- মেয়ে আমেরিকান
আম্মা শুনে চোখ কপালে তুলে বলে,
- সাদা চামড়া?
- নাহ
হাঁফ ছেড়ে বলে,
- তাহলে কি আমাদের দেশী? আমেরিকায় বড় হয়েছে?
আমি বলি,
- নাহ আফ্রিকান আমেরিকান।
আম্মা আবারও চোখ কপালে তুলেন। একটু হেঁচকি তুলে কান্নার ভঙ্গী করেন। কিন্তু কান্না আসে না। 'ও মতিনের বাপ, এদিকে আসো। আমি শেষ' বলে বিকট চিৎকার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু গলার আওয়াজ বেশিদূর যায়না। আব্বা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাটুকে গলায় বলেন,
- কি হলো আলেয়া? এই পরিবারের আকাশে আজ কেন দুর্যোগের ঘনঘটা?
আম্মার নাম মোটেও আলেয়া নয়। কলেজে থাকতে আব্বা নবাব সিরাজদ্দৌলা মঞ্চনাটকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে ব্যাপক সেলেব্রিটি হয়েছিলেন। আম্মার সাথে তার পরিচয়ও সেই সূত্রে। সেই থেকে মুড ভালো থাকলে নবাবী ডায়লগ মারেন, সাথে মাকে আলেয়া বলেও ডাকেন। কিন্তু আম্মার রক্তচক্ষু দেখে পিতা স্বর পাল্টে সিরিয়াস হয়ে গেলেন। আমার দিকে তাকিয়ে বলেন,
- আবার কি করলে মতিন?
আমি একটু উষ্ণ হয়ে বলি,
- আব্বা আপনাদের কতবার বলেছি আমার নাম এখানে মতিন না, এখানে সবাই আমাকে ম্যাট নামে চেনে।
আব্বা আমার কথা মাছি তাড়ানোর ভঙ্গিতে উড়িয়ে দেন।
আম্মা তারস্বরে চিৎকার করেন,
- তোমার পোলা কাউলা বিয়া করতে চায়।
আব্বা অবাক হয়ে বলেন,
- সেটাই তো স্বাভাবিক। তোমার ছেলের গায়ের রংও তো দুধে আলকাতরা। ফর্সা মেয়ে সে পাবে কোন যোগ্যতায়?
আম্মার আরও জোরে চিৎকার করে বলেন,
- আফ্রিকান কাউলা।
আব্বা বিড়বিড় করে বলেন,
- না না না, এ হতে পারেনা আলেয়া।
আমি পিতা মাতার এমন রেসিস্ট আর যুদ্ধংদেহী মনোভাবে মুষড়ে পড়ি। উভয়েই দেশ থেকে আমেরিকাতে এসেছেন তিন মাসের জন্য। এসেই বিয়ে বিয়ে করে আমার কান ঝালাপালা করে ফেলছেন। আমি তাই আমতা আমতা করে একসময় সত্যি কথাটা বলেই ফেললাম। বলেই পড়লাম বিপদে। পরবর্তী এক সপ্তাহ ঝড় বয়ে গেল।
আম্মা চিৎকার করে বলে, আমাকে দেশে দিয়ে আয়। আমি এই জীবন রাখতে চাইনা।
আব্বা কখনো বিড়বিড় করেন, না না এ হতে পারেনা। আবার কখনো ফিসফিস করেন, কে দেবে আশা কে দেবে ভরসা বলে।
আমি মিনমিন করে বলি,
- একবার তো মেয়েটাকে দেখেন।
ক্রিস্টিনা হাজির হল মিনিস্কার্ট পরে। পইপই করে বলেছিলাম, লম্বা লম্বা কাপড়চোপড় আসতে। কাঁচুমাচু হয়ে বলে, এইটাই নাকি তার ক্লজেটের সবচেয়ে সভ্য কাপড়। আম্মা মেয়েকে দেখে ডুকরে উঠেন,
- এ তো আসলেই দেখি আফ্রিকান! পাতিলের তলাও তো এত বেশী কালা না।
মনে হয় শেষ পর্যন্ত আশা ছিল আম্মার অন্য কিছু দেখবেন। ক্রিস্টিনা তার ঝকঝকে ৩২ দাঁত বের করে বলে,
-প্রুবলেম কি? আপনার পুলাও তো কালা।
আম্মা জ্ঞান হারানোর ভঙ্গী করেন। আমি ধরে চেয়ারে বসিয়ে দেই। মেয়ে যে ভালো বাংলা শিখেছে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটা আম্মাকে দিতে ভুলে গেছি। আব্বা চোখ গোলগোল করে বলেন,
- এই বস্তু দেখি আবার বাংলাও বলে। কি সর্বনাশ!
