আমি মেধাবী সেটা আগেই জানতাম কিন্তু বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাবার পর সেটা বাকিরাও জানল। আম্মা এসে জড়ায়ে ধরে বলল, মানিক তুই বংশের মুখ উজ্জ্বল করলি। চাচা বললেন, গুড জব। এই বংশের ছেলেরা ডিপ্লোমা বিআইটি ইত্যাদি হাবিজাবিতে চান্স পাইলেও বুয়েটে এই প্রথম। পাড়া প্রতিবেশী সবাই হৈহল্লা করে দেখতে আসল পাড়ার মেধাবী ছেলেকে। কেউ গায়ে হাত বুলায়, কেউ মৃদু চিমটি কাটে, কেউবা ফিসফিস করে বলে, কি মেধাবী গো। আমি গম্ভীর মুখে উপভোগ করি। বন্ধুবান্ধব ভিড় করে আমার সাথে ফটো তোলার আবদার ধরে। কেউ কেউ সাবাস মানিক বলে প্রয়োজনের অধিক জোরে পিঠে চাপড় মারে। আমি মৃদু হেসে উপভোগ করি। বুঝি এরা চান্স পায় নাই বলে মনে ক্ষোভ আছে। আব্বা এসে অভিনন্দন জানানোর ফাঁকে একটু উপদেশও দিয়ে যায়, ভালো ইঞ্জিনিয়ার হবার চেয়ে ভালো মানুষ হওয়া বেশী জরুরী। আমি একটু বিরক্ত হলেও মৃদু হাসি মনে মনে। আব্বা কখনো বুয়েটে চান্স পায় নাই এই ভেবে।
ক্লাস শুরু হতেই তুমুল পড়াশোনা শুরু হয়। আমি ঘাড় গুঁজে একদিন জোর গলার অঙ্ক মুখস্থ করার সময় বড় বোন এসে টিপ্পনী কাটে। বলে, মাদ্রাসা ছাত্র আর তোর মধ্যে পার্থক্য কি বল দেখি। একজন না বুঝেই কিতাব মুখস্থ করে ফেলে। আর তুই না বুঝেই অঙ্ক টঙ্ক সব মুখস্থ করে ফেলছিস। আমি বিরক্ত হতে গিয়েও হেসে ফেললাম। খুব জানি, বড়বোন কখনো বুয়েটে চান্স পায় নাই।
বুয়েটে পড়লে ছাত্রছাত্রী পড়াতে হয়। নিজের মেধা অন্যকে বিলিয়ে কমিয়ে ফেলার মতো বোকা আমি না। কিন্তু পড়ানোর পাত্রী একজন ছাত্রী শুনে পড়ানোর প্রস্তাব ফেলে দিতে পারলাম না।মাইনেও বেশ মোটা। নিতান্ত অনিচ্ছা নিয়ে হাজির হয়ে দেখি ছাত্রী হুলুস্থুল টাইপের সুন্দরী। ছাত্রীর পিতা এসে বলে, বাবা আমার মেয়েটার দায়িত্ব তোমাকে নিতেই হবে। আজ থেকে মেয়েটাকে তোমার হাতে তুলে দিলাম।
আমি বললাম, হুম।
ছাত্রী আমাকে দেখে চিৎকার দেয়,
ও আল্লাহ আপনি বুয়েটে পড়েন।
আমি বলি,
হ্যাঁ আমি বুয়েটে পড়ি
ছাত্রী বলে,
আমিও বুয়েটে পড়তে চাই।
আমি গম্ভীর গলায় বলি,
সকলেই বুয়েট নয়। কেউ কেউ বুয়েট।
পড়াতে গিয়ে দেখি ছাত্রী উঠতে বসতে আক্ষিওসে গোলি মারে। মাঝে মাঝেই ছাত্রীর কোমল পা এসে আমার লোমশ পা স্পর্শ করে। করে শিহরিত হয়। একটু পর পর অনাবশ্যকভাবে ঝুঁকে বিপদজনক পরিমাণে আমার কাছে এসে বলে, ও আল্লাহ, আপনি বুয়েটে পড়েন। ভাবতেই আমার গায়ের সব রোম দাড়িয়ে যায়।
আবার কখনোবা গায়ে গা ঘেঁষে কাছে এসে ফিসফিস করে বলে,
আমি কখনো বুয়েটের ছাত্র ধরি নাই। একটু ধরে দেখি স্যার।
আমি বিরক্তিতে ভুরু কুচকিয়ে বলি, আচ্ছা ধর
ছাত্রী ধরে। ধরে শিহরিত হয়।
আমি বুয়েটের মেধাবী ছাত্র। কাউকে টানিও না বাঁধনেও জড়াই না।
ছাত্রীর মা এসে একটু পর পর আমাদের দেখে যান। ছাত্রীর মা ছাত্রীর তুলনায় একটু স্থূল কিন্তু তারপরেও হুলুস্থুল টাইপের সুন্দরী। বাবা বাবা বলে মাথায় হাত বুলিয়ে বুকে টেনে নিয়ে বলেন, আমি কখনো বুয়েটের ছাত্র বুকে নেই নাই। আমি গম্ভীর মুখে বলি, হুম।
ছাত্রীর বাবা বারবার এসে কাঁচুমাচু মুখে বলে যান, বাবা সবই তোমার।
ছাত্রীর দুষ্টুমি দিনদিন বাড়ে। আবদার ধরে,
চলেন স্যার দুজনে মিলে বাইরে কোথাও যাই। একটু বাদাম বুট খাই আর দুইটা সুখ দুঃখের গল্প করি।
আমি বিরক্ত হয়ে বলি, তথাস্তু।
পরদিন ছাত্রী সহযোগে চিড়িয়াখানা যাই। মতিকন্ঠের বদৌলতে জানতাম, 'বাদাম বুট খাইলে পেটে গ্যাস হয়, সমাজে নানা সমস্যা হয়'। তাই বাদাম বুট না খেয়ে আমরা খিরাই আর শসা চিবুই বেশ করে। আধ খাওয়া শসা ছাত্রী হাত থেকে কেড়ে নিয়ে বলে, স্যার আমি কখনো বুয়েটে ছাত্রের শসা খাই নাই। আমি এইটা খাই?
