মতিন মুখ কাঁচুমাচু করে বলে,
- ভাই মেয়েরা এমন কেন?
বদরুল ভাই চায়ে ডালপুরি চুবিয়ে খাচ্ছিলেন। মতিনের কথা শুনে উদাস হয়ে গেলেন। হয়তো কোন পূর্ব স্মৃতি মনে পড়লো। ডালপুরি চায়ের মধ্যে গলা ডুবিয়েই রইল। আমরা উৎকণ্ঠার সাথে এই গেল এই গেল ভাবতে ভাবতে অপেক্ষা করছিলাম কখন ডালপুরি গলে চায়ের ভেতর টুপুস করে খসে পড়ে। কিন্তু না, দেখা গেল ডালপুরিরা মোটেও বিস্কুটের মতো চরিত্রহীন না। চায়ে গলা ডুবিয়ে রেখে দিলেও দিব্যি ঝুলে থাকে, গলে পড়ে না।
জীবন পোদ্দার ঘুমঘুম চোখে তাকিয়ে বলে, বদরুল ভাই পুরি।
বদরুল ভাই অবশেষে পুরি উঠিয়ে অলস ভঙ্গিতে কামড় দিয়ে জিজ্ঞেস করেন,
- কেমন?
মতিন বলে যায়,
- উই যে সোনিয়ার মতো।
- সোনিয়া কে?
- পাত্রী, উই যে কালকে যার কথা বললাম।
বদরুল ভাই কিছু বলার আগে জীবন পোদ্দার আবার বলে, বদরুল ভাই পুরি। বদরুল ভাই বিরক্ত চোখে জীবনের দিকে তাকিয়ে এক কামড়ে বাকি পুরি শেষ করেন।
জীবন পোদ্দার এবার ঝাড়া দিয়ে ঘুম তাড়িয়ে খানিকটা জোর গলাতেই বলে, বদরুল ভাই পুরি।
বদরুল ভাই এবার বিরক্ত হয়ে বলেন,
ধুর বাল, তখন থাইকা খালি পুরি পুরি করতেসস। পুরি তো শেষ।
জীবন, এবার চোখের ইশারা দিয়ে আমাদের দুই টেবিল পেছনে ইঙ্গিত করে আবার বলে, বদরুল ভাই পুরি।
আমাদের এবার খেয়াল হয় জীবন ব্যাটা সিলেটী। দেখি আমাদের পেছনের টেবিলে দুই তরুণী এসে বসেছে।
মতিন উল্টা ঘুরে বসেছিল। ঘাড় ফিরিয়ে পিছনের টেবিলের দিকে তাকিয়ে চোয়াল ঝুলে পড়ল। বিড়বিড় করে জালালি খতম পড়তে লাগলো। কোনমতে সামলে নিয়ে ফিসফিস করে আমাদের বলে,
- সোনিয়া। সাথে তার বড় বোন তানিয়া।
বদরুল ভাই বিরক্ত গলায় বলেন,
- এইখানে কি করতে আসছে?
- মনে হয় আমাকে দেখতে আসছে। আমার খুবই ভয় লাগতেছে বদরুল ভাই। আমারে এট্টু সাহস দেন।
- তোরে দেখতে আসছে মানে?
- মাস খানেক ধরে বিয়ের কথা চলতেছে বদরুল ভাই। মেয়ের ছবি দেখছি আগে, লাইভ দেখলাম এই প্রথম। আমার কেমন জানি লাগে বদরুল ভাই।
রনি ফিচেল হাসি দিয়ে ফিসফিস করে বলে,
- ওই মতিন আজকে তোরে খাইছি রে।
তারপর একটু উঁচু গলাতেই বলে,
- মতিন প্যান্টের চেইন লাগা।
মতিন আড়চোখে প্যান্টের চেইনের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে ফিসফিস করে,
- রনি, আল্লার দোহাই লাগে। আজকের দিনে গ্যাঞ্জাম করিস না। তুই কি কি খাবি খা, সব বিল আমার। খালি মুখ বন্ধ রাখ।
রনি 'হারুন ভাই বিশটা পুরি লাগান' বলে ফিচেল হাসি হাসে। হারুন ভাই সিলেটী না বলে গম্ভীর মুখে বিশটা ডালপুরি এনেই রনির পাতে ফেলে। রনি পুরি চাবায়।
মতিন আর বদরুল ভাইকে নিয়ে আমরা পিছনের টেবিলে সোনিয়া আর তানিয়ার সাথে যোগ দেই। পাত্র দেখতে মানুষ চাইনিজ মাইনিজে যায়, পুরির দোকানে পাত্র দেখা মনে হয় এই প্রথম।
মেয়ের মোবাইল আসক্তি আছে। গভীর মনোযোগে মোবাইলে তাকিয়ে শুধু খুটুরমুটুর করে ব্রাউজ করে।
মেয়ের বড়বোন বলে,
- ছেলে কি গান জানে?