ক্রিস্টিনা আবারও তার ৩২ দাঁত বের করে বলে,
- বসথু না মামা, আমি বেকথি
আব্বাকে তার হতে পারে পুত্রবধূ মামা ডাকছে এই শোকে আব্বাও চেয়ারে বসে পড়েন ধপ করে। ভুল আমারই। দিনরাত বন্ধুবান্ধবের সাথে মামা মামা ডেকে গল্প করতাম, সেইখান থেকে ক্রিস্টিনাও মামা ডাক শিখেছে। কিছুদিন আগে হারুন ভাইয়ের রেস্টুরেন্টে গিয়ে, মামা চা চু দেন বলে হাঁক দেয়াতে হারুন ভাইয়েরও পিলে চমকে গিয়েছিল।
আম্মা আব্বা আস্তে আস্তে শোককে শক্তিতে পরিণত করে উঠে দাঁড়ালেন। একথা সেকথার পর ডিনারের সময় হল। আম্মা সারাদিন ধরে গজগজ করতে করতে একগাদা রান্নাবান্না করেছেন। মেয়ে চেয়ারের উপর দুই ঠ্যাঙ তুলে বসে টেবিলের দিকে তাকিয়ে বত্রিশ দাঁত বের করে দিয়ে বলে,
- এইডা পুডি মাছ। আমি পুডি মাছ ভালো পাই।
আব্বা আম্মার বড়বড় চোখের সামনেই নিমিষে ক্রিস্টিনা চার পাঁচটা মাছ সাবাড় করে দেয়। মাছের কাটাকুটার পরোয়া নেই। চিবিয়ে সব কাটা তুষ করে ফেলে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বলে,
- উত্তম হয়েছে।
মেয়ের সাথে কথা বলতে বলতে আম্মা আব্বা শোকে দুঃখে পাথর হয়ে যান আস্তে আস্তে। টিভিতে ব্রেকিং নিউজ দেখাচ্ছিল। কসাই কাদের এর ফাঁসি হয়েছে। ক্রিস্টিনা কসাই কাদের থেকে শুরু করে আমাদের দেশের সব হিষ্ট্রি ভালোই জানে। আমার বলার সময় হয়নি, নিজেই ঘেঁটেঘুঁটে পড়াশুনা করেছে। খবর দেখে উত্তেজনায় ডাইনিং টেবিলের উপর কিল মেরে বলে, ভালু হইছে। সুদির ভাই ঝুলে গেছে।
আম্মা আব্বা ক্রিস্টিনার ডায়লগ শুনে পাথর থেকে লোহা হয়ে যান।
আব্বা বিড়বিড় করেন, না না এ হতে পারে না।
আম্মা বিড়বিড় করেন, এ তো অসম্ভব ।
অতএব ক্রিস্টিনা আউট আর মার্দিয়া মুমতাজ ইন হলো। মার্দিয়া মুমতাজের ঘটনা বলি। মার্দিয়া মুমতাজ আম্মার পছন্দ করা পাত্রী। আমেরিকাতেই বড় হয়েছে কিন্তু সম্পূর্ণ দেশী কায়দায়। নামাজ কালাম পড়ে, পড়াশুনায় দুর্দান্ত, দেখতে ডানাকাটা সানি লিওন। প্রথম পরিচয়ে আম্মাকে দেখে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করেছে। তাতেই আম্মা অর্ধেক গলে গেছে। আব্বার সাথে খানিকক্ষণ বাংলার দুখী নবাব সিরাজদ্দৌলা নিয়ে গল্প করায় আব্বা পুরাই গলে গেছে। পরদিন সন্ধ্যায় আমাকে আব্বা আম্মা হিড়হিড় করে টানতে টানতে নিয়ে গেল মার্দিয়া মুমতাজের বাসায়, কথা পাকা করতে।
হবু শ্বশুর দরজা খুলে চিন্তিত গলায় বলেন, মেয়ে তো কাদের মোল্লার ফাঁসির পর নাওয়া খাওয়া ছেড়েছে।
ঘটনা গুরুতর। মেয়ে নাকি দিনরাত বুক চাপড়ায় আর গান গায় , মেলু মেলু মেলু মেলু, তাহাব্বাত ইয়া কাদেইরা মেলু। আমাদের সামনেই মেয়ের বর্তমান বাবা আমার হবু বাবা মেয়ের দুইগালে দুই চটকানা মেরে বলে, তোর প্রবলেমের সমস্যা কি?