আমি গম্ভীর মুখে বলি, খাও।
আমরা ঘুরে ঘুরে বাঁদর দেখি, হনুমান দেখি, বাঘ দেখি, কুমীর দেখি, উট দেখি, খাটাস দেখি। ছাত্রী আবার আবদার ধরে স্যার আমি কখনো সিংহ দেখিনি। আমাকে সিংহ দেখান। আমি একটু গোস্বা করে বলি, কেন, আমাকে দেখ নাই? ছাত্রী হাসতে হাসতে আমার বুকে লুটিয়ে পড়ে। বলে,
- ও আল্লাহ, আমি আগে কখনো বুয়েট ছাত্রের রসিকতা শুনি নাই। আপনি এত রসিক কেন স্যার।
আমরা সিংহের খাঁচার পাশে যাই। ছাত্রী চোখ কপালে তুলে বলে,
- ও আল্লাহ, সিংহ কই? এ তো দেখি হলুদ রঙের শিং অলা ছাগল।
আমি তাকিয়ে দেখি মস্ত বড় শিঙঅলা এক হলদে রঙের ধেড়ে ছাগল অদ্ভুতভাবে শুয়ে নিজের গা নিজে চেটে যাচ্ছে। ভালো করে তাকিয়ে দেখি গা নয়তো, অন্যকিছু। পাবলিকে ভিড় করে দেখে বেশ আমোদ পাচ্ছে। কাণ্ডকারখানা দেখে পাশে দাঁড়ানো স্যুট কোট পরা ভদ্রলোককে বললাম, ও ভাই ছাগলে এইটা কি করে? তিনি ইঞ্জিরি ভাষায় বললেন, Have you ever heard the term licking own balls. আমি প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোড় ছাত্র। মাদ্রাসা ছাত্র যেমন গড়গড় করে কোরআন মুখস্থ বলতে পারে, এমনকি অর্থ না জেনেই। আমিও তেমনি মিনিটে কয়েক ডজন পারশিয়াল ডিফেরেন্সিয়াল ইকুয়েশনের সমাধান করে ফেলতে পারি উক্ত বস্তু দিয়ে কি হয় না জেনেই। তবে ইঞ্জিরিতে একটু কাঁচা। অন্য পাশে দাঁড়ানো ধুতি পাঞ্জাবী পরা খাস বাঙ্গালী লোককে জিজ্ঞেস করি, ও ভাই ঘটনা কি? ভদ্রলোক খটমট বাংলা ভাষায় বলেন, পুরাকালে ইহা কেশরীই ছিল। আত্মাভিমানে পুলকিত হইয়া প্রত্যহ নিজের অণ্ডকোষ লেহন করিতে করিতে কালের বিবর্তনে এ অজে পরিণত হইয়াছে।
আমি বাংলা ভাষাতেও একটু দুর্বল বলে এই ভদ্রলোকের কথার মাথামুণ্ডুও কিছু বুঝি না। কিন্তু ছাত্রীর সামনে নিজ দুর্বলতা প্রকাশ করা অনুচিত। আমি তাই প্রসঙ্গ পালটিয়ে দুই ভদ্রলোককে বললাম, আমি বুয়েটে চান্স পাইছি, আপনারা কি পাইছিলেন?
মন্তব্য
ছিছিছিছি এসব কী ছবি!
ইয়ে, মকর তো কুমীর...
হিন্দু পুরানের মতে গঙ্গা ও বরুণের বাহন কুমীর ডলফিন টাইপ কিছু বটে। আবার উইকি বলে অর্ধেক ছাগল অর্ধেক হাঙ্গর।
Capricorn-/ noun /
মকর
Capricorn, mugger
মকররাশি
Goat, Capricorn
ভুল হলো নাকি? তাইলে বদলে পিউর ছাগলই করে দিবনে।
হ্যাঁ, মকরের বেসিস হল কুমীর। পৌরাণিক অভিধান বলছে, "মকর - শৃঙ্গবিশিষ্ট বৃহৎ সামুদ্রিক জন্তু। মকরকে কেহ মীন, কেহ বা হাঙ্গর বলে, কিন্তু পৌরাণিক বর্ণনায় মকরের মস্তক ও সম্মুখের পদদ্বয় কৃষ্ণসার মৃগের মত এবং দেহ ও পুচ্ছ মৎস্যের ন্যায়।"
মকর হিন্দু রাশিচক্র মতে দশম রাশি। Capricorn বিলাতি রাশিচক্র মতে ছাগল। দুটোই দশম রাশি হলেও প্রতীক তো একদম এক না-ই হতে পারে, তাই না?