বদরুল ভাই সার্টিফিকেট দেন,
- গান জানে তবে গাইতে পারেনা। হামদ নাতে মারাত্মক, দেশাত্মবোধক অল্প।
পাত্রী এবার মোবাইল থেকে চোখ তুলে মতিনকে দেখে। আড়চোখে না একেবারে সোজা চোখে। পা থেকে মাথা পর্যন্ত মেপে নেয়। তারপর বিরক্ত গলায় বোনকে বলে,
- আপি, তুই না বললি ছেলে দেখতে আফ্রিদির মতো? এটা কি আফ্রিদির মতো দেখতে হল?
বদরুল ভাই গলা খাঁকারি দিয়ে বলেন,
- এতদিন দেখতে আফ্রিদির মতোই ছিল, আইজ পুরি চাইর পাঁচটা বেশী খাইছে বলে ইনজামাম এর মতো দেখা যাইতেছে আরকি।
সোনিয়া আবার তার মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
তানিয়া মতিনকে জেরা করে যায়, ছেলে নামাজ কালাম পড়ে কিনা, সিজিপিএ কত, আদবকায়দা কেমন ইত্যাদি ইত্যাদি। মতিন লাজুক মুখে উত্তর দেয়, বদরুল ভাই সাপোর্ট দেয়।
সোনিয়া মাঝে একবার চোখ তুলে আবার বিরক্তি প্রকাশ করে,
- আপি, ভাইয়া না বলল ছেলের হাইট ইমরান খানের মতো?
বদরুল ভাই ডিফেন্ড করার চেষ্টা করে,
- গরম কালে পুরা ইমরান খান, শীতকালে একটু শ্রিঙ্ক কইরা মঈন খান আরকি।
সোনিয়া আচমকা তার মোবাইলে দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে উঠে, না, মানিনা। বড়বোনও ফোনের দিকে তাকিয়ে বোনের গলা জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে, এটা কি হলরে সোনিয়া।
আমরা হকচকিয়ে যাই।
জীবন পোদ্দার বিড়বিড় করে বলে, মনে হয় পরিবারের কেউ মরে গেছে। এসএমএস আসছে।
বদরুল ভাই বিরক্ত গলায় উত্তর দেন,
- জীবনে কখনো দেখছস এসএমএস করে মৃত্যু সংবাদ দিতে?
তানিয়া আবার চিৎকার করে,
- এ হতে পারে না
সোনিয়া পো ধরে,
- আমি বিশ্বাস করি না
মতিন ফ্যাসফ্যাসে গলায় অদ্ভুত উচ্চারণে ইংরেজি বলে,
- হাউ মে আই হেল্প য়ু ?
দুই বোন কিছু না বলে হাতের মোবাইল ফেলে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফোঁপায়। রনি আলতো করে মোবাইলটা তুলে নেয়।
জীবন পোদ্দার জিজ্ঞেস করে,
- কি লিখা রে মোবাইলে? ফাদার ইল, কাম শার্প?