জবাবে কেঁদে বলে,
- আনা তাহাব্বাতি কাদেইরা
হবু আব্বা হুঙ্কার দিয়ে বলেন,
- আল মতিনু খাইরুম মিনান কাদেইরা
আব্বা আমার কানে ফিসফিস করে অনুবাদ করে দেন, এর মানে কাদের হইতে মতিন উত্তম।
আমি উষ্ণ গলায় বলি, মতিন না ম্যাট।
মুমতাজ তারপরেও ডুকরে কেঁদে উর্দু, ইংরেজি আর আরবি মিলিয়ে হাউমাউ করে কি কি যেন বলে। আমি শুধু ফাঁকে ফোঁকরে extrajudicial killing, ইনসাফ, লানত এসব নানা শব্দ শুনতে পাই।
বাড়ি ফিরে আম্মা কি যেন চিন্তা করেন খানিক। তারপর বলে, বাদ দে। মুমতাজকে বিয়ে করতে হবে না।
আমি ভয়ে ভয়ে বলি, ক্রিস্টিনাকে কি কালকে আবার খবর দিব?
আম্মা বিরক্ত মুখে বলেন, খবর দে। আল ক্রিস্টিনা খাইরুম মিনান মুমতাজ।
...................................................................................................................................................................................
[লেখকের উপদেশ - এই লেখাখানি পড়তে হলে এই মেলুমেলু গানখানি শুনতে শুনতে পড়তে হবে। লিঙ্ক দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। যোগ করে দিলাম। ]
মন্তব্য
হাহাহাহাহাহাহা!
হুর মিয়া আপনে একটা জল্লাদ.
..................................................................
#Banshibir.
হাহাপগে।
উদাসদা আপ্নে আসলেই একটা অমানুষ।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আমি নিষ্পাপ
জীবিত বা মৃত কারো সাথে সম্পোক্ক নাই তো না?
হারুন ভাইয়ের দোকানে দেয়া হাঁক টা সিরাম
নাহ, কোন সম্পর্ক নাই।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ওরে!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
নারে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনে মিয়া মানুষ নাকি অন্য কিছু হাসতে হাসতে খাট থেকে পইড়া গেলাম
=সৌ রভ
বাঙালিরা আম্রিকা গেলে বোধহয় আরো বেশিকরে মুসলমান হয়ে যায়। আমার পরিচিত সবাইকে দেখি হিজাবের তলে নিজেকে ঢেকে ফেলেছে অথচ দেশে থাকতে হাতা কাটা ব্লাউজ আর প্যান্ট শার্ট পড়ে পাড়ার ছেলেদের আড্ডার প্রধান রসদ ছিলো তারা। তাদের এমন বিবর্তন দেখতে সুখ লাগে।
মাসুদ সজীব
আম্রিকার হাওয়া বড়ই ইয়ে
লেখার আগে এইসব দৃশ্য আপনে যখন চিন্তা করেন তখন কি আমাদের মত হো হো করে সশব্দে হেসে উঠেন? নাকি অফিসে বইসা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার ভান করে লিখে ফেলেন? ঝানতে মঞ্চায়..
হাসার সময় কই। ম্যাটলাব প্রোগ্রামের ফাঁকে ফাঁকে লেখা লিখি
আপ্নে পারেনও । আল চরুমো খাইরুম মিনান আদারুন হিউমারাসুন রাইটারুন। চরম ইস বেটার দ্যান আদার হিউমারাস রাইটার্স।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
আহারে, মা-বাবারা যদি এভাবে শেষপর্যন্ত লাইনে আসত।
হ
হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাইলাম। =))
এত ভালো লিখেন ক্যান? ^:)^
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
--
কচু পাতা
স্পেস বাদ পড়লে কত্তিপক্ষ দায়ী নহে
আমি প্রতিবার এই ভুল করি কেনু কেনু কেনু? অফিসে বসে আপনার লেখা পড়ে চাকরি যাবে যেকোনো দিন।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
আমি তো বসের সামনে বসেই লিখি মাঝে মাঝে
হেহহে আপ্নিতো পুরাই অন ফায়ার
জায়গামত পোস্টায় আসতেছি
---------------------
আমার ফ্লিকার
শব্দ পথিক
ক্রিস্টিনার বাড়ি কি সুদানে ছিল?
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
আবার জিগায়
মার দিয়া উদাস!