মকর (ইংরেজি: Capricornus) রাশিচক্রের তারামণ্ডলীর একটি। লাতিন ভাষায় এর নাম "ছাগলের শিং" এবং এর প্রতীক হল Capricorn symbol 2.png (ইউনিকোড ♑)। সাধারণভাবে এটি একটি সাগর-ছাগলের আকৃতিতে প্রতিনিধিত্ব করে: একটি পৌরাণিক প্রাণী যা অর্ধেক ছাগল, অর্ধেক হাঙ্গর।
এখানে উইকি বলে, সাগর-ছাগল , জীবনে পাহাড়ি ছাগলের নাম শুনেছি কিন্তু সামুদ্রিক ছাগল প্রথম শুনলাম।
ছাগলের অন্য একটা চমৎকার সাধু নাম বলেন দেখি, তাইলে মকর ফকর বাদ দিয়ে কনফিউশন দূর করি।
হেহে সাগর-ছাগল ওটা বিলিতি প্রতীকটার অনুবাদ
ছাগলের শুদ্ধ নাম হল অজ। "অজাযুদ্ধে ঋষিশ্রাদ্ধ্বে বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া।"
তাইলে অজ পাড়াগাঁ মানে দাঁড়ায় ছাগল ভর্তি গ্রাম?
..................................................................
#Banshibir.
ইয়ে... "অজাচার" মানে কি তাইলে অণু'দার পম্পেই সংক্রান্ত পোস্টের শেষ ছবির ক্যাপশন?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
"অজাচার" কথাটার আভিধানিক অর্থ - অগম্য সম্পর্কে গমন। আর বেশী বিস্তারিতে না যাই। আবার, বাৎসায়নের বইতে অণুর পম্পেই-এর চিত্রকলার পোস্টের শেষ ছবির অর্থেও কথাটা চালু থেকে থাকলে থাকতেও পারে। তবে অন্য একটি শব্দ, ছাগরতি বোধ হয় আরো সঠিক হয়। হাতের কাছে বইয়ের অভাবে কোনটাই নিশ্চিত হতে পারছি না। (অঃ টঃ - ঐ ছবিটার আমি একটা সুন্টু-মুন্টু নামকরণ করেছিলাম - ছাগুলাগু।)
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এই গানটা চৌধুরী সাহেবদের গুণ বাখানিতেও উপযুক্ত...
জোস গান
মকরকে অজ বানায়ে দিলাম। সমুদ্র ছাগলের চেয়ে পিউর ছাগলই ভালো। এই গল্পের জন্য যদি কোনদিন একটা নোবেল মেডেল পাই তবে মেডেলের ফিতাটা আপনাকে দিয়ে দিব। আর গল্পের কারণে পুলিশ ধরে নিয়ে প্যাদালে প্যাদানির অর্ধেক ভাগ আপনার, কোন ক্রোধান্বিত প্রকৌশলী কল্লা কাটতে চাইলেও আমার কল্লার সাথে আপনারটা ফ্রি দিয়ে দিব।
আইজকা আপনার খবরই আছে
অলমিতি বিস্তারেণ
ম্যায় এক নান্না সা ছোটা সা পেয়ারা সা বাচ্চা হু, আমার কুন দুষ নাই
আর সহ্য হচ্ছে না। এইরকম চলতে থাকলে ব্যাচেলর ইউনির নাম চুপায়ে ফেলতে হবে ভবিষ্যতে দেখা যায়
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
হে হে হে হে
আপনে উনাদেত্তে বেশি বুঝেন?
নোপ, নেভার
---------------------
আমার ফ্লিকার
ইহা কী লিখিলেন, উদাসবাবু? বুয়েটকুল শিরোমণির জয় !! নাক নিয়েও কিঞ্চিৎ লিখিতে পারিতেন। এবার সকলে এনালজি মিলাইতে পারিলেই হয়।
হ, নিরীহ গপ্প লিখি, লোকে খালি এনলোজি খুজে।
কাউকে কেনু টানবু, সবাই পেতে দ্যায়।।।।। পুরাই অনুভুতিকিলার লেখা
হে হে হে হে , বুঝেনইতো
অসাধারণ, হয়েছে। সারা দুনিয়াতে "ইন্জিনিয়ার" হচ্ছে একটা গালি (মানে যারা কোন বিষয় দার্শনিক অর্থে বোঝে না, আ্যপ্লায়েড অর্থে বোঝে) আর আমরা সাহিত্যিক বুয়েট পাশ হলে ভাবি সে বোধ হয় আরও ভাল।
ও রে , না রে , গালি হবে কেন ?
ঠিক বলেছেন। আমরা মেডিকেল স্টুডেন্টরা ওদেরকে ইঞ্জিনিয়ার বলেই গালি দেই। অংক মুখস্ত করে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে এখন ভাব নেয়ার চেষ্টা। এর চেয়ে মেডিকেল স্টুডেন্টরা মানবদেহের কঠিন কঠিন টার্ম মুখস্ত করলেও শারিরীক প্রক্রিয়াগুলো বোঝে। লেখককে ধন্যবাদ সুন্দ স্যাটায়ারটির জন্য। অবশ্য ইঞ্জিনিয়ার ছাগলগুলো স্যাটায়ার ধরতে পারবে কিনা সেটা একটা কথা।
আসছে আরেক তালেবর!