- নাহ, এ তো দেখি ক্রিকইনফো খোলা। পাকিস্তানের খেলা না আজকে, শ্রীলঙ্কার লগে।
সোনিয়া কাঁদো কাঁদো গলায় বলে, পাকিস্তান হেরে গেছে।
বদরুল ভাই দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, আমরাও হাইরা গেছি।
মন্তব্য
আপ্নে পুঁজিবাদী হয়া গেছেন। এট্টুনি এট্টা গল্প দিছেন। আগে বেশ ভালো করে কষিয়ে গল্প লিখতেন। এতো একবারে ওভেনে রান্নার মত হয়ে গেল। আমরা কি এই চরম উদাস চেয়েছিলাম?
--- ইমরান ওয়াহিদ
লুকজনের এক্সপেকটেশন লেভেল ইনফিনিটি হওয়া গেছে। আমি তো সবসময় এরকম গুড়া সাইজের গল্পই লিখি।
আপনে বস
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কোহিনূর পাইছুইন?
এই পোস্টপেইড সিস্টেমে লেখালেখির সিস্টেমটা খারাপ না, ভালোই। চালিয়ে যান, ভাই।
সোনিয়ারে কইষ্যা ঢিষ্টিং ঢিষ্টিং। ছবিটা দেখেছিলেন ঐ মেয়েটার যে পাকিস্তানের জার্সি পড়ে খেলা দেখতে এসেছিলো? দিস ইজ হোপলেস।
- ফরহাদ হোসেন মাসুম
হ, ভাবতেছি পোস্টপেইড লেখালেখির আইডিয়াটা প্যাটেন্ট করে ফালামু
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ব্লগে টেকাটুকা নাই দেখে এই এট্টুখানি লেখা? পুরি চায়ে ভিজলোনা, তার আগেই শেষ!
আরে, আমার সব গল্পই তো এরাম সাইজের।
তবে আইডিয়া মন্দ না, ছোট সাইজের গল্প ছাড়বো, পাবলিককে বলবো টেকা দেন গল্প লম্বা হবে। পাবলিকে যত টেকা ঢালবে উত্তেজনায় গল্প ততই লম্বা হবে।
ইয়ে মানে আপনি কি গল্পের কথা বলছেন? আমার আবার মনে পাপ।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
লাইনে আসুন-২ এর উদ্বোধনী গপ্পো?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আবার লাইনে আসুন
আপনি কিভাবে যে এমন সব লেখা লেখেন!
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
চরম গরম
নেইকো শরম
চরমভাই ইজ দ্য কিং
কিছুদিন আগে নান্দনিকে গিয়েছিলাম লাইনে আসুন বইটি কিনতে। গিয়ে শুনি বই শেষ।নান্দনিককে বলবেন লাইনে আসতে।আর আপনি নিজেও লাইনে আসুন।গল্প যেখান থেকে শুরু হবার কথা সেখানেই শেষ করে দিলেন যদিও শেষটা চরম হয়েছে।পুরীর কনসেপ্টটাও বেশ লিখেছেন।
-সাদরিল
মাগনা পাওয়া গল্পেরও ভুল ধরে, আমরা কি এমন পাঠক সমাজ চেয়েছিলাম। যাই লিখব লোকে পড়ে বলবে - আরে ভাই ফাডায়ালাইছেন, মরে গেলুম, অসাধারণ, কি গল্প মাইরি। সেটা না করে একটু ফাঁকি মারলেই পাবলিকে ধরে ফেলে
হিমু ভাই এমন এক ঝাকানাকা লেখলেন যেখানে যে ব্যাক্তি টোজ বিস্কুট খায়না সেও বই শেষে টোজের প্রেমে পড়বে। যেমন আমি বোধহয় ৫-৬ বছর পর নিজ আগ্রহ থেকে আজ টোজ বিস্কুট খেলাম
আপনি এসে পুরীর গল্প করছেন, পুরী আমি প্রায়ই খাই( দুষ্টু লোকেরা অন্য কিছু ভাববেন না)। প্রিয় খাদ্যের তালিকায় এটি আছেই। গল্পটাতে আরেকটু অলংকার দিলে বোধহয় আরো ভালো হতো।
মাসুদ সজীব
ঠিক যেইখানে গোঁজা মারছি ঐখানেই এসে সবাই ধরে ফেলছে। গল্পটা আরও বড় করার কথা ছিল কিন্তু প্রিমেচিউর ইয়ে মানে কিছু না ... হয়ে গেল। এখন ভাবতেছি সবাইরে বলি সবাই ৫ টেকা করে দেন তো গল্প লম্বা করি। যত টেকা তত লম্বা!