লেখা তো পুরাই পাঙ্খা, মামা।
হ, মামা
ভাই! ক্যামনে পারেন??
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
ভাসুর বউ এর নাম মুখে নিয়ে নিলেন এক্কেরে? নিলেনই যখন লিঙ্কায় দেন। ইতিহাস লিখবেন হিমু ভাইয়ের পোস্টে কথা দিছিলেন। লিঙ্কায় দিলেই এইটা ইতিহাস হয়ে যাবে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
কি যে বলেন, প্রতিটি চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত, মৃত, অর্ধমৃত, ব্রেন ডেড, জম্বি কারো সাথে মিলিয়া গেলে কত্তিপক্ষ দায়ী নহে।
আপ্নে একটা যা তা, এক্কেরে মাইরাইলদিসেন
তবে যারা জানেন না, তাদের জন্য লিঙ্কটা দিয়ে দিলে ভালইত। আমি দিতে চাইছিলাম, কিন্তু আপ্নে দেন নাই দেইখা আমিও দেই নাই
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
কিসের লিঙ্ক??
যেখানে সেখানে চরম উদাসের লেখা পড়লে সমূহ বিপদের সম্ভাবনা আছে, এমন কি চাকরি হারানো ও পাগল বলে সাভ্যস্ত হওয়ারও সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে.
নাম পাল্টে রাখেন চরম পাজী! একেকটা লিখা তো না আগুনের গুলা।
আমি কিন্তু এই না জানাদের দলে। লিংকটা দিলে বুঝতাম পাটকেল কেন এবং কার উদ্দেশ্যে
মেলু মেলু মেলু মেলু, তাহাব্বাত ইয়া কাদেইরা মেলু
আপনে একটা প্রতিভা!!
অট্টহাসি হেসেছি। বৌকে বললাম যদি কখনো আমার মন ভাল করা দরকার পরে সচলায়তনে এসে যেন তোমার লেখা খুঁজে বার করে আমায় পড়ে শোনায়। ধুঁকতে ধুঁকতেও আমি হেসে উঠব।
কিন্তু কি সব লিঙ্ক-এর কথা বলছে এরা! সেটা দাও! না হলে ত রসগ্রহণ পুরো হবে না!
কোন এক মহা অভিশপ্ত দিনে তোমার সাথে দেখা না হয়েই যদি এ দুনিয়া ছাড়তে হয়, সেটা একটা আফশোষ-এর-ই কথা হবে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
লিঙ্ক দেখলাম। পাটকেলের কারণ বুঝা গেল। পাটকেল জবরদস্ত হয়েছে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
উত্তম হইয়াছে, চৌদির ভ্রাতাটি ঝুলিয়াছে
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
গান্ধর্বী
মার্দিয়া মুমতাজ
এক নামেই তো ফাটিয়ে ফেলেছেন!!
ঘুম ভাঙার পর সচল খুলে বসেই হেঁচকি দিয়ে হাসছি। এখন পেটে বেতা করছে..
ভাই রে, আপনি জানেন কী অস্বাভাবিক টাইপের হিউমার নিয়ে আপনি পিথিমিতে এসেছেন?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অমানুষিক।
অলস সময়
ভালু হইসে সুদির ভাই
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
হ উদাসদা।
মার্দিয়া মুমতাজের ঘেডি ধরে যখন ঝাকি দিসেন, তখন লিংক সহই দেন।
আপনার সহপাঠীরা অবশ্য হাউমাউ করে কাদিয়ে ককিয়ে বলতে আসবে, আয় হায়, বুয়েটের মান ইজ্জত নিয়ে পাবলিক ফোরামে টানাটানি পড়ি গেলু।
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
পাষণ্ড
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ভাই করছেন কি ভাই করছেন কি
হা হা হা হা হা হা
হা হা হা , ভাই আপনি একটা নাহ কমুনা !
লেখার মত অবস্থায় নাই, - হাহাপগে।
শুধু এটুকু জানিয়ে রাখি - অফিসের ছাদ ফাটিয়ে হাসার জন্য বসের হাল্কাপাতলা ঝাড়ি খেলাম (একসাথে ধূম্রশলাকা সেবনের সময়ে)। পরে বসকে লিঙ্কটা পাঠালে দেখি সে ব্যাটা ল্যাপি নিয়ে কোয়ায়েট রূমে ঢুকছে! ব্যপক বিনোদন।
____________________________
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মার্দিয়া মুমতাজ!!
আচ্ছা! এইবার শানে নযুল বুঝতে পেরেছি।
পাটকেল উত্তম হইয়াছে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কালকে রাতেই পড়েছিলাম কিন্তু মোবাইল থেকে বাংলা লেখতে পারি না তাই কমেন্ট করতে দেরি হয়ে গেল, আপসুস । অসাধারন বললে কম বলা হয়, তাও বলি অসাধারন।
ইসরাত
ফাটিয়ে দিয়েছেন দাদা
চ্রম চ্রম
---ব্যঙাচি
ভাই, পেট ব্যথা করছে।
আমি ভাবি, কতগুলা কনে দেখে হাত পাকালে এইরকম কনেদেখা সিরিজ লেখা যায়?
এসো নিজে করি কীভাবে কনে দেখবেন হয়ে যাক একটা…
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
পাষবিক ধরনের দুর্দান্ত একটা লেখা
হা হা হা
দারুণ!!!
ওরে ওরে ওরে.......................মাইরালাইছে রে!
ক্রিস্টিনা হাজির হল মিনিস্কার্ট পরে - বুঝলাম। এরপর - মেয়ে চেয়ারের উপর দুই ঠ্যাঙ তুলে বসে - আমি তো সব ভুলে গেলাম গো।
ডিম পোচ।
মারাত্মক!
বাহ্!! আপনে দেখি ভালু হয়ে গেছেন- প্রতি পেইজেই আপনের লেখা!!!
সুবোধ অবোধ
উইথ মেলু খাইরুম মিনান উইদাউট মেলু
আবার বিয়া বইতাছেন নি, মিয়াঁ ভাই?
facebook
কি করবো কন? এত করে মামু (মাহবুব মুর্শেদ না ইয়ে মুমতাজ আরকি) রিকুয়েস্ট করলে না করি ক্যামনে??
পাট কম লন। সব কয়া দিমু কইলাম।
..................................................................
#Banshibir.
আপ্নে উল্টা কাজ করেন ক্যা? সচলে লেখেন হাসাহাসি গপসপ আর আড়িপাতায় করেন রাজনীতি? এমুন উল্টা কাজ করলে অয় নি?
বাই দ ওয়ে, দুর্ধর্ষ লাগলো বস
দারুন, দারুন, দারুন। অসাধারণ! আর কিছুই বলতে পারছি না চরম উদাস
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেলো তো।
ক্রিস্টিনা খাইরুম মিনান মুমতাজ
- উড়ো চিঠি
দুর্দান্ত লিখেছেন ভাই। হ্যাটস অফ।
মাইরালা মাইরালা। চরম উদাস খাইরুম মিনান মতিকন্ঠ।
ভাই, ক্যামনে পারেন এইসব??
পৈড়া হাসতেছিলাম।
আম্মায় আইসা জিগায় কী অইছে?
পড়ার পরে উনিও হাসতেছেন ননস্টপ!!
[ "চা চুদেন"-টা উনিও লক্ষ্য করেন নাই মনে হয়!!
কারণ, প্রথম ২বার আমার চোখেও পড়ে্নাই
সোহান হাসনাত
কী সর্বনাশ!
লা-জওয়াব।
ভালো থাকবেন চরম উদাস
অনেক শুভকামনা।
---------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
মায়ের পছন্দের কনের নাম টার সিলেকশন জটিল হইছে
আল ক্রিস্টিনা খাইরুম মিনান মুমতাজ।
হক কথা।
মন মেজাজ খারাপ থাকলে আপনার ব্লগ পড়ি। সবসময় যে মন ভালো হয়, তা কিন্তু না! খারাপও হয় মাঝে মাঝে।
আর এই খারাপ হবার মধ্যেও মজা আছে!
দারুন হৈসে বিশেষ করে ভিডিও টা তো অস্থির !!
ননস্টপ
চরম হইছে বস !
-মেধাহীন
ভালু হইছে। সুদির ভাই(রা) ঝুলে গেছে।
ভাল কথা, আম্রিকার আকাশে 'সাকাফিনা আহমেদ' নামক নূতন মারদিয়ার আগমন ঘটেছে। তার নেতাবিয়োগের বিলাপে আসমান-জমিন নড়ে ওঠার উপক্রম প্রায়। ফেসবুকে খুঁজে দেইখেন একটু চাইলে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অসাধারণ লেখনি.…
এই বাক্যের আরাবিক ভার্সন কি জানাবেন?
বিয়ের আগেই "ভালু হয়েছে..…..……
বিয়ের পরের আরো কিছু শুনার অপেক্ষা ..….…
এ্যানি মাসুদ
নতুন মন্তব্য করুন