আরে ছাগল, এই ভাব মারা প্রজাতি সব ইউনিতেই আছে, ডাক্তারেরাও কম যায় না। যাদের পকেটে ভার্সিটির নাম ছাড়া বেচার কিছু থাকে না, তারাই ইউনির নাম বেইচা খায়।
বলে রাখা ভালো, এই গল্পের লেখকও কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার।
নারে ভাইরা আমার ... এখন আবার ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার মারামারি লাগায়েন না ... আসেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাই এক সুরে গাই ... আমরা সবাই বলদ আমাদেরই বলদের রাজত্বে ...
জ্বী, ঠিকই বলেছেন
সাদাচোখ
sad_1971এটymaiডটcom
লেখাটা ভালো লাগলো, অন্য লেখার মতই চরম আর কী!
দেশে জাত্যাভিমান জাতীয় ব্যাপারগুলো শিক্ষা কাঠামোর কিছু গোড়ার দুর্বলতা থেকে তৈরি, গোড়ায় ঠিক আঘাত করতে না পারার আগে পর্যন্ত এমন "আমি কি হনু"-ই দেখতে হবে।
হ
এইটা কী লিখলেন
নিস্পাপ মনে লিখছি তো
আপনার গল্প পড়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার হেসেই কাটল। বুয়েটের ছাত্র বলে কথা।
শুভেচ্ছাসহ শুভকামনা রইল।
তুহিন সরকার।
হাসির কি বললাম ? আমি সিরিকাস প্রেমের গল্প লিখছি তো
ফেসবুকে এই লেখা শেয়ার করেছি বলে আমার বুয়েটে পড়া বন্ধুরা আমার উপর গোস্বা করেছে। আমার কি দোষ!
তাহসিন রেজা
কুন দুষ নাই। আপনি আমি দুজনেই নিস্পাপ , নান্নাসা মুন্নাসা ছোটাসা পেয়ারাসা মাসুমসা ইত্যাদি ইত্যাদি
বুয়েট সবাত্তে বেশী বুজে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমি বুয়েটে চান্স নিই নাই।
চ্রম হইসে!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সবই আপনাদের দুয়া
এবার কমেন্টগুলোর জন্য
এমন ডবল-বান্দইরা লেখা আর কোত্থাও পড়ি নাই, পড়ার সম্ভাবনা আছে বইলাও মনে লয় না।
তোমার সেই তেত্রিশ বানর এবং আসুন নিজে করি সিরিজ, পীরবাবার ছাগল-হনুমান-সিংহর গপ্পো, হিমুর দোষী গরুর গল্প, লীনেন-এর মহাভারত-এর গল্প আর হেলাল চোরার গল্প, অণুর জীবনানন্দ সিরিজ, সাক্ষীর কোয়ান্টামের গল্পগুলো - এগুলো যে কতবার পড়েছি, লোকজনকে পড়ে শুনিয়েছি! এইটাও ঢুকল গিয়ে সেই দলে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
হে হে হে হে
দুনিয়াজোড়া চৌধুরীসাহেবদের পর্যবেক্ষণ করে যা বুঝতে পারলামঃ
১, চৌধুরী সাহেবরা পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় মাথাওয়ালা প্রাণী
২, চোধুরী সাহেবরা ছাড়া পৃথিবীতে আর কেউ Homo sapiens না
৩, চৌধুরী সাহেবদের দেখলে সারা দুনিয়ার লোক সালাম দেয়-জুতা পালিশ করে দেয়-বাতকর্ম সম্পাদনের পর পরিষ্কারও করে দেয়
৪, চৌধুরী সাহেবরা পৃথিবীতে যাকে চান তাকেই পাওয়ার জন্য অত্যধিক যোগ্যতাসম্পন্ন... তাদেরকে দেখামাত্র ক্যাটরিনা কাইফ-মণিকা বেলুচ্চি-স্কারলেট জোহানসনরা সবকিছু ভুলে জামাকাপড় খুলে ফেলে উনাদের ক্রীতদাসী হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান
৫, চৌধুরী সাহেবরা দুনিয়ার সবচেয়ে সুদর্শন প্রজাতি... সবাই তাদের সামনে কুৎসিত কদাকার...
৬, চৌধুরী সাহবদের দেখামাত্র সকল শ্রেণীর সকল পেশার সকল জাতির এবং সকল বয়সের মানুষ কামকাতর হয়ে পড়েন... হর্নি...
৭, চৌধুরী সাহেবদের দেখামাত্র সারা পৃথিবীর সকল বিজ্ঞানী-প্রফেসর পদধূলি নেয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়েন...
৮, চৌধুরী সাহেবদের বড় করার সব খরচ গায়েবী উপায়ে আসে, উহা নিয়ে প্রশ্ন করা কবীরা গুণাহ...
৯, উনারা আরবের খোর্মা খাজুর... উনাদের স্পর্শ করলেই স্বর্গপ্রাপ্তি নিশ্চিত
১০, উনারা চাইলে সূর্য পশ্চিম দিকে ওঠে, উনাদের কথামত সবকিছু চলে... উনাদের পারমিশন নিয়ে দেশের লোক ভাত খায়, বাথরুমে যায়, রমণ করে... উনারা সর্বজ্ঞাতা-সর্বজ্ঞানী-সর্বসক্ষম... উনারা চাইলে যা ইচ্ছা তা করতে পারেন
১১, উনারা দুনিয়াতে একমাত্র সৎ প্রজাতি... উনারা সততার সংজ্ঞাসহ উদাহরণ... উনারা সকল গুণাবলীর এবসলিউট কনস্ট্যান্ট ভ্যালু...উনাদের মাথার উপ্রে উজ্জল আলোকমালা উনাদের পরিচয় দান করে সবসময়...
১২,উনাদের দিকে পৃথিবীর কেউ আঙুল তুলতে পারবে না... কারণ উনারা সবাত্তে সবকিছু বেশি বুঝেন
১৩, উনাদের সোনার সাইজ আধা মিলিমিটার...ঐটা নিয়ে উনারা সারাক্ষণ কমপ্লেক্সিটিতে ভুগেন... সবাইকে সারাক্ষণ লাগায়ে বুঝায়ে দিতে চান উনারা চৌধুরী সাব... সোনার সাইজ ম্যাটার না...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
বিশাল থিসিস দেখি :/
- সাকিন
কাদের কথা বলেন, কিছু বুঝিনাতো
অমানুষিক!!!
আমি বুয়েটে চান্স পাই নাই, তাই বুঝতে পারলাম না কিছু।
আহারে
=))
"পড়াতে গিয়ে দেখি ছাত্রী উঠতে বসতে আক্ষিওসে গোলি মারে। মাঝে মাঝেই ছাত্রীর কোমল পা এসে আমার লোমশ পা স্পর্শ করে। করে শিহরিত হয়। একটু পর পর অনাবশ্যকভাবে ঝুঁকে বিপদজনক পরিমাণে আমার কাছে এসে বলে, ও আল্লাহ, আপনি বুয়েটে পড়েন। ভাবতেই আমার গায়ের সব রোম দাড়িয়ে যায়।"
পচানির লেভেল !! ইনফিনিটি
আপনে ক্যামনে পারেন :'(
- সাকিন উল আলম
বানায়ে তো লেখি নাই। বুয়েট শুনলে সব ছাত্রীরাই তো এমন করে। আপনার সাথে করে নাই? আহারে ! নিজের পরিচয় দিছিলেন ঠিকমতো ??
ঘটনাটা কি?
আমারও একই প্রশ্ন।
হাহাহাহা!!! জোস জোশ!!!
খিকয!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
"কলিযুগ" নামে নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর একখানা কাফেরি কিতাব পাঠ করছি। সেখানে লেখা আছে, পৌরাণিক যুগে নিজের ঢোল নিজে বাজানোকে পণ্ডিতরা খুবই খাটো করে দেখতেন। একে তারা তুলনা দিয়েছেন আবার স্ত্রীজাতিকে খাটো করে। স্বমহিমাকীর্তনকে এক পৌরাণিক যুগের কবি তুলনা দিয়েছেন কামিনী নারীর নিজের স্তন নিজে মর্দন করার সঙ্গে, যথৈব চ কুলস্ত্রীণাং স্বয়ং স্বকুচমর্দনে।
আমি এখন একটু একটু বুঝতে পারছি, জলিল ভাইয়ের এই অবস্থা কেন। আপনার গল্পের চরিত্রের জেনেরিক নাম দেওয়া যায় পলাশীজলিল।
যথৈব চ কুলস্ত্রীণাং স্বয়ং স্বকুচমর্দনে ...
এইটা আমার পড়া থাকলে লেখার নাম স্বলেহন না দিয়ে নির্ঘাত স্বকুচমর্দন অথবা পলাশীজলিল দিতাম।
জটিল কমেন্ট
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
পলাশীর প্রান্তরে হাহাকার পইড়া যাইব। ধ্বংস কইরা দিলেন। আপনে ভচ্
পাশবিক !! নিশ্চয়ই আপনি বুয়েট পাশ, নাইলে এরাম লিক্তে পারতেন্না !!
বুয়েটানুভূতিতে আঘাত দিছেন, আপনি তো মুরতাদ হয়ে গেলেন!
Big Brother is watching you.
Goodreads shelf
দশে একশো। দরকার ছিলো এইটার। যা শুরু হৈছে গন্ধে টিকা যাইতেছে না কোন কোন সময়
আপনে ভাই পুরাই গজব, কেমনে পারেন??
-নিহাদ
প্রতিদিন শসা খাই , শসা আর খিরাই আমার শক্তির উৎস
শক্তি দই বাদ পড়ে গেল নাকি !?
-নিহাদ
বুটানুভুতিতে টোকা দিয়া তো ছিড়াই ফেললেন...
আরে নাহ , কি যে বলেন
আপ্নে বস্লুক
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
লেখা যথারীতি মজারু হয়েছে।
আচ্ছা, স্বলেহনে কি স্বমেহন অপেক্ষা অধিক মজা লাভ করা যায়?
আমি ক্যামনে কই?
ভাইরে ভাই, কি লিখছেন এইডা।হাসতে হাসতে কলিজাইয় জন্ডিস হয়া গেল।
চৌধুরী সাহেবের শসা নিয়ে ফাইজলামি?! ২৪ তারিখ আসুক - এরপর মন্তব্য করব
স্যাটায়ারে বুয়েটের সিস্টেমকে নিয়ে তামাশা করলে সেটা একটা বাহবা পাওয়ার মত ব্যাপার হতো। আপনি তো বুয়েটের আবাল বৃদ্ধ বণিতা সব ছাত্ররেই হাসির খোরাক বানায় দিচ্ছেন। ফেসবুকে বুয়েট অ্যালামনাইদের সাথে ঝামেলা হলে তাদের কথা বলেন। এইভাবে বুয়েটিয়ানদের নিয়ে গ্রোস জাজমেন্ট করাটা আমার ভাল্লাগে নাই। জাজমেন্টও তো না, এইটা বিদ্বেষমূলক তামাশা।
আপনার সেন্স অফ হিউমার যে লেভেলে, বুয়েটের সিস্টেম নিয়ে বেটার স্যাটায়ার লিখতে পারতেন।
প্রসঙ্গত, বাইরের ফোরামে মজা নেওয়া নিয়ে আমার কোন আপত্তি নাই। নিজের প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা যে ওপেনলি করতে পারেনা, তারতো অন্যের প্রতিষ্ঠান নিয়ে মুখ খোলাও সাজে না।
গায়ে পড়ে বিদ্রুপ করে প্রথমবারের মত আপনি হতাশ করলেন। একেক মানুষ একেকরকম, একেক বুয়েটিয়ানও একেকরকম। আপনিই প্রথম না, যার বুয়েট নিয়ে অভিযোগ আছে। ভালো থাকবেন।
কি লেখার কি সমালোচনা! আজব ব্যাপার!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
@লেখা জোকা পোকা, যে কোন সাধারন বুদ্ধি সম্পন্ন পাঠকও বুঝবে, এটা স্বলেহনী স্বভাব সম্পন্ন মানিক নামক এক উন্নাসীক ছাগলের গল্প, ঘটনাক্রমে যে বুয়েটে চান্স পেয়েছে। বুয়েট ছাড়াও এরকম আত্মাভিমানী মানুষ সমাজের সর্বস্তরেই আছে এবং স্বভাবতই মানিক তাদের সকলেরই প্রতিনিধিত্ব করে । আপনি কেন বিষয়টা আপনার ঘাড়ে নিয়ে নিলেন এবং সকল বুয়েটিয়ানের ঘাড়েও গছানোর অপচেষ্টা করলেন বুঝলাম না।
আপনি এই লেখা থেকে ঠিক কিভাবে ধরতে পারলেন যে উনার বুয়েট আলামনাইদের সাথে ঝামেলা হয়েছে? অন্তত কিছু বুয়েটিয়ানের মনোভাব যে এইরকম তা কিন্তু জাস্টিফাই হয় বুয়েটিয় ফান গ্রুপের কিছু কিছু পোস্ট আর তাতে লাইক এর সংখ্যা দেখে। তারজন্য বিদ্বেষমূলক তামাশা লেখা লাগে না
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
বৃদ্ধ বণিতা না শুধু আবালদের বানাচ্ছি
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আপনার লেখা স্বার্থক ভাই!! !
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আপনের কতা পইড়া তো এই গল্পের নায়কের লগে আপনের বিরাট মিল পাইতাসি..........
হাসলাম আর ভাবলাম
মানুষ হওয়া আসলেই কঠিন একটা কাজ।
"মানুষ হওয়া আসলেই কঠিন একটা কাজ।"
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
হ
ক্যাডেট হওয়া সোজা
নটরডেমিয়ান হওয়া সোজা
বুয়েটিয়ান হওয়া সোজা
খালি মানুষ হওয়াটা এট্টু কঠিন
হৈসে নি কারবার!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ভাগ্যিস বুয়েটে পরীক্ষা দেইনাই
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
দিয়া চান্স পান নাই এইটা বলেন না কেন, ঝেড়ে কাশেন
নাহ, আসলেই দেইনাই... ওইদিন উর্দিবাহিনীতে ঢোকার আগের নেংটু-চেকাপের ডেট পড়ছিল... আসলেই ঝেড়ে কাশাকাশি নিয়ে ব্যাস্ত ছিলাম পরের দিন দিল খেদাইয়া... আমার পায়ের হাড্ডি নাকি ত্যাড়া... বাইচা গেলাম ২ জায়গা থেকাই...
তয়, দিনকাল যা আইতেছে... বুয়েটের ফর্ম তুলছিলাম কইলেও না আবার শসা লইয়া টানাটানি পড়ে...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আর কিছুই দেখি বাদ দিবেন না। বিশেষ অনুভূতিওয়ালারা আবার কখন অনুভূতিতে আঘাত পায় ( ইতিমধ্যে একজনকে দেখছি আঘাত প্রাপ্ত) বলা যায় না, তাই সাক্ষী সত্যানন্দ ভাইয়ের মতো অনুভূতির ধারক বাহকদের জন্যে একটা কোটেশান দিয়ে দিয়েন ।
মাসুদ সজীব
আমি আবার কি করলাম ??
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আমিই বা কি করলাম??
অনেক হাসলাম। লেখাটা আপনি হাসাতেই লিখেছেন, যদিও খোঁচাটুকু জায়গা-মত দিয়ে দিয়েছেন। হলুদ রংয়ের সিং অলা ছাগলদের উন্মোচনই আপনার মূল লক্ষ্য, কিন্তু তা করতে গিয়ে যে মজার গল্প ফাঁদলেন তা পাঠকরা কিন্তু তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছেন। আপনার সংলাপগুলো দেখতে হয় সাদামাঠা, কিন্তু ভেতরটা থাকে রসে টুইটুম্বর! যেমনঃ
।
এমনি আরো অনেক। কপি করা সম্ভব হলে আরও উদ্ধৃতি দেয়া যেত।
তবে ছাত্রীর হুলুস্থুল সুন্দরী মায়ের উপাখ্যান কিঞ্চিত স্থূল লেগেছে, চরম উদাসদা! মনে হয়, এটি ছাড়াও বেশ চলে যেত পারত এই রম্যপর্বটি!
স্থূল লাগার জন্যই স্থূল অংশ ছিল ... একেবারে জীবন থেকে নেয়া (আমার জীবন থেকে না কিন্তু)
ভাইরে, বুয়েটে চান্স পেলেন, সুন্দরী ছাত্রী পেলেন পড়ানোর জন্য, দুইজনে মিলে চিড়িয়াখানাতে গেলেন, আর সিংহের অন্ডকোষও দেখে আসলেন। এ জন্যই দেশে একটা কথা চালু আছে 'বুয়েটিয়ানরা কিছু দেখলে সেটার ভিতর পর্যন্ত দেখে ছাড়ে'
desh_bondhu
হে হে হে হে
বিসিএস এডমিন কেউ নাই? এইটাও চরম জিনিষ।।।।।।।।
লিখে ফেলেন বিসিএস নিয়ে ... আমার অভিজ্ঞতা নাই ওই দিকে
২ রকমই আছে... আমার পরিচিত এক জন আছেন... ... ফকিররে ভিক্ষা দেওনের সময়েও কয়ঃ "বাবাজী, আমি কিন্তুক বিসিএস ক্যাডার, দোয়া দুই লাইন বেশি কইরেন" (তয়, ভাগ্যিস সবাই এমুন না)
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হাসেন কিল্লাই মিয়া... চেনাজানা ফকির পড়লে আমিই লজ্জা পাইয়া যাই
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সাধু সাধু
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
সন্ন্যাসী সন্ন্যাসী
সেইরাম বস---!!!
হেহেহে। চরম উদাস দাও দেখি বুয়েটের। আমি আগেই সন্দেহ করছিলাম। বুয়েটিয়ান ছাড়া এত ভাল লেখা আর কে লিখতে পারে?
তাও তো কথা
আমি নিজেও বুয়েট থেকে পাস করছি। কিন্তু এরকম ভাব নেয়া জিনিসগুলাকে ঘৃণা করি। আমি বুয়েটে পড়ার সময় টিউশনি করাই নাই। মাঝে মাঝে পার্ট টাইম প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করতাম সেটা থেকে আমার খরচ আসত। বর্তমান বুয়েটের অবস্থা খারাপ। সিংহ স্বলেহন করে ছাগল হবার রুপক ব্যাপারটা ভাল লেগেছে। কিন্তু বুয়েটিয়ানদের ভাব ধরার কোন কারণ দেখি না। কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে তারা দেশের সবচেয়ে মেধাবী। কোন কামও করবে না ভাবও ধরে থাকবে ব্যাপারটা তাদের ছাগলেই পরিণত করবে।
সরকারের প্রতি বুয়েটানুনুভূতি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ণ এবং যত দ্রুত সম্ভব এই লেখা বাজেয়াপ্ত করে চরম উদাস নামক মুরতাদ বুয়েটিয়ানকে গ্রেপ্তারের দাবী জানাই।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বুয়েটের একজন সাবেক ছাত্রী মারা গেছে, এই খবর শেয়ারেও ২১টা লাইক!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
কী মর্মান্তিক পচানি
বুয়েট এর কেউ এখন আপনাকে কতল করলে, দায়ভার কে নিবে?
লাইফ ইনস্যুরেন্স এর নমিনি ভাবী তো?
আই কি কইচ্চি ?
ভাই চরম আমারে মোজামমেল বলছে আপনে বলে বুয়েটেই টিকেন নাই?
লেখা সেইরাম হইছে বস,আপনার লাইগা এইবার উটের গোস রাকবাম।
মোজ্জামেলরে বারবার বললাম সিক্রেট ফাঁস করিস না ... শালা বন্ধু নামের কলঙ্ক
হাসতে হাসতে চক্ষে পানি আইসা পড়লে ভাই!
এইগুলা লেখেন কেম্নে? কেম্নে পারেন ভাই? হাসতে হাসতে কয়েকবার পড়েই গেছিলাম চেয়ার থাইকা।
যারা 'রম্য' লেখার সামর্থ রাখে তাদের সংখ্যা সারা দুনিয়ায়ই হাতে গুণা, এদেরকে বিশেষভাবে লালন-পালন করা হোক
আপনার লেহায় হালকা শ্রীহট্টের ছোয়া পাওয়া যায়, কাহিনী কি?
শ্রীহট্টের লোকই তো আমি
বুয়েটের ছাত্রের লেখা এত ছোট কেন?
সিজিপিএ কম ছিল তো, এইজন্য ছুড
চরম উদাস ভাই কোটেশান দিতে বললাম কারন এখন দেশে অনুভূতিওয়ালা পাবলিক গনহারে বাড়ছে। একটু এদিক সেদিক হলেই অনুভূতি তাদের আহত হচ্ছে। অনুভূতিগুলোকে আঘাতহীন ভাবে বাঁচিয়ে রাখতে আবার কত ধারা উপধারা সৃষ্টি করা হচ্ছে। বাংলাদেশে রাস্তায় চলতে গেলে একটু পর পর যেমন লেখা থাকে সামনে দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা তেমনি বলছিলাম প্রথমেই সাক্ষী সত্যানন্দ ভাইয়ের মতো কোটেশান দিয়ে দিলে অনুভূতিওয়ালাদের অনুভূতি আর দুর্ঘটায় (ব্লগে এসে) আহত হতো না আর কি, আর হলেও নিজ দায়িত্বে হতো । অনুভূতির জয় হোক
মাসুদ সজীব
আসেন ভাই , বুকে আসেন
আপনি তো বাংলাদেশের ধর্মানুভূতির পর সবচেয়ে ছেঞ্ছেতিব অনুভূতি বুয়েটানুভূতিতে আঘাত করেছেন।
একজন এসে তো বিশাল এক জ্ঞানগর্ভ মন্তব্য করে গেল।
হ, ভুয় পাইছি
কি বলবোরে ভাই! এতো ফাটাইয়া দিলেন। আপনি অবশ্য বরাবরই ফাটান!
-এস এম নিয়াজ মাওলা
নিজেই ফেটে গেছি এবার
ভাই বুয়েটে পরীক্ষা দিতে পারি নাই বলে আমার নাম নিয়ে এই রকম মশকরা! দাঁড়ান দেখতেছি, নামানুভুতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য আপনার মত বুয়েস্তিককে আইসিটি আইনের ফাঁড়া বাঁশের চিপায় ফেলানো যায় কি না!
শুধু বুয়েটিয়ান হলেই হপে? হলে থাকতে দেখতাম, সিএসই, ইইই এর কিছু মকর কি হলে আর কি ক্যাম্পাসে, নাক আকাশে তুলে চলাফেরা করত। বুয়েটিয়ানদের মধ্যেও যে জাতিভেদ, বর্ণভেদ, রাশিভেদ, নানান রকমের ভেদাভেদ আছে সেটা আমলে নিতে হপে না? নাইলে হপে? হায়ারার্কি না দেখে খালি ইয়ার্কি করলে হপে?
জসসসসসস হইছে উদাস দা। ভালো থাকুন সবসময়।
অমি_বন্যা
আপনার লেখা তো আমার বরাবরই ভালো লাগে। মন্তব্যে ভালো লাগা জানিয়েও যাই। কিন্তু এই লেখাটার বিষয়ে কিছু বলবো না, ফেইসবুকে শেয়ারও দিবো না। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা (অনেকের ভাষায় পয়সা দিয়ে কেনা সার্টিফিকেট) তো তাই বুয়েটের বন্ধুরা/পরিচিত জনেরা আমার মন্তব্য কে `চামচিকার লাথি` ভাবতে পারে!
কোনো শব্দ নাই, জাস্ট দুর্ধর্ষ
ডাকঘর | ছবিঘর
যেই একটা লেখা দিছেন, ঢোল টোল তো সব ফাডাইয়ালছেন। তারা এখন কী বাজাইবো?
হ্যাটস অফ উদাসদা।
এহ্হে… আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুমহলে আমি আর আরেকজন বাদে সবকটাই এক্স-বুয়েটিয়ান। ভাবতেছি এদের সব্বাইকে আপনার লেখার লিঙ্ক পাঠায়া একটু ক্ষেপাই। বুদ্ধিটা কেমন বলেন দেখি?
****************************************
ইয়ে, মানে এটা কিন্তু সব এক্স-বুয়েটিয়ানদের জন্য লেখা না - মকর বা অজ গোত্রের বুয়েটিয়ান/এক্স-বুয়েটিয়ানদের নিয়ে লেখা। আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধুমহলের সবাই কি তাই?
____________________________
সেটা তো বলতে পারতেছি না!! তবে এই লেখাটার গায়ে যেমন "এটা মকর বা অজ গোত্রের বুয়েটিয়ান/এক্স-বুয়েটিয়ানদের নিয়ে লেখা" - জাতীয় কোন ডিসক্লেইমার দেখতেছি না, তেমনি আমার বন্ধুদের গায়েও "আমি মকর বা অজ না!" - জাতীয় কোন ডিস্ক্লেইমার লেখা দেহি নাই।
****************************************
ঐ জিনিস গায়ে লেখা থাকে না। তবে লেখা থাকলে মনে হয় ভালোই হতো!!! কিংবা একটা ল্যাজ গজাইলে।
____________________________
হেহেহে........ আমার চোক্ষে খালি উদ্ভাসের সেই ভাই গুলার খোমা ভাসতাছে যাদের ভাবসাব
"আমি বুয়েটে পড়ি তুমরা কুন গোবরেত্তে উইট্টা আইছ শুনি?"
হ, আমাগো তারেক অনুও কিন্তু বুয়েটে ছাঞ্ছ পায় নাই। খুউউব খিয়াল কইরা ভাই, খুউউব খিয়াল কইরা।
বরাবরের মতই চরম উদাসীয় লেখা।
খুব ভালো।
আমাদের চারপাশে এখন এমন ছাগলের ছড়াছড়ি বেশী, যারা নিজের ঢোল নিজে পিটিয়ে আত্মতৃপ্তি পেয়ে থাকে।
ছাগলের দল সেটা বুঝতেও পারেনা। (আমিও হয়তো অমনই)।
ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা জানবেন।
---------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
এভাবে না দিলেও পারতেন!
বুয়েটিয়ান ফ্রেন্ডদের লিঙ্ক দিয়েছিলাম, সবাই বলে লেখাটা আগেই পড়া ছিল।
নতুন মন্তব্য করুন