আসলে সবাই বই প।ড়ে পড়ে এখন এক্সপেক্টেশন বেড়ে গেছে , বড় বড় গল্প চাইতেসে ।
তয় নেক্সট লাইনে আসুন দুই এ আরো আপডেটেড ভার্সন থাকবে আশা রাখি
আপনের লেখা পইড়া তারকাডা হইয়া যাই সবসময়
---------------------
সলিটারি সাইলেন্স
ভাই লেখা এত ছোট হলে কি চলে? পোস্টমডার্নিস্ট তাত্ত্বিকদের প্রবন্ধের মত দীর্ঘ হউক।
আবার পোস্টমডার্নিস্ট
ফাডায়েলছেন, মরে গেলুম, অসাধারণ, কি গল্প মাইরি, ঘ্যাম হয়েছে. এত ছোট গল্প লিখলে প্রতিদিন একটা করে লেখা উচিত. অনেক আনন্দ পেলুম.
যে যাই বলুক, আমার এই গল্প খুব ভাল লেগেছে। আদৌ ছোট মনে হয় নি!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
পুঁজিবাদী লেখক নিপাত যাক
লম্বা গল্প প্রকাশ পাক...
কিন্তুক, "টেকাটুকা দিলেই লম্বা হবে" এইসব কি??!!!
তানিয়া, সোনিয়ার ছোটবোনের নাম নিচ্চই কোহিনূর
সচলায়তনকে কোহীনুরমুক্ত রাখুন
আমার এক ঘনিষ্ট বান্ধবী আছে যার নাম সোনিয়া। ওর মোবাইল প্রীতি আবার অনেক বেশী। ও অবশ্য ক্রিকেট দেখেইনা।
অসাধারণ হইছে।
সব প রা ই প প্রেমী পরে, এই জীবনে বুঝি কুমারত্ব বিসর্জন দেয়া হলনা মতিনদের॥
আরে ভাই ফাডায়ালাইছেন, মরে গেলুম, অসাধারণ, কি গল্প মাইরি।
কি? খুশী?
আপনি ইয়া বড় সাইজের গল্প লিখলেও মনে হয় এত ছোট ক্যান, এত্ত তাড়াতাড়ি শেষ হইল ক্যান
তাহসিন রেজা
সিলেটীতে মেয়েদের 'পুরি' না, খুব সম্ভবত 'ফুড়ী' বা 'প্হুড়ী' বলে। বাংলা ঢঙে তারা একে 'পুরি' বলেনও না, এবং অসিলেটী কেউ সেটা বললেও তাদের মনে হয় না একে 'ফুড়ী' মনে করে ভুল বোঝার কোনই সম্ভাবনা আছে। সুতরাং এই '"পুরি-জোক্স"-টা সম্ভবত পুরাই অনভ্যস্ত অসিলেটী কানের ধন্দ-জনিত স্বকর্ণকল্পিত ভুল-বোঝাপ্রসূত সমস্যা। নাথিং টু ডু উইথ সিলেটী!
****************************************
জীবনের ৭ বছর সিলেটে কাটাইছি, বলতে চান ভুল শুনছি । অবশ্য অনভ্যস্ত অসিলেটী কানের ব্যাপারটা মিছা না
সাহিত্যের সাথে রাজনীতি মেশাবেন্না, লাইনে আসুন।
Big Brother is watching you.
Goodreads shelf
------------------------------------------
'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)
এই দুটো সেরা!
শুক্রবার বিকালের জোম্বিও সময়গুলাতে এইসব লেখাগুলা পড়ে আবার নিজেকে মানুষ মনে হয়।
অল পসিবল কম্বিনেশন হিসাব করলে আপনার কাছে বর দেখা আধাঁর আর বর দেখা আলো আধাঁর পাওনা রইলো।
হিমু ভাইয়ের একলেখায় কনফারেন্সের চায়ের কাপে বিস্কুটের আত্নহত্যার বর্ননা পড়েছিলাম, এইবার আপনি দিলেন পুরির বর্ননা, আপনার লেখার সাথে খানাদানা মিশান কেন বুঝি না
এই পাকিপ্রেমী বাংলাদেশী জনগন কে আমার পাটায় পুতা দিয়ে ছেঁচে আধাভাঙ্গা করে আধাঘন্টা ধরে
ঘটারং ঘটারং করে মিহি করে বাটতে ইচ্ছা হয়। আপোলজি ফর মাই ল্যাঙ্গুয়েজ
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
--
কচু পাতা
উদাসীয় সেই 'ইয়ে'টা কিঞ্চিত অনুপস্থিত আছে। তবে ভাল্লাগছে, তয় এক্সপেক্টেশান থেইক্যা আমরা গাছে উডি যাই তো, তাই...
বাই দ্য ওয়ে, আপনার এক পাটি-কা ওয়াদা করছে যে, সে লাইনে আসুন-এর আন্তর্জাতিক পাচার করে দেবে শিগগির, তখন ফডু খিচায়া আপ্লোডায়া আপ্নের কাছে চ্যাটের ( নাউজুবিল্লাহ ) রিকু পাঠামু। রেডি থাকেন
ডাকঘর | ছবিঘর
লা জবাব!!
____________________________
আজকে আবার আরেকটা ম্যাচ আছে , আজকের আলোকে আরেকটা বরে দেখা আধার লেখে ফেলতে পারেন
আর হ্যা , ফুড়ি বিষয়ক আলুচনায় কোন সচেতন সিলেটবাসী এখন ও আসে নাই ?
লেখা বরাবরের মতই চখাম হৈছে ।
এইবার মন ভরলো না। আরো বড় গল্প চাচ্ছিলাম।
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
এই লেখাটা উদাস হইছে, চরম উদাস লেভেলে যায় নাই বস
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
শেষটা খুব তাড়াহুড়া হয়ে গেছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সবাই সেরকম ফিডব্যাকই দিল। ব্লগে লেখার দারুণ ব্যাপার এটাই। সরাসরি খুব দ্রুত ফিডব্যাক পাওয়া যায়। গল্পটা লম্বা করে আরও কিছু কাজ করবো।
উদাস ভাইয়ার দোষ নাই, আফ্রিদি তাড়াতাড়ি আউট হয়া গেসে তিন মিনিটের মধ্যেই
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
যা খুশি শুরু করছেন দেখি! কনেদেখা আলো আছে, ছিল এবং থাকবে হুট করে 'বর দেখা আলু থুরি আলো' বললেই হলো
বাংলা সাহিত্যের শব্দভাণ্ডারে এভাবে ঘুটা দিবেন্না পিলিইজজ লাগে।
আগের বাক্যগুলি ছিল বইচুর রে বইচুর কওয়ার জন্ন
এটা আপ্নের শিখায়ে দেয়া বুলি
শেখানো বুলি বলার জন্য এইবার লাইনে আসুনের ফিরি লিংকলুংক দেয়া ফরজ হয়া গেলু কিন্তু
আলুতে কোহিনূর ইট্টু শর্ট আছে
মাত্রই 'লাইনে আসুন' পড়ে শেষ করলাম আর তার রেশ কাটতে না কাটতেই ব্লগে আসলাম নতুন কোনো গল্প পাওয়া যায় কিনা দেখতে, কিন্তু পড়া শুরু করার আগেই দেখি শেষ হয়ে গেলো। একেবারে খাটি 'ছোট গল্প' লেখলেন রবীন্দ্রনাথও হার।
উদাসদা মনয় লেখার জন্যে লোক রাখছে। নিজে আজকাল টাইম পায় না
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আমরাও হাইরা গেছি
আপনার কনে দেখা আলো, অন্ধকার আর কনে দেখা আলো-আঁধার, এই তিনটে পোস্ট আমার ল্যাপটপে বুকমার্কড।
রাত-বিরাতে মেজাজ খারাপ হলে তখন পড়ে ঠাঠা করে হেসে মুড অন করি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন