করতে ভয় লাগছে, আবার কার কোথায় আঘাত লাগে !

চরম উদাস এর ছবি

হ, সেটাই :S

পিয়াল এর ছবি

কিভাবে লিখেন এইসব? (আবার বইলেন না অভ্র দিয়ে!)

কয়েক বছর আগার কথা, আমার নতুন এক প্রতিবেশী এসেছে, গুজরাতি, তার আগে ছিল পাকিস্তানী এক পরিবার। এই খবর শুনে আমার জনৈক "শুভাকাঙ্ক্ষী" বাংলাদেশী বললেন, সাবধানে থাইকেন, জানেনই তো, এরা মুসলিমদের মেরে শেষ করে দিয়েছে। আমি বললাম, গত দুই বছর যে পাকিস্তানীরা ছিল, তার জন্য তো কখনও সাবধান করেননি, জানেন না পাকিস্তানীরা ৩০ লক্ষ বাঙালি মেরে ফেলেছে? উত্তরে কবি নীরব।

উনার বাড়িতেই শোনা, " এরশাদ ভালো খারাপ যাই করুক নাক, ইসলাম কে রাষ্ট্রধর্ম করে গেছে, এইটা একটা কাজের কাজ হইসে। "

আরেকদিন, "ভারত আমাদের সব কিছু শেষ করে দিলো" প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এতো কিছু জানার পরও সপরিবারে নিয়মিত হিন্দি মুভী আর নাচ গান কীভাবে আপনার সহ্য হয়? উত্তরে তিনি যা বললেন তার সারমর্ম হচ্ছে, হিন্দি মুভী একটা আন্তর্জাতিক ভাবে সমাদৃত বিষয়, সবাই পছন্দ করে, এর সঙ্গে বাংলাদেশের ভারতের দাদাগিরি মেশানো ঠিক না :(

বছরখানেক হল, তার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছি।

হিমু এর ছবি

জিজ্ঞাসা করেন নাই, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হিন্দি মুভিতে হাফন্যাংটা নাচানাচি দেখা সমর্থন করে কি না?

সুবোধ অবোধ এর ছবি

:))

robot    এর ছবি

সিরিয়াল/মুভির সাথে রাজনীতি মেশাবেন না। :D

চরম উদাস এর ছবি

ইন্টারনেটে বসে ভারতকে গাইল পাড়তে তো কষ্ট লাগেনা, নিজ ঘরে কুসুম আর তুলসি বন্ধ করতে গেলে উল্টা বউয়ের উস্টা খাওয়া লাগে :p

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

আপ্নে তো ভালো বউয়ের উস্টা খান। আমার অবস্থা আরো খারাপ।

একবার আইইএল্টিএস ক্লাসে একবার কোন হিন্দি সিরিয়াল না দেইখা ইংরেজি মুভি দেখতে কইছিলাম, লগে সিরিয়ালের নাম ভুল কইছিলাম দেইখা আমার এক ছাত্রী আমারে বয়কট করছিল। চরম অপমান। আইইল্টিসের সার হিন্দি সিরিয়ালের নাম কইতারে না। কেম্নে পারুম? আমার বাসায় তো কেউ সিরিয়াল দেখে না।

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

চরম উদাস এর ছবি

আরে না না, আমাগো বাড়িতে কোন টিভি চ্যানেলই নাই। ইন জেনারেল বললাম আরকি।

মাসুম  এর ছবি

^:)^

চরম উদাস এর ছবি

(ধইন্যা)

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

ডিজিটাল কান্নার ডিজিটাল লেখা - ডিজিটাল আইনে না আবার ডিজইন্টিগ্রেট করার চেষ্টা করে। না করলে তো ভালই, করলে আবার একটা ডিজিটাল কান্নার উপলক্ষ পাওয়া যাবে।

যাই হোক, ভালো একটা জিনিস ধরিয়ে দিলেন - বদনাখাতার (ফেবু) কয়েকটা পাব্লিককে ধরবো এবার।

____________________________

চরম উদাস এর ছবি

:p

মৃষৎ এর ছবি

^:)^

অট: প্রেসনোট অনুযায়ী ৫ মে গভীর রাতের অভিযানে হেফাজতের একজনও মারা যায় নাই, পুলিশ মারা গেছে ১ জন। আগে পরে ১৩ + ১২ = ২৫ জন মারা গেছে (যতদূর মনে পড়ে)। ৬১ লেখা ঠিক হৈল না বস। সম্ভব হৈলে সংশোধন কৈরেন।

চরম উদাস এর ছবি

সারকাজম করে একষট্টি সাথে একটা ফাও দিয়া বাষট্টি লিখেছি। মৃতের সংখ্যা টেনেটুনে না বাড়াইলে গ্রাফের অবস্থা আরও বারোটা বাজে। অলরেডি দেখেন, লেখা না পড়ে কিছু গ্রাফ দেখে লোকজন চিল্লাপালা লাগায়ে দিছে আমি রানা প্লাজা আর হেফাজতের মৃত্যু সংখ্যা শূন্য দেখাইছি গ্রাফে এই বলে। যাই কই :S

সুবোধ অবোধ  এর ছবি

কেউ যখন সাঈদীর রায়ের পর "পাখির মত গুলি", ৫ মে 'র পর "২৫ মার্চের কালো রাতের চেয়ে ভয়াবহ " এইসব আবালীয় কথাবার্তা বলে ,আমার বলতে ইচ্ছা করে- "এখনো ৩০০০০০০ তো দূরের কথা ৩০০ জনও হয় নাই!" জানি এটা নিছকই উদ্ভট একটা কথা, তাই বলা হয় না। তবে বরাহ শাবক গুলা যদি ফাসি তে না ঝুলে কেবল বার্ধক্যে মারা যায়, এর চেয়ে বড় কষ্ট, লজ্জা আর কিছু নাই।
লেখায় পাঁচ তারা! ^:)^

চরম উদাস এর ছবি

২৫শে মার্চের সাথে অন্য যে কোন কিছুর তুলনা করে যারা তাদের জন্ম নিয়ে সন্দেহ আছে।

সুবোধ অবোধ  এর ছবি

সহমত।

আইলসা  এর ছবি

এংরাজিতে একটা কথা আছে না, হিট দ্যা বুলস আই, হেইয়ার বাংলা হইবো, "চউদার মত মারা"। ববস
লাল নীল কান্না জিনিষটা বুঝতে পারতাছিলাম, বাট (সালমান বাট না) কইতে পারতা ছিলাম না। লুকজন দেখি ফেলানির জন্য কান্দে আবার ইন্ডিয়ান পিস টিভিতে লাইক মারে। মিসর ইস‌্যুতে পুরা স্পিড মারদাঙ্গা (স্পিড একটি এজে প্রোডাক্ট), আবার বাবুনগরীর জন্য কান্দতে কান্দতে শেষ ওইদিকে শাহবাগের উপর ও ক্ষেপা।
ধন্যবাদ বস।

চরম উদাস এর ছবি

অতিথি লেখক এর ছবি

^:)^ ^:)^ ^:)^ ^:)^ ^:)^ =DX =DX =DX =DX =DX (গুলি) (গুলি) (গুলি) (গুলি) (গুলি) (গুড়) (গুড়) (গুড়) (গুড়) (গুড়)
ইসরাত

চরম উদাস এর ছবি

(ধইন্যা)

মৃদুল এর ছবি

মনটা কেমন টনটন করছে রে ভাই

চরম উদাস এর ছবি

:)

ফয়সাল ইজা এর ছবি

লেখায় (Y)

তয় হিসাব কইরা দেখলাম লাল ইস্যুর কান্দনে চউক্ষের জল হইব লাল আর নীল ইস্যুতে নীল। আর দুইডার জইন্য যদি কান্দি তয় মিল্লাঝিল্লা কালার হওনের কথা ‘বেগুনী’!

অতএব চ্রমউদাসের বানী চিরন্তনী হইবো “লাল ও নীল অশ্রুবিন্দুর তুলনা বেগুনী অশ্রু শ্রেয়” =DX

চরম উদাস এর ছবি

:p

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ভার্সিটিগুলাতে কান্নালজি বিষয়ক ডিপার্টমেন্ট খুলে চরম উদাসরে তার মার্কেটিং হেড করার জোর দাবি জানালাম

চরম উদাস এর ছবি

ক্রন্দন ও মানবতা শিল্প - ১০১ নামে আগে একটা সাবজেক্ট খুলা দরকার।

অতিথি লেখক এর ছবি

তাজউদ্দীনের মৃত্যু বা পিলখানার হত্যা নিজের ভাই হারানোর মতোই কষ্টকর। তবে সেই দুঃখে কেঁদে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদিনে কেকে কেটে উৎসব লাগিয়ে দিলে আপনার কান্না দেখলে কুমিরও লজ্জা পাবে যে।

- (Y)

তবে সেইসাথে মায়ের জন্যও একটু হলেও কান্না রাখুন। তবেই না হবে নিঃস্বার্থ ক্রন্দন।

-ধুত্তোর, আবার চোখে কি যেন পড়েছে ।

অবিরাম শুভকামনা জানবেন।

-----------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

চরম উদাস এর ছবি

:)

রাহী এর ছবি

হাসি পায় নাই :S

চরম উদাস এর ছবি

আগেই তো সতর্কীকরণ দিয়ে নিছি

আরেফিন এর ছবি

লাস্টের প্যারা গুলোতে এক্কেবারে ফাটিয়ে দিয়েছেন। মনের কথা বলেছেন। জায়গায় দাঁড়াইয়া জায়গায় হিট। ছাগুগুলার টাইমলাইনে মিশর নিয়া কান্নাকাটি দেখলে আদত মিশরীয়ানরাও লজ্জা পাইয়া যাইব। **রের বাচ্চাগুলি বাপের পুটু দিয়া বের হইসে।

চরম উদাস এর ছবি

:p

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

(Y)
নীল =(( তে কি হবে ঠিক জানিনা... তয় লাল =(( থামানির মহৌষধ ৫৭ ধারা সেইটা বুঝতাছি...
লাল ইস্যুগুলান "অনুভূতিপ্রবণ", পিলিং বেশি
অন্যকিছু নীল হলে যতই আপত্তিকর হোক, কান্দনের ক্ষেত্রে নীলডাই নিরাপদ...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

চরম উদাস এর ছবি

সেইটাই, পিলিং আর ছেঞ্ছিতিবিতির অত্যাচারে আর বেশিদিন আয়ু থাকবে না।

ছায়াবৃত্ত এর ছবি

আবারও এক নিঃশ্বাসে পড়লাম।

^:)^

চরম উদাস এর ছবি

(ধইন্যা)

শুভ এর ছবি

বড্ড উদাস হইয়া গেলাম :-?

চরম উদাস এর ছবি

;)

নীড় সন্ধানী এর ছবি

শিরোনাম দেখে অনেক পুরানা বাংলা ছবির কথা মনে পড়ে গেল। "কেউ কারো নয়" ইংরেজিতে ছিল - love thats cry :))

আপনি আমার অনুভুতি ধরে নাড়া দিয়েছেন, আপনারে ৫৭ ধারায় নগদ শুভেচ্ছা দেয়া হোক 8)

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

চরম উদাস এর ছবি

8)

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আমি নীল ইস্যুর কাদুনী, এই ইস্যুগুলায় চামে চিকনে আমি সেরকে সের কান্দি। কিন্তু লাল ইস্যুগুলায় কানতে গেলে আতকা আমার হাসি আইসা যাতা হায়।

চরম উদাস এর ছবি

হ, আমরা সবাই নীলে নীলময়

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

^:)^
নীল নাকি লাল ভাবতেছি :-?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

চরম উদাস এর ছবি

:-?

স্যাম এর ছবি

^:)^
বই এর পাতার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে!! বাড়ুক - সবার জন্য ভাল :)

চরম উদাস এর ছবি

আরে, বই তো গল্পগুলা নিয়া। এইসব আবজাব জ্ঞানের প্যাঁচাল তো এই বইতে থাকবে না।

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

লেখা পুরাই রুমালের মত হইছে।

যাদের ফেইসবুকের হোম পেইজ লোকজন কানতে কানতে ভিজাইয়া ফেলতেছে তারা সবাই এটাকে `রুমাল´ হিসাবে শেয়ার দিতে পারেন। লেখাটা কয়দিন আগে পাইলে আরো ভালো হইতো। ইদানিং আমি আবার রেস্ট্রিকশন, ব্লক এসব ব্যাবহার করে আমার ভিজা হোম পেইজ প্রায় শুকায়া ফেলছি। তাও রুমাল শেয়ার দিয়া রাখলাম যদি কারো লাগে।)

চরম উদাস এর ছবি

হে হে হে হে ... ছিল বেড়াল হল রুমাল

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

^:)^ ^:)^ ^:)^

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

চরম উদাস এর ছবি

(ধইন্যা)

মইনুল রাজু এর ছবি

(Y)

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

চরম উদাস এর ছবি

(ধইন্যা)

অতিথি লেখক এর ছবি

ক্যামনে পারেন??!! (জাঝা)

গান্ধর্বী

চরম উদাস এর ছবি

পারি না তো

অতিথি লেখক এর ছবি

নি:স্বার্থ লেখা- হোয়াট ইজ রাইটিং!!

রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের গুরুত্ব খুব বেশী না ভারতের কাছে। আমাদের কূটনীতিক বা রাজনীতিবিদ কারোরই সেই ক্ষমতা বা প্রজ্ঞা নেই ভারতকে ধমক দিয়ে অথবা মাথায় হাত বুলিয়ে আমাদের দাবী আদায় করে নেয়। সেরকম ক্ষমতা আর প্রজ্ঞা যাদের ছিল আমরা তাদের গুলি টুলি করে পরপারে পাঠিয়ে দিয়েছি অনেক আগেই। এখন যারা আছে তারা যাবে আর আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে, আমরা জানতে পেরেছি দোষটা আসলে আমাদেরই ছিল বলে নাচতে নাচতে ফিরে আসবে। ফ্ল্যাগ মিটিং, আলোচনা, স্মারকলিপি পেশ, হাইকমিশনের সামনে প্রতিবাদ ইত্যাদি করেও তেমন লাভ নেই। করার মতো কাজ একটিই আছে, সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

জাতিকে এই বুদ্ধি কে দেবে? বি,এন,পি-জামাত তো অধিকাংশ সময় ক্ষমতায় ছিল, তারা ভারতের কী উৎপাটন করতে পেরেছে?

তারপরেও অবাস্তব স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে যে লোকজন ক্ষেপে উঠে মন্দির না ভেঙ্গে নিজ বাড়ির টেলিভিশন ভাঙ্গছে। সবাই এক হয়ে নিজ পরিবারকে বোঝাচ্ছে ভারতীয় চ্যানেল ছাড়াও বেঁচে থাকা যায়।

ভারতের সব বর্জন করা যায়, কিন্তু বলিউডের তেঁতুলায়িত ললনাদের কি ছাড়া সম্ভব? ওরাও স্বপ্ন দেখে- একসময় ওরা 'যুদ্ধোপঢৌকন'হবে!

নির্ঝর অলয়

অতিথি লেখক এর ছবি

নীল দল প্রয়োজনে লাল জামা-ও পড়ে,কিন্তু ল্যাঞ্জা লুকাইতে পারে না,চোখের পানি দিয়া কী আর ল্যাঞ্জা ঢাকা যায় ?

এইজন্য রসগুরু বলেছেন,লাল গানে নীল সুর,হাসি হাসি গন্ধ।

ক্রন্দনের পরিমাণ নির্ধারনে পিচ্চিদের ছবিগুলো মাপকাঠি হিসেবে দারুণ তো !!!

নেন,ভাই-গুরুদক্ষিণা-
http://www.google.com.bd/search?q=biriyani+pics&client=firefox-beta&rls=org.mozilla:en-US:official&tbm=isch&tbo=u&source=univ&sa=X&ei=T-8vUpWYHqmpiAep34DIAQ&ved=0CCwQsAQ&biw=1024&bih=608

সুপারস্টারের ছবির নামের প্যাটার্ন ব্যবহার করছেন,জানে তো ? কোনদিন দেখবেন একলাফে উড়ে এসে আপনার ছাদে নেমে হার্ট বের করে ডায়ালগ দেয়া শুরু করবেন,ইউ উয়ানা ডিশট্রয় মাই পিল্ম নেম ?আপটার অল-বেসম্ভবসম্ভবকারী।

রানা প্লাজা দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল্ডিং ধ্বস,প্রথমটার একযুগ পূর্তি হলো।প্রথমটা সন্ত্রাসী হামলা,দ্বিতীয়টি আমাদের লোভের পতন।স্ল্যাবের নিচে নুপূর পরা পা-টা আজো আমাদের কল্পনাকে লাথি মারে,দু:স্বপ্ন দেখায়।কিন্তু একে কখনো ছাগু ইস্যু হতে দেয়া যাবেনা-ছাগুরা এ ইস্যু যতখানি ব্যবহার করে,প্রতিকারের কথা তার সামান্যতম-ও বলে না।ইস্যু বেঁচে থাকলেই তো তাদের লাভ!
-রিয়াজ

অসীম এর ছবি

জনাব আপনার লেখা সাংবাদিক পাথর আর বিশাল বক্ষার দেশে-১
http://www.sachalayatan.com/udash/46288
এর কোন দ্বিতীয় পর্ব না পাইয়া যারপরনাই হতাশ হইলাম। আশাকরিয়াছিলাম ইহা হইতে এক ঘরে কতজন মুখরা রমণী থাকিতে পারে... কতক্ষণ থাকিতে পারে সেই বিষয়ে জ্ঞানার্জন করিব কিন্তু আমার সেই চিটাগুড়ে বালি... :(
শেষে আপনার উত্তোরত্তোর সমৃদ্ধি কামনা করিয়া বিদায় লইতেছি

মুদ্রা সংগ্রাহক এর ছবি

কান্দনের পোস্টে হাসিমুখের ইমো দেয়া কি ঠিক হইবো ???

মুদ্রা সংগ্রাহক

কল্যাণ এর ছবি

একেই বলে মানবাধিকারবার।

^:)^

